সাইদুর রহমান এর সকল পোস্ট

সাইদুর রহমান সম্পর্কে

এ যাবত ২টি কাব্যগ্রন্থ (একক) এবং যৌথ ১৬টি কবিতা ও গল্পের বই প্রকাশিত হয়েছে।

স্বপ্ন কি শুধু মানুষেরাই দেখে

স্বপ্ন কি শুধু মানুষেরাই দেখে

স্বপ্ন কি শুধু মানুষেরাই দেখে
নাকি বনের ঐ পশুরাও ?
উড়ছে পাখিরা গগনের বুকে
স্বপ্ন কি তবে দেখে তারাও ?

কোমরে ব্যথা আরও শ্বাসকষ্ট
সংসার সমাজে কত বৃদ্ধ;
খেলনা ঘোড়া সেজেও হয় তুষ্ট
এ রঙরসে স্বপ্নও আবদ্ধ।

নেই তখন তাদের কষ্ট ক্লান্তি
চায় ঘোড়া হতে সারাক্ষণ;
পিঠে শিশু সওয়ারী, মিলে শান্তি
ইচ্ছে, রয় ঘোড়া আজীবন।

হৃদে স্বপ্ন, এমনি ঘোড়ায় চড়ে
শিশুরা করুক যুদ্ধ জয়;
ঐ পরকালে বসেও দোয়া করে
হোক এ জীবন সুখময়।

পশুপাখি এতে তবে কম কিসে
মুখে মুখে খাওয়ায় অন্ন;
বুঝে ভালো মন্দ, তাই স্বপ্নাবেশে
করে এমন, ওরাও ধন্য।

দেখেছো কি কান্ড,প্রসবের পরে
এ ধরায় কত শত প্রাণী;
চাটে নবজাত, কত স্নেহভরে
ওদেরও আছে প্রেমখনি।

________
রচনা: ২০১০

তবু কাঁদে মানুষ

তবু কাঁদে মানুষ

প্রত্যুষে জগত হাসে করে ঝিকিমিকি
পূর্বাকাশে রবি এসে যেই দেয় উঁকি;
গাছ পালা পশু পাখি করে নাচানাচি
রোদ স্নানে এ ধরিত্রীও সতেজ শুচি।

রাতের আকাশে হাসে মিটিমিটি তারা
জেগে উঠে ঐ শশীও,শুভ্রতায় ভরা;
জোনাকি আলোতে বনানীও ঝলমল
মনে হয় যেন, এ স্বর্গের রংমহল।

বলাকারা যায় উড়ে সুদূরে কোথাও
তুলোর মত ভাসে,আকাশে মেঘেরাও;
নদী নালা ঝর্ণা ধারা বহে কলকল
সোনালী মাঠে,সবুজে কি আনন্দ ঢল।

তবু কাঁদে মানুষ, এখানে যেন কেন
এতো সুন্দর পৃথিবী পাবে কি কখনো?

তা কম কিসে

তা কম কিসে

কতই না ব্যতিব্যস্ত আমরা আজ
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই ভাবি
সংসারের দায় দায়িত্ব, কর্ম সবি
যতটুকু সারি, তেড়ে আসে সাঁজ।

কই পারি যাই প্রতিনিয়ত এড়িয়ে
যন্ত্রের মতো এক রবোটের মতো
চাই ঢেলে দিতে প্রেম মমতা শত
ছুটি দিকবিদিক নশ্বর এই বলয়ে।

যেথায় সততই ডুবন্ত ওরা কান্নায়
থাকছেই, ঐ ভাঙ্গা রুগ্ন চারিপাশ
পাশাপাশি যদিও, করছি সহবাস
কই ঘুচে কষ্টরা গিলে খেতে চায়।

দুঃসময়ে, কলমখানি মুচকি হাসে
বসে লাগালাগি কিছু লিখবে বলে
অস্থির হৃদয়, শান্তিতে ভরে গেলে
আবারো যেন মুমূর্ষু তা কম কিসে।

দ্যাখো, মুক্ত নীল আকাশের নীচে
হাহাকার প্রাণ কেঁদে কেঁদে ঘুমায়
জাগে হাহুতাশ কত যন্ত্রণা জ্বালায়
বৃক্ষও বোবা কেমন দাঁড়িয়ে আছে।

কতটুকুই আর পারে, ধরার মানুষ
নুন আনতেই যাদের পান্তা ফুরায়
যেন সে কলম পারে, একটু ভুলায়
ঢেকে রাখে নিয়তির উল্লাসী দোষ।

কে আমি

কে আমি

এ আমিত্ববোধ এক আদিম প্রবল
বুঝতে তা, কি আর এ কঠিন তেমন;
আছে দেহ-অস্থি-রক্ত-মাংস সবল
বুঝি সুখ দুঃখ এ বেঁচে থাকা যেমন।

গোধূলি বেলায় মৃত্যু যবে দেয় ডাক
সে রক্ত মাংস সবই তো পঁচে গলে;
মৌলিক ও যৌগিক পদার্থে হবে খাক
তখন আর কি বা থাকে আমিত্ব বলে।

স্বর্গ নরকের কথা শুনি এই ভবে
এত সুখ কষ্ট জ্বালা রবে ভাগ্যে কার;
নাকি এই যে বলি ‘আমি’ আত্মাই তবে
নাকি ‘মোর প্রাণ’ সেই এর দাবীদার?

এ প্রাণ বা এ আত্মা সবই নিরাকার
মৃত্যু কবলে সবি হবে একক সত্তা;
আর যদি এসবের থাকে সে আকার
কি তার রূপ আর কতই বা সংখ্যা?

সবই যেন তালগোল, বুঝতে নারি
যায় না চেনা এমনই সে অন্তর্যামী;
মেলে নাকি সে পরিচয় সাধন করি
জানার তবু রয় বাকি, তবে কে আমি?

একাত্তরের বিজয় মাসে

একাত্তরের বিজয় মাসে

এক
পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পায়
প্রিয় মা জননী আমার বাংলাদেশ;
এবারেও এ ডিসেম্বরে আনন্দ বন্যায়
ধুয়ে নিঃশেষ জনতার সকল ক্লেশ।

দুই
নয়টি মাস এক সাগর রক্ত ঝরার শেষে
পেয়েছি লাল সবুজ পতাকা;
বীর সন্তানেরা ঐ দ্যাখো হাসে আকাশে
খুশির অশ্রুতে দেশ মাতৃকা।

তিন
পৃথিবীর বুকে এ ডিসেম্বরেই তো রচিত
বাংলাদেশ একটি পতাকা একটি মানচিত্র;
গর্জে উঠেছিল একাত্তরে বাংলার মানুষ
মাত্র নয়টি মাসেই হানাদার হয়েছিল তুষ।

চার
একাত্তরের ৭ই মার্চে মুজিবের বজ্র গর্জন
বাঙালী জাতির জীবনে আনে মহান অর্জন;
বিশ্বের বুকে রচিত হলো নূতন ইতিহাস
শোষণ বঞ্চনা শেষে জনতার মুক্তির শ্বাস।

ডিসেম্বর ১৫, ২০১৭

বিজয়োত্তর দিনে

বিজয়োত্তর দিনে

এ বিজয় স্বাধীনতা লাখো শহীদের রক্তস্নাতে
হায়েনা শাসকদের শোষণ নিপীড়ন
দুঃশাসন কুহেলিকার উচ্ছেদ সাধন
সোনার বাংলা আমার আজ বিশ্বের মানচিত্রে।

শিশিরে ভেজা এ আমার দেশের মাটির বুকে
প্রভাতী রবির কি আলোর ঝিলিমিলি
নারী পুরুয় শিশু করছে আনন্দ কেলী
খুশীতে সজল চোখ, ভাষাও নেই কারো মুখে।

অসহ জ্বালা, নয়টি মাসের জঠর-যন্ত্রণা শেষে
জনম নিলো এদিনে, সোনার দেশখানি
যত শোষণ বঞ্চনা গঞ্জনার সমাপ্তি টানি
বাঙালি জাতির কাঙ্খিত মাহেন্দ্রক্ষণ অবশেষে।

জাতির জনক মুজিবের ডাক সেকি বজ্র নিনাদ
কেঁপে উঠেছিল নরপশু জল্লাদ দরবার
রক্ত ঘাম ঝরানো সংগ্রামে সে ছারখার
দ্যাখো ঐ সবুজ লাল পতাকা উড়ছে পতপত।

যে স্বপ্ন, আশা বাসা বেঁধেছিল, বাংলার মানুষে
থাকবে না ভেদাভেদ ধনী আর গরিবে
সুখী সমৃদ্ধ দেশটি গড়বো আমরা সবে
এই হোক আমাদের পণ, প্রতিটি বিজয় দিবসে।

বিজয় দিবসে

বিজয় দিবসে

এই দিনে ছিল এক অপূর্ব অর্জন
হলো ফলপ্রসূ মুজিবের সে গর্জন।
পেলাম আমরা একখণ্ড মুক্ত ভূমি
সোনার বাংলাদেশ প্রিয় জন্মভূমি।

একাত্তরে নয়টি মাস কি নিদারুণ
মৃত্যুর মুখোমুখি এ দেশের তরুণ
কত সে বীর, নর নারীর আত্মত্যাগ
হারিয়েছে কতো সে মা বুকের সোহাগ।

বিনিময় তার, আজ এ মুক্ত প্রশ্বাস
বাংলার ঘরে ঘরে কতো সে উচ্ছ্বাস।
যে দেশে জন্ম নিলো রবীন্দ্র নজরুল
আজ কেন হেথা এ অন্ধকার প্রতুল!

মনে পড়ে বঙ্গবন্ধুর ঐ সে আহ্বান
কানে বাজে বাংলা বেতারের সুরতান।
আজ যে জঞ্জাল বসেছে আসর পেতে
প্রতি কোণে অলিতে গলিতে রাজপথে;

কবে যে পৌঁছবে একই রবি কিরণ
ভরবে আলোয় এ জীবন মনন।

বিজয় দিবসে

বিজয় দিবসে

বারে বারে জেগে উঠে এ হৃদয় কোণে
কতটুকু হলে সমাদৃত তুমি
হে আমার প্রিয় মা জন্মভূমি?
ভাইবোন কত হলো পিতৃহীন
কতটুকু দিলেম তাদের ঋন
ছিনিয়ে আনলো ‘স্বাধীনতা’ রক্তাক্ত রণে।

তাজা রক্ত হাসিমুখে দিয়েছেন যারা
পঙ্গুত্ব অন্ধত্ব পেলেন জীবনে
করেননি দ্বিধা মৃত্যু আলিঙ্গনে;
মার হৃদয় চিড়ে হলেন উধাও
খুজে ফিরেন মা, এ শহর গাঁও
বিনিময় তার কি বা পেয়েছেন তাঁরা ?

পেয়েছি দ্যাখো ঐ লাল সবুজ পতাকা
শহীদেরা পেলো তবে আকিঞ্চন
পেলো কি তারা হারিয়ে সম্ভ্রম ধন?
দীর্ঘ সময় তবে পেরিয়ে গেলো
হিসেব নিকেশ সবই তো হলো
নব প্রজন্মের না হোক অপ্রাপ্তি দেখা।

বিজয়ের মাসে

বিজয়ের মাসে

প্রতিটি বছর আসে বিজয়ের মাস
সকল হৃদয়ে জাগে উচ্ছ্বাস উল্লাস;
লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত প্রান্তর
ভাসছে এখনো কান্না শুনি নিরন্তর।
রক্তে কেনা দেশখানি তোমার আমার
মনে পড়ে ন’টি মাস কত লাঞ্ছনার;
পাক পশুদের দল শেষে পরাজিত
নূতন পতাকা পেলো বিশ্ব মানচিত্র।

সর্বত্রই ছিল তবে স্বজন ক্রন্দন
চিৎকার আর্তনাদ, বিষণ্ণ বদন;
কত ভাংচুর, সম্পদ করে গেল ধূলি
হলো ইজ্জত সম্ভ্রম আকাঙ্খার বলি।
বিজয়ের মাসে হোক আমাদের পণ
এসো গড়ি দেশখানি মনের মতন।

চতুর্দশপদী কবিতা

সমাধি ঘরে

সমাধি ঘরে

শেষে শুধু ছাই সব কিছু জ্বলে পুড়ে
থাকে না তফাৎ মানুষ আর বস্তুতে;
ভেসে বেড়ায় হৃদয় চিক ঐ ইথারে
মিশে রয় দুঃখ আর যন্ত্রণা তাতে।
বাহির থেকে কেউ বুঝে না সে আগুন
কেউ করে না অনুভব, রয় অদৃশ্য;
আর বেড়ে হয় যখন তা বহুগুণ
মানুষ হয় এত উন্মাদ, অবিশ্বাস্য।

হৃদয়ের সে ব্যথা কেউ চায় না বুঝতে
মনে তাই জন্মে অব্যক্ত শত ক্ষোভ;
মানুষ আত্ম হননে যায় তাই মেতে
কেটে যায় সম্মোহন, জীবনের লোভ।
ভাবে, গোল্লায় যাক পৃথিবী, যাক পুড়ে
আছে সে প্রশান্তি শুধু ঐ সমাধি ঘরে।

চতুর্দশপদী কবিতা

অভিমান

অভিমান

মাগো, তোমায় দিয়েছি কত যে যন্ত্রণা
তবু কোনদিন বিরক্তি দেখিনি মুখে;
তব মনো কষ্ট কখনো হলো না জানা
সদাই হাসির ঝলক ঐ চোখে মুখে।
মনে পড়ে, পেয়েছি কভু কোথাও ব্যথা
কোথায় কাঁদবো আমি, কেঁদেছো সে তুমি;
ভুলে যেতে কষ্ট, শুনিয়েছ গল্প কথা
বার বার হাস্যে দিয়েছো আমায় চুমি।

তিলে তিলে মাগো, করেছো আমায় বড়
দিয়েছো অক্ষর জ্ঞান, মুখে তব ভাষা;
এ বয়সেও কৈ অবসর, কর্ম কর
দিলে যে উপদেশ দিলে পথের দিশা।
ভেবেছি এলো সময়, দিই প্রতিদান
বুজলে আঁখি, করলে তুমি অভিমান।

চতুর্দশপদী কবিতা

তবু যেন থামতে চায় না

তবু যেন থামতে চায় না

পথ চলতে ঘনিয়ে আসে সন্ধ্যা যখন
তবু যেন থামতে চায় না স্বপ্নের বুনন।

যে পথের, নেই সীমান্ত
ক্যাক্টাসে আক্রান্ত বিক্ষত;
বুকে যার দাহ, দীর্ঘশ্বাস
অন্ধকার আর হাহুতাশ।

বয়স ভার, নুব্জ্য শরীর
আকাশও ফেটে চৌচির
তবুও পথচলা অনিবার
পথেও হিংস্র জানোয়ার।

হোঁচট খাওয়া বারংবার
পথের শেষ, জানা কার;
তবু আশার ঐ মরীচিকা
হেঁচড়ায়, হই রক্ত মাখা।

পথে হাটা একটানা কবে কোল ছেড়ে
রণ, শুধু রণ, অজানা অসীম পথ ধরে।

কোষাগারে

কোষাগারে

ঝিনুকের দল, ফলায় সোনার ফসল
নীরবে সহে কি নিদারুণ কষ্ট;
রোধ করে ঢল, নেই শক্তি মনোবল
কোন দাবি নেই তবু পরিপুষ্ট।

সমুদ্র বেলায়, তাদের লাশের খেলায়
মত্ত সবি, কষ্টে ওদের জীবন;
ফেলে যায় তবু উপহার ধরার মেলায়
বুক চিরে পাই মোতি ঢৌকন।

পড়ে রয় অগণিত কত মৃত, সৈকতে
লাশ কাড়াকাড়িতে ঐ মানুষ;
কত আদরে, লোভে তুলে নেয় হাতে
কঙ্কাল ছুরতে হয় যে বেহুশ।

ক্ষুদ্র প্রাণীর কে দেয় দাম এ জগতে
বাঁচে ওরা অসহন ভয় ডরে;
কেউ ভাবি না, কখনও ওদের হিতে
যদিও ভাগী বিশ্ব কোষাগারে।

অজ্ঞাত

অজ্ঞাত

না চিনতেম সুদূরের নীল আকাশ
না চিনতেম প্রাণ প্রভা এই বাতাস;
না চিনতেম সে ঐ রক্ত চোখ সূর্য
না চিনতেম চাঁদ কত শীতল শুভ্র।

চিনতেম কি এ সবুজ বনানী মাঠ
চিনতেম কি গগনে তারার ঐ হাট;
জানতেম কি পাখিরা জানে সুরতান
জানতেম কি ধরায় এতো কলতান ?

নদী ঝর্ণা বহে দিবা নিশি কল কল
মোহনায় সাগরিকা বিছিয়ে আঁচল;
দেরী তাই ক্ষ্যাপা অভ্র করে গুরুগুরু
অধীর হয়ে আছে যে তার লতা তরু।

ছিলো না জানা ধরায় আমার ঠিকানা
মা প্রতীক্ষায়, ছিলাম যদিও বেগানা;
কখন যে দেখবেন তবে মুখখানা
যেন আমি তার কত সে আজন্ম চেনা।

জানতেম না এ প্রেম ভালোবাসা প্রীতি
জানতেম না, কি এ সাহস ভয় ভীতি
জানতেম না কি সুখ, কি বা কষ্ট জ্বালা
ফিরতে হবে আবার, শেষ হলে বেলা।

হেমন্ত এলো

হেমন্ত এলো

কার্ত্তিকে ভর করে হেমন্ত এলো
দোল খেতে খেতে হিমেল বাতাসে;
শরতের মেঘগুলো নেমে এলো
ভূমে,যেন কুয়াশা কন্যার বেশে।
খাল বিলে ফুটেছে শাপলা ফুল
ধান ক্ষেত সেজেছে সোনালী রঙে;
ঘরে ঘরে আনন্দ উচ্ছ্বাস প্রতুল
হিমে ভেজা ফড়িং নাচে কত ঢঙে।

শরত সহোদরা সেজেছে নব বধু
শীত শীত আমেজে করবে উৎসব;
চারিদিকে পাই সে নবান্ন ঘ্রাণ শুধু
উলু উলু ধ্বনি বধুদের কলরব।
গোধূলি লগনে আড়ালে দাঁড়িয়ে রবি
হাসে, শুরু কুয়াশা কন্যার পাঁয়তারা;
দূর্বাঘাসের প্রেম বানে যেতে চায় ডুবি
সূর্যি মামা জাগার আগে পালাবে তারা।