সাইদুর রহমান এর সকল পোস্ট

সাইদুর রহমান সম্পর্কে

এ যাবত ২টি কাব্যগ্রন্থ (একক) এবং যৌথ ১৬টি কবিতা ও গল্পের বই প্রকাশিত হয়েছে।

কবি নজরুল স্মরণে

কবি নজরুল স্মরণে

ছিলে গো তুমি বিদ্রোহী তেজোদীপ্ত এতো
ছিলে বড় অসহায়, সয়ে গেলে দুঃখ শত।
অন্দরে ছিল বুলি ‘ভগবান আর জল’
বাইরে ‘আল্লাহ, পানি’এমনি শব্দ ছল।

তবুও তো পেলে না ওদের প্রেম আদর
দেয় নি মান, করেনি গো মেধার কদর।
লিখতে তুমি শত শ্যামা সঙ্গীত কখনো
আবার ইসলামী গজলে মুখর যেন;

গরীব হয়ে জন্ম হলেও, ছিল বড় মন
সইতে কত নির্মম উপহাস, সর্বক্ষণ;
বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে হলে ঐ নজরুল
গেয়েছো সাম্য গীত খেয়ে কত কষ্ট দোল;

বলতেও তুমি ‘তোমরা চেন না ওদের,
রাঘবেরা খোঁজ রাখে না এই হৃদয়ের’।
এতো লেখালিখি, গড়লে সাহিত্য সমুদ্র
ঘুচেনি অভাব তবু, ভাগ্য তেমনি রুদ্র।

হিন্দু নারীর প্রণয়ে হলে আবদ্ধ যখন
সমাজ ফতোয়ায় হলে কাফের তখন;
সুর সাগরে ভেসে হতো তব প্রাণ সঞ্চার
হলে বাংলা সাহিত্যে অহংকার, অলঙ্কার।

ইতিহাস ধরে আছে ঐ দুখময় চিত্র
তুমি কেন বাধ্য হলে, হতে নির্বাক স্তব্ধ।
তাই তো তুমি লিখেছিলে, জানি না কি ভেবে
‘যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে
অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে –
বুঝবে সেদিন বুঝবে।‘

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে

শত কোটি জনতার স্বপ্ন অপার
পরিবেশ দূষণে কি দুর্গতি সবার
জলাশয় নেই, বন বনানীও উজাড়;

মধু স্বপ্ন পাহাড়ে গোটা এ বিশ্ব
তলিয়ে যাচ্ছে সবই, হচ্ছি নিঃস্ব
বায়ুমণ্ডল দিন দিনই হচ্ছে যে উষ্ণ।

ব্যাঙ ছাতার মত দালান কোঠা
নেই ফাঁক নেই বাতাস আলো ছটা
নদী ঝর্ণা ভরা, নেই জোয়ার ভাটা;

এথা হেথা সেমিনার ভাষণ পাঠ
মানুষ নিবে শ্বাস নেই খোলা মাঠ
কর্মসূচী কত নেই অর্থ সব লুটপাট।

এলে দিবস অভিযান বৃক্ষ রোপণ
কি অভিযান তবু ফরমালিন মিশ্রণ
জনতা করে কি, বারোমাসই দহন;

চলো তবে গড়ি সবি মিলেমিশে
রং সবুজে দুলুক এ বাংলা বাতাসে
পাখি রবে ফুটুক ফুল হেসে হেসে।

দু’খণ্ডের যে বইখানি

দু’খণ্ডের যে বইখানি

বাস্তবতা চিরদিন রূঢ়
পেতে চাও সুন্দর জীবন;
সফল হতে হৃদের স্বপন
হতে হয় কামনায় দৃঢ়।

শিখো দাঁড়াতে একা
দাঁড়াও ঝড়ের মুখোমুখি;
মৃত্যু ভয় ডর দূরে রাখি
পথ যে বড় আঁকাবাঁকা।

ঝড় সে আসতে দাও
সাহসে বাঁধতে হবে বুক;
পথে কত বৃষ্টি বাদল ধুপ
সাঁতারয়ে এগিয়ে যাও।

শ্রম রক্ত আর ঘাম
কখনো তবে যায় কি বৃথা;
এ তো জ্ঞানী জনের কথা
আসে রবি পলায় শাম।

ব্যর্থতা যত এ গ্লানি
মনে হয় যেন জীবন দণ্ড;
জীবন পুস্তিকার এক খণ্ড
দু’খণ্ডের যে বইখানি।

ফুটতো ফুল এ হৃদয় বনে

ফুটতো ফুল এ হৃদয় বনে

তুমি কি বাড়িয়ে দেবে হাত দু’টো
পথ চলতে বড় ভয় হয়;
যদি পাই তোমার প্রেম এক মুঠো
হতেম যেন অকুতোভয়।
যদি তোমায় পাই আমার পথসাথি
পাড়ি দিতেম ভব পাথার;
করতেম জয় দুর্জয় ঐ আঁধার রাতি
নিরোধ গড়ে সাধ্য কার।
পাথরে সরিয়ে ছুটবো দূর দিগন্তে
আনবো প্রশান্তি কেড়ে;
যাবো সাঁতরে দুখ সাগরের প্রান্তে
স্বর্গসুখের ঐ প্রেম নীড়ে।
যেখানে নেই ভালোবাসার আকাল
শুধু বয় প্রেমসুর লহরী;
যেথা নেই যুদ্ধ আর তলোয়ার ঢাল
নীরব ক্রন্দন আহাজারি।
পাখিদের মত যেতাম উড়ে গগনে
মিতালী হতো তারার সনে;
মিটিমিটি হাসে যারা খুশীর প্লাবনে
ফুটতো ফুল এ হৃদয় বনে।

মে দিবসে

মে দিবসে

ঐ দ্যাখো ঐ সুরম্য অট্টালিকা
আজিকার সভ্যতার প্রতীক
বিত্তের কত আনন্দ হিরিক
ছিটকে পড়ছে সে অহমিকা।

যাদের শ্রম, এ সৃষ্টির পেছনে
লেগে আছে ঘাম প্রতিটি ইটে
ভাঁজে ভাঁজে, তাদের রক্ত ফেটে
জমেছে শিশির চোখের কোণে।

কি করুণ, তাদের ভাগ্য শেষে
পৃথিবীর চাকা ঘুরায় যারা
এ সভ্যতার প্রকৌশলী তারা
কাটে দিন অবহেলায় ভেসে।

যাদের শ্রমে পেয়েছি সকাল
অগ্নি খরায় ঝরিয়েছে ঘাম
কষ্ট শ্রমের পেলো না দাম
রক্ত বেচেও আজ সে কাঙ্গাল।

করি পণ, আমরা শ্রমিক যত
নয় সে রক্ত খেলা ছিনিমিনি
নয় আর এ ধনী গরীব শ্রেণী
রক্তে গড়ি দেশ আরো উন্নত।

আমায় কাঁদতে দিবে না বলে

আমায় কাঁদতে দিবে না বলে

আমায় কাঁদতে দিবে না বলে
রাশি রাশি সম্পদে, স্তুপাকার;
চারিপাশে করেছো একাকার
কত সে কষ্ট শ্রম, ঘাম ফেলে।

আমায় কাঁদতে দিবে না বলে
মুক্ত এ উদার গগন তলে
প্রাসাদ, পাথরে মুক্তো ঢেলে
নির্মিত, নিশ্চিন্ত রবো বলে।

গোলাপ চামেলি ভর্তি বাগান
জল সিঞ্চনে করে গেলে তাজা;
লুটবো সুগন্ধ, করবো মজা,
জোছনা আলোতে করবো স্নান।

গোলাপ কন্টকে হই যদি ম্লান
কাব্য গীতি তাও সাজিয়ে গেলে;
বাদ্য তালে নৃত্যে পড়বো ঢলে
সমাজেও রবে, মান সম্মান।

দিয়ে গেলে ঢেলে সব সঞ্চয়
আজ এ কি ! বকুল বৃক্ষ তলে;
কবরখানি ঢাকা শুভ্র ফুলে
সঞ্চয় শুধু জীবন মৃত্যুময়।

তুষার মানব

তুষার মানব

The Snow Man : অনুবাদ কবিতা
-সাইদুর রহমান

শীতেরও আছে কোমল হৃদয় মন
জানায় তাই তো, প্রীতি সম্ভাষণ;
বন প্রান্তরে, ঐ দেবদারুর মতো
দাঁড়িয়ে সরু লম্বা পাইন শতো;
জড়িয়ে ধরে যেন এ মানব তুষার
অপূর্ব ছবি মমতা ভালোবাসার।

কৃষ্ণ বর্ণ ফল, সাদা বরফে ঢাকা
করছে ঝিকমিক, যেন রঙ মাখা;
জানুয়ারির মিঠিমিঠি নম্র রোদ্দুর
শুনি ধ্বনি, তা পল্লবের মর্মর সুর;
ভেবো না এমন, পাইনেরা ক্লান্ত
হিম পরশে যেন বড়ই পুলকিত।

মাটির কম্পন এতো হৃদয় স্পন্দন
ধ্বনি সেতো, বেড়ায় যে সমীরণ;
দর্শক শ্রোতা, দ্যাখে ভূমি বিরান
কেউ নেই, কিচ্ছু নেই শুধু পাইন।

মূলঃ Wallace Stevens

আছি তো তার বন্ধনে ০২

আছি তো তার বন্ধনে ০২
(তোষামোদ)

যেন অঙ্গার হই গ্রীষ্মের খর তাপে
মনের উঠোন ভরে যায় শূন্যতায়;
ঘনঘোর বৃষ্টিতে খুঁজে ফিরি স্মৃতিকে
কাঁদে এ হৃদয় তারই মতো বর্ষায়।
মাঠে মাঠে সোনার ফসলের ঝিলিক
কোমল আলোয় শরতে উড়ি দিগন্ত;
কৃষাণ মুখে ফুটে হাসি খুশী হিড়িক
হেমন্ত স্নিগ্ধ ছোঁয়ায় কতো পুলকিত।

হিমেল দাঁতের কামড়ে যবে অতিষ্ঠ
গরীবের কি কষ্ট, শীত যেন তা বুঝে;
খোলা প্রান্তর লাজে হয় বড় আড়ষ্ট
মুখখানি ঢাকে তাই কুয়াশার ভাঁজে।
শাকসবজি বিলিয়ে করে তোষামোদ
চলে পিঠা খাওয়ার উৎসব আমোদ।

ক্রমশ ……

চতুর্দশপদী কবিতা।

আছি তো তার বন্ধনে ০১

আছি তো তার বন্ধনে ০১
(জন্ম জন্মান্তর)

জন্ম জন্মান্তর আছি তো তার বন্ধনে
লালিত পালিত সবি প্রকৃতির কোলে;
প্রাণে বাঁচা তারই অমৃত সুধা পানে
জীবনের শিক্ষাও তারই কাছে মিলে।
যেন তারই সন্তান আমরা এ মানুষ
দ্যাখো কত দৃঢ়, অকপট, নেই ছল;
নিহাস লোভী মোরা অল্পে হারাই হুশ
প্রকৃতি শুধু দিতে জানে মমতা ঢল।

তার হাত ধরে চলি আমরা মানব
যখন তবে সে হয় রুক্ষ, রুগ্ন, বৈরী;
শান্ত স্নিগ্ধ, হয় মায়াবী তার অবয়ব
তারই ঢঙে আমরা হয়ে যাই তৈরি।
রুক্ষতা তার, ছড়ায় হৃদে অস্থিরতা
প্রশান্ত মুখে যেন পাই হাসি স্নিগ্ধতা।

ক্রমশ ……

চতুর্দশপদী কবিতা
ছন্দ প্রকরণ:
কখকখ, কখকখ; গঘগঘ ঙঙ

তুমি আমার একান্ত আপন

তুমি আমার একান্ত আপন

সেই রক্তবন্ধন,যেদিন থেকে হল ছিন্ন
সোহাগের সেই বন্ধন
তাই এসেছিল ক্রন্দন
হলেম এই ভুবনের, এক হিস্যা অভিন্ন।

পাখীর সে কলরবে,পশুর শঙ্খধ্বনিতে
ভুবনে মোরে, করে বরণ
বায়ু দিয়ে, ধরে এ জীবন
আলোয় ভরিয়ে দিলে, সুরুজের সে হাসিতে।

সবুজ শ্যামলে, চারিদিকে ফসলের মাঠ
মাঠে হালচাষ দেখি
মিলেমিশে কাজ শিখি
শিশির সিক্ত ঘাস দেখে, হয় যে প্রেম পাঠ।

বৃক্ষরাজিতে ছায়া আর ফলমূলে আহার
মিটালে তৃষ্ণা ডাবজলে
চোখের তৃষ্ণা কত ফুলে
ফুল ও ভ্রমরের গুঞ্জনে, হই সুরকার।

ঐ দূরে দেখি,মেঘের খেলা নীল সে আকাশে,
শিখেছি তাই কত খেলা
এখন তো গেল যে বেলা
তমসে ডাকে ঘুমোতে, রূপোর সে শশী হেসে।

কি কথা দিয়েছিলে মাকে,বল হে ভুবন
কেন মোরে এতসব দিয়ে
জীবনটা দিলে যে ভরিয়ে,
ভুবন বলে, তুমি আমার একান্ত আপন।

কি নিঠুর খেলা জগতে

কি নিঠুর খেলা জগতে

এখনো ঐ আবর্জনা স্তূপে
পশু আর মানুষেরই ভিড়
কি পাবে কে,দ্বন্দ্ব চলে;
ঘর তো দূরে,নেই ছাদ
হলাহল ঝগড়া ফ্যাসাদ
ধরাশায়ী যেন শক্তিবলে।

ক্ষুধায় এক মুঠো ভাত
যখন বাড়ায় দু’টি হাত
চোখেতে কুয়াশা জমে;
কি নিঠুর খেলা জগতে
চলছে যেন তা অহর্নিশি
তবে কেন এ জন্ম ভূমে ?

মাঝে মাঝে এমন হয়
লিখবো না আর কখনো
হয়েছে স্থবির হৃদয় মন;
পথে ঘাটে যখন বেরোই
দীনের সে ঐ করুণ চিত্র
কার কাছে করি নিবেদন ?

দেয় পীড়া ক্ষণে ক্ষণে

দেয় পীড়া ক্ষণে ক্ষণে

একি ! দেয় উঁকি ওসব স্মৃতি, হে প্রিয়
এ হৃদয় যেন এক বালুচর
কাটিয়েছি সেখানে কত প্রহর;
হয়েছে কখনো কত প্রেমকথা
আমি তুমি ভাগ করেছিনু ব্যথা
চোখে সদাই ভাসে ঐ দৃশ্য প্রেমময়।

মনে পড়ে সবি এ বেলা, যায় না ভুলা
সুরের মূর্ছনা নিয়ত যে শুনি
আজও কানে বাজে যেন ধ্বনি;
নিরন্তর ভাসে সুরেলা কণ্ঠ ঐ
তেমন বিদগ্ধ সঙ্গীত আর কৈ
স্মৃতি রোমন্থনে বাড়েই অন্তর জ্বালা।

হলেই একা, পাই দেখা হৃদয় কোণে
সে সুখ স্পর্শ হয় যে অনুভব
হৃদয়ে নেই কিছুই শূন্য সব;
তবু রক্তক্ষরণ করে যে ক্ষত
মনে হয় সেসব আজি বিস্মৃত
ছিন্ন ভিন্ন, তবু দেয় পীড়া ক্ষণে ক্ষণে।

নববর্ষের শুভেচ্ছা

নববর্ষের শুভেচ্ছা

অঢেল স্বপ্ন নিয়ে ফিরে এলো আবারো
একটি নূতন বছর, আঠারো;
আছে ওতে বীজ আকাঙ্ক্ষার নতুনত্বের
প্রতিদিন সোনালি প্রভাতের।

ঐ শোনো রাতের শেষে ভোরের আযান
পাখিদের কলরব কলতান;
কাননে ফুটেছে কত ফুল সৌরভে ভরা
চারিপাশ কত আকুল করা।

ভুলে যাও পিছনের সকল দুঃখ কষ্ট গ্লানি
মুছে ফেলো এখন অশ্রুখানি;
জেগে উঠো এলো যে রঙিন নূতন ভোর
কেটে যাক সব কালো ঘোর।

চলো হাটি এবার, অচেনা এক নূতন পথে
সততার সাথে একাগ্র চিত্তে;
এসো ঢেলে দিই স্নেহ প্রেম সকলের তরে
ভরে যাক হৃদয় খুশির ঝড়ে।

হোক সকলের জীবনে মধুময় বর্ণিল সাজ
হোক বর্ষখানির শুরুটা আজ;
পূর্ণ হোক সকলের আশা, মুখে মিষ্টি হাসি
আমারও শুভেচ্ছা, রাশি রাশি।

কখন যে বড় হয়ে গেছি

কখন যে বড় হয়ে গেছি

কখন যে বড় হয়ে গেছি কি জানি
লাগে সুমধুর আজ যেই পাখিদের গান শুনি;
হাটা শিখেছি মার হাতদু’টো ধরে
কষ্ট পেতেন মা, ক্ষত যদিও আমার পাঁজরে।

কখন যে বড় হয়ে গেছি কি জানি
যেন বধির ছিলাম, এখন স্বপ্নের ডাক শুনি;
সে বেলা না করেছি অনুভব ক্ষুধা
কান্নার ভাষা বুঝেই তো দিয়ে দিতেন সুধা।

দেখিনি জগত কাননে পুষ্প-হাসি
দৃষ্টির কি অভাব গগনে তখনও হাসত শশী;
ঘুম পাড়ানি গানে কত ঘুম নিশ্চিন্ত
কখনো বুঝিনি, জ্বলে জীবনে দাবানল কত।

আঁচল ছায়ায় বুঝিনি রোদ তিক্ষ্ণতা
কই ছিল তখন বোধ, দাউ দাউ জ্বলেও তা।
কখন যে বড় হয়ে গেছি কি জানি
আজ বুঝি হৃদয়ই অপ্রেম স্নেহ মমতার খনি।

যাদের হাত ধরে হলেম বড় আমি
না ঐ পদযুগলে শ্রদ্ধা, না কখনো আর চুমি;
যে আলেয়া দেখিনি কখনো পাশে
বার বার ছুটে যাই যেন তবুও তারই দেশে।

অলিগলি কখনো আবার রাজপথে
ভালোবাসা সব পায়ে দলে চলি জীবন রথে;
প্রতারণা দ্বন্ধ আজ বড় ভালোবাসি
হয়েছি যে বড়, গজিয়েছে অস্থিত্ব শক্তপেশী।

তুমি আমার একান্ত আপন

তুমি আমার একান্ত আপন

সেই রক্তবন্ধন,যেদিন থেকে হল ছিন্ন
সোহাগের সেই বন্ধন
তাই এসেছিল ক্রন্দন
হলেম এই ভুবনের, এক হিস্যা অভিন্ন।

পাখীর সে কলরবে, পশুর শঙ্খধ্বনিতে
ভুবনে মোরে, করে বরন
বায়ু দিয়ে, ধরে এ জীবন
আলোয় ভরিয়ে দিলে, সুরুজের সে হাসিতে।

সবুজ শ্যামলে, চারিদিকে ফসলের মাঠ
মাঠে হালচাষ দেখি
মিলেমিশে কাজ শিখি
শিশির সিক্ত ঘাস দেখে, হয় যে প্রেম পাঠ।

বৃক্ষরাজিতে ছায়া আর ফলমূলে আহার
মিটালে তৃষ্ণা ডাবজলে
চোখের তৃষ্ণা কত ফুলে
ফুল ও ভ্রমরের গুঞ্জনে, হই সুরকার।

ঐ দূরে দেখি, মেঘের খেলা নীল সে আকাশে,
শিখেছি তাই কত খেলা
এখন তো গেল যে বেলা
তমসে ডাকে ঘুমোতে, রূপোর সে শশী হেসে।

কি কথা দিয়েছিলে মাকে, বল হে ভুবন
কেন মোরে এতসব দিয়ে
জীবনটা দিলে যে ভরিয়ে,
ভুবন বলে, তুমি আমার একান্ত আপন।