আমিনুল ইসলাম রুদ্র এর সকল পোস্ট

আমিনুল ইসলাম রুদ্র সম্পর্কে

মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র, জন্ম : ১৪ জানুয়ারি, ১৯৮১। ডাক নাম রুদ্র আমিন (Rudra Amin)। একজন বাংলাদেশ কবি, লেখক ও সাংবাদিক। নক্ষত্র আয়োজিত সৃজনশীল প্রতিযোগিতা-২০১৬ কবিতা বিভাগে তিনি পুরস্কার গ্রহণ করেন। জন্ম ও শিক্ষাজীবন মোঃ আমিনুল ইসলাম রুদ্র ১৯৮১ সালের ১৪ জানুয়ারি মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার ফুলহারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোঃ আব্দুল হাই ও মাতা আমেনা বেগম। পরিবারে তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা জীবন কেটেছে খাগড়াছড়ি এবং বগুড়া সদর উপজেলায়। বগুড়ার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল ও কলেজ থেকে এসএসসি ও মানিকগঞ্জের দেবেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর তিনি ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি থেকে ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স সম্পন্ন করেন। কর্মজীবন মূল পেশা থেকে দূরে সরে গিয়ে তিনি লেখালেখি এবং সাংবাদিকতায় জড়িয়ে পড়েন। তিনি প্রায় সব ধরনের গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। কাজ করেছেন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায়। বর্তমানে তিনি জাতীয় দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন এর ষ্টাফ রিপোর্টার ও অনলাইন নিউজপোর্টাল নববার্তা.কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি উইকিপিডিয়াকে ভালোবেসে উইকিপিডিয়ায় অবদানকারী হিসেবে উইকিপিডিয়া অধ্যয়নরত আছেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : যোগসূত্রের যন্ত্রণা (২০১৫); আমি ও আমার কবিতা (২০১৬); বিমূর্ত ভালোবাসা (২০১৮); অধরা- সিরিজ কবিতা (২০২০) প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ : আবিরের লালজামা (২০১৭)। আমার সকল লেখা পড়তে ভিজিট করুন : রুদ্র আমিন

তুমি তখনই মানুষ

তুমি তখনই মানুষ….

যখন,
মিথ্যের চোখ রাঙানি, অবাধ্য বউয়ের অযৌক্তিক হুংকার
মোড়ল কিংবা রাজনীতিকের প্রতিহিংসায় ঘর ছাড়া,
অধার্মিকের ধর্ম নষ্টের ষড়যন্ত্র কিংবা প্রতিবেশীর অনর্থক দ্বন্ধেও
তুমি সত্যে অনঢ় ও ধর্ম-কর্মে বিশ্বাসী।

তখনই বুঝে নিও, তুমি আর কেউ নও; তুমিই মানুষ…
মানুষ হলেই কষ্টেরা কষ্টের পরীক্ষার বেষ্ঠনীতে আটকে রাখে…
পৃথিবীটাই একটা পরীক্ষাকেন্দ্র…

ঢাকা-১২০১২০২১

সময়ের হালখাতা

অপেক্ষায় থেকো না…
দিন পেরুলেই রাত আসে রাতের নিয়মে
মৃত্যুও ঠিক তেমন…

আর,
আলোর অপেক্ষায় থাকা মানুষ গুলো বরাবরই
অন্ধকারে ডোবে…
যেমন,
ভোরের শিশির ভেজা ঘাসের যৌবন
সূর্যের প্রখরতায় শুষ্ক হয়ে ওঠে।

তারচে ভালো এসো…
ভাগ্যের হালখাতা ধুয়ে মুছে
সময়ের যৌবন আকড়ে, ধর্ম-কর্মে সাজাই জীবন।

মনে রেখো…
মিথ্যে আর স্বার্থরা প্রতিনিয়তই রক্তের মতো ছোটে।

বেহুশে ঘুমিও না আর…

যেদিন ধর্ম, কর্ম, স্রষ্টা আর সত্যকে অসহ্য মনে হবে
ভালোর পরামর্শে গায়ে ফোসকা পড়বে, মিথ্যেকে সত্যের মতো মনে হবে
সেদিন তুমি বুঝে নিও, পৃথিবী নষ্টদের অধিকারে…

সত্য এটাই- একদিন সবকিছুই চলে যাবে নষ্টদের অধিকারে
থাকবে চোখের দৃষ্টিশক্তি, থাকবে শ্রবণশক্তি, থাকবে বাকশক্তি
তবুও আলোকিত পৃথিবী মেঘাচ্ছন্ন আকাশের মতোই করবে খেলা
অতঃপর,
একদিন ঠিক-ই ফিরে আসবে আলোকিত পৃথিবী
ভাঙবে আলোকে নির্বাসন দেওয়া আঁধারের ঘুম
সেদিন তুমি আফসোস করো না, করেও হয়তো কোনো লাভ নেই
যে সনদ তুমি গ্রহন করেছো সেই সনদই দিবে তোমার পরিচয়!
ফিরে এসো, বেহুশে ঘুমিও না আর…
খুঁজে নাও তোমার ধর্ম, কর্ম; মনে রেখো মৃত্যু চিরন্তন
যদি পারো তাকে রুখে দ্যাখাও, অন্যথায় এসো
ধর্ম, কর্ম, স্রষ্টাকে আকড়ে সুন্দর পৃথিবী সাজাই।

একদিন মৃত্যুও যাবে মরে…

একদিন মৃত্যুও যাবে মরে…

শহর-নগর-পল্লীর কোথাও বাঁজবে না কান্নার আবেগী সুর
বধির-অন্ধরাও দেখবে, শুনবে নির্বাসিত আলো, ঢেউয়ের উম্মাতাল চিৎকার
অসময়ে বেঁজে উঠবে সময়ের আযান, কেটে যাবে ঘোর

ঘুম ভাঙবে সমুদ্রের, ঈদ আনন্দে নাচবে জল-তরঙ্গ
মরে যাবে ভালোবাসা, মায়া-মমতা; স্বার্থপর হয়ে উঠবে সবাই
এ সবই জানা-শোনা, তবুও স্বার্থ না বুঝে স্বার্থের ঘুমে বিভোর মানুষ!

প্রত্যাবর্তন

আমাকে পাপের সমুদ্রে ডুবিয়ে ব্যস্ত বিকেলে ভিন্ন ঠোঁটে ঠোঁট মেনে নেয়া যায় না সই।
রাত ঠেলে যেমন প্রভাত তেড়ে আসে একটু রোদেল আলোর স্পর্শের আশায়, ঠিক
তেমনি এসেছিলাম…

আমি তোকে কোনো অভিশাপ দেবো না, শুধু বলবো…
নাক ভাসিয়ে পাপের সমুদ্রে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো, আমাকে ডুবিয়ে মারো
অনেক পাপ করেছি আত্মহত্যার মতো পাপ আর করতে চাই না।

প্রায় ৩৬৫ দিন পর…
সেই ঠোঁট আর ঠোঁট নেই, দৃষ্টিজুড়ে ক্লান্তি আর ক্লান্তি
যেনো এই শহর থেকে হারিয়ে গ্যাছে সকল কাক, বিষ্ঠার স্তুপ হয়েছে ডাস্টবিন জুড়ে।

প্রত্যাবর্তনে বেশ ভালো আছি সই,
আজ তার পাশাপাশি শুয়ে আকাশ দেখি দু’জোড়া বিশ্বস্ত চোখে
চিৎকার করে উঠি দু’জোড়া মাতাল ঠোঁটে।
আর বলি, ভালোবাসা পবিত্র; ভালোবাসা খোলসহীন কোনো কলা নয়…

অবয়ব, একটি দুঃস্বপ্ন!

অনিচ্ছা স্বত্বেও সেদিন গিয়েছিলাম অন্ধগলির সেই অভিশপ্ত কামরা’য়, তোমাকে ছুঁতে পারিনি বলে ধিক্কার দিয়ে বলেছিলে “আমি একটা কাপুরুষ”। প্রত্যুত্তরে কিছুই বলতে পারিনি সেদিন, রুলারে পিষ্ঠ হওয়ার মতোই নুয়ে পড়েছিলো মাথাটা; শত অভিযোগের বোঝা নিয়েও নিঃশর্তে মুক্তি দিয়েছিলাম তোমাকে…..
তার ঠিক দু’মাস পর….

অভিভাবকের তিরস্কারে বাধ্য হয়েই অভিভাবকের মন রক্ষার্থে কনে দেখতে সেদিন গিয়েছিলাম বাবা বন্ধুর বাসায়। তারা আমাকে সুন্দরী কনে দ্যাখাবে, তাদের খুব পছন্দ তাদের বন্ধুর মেয়ে। সেই বাসায় প্রবেশ করে যখন কনে দ্যাখার শুভক্ষণটি সম্মুখে এলো, আমি তো অবাক। সেকালের সেই ঘোমটা পরা সুন্দর হাতের একটি মেয়ে আমার সামনে রাখা সোফায় বসলেন… যখন ঘোমটা খুলে মুখটা দ্যাখানো হলো, আমি বধির হয়ে গেলাম…

মুর্তির মতো থাকতে দেখে দুপক্ষ থেকেই একরকম জোড় করে পাঠিয়ে দিলো একটি কামরা’য়, আজ এই কামরাটিকেও আমার সেই কামড়ার মতোই মনে হচ্ছিলো, তার মুখের দিকে আর তাকাতে পারিনি, হঠাতই বুঝতে পারলাম কে যেন আমার পায়ের কাছে বসে দু-হাত জোড় করে ক্ষমা ভিক্ষা করছে। সেদিনের চেয়ে আরও দ্বিগুন ওজনের বোঝা আমার পুরো শরীরটাকে পিষ্ঠ করে গেলো…

অতঃপর, আজ আমি সুপুরুষ। সেই দিনের মুক্তি আর সেদিনের ক্ষমা আজ আমাকে মহান করেছে। তাকে শুধু একটি কথাই বলেছিলাম, যাই করো না ক্যানো বিশ্বাস ভেঙো না; পৃথিবীতে তোমার আমার আয়ুদীর্ঘ নয়। কি হবে সৃষ্টি ভুলে ধর্ম ভুলে ভোগ বিলাসে মত্ত থেকে?

Ликвидность акций: что это и зачем нужна, как рассчитать ликвидность на фондовом рынке

Часть находится в собственности ее учредителей, государства, крупных акционеров (держатели более 5% от общего количества), под арестом или в залоге. Компания может увеличить объем свободно обращающихся акций путем продажи части своих пакетов с помощью SPO, как это сделала Русагро (AGRO). Одна из целей — повышение ликвидности акций, благодаря чему компания может попасть в расчет индекса MSCI Russia, на основе которого пассивные фонды осуществляют свои инвестиции.

  • Закрытые акции (closely-held shares) – бумаги, принадлежащие одному или нескольким учредителям компании.
  • Именно на него имеет смысл опираться при первичном анализе ликвидности акции.
  • Данный принцип позволяет участникам торговли получать доход за счет колебания курса.

Таким образом, изменение показателя free-float напрямую влияет на объём покупок и продаж акций индексными фондами и другими инвесторами, ориентирующимися на структуру различных индексов. Это отношение количества акций в свободном обращении к общему числу акций эмитента. Его значения Московская биржа пересчитывает каждый день и публикует на своем сайте. Однако там есть данные только для акций 1 и 2 уровня листинга. Для компаний 3 уровня листинга можно воспользоваться данными Investfunds либо Smart-lab. Небольшое значение коэффициента free-float свидетельствует о том, что объемы торгов этими акциями низкие.

Free-float — ещё один показатель рынка ценных бумаг (его часто связывают с другим показателем — ликвидностью акций). Free float означает долю акций, находящихся в свободном обращении на рынке. С английского языка словосочетание free float можно перевести как «свободно плавающий». Основная информация, которую даёт нам показатель free-float, – это ликвидность ценных бумаг. Чем больше акций находится в свободном обращении, тем больше объём торгов такими акциями и тем ниже величина спреда – разницы между лучшей ценой спроса и лучшей ценой предложения. Соответственно, чем выше free-float, тем меньше проблем с покупкой и продажей бумаг нужного объема.

Коэффициент Free Float на FinanceMarker

Чем больше из них не аффилированы друг с другом, тем меньше риск. Например, в случае появления большого количества продавцов из-за недостатка индивидуальных держателей акций возникает ситуация внезапного снижения их стоимости. Спекулянтам так же невыгодна торговля акциями с низким Free-Float, т.к. Из-за нехватки предложения образуется широкий спрэд, который приводит к убыткам.

Ориентируясь на высокую ликвидность и низкую волатильность, инвесторы (и особенно инвесторы, оперирующие крупными капиталами) обычно предпочитают акции с более высоким коэффициентом free-float. То есть рост доли акций в свободном обращении, как правило, ведёт https://prostoforex.com/ к росту спроса на эти акции и к соответствующему росту их курсовой стоимости. Зная о подобных закономерностях и о мотивации действий индексных фондов и других крупных участников фондового рынка, частные инвесторы могут выстраивать свои стратегии поведения.

free float это

Одной из главных областей практического применения показателя free-float является расчёт фондовых индексов. Бывает, что коэффициент количества свободных акций гораздо выше способности активов быть быстро проданными по цене, близкой к рыночной. Теперь следует рассмотреть, как же работать с данным торговля на центовом счете форекс, советы и обзор показателем. Все крупные биржевые игроки успешно применяют на практике эту величину. Уделяя ей особое внимание при совершении перспективных сделок. Какой бы не был рейтинг и слава у предприятия, при низких показателях Фри Флоат опытные инвесторы не будут покупать ценные бумаги такой организации.

Разница между высокой и низкой ликвидностью

Это происходит вследствие некоторых корпоративных действий эмитента, таких как стратегическая скупка бумаг на открытом рынке, погашение казначейских облигаций, либо обратный выкуп акций. В результате обратного выкупа изъятые из обращения акции могут аннулироваться, что в итоге приводит к увеличению стоимости оставшихся в обращении акций. Когда изъятые бумаги упраздняются, коэффициент Free-Float падает. Free Float это коэффициент, показывающий какая доля от всех ценных бумаг компании крутится в свободном обращении на фондовом рынке среди частных инвесторов. Чем выше значение Free Float, тем лучше это отражается на ликвидности, а акция менее подвержена ценовым спекуляциям.

free float это

Данная группа участников рынка рассчитывает на получение дохода за счет дивидендных выплат, а также за счет изменений рыночной цены при продаже активов через продолжительный период времени. Если сравнивать их с предыдущей группой, они не ставят перед собой цели управлять деятельностью организации. По мере роста количества обращаемых акций эмитент привлекает больше инвестиций. Акции компаний второго эшелона характеризуются умеренной ликвидностью. Например, недвижимость отличается низкой ликвидностью, потому что на её продажу уходит много времени. Даже если уже есть покупатель, подготовка документов и оформление сделки в Росреестре займут не менее семи рабочих дней.

Теперь вы понимаете, какие бумаги стоит покупать, а какие нет. Но это пока только верхушка айсберга, а чтобы осветить все детали, учитывающие особенности такой торговли, понадобится не одна статья. В этой статье я расскажу, как определить их доходность, что такое коэффициент free float и как его использовать для грамотных инвестиций. Важно учитывать, на какую дату эта информация была опубликована, поскольку структура акционеров может периодически меняться.

Осуществление обратного сплита поможет в решении проблем акционерного общества за счет уменьшения числа бумаг в состоянии фри флоат. В результате операции держатель десятка акций, стоимостью 50 центов за единицу после обратного сплита получает одну, цена которой достигает 5 долларов. Невысокий показатель free float характеризует актив как низколиквидный. Это значит, что чем меньше объём доступных акций, тем меньше инвесторов могут владеть ими.

Считается, что количество акций в свободном обращении непосредственно влияет на волатильность. Это связано с тем, что при небольшом количестве акций на рынке любая более-менее значительная сделка резко меняет баланс между спросом и предложением. Коэффициент Free Float показывают долю акций,  обращающихся на фондовом рынке и доступных для покупки в данный момент. Free float дословно переводится с английского как “свободно плавающий” или как его еще называют коэффициент свободного обращения ценных бумаг.

free float сущ. —

Такая торговля была аналогичной классическим финансовым взаиморасчетам. Это значит, что более половины из всего объема акций Сбербанка просто лежит у мажоритарного акционера (Банк России). При принятии инвестиционных решений индекс FF компании будет вам в помощь.

The Dutch Have Solutions to Rising Seas. The World Is Watching … – The New York Times

The Dutch Have Solutions to Rising Seas. The World Is Watching ….

Posted: Thu, 15 Jun 2017 07:00:00 GMT [source]

Иногда компании с туманными перспективами выбрасывают большую часть своих акций на рынок в надежде привлечь неопытных инвесторов. Определяется free float биржей на основании информации, предоставленной самим эмитентом. Затем индексный комитет выдает рекомендации о присвоении индекса фри флот конкретной бумаге. Компания с акционерами менее 100 и коэффициентом ликвидности менее 0,1 % могут получить индекс free float равный нулю. Рассматриваемый инструмент может становиться как больше, так и меньше.

Что влияет на ликвидность акций

Считается, что во всех этих случаях свободная продажа этой части акций на бирже является маловероятной в обозримом будущем. Соответственно, такие акции не доступны к покупке на бирже, и поэтому они не относятся к free-float. Обычно величина free-float выражается в процентах либо в денежных единицах. Низкий free-float акций свидетельствует о том, что частным лицам доступно малое количество акций для заключения сделок купли-продажи, поэтому ликвидность в этом случае будет низкой.

free float это

Узнайте из статьи, что такое коэффициент Free Float, как его использовать, что он показывает. От чего зависит этот показатель и почему меняется, а также многую другую информацию. Есть и обратный сплит, который является зеркальным отображением предыдущей торговой операции. Называемый также консолидацией, обратный сплит сокращает количество активов в состоянии фри флоат. Этот термин представляет собой объем акций, которые доступны для публичных торгов участникам рынка. Простыми словами – это количество обращающихся бумаг, которое, зачастую, наиболее достоверно демонстрирует стоимость бизнеса, позволяет эффективно определить рыночную капитализацию.

Полная рыночная капитализация рассчитывается как совокупная стоимость всех акций корпорации. Для оценки стоимости бизнеса специалисты используют и другой способ оценки компании – рыночная капитализация акций в свободном обращении (free float market capitalization). Результаты показали отсутствие взаимосвязи между free float и ценами. Было подтверждено, что высокая доля акций в свободном обращении повышает ликвидность и уменьшает волатильность. Есть ряд вариантов, позволяющих увеличить суммарное число акций в свободном обороте.

Один из ключевых факторов, влияющих на ликвидность акций, — их вхождение в состав фондовых индексов и биржевых инвестиционных фондов. Ценные бумаги, которые входят в список третьего уровня, считаются низколиквидными активами. Как правило, это акции новых эмитентов, которые не соответствуют требованиям биржи, предъявляемым для вхождения в списки первого или второго уровня. Если говорить о градации акций по уровню ликвидности, то для их ранжирования можно использовать уровни котировальных списков. Так, акции компаний первого эшелона, или голубые фишки, считаются самыми ликвидными и надёжными. В эту группу включаются акции крупнейших корпораций страны, например Газпрома, Лукойла, Норильского никеля.

It (2017) – IMDb

It ( .

Posted: Fri, 12 Aug 2016 05:35:05 GMT [source]

На нашем сайте используются cookie для сбора статистической информации. Free-float (англ. «свободно плавающие») — это акции, находящиеся в свободном обращении на фондовой бирже. • Пакеты акций свыше 5%, за исключением долей инвестиционных, пенсионных и иных фондов. Действия, направленные на увеличение free-float, в таких случаях могут стать позитивным драйвером.

অভিন্ন এক ঘ্রাণ (ভিডিও)


= এই মুখ পুড়িরে ভালোবাইসো না, কাঁন্দ্যা কাঁন্দ্যা জনম হারাইবা….

হ, তোমারে কইচে…
তোমারে না পাইলে এ পৃথিবী দিয়া কি অইবো কও, কি অইবো এই জনম দিয়া?
ভালোবাসায় যদি জ্বালা নাই দাও তারে ভালোবাসা কই কি কইরা কও?
একটু সোহাগে একটি জ্বালা থাকবো, খুনসুটির মান অভিমান হইবো
এইডারেই তো ভালোবাসা ক-য়, কি হাচা কইচি না?

সই গো, পৃথিবীটাই কান্দোনের, যদি তুমি কান্দাও সেতো আদরের পরেই…
যেমন আলো দেহি বইলাই তো আঁধার বুঝি। আর জনমের কতা কইতাছো,
আচ্ছা কও তো দেহি জনম কয়দিনের? চক্ষু বন্দো হইলে কি জনম দ্যাহা যায়? যায না।

আমি জনম বুঝি না সই,
তোর একটুখানি পরশ বুঝি, তোর চান্দের লাহান মিষ্টি হাসি, সাগরের ঢেউয়ের লাহান
তোর ঠোঁটের ডাকাডাকি আর মাঘের শীতে একটু ঝলমল কইরা ভাইসা আসা
সূর্যের লাহান তোর চোখের পবিত্র কামবৃত্তি বুঝি; যা ঠান্ডা বরফের লাহান দেহডারে
গরম কইরা দ্যায়।

সই গো, আমি জনম বুঝি না, তোর অভিন্ন এক ঘ্রাণ বুঝি; যে ঘ্রাণ জনমরে হার মানাইয়া দ্যায়।
youtu.be/TkIIHERfK8A

যুবক

আমি পথিক, আমি নির্ভীক, আমি যুবক
নিষ্ঠুর সময়ের বুকে
ভাঙতে পারি জাহাজের মাস্তুল রাইফেল-বুলেটের শব্দ
মুছে দিতে পারি শত হতাশার ব্যর্থতার গ্লানি
আমি যুবক, যদি জেগে উঠি।

ভুবন ডাঙার প্রেম

ভুবন ডাঙার প্রেম

প্রেম বলেছে জলে যাবো
আয়রে সখী আয়
দু’জন মিলে স্রোতধারায়
হারাই অচীন গায়।

হঠাৎ যদি রোদ্দুর বলে
সঙ্গে করে নিও
বলবো তখন মনের কথা
একটু বৃষ্টি দিও।

এমন শুনে দুষ্টু মেঘ, হেসে হেসে বলে
যাওতো দেখি যাও
আমায় ছাড়া পারলে তুমি
ক্যামনে গা ভেজাও।

এবার রোদ বৃষ্টি মেঘের সাথে
সঙ্গী হলো মিষ্টি হাওয়া
বলো, ভুবন ডাঙার প্রেমাকালে কাউকে
যায় কি ফেলে যাওয়া?

উত্তরা, ঢাকা-১২৩০।

এক ফোটা জল

এক ফোটা জল

অধরা,
একফোটা জল দিবে
উষ্ণ শীতল জল
কবিতার খাতা শূন্য পরে আছে
একটা কবিতা লিখবো
লিখবো মান-অভিমান আর খুনসুটির কথা

উষ্ণতা যেন
অগ্নিশিখার চেয়েও অধিক উত্তপ্ত হয়
আর শীতল, সে যেন বিয়োগীচিহ্নের সেরা চিহ্ন হয়
গর্জন যেন হয় নির্বাক, বোবা পৃথিবীর চেয়েও নির্বাক
রক্তিম জল যেন কলমের হৃদ কালি হয়

দাও, বজ্রের স্পর্শ দাও
একটা কবিতা লিখবো
আকাশের আর্তনাদে বৃষ্টির সুরে গাইবো গান

অধরা,
এক ফোটা জল দিবে
একটা কবিতা লিখবো।

আজ বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস


আজ ১৫ অক্টোবর, ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস’। বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত হয়ে আসছে ১৮৭৪ সাল থেকে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ২০০৯ সাল থেকে এ দিবসটি পালন করা হচ্ছে। দিবসটি পালনের মূল্য উদ্দেশ্য- রোগ প্রতিরোধে সাবান দিয়ে সঠিকভাবে হাত ধোয়ার অভ্যাস সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানো।

এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘পরিষ্কার হাত সু-স্বাস্থ্যের উপায়’। বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিকভাবে হাত ধুতে পারলে ২০ ধরনের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। দিবসটি উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি, স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। হাত আমাদের মুখে খাবার পৌছে দেয়, সেই হাতই হয়ে উঠতে পারে জীবানু ছড়ানোর ভয়ংকর মাধ্যম- যদি তা অপরিষ্কার হয়। সারাদিন আমরা হাত দিয়ে কত কিছু স্পর্শ করি। তাই হাতে লেগে থাকতে পারে অনেক মারাত্নক জীবাণু। হাত ধোয়া তাই খুবই দরকার।

“হাত ধুইয়া কী হইব, হাত ধুইয়া খাইলেও মৃত্যু, না ধুইয়া খাইলেও মৃত্যু- হুমায়ূন আহমেদের এক নাটকে এক গ্রাম্য লোকের উক্তি ছিল এটি। আজও হয়তো গ্রামের অনেক লোকের এইরকম চিন্তা-ভাবনা আছে। গ্রামের অনেকেই আছেন যারা শুধু ভাত খাওয়ার আগে হাত ধোয়। অন্যান্য শুকনা খাবার খাওয়ার আগে গামছা কিংবা লুংগিতে হাত মুছে নেয়। ময়লা হাতের মাধ্যমে ছড়ায় এমন একটি মারাত্নক রোগ হলো ডায়রিয়া। শুধু গ্রাম নয় শহরেও এমন অনেক মানুষ আছেন যারা আধুনিক বলে নিজেদের দাবি করেন। হাত না ধোয়ায় পরোক্ষভাবে নিউমোনিয়া ছড়াতে সাহায্য করে। আমরা জানি এর শিকার কারা, এর শিকার বেশির ভাগ শিশুরা। The State of the World’s Children Child Survival. UNICEF অনুযায়ী প্রতি বছর ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়াতে মারা যায় ৩.৫ মিলিয়ন শিশু। শুধুমাত্র নিয়মিত হাত ধোয়ার মাধ্যমে এর বিরাট অংশকেই নিরাপদ রাখা যায়।

হাত ধোয়ার কিছু নির্দিষ্ট ধাপ রয়েছে। ধাপগুলো অনুসরণ না করলে হাত ধোয়া সঠিক হবে না। প্রথমে পানি দিয়ে হাত ভেজাতে হবে। তারপর সাবান নিয়ে দুই হাতে মেখে ফেনা করতে হবে। দুই হাতে সেই ফেনা ব্যবহার করে দুই হাতের উভয় দিক, আঙুলের ফাঁকগুলো, নখের নিচে এবং কিনারে, বুড়ো আঙুলের গোড়া এবং কবজি খুব ভালোভাবে ঘষে নিতে হবে প্রায় ১৫ সেকেন্ড ধরে। তারপর ট্যাপের প্রবহমান পানিতে হাত ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। ট্যাপটি বাম হাতে বন্ধ করতে হবে। পরিষ্কার তোয়ালে বা গামছা দিয়ে হাত শুকিয়ে নিতে হবে। খাওয়ার আগে মোছার প্রয়োজন নেই। এবার শিখে নেয়া যাক কিভাবে হাত ধোয়ার পদ্ধতি।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বা ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য চর্চার মাধ্যমে অনেক রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। হাত ধোয়ার অভ্যাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বা ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য চর্চার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। নিয়ম ও সময় মতো হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে আমাশয়, টাইফয়েড, জন্ডিস, ডায়রিয়া, কৃমিরোগসহ আরো অনেক জীবাণু দ্বারা সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।

হাত ধোয়া কেন জরুরি?
হাত ধোয়া অবশ্যই জরুরি। হাত ধোয়ার অভ্যাস সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের জন্য সহজ এবং অত্যন্ত কার্যকর একটি উপায়। আমরা যখন হাত দিয়ে নানা কাজ করি, এটা-সেটা ধরি, তখন অসংখ্য জীবাণু হাতে লেগে যায়। এক মিলিমিটার লোমকূপের গোড়ায় প্রায় ৫০ হাজার জীবাণু থাকতে পারে। আর একটা আংটির নিচে ইউরোপ মহাদেশের জনসংখ্যার সমান সংখ্যক জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে। এসব জীবাণু খালি চোখে দেখা যায় না। এরপর যখন আমরা সেই হাতে খাবার, মুখ, চোখ, নাক স্পর্শ করি, তখন আমরা সংক্রমিত হই। অন্যকে স্পর্শ করে তাকেও আমরা জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত করতে পারি।

আমরা কখন হাত ধোব?
খাওয়ার আগে ও পরে, খাবার-দাবারে হাত দেয়ার আগে, পায়খানার পরে, কাঁচা মাছ, গোশত, ডিম বা শাকসবজি স্পর্শ করার, শিশুদের ডায়াপর পরিবর্তন করার, ময়লা আবর্জনা স্পর্শ করার, হাত দিয়ে নাক ঝাড়ার এবং হাত দিয়ে মুখ ঢেকে হাঁচি-কাশি দেয়ার পরে অবশ্যই হাত ধুতে হবে।এ ছাড়া হাত যখন দেখতে ময়লা দেখাবে, তখন তো ধোবোই।হাত না ধুয়ে কখনোই তা দিয়ে মুখের ভেতর স্পর্শ করা যাবে না।

আমরা কী দিয়ে হাত ধোব?
সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। সাবান কিন্তু জীবাণু মারে না। সাবানের ফেনা হাতে লেগে থাকা ময়লা, চর্বি ও জীবাণুগুলোকে হাত থেকে আলগা করে ফেলে। আর তখন পানি দিয়ে সেগুলোকে সহজেই ধুয়ে পরিষ্কার করে ফেলা যায়। শুধু পানি দিয়ে যতই ঘষা হোক ময়লা, চর্বি ও জীবাণু কখনই পুরোপুরি পরিষ্কার হবে না।

কী ধরনের সাবান ব্যবহার করব?
যেকোনো সাধারণ সাবান দিয়েই হাত ধোয়া যাবে। ছোট সাবান বড় সাবানের চেয়ে ভালো। কারণ তা ঘন ঘন বদলানো যায়। সাবান রাখতে হবে পানি ঝরে যায় এমন সাবানদানিতে। তরল সাবান সাধারণ সাবানের চেয়ে ভালো, তবে খরচ বেশি। তরল সাবানের কনটেইনার আবার ভরতে চাইলে তা আগে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে।

আমরা হাত ধোয়ার সময় কী কী ভুল করি?
হাত ধোয়ার সময় আমরা সচরাচর কিছু ভুল করে থাকি। যেমন, হাতের দুই দিক সঠিকভাবে মাজিনা, আঙুলের ফাঁকগুলো পরিষ্কার করি না, নখের নিচে বা কিনারে পরিষ্কার করি না এবং বুড়ো আঙুলের গোড়ার দিক মাজি না। অনেক সময় এক হাতে সাবান নিয়ে হালকা করে কচলিয়ে নেই। সব শেষে হাত মোছার জন্য কমন তোয়ালে বা গামছা ব্যবহার করি।আমরা হাত ধোয়ার এই ভুলগুলো করব না।

অণুগল্প- বাতাসী

আজ থেকে বত্রিশ বর্ষ পূর্বের কথা। বাদামতলীতে বসবাস করতো এক মেয়ে, নাম তার বাতাসী। তাকে অস্বচ্ছলতা খুব যে কুড়ে খেয়েছে সেটাও নয়। গাও গ্রামের মুরুব্বীদের মুখে শুনেছি “ইজ্জ্বত যায় না ধুইলে আর খাছলত যায় না মরলে।” বাতাসী তেমন এক হাওয়াই মিঠাই। মুখে তুলে নিলেই যেন শেষ। কি আজব এ মিঠাই।

বাতাসীর নাম যথার্থই হয়েছে। বাউরা বাতাসের মতো তার সর্বাঙ্গের সাথে মিলেমিশেই পরিপূর্ণ। যে একবার দেখেছে সে এমনটাই যথার্থই বলেছে। বাতাসের স্পর্শ যেমন অনুভবেই পূর্ণ তেমনি বাতাসীকেও যে একবার দেখেছে তার অন্ধ জল খরস্রোতা নদীর জলের মতোই প্রবাহিত হয়েছে।

বেশী সুন্দর আর বেশি কুৎসিত এ দুজনাই যেন সমাজের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায় অসময়ে। আর যদি নিন্মমধ্য বিত্ত ঘরে এমন ঘটনা ঘটে তবে চোখ বন্ধ করে বলা যায় সমাজপতি, অস্ত্রপতি আর রাজপতিদের দৃষ্টি যেন ঐ নারীর জীবেন শকুণের মতোই তীক্ষ্ণ তীরে রক্তাক্ত। কুৎসিত সে তার ঘর দুয়ার দু জায়গা থেকেই বঞ্চিত হতে হতে একদিন দু’টাকার ইঁদুরের বিষে নিজেকে বিসর্জন দেয়। আর বাহ্যিক সুন্দর যে সে সব ভুলে জলের মতো হয়ে যায়।

ব্যক্তি জীবনে সুখের কথা দূরে থাক তখন বেঁচে থাকার তাগিদেই নিজেকে নিজেরা হাওয়াই মিঠাই হিসেবে গড়ে তোলে অনেকে। আবার কেউ কেউ মর্ডানের নামে আল্ট্রামর্ডান সেজে নিজেকে হাওয়াই মিঠাইয়ে রুপান্তরিত করে নানারুপ ও বর্ণে।

বাতাসী সেই আল্ট্রামর্ডানদের একজন আজ। বয়স সবে মাত্র আঠার বা কুঁড়ি। কচি ডাব, আর জোয়ারের জল নিন্মমুখী ধেয়ে যাওয়া পথে রেখে যাওয়া পলির মতোই। এ যেন সোনায় সোহাগা। অনেকে মেঘ না চাইতে বৃষ্টি ও বলে। এভাবেই কাটছে বাতাসী দিন গণনা। সমাজের নিচুস্তর থেকে উঁচুস্তরের সবাই যেন তার পা চাটা গোলাম।

সৃষ্টিকে ভুলে কতদিন বেঁচে থাকা যায়? কেউ ভুলে থাকতে পারেনি পারবেও না। মৃত্যু যে অবধারিত।
আজ বাতাসীর বয়স পঞ্চাশ। মুখের চামড়াগুলো নাদুস নুদুস পালিত কুকুরের মতোই ঝুলে গেছে। ছোট্ট বাচ্চারা সেটা টেনে যেন খুব মজা পায়। আজ আর ক্রেতার দৃষ্টি নেই তার দিকে। কেউ মুখ ফিরে ভুল করেও তাকায় না একবার।

কিন্তু কথায় আছে – “ইজ্জ্বত যায় না ধুইলে আর খাছলত যায় না মরলে।” যৌবন নেই তাতে কি হয়েছে। বাতাসীর সর্বাঙ্গে নামিদামি পারফিউম আছে আর আছে তার কামুক ঘ্রাণ কিন্তু শুধু নেই চুম্বকের আকর্ষন।

আজ পাশের বাড়ির ময়নাকে দেখে বাতাসীর খুব ইর্ষা হয়। মনে পড়ে যায় অতীতের কথা; কত জর্জ, ব্যারিস্টার, উকিল, মোক্তার, ডাক্তার, রাজপতি, অস্ত্রপতিদের মুখে হাসি তুলে দিয়ে কত এনাম পেয়েছি। আজ সবাই যেন ঈমানদার হয়ে গেছে। দেখে মনে হয় তাদের মতো ভাল মানুষ জগতে আর একটিও নেই।

আজ বাতাসী বাড়ির পাশে বয়ে চলা সড়কে সারিসারি পায়খানা স্তুপ করে রাখে। নিজের মলমূত্র নিজেই ত্যাগ করে রাখে। আজ সে নিঃস্ব আজ আর তার কিছুর প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন নেই অন্যদেরও। তার আজ শুধু প্রয়োজন পথিক যেন মলমূত্রের দেখে নষ্ট বাক্য উচ্চারণ করে। এই নষ্ট বাক্যই বাতাসীর স্বস্তির একমাত্র ভরসা। যৌবনের টগবগে জয়গান। আসলেই “ইজ্জ্বত যায় না ধুইলে আর খাছলত যায় না মরলে ।”

প্রত্যয়

প্রত্যয়

এখনো পাহাড় দেখিনি,
উঠতে পারিনি কোনো পাহাড়ের চূড়ায়
তবুও দেখি গভীর ও বিশ্বস্ততার গা বেয়ে
ঝরে পড়া নির্গন্ধ পলাশের মতো টকটকে
লাল রক্ত জবার স্থায়ী ক্ষত।

সেদিন স্বপ্নেরা পথ ভুলে
আকাশ নীলাভ না হয়েও পাহাড় ছুঁয়ে ছিল
আজ, এক সাগর নীল
তারার ঝিলমিল
এক আকাশ জ্যোৎস্না
এক বিরহী নদী
দুকূল ছাপিয়ে কৃষ্ণচূড়া আর শরতের ঘ্রাণে
পাহাড় ডিঙাতে চায়, শুধু বলে
ভালোবাসি কিনা জানতে চেয়ো না।

এখানে এখনো নিয়ন আলো কাঁপে
একা থাকার দৌরাত্ম্য কেবল এখানে
বর্ষার মেঘ
বৃষ্টির ছোঁয়া
কিছু অনুভব
কিছু দায়
চোখ মুদে মনকে প্রশ্ন করো দেখবে
ভালোবাসার নেই কোনো সীমানা
কথা দিলাম, পাহাড় ছুঁয়েই পরোপজীব্য
না হয়ে ‘প্রেমিক’ হবো
কথা দিলাম।

বড়াই!

পর পর দুইবার বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে মুক্তা, যার রুপ যৌবনে চোখে ছানী পড়ে যেতো সাধারণের। একটু রোদ্দুরে গেলে মুখ মন্ডলের চামড়া ফেটে যেন রক্ত বের হবে, কতো যুবক যে রাস্তার পাশের গর্তে পরে হাত পা ভেঙেছে তার হিসেব নেই।

তবুও সময় বয়ে চলে নিজস্ব গতিতে, সময়ের কাছে সবাই পরাজিত, কেউ বুঝে কেউ বুঝেও বুঝে না সময়ের মূল্য। একদিন এই মুক্তার রুপ যৌবন ও থাকবে না, থাকবে না নিজেকে বয়ে বেড়ানোর শক্তি। কতোজনাই এলো আর গেলো কেউ ধরে রাখতে পারেনি, পারবেও না। আজকের বিদ্যা বালান, স্বরা ভাস্কর, মাধুরী আর সেদিনের শ্রীদেবী। সবাই একদিন পরিত্যক্ত ডাস্টবিন হয়ে পরে রবে, অনেকেই হিনো টাটা গাড়ির মতো পরিত্যক্ত ডিপোতে পরে থাকবে, এটাই বাস্তবতা।

গ্রামের কতজনার মুখে দাদা দাদীর কতো কথা শুনেছি এবং শুনি, তাদেরও রুপ যৌবনে গ্রামে হানাহানি হতো। পাশের বাড়ির হেলাল ভাইয়ের বউ মানে ভাবীকে তো নিজ চোখে দ্যাখা, আজ সবাই শান্ত। কোনো কিছুর বাহাদুরি নেই। আগের মতো মুখে এখন আর তাদের রুচিও নেই, চোখেও ঝাপসা দেখে, তিনবার ডাকলে কোনো রকম একবার সাড়া দেয়।

এটাই সত্য, এটাই চিরন্তন, অন্তিম মুহুর্তে সৃষ্টিকর্তা কোন দায় নেয় না, যত বড় পালোয়ানই হইনা ক্যানো কিংবা যত সুন্দরীই হই না ক্যানো সামান্য একটা উছিলা দিয়ে যেকোন সময় ওপারে পাঠায়ে দিবে। কেউ খুঁজে পাবে না কুদ্দুসের মেয়ের রুপ যৌবন। ভালো কর্ম ছাড়া কেউ মনে রাখবে না, ভালো কর্ম মৃত্যুর পরেও বাঁচিয়ে রাখে যুগযুগান্তর। এসো বাঁচতে হলে ভালো কিছু করি, সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করি, তাঁর দেখানো পথে চলি। কখন যে শেষ কামড় দ্যায় কেউ জানি না।