সৌমিত্র চক্রবর্তী এর সকল পোস্ট

সৌমিত্র চক্রবর্তী সম্পর্কে

পরিচিতিঃ জন্ম বিহারের এক অখ্যাত বনাঞ্চলে বাবার চাকরীস্থলে। রসায়নে স্নাতকোত্তর এবং ম্যানেজমেন্ট পাশ করে কিছুদিন সাংবাদিকতা। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মচারী। একাধারে নাট্যকার, কবি এবং গল্পকার। কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, পুস্তক পর্যালোচনা, বিভিন্ন ধরনের লেখা ছড়িয়ে আছে দেশ বিদেশের অসংখ্য পত্র পত্রিকায় ও সংবাদপত্রে। উৎপল দত্ত সহ বহু বিখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্বের কাছে শিখেছেন থিয়েটার। বহু বিচিত্র ও ব্যাপ্ত ময় তাঁর জীবন। বন, জঙ্গল, পশু, পাখি, বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে তাঁর দীর্ঘকালের নিবিড় ও অন্তরঙ্গ পরিচয়। কবিতা ও বিভিন্ন লেখা লেখিতে তিনি মস্তিস্কের থেকে হৃদয়ের ভুমিকাকে বড় করে দেখেন। কবিতা, গল্প, নাটক এবং মুক্তগদ্য মিলিয়ে এ পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা নয়। প্রকাশিত গ্রন্থগুলি হলো বইছে লু, থিয়েটার কথা, তিতলিঝোরা, নীলপাখিকে উড়ো চিঠি, রাত্রি আমার নৈশপ্রিয়া, ব্রিজের নীচে বৃষ্টি, ২ একাঙ্ক, প্রতিলিপি এবং বেবুশ্যে চাঁদ, খণ্ড ক্যানভাস। ইতিপূর্বে অঙ্গন সহ কয়েকটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। বর্তমানে অক্ষর বৃত্ত পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। নেশা ফটোগ্রাফি ও ভ্রমণ।

মধ্যবর্তী

বুইলেন কিনা ছেলেমেয়ে নিয়ে সংসার …

কোথায় যেন একশো স্কুল পুড়েছে?
তা পুড়ুক, কত যে সব পড়ে!
সারাদিনই তো গেম আর ইউটিউব পর্ণো!
তারচেয়ে রিমোট অন করে দেখে যাই –
রাম আর রামায়নী ঝাল টকটক আচার
বড়বউ আর ছোটবউ এর ঘনঘটা।
বুইলেন কিনা, ছেলেমেয়ে নিয়েই …

কোথায় যেন মশাল জ্বলে রাতবিরেতে!
ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে
এক দুই তিন চার ইঁদুরের বাচ্চার দল,
রক্তের টান দেশে বিদেশে যে বলে সে দুর্মুখ।
তারচেয়ে দুটো উপরির সন্ধানে
কায়ক্লেশ বাঁচার সেকেন্ড গুলো
ঠিকঠাক কাজে লাগাই।
বুইলেন কিনা ছেলেমেয়ে…

কোথায় যেন কচিকাঁচা ডবকা মেয়ের
জননেন্দ্রিয় কাঁচামরিচ ছিটিয়ে
তারিয়ে তারিয়ে খায় মুশকো জোয়ান!
আহা! শুনলেও সুখ আষ্টেপৃষ্ঠে জড়ায়,
একঘেয়েমি মুখ বদলে বড় গোপন ইচ্ছে।

সবশেষে রাত গভীর হলে
পাশে পড়ে থাকা ন্যাতানো বউ
এর কাঁচা ঘুম ভাঙিয়ে
নিরাপদ দূরত্বে আমিও ধর্ষক হয়ে যাই।
বুইলেন কিনা …

গোপণ দরজার ওপারে

শীত আসে, শীত ফিরে যায়
পাঁচ ওয়াটের সিএফএলের টিমটিমে আঁচে
সন্ধ্যে নেমে এলে জীর্ণ গালে ফুটিফাটা ঠোঁটে
পারমিতাদের রঙ মাখার গোধূলিনামচা।
ওপাশে মাসির কবলে কোনো এক খদ্দেরের নৈশ
উপহার দুলে দুলে ফ্রী প্রাইমারীতে ব্যস্ত।
মেঘ আসে মেঘ যায় ব্যাস্তানুপাতিক নিয়মে,
কবেকার কিছু ঝাপসা মুখ ডানা ঝাপটায়
ছিদ্রযুক্ত অবসরে খোয়ারি ভাঙা কোলাহলের মাঝে।

কিশোরী উড়ন্ত ফ্রক, নিষ্পাপ মুখোশের বজ্জাত আড়াল
গ্রাম থেকে শহর উজান পদযাত্রায় স্বপ্ন গড়া
স্বপ্ন ভেঙে অ্যাসফল্টের হাজার টুকরোয় ছড়িয়ে
ছড়িয়ে ছড়িয়ে একসময় জল শুকিয়ে কাঁটাগাছ।

পারমিতাদের বিছানায় অজস্র দাগে আজ আর
চেনাই যায়না ভালোবাসার সূক্ষ্ম স্নেহ,
উদগ্র কামনায় ক্ষইতে ক্ষইতে যখন
রাত্রি শেষ হয়ে আসে, শুরু হয় আরো এক ঝাপসা সকাল,
অগুনিত প্রতিশ্রুতির বেড়াজালে পাক খেতে খেতে
পাক খেতে খেতে একটা বিবর্ণ মূহুর্তে নড়াচড়াও ক্লান্ত,
মাকড়সার চুষতে থাকা শেষ বিন্দু দেহরস
বেরিয়ে গেলে চোখজুড়ানো শান্তি নেমে আসে,
পারমিতারা সমস্ত কুলাচার মেনে চোখ বোজে।

যাচ্ছে বছর আসছে বছর

x337

একটা বছর গেল
দিয়ে গেল হুড়ো,
আমি তো ইয়ং হলাম
তুমি হলে বুড়ো।

বছরের গায়ে গায়ে
বারোমেসে আঁশ
কেউ বস হাসি দেয়
কেউ দেয় বাঁশ।

আসে যায় গুলি খায়
বছরের সার
তেলামাথা তেল খায়
খড়িওঠা ঝাড়।

কেউ ওঠে, বেশিরাই
কেবলই নামে
তবু আশা কি আছে
নতুনের খামে!

আশাতেই বাঁচে চাষা
আশায় মানুষ
আশাতেই ওড়ে নিউ
ইয়ার ফানুস।

ভালো থেকো ভালো কর
নতুন ইয়ার
মানুষ মানু‌ষে ফের
হোক না পেয়ার।

দেওয়া নেওয়া

প্রেমিকারা চুমু দেয় বউ মুখ ঝামটা
ছাত্ররা গ্রামে দেয় কলা মুলো আম টা।
ব্যবসায়ী তোলা দেয় রকবাজ খিস্তি
গরমে বৃষ্টি দেয় চাষীদের স্বস্তি।
অফিসের বস দেয় শাস্তির ধমকি
ভোট এলে নেতা দেয় তারাবাজী ফুলকি।
সরকার বাঁশ দেয় হরঘড়ি বাজেটে
পুজো এলে ছাড় দেয় ফ্লিপকার্ট গ্যাজেটে।
কবিরা কবিতা দেয় কার্ফ্যুর গুলিতে
দোকানীরা ধ্বক্ দেয় ওজনের থলিতে।
পরকীয়া প্রেম দেয় ফূর্তি ও টেনশন
মালিকেরা বকা দেয় আর দেয় পেনশন।
স্যোশাল মিডিয়া দেয় লেখা ছবি চ্যাটবক্স
মেইল এসে দিয়ে যায় পিডিএফ আর ডক্স।
মায়েরা আদর দেয় মহাজনে চড়া সুদ
গোয়ালারা জল দেয় মুখে বলে খাঁটি দুধ।
ব্যাংকেরা ধার দেয় নিয়ে যায় কয়গুন
বিজনেস ঘুষ দেয় ঘুষ খায় রামধুন।
কালো পথ ভয় দেয় একা পথ ধৈর্য
শুদ্ধ সময় দেয় শান্তি ও স্থৈর্য।
এইভাবে দেওয়া নেওয়া চলছে ও চলবে
সউমিত্তির শুধু দেখবে ও বলবে।

.
# দেওয়া নেওয়া। একেবারে অপ্রকাশিত ছড়া।

শিকার কর মানুষখেকো

অনেক হয়েছে চুপ…
শুধু চুপিচুপি চুপ চুপ বলা,
অনেক হয়েছে চামড়ার নীচে
লুকানো শোণিত-কান্নার জল,
এবার একবার
অন্তত একবার বন্দুকের নল
ধরে মুচড়ে দাও,
চোখের জলকণা এসিডে বদলে
শেষবার ছুঁড়ে দাও
মানুষখেকোর লোমশ মুখে।

হুঁশিয়ার সঙ্ঘমিত্র

জানলা খোলাতে চাও এ ভুতদুপুরে!
চার্দিকে হাজার আঙুল
রে রে করে উঠলেই
বংশগত অবিশ্বাস তাড়া করে।

বলগা হরিণ মরুভূমির বালিতে হুমড়ি খেলেই
অট্টহাস বিষদ্রংষ্ট অবেলার রোদ্দুর।

দরজা খোলাতে চাও এ বিকট সন্ধ্যেয়!
নাটমন্দিরে ঘিরেছে এখনো
অন্ধযুগ মৌল নিদান
এক্ষুনি তর্জনী উঁচিয়ে বলে উঠবে ‘খালাস’,
সব রঙ চুরি হয়ে মাটিতে থাকবে
শুধু লোহিত বিষন্নতা।

খোলা আকাশের নীচে ননীচুরির গল্প আজও
টানে বসন্তবালিকার সকাল রোদ্দুর,
অন্ত্র ছিঁড়ে গেন্ডুয়া খেলো
শাবাসি জানাবে পচা নর্দমা গন্ধ,
সাতপাকে বাঁধার গূঢ় ইচ্ছা জানলেই
শপাং চাবুক হাওয়ায় শিস তুলে
ফেরাবে সিন্দবাদের ধ্বংসমুলুক।

নিজকিয়া ৩৫

mukhom

চোখ খুললেই নীল চাবি
চোখ বুজলেই প্যান্ডোরার বাক্স
তিন সারি রেললাইন পাশাপাশি
উধাও হয় বকাটে হওয়ার নেশায়।
হেমামালিস তাগদে সাইকো পেশি
মাঝেমধ্যেই ঘাড় ধরে, পা ধরে ঝাঁকায়,
মাথা নাড়তে নাড়তে পৃথুলা পৃথিবী
উল্টো হয়ে শীর্ষাসন করে।
চোখ খুললেই হিপারসাল্ফ
চোখ বুজলেই তাবৎ অভিমানের লাশ।

প্রান্তদিনে

মুষ্টিবদ্ধ হাতগুলো নাছোড়
ছুটছে রকেট গতি চেতনা রঙ আকাশের গায়ে,
প্রত্যেক সবল ধাক্কায় কেঁপে উঠছে জগদ্দল
আকাশের ফসিল মেঘস্তর জলহীন নিরুপায়,
কাঁপছে মাটি নিশ্ছিদ্র বৃংহণে,
সংখ্যার খোলস ভাঙা অগনন হাত
আগুন ছড়ায় হিম পরিমণ্ডলে।
কাটা নলির রক্ত প্লাবন
দাগ কেটে যায় ভোরের শিউলি ধানে-
এখনো!
না জন্মানো শিশু ভ্রূণ
গাঁথা বল্লম প্রান্তে পতপত উড়ে হুঁশিয়ারি
দিয়ে যায়, এখনো-
সাবধান!
দিন ভরে আছে এখন উদ্দাম দাবীতে
রাত কেটে যায় সতর্ক নিশি প্রহরায়,
সে সাপ এখনো বৃদ্ধ নয়,
কত প্রাণ চাই বুভুক্ষু সময়!
নিশ্চেষ্ট পৃথিবীর সারমেয়কুল,
একদিন যত ফুটিয়েছ হুল
একে একে ফিরে পাবে গলিত শরীরে তোমার!

ভূখযুদ্ধ

শালিক হতে চাই নি
শালিক বা চড়ুই
কিম্বা নিতান্ত দুটো কালো হাত
শেষ অগ্রহায়নের প্রসবিত
আঁতুড়ভূমিতে পড়ে থাকা
ছড়ানো ছিটানো সোনার কণিকা
তুলে নিতে নিতে
আগামীর খালি পেট উঁকি দিয়ে যায়।

আসলে কয়েক লাইন শব্দগুচ্ছ
কিছু নিরক্ত বাক্যবন্ধ
বহু মিলনের উচ্ছিষ্ট শরীর দিয়ে
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের ব্যপ্তি বোঝানো অসম্ভব;
কত অক্ষৌহিনী পান্ডব সেনায়
ঘিরেছে ইন্দ্রপ্রস্থ, কত শাকুনিক বুদ্ধির
মোকাবিলায় প্রথম ঠান্ডার হিম
মেখে ধর্মসেনারা পড়ে আছে
পানিপথের চতুর্থ যুদ্ধের প্রান্তরে
সে হিসেব কষার
উপোসের দিন রাতের কষাঘাতে
রক্তশূন্য শালিকের ঠোঁটে
ঠোঁট রেখে বলে ওঠা – ভালোবাসি
বাজরা বা রাগির রুটি
এক চিলতে লেবুর আচার
সন্তানের বিয়েশাদী, দাদন ইত্যাদির
নাছোড় বিবর্ণ গল্পগুলো
কয়েক লাইন ঝুটা প্রতিবাদী মুখোশ বিলাপে
শান্ত হয় না কিছুতেই;
বার্লিন অবরোধের ধূসর ছায়াছবি
জ্যান্ত ভূখযুদ্ধের কাছে তুচ্ছ হয়ে গেল।

ভোটুরে পালা

এ দলে ও দলে স্ব-দলে বি-দলে শাসন বদলে খেউর যে চলে
গৌড় জনতা এবে দলে দলে লিখাতেছে নাম খুড়োর ও কলে।
আহা মোড়ে মোড়ে উহু ঘরে ঘরে সব দোরে দোরে বাজিতেছে গান
কে বা লুটে নিল কে বা খেয়ে নিল কে বা ভরে নিল ঝুলিভরা ত্রাণ।
চ্যানেলে চ্যানেলে মুকুট মণিরা চিৎকৃত কহে ও দলে খুনি রা
সত্য মিথ্যা জ্বলিছে ধুনি রা মোচের লড়ায়ে মেতেছে গুনী রা।
আমিই ভালো আমিই যে ভালো জেনে রাখ্ ব্যাটা ভালো আমি আমি
আমিই সে নামী আমি অতি দামী জীবনের ব্রত পরহিত কামী।
নিজ নিজ ঢাক নিজ নিজ বাক বাজায়ে উড়িছে রঙদার কাক
ম্যাঙ্গোপিপল করে হাঁকপাক আসিছে বাজিছে ভোট ঘোঁট ডাক।
কান ঝালাপালা প্রাণে লাগে তালা বাইক বাহিনী ছাড়ে বোম্ গোলা
ফানুস উড়ায়ে মিথ্যা ছড়ায়ে খোলা জিপে মালা; ওরে পালা পালা।

নিজকিয়া ৩৬

দেহজ শব্দেরা তিলতিল গড়ে তোলে রুক্ষ অবয়ব
স্তন উপত্যকায় মোহর লাগানো তিল তীক্ষ্ণ রোদ্দুরে বাদামী হলে
হাঁটুর নীচে নেমে আসে স্তব্ধবাক যোনি
কালাহারি ছেয়ে যায় ঠোঁটের উপোসী বৃত্তান্ত
দহন মাঝ আকাশে পৌঁছলে পড়ে থাকে রেত ঢেউয়ে
নিরাহারী যাযাবরী নিঃসঙ্গ কঙ্কাল।

নিজকিয়া ৪২

mukhomrt-1

অভিমান পেতে রাখি
বুক থেকে বুকে
ক্ষণিক সুখের শেষে
জানু পাতি
দেহ পাতি
অক্ষরে পেতে রাখি
প্রাচীন পিরামিড
মাটির গর্ভে পাতি
দুঃখের ছায়া
জড়ানো দুঃখ পাতি
মমির আদলে
ডুব পাতি
হাঁস পাতি
জল পাতি জলে
স্তব্ধ অতলে
সুখদ সময় শেষে
সূর্যাস্ত ছ্বটায়
মন পাতি
ব্রহ্মাণ্ড জুড়ে…

নিজকিয়া ৩৭

indexgge

এ নষ্ট জীবন আমার
এ বরাভয়
দেহজ সংলাপ আঁকে
সমুদ্র গভীরে
ডুবে যাওয়া জাহাজীয়া কঙ্কাল,
শ্যাওলার প্রেত
দু হাতে জড়িয়ে কাঁদে
অবিরাম, ‘যেতে নাহি দিব…’ ;
তবু যেতে হয়।

গোলোকধাঁধা

Kpol2Mr

বেশ ছিলো, ক্ষেপে গেল
গোলোকেশ গোলদার
এই শীতে চাই তার
মালকোষ মালদার।

তাই শুনে শোরগোল
পড়ে গেল শহরে,
কেউ কি শুনেছে এ
কর্ণের কুহরে?

মালদার মালকোষ
সেটা কি যে বস্তু!
ভাষাটা কি ইংলিশ
তেলেগু না পুস্তু?

খায়? নাকি মেখে নেয়
খড়ি ওঠা শীত গায়?
অভিধান ফেল করে
বোঝো একি হলো দায়!

মালদার বিখ্যাত
ল্যাংড়া বা ফজলি,
বেশি খেলে মুখে বুকে
হয়ে যাবে খুজলি।

মালকোষ! সে তো জানি
ভারী এক রাগ গান,
মাঝরাতে গাওয়া হয়
ভানতে শিবের ধান।

চুলকিয়ে মাথা গেল
পায়না সওয়াল তল,
বায়নায় গোলদার
থেকে যায় অবিচল।

খোঁজো সব নাহলেই
ডিএ হবে বন্ধ!
জিনিস টা আছে ঠিকই
নেই কোনো সন্দ।

কাজ কাম লাটে ওঠে
রান্নায় হরতাল,
চুপিচুপি গোলোক কে
লোকজন পাড়ে গাল।

হঠাৎ এগিয়ে আসে
সাধুরাম সরখেল
মুখে মৃদু হাসি আর
হাতে এক শিশি তেল।

পেছনে মুটিয়া আনে
ইয়াব্বড় সিন্দুক,
উঁকি মারে তার থেকে
জং ধরা বন্দুক।

তেল দিয়ে সিন্দুক
ক্যাঁচ ক্যাঁচ খুললো,
ঘষেমেজে জং সব
সাফ করে তুললো।

বললে সে এই নাও
গোলদার ধরো হে –
মালকড়ি যা যা আছে
এর মাঝে ভরো হে!

খাঁটি এই কোষখানা
মালদায় তৈরী,
জেনে রেখো চোরেদের
এ ভীষণ বৈরী।

এই হলো মালদার
মালকোষ সিন্দুক,
বলছে বলুক লোকে
ওরা সব নিন্দুক।

গোলদার খুব খুশি
হাসি মুখে ফুটেছে,
শহরেও হাঁপ ছেড়ে
সব কাজে ছুটেছে।

দাড়ি দ্রিম দ্রিম

def8

কোনো দাড়ি খোঁচা খোঁচা
কোনো দাড়ি লম্বা
কোনো দাড়ি কুচিপুডি
কোনো দাড়ি সাম্বা।
কোনো দাড়ি সাদা কালো
সরষের বাহারে
কোনো দাড়ি ঘষে দিলে
লোকে বলে বাবা রে!

কোনো দাড়ি পলিটিক্স
কোনো দাড়ি গুণ্ডা
কোনো দাড়ি টুকটাক
থুতনির ফান্ডা।
কোনো দাড়ি নূর আর
কোনো দাড়ি চাইনিজ
কোনো দাড়ি মেছো বাস
ফ্রেঞ্চকাট গোয়ানিজ।

কোনো দাড়ি ঘেমো ছি
কোনো দাড়ি সেক্সি
কোনো দাড়ি চাটগাঁর
শুঁটকির ফ্লেক্সি।
কোনো দাড়ি সোনা রং
টিন এজ রেশমি
কোনো দাড়ি ফিসফিস
কুল বেবি কিস মি!

কোনো দাড়ি হাইফাই
লিমোজিন বস কে
কোনো দাড়ি চোরাগলি
ভয় পাওয়া ছিঁচকে।
কোনো দাড়ি টিপটপ
ফিল্মের ডায়ালগ
কোনো দাড়ি অগোছালো
কবিদের ক্যাটালগ।

কোনো দাড়ি উগ্র
কোনো দাড়ি শান্ত
কোনো দাড়ি গিলে খায়
বাপ্রে কে জানতো!
দাড়ি কথা শেষ করে
কার এত সাধ্যি
চোদ্দয় পড়লেই
মুখে দাড়ি বাদ্যি।