সুজন হোসাইন এর সকল পোস্ট

সুজন হোসাইন সম্পর্কে

জগতের সব কিছু নিয়ে ভাবি,আর ভেবে যা পাই তা লিখে রাখি মহা কালের পাতায়।

হঠাৎ একদিন

হঠাৎ একদিন চলো
সেঁওতির ভাঁজে গোধূলি এঁকে দিই।
মাছরাঙা ঠোঁটে সন্ধ্যা নামলে যুবতী
নদী নাব্যতা হারায় ফ্রকের আড়ালে।

একদিন সব নদী মরে যাবে,
তারপর মরার সাধ ভুলে বেঁচে উঠবে
তোমার নূপুরের সুরে বৃষ্টি নামলে ।

চলো হঠাৎ একদিন,
বসন্ত সাজায় উদ্ভাস্ত প্রেমিকদের বুকে
ঠোঁটে চুমোর সুনামি এনে বুকে পাহাড়
গড়ে তুলি দাঁড় কাকেদের শহরের মোড়ে।

হঠাৎ একদিন,
রাজনীতির মাঠে গনতন্ত্রকে দাঁড় করিয়ে
সমাবেশ করি,আমরা গনতন্ত্র রাষ্ট্র চাই ।
জীবনের বদলে লাশ চাই
পানির বদলে আগুন চাই
শ্রমের বদলে অবহেলা চাই
যুবতী নদীর বদলে বৃদ্ধা নদী চাই
অন্তত ছয় অক্ষরের মানুষরা বুঝতে পারবে
এমনই করেই হঠাৎ একদিন আমরা চলে যাবো ।

০৬/০৩/১৯

চার অক্ষর

যূথিকা, তুমি কখনোই চার অক্ষরের
সমুদ্রে নামো নি।
জলের আয়নায় আকাশের লাল, নীল
দেখে ভেবেছো রংধনু।
তবুও কখনো আাকাশ ছুঁয়ে দেখো নি।
তুমি সীমান্ত ছুঁয়ে হলে কাঁটাতার
মৃত্যু স্পর্শ করলে রক্ত ছুলে না।
তুমি লাল সবুজে মানচিত্র হতে চেয়ে
রাজনীতির মাঠে গর্ভবতী নদী হলে।
কেমিক্যাল পুড়ে লাশ হলে
মায়ের বুকে সদ্য অঙ্কুরিত চোখ
দুই ভাইয়ের বুকের তলে খণ্ডিত ভবিষ্যৎ।

যূথিকা, তুমি কখনোই চার অক্ষর
হতে চাওনি, কাটার ভয়ে ফুল হতে চাওনি।
অথচ তুমি চাইলেই কাট তার
কেটে ফেলতে পারি আমি নির্বিঘ্নে।
তুমি বললেই, রাজ পথে পথে
বিল বোর্ডে লিখতে পারি অনায়াসে
চার অক্ষরের একটি শব্দ “ভালোবাসি”।

০৫/০৩/১৯

কালো রাতে লাল টিপ

তোমার শহরে এখন নাকি নিয়ম করে বৃষ্টি হয়
এখন নাকি তুমি রোজই বৃষ্টিতে ভিজো;
জানালার গ্রীলে এলো চুল নিয়ম করে আকাশ মাখে
দূরত্বের ব্যবধানে মেঘেরা তোমার বারান্দায় এলে !

শুনেছি তুমি নাকি রোজই টিপ পরো,
তোমার চুলেদের ঘ্রাণ ভেসে রোজ প্লাবিত হয় শহর,!
বুকের সেফটিপিন খুলে রোজই নাকি উত্তপ্ত ঝর্ণার মত
এই শহরে থমথমে কারফিউ ডাকো প্রত্যাখ্যাত রাত্রে !

যূথিকা, লাল টিপ তোমাকে বানাতো বেশ,
তবে আমার কথাতে কখনোই পরো নি তুমি তা,
এখন নাকি তুমি রোজই টিপ পরো ; তবে কালো টিপ;
এখনো নাকি নিজেকে খন্ডিত করে গড়ো নতুন কারুর বুক ।

তুমি ত চুরির শব্দে বহুবার ভেঙেছো নিজেকে,শুধু
নিজে ভেঙে আমাকেই পারো নি গড়তে,!
আর আমিও হতে পারিনি তোমার যুক্ত হওয়া খন্ডিত জীবন । কী অবাক তাই না !

এবার তোমার শহরে বৃষ্টি এলে বকুলের শাঁখায় ভোর এঁকে দিও। চুল খুলে লাল টিপ পরে সারারাত এক
চুমোক প্রেম রেখে দিও দখিনের জানালায় !

আমি অপ্রাপ্তির ঢেউ গুনে গুনে থমথমে কারফিউ
ডিঙিয়ে চোখ বুজে বুকে তুলে নিবো এক ঢোক মৃত্যু !

০২/০৩/১৯

একুশ আমার

একুশে ফেব্রুয়ারী নিয়ে এই লেখাটি আমার অনেক আগের আজ ডায়েরি পড়তে পড়তে এই লেখাটা চোখে পড়লো তাই পোস্ট দিলাম,! ভালো মন্দ জানাবেন প্লীজ,,,

একুশ আমার,

একুশ আমার একুশ
তুমি এসো বারেবার
তোমার বুকে জন্ম নিবো
আমি শতবার।

একুশ আমার রক্তে কিনা
রক্ত মাখা ফুল,
একুশ আমার বুকের ঘরে
পোষা বুলবু্ল।

একুশ আমার আত্ন্য-অহমিকা
হাজার সুরের গান
একুশ আমার এই হৃদয় মাঝে
হারানো এক প্রাণ।

একুশ আমার বায়ান্ম প্রভাত
রক্ত স্রোতধার।

একুশ আমার একুশ
তুমি এসো বারেবার
তোমার বুকে জন্ম নিবো
আমি শতবার।।

একুশ আমার শিমুল পলাশ
কৃৃঞ্চচূড়ায় লাল,
একুশ আমার রফিক সালাম
রইবে চিরকাল।

একুশ আমার শীতল ছায়া
শীতল দীঘির জল
একুশ আমার মায়ের চোখে
অশ্রু কণায় টলমল।

একুশ আমার ভাইদের কথা
বলে বারেবার।

০৩/০২/১৮

ভাবনার মিথ

জোছনা ঝরানো কোনো এক হৈমন্তী রাতে
একটি রাস্টিক ল্যান্ডস্কেপ নিয়ে
চলে যাই দুজনে চেনা জানা দৃষ্টির বাইরে !

খুউব গভীর একটা হাওয়া,
অথচ অনেক আরামদায়ক হবে,
বয়ে যাবে আমাদের হৃদ মাঝে !

ধুলো উড়ে গেলে, ডাহুকের লাল চোখে
শতাব্দীর রাত জাগা আমাদের ভাবিয়ে তুলে !

তারপর এক সময়, ঠিক তার আরও কিছু পর
ছায়ার লিপিতে রাতের কত শত কথা
গেঁথে যায় ঝরে পড়া কবুলের ফুল সযতনে !

তারপর একদিন তুমি আমি তারা হবো হাজার
আলোক বর্ষ দূরের পথে ভাবনার মিথ ভুলে,!

০২/০৩/১৯

জীবন

জীবন,
যা আবেগ থেকে পাঠ করা হয় সুনিপুন !
আপনার কি মনে হয়,আপনি মানুষ?
তাহলে স্বপ্ন দেখুন বেঁচে থাকার সাহস নিয়ে ।

আপনি ভবিষ্যৎ লিখুন একটি সাদা পাতায়,
আর ক্যানভাসে এঁকে রাখুন কালো অতীত !
হ্যাঁ কালো অতীত, হোক কিছুটা ধূসর রঙের!

এই যে আমরা প্রতিনিয়ত যা পাঠ করি জীবন
থেকে এটায় আমাদের বর্তমান, স্বচ্ছ বর্তমান,!

তাই স্বপ্ন দেখুন,বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখুন,!

২৮/০২/১৯

মনে পড়ে তোমায়

মনে পড়ে তোমায়

,

আজ ভীষণ মনে পড়ছে তোমায়;
তোমার চোখ,ঠোঁট টানছে আমায় ।
এলো চুলে আঙুল খুলে
অজান্তেই বকুল জড়ায় ।

কোথায় থাকো কোন্ গ্রহের তলে,
আসবে কি আর কখনো বল তুমি;
আমার ভাঙা ঘরে
পরশ প্রদীপ জ্বেলে ।

বিরহ অনলে সুখের দহন জ্বলে
আমার হৃদয় পুড়ে হইলো ছাই;
এই তুমি থাকলে পাশে
কষ্টগুলো যাই ভুলে ।

কেমনে ভুলি মেঘবতী মেঘবালিকা
স্বপ্ন চয়নিকা দ্বিচারিণী জুঁই চামেলী;
পুষ্প বৃন্তে মুগ্ধ-পিপীলিকা
শুভ্র পালকের যুথিকা ।

তোমার মাঝে আমার বাস-আমার মাঝে তুমি,
দু’টি দেহের একটি প্রাণ মধুরীমা কৃষ্ণকলি ।
শতবার ভুলতে চেয়েছি
হয়নি শুধু ভুলা ।

ছায়াবীথি

যুথিকা, চলো আবার দুজনে এক সাথে বসে বিকেল
দেখি তোমার দীঘল কালো চুল বেয়ে
ঐ কপোলে গোধূলি পরিয়ে দিক নির্জনে লাল টিপ,!

চলো আরও একবার সবুজ ঘাসে খালি পায়ে হাটি,
মাছরাঙা ঠোঁটে সন্ধ্যা নামলে
দীপশিখা জ্বলে উঠুক তুলসী তলে আরতির সুরে
মনের গহীনে শঙ্খ সুর তুলে,!
তোমাকে দেখার ছলে,!

একবার চলো আঁধার গলিয়ে জোছনার আলোয়
চাঁদ ছুঁই রাত্রির মধ্যমায় বসে বসে!

হিজলের পথ ফুরালে; দুই জনে —-
নিরেট স্বপ্নগুলোকে ঘুমের কৌটায় তুলে রাখি
আরো একবার সযতনে,!

যুথিকা, চলো,আরো একবার ভোর আঁকি চালতার
পাতায় দুজনে দুজনকে না পাওয়ার বেদনায়,!
শুধু একবার ভেবো এই যে,

আমাকে পাবে না জেনেও কেউ ত ভালোবাসে আমায়,
তার স্বপ্নে রোজ যাই আমি ছায়াবীথি হয়ে,!

তোমাকে পাবো না জেনেও এই জন্যে ই যে-ভালোবাসি
তুমি আমার না হলেও আমার ত একজন আছে
যার ভাবনায় সময় চলে যায়,,!

১৫/০২/১৯

আমি মানুষ নই

আমি মানুষ নই

,
যে মেয়েটি রোজ রোজ রক্ত চোখ পুড়িয়ে
ভোর আঁকে বকুলের সুতোই,!

একদিন সেও স্তব্ধ হয়ে যায়,,,
জলের উপর পাখা হীন কুয়াশার মতন
জলের আয়নায়,!
নিজেই নিজের প্রতিচ্ছবি দেখে সভ্য সমাজে,!

যে মেয়েটি বুঝতে পারে,
তার ফ্রকের আড়ালে শুকুনি চোখ খুঁজে ফিরে
নগ্ন সুখ,!

সে মেয়েটিও একদিন বুঝতে পারে তার প্লাবনতা,!
মেয়েটি একদিন স্পষ্ট বুঝতে পারে আমি মানুষ না,!

শুকুনি চোখে নগ্ন সুখ
আমি
আমার বুকে আঁচড় কাটুক নগ্ন নখ,!

অতঃপর,
নিজেকে লুকিয়ে রাখে অন্ধকারে-তবুও মনে ভয়,!
একদিন হঠাৎ,
শেষ হয় শিউলি পথ অন্ধকার মাড়িয়ে গহীন অরণ্যে
ঝরা ফুল শুকিয়ে মলিন বাতাস মেখে স্তব্ধ বাতায়নে,!

অতঃপর,
নিজেকে লুকিয়ে রাখে অন্ধকারে-তবুও মনে ভয়
এই বুঝি বলছে ওরা তুই মানুষ না,মানুষ না,!

০৫/০২/১৯

রয়ে গেছে সব হৃদয়ে

রয়ে গেছে সব হৃদয়ে

রাত গভীর হলে স্মৃতির ডায়েরি মলাট খুলে
জোনাকির পাখনায় ছবি এঁকে যায় নীরবে,!
অবয়ব ঘিরে নোনা জল,
কানের পাশে মীনরৌদ্র মুখর
সেই জলের স্বর বাজে,!

দীপন্তি কতদিন হলো দেখি না তোমায় দুচোখে,
কুয়াশার বিছানায় হিম পরী ঘুমাই একা নির্জনে,!
ঘরের ভিতর বাহির পাহাড় চূড়া,
নিরন্তর মাঠ প্রান্তর-নীলকণ্ঠ পাখি
দুপুর বেলার আকাশে নীড় খুঁজে,!

ধূসর গাছের নিবিড় পাতায় শরীর মেলে পলকে
আকাশ ছুঁই নীলের পাহাড় নীলকমলিনী নীলে,!
তবুও রৌদ্র,তবুও সাগর,
তবুও সেই নীলকণ্ঠ পাখি ভোরের ডাক,
মাঠ প্রান্তর পাহাড় চূড়া,!
রয়ে গেছে সব,অমনোনিবেশে সুসময়ের মত হৃদয়ে,!

১৮/০১/১৯

সন্ধ্যা আরতি

সন্ধ্যা আরতি

তোমার খোলা জানালায় এক চিলতে
আকাশ নামিয়ে মেঘের বনে; সূর্য লুকিয়ে
উঠোন কোণে সাত রঙা গোধূলি রাঙিয়ে !

চালতা পাতার চিরল ভাঁজে স্বপ্ন সাজিয়ে
শিরীষের ডালে; যূথিকার পালক ছড়িয়ে
আমিহীন কেমনে করিতেছ সন্ধ্যা আরতি।

যখন ট্রেন মিস করি

যখন ট্রেন মিস করি

ট্রেনের হুইসেল শুনে যতক্ষণে
ঘুম ভাঙলো
ততক্ষণে ছেড়ে চলে গেছে অনেক দূরে।

একটু দূরেই ল্যান্ডস্ক্যাপের উপর
গভীর ঘুমে আসন্ন
দিনের পাগলী টা।

পাশেই শুয়ে আছে কয়েকটি
বিড়ালের বাচ্চা।

একটু এগুতেই চোখ থমকে গেলো
দেওয়ালের পোস্টারে।

কাল সারাদিন তুমুল বৃষ্টি হবে শহর জুড়ে,
সকলে সব কাজ সেরে
আজ রাতেই ঘরে ফিরুন।

এখন রাত্রির মধ্যমা,
ঝরে পড়া শিশির,
আর ঝরা পাতা।

আমার চারপাশে বুদ্ধের
ভায়োলিন বাজায়।

ঠিক যেন এক অদ্ভুত মায়া পুরী।

চোখ মেলে তাকাতেই
ডাহুকীর পাখনায়
ভেসে ওঠে খুব চেনা চেনা
কিছু প্রিয় মুখ,প্রিয় ঘর,প্রিয় শৈশব,
আর সেই শৈশব স্মৃতি।

যখন ট্রেন মিস করি—তখন,
রুমালে চোখ মুছে আবার দাঁড়ায়
ঘরে ফিরার তাড়নায়
পরের ট্রেনের জন্যে।
সব কিছু ফেলে,
আজ ঘরে ফিরবোই ।

১১-০৩১৮

যে পথ শেষ হয়ে গেছে

যে পথ শেষ হয়ে গেছে

পার হয়ে আসা পথ মিশে গেছে হিমশৈলের চূড়ায়,!
যে পথের অন্ত
নেই কোনো,
নেই কোনো সীমানা,!

ভোরের রঙ মেখে যে দিন আসে তোমার উঠোনে
ঝরা পাতার মর্মর শব্দে খুশিয়াল পাখিদের ডানায়,
সেই ভোরের
রঙে শিশির চাদরে
শেষ পথ চলা,!

মমের মত গলে যাওয়া গাছেরা জেগে থাকে
চাতক চোখে,
তারপর নেমে আসে
রৌদ্রুর বিছানায় দিনের শরীর জুড়ে নীলাদ্রচল,!

মেঘ পুরি মেঘ সীমানায় চেনা পথ বার বার হারায়,
যে পথ শেষ হয়ে গেছে
চোখের জলে মিশে নীরবে,!

০৯/০১/১৯

চুক্তিপত্র

মাননীয় সরকার মহোদয়,
আজ প্রেমের একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষর
করা হোক,
এখানে কিছু বিষয় ভিত্তিক নীতি
নির্ধারণ করা হোক।
আমলাতন্ত্র থেকে গণতন্ত্র সব থাকুক।

‘তবে বাধ্যতামূলক নয়’ !
মাননীয় সরকার মহোদয়,
রাজপথের মোড়ে মোড়ে একটি করে
লাভক্যাম্প স্থাপন করা হোক।
এর দায়িত্বে থাকুক সব প্রেমিক-প্রেমিকা।

অন্তত সপ্তাহে একবার করে
মিছিল বের করা হোক,
মিছিলের একমাত্র প্রতিপাদ্য বিষয় হোক,
”প্রেমে জয় প্রেমে শান্তি প্রেমে মুক্তি
এসো সবাই প্রেমের পথে নামি।”
মিছিলে সব ধরণের লোক অংশ নিক,
কিশোর থেকে তরুণ,
যুবক থেকে বৃদ্ধ,
হ্যাঁ সব ধরনের লোক।

রমনার বটমূল কিংবা হাতির ঝিল,
নন্দন পার্ক কিংবা ফ্যান্টাসি,
শুধুমাত্র প্রেমিকদের জন্য উন্মুক্ত
করে দেওয়া হোক।
মাননীয় সরকার মহোদয়,
আসুন একবার দেখে যান সময় করে
জনৈক কবির পান্থশালা,
এখানে কত শত প্রেমিক যুগল
নিত্য নিত্য করে যায় প্রেম কীর্ত্তন !

হ্যাঁ আসুন..আসুন একবার…
আপ্যায়নের কোনো ক্রুটি হবে না
জনৈক কবির নির্মল ভাবনার
একখণ্ড মেঘ সাথে থাকবে
সাতরঙে এককাপ রংধনু।
আরো আছে শিশির স্নিগ্ধ ঘাসফুল,
কিছু বৃষ্টির টাপুর টুপুর জল,
আর একটি রোমান্টিক কবিতা।

আশা করি খুব একটা মন্দ হবে না।
মাননীয় সরকার মহোদয়,
গৌধুলির ঐ সীমান্ত রেখা মুছে
যাবার আগেই আসুন,
নির্জন সমুদ্র সৈকতে আজ পাকাপোক্ত ভাবেই
প্রেমের একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করা হোক।

গীতিকাব্য -পাগল মন

গীতিকাব্য -পাগল মন

ও মন-রে চলে পাগলের দেশে যাই,
তুই ও পাগল,আমিও পাগল
চল দুজনে পাগল হয়ে যাই।।

পাগলে পাগলে জমে ভাব
এখানে পাগলের অভাব।।

পাগলের মনে ঘন্টি বাজে
সকাল সাঝে তারি আশে
যারে দেখলে হবে লাভ।।

মন চল পাগলের দেশে যাই।

পাগল বেশে খুঁজবো শেষে
মন তুই যারে চাস।।

আকারের মাঝে নিরাকার যে
সব পাগলের পাগল সে
অনুভবে দেয় আশ্বাস।।

মন চল পাগলের দেশে যাই।