সুজন হোসাইন এর সকল পোস্ট

সুজন হোসাইন সম্পর্কে

জগতের সব কিছু নিয়ে ভাবি,আর ভেবে যা পাই তা লিখে রাখি মহা কালের পাতায়।

কথোপকথন-৩

— মন খারাপ?
— নাহ্ তো!
–তাহলে মুখ ভার কেন?
— কই নেই তো। বাড়িয়ে বলছো।
— চোখে জল কেন?
— পোকা পড়ছিল!
— বসে বসে কী দেখছো?
— স্বপ্ন দেখছি!
— এভাবে কেউ স্বপ্ন দ্যাখে বুঝি?
— দ্যাখে না বুঝি! না দেখুক,আমি তো দেখছি।
যা বাস্তবে পাওয়া যায় না তা স্বপ্নে পাওয়া যায়।
মনে শুধু আশা জাগায়।যদি কোনো ভাবে পেয়ে যাই।
— কিছু পেলে?
— হুম্! যা পেয়েছি তা মনে রেখেছি যতন করে।
প্রকাশ করলে যদি হারিয়ে যায় সেই ভয়।
— থাক! আর প্রকাশ করতে হবে না। আমি বুঝে গেছি।
— কী বুঝেছো?
— আমাকে দেখলেই বুঝি তুমি স্বপ্ন দ্যাখো।
— না তো! দেখা-অদেখায় যে সময় তার সবটা জুড়েই
তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি। শুধু তোমাকে নিয়ে।
— তাই বুঝি!
— হ্যাঁ তাই!
— মেলায় যাবে? বাহারি পোশাকে,খোঁপায় বেলি ফুলে
নব রুপে সেজে। যাবে মেলায়।
— নিয়ে যাবে? জানো আমারও ইচ্ছে হয় তোমার সাথে
মেলায় যাই।হাত ধরে পাশে পাশে হাটি।আরও কত
কি। নিয়ে যাবে তো আমায়!
— হুম! নিয়ে যাবো। কথা দিলাম।

১১/০৪/২০১৯

বৈশাখ

মরমর ঝরঝর কাল বৈশাখী ঝড়
বিজলি তুফান জল বৃষ্টি নির্ঝর।
সিন্ধু হিন্দোল মনের কোন্দল। বইছে রাগ।
পুরবীর আকাশ নিশ্চুপে হয়ে গেছে খাগ।

শাল, তমাল মেহগনি প্রকৃতির কৃপা নিয়ে
সাজায়ে পাতার ছাউনি আকাশ কাঁপায়ে
নেচে চলে হরদম। বসন্ত বিদায় বলে দেয় তা।
চোখে মুখে হাসি কম। বৈশাখ বলেই ব্যস্ততা।

আগমনী সুর। প্রলয় ঝংকার অস্থির বৈশাখ।
জল বৃষ্টিধার। মেঘ রৌদ্রে সাজে নবান্ন পরাগ।

১০/০৪/১৯

গা ঘেঁষে দাঁড়াবো না

গা ঘেঁষে দাঁড়াবো না! প্রমিজ করছি মেয়ে।
কিন্তু পুরুষ নামের হিংস্র হায়নার লোভাতুর
মনের তৃষিত চোখের ঘষায় প্রতিদিন
যে তুমি নীরবে কতবার ধর্ষিত হচ্ছো
তার দায় কে নিবে?বলতে পারো কি মেয়ে ?

মেয়ে তুমি এতটাও সুন্দর না! যতটা না সুন্দর আমার এক একটি সদ্যজাত কবিতা।

দেহে ও রুপে সৌন্দর্য্য থাকে না মেয়ে। মনই হচ্ছে সত্যিকারের সৌন্দর্য্য!

দেহ কাম-বাসনার উপকরণ মাত্র।
এটাকে বিকৃত করো না। আবৃত রাখো।
বরং এটা প্রতিবাদের নামে নিজেকে প্রকাশ করা মাত্র।

কথোপকথন-০২

এসেছো তুমি, বস্! বিকেলের কোয়া চিপে মনের শরীর
ভিজায় তোমার অবগাহনে। প্রাপ্তির খাতাটা শূন্য থাক!
অপূর্ণতা দিয়ে হিসেব মিলায়ে আজ। কতটা সময় পার হলে জীবনের যোগফল শূন্য হয়।

একটুও বদলাও নি তুমি! সেই কাব্যিকতা, তুমি কবি।
এসব তোমার মানায়।

তাই বুঝি! তোমার কাছে আমি আজও অকবি।
তুমি ছাড়া আমার কোনো পাঠক নেই।
শুধু তুমিই বদলে গেছো সময়ের হাত ধরে।

হবে হয়তো! বদলে গেছে সময়, বদলে গেছে চারপাশ।
গজিয়েছে নতুন চারা,বাড়ছে তার শাখাপ্রশাখা।
তাদেরও তো অধিকার আছে?

আছে বৈকি! কেমন আছো কেমন চলছে সংসার।

চলছে! মনের দহন জ্বালিয়ে যতটা ভালো থাকা যায়।
বাহির দেখে কি বুঝবে তুমি!

মনে আছে- মনে আছে তোমার এই শিমুল তলা,
ভাঙা সাঁকো, রামুদা’র মন্দির, লক্ষণদের শান বাঁধানো
পুকুর ঘাট। সেই ছুটাছুটি, প্রসাদ চুরি, পুকুরে এক সাথে
স্নান, এসবের কি কিছু মনে আছে তোমার?

থাক না এসব! থাক না অতীত স্মৃতির কোটায় তুলা
পুতুল ভাঁজে শাড়ি পড়ে মনের অলক্ষ্যে সযত্নে।
মনে করে মনের অনলে পুড়ে কি লাভ! এই বেশ চলছে।

পিচ্চিটা বেশ বড় হয়ে গেছে না! কি নাম রেখেছো?
আমাদেরও একটা স্বপ্ন ছিল। তাই না!
স্বপ্ন সত্যি হলো না! তোমার দেয়া নামে ডাকি। স্বপ্ন।
এই স্বপ্নের মাঝেই সেই স্বপ্ন দেখি আজও।

আজও ভালোবাসো আমায়, বাসোই তবে গেলে কেন?
দোষটা কি আমার একার ছিল?
নাহ্! কখনো বলিনি তোমার একার। কতবার বললাম
নিজে কিছু করো। কিছু পেরেছো কি করতে?

নাহ্!কিছুই পারিনি আমি! তুমি ঠিকই ঘরণী হলে। হলে
অন্য কারুর ভোরের ঠোঁটে নরম আদর।
কুঁড়ে চরে নিরাশার খননে সাগর করা যায় না কখনো,
ভাবা যায়। আজ উঠি। ভালো থেকো তুমি।

উঠবে, বেশ! যাবার পথে মন্দির হয়ে যেও। তোমার নামে পূজা দিয়েছি। প্রসাদ নিয়ে যেও।

০৯/০৪/১৯

কথোপকথন ০১

চলে যাবে? এই তো এলে, সবে সূর্য হলো লাল।
গোধূলি রাঙা বিকেল। অস্থির তুমি।
যেতে হবে আজ। আসবো আবার আগামী কাল
অনেক কাজ বাঁকি। ভালো থেকো তুমি।

বস না একটু! কতদিন পর দেখা, হোক না দুটি কথা!
জানি না আজ কেন এত ব্যকুল।
দ্যাখো সন্ধ্যা নামে। পুর বীর আকাশ ছেয়ে রাত আসে।
আজ কেন কেন তুমি এত ব্যকুল?

বকুল, গাঁদা, শিউলি, চাঁপা তোমার চুলে থাকতো গাঁথা।
এখনো কি করো চুলের খোঁপা?
থাক না এসব! অন্য কিছু বল। কি লাভ আত্নদহনে?
তার চেয়ে ভালো চুপ থাকা।

হুম্! ঠিক বলেছো। যে মনে স্বপ্নের দহন জ্বলে শুধু
স্বপ্ন হারার আগুন নদে। তার চুপ থাকায় শ্রেয়।
রেগে গেলে বুঝি! এই যে রাগ করে কি পেলে জীবনে?
যে রাগে শুধু কষ্ট দিতে পারে তা বর্জনই কি শ্রেয় নয়?

তোমারও তো কম ছিল না আত্নঅহমিকা। তবুও সখী।
থাক্! বাদ দাও এসব কথা কেমন।
হুম্! সেই ভালো। স্মৃতি শুধু ক্ষত বাড়ায়। রক্ত ঝরায়।
সময় বড্ড বেহায়া! যেতে হবে এখন।

চলে যাবে! যাও, সময় পেলে এসো। আমি আছি এই
শিমুল তলা, ভাঙা সাঁকো, ধুলাবালিতে মিশে।
সন্ধ্যার পাখায় রাত নামে ডাহুকীর চোখ মেলে যেই,
তেমনই পাবে আমায় বসে আছি তোমার আশে।

০৭/০৫/১৯

ক্লাশরুম

আঁকিবুঁকি ব্লাকবোর্ড।
চক ডাস্টার, চেয়ার টেবিল গুছানো।
কবিতার খাতা চুরি, জানালায় উঁকি।
দরজায় পাহারা বিশ্ব ভূমিক।

ক্লাশরুম। চোখ কান খুলে মুখে মুখে
ফিশ ফিশানি। চোখ রাঙানো নালিশ।

টিফিন, ছুটি, হৈ হুল্লোড়।
তেঁতুল, জামরুল, শালুক ফুল। কেউ চায়।
দাদাদের তাড়া, স্যারের কানমলা।

ক্লাশরুম। পরিপাটি বা জীর্ণ শীর্ণ তবুও স্মৃতিপট।
আঁকিবুঁকি ব্লাকবোর্ড।
চক ডাস্টার, চেয়ার টেবিল গুছানো।

০৬/০৫/১৯

বৃষ্টির দিন

বৃষ্টির দিন, ঘর বন্ধি শিকল পায়।
জানালার গ্রীলে বৃষ্টি ঝরে নির্ঝরে।
রবীন্দ্র, নজরুল,
মৌনতা সংগীত,
টিভির সিরিয়াল,
অসহ্য ওষ্ঠাগত এক ঘেঁয়েমি জীবন।

দিগন্ত পিয়াসী মাঠ, ভিজে যায় ঘাস।
গাছেদের গায়ে সবুজের দ্বীপ,
চেনা মুখ ভেসে যায় দূর শহরে জলের সুরে।

বৃষ্টির দিন, মৌনতা মনে নিশ্চুপ ঘরে
স্মৃতির আলপনা আঁকা বিরহ তটে।

বৃষ্টির দিন, বর্ষার জল ধারে দিগন্ত পারে
বৃষ্টি ঝরে মনের মাটিতে।
কালো মেঘে ফেলে ছায়া, দিগন্ত পারাপার।
ডোবা চাঁদ লুকানো আলোই মধ্যস্থ আঁখি।

বৃষ্টির দিন, লাউ মাঁচায় লতানো ফুল,
ভিজে যায় অঙ্কুরিত স্বপ্ন,
বর্ষা জল ধারে
ভাঙনের সুরে
বাদামী আকাশের মাঠে। জীবনের ভাঙ্গা
ডাক বাক্সে স্মৃতি থাকে বৃষ্টির জল খামে।

ঘরে ফিরা

ফুটপাত, ধুলাবালি।
ব্যস্ত নগরীর কোলাহল। পিছনে ফেলে ঘরে ফিরা।

ফিরে আসার সাঁঝ। শিমুল গাছ।
ঢুস দাঁড়িয়ে ভাঙ্গা সাঁকো।
বাঁকা পথ পেরুলেই উঠোন। লাউ মাঁচা।

চেনা ডাকে স্থির চোখ। চৌকাঠ মাড়িয়ে আসা।
তৃষিত চোখের তৃষ্ণা মিটিয়ে শুধু চেয়ে থাকা।

ম্লান মুখ,সিক্ত চোখ।
পৃথিবী ভুলে,অজান্তেই জড়িয়ে কাঁদা “মা-মা” বলে।

০৪/০৪/১৯

সোনালী চোখ

কতদিন পর দেখা ?
খন্তি দাঁতে দ্রুত পলায়ন
পামের খড়ের পশমিত সুখ ।
গাঢ় অন্ধকারে গুমোট শ্বাস বিমূর্ত ছায়ার ।

দেখেই বা কী লাভ ?
ব্যর্থ হলো সব আয়োজন ।
তীর্থের কাক,অশ্রু টলমল ।
সোনালী চোখ খু্ঁজে এক টুকরো মৃত্যুর ।

মোবাইল ছবি

০৩/০৪/১৮

সূর্য নিরন্তর হিরণ্ময়

আজকের বাংলার ভূমি কামানের
উর্ধ্বে পরিত্যক্ত ফসলের ক্ষেত ।
অনাবৃত মৃত্তিকার বুকে
দিগন্তের দ্বীপপুঞ্জের সাগরে ভেসে ওঠে
মাইলের পর মাইল মানুষের কঙ্কাল ।
……..কিংবা
অফুরন্ত রৌদ্রের তিমিরে ফিনকি
ঝরা রক্তের পান্তর,
কেবলই খড়ের স্তূপে পড়ে আছে
অগণন মানুষের মরা দেহ ।
.
কিন্তু কখনো তো এমন ছিল না ।
যত দূর চোখ যায় পূর্ব-পশ্চিম
উত্তর-দক্ষিণ দেখা যায় সবুজের ক্ষেত ।
কোনো এক বিবর্তনের হাত ধরে
কোথাও একটি পরিবর্তন হয়েছে ।
.
অবাচীর অন্ধকার দেওয়াল খুঁড়ে
প্রাগৈতিহাসিক স্মৃতি প্রবেশের দ্বার খুঁজে
চৈত্রের ফাটলে বাংলার প্রান্তরে ।
.
মাটির তরঙ্গে বিবর্ণ লাঙ্গল
লঙ্গরখানার রক্তে হলি খেলে ।
তবু আমাদের ফসল চাই
এই ফসলের দেশে ফুটপাত থেকে
রাজপথে কিংবা শহরের অলিতে গলিতে ।
.
এ যেন উটের পিঠে পৃথিবী চলে
ঘোড়ার সওয়ারে গভীর অন্ধকারে ।
তবু কাউকে বলতে শুনি না
সেই জরাজীর্ণ অন্ধকার থেকে
সূর্য নিরন্তর হিরণ্ময় ।

তোমাতে আমি যূথিকা

যূথিকা, যদি কখনো ঘুম ভেঙে যায় ডাহুকীর সুরে
ভোর না হওয়া কোনো রাতে,
বুঝে নিও তখন সেই পাখিটা আমিই ছিলাম ।

যূথিকা, যদি কখনো সন্ধ্যার ঠোঁটে দূরন্ত সব পাখিরা
গোধূলি এঁকে যায় তোমার খোলা জানালায়
বুঝে নিও সেই গোধূলি আমিই ছিলাম।

যূথিকা, যদি কখনো তোমার ছাদে আকাশ নেমে আসে
রংধনু সাজে, এলো চুলে যদি হঠাৎ বর্ষা নামে
তোমায় ছুঁয়ে দিবার ছলে ।
বুঝে নিও তখন জলের গন্ধে আমিই ছিলাম।

১৯/০৩/১৯

জাগো মুসলিম

জাগো মুসলিম জাগো, জাগো মুসলিম জাগো
এসেছে সময়ে ডাক এসো হাতে হাত রাখো।

ওয়াদার নামে ওরা করে আয়না বাজি
টাকার জোরে ওরা করে শুধু কারসাজি।
ওরা দালাল ওরা ভন্ড,
ওরা দেশটাকে করেছে নষ্ট।

ইসলাম নয় জঙ্গি ইসলাম নয় সন্ত্রাস
ইসলাম মানে শান্তি নেই কোন ত্রাস।

মনে মনে এই বিশ্বাস শুধু রাখো।

মুখোশের আড়ালে ওরা ছদ্মবেশী দানব
হিংস্রের ন্যায় মেরে যাচ্ছে অসহায় মানব।
ওরা হিংস্র ওরা দুষ্টু,
ওরা করছে এই বিশ্ব রাজত্ব।

ইসলাম নয় সাদা ইসলাম নয় কালো
ইসলাম মানে ভ্রাতৃত্বের এক আলো।

মনে মনে এক প্রভুর ছবি আঁকো।

বিঃদ্রঃ এটা ইসলামী জাগরণ সংগীত। তবে হয়েছে কি না জানি না, আপনাদের পরামর্শ কামনা করছি।

১৭/০৩/১৯

রাতের গোপন রহস্য

আমাদের রাতের রহস্য কেবল স্বপ্নেই লুকায়িত
থাকে যে স্বপ্ন গুলো তুমি আমি দেখি,
তখন, তুমি আমি আমরা এক সাথে বিছানা ভাগ
করি একবার মরার আগে।

নিঝুম নিশ্চুপ রাত,তার গোপন রহস্য।
ঘুম, ঘুম আর ঘুম,
আমি ঘুমাই, আমরা ঘুমাই, আমি স্বপ্ন দেখি,
আমরা স্বপ্ন দেখি, তুমি আমি স্বপ্ন দেখি।

স্বপ্নের স্মৃতি কখনো পুনরাবৃত্তি হয় না যূথিকা।
অথচ রাতের শরীরে তারকারা জীবনের চেয়েও বেশি।
তারকারা আলো দেয়, তারকারা আশা দেয়,
তারকারা অনন্তকালের নিদর্শন রাতের শরীরের।

যূথিকা, আমি তাদের উপস্থিতিতেই কেবল তোমার
কাছে আসতে পারি। তাছাড়া আর কিছু পারি না।

তুমি আমি ছাড়া আমাদের রাতের রহস্যের কোনো
স্মৃতি থাকে না ঠোঁটের পাপড়িতে কেবল ভোর আসে।

০৯/০৩/১৯

তুমিত্বত্ত

একদিন তোমার ভিতরে তুমিত্বত্ত
হয়ে চুমুর পুরাণ খুলে বসবো শহরে।
মেকি লেবাস খুলে ঠোঁটের কোয়া
ভিজাবো তোমার চুলে বর্ষা নামলে।

আমি ঈশ্বর দেখিনি যূথিকা,
আমি তোমাকে দেখেছি, শুধু তোমাকে।

স্মৃতির আগুন বড় আগুন নীরবে
জ্বলে হৃদয় পুড়াবে, তবুও
চোখ সমুদ্রের জল শুকাবে না।
চোখ ও হৃদয় বিপরীত কোণ হলেও
এর উপলব্ধির সীমারেখা সরল।

পুড়ে খাক হওয়ার জন্যে
এক চুমুক স্মৃতিই যথেষ্ট যূথিকা,
কেননা, স্মৃতির কোনো রেখা নেই।

তুমি আমার হওনি বলে
ভেবো না, তোমায় ভুলে গেছি।
একদিন হঠাৎ ঈশ্বরকে ডাকতে গিয়ে
তোমাকে ডেকেছি, তারপর থেকে
বৃদ্ধা রাজনীতি যুবতী নদী হয়ে ওঠে।

যূথিকা, অন্তত এই ভেবে স্বপ্ন দেখি
তোমার আমি ত্বত্তে
আমার একটা তুমি আছে।

০৭/০৩/১৯