যাযাবর জীবন এর সকল পোস্ট

দেখেছি তোকে দুর্বোধ্য চোখে

বড্ড দুর্বোধ্য নদী,
কত কত বাঁক পেরিয়ে তবেই না সাগর;
সবগুলো বাঁক তুমি দেখেছে?
নদীই কি দেখে তার পেছনের বক্ররেখা?
সে তো শুধুই বয়ে যায়
সামনের দিকে
সাগরের পানে;
আঁকাবাঁকা পেছনে ফেলে আসা বক্ররেখা দেখার সময় কোথায় তার?

নারীর বাঁক নদী থেকে কোন অংশে কম?
শরীর ও মনের;
নদীর মতই পেছন ফেরে না নারী
দেখে না অতীতের বক্ররেখা
সামনে ভবিষ্যতের হাতছানি
সামনে দুরন্ত জীবন
দুর্বোধ্য নয়? নারী;

আমি নদী দেখেছি
দেখেছি নারী,
দেখেছি তোকে দুর্বোধ্য চোখে
দুর্বোধ্যতায় তুইই বা কম কিসে?

স্বপ্নে স্বপ্নে দূর বহুদূর

একদিন চল দূরে কোথাও যাই
বহু বহু দূরে, স্বপ্নের গাড়ি চড়ে,
একদিন তুই আর আমি, সারাদিন ঘুরব
আঁকাবাঁকা ধু ধু ফাঁকা রাস্তাটা ধরে;

গাড়ির স্টিয়ারিং এ তুই
আমি পাশের সিটে
তোর চোখ রাস্তায়
আমি দেখছি তোকে,
চুল উড়ছে তোর
আমি ডুবছি তোর চুলে
প্রশ্রয়ের হাসি তোর ঠোঁটে
আমি টুক করে চুমু খাচ্ছি ঠোঁটে,
মনে প্রেমের ঝড়
রাস্তায় ঝড়ের বেগে গাড়ি
বাতাসে প্রেম প্রেম গন্ধ
আমরা কেও মনের গতি দেখি নি;

একদিন দেখিস স্বপ্ন ঠিক সত্যি হবে
একদিন আমরা সারাদিন ইতিউতি ঘুরব মন ভরে,

তারপর রাত নামতেই স্বপ্ন ভেঙে যার যার ঘরে,
আচ্ছা!
ঘুম থেকে না উঠলে সত্যিই কি তুই আমার হতি?

আমি তো সেই কবেই ডুবে আছি তোতে

কোনো এক ঢলা বিকেলে বসে ছিলাম নদী পাড়ে
পাড় ভাঙা নদী
আমি ভাঙা পাড়ে পা ঝুলিয়ে
আমায় পায়ে খেলা করে পানি বয়ে যাচ্ছে কুলকুল
আচ্ছা! নদীর বুকে কি আমি আছি?
ধ্যাত! তা কি করে হয়!
আমি তো ছিলাম নারীর বুকে
ঠিক তাই,
তুইই ছিলি সেই নারী;

বুকে ধরে রাখতে ও ফেলে দিতে সময় লাগে কি তোর?
যখন ইচ্ছে খেলবি
যখন ইচ্ছে ভাঙবি
যখন ইচ্ছে দুমড়ে মুচড়ে ফেলে দিবি
তবেই না নারী!

আচ্ছা! এই যে ভাঙা পাড়ে বসে আছি
তুই সুড়সুড়ি দিয়ে বয়ে যাচ্ছিস পায়ে পায়ে,
তোর মনে কি কোন অনুভূতি খেলা করে?
পুরনো কোন অনুভব?
ভালোবাসা কিংবা ঘৃণার?

একবার না হয় অনেক ঘৃণা নিয়ে পাড় ভেঙে দে
ডুবিয়ে নে আমায় তোর অতলে,
চিরতরে;

আমি তো সেই কবেই ডুবে আছি তোতে,
ভালোবেসে।

কেমন জানি এক অন্যরকম ভয়

ইদানীং মন কেমন অন্যরকম
ইদানীং ঘুমাতে গেলেই মনে সংশয়
– কাল ঘুম ভাঙবে তো?
– কাল সূর্য দেখব তো?
কেমন জানি এক অন্যরকম ভয়;

একদিকে চেয়ে থাকতে চায় না ক্লান্ত চোখ
অন্যদিকে ঘুমাতে চায় না বিক্ষিপ্ত মন
কোথায় জানি কেমন সংশয় বিভাজন;
– আচ্ছা! ঘুম মানে কি মৃত্যু?

– একদিন ঘুম ভাঙবে না
– একদিন সূর্য দেখব না
– একদিন তো মরে যেতে হবেই
আচ্ছা! মরে যাওয়ার পরে কি অনুভূতি থাকে?

আমি প্রতিদিন সংশয়ে থাকি ঘুমের আয়োজনে
– এক সময় অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে চোখ বন্ধ হয়ে যায়
– মন ঘুমিয়ে যায়;

একদিন,
কোন একদিন এই ঘুম আর ভাঙবে না…………

ভালোলাগার অনুভব বদলে যেতে কতটা সময় লাগে?

কত পার্থক্যই না কাল আর আজ এর মাঝে!
পার্থক্য সময়ের
পার্থক্য সম্পর্কের
পার্থক্য অনুভবের;
আগামীটা কেমন যাবে?
কে বলতে পারে?

গতকাল সারাদিন তুই ছিলি পাশে
সময় ছিল ভালোবাসার রথে
আমরা উড়ছিলাম স্বপ্নআকাশে
ভাসছিলাম দুজন স্বপ্নসাগরে;

আজ তুই কোথায় রে?
কোথায় আমি?
মাঝখানে বিচ্ছেদের যোজন যোজন দূরত্ব দিয়েছি পারি
অথচ ব্যবধান মাত্র গতকাল আর আজকের দিনের মাঝে
খুব স্বল্প সময় নয় কি?
আচ্ছা!
আগামীকাল কোথায় থাকব আমরা?
কে বলতে পারে?

গত রাতের কথাটা চিন্তা কর তো!
সারারাত লেপ্টে ছিলি আমার বুকে
ভালোবাসায় আদরে সোহাগে,
অথচ আজ রাতে আমার বিছানাটা খালি
একলা খাটে ঘুম নেই তোর দুচোখে,
আর দুজনার মাঝে যোজন যোজন দূরত্ব সময় আর অনুভবে,
অথচ ব্যবধান মাত্র কাল আর আজ রাতের মাঝে
খুব অল্প সময় নয় কি?
আচ্ছা!
আগামীকাল রাত আমাদের কাটবে কোথায়? কিভাবে?
কে বলতে পারে?

এমন তো কতই হচ্ছে,
প্রতিদিন কতই হয়;
গতকাল পরিচয়
আজ প্রণয়
কে জানে আগামীকাল কি হয়?
হয় বিচ্ছেদ না হয় পরিণয়;

সময়ের কথা কে বলতে পারে?
কিংবা সম্পর্কের
ভালোলাগার অনুভব বদলে যেতে কতটা সময় লাগে?

আচ্ছা!
সময়ের ঘূর্ণাবর্তে ভালোবাসার অনুভব বদলায় কি?

তাহলে কবিতা হবে কি করে?

গ্রীষ্মের আকাশ তেতে থাকে সূর্যের রাগে

কেও ইচ্ছে করে পাখি হতে চায়
কারো পাখির জীবন
বানভাসি বাধ্য হয়ে এ ঘাটে ও ঘাটে ভাসে
মাছ ভেসে বেড়ায় উল্লাসে
কাক ময়লা ঠোকরায়
কাঠঠোকরার ঠোকর কাঠে
পানকৌড়ির মাছে
মানুষ ঠোকরায় ঘাটে ঘাটে;

যাযাবরে মন কখনো পাখি হয়
কখনো মাছ
কাকে জানি খুঁজে বেড়ায় এ ঘাট ও ঘাট!

শরতের আকাশে নানা রঙের মেঘ ভাসে
বৈশাখের আকাশে ঝড়
শীতের আকাশ কুয়াশায় আচ্ছন্ন
গ্রীষ্মের আকাশ তেতে থাকে সূর্যের রাগে;

যাযাবর সব আকাশেই নীল খোঁজে
তার মন আকাশে কখনো মেঘের ভেলা
কখনো চাঁদের খেলা,
যাযাবর মন ভেজে বৃষ্টি বিলাসে
কখনো জ্যোৎস্নাস্নানে
আর কোনো এক ‘তুই’ এর অবগাহনে।

খুব ইচ্ছে করছে কারো হাত ধরতে

বিষণ্ণ দুপুর
বড্ড একা
একলা রৌদ্দুর
আকাশে কোথাও মেঘ নেই
নীল আকাশটাও আজ বড্ড একা
এত একার একাকীত্বের সাথে মিলেমিশে আমিও বড্ড একা;

খুব ইচ্ছে করছে কারো হাত ধরতে,
কার হাত ধরব?
রৌদ্দুরের?
আকাশের?
ধরাছোঁয়ার বাইরে অনেক দূরে তারা,
তাই দুপুরের গায়ে হেলান দিয়ে বসে আছি নীলের মাঠে একা;

বড্ড ইচ্ছে করছে কেও আসুক!
হাতে হাত রাখুক
কাঁধে হেলান দিয়ে পাশে বসুক
তারপর না হয় আবারও হারিয়ে যাক তোর মত
ভালোবাসার অনেকগুলো অসুখ দিয়ে;

আমি বারবারই না হয় একা হব
ভালোবাসার অসুখে অসুখে।

ভেবে পাই না তুই সাজিস কেন

সেজেগুঁজে সবাই সুন্দর
তুই সুন্দর আলুথালু বেশে,
আমি প্রায়শই ভেবে পাই না তুই সাজিস কেন?

ঐ যে লিপস্টিক দিয়ে রাঙা করে রাখিস ঠোঁট!
জানিস কি?
আমার পছন্দ তোর পানি ভেজা ঠোঁট
দেখতে কিংবা চুমু খেতে;

ঐ যে পার্লারে গিয়ে চুলের এত সাজ করিস!
জানিস কি?
আমার পছন্দ টপটপ করে পানি ঝরতে থাকা তোর গোসল ভেজা চুল
দেখতে কিংবা হারিয়ে যেতে;

ঐ যে রংবেরঙের দামি দামি বাহারি শাড়িগুলো পড়িস!
জানিস কি?
আমার পছন্দ তোর টাওয়াল পেঁচানো গোসল ভেজা শরীর
দেখতে কিংবা আদর করতে;

নারীর সৌন্দর্য নারী নিজেই,
সেজেগুঁজে নয়
শরীর দিয়ে নয়,
মন দিয়ে
ভালোবাসা দিয়ে;

তুই সবচেয়ে বেশী ভালোবাসিস আমায়
আলুথালু বেশে আলুথালু হয়ে;

বড্ড ভালোবাসি রে তোকে আলুথালু মেয়ে।

💕

আকাশটাই তো তোকে দিয়ে দিয়েছি

আকাশটাই তো তোকে দিয়ে দিয়েছি

আমার একটা আকাশ আছে
নীল আকাশ;
আচ্ছা! তোর কি ডানা আছে?
তবে ভেসে থাক আমার আকাশে,
মুঠো মুঠো নীল দেব তোর ডানায় মেখে
হালকা নীল
গাঢ় নীল,
কখনো মেঘ দেব
কখনো বৃষ্টি
কখনো রোদ
কখনো কুয়াশা,
ভালোবাসার আকাশে কোন কিছুর কমতি থাকে না;

ভালোবাসা নিবি?
আরে বোকা পুরোটা আকাশটাই তো তোকে দিয়ে দিয়েছি।

একটা নষ্টা মেয়ের গল্প বলি শোনো

একটা নষ্টা মেয়ের গল্প বলি শোনো

– প্রেমে ধোঁকা
– অভাব অনটন
– সংসারে অশান্তি, পরকীয়া

কারণের অভাব হয় না নষ্ট হতে
লাগে না সময়;

ধ্যাত! নষ্ট মেয়ের গল্প তো বইয়ের পাতায় পাতায়
আজ না হয় নষ্টামির গল্প বলি –

– প্রেমে ধোঁকা খেয়ে কাঁদলো মেয়েটি
তোমরা নাম দিয়ে দিলে নষ্ট মেয়ে
পেটে বাচ্চা এসেছে? এ মা! ছিঃ ছিঃ, কি নষ্টা মেয়ে!
কে দিলো?
আমি, তুমি, তোমরা সবাই
আরে পেটে বাচ্চা কি আকাশ থেকে পড়েছে?
তোমরা দুধ দিয়ে ধুয়ে ছেলেটিকে সাজিয়ে রাখলে ঘরে
নষ্টামি কাকে বলে?

– অভাব অনটন?
অসুস্থ স্বামী, উপোষী সন্তান
কাঁচা মাংস সোনার দরে, কে না জানে?
বাধ্য না হলে কেও কি আর শরীর বেঁচে?
তোমরা মাংস খেয়ে নাম দিলে নষ্টা মেয়ে,
কে মাংস খেলো? কেই বা নাম দিলো?
আমি, তুমি, সে, আর তোমরা সবাই
তারপর দুধে ধোয়া বাবুসাহেব বৌ এর বিছানায়
নষ্টামি কাকে বলে?

– সংসারে অশান্তি? পরকীয়া?
সংসার মানেই তো স্বামী ও স্ত্রী
নিত্য ঠোকাঠুকি
আধুনিক যুগ, যে যার পথে স্বাধীন চলি
বয়ফ্রেন্ড, গার্লফ্রেন্ড? এ আবার এমন কি?
স্ত্রী ধরা খেলো তো, ছিঃ ছিঃ নষ্টা মেয়ে, নটি বেটি
স্বামী ধরা খেলো ধ্যাত! বয়সের দোষ নয়তো কি?
সোনার চামচের দোষ ধরতে আছে?
নষ্টামি কাকে বলে?

আরে!
সবাই বলে নষ্ট মেয়ে
সবাই ডাকে নষ্টা মেয়ে
আচ্ছা! তোমরাই বলো তো দেখি
পুরুষ ছাড়া নষ্ট হয় কিভাবে?

আচ্ছা! তোমরা একটা নষ্ট পুরুষ দেখাতে পারো?
– বলো তো, নষ্ট কাকে বলে?

কেও চাঁদ না হয়েও হয়ে যায় চাঁদনি

কেও চাঁদ না হয়েও হয়ে যায় চাঁদনি

কেও রাত হতে চায়
কেও চাঁদ
কেও চাঁদ না হয়েও হয়ে যায় চাঁদনি
আমার আকাশ অন্ধকার

কেও আলো হতে চায়
কেও ঝিলিমিলি তারার রাত
কেও তারা না হয়েও সেজে থাকে জোনাক
আমার চোখে শুধুই অন্ধকার

কেও পাখি হতে চায়
কেও মেঘ
কারো ডানা নেই তবুও উড়তে চায়
আমার মাথার ওপর কোন আকাশ নেই

কেও ভালোবাসা খুঁজে
কেও শরীর
চাহিদা ও প্রাপ্তির পার্থক্য অনেক
আমার শরীরে মমতা নেই আছে অভিলাষ

বুকের বাঁ পাশে নাকি হৃদপিণ্ড থাকে
পাথরের বুকে ভালোবাসা পেয়েছে কে?
ভালোবাসা চেয়ে রক্তাক্ত তুই নিজেতে নিজে
এবার তো মানুষ খুঁজে নে!

খিল তুলে দিয়েছি ঘরের সকল দরজা জানালায়

রাত হতেই আকাশ অন্ধকার হয়ে যায়
আর মন অমাবস্যা,
আমার অন্ধকারে ঘুরে বেড়াতে বেশ ভালো লাগে
ঘন কালো অন্ধকারে,
এখানে আমায় দেখে না কেও
অথচ আমি দেখি সবাইকে;

আমার একটা বাড়ি আছে
যার অনেকগুলো প্রকোষ্ঠ
এক এক প্রকোষ্ঠের এক এক স্মৃতি
এক এক জানালা খুললেই এক এক গল্প;

মন অন্ধকার হতেই আমি
এক একদিন এক এক ঘরে ঢুকে যাই;

কিছু কিছু ঘরের কোন জানালা নেই
বাইরে থেকে এ ঘরগুলো একদম কবরের মত নিশ্চুপ
অথচ ভিতরে জাহান্নামের কোলাহল,
সেসব ঘরে ঢুকলে বড্ড অস্বস্তি লাগে
কেমন যেন দম বন্ধ করা অনুভব
যেন আমি মৃত,
আমার এক সময়ের সকল কুকর্ম বন্দী করেছি সেসব ঘরে
ইচ্ছা আর অনিচ্ছাকৃত এক সময়ের সকল ভুল
সকল কুকীর্তি,
জানালা বিহীন সে ঘরগুলো আমায় ডাকে
আঁচড়ায়, কামড়ায়, ক্ষতবিক্ষত করে,
আমি ও ঘরে ঢুকতে চাই না
তবুও মাঝে মাঝে অন্ধকার ঘর আমায় টেনে ঢোকায় তার মাঝে
আর কালো অতীত দেখায় আমাকে
আমার ঘেন্না লাগে নিজের ওপর
আমি ছুটে পালিয়ে আসি সে ঘর থেকে;

কিছু কিছু ঘরে অনেকগুলো জানালা,
অনেকগুলো স্মৃতির জ্যোৎস্না ঢুকে বিভিন্ন জানালা দিয়ে
আমি অন্ধকারে বসে শৈশবের চাঁদ দেখি
অন্ধকার মাথায় করে কৈশোরের ঝুম বৃষ্টিতে ভিজি
আবার মাঝে মাঝে খুব মন খারাপ হয় যখন হারিয়ে যাওয়া অনেকগুলো মুখের উঁকি
যাদের বহু বহুকাল আগেই হারিয়ে ফেলেছি
তারা যখন হঠাত হঠাত এক এক রাতে বিভিন্ন জানালায় হানা দেয়
আমার দাদা দাদি, নানা নানী
ছোট বেলার খেলার সাথীটা
যে স্কুল থেকে ফেরার পথে ট্রাক-দানবের চাপায় পিষ্ট হয়ে পড়েছিল নিথর হয়ে,
ঐ যে আমার ছোট ফুপিটা যে কৈশোর পেরোতে না পেরোতে
হঠাত ছটফট করে চলে গেলো না ফেরার দেশে,
তারা সবাই এক একটি জানালায় উঁকি মারে
ঐ তো আমার বাবা, ঐ জানালাটায় দাঁড়িয়ে আছে চাঁদ হয়ে
পুরো আকাশটাকে দিন করে;
আচ্ছা! ওরা আমায় দেখতে পাচ্ছে কি? কে জানে!
আমি কিন্তু ঠিকই দেখতে পাচ্ছি
অন্ধকারে বসে;

অনেকগুলো জানালাওয়ালা একটা ঘর আছে
যেখানে শুধুই তোর স্মৃতি,
আমাদের কৈশোর
যৌবন
প্রেম
অভিমান
অহংকার
আর সকল ভুলের স্মৃতি,
এ ঘরটাও আমি বন্ধ করে রেখেছি,
খিল তুলে দিয়েছি ঘরের সকল দরজা জানালায়,
তবুও এ ঘরটা যখন তখন আমায় ডাকে
টেনে নিয়ে যায় এক একটা জানালার পাশে 😣😣😣
আমি অনিচ্ছায় এগিয়ে যাই
অনিচ্ছায় জানালা খুলি
অনিচ্ছায় দরজা খুলি
তারপর কান্নায় ভিজে মিশে যাই অন্ধকারে,

ভাগ্যিস সময়টা রাত ছিল!
ভাগ্যিস ঘন অন্ধকার ছিল!

তাই কেও দেখে নি আমাকে;

কান্না দেখাতে হয় না কাওকে।

আমি অন্ধকারে বসে স্মৃতির ঘরগুলোকে খুলে খুলে দেখি
তারপর আরও অন্ধকার হই, ঘন অন্ধকারে।
😣

কিছু অনুভূতি থাকুক না অজানা!

কিছু অনুভূতি থাকুক না অজানা!

স্পর্শ তো শুধুই অনুভূতি,
তাই না রে?

আচ্ছা!
স্পর্শে কি ভালোবাসা থাকে?
প্রেম?
আদর?

তবে স্পর্শের জন্য মন কেন এমন করে?
কেন ব্যকুল হই অন্ধকারে?

যখনই তুই না থাকিস,
যখনই মন একা একা লাগে
তোর স্পর্শের জন্য মন কাঁদে রে,
বড্ড কাঁদে;

আচ্ছা!
তোরও কি এমনই লাগে?

কিছু কথা কখনো জানা হবে না
না আমার
না তোর,
আচ্ছা!
তুই কি জানিস কতখানি ভালোবাসি তোকে?

আকাশ মাপতে পারিস?
সাগর?
থাক!
জানতে হবে না তোকে;

স্পর্শে কি জানি এক অজানা অনুভূতি আছে,
ভালোবাসার মানুষের স্পর্শে
তোর স্পর্শে,

কিছু অনুভূতি থাকুক না অজানা!

সূর্য চুমেছে কে কবে?

চা চুমু অনেক খেয়েছি
তোর সাথে,
ঠোঁটে ঠোঁটে
কাপে ঠোঁটে,

বৃষ্টি চুমেছি অনেক
আকাশ থেকে
কতবারই না আমরা ভিজেছি দুজন
ঝুম বৃষ্টিতে জড়াজড়ি হয়ে
ঠোঁটে ঠোঁটে;

জ্যোৎস্না তো সবাই খায়
ভালোবাসায় চেটেপুটে
চুমুতে চুমুতে
কবিতার আবেশে
ঠোঁটে ঠোঁটে,

সূর্য চুমেছে কে কবে?

আজ দুপুরটা দেখেছিস?
সূর্যটা কেমন উঠেছে তেতে!
চল আজ ঠোঁট শুকাই
রোদে ভিজে
রোদঠোঁটে,
তারপর ছায়া হয়ে যাই
সূর্য চুমে
ঠোঁটে ঠোঁটে।