যাযাবর জীবন এর সকল পোস্ট

মৃত্যুর গন্ধ

মৃত্যুর গন্ধ

মৃত্যু দেখেছে কে?
কালো কালো রাত রাত
আগুণ আগুণ তীব্র গরম
বরফ বরফ হিম শীতল
কোথায় জানি একটা ঝড় হচ্ছিল
খুব বড় কোন ঝড়
স্বত্বা’কে এলোমেলো করে দেয়া ঝড়
আমায় উলটেপালটে একাকার করে নিচ্ছিল
আকাশ বাতাস প্রকৃতির মাঝে,
কেমন যেন এক চরম অশান্তি সত্ত্বার ভেতর
বিস্ফোরণ মাথার ভেতর
তারপর অন্ধকার, অতল গহ্বর;

মৃত্যু কি ছুঁয়ে দিয়েছিল আমায়?
কিংবা আমি মৃত্যুকে ছুঁয়ে দিয়ে বেরিয়ে এসেছিলাম
কে জানে?
খুব হঠাৎ, খুব হঠাৎই বুকের ভেতর কেমন একটা পাহাড় চাপ
যেন সাগরের অতলে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল কেও
দম বন্ধ হওয়ার মুহূর্তে কে যেন জবানে শাহাদাহ্ পড়িয়ে দিল
জিহ্ব নড়ছিল ক্রমাগত
“আশহাদু আল্লাহ্‌ ই লাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রসুলুহু”
ক্রমাগত, ক্রমাগত
কতক্ষণ জানি না,
তারপর হঠাৎ করেই যেন বুকের ওপর থেকে পাহাড় সরে গেলে
অতল অন্ধকার থেকে ভুস করে ভেসে ওঠলাম
তারপর মনের অজান্তেই দু-চোখ জড়িয়ে এক দীর্ঘ শান্তির ঘুম
মৃত্যু কূপ থেকে ডুবিয়ে উঠিয়ে এনেছে ওপরওয়ালা
মৃত্যু দর্শন করিয়ে,
কারণ তো নিশ্চয়ই কিছু একটা আছেই
হয়তো এখনো কিছু কাজ বাঁকি রয়ে গেছে
কিংবা হয়তো এখনো সময় হয় নি ওপার যাত্রার;

তবে মৃত্যুর গন্ধ বসে গেছে আমার স্বত্বায়
মৃত্যুর পথ মাড়িয়ে এসেছে আমার দেহ
এরপর আর চিনতে ভুল হবে না ওপার যাত্রার পথ,
ওটা মেঠো পথ নয়
নয় পিচ-ঢালা পথ
সবুজ ঘাস বেছানো নেই ও পথে
লক্ষ তারার মেলা নেই মৃত্যুর আকাশে,
ও পথে আলো নেই, কেমন এক ছায়া ছায়া অন্ধকার
ও পথটা এক বারই ডুব দেয়ার
তারপর টেনে নেয় চিরঘুমে;

পরের বার ডুবে যেতে যেতে শাহাদাহ্ টুকু যাতে জবানে থাকে
এর থেকে বেশী আর কি চাইবার আছে?

তোকে ভালোবাসতে পারি বলেই বেঁচে আছি

তোকে ভালোবাসতে পারি বলেই বেঁচে আছি

তোকে একটু দেখতে পারার নাম দৃষ্টি
একটু ছুঁতে পারার নাম অনুভব
তোর অভিমান পোড়ায় আমায় দুপুর সূর্যে
তোর হাসিতে জ্যোৎস্না খেলে
তোর কান্নায় ঝুম বৃষ্টি নামে,
তোকে ভালোবাসার নামই হৃদয়ের ধুকপুক
তোকে ভালোবাসাটাই আমার অনুভূতি
তোকে ভালোবাসতে পারি বলেই বেঁচে আছি;

সবাই কি আর আলোতে বাঁচে?
সবার ঘরেই কি জ্যোৎস্না আসে?
বাতাস খেলে না আমার জানালায়
হাসে না নীল আমার আকাশে
তবুও খোলা রেখে দিয়েছি আমাকে আমি
একটু রৌদ্র আসুক
একটু মেঘ ঢুকুক
একটু বৃষ্টি নামুক
কিছু বাতাস আসুক
কিছু জ্যোৎস্না ঢলুক
কিছুই কি আসবে না?
কিছু না আসলেও অন্ধকার তো আসবে!
রাত্রি তো কবেই সঙ্গী করেছে আমাকে!

আচ্ছা অন্ধকার অনুভূতির নাম কি ভালোবাসা?
তবে আমার থেকে বেশী ভালো কেও বাসে নি তোরে;

আলো কিংবা আঁধার মানুষের জন্য
আমার জন্য শুধুই তুই
তোকে ভালোবাসাটাই আমার অনুভূতি,
তোকে ভালোবাসতে পারি বলেই আজো বেঁচে আছি।

💕💕

আঁধার হয়ে এসেছে দিন

আঁধার হয়ে এসেছে দিন
মেঘের মন খারাপ
বৃষ্টি হয়ে কাঁদছে
দিন হয়েছে রাত

দুপুরে সূর্য নেই
পাখি নেই আকাশে
মেঘের মন খারাপ
নীল বলব কাকে?

ডালের ফাঁকে ফাঁকে
পাখির দল গুটিসুটি
কাক ভেজা কাকগুলোকে
আকাশ দিয়েছে ছুটি

কোথায় সূর্য আজ?
কোথায় রৌদ্র আলো?
দুপুরের আজ মন খারাপ
বেলা সেজেছে কালো

ঝুমঝুম ঝুম বৃষ্টি
গান শোনায় কাকে?
মেঘগুলো আমায় ভিজতে
হাতছানি ডাক ডাকে

মেঘগুলো ভেসে বেড়ায় নীলে
আমি তাদের পাখি বলে ডাকি
আমার আকাশে ওড়াউড়ি করে
ধরতে গেলেই ফাঁকি

দিন আঁধার হয়েছে আজ
মেঘের মন খারাপ
আকাশে কাঁদছে মেঘ
আমার মন হয়েছে রাত।

ভালোবাসায় ছুঁয়ে ছুঁয়ে

ভালোবাসায় ছুঁয়ে ছুঁয়ে

যখন তুই পাশে জেগে
ভালোবাসা ছুঁয়ে ছুঁয়ে;

ছুঁয়ে ছুঁয়ে তোর কালো চুল
চুল বেয়ে কপাল
কপাল থেকে চোখ চুমে চুমে ঠোঁট
আহা ছাড় না!
বড্ড ডাকাত তুই
ওভাবে কেও কামড়ে ধরে?

ঠোঁট থেকে তোর গলা ছুঁয়ে ছুঁয়ে বুকে নামতেই তুই নদী
ততক্ষণে আমি পাথর
বুক বেয়ে নাভি ছুঁয়ে ছুঁয়ে নামতেই সাগর
অনেকক্ষণ ডুব সাঁতারে লোনা হলাম দুজন
তারপর ক্লান্তিতে বুকে ঢলে পড়লি তুই
আমি তোর চুল ছুঁয়ে ছুঁয়ে আদর
আদর কপাল চুমে
ঠোঁটে ঠোঁটে
সারারাত তুই গভীর ঘুমে;

যখন তুই পাশে ঘুমিয়ে
ভালোবাসা ছুঁয়ে ছুঁয়ে;

আমি একটু পর পর তোকে আদরে চুমে চুমে
ভালোবাসাবাসির রাতে আমার কি আর ঘুম হয়?
রাতভর তুই আমার বুকে
আমি তোকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে
চুলে
কপালে
গালে
সারা শরীরে
ছুঁয়ে ছুঁয়ে
ভালোবাসায় আদরে আদরে;

তুই ঘুমা, নিশ্চিন্ত ঘুমে;
আমি জেগে আছি
ভালোবাসায় তোকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে।

কোথাও মেঘ নেই আমার আকাশে

আমার আকাশটা বড্ড শুকনো শুকনো
ঘোলাটে নীল নীল,
একটি দুটি মেঘ না থাকলে কি ভালো লাগে?
কিংবা একটি দুটি পাখি;

তোর আকাশে বড্ড মায়া
মেঘের মত ভেজা ভেজা,
তোর বুকের সবুজ পুকুরে অনেক শ্যাওলা
ভালোবাসায় যখন তখন ভেজাতে চাস আমাকে,
আরে বোকা মেয়ে!
সবুজ কি কখনো নীলকে ঢেকে দিতে পারে?
তবুও কেন এত ভালোবাসিস আমাকে?
কেন পাখি হয়ে উড়তে চাস আমার আকাশে!
ভালো করে চেয়ে দেখ
কোথাও মেঘ নেই আমার আকাশে।

আমি সারারাত অন্ধকারে চেয়ে থাকি

তোর ইচ্ছেগুলো প্রখর সূর্য
আমি পুড়ে যাই বারে বারে,
সূর্যকে কি আর প্রতিহত করা যায়?
আলো বিলাতে;
তুই বড্ড আলো
চোখ ধাঁধানো;

আমার ইচ্ছের ডানা নেই পাখির মত
উড়ে এসে বসতে পারে না তোর বুকে,
তবুও তুই একতরফা আলো দিয়ে যাস
অন্ধকার ভালোবেসে,
আমার ইচ্ছেগুলো যদি চাঁদ হতো
ভালোবাসা হয়তো কিছু আলো পেতো;

আমার চাঁদনি হবি তুই?
ভালো না বেসে;
যাহ্‌! তা কি করে হয়?
চাঁদনির কি দেখা মেলে?
অমাবস্যা রাতে;

আচ্ছা! অন্ধকারে কি কবিতা লিখা যায়?
রাতের কলমে সূর্য কালি কোথায়?
তবুও তোর কথা ভাবতে গেলেই মন কবিতা হয়ে যায়
আর তোকে কবিতায় আঁকতে গেলেই
চোখ থেকে ঘুম হারায়,
আমি সারারাত অন্ধকারে চেয়ে থাকি
অন্ধকার চোখে।

💂‍

আমার পুরো অস্তিত্বের মাঝে

সূর্য বলে তার কাছে তুই নেই
দিনের আলোতেও তুই নেই,
নেই রাতের অন্ধকারে,
চাঁদ বলে তুই তার কাছে নেই
জ্যোৎস্না বলে নেই তার আলোতে
নক্ষত্র বলে মিটিমিটি জোনাকে তুই নেই
আকাশ ও সাগর বলে নেই তুই তাদের নীলে
চোখ বলে নেই তুই স্বপ্নে
অথচ মন বলছে তুই আছিস
কোথাও না কোথাও তো তুই আছিসই;

তোকে খুঁজতে শুরু করলাম মনের ঘরে,
মন খুঁড়তে খুঁড়তে যতই গভীরে ঢুকছি
ততই পাচ্ছি তোকে
আমার পুরো অস্তিত্বের মাঝে
হৃদয়ের খাঁজে খাঁজে
তোতে তুইময় হয়ে ………

♥♥

মনের স্থান কোথায় শরীরে?

সারাদিন কাজের শেষে সন্ধ্যা নামতেই
ক্লান্তিতে আমার শরীর ঘুম ঘুম
আমি স্বপ্ন দেখছি আধখোলা চোখে
– তোর সাথে প্রেম করছি

বাতাসে বাঁশের ঝাড় দুলে উঠতেই শোঁ শোঁ শব্দ
আকাশে এত্তবড় একটা চাঁদ
আর বাঁশ ঝাড় চুইয়ে জ্যোৎস্না নামছে
তোর মাথা আমার কাঁধে
আমার হাত তোর কোলে
তুই চুমু খেতেই স্বপ্ন ভেঙে গেলো

আমি গা ঝাড়া দিয়ে উঠে আবার ছুটলাম কাজে

আমার পুরাটাই শরীর
মনের স্থান কোথায় শরীরে?

তবুও চোখ যে কেন স্বপ্ন দেখে?

একে কি ভালোবাসা বলে?

তোর কথা আমি ভাবতে চাই না
দুপুর রোদে তোর কথা ভাবলেই মন মেঘলা
মেঘলা বিকেলে তোর কথা মনে এলেই মন বৃষ্টি
বৃষ্টির টাপুর টুপুরে তুই মনে এলেই চারিদিকে ঝড় ওঠে
রাতের বেলায় তোকে মনে করলেই আকাশ চাঁদনি
তোকে খুঁজে না পেলেই চোখ অমাবস্যা
ঘুমঘোর আবেশে তুই মনে এলেই চোখ স্বপ্ন
স্বপ্নে তোকে না পেলেই আমি রাত হই নির্ঘুম চোখে
এমন কেন হয় বলতে পারিস?
একে কি ভালোবাসা বলে?
উঁহু!
তুই তো সেই কবেই বলে দিয়েছিস
– “আমি প্রেম বুঝি না”
– “আমি ভালোবাসতে জানি না”;
তারপর অভিমানে চাঁদ হয়ে গিয়েছিস
আমায় অমাবস্যা করে;

জানিস!
এখন আর আমি তোকে ভাবতে চাই না
তবুও কেন যে মনে আসিস? প্রতিনিয়ত ক্ষণে ক্ষণে
যখন তখন মনের ঘরে, সংগোপনে;
আমায় মেঘ করে
বৃষ্টি ঝরে
ঝড় তুলে
স্বপ্ন দিয়ে
আর চোখ কান্না হয়ে;

তোকে ভাববো না ভাববো না জপতে জপতে
আমার দিন কাটে তোকে ভেবে ভেবে
আর রাত কাটে নির্ঘুম চোখে;

একে কি ভালোবাসা বলে? 😞

স্বপ্নগুলো এত নীল হয় কেন?

ঝিরঝির ঝিরঝির চাঁদনি ঝরছে আকাশ থেকে
সেই সন্ধ্যে থেকে,
নবমীর চাঁদে জ্যোৎস্না হয় এত?
আমি ভিজে যাচ্ছি ক্রমাগত;

ভিজে যাচ্ছে কুয়াশা
ভিজছে পাখির ডানা
ল্যাম্পপোস্টের বাতিগুলো
নারকেল পাতায় তো ঝুমঝুম নেমেছে
দেখ! চাঁদনি কেমন পিছলে পড়ছে
ফাঁকা রাস্তাটা পুড়ছে চাঁদের আলোতে
ভিজে ভিজে পুড়ছি আমি
শুধু শুকিয়ে আছে আমার ছায়া
একদম আমার পাশে থেকে,
চাঁদের কি সাধ্য ভেজায় তাকে;

অনেকক্ষণ ছায়াটার দিকে তাকিয়ে থেকে মনটা বড্ড বিষণ্ণ হয়ে গেলো
আচ্ছা একটা ছায়া কতই না ভিন্ন হয় মানুষটা থেকে
যত চাঁদের আলোই ফেলা হোক না কেন
ভেজানো যায় না তাকে,
কি?
সূর্য দিয়ে পোড়াবে?
তাও তো চেষ্টা করেছি প্রখর রোদে
পুড়েছি আমি বারে বারে
তবুও কোন ভাবেই পোড়াতে পারি নি ছায়াটাকে;

আচ্ছা ভালোবাসা কি ভেজানো যায়?
বৃষ্টিতে?
জ্যোৎস্নাতে?
পোড়ানোও তো যায় না তাকে!
সূর্যে কিংবা চাঁদে;

যতবারই ভিজতে চেয়েছি তোতে
ভিজে গিয়েছি বৃষ্টিতে
ভিজে গিয়েছি চাঁদনিতে
ভেজাতে পারি নি তোকে
ভালোবেসে;
যতবারই পোড়াতে চেয়েছি মন
পুড়েছি সূর্যে
পুড়েছি ভালোবাসায়
পোড়াতে পারি নি তোকে
ভালোবেসে;

একদিন ঝমঝম দ্বাদশী জ্যোৎস্নায় খুব ভেজার ইচ্ছে
তোর সাথে,
সেদিন কিন্তু সারারাত থাকতে হবে আমার কাছে
হাতে হাত রেখে
ঠোঁটে ঠোঁট রেখে
চাঁদে আর ভালোবাসায় চুপচুপে ভেজা হয়ে,
তারপর না হয় ভোরের রোদে পুড়ে ঘুমিয়ে যাব দুজন দুজনার বুকে;

আহহ্!
স্বপ্নগুলো এত নীল হয় কেন?

পুরো স্বত্বা জুড়ে শুধুই একজন

আমি যাকে বলি
সে শোনে না,
শোনে অন্যজন
বোঝে অন্য আরেকজন;

যার জন্য আমার মন পোড়ে
সে বোঝে না,
বোঝে অন্যজন
আমাতে মন পোড়ায় অন্য আরেকজন;

যার সাথে আমি অভিমান করি
সে বোঝে না,
বোঝে অন্যজন
আমার সাথে অভিমান করে থাকে অন্য আরেকজন;

আমি যাকে ভালোবাসি
সে বোঝে না,
বোঝে অন্যজন
আর আমায় ভালোবাসে অন্য আরেকজন;

আমার মন জুড়ে শুধুই
– ‘এক তুই’
আর আমার চারিদিকে ষড়ভুজ প্রেমের অষ্ট মন;

অথচ আমার তুই আমায় শোনে না
আমার তুই কিছুই বোঝে না
না বোঝে মন
না প্রেম
না অভিমান
না অনুরাগ
না ভালোবাসা;

অথচ দেখ!
আমার পুরো স্বত্বা জুড়ে শুধুই একজন
– “ভালোবাসার এক তুই”।

😘

ঝুমঝুম বৃষ্টিতে নাকি কবিতা নামে

ঝুমঝুম ঝুমঝুম বৃষ্টিতে নাকি কবিতা নামে

বাইরে তুমুল বৃষ্টি
মুষলধারে,
কই?
কোন ভাব তো খেলা করেছে না মনের মাঝে!

অনেকক্ষণ এপাশ ওপাশ করে শেষমেশ বিছানা থেকে উঠে পড়লাম
জানালা খুলে দিতেই ঝমঝম বৃষ্টির ঝাপটা ভিজিয়ে দিলো আমায়,
বেশ কিছুক্ষণ ধরে বাইরে তাকিয়ে আছি
বৃষ্টি দেখছি
কবিতা খুঁজছি
কোথায় কবিতা?
চুপচুপে ভেজাই সার হলো শুধু
কোথাও কবিতে খুঁজে পেলাম না
অন্ধকারে কোথাও দেখলাম না ভাবের খেলা,
যতসব বাজে কথা
কে বলেছে বৃষ্টি মানেই কবিতা?
ঘণ্টার পর ঘণ্টা বৃষ্টি দেখতে দেখতে যা বুঝলাম, তা হলো
বৃষ্টি মানে ভিজে যাওয়া;

আজকের মতই কোন এক রাতে জ্যোৎস্না দেখেছি
সারারাত ভিজে
সেদিনও কোথাও কবিতা খুঁজে পাই নি
ভাবের বজ্রপাতও ঘটে নি কোথাও,
কে বলেছে চাঁদনি কবিতা?
সারারাত আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকে সেদিন শুধু শুধুই চোখ ব্যথা করেছি
কোথাও কাব্য খুঁজে পাই নি;

বৃষ্টি
জ্যোৎস্না
এ সবই এক একটি ঘটনা
চোখে দেখা যায়;
কাব্য?
কবিতা?
আরে ওগুলো উর্বর মস্তিষ্কের কল্পনা,
মন মরে গেলে কি আর কবিতা হয়?

কবিতা দেখতে গিয়ে ভেজাই হলো সার,
আজ বৃষ্টিতে
সেদিন জ্যোৎস্নায়,
অনেক রাত হলো
যাই মাথা মুছে ঘুম দেই;

যার মন ভালোবাসা
সে লিখুক না হয় কবিতা।

আমি ঘুমিয়ে পড়ি স্বপ্ন চোখে

একটা মেয়ে,
থাকে অনেক দূরে
অথচ অনুভবে কাছে
একদম বুকের পাশে,
উঁহু, পাশে না রে
ভেতরে,
বুকের খাঁচায়
হৃদপিণ্ডের ভেতরে
রক্তের সাথে মিশে;

একটা মেয়ে,
থাকে অনেক দূরে
আমি তাকে ছুঁতে পারি না
ধরতে পারি না বুকে চেপে
অথচ সে থাকে আমার ভেতর
অনুভবে আর অনুভবে;

যখনই আমার চোখে ঘুম উধাও
আমি বুঝতে পারি তার বড্ড মন খারাপ
আমি তাকে কলমে আঁকার চেষ্টা করি
অথচ ছবি না হয়ে সে হয়ে যায় কান্না
তোমরা বলো কবিতা
ধ্যাত! আমি কি কবিতা লিখি?
আমি তো শুধুই ভালোবাসি;

তার হাসিতে আমার জানালায় রোদ
সে নীল হলে আমি আকাশ দেখি
সে ঘুমিয়ে গেলে আমার চোখ রাত্রি
যখন তার মন ভালো থাকে, সে গান গায় সেই সুদূরে
আমি ঘুমিয়ে পড়ি স্বপ্ন চোখে;

ওরে ও মেয়ে
তোর নাম কি কবিতা?
না রে! না,
আরে বোকা, তুই’ই তো আমার কবিতা;

আচ্ছা!
তোর নাম কি ভালোবাসা?
ওরে ও বোকা মেয়ে,
তুই’ই যে আমার ভালোবাসা।

তোর কথা মনে হলেই
আমি কাগজে কলম বুলাই,
কবিতা হোক আর না হোক
তোকে ভালোবাসা হয়ে যায়।

😘😘😘

রৌদ্র কিনতে সূর্যের হাটে

একদিন খুব ভোরে রৌদ্র কিনতে গিয়েছিলাম সূর্যের হাটে,
ওমা!
গিয়ে দেখি বৃষ্টি বিক্রি হচ্ছে মেঘের দরে,
আলো রয়ে গেলো আমার অধরা হয়ে
ধুসর মনে চলে গেলাম সাগর পারে
মন খারাপের ভেলায় চড়ে;

ইচ্ছে হলো তোর জন্য কিছু বালি কিনে নিয়ে যাই
যেই না মুঠো ভরে বালি তুলে নিলাম
অমনি এক বিশাল ঢেউ ডুবিয়ে দিলো আমায়,
শরীর থেকে লবণ ঝাড়তে গিয়ে দেখি
টনে টনে লবণ বিক্রি হচ্ছে কান্নার দরে
এক ফোঁটা কান্না হাতে নিতেই চোখ ঝাপসা হয়ে আসলো আমার
না কেনা হলো বালি, না লবণ
খালি হাতে চলে এলাম সন্ধ্যার কাছে
মনে মনখারাপ সঙ্গী করে;

ওখানে এসে দেখি বিষণ্ণতার হাট বসেছে সূর্যের লালে
দিগন্ত নীল মাঠ জুড়ে চলছে রাত্রির দেদার বেচাকেনা
আর আকাশ হাটে একটি মাত্র শুকতারা
ব্যাপক দাম হাঁকাচ্ছে তারার ব্যাপারী,
কেও কেও জ্যোৎস্না কিনে নিয়ে যাচ্ছে চাঁদের থলেতে ভরে
আমি অন্ধকার দামে কিছু স্বপ্ন কিনে হাঁটা ধরলাম তোর ঘরে;

তুই কি ঘুমিয়ে গিয়েছিস?
আচ্ছা, ঘুমা;
আমি স্বপ্নগুলো রেখে যাচ্ছি তোর চোখের কোণে
ঘুম ভেঙে ঠোঁটে লবণ অনুভব করলে বুঝবি চুমু খেয়েছিলাম ভালোবেসে
তারপর চলে এসেছি বহু, বহুদূরে
নিঃস্ব হয়ে, নিঃসঙ্গতা সঙ্গী করে;

আমি কখনো ক্রেতা হতে পারি নি রে,

না দিনের, না রাতের
না মেঘের, না বৃষ্টির
না চাঁদের, না তারার
না প্রেম, না ভালোবাসার

না হতে পেরেছি বিক্রেতা;

সারাজীবন চোখ ভরা জ্যোৎস্নার স্বপ্ন নিয়ে চোখ জ্বালিয়েছি প্রখর রোদে
আর বুক ভরা ভালোবাসা নিয়েও কাওকেই রাখতে পারি নি বুকে করে।

আমি ভালোবেসে কান্না হয়েছি

আজকাল বড্ড ডাকাত হয়েছিস তুই
সূর্য থেকে ছিনিয়ে আনিস আলো
রাত থেকে কালো

আমি চাঁদের গায়ে দেখি ছোপ ছোপ কালো
তুই জ্যোৎস্না থেকে ছিনিয়ে আনিস আলো

আমার হৃদপিণ্ড কাটলে শুধুই রক্ত
তুই ছিনিয়ে নিতে চাস ভালোবাসা;
মন কি আর ছিনিয়ে নেয়া যায়?
তোকে বোঝানো দায়

ডাকাতিয়া প্রেমে আমার বড্ড ভয়,
আমি না হয় তোর মনে একটু উঁকিই দিয়েছি
মন কি চুরি করেছি?
তুই শুধু শুধুই ডাকাত হতে গেলি
না হয় ক্ষণিকের জন্য আমায় ছিনিয়েই নিলি
ধরে কি রাখতে পারলি?

এই যে মনে এত এত ভালোবাসা!
একটু চোখের দেখা, একটু কাছে আসা
তারপর তো আবার বিচ্ছেদ,
তুই কি জানিস?
তোকে ছাড়া বড্ড কষ্ট পাই
অথচ দেখ! প্রতি চাঁদ সূর্যে তোতে হারাই
আচ্ছা!
তোর মনেও কি তাই?

আমি ভালোবেসে কান্না হয়েছি
তুই ডাকাত হয়েও নিঃস্ব
জয়ী হলো কে?

হার হলো কার?
তোর?
আমার
না ভালোবাসার?