বিভাগের আর্কাইভঃ শ্রেফ মজা

রাজবংশের রম্য

মুরগী রাজহাঁসের সঙ্গে বিয়ে করে ফেলাতে মোরগ মুরগী কে রেগেমেগে —

-তুই হাঁস কে বিয়ে করলি শেষে !!
আমি কি মরে গিয়েছিলাম..??

-রাগ করিস না রে, আমি তো
তোকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলাম।

কিন্তু মা-বাবা’র ইচ্ছে ছিল …
ছেলে যেন নেভিতে কাজ করে !!

পা’শ থেকে পানকোউরী বললো..
“তাহলে আমাকে রিজেক্ট করেছিলি কেন, আমিও তো নেভিতেই আছি”…।

মুরগী বললো – “মা রাজি হলো না রে”…
বললো.. “ও ছেলে ডুবে ডুবে জল খায়, তাছাড়া বংশটাও রাজবংশ নয় !”

জীবনের অণু পরমাণু-২

http://www.dreamstime.com/royalty-free-stock-photography-boy-dreaming-image2776397

অনেক দিনের লালিত স্বপ্ন ছিল কিছু লেখা লেখি করব কিংবা গঠন মূলক কিছু করব। বিশেষ করে যখন একটা ব্রিটিশ কোম্পানির জাহাজে ডেক ক্যাডেট হিসেবে জয়েন করে হুট করে একেবারে বাংলাদেশের বাইরে এক দেশের বন্দর ছেড়ে আর এক দেশে যেতাম, আসা যাওয়ায় পথে সমুদ্রের নানা রূপ কখনও রুদ্র আবার কখনও শান্ত রূপ দেখতাম, ঢেউ এর তাণ্ডব, উদাসী বালুকাবেলার সম্মোহনী রূপ দেখতাম, আবার এই বালিয়াড়িতে নানা রঙ এর, নানা বর্ণের মানুষের আনন্দ উচ্ছ্বাস দেখতাম। ওদিকে আবার নানা শহরের বিচিত্র মানুষের আনাগোনা রঙ ঢং দেখতাম সেই তখন থেকে।
অনেকদিন এই স্বপ্ন লালন করলেও তখন কিন্তু লেখার সুযোগ পাইনি! সুযোগ পেলাম বা বাস্তবায়ন শুরু করলাম যখন আটলান্টিকের দ্বিপ ব্রিটেনের জীবন কাটাতে শুরু করলাম তখন। হাতে প্রচুর সময় ছিল। সাথে ছিল চারিদিকে সবুজ আর সবুজের সমারোহ আর ছিল তুষার ঝরার স্বপ্নিল মোহনীয় পরিবেশ।
একে একে লিখে ফেললাম ৫/৭টি গ্রন্থ। গল্প, গীতিকবিতা, উপন্যাস এবং নানা কিছু আবোল তাবোল।
দেশে ফিরে এসে এর মধ্যে থেকে কয়েকটা গ্রন্থ আকারে নিজের গাঁইটের টাকা খরচ করে কয়েকটা বই মেলায় প্রকাশ করলাম।

স্বপ্নের ধারা বদলে গেল। সময়ের চাহিদা/ইচ্ছার বহুরূপী চাহিদা/ মনের সুপ্ত বাসনার কারণে ভাবছি শুধু শুধু বই গুলি ঘরের কোণে ফেলে রেখে কি হবে? কে জানবে এই কাহিনীর কথা, আমার এত বছরের সঞ্চিত তিলে তিলে জমানো মেধা, প্রতিভা, অভিজ্ঞতা, ধৈর্য্য এবং পরিশ্রমের ফসল সবাইকে না জানালে এটা কি ব্যর্থ হয়ে অন্ধকার বাক্সের ভিতর ন্যাপথলিনের গন্ধ শুকে শুকে বা বইয়ের শোকাসের ভিতরে শুধু গুমরে কেঁদে এক সময় উই পোকার খাদ্যে পরিণত হবে? এখন মনে হচ্ছে দুইটা উপন্যাস “মম চিত্তে নিতি নৃত্যে” নিটোল এক প্রেমের কাহিনী এবং “নক্ষত্রের গোধূলি” পৃথিবীর ৫টা মহাদেশের পটভূমিকায় নানা শ্রেণীর চরিত্র এসেছে এই উপন্যাসে। এই কাহিনী দুইটি নিয়ে মনে একটা বাসনা জন্মাতে চাইছে নাটক বা সিনেমা করতে পারলে মানুষের মনে সাহিত্যের একটা নতুন দিগন্ত ছড়িয়ে দেয়া যেতো। মানুষকে ভ্রমণ কাহিনীর ছলে সামাজিক নিত্য ঘটা কাহিনীর সাথে আবার নতুন করে জানিয়ে দেয়ার একটা সহজ ও সুন্দর প্রচেষ্টা হতে পারে এক সাথে দুই ফল।
মনে মনে নায়িকা এবং নায়কের চেহারাও একে রেখেছি। কিন্তু নিরালায় একা একা বসে বসে ভাবি এত টাকা কোথায় পাব??
এই একটা প্রশ্নের জন্যেই মনটা থাকে বিষণ্ণ। আহারে! কেনযে এত স্বপ্ন আসে!

একটি চোরের রবীন্দ্রানুরাগের সাজা

একবার এক আদালতে একটি চোরকে এক পুলিশ চোরাই মাল সমেত পেশ করেছে।

বিচারক জিজ্ঞাসা করায় পুলিশটি বললো – ” হুজুর, এই কাপড়ের পুঁটলি তে কিছু কাপড় চোপড় , থালা বাসন ও জুতো চটি সমেত কাঁধে করে একটা বাড়ীর পেছনের দরজা দিয়ে মাঝরা্তে এই লোকটি চুপি চুপি বেড়িয়ে পালাবার চেস্টা কোরছিল, আমি হাতেনাতে ধরে ফেলেছি ও সারারাত লক আপে রেখে আজ আদালতে পেশ করছি”।

বিচারক তখন চোরটি কে জিজ্ঞাসা করলেন – “তুমি চুরি করেছো” ?

চোর – “না হুজুর, আমি রবীন্দ্রনাথের নির্দেশ পালন করেছি শুধু”।

বিচারক – “তার মানে” ?

চোর – “কাল মাঝরাতে আমি শুনতে পেলাম – একটা গান ভেসে আসছে – ‘আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে’। তাই ভাবলাম আমিই বা বসে থাকি কেন – আমিও যাই – তাই বেড়িয়ে পড়লাম। রাস্তা একেবারে শুনশান – বুঝলাম সবাই নিশ্চয়ই বনে চলে গেছে – তখন তাড়াতাড়ি পা চালালাম। হঠাৎ একটা বাড়ির সামনে শুনতে পেলাম গান ভেসে এলো – ‘এসো এসো আমার ঘরে এসো আমার ঘরে’। তাকিয়ে দেখলাম পাশেই একটা ফাঁকা বাড়ী – দরজা জানালা খোলা – কাউকে দেখা যাচ্ছেনা – সোজা ঢুকে পড়লাম আর ঢুকেই শুনতে পেলাম – ‘ ঘরেতে ভ্রমর এলো গুনগুনিয়ে’ খুব খুশি হলাম আর তখনই কানে ভেসে এলো – ‘এবার উজাড় করে লও হে আমার যা কিছু সম্বল’ – কি আর করি, রবীন্দ্রনাথের নির্দেশ তো আর অমান্য করা উচিত হবে না – দেখলাম এই কাপড়টা ঝুলছে – এতে সব মালপত্র বেঁধেছি সঙ্গে সঙ্গে কানে ভেসে এলো – ‘ আজ দখিন দুয়ার খোলা’ – বুঝলাম পেছনের দরজা খোলা – সেখান দিয়েই বেড়িয়ে পড়লাম – সঙ্গে সঙ্গে এই পুলিশটা এসে আমায় ধরলো – ওকে কত বোঝাবার চেষ্টা কোরলাম আমি চুরি করিনি শুধু রবীন্দ্রনাথের নির্দেশ পালন করেছি – তো ব্যাটা বোধহয় রবীন্দ্রনাথের নামই শোনেনি – সোজা ধরে নিয়ে গেল ও আজ আপনার কাছে নিয়ে এসেছে । আপনিই বলুন হুজুর – আমার কি দোষ”।

বিচারক – ” ঠিক আছে, তোমাকে ছয় মাসের সাজা দিলাম – একে জেলে নিয়ে যাও। এই বিষয়ে তোমার রবীন্দ্রনাথ কিছু বলেছেন” ?

চোর – “এ পথে আমি যে – গেছি বারেবার, ভুলিনিতো একদিন ও ——- ”

বিচারক – “জেলে যখন থাকবে – তখন তোমার রবীন্দ্রনাথ কি বলবেন” ?

চোর – “ভেঙ্গে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে” ?

কসম খোদার, তুমি আমার সুন্দরী

কসম খোদার, তুমি আমার সুন্দরী
(সুন্দরী সিরিজের কবিতা)
…………………..
দম মারো দম, তখন টানি হরদম, জয়বাবা ফেলুনাথ
আমার শরৎ সাদা মেঘলা আকাশে তুমি পুর্ণিমারই চাঁদ
চার তলার ছাদ বরাবর তোমার পঞ্চম তলার বারান্দা
চোখর হাসির বাধ ভেঙ্গে যায়, হাতের আঙুলে করি ইশারা
মন যদি মন ছুয়েছে, প্রেম সাগরে ডুবে যেতে কেন তবে দেরী
তেমার জন্য মরতে পারি, কসম খোদার, তুমি আমার সুন্দরী!

জেগে জেগে নির্ঘুম সারা রাত, এক শব্দ লিখে দুই শব্দ কাটি
হৃদয়াবেগের কালি দিয়ে লিখে ফেললাম চার পাতার চিঠি
এদিক ওদিক দেখে শুনে বারান্দাতে চিঠিখানি যেই ছুড়েছি
বুঝতে পেলাম প্রথম দিনেই আমি বড়ই ভুল যে করেছি
চিঠি পরেছে তোমার মায়ের হাতে! থোরাই কেয়ার করি-
তোমার জন্য মরতে পারি, কসম খোদার, তুমি আমার সুন্দরী।

তোমার বড় ভাই, মস্তানীতে জুড়ি নাই, কাঁপে সব লোকে
বীর পুরুষের কলিজা, জুটল সহসা, নিরিহ আমার বুকে
গাছে আমায় বেধে, সকলে একসাথে, মারল কিল-কুনি-ঘুষি
রক্তমাখা ঠোটে, বলছি অকপটে, তোমার বোনকে ভালোবাসি!
প্রেম করেছি বেশ করেছি, মার খেয়ে তবু তোমায় যাইনি ছাড়ি
তোমার জন্য মরতে পারি, কসম খোদার, তুমি আমার সুন্দরী।

একটি চুমু ও একটি থাপ্পরের বৃত্তান্ত

একটি চুমু ও একটি থাপ্পরের বৃত্তান্ত


আমাদের গেদু মিয়া বিজ্ঞানী।
সে দিন ঘরের দেয়ালে একটি টিকটিকি পোকা ধরতে গিয়ে ধপ করে ছাদ থেকে ফ্লোরে পরে গেল তার সামনে । গেদু মিয়া খেয়াল করল টিকটিকিটি ৪৫ ডিগ্রির পরিবর্তে ৯০ ডিগ্রীতে ঝাপ দিতে গিয়ে এই অঘটনটি ঘটিয়েছে। টিকটিকিটি দৌড়ে পালাল। গেদু মিয়া নিশ্চিত বিশ্বাসে উপনীত হলো টিকটিকি পরে মরে না, মরে পরে। গেদু মিয়া এত দ্রুত ভাবতে পারে! মজার ব্যাপার হলো সকাল বেলা উঠানে যখন মোরগ কর কর করে উঠে তখন সে তার ভাষা বুঝতে পারে। মোরগ তার প্রেমিকাকে ডাকছে। এ ব্যাপারে সে যে থিসিসটা তৈরী করে ফেলেছে তাতে সে পশু পাখীদের ভাষার হুবুহু বিবরণ দিয়েছে। কিন্তু তার সমস্যা হল মানুষ নিয়ে, মানুষ গুলো অন্যরকম। মুখে বলে এক আর হৃদয়ে ঝপে আরেক। সে দেখেছে মানুষ ভালোবাসার কথা বলে নির্দিদ্ধায় বোমা ছুড়ে মারতে পারে। সেবার যখন হিরোশিমায় পারমানবিক বোমা মারা হলো তখন তারা শান্তির কথা প্রচার করল। মানুষের ভাষা এমনই চমৎকার!!

তো আমাদের বিজ্ঞানী বহু দিন বহু দেশ ঘুরে বহু পথ পেরিয়ে একটা যন্ত্র আবিষ্কার করলেন। মানুষের মনের ভাষাকে আলাদা করে ফেলতে পারে মুখের ভাষা থেকে। নাম দিলো মনো-মিটার। নেহাতই সে বাংলাদেশে জন্মগ্রহন করেছেন না হলে তাকে নোবেল পুরস্কার দিতে বাধ্য হতেন সুইডিস কর্তৃপক্ষ। অবশ্য এমন আশা সে করেও না কারন তার পূর্বপুরুষ জগদীশ চন্দ্র বসুকে কোনি মেরে নোবেল নিয়ে নিলো মার্কুনি। এই কুনির ভয়ে সে তাই তার যন্ত্র জনসমে প্রকাশ করল না। কিন্তু যন্ত্রটা নিয়ে সে বসে রইল না। মাঝে মাঝে টেস্ট করে নেয়।

একবার ট্রেনে চড়ছিলেন গেদু মিয়া । তার যন্ত্রটা একটা কামড়ায় রেখে সে বসে রইল। কামড়ায় ছিল চার জন। একজন মহিলা অধ্যাপিকা, সুদর্শন যুবক, যৌবতী সুন্দুরী আর একজন রাজনীতিবিদ। তাদের কথোপকথন বেশ উপভোগ্য ছিল।

অধ্যাপিকা: সমাজটা অধ:পতনে চলে যাচ্ছে, যুবক যুবতী অবাধ মেলামেশাই এর প্রধান কার।
যুবক: আমরা সামাজিক আন্দোলন গড়তে পারি।
যুবতী: নারীদের কে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখতে হবে।
রাজনীতিবিদ: রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাটাই পাল্টাতে হবে।

এমন সময় বিদ্যুত্ চলে গেল। সাথে সাথে একটি চুমুর ও থাপ্পরের আওয়াজ পাওয়া গেল। আজব খেলা আবার বিদ্যুত্ চলে এলো। দেখা গেল যুবকের গাল লাল হয়ে আছে। নিশ্চিত যে থাপ্পরটি যুবক খেয়েছে।

গেদু মিয়া বিশাল আগ্রহী হযে উঠল। তার মনো-মিটারে দৃষ্টি দিয়ে বসে রইল।
মনে মনের কথাগুলো যন্ত্রটি পড়তে লাগল।

অধ্যাপিকা: ঠিক আছে, সাবাস মেয়ে , আমার দেশে এমন মেয়েই দরকার। একটু চান্স পাইছে আর… থাপ্পরটি যথার্থ হয়েছে।

যুবতী: আমাকে রেখে ম্যাডামকে? থাপ্পর খাবা নাতো কি খাবা?

যুবক: শালা রাজনীতিবিদ মজা লইলি তুই আর থাপ্পর খেলাম আমি।

রাজনীতিবিদ: নিজের হাতে একটা চুমু দিলাম আর একটা থাপ্পর দিলাম বেয়াদপ পোলাডার গালে। আমারে কেউ সন্দেহ করে নাই তো??/

এভাবে রাজনীতিবিদরা সন্দেহাতীতভাবে নিজেদেরকে অনন্য উচ্চতায় মেলে ধরেন আর ঐ যুবকের মতো আমরা চুমুর আওয়াজ শুনে ও থাপ্পর খেতে খেতে বছরের পর বছর পার করে দেই এবং নতুন খাপ্পরের প্রতীক্ষা করতে থাকি।

কাশেম সমাচার :: তথ্যানুসন্ধান পোস্ট

4827315796_bfeeb71f00

রংপুর বিভাগের মহিমাগঞ্জে ‘কাশেম’ নামটি নিয়ে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছে মানুষ। এই এলাকায় ৪০জন কাশেম বাস করায় কোন লোক কাশেম নামে কাউকে খুঁজতে এলে তাকে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হয়। লোকজন জিজ্ঞাসা করে, কোন কাশেম? কারণ নিজ নিজ কর্মের কারণে মহিমাগঞ্জ বাসী ওই ৪০ কাশেমের আগে একটি করে পদবী জুড়ে দিয়েছে। যেমন …

০১. শেখ কাশেম
০২. পাটোয়ারী কাশেম
০৩. আবুল কাশেম
০৪. চশমা কাশেম
০৫. বোলতা কাশেম
০৬. বোতল কাশেম
০৭. ভেজাল কাশেম
০৮. পিওর কাশেম
০৯. বিডিআর কাশেম
১০. পুলিশ কাশেম
১১. মালয়শিয়া কাশেম
১২. ড্রাইভার কাশেম
১৩. খাঁ কাশেম
১৪. খান কাশেম
১৫. তোতলা কাশেম
১৬. গোল্ডলিফ কাশেম
১৭. ষ্টার কাশেম
১৮. চিকা কাশেম
১৯. নাককাটা কাশেম
২০. গালকাটা কাশেম
২১. লম্বা কাশেম
২২. খাটো কাশেম
২৩. আলু কাশেম
২৪. মরিচ কাশেম
২৫. মোল্লা কাশেম
২৬. চৌধুরী কাশেম
২৭. ফর্শা কাশেম
২৮. আলসে কাশেম
২৯. জুতা কাশেম
৩০. জিন্স কাশেম
৩১. পানওয়ালা কাশেম
৩২. মুক্তিযোদ্ধা কাশেম
৩৩. লেবার কাশেম
৩৪. ব্যাপারী কাশেম
৩৫. মুনশী কাশেম
৩৬. রিক্সা ওয়ালা কাশেম
৩৭. পকেটমার কাশেম
৩৮. চোরা কাশেম
৩৯. ধুণকর কাশেম
৪০. সেক্সি কাশেম

উল্লেখ্য কাশেম প্রামাণিক নামে একজন ১১টি বিয়ে করায় এলাকাবাসী তার নাম দিয়েছে সেক্সি কাশেম।

( লিখার উদ্দেশ্য বিশেষ এলাকা কিংবা কাউকে হেয় করার জন্য নয় )
দেখুন আপনার এলাকায় অথবা জানা মতে আর কোন কাশেম বাদ গেলো কিনা !!

mz_4087361_bodyshot_300x400-21
9-19 2464

কেউ কথা রাখেনি

oldman

মূলঃ সূনীল গঙ্গোপাধ্যায়

কেউ কথা রাখেনি, তেইশ বছর কাটলো, চুলও কথা রাখেনি
ছেলে বেলায় টিভিতে, এক নায়িকা তার বিজ্ঞাপনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিল
শূকর মার্কা তেলে সাতদিনে চুল ঘন হবে।
তারপর কতো দিন, মাস, বছর চলে গেল কিন্তু সেই ঘন চুল
আর হলো না
এগার বছর প্রতীক্ষায় আছি।

মামা বাড়ির চাকর কাদের আলী বলেছিল, ধৈর্য ধর দাদা ঠাকুর
তোমাকে আমি তিন পাগলীর চুল দেখাতে নিয়ে যাবো
সেখানে ওদের ঝাঁকড়া চুলে উকুন আর খুশকি
খেলা করে।

কাদের আলী, আমি আর কতো ধৈর্য ধরবো? আমার মাথার টাক পড়ে
ফুটবল মাঠ হয়ে গ্রীবা স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায়
তিন পাগলির চুল দেখাবে?

একটাও গোল চিরুনি কিনতে হয়নি কখনো
ঝাঁকড়া চুল দেখিয়ে দেখিয়ে রাহুল কাট্ মেরেছে কলেজের ছেলেরা
হ্যাবলার মতন গার্লস কলেজের গেটে দাঁড়িয়ে দেখেছি
ভেতরের বরণ উৎসব
হলুদ জমিন, লাল পাড়ের শাড়ি পরা ফর্সা মেয়েরা
কতো রকম আমোদে হেসেছে
আমার দিকে তারা ফিরেও চায়নি।

হাফ টেকো রমজান আমার কাঁধ ছুঁয়ে বলেছিল, দেখিস একদিন আমরাও…
রমজান এখন পুরো টেকো, আমাদের দেখা হয়নি কিছুই
সেই গোল চিরুনি, সেই রাহুল কাট্ , সেই বরণ উৎসব
আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবে না!

গায়ের মধ্যে বাদামি তোয়ালে জড়িয়ে পাড়ার নাপিত সুরিন্দর বলেছিল,
যেদিন চুলের মধ্যে- সত্যিকারের কালো মেহেদী লাগাবে
সেদিন তোমার মাথাও তোয়ালের উলের মত ঘন চুল চুল হবে!

চুলের জন্য আমি হাতের মুঠোয় টাকা নিয়েছি
দূরন্ত সব হেকিমের কাছে গিয়েছি
ফার্মাসি তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮ টা ই-ক্যাপ।
তবু কথা রাখেনি চুল, এখন আমার মাথায় শুধুই টাক
কখনো সে যে কোনো মরুভূমি!

কেউ কথা রাখেনি, তেইশ বছর কাটলো, চুল কথা রাখেনা!

n1831246912_20071393_n

httpv://youtu.be/t_L2qgZ-2_8

দেড় ডজন ভাই

sisimpur_2

ভারী ভারী লিখায় যখন ব্লগ ভরে যায়, মন্তব্যে উত্তর দিন ঘরে যখন ইমোটিকনের ব্যবহার হয়ে ওঠে অপ্রয়োজনীয়, ক্যানো জানিনা, মনে তাগিদ জাগে পরিবেশ সামান্য হাল্কা হোক। আজকের এই ভাই তত্ব মুদ্রিত হলো রিফ্রেশ তৈরীর উদ্দেশ্যে। নিজেকে কিংবা কোন ব্যক্তি বিশেষ অথবা গোষ্ঠিকে টার্গেট করার জন্য নয়। জাষ্ট হ্যাভ ফান।
আসুন পরিচিত হই…

১. আসাদুজ্জামান নূর : বাকের ভাই।

২. তারিক আনাম : লাট ভাই।

৩. লে. জে. হু. মু. এরশাদ : বিশ্বপ্রেমিক ভাই।
(পটুয়া কামরুল হাসানের মতে, বিশ্ববেহায়া)

৪. আটরশির মুরিদান : জাকের ভাই।

৫. একই পীরের শিষ্য : পীর ভাই।

৬. মানুষ জবাই করতে ভয় নেই যার : জামায়াতী ভাই।

৭. এহতেশাম : নায়িকাদের দাদু ভাই।

৮. আজিজ মোহাম্মদ ভাই : লেডি কিলার ভাই।

৯. সহজেই যার কান টানা যায় : স্ত্রীর ভাই। (শ্যালক)

১০. ইউনিভার্সিটির ফার্ষ্ট ইয়ারের মেয়েদের টার্গেট : মাষ্টার্সের ভাই।

১১. রোমিওদের খাতিরের চেষ্টা যার সঙ্গে : লেডিস হলের দারোয়ান ভাই।
( মেয়েদের ভাষায় দাদু ভাই )

১২. এতো কাছে তবু এতো দূরে : সৎ ভাই।

১৩. কলুর বলদ : বড় ভাই।

১৪. কমন ভাই : ব্লগের ব্লগার ভাই।

১৫. ফাঁকি ভাই : রাখি ভাই।

১৬. চোরে চোরে : মাসতুতো ভাই।

১৭. সবচেয়ে মজার ভাই : তালতো ভাই। (মেয়েদের ক্ষেত্রে)

১৮. সবচেয়ে ক্ষমতাধর ভাই : বড় ভাই। (লিডার/ মাস্তান অর্থে)

7005.1259915949.image001
বন্ধুরা, ইচ্ছে করলে আপনারাও ভিন্ন ভাই যোগ করতে পারেন। তখন না হয় দেড় ডজন থেকে সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়া যাবে।

১৯. বিয়ে করার ফলে নতুন যে ভাই শ্রেনীর উদ্ভব হয়: কমান্ডো ভাই। d

২০. নির্বাচনে প্রার্থী ভাই : আমার ভাই তোমার ভাই। (বাপ-চাচা’র ক্ষেত্রেও) w
২১. মঈন চৌধুরী : ১৪ নম্বর ভাই। r
২২. ১২ ভাই এর পর ১৩ নং : আনলাকি থার্টিন ভাই। t
২৩. টেম্পোরারি নজর – পাড়াত বোন। y

drunk

কেউ কথা রাখেনি

neelblog_1214332070_1-stars-in-the-sky_57

মূলঃ সূনীল গঙ্গোপাধ্যায়

কেউ কথা রাখেনি, তেইশ বছর কাটলো, চুলও কথা রাখেনি
ছেলে বেলায় টিভিতে, এক নায়িকা তার বিজ্ঞাপনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিল
শূকর মার্কা তেলে সাতদিনে চুল ঘন হবে।
তারপর কতো দিন, মাস, বছর চলে গেল কিন্তু সেই ঘন চুল
আর হলো না
এগার বছর প্রতীক্ষায় আছি।

মামা বাড়ির চাকর কাদের আলী বলেছিল, ধৈর্য ধর দাদা ঠাকুর
তোমাকে আমি তিন পাগলীর চুল দেখাতে নিয়ে যাবো
সেখানে ওদের ঝাঁকরা চুলে উকুন আর খুশকি
খেলা করে।

কাদের আলী, আমি আর কতো ধৈর্য ধরবো? আমার মাথার টাক পড়ে
ফুটবল মাঠ হয়ে গ্রীবা স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায়
তিন পাগলির চুল দেখাবে?

একটাও গোল চিরুনি কিনতে হয়নি কখনো
ঝাঁকড়া চুল দেখিয়ে দেখিয়ে রাহুল কাট্ মেরেছে কলেজের ছেলেরা
হ্যাবলার মতন গার্লস্ কলেজের গেটে দাঁড়িয়ে দেখেছি
ভেতরের বরণ উৎসব
হলুদ জমিন, লাল পাড়ের শাড়ি পরা ফর্শা মেয়েরা
কতো রকম আমোদে হেসেছে
আমার দিকে তারা ফিরেও চায়নি।

হাফ টেকো রমজান আমার কাঁধ ছুঁয়ে বলেছিল, দেখিস্ একদিন আমরাও…
রমজান এখন পুরো টেকো, আমাদের দেখা হয়নি কিছুই
সেই গোল চিরুনি, সেই রাহুল কাট্ , সেই বরণ উৎসব
আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবে না!

গায়ের মধ্যে বাদামি তোয়ালে জড়িয়ে পাড়ার নাপিত সুরিন্দর বলেছিল,
যেদিন চুলের মধ্যে- সত্যিকারের কালো মেহেদী লাগাবে
সেদিন তোমার মাথাও তোয়ালের উলের মত ঘন চুল চুল হবে!

চুলের জন্য আমি হাতের মুঠোয় টাকা নিয়েছি
দূরন্ত সব হেকিমের কাছে গিয়েছি
ফার্মাসী তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮ টা ই-ক্যাপ।
তবু কথা রাখেনি চুল, এখন আমার মাথায় শুধুই টাক
কখনো সে যে কোনো মরুভূমি!

কেউ কথা রাখেনি, তেইশ বছর কাটলো, চুল কথা রাখেনা!

httpv://www.youtube.com/watch?v=t_L2qgZ-2_8