বিভাগের আর্কাইভঃ শ্রেফ মজা

1 - NA

বিভিন্ন দেশের জাতীয় প্রাণীসমূহ – ০১

পৃথিবীর প্রতিটি দেশেরই জাতীয় পশু রয়েছে।
ধরুন আপনাকে যদি বলি বাংলাদেশের জাতীয় পশু কি?
আপনি বলবেন রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
১০০ তে ১০০ পেয়ে পাশ।

এবার যদি জানতে চাই, বাংলাদের জাতীয় প্রাণীগুলি কি কি?
পাখির নাম দোয়েল, মাছের নাম ইলিশ এই পযর্ন্ত বলে যদি থেমে যান তাহলে ফুল মার্ক পাবেন না।
এই তালিকাতে আরো একটি প্রাণী রয়েগেছে………

যাইহোক, এই সিরিজে আমি পৃথিবীর প্রায় সবগুলি দেশের জাতীয় প্রাণীগুলিকে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো। আজ প্রথম কিস্তিতে ১০টি দেশের প্রাণীদের হাজির করছি, বাকিগুলিও একে-একে এসে যাবে।

১। এ্যালবেনিয়া :

ঈগল (Eagle)

সিংহ (Lion)

ড্রাগন (Dragon)

=============================================

২। আলজেরিয়া :

Fennec Fox (বাংলা নাম জানা নেই)

=============================================

৩। আরমেনিয়া :

ঈগল (Eagle)

ড্রাগন (Dragon)

=============================================

৪। এন্টিগুয়া & বারবুডা:

নীল তিমি (Blue Whale)

=============================================

৫। এ্যানগোলা:

Magnificent Frigatebird (বাংলা নাম জানা নেই)

=============================================

৬। আর্জেনটিনা :

পুমা (Cougar)

Hornero (বাংলা নাম জানা নেই)

=============================================

৭। অস্ট্রেলিয়া

কেংঙ্গারু (Kangaroo)

ইমু (Emu)

কোয়ালা (Koala)

=============================================

৮। অস্ট্রিয়া

Black Eagle (বাংলা নাম জানা নেই)

=============================================

৯। বাহামা

Blue Marlin (বাংলা নাম জানা নেই)

Flamingo (বাংলা নাম জানা নেই)

=============================================

১০। বাংলাদেশ

রয়েল বেঙ্গল টাইগার (Royal Bengal Tiger)

দোয়েল (Oriental Magpie Rob)

শুশক নামে পরিচিত (Ganges River Dolphin)

ইলিশ (Hilsa)

তথ্য ও ছবি : সংগ্রহীত

বঙ্গবাসীর পুস্তক প্রীতি

সকল বঙ্গবাসী কবি বলিয়া অত্যন্ত দক্ষতার সহিত নিজেদের পরিচিত করিয়াছেন এমনকি তাহাদের কেও কেও কবিদের কাকের সহিত গণনা করিতেও কুণ্ঠা বোধ করেন নাই। তবে একথা সত্য যে এই বঙ্গ কবিই একদিন বিশ্বখ্যাত নোবেল পুরস্কার আয়ত্ত করিয়া সকল বঙ্গবাসীকে কবির আসনে বসাইয়া দিয়াছেন। ইহাতে সকলের মনে কবি হইবার বাসনা অত্যন্ত প্রকট রূপে দেখা দিয়াছে এমন করিয়া ভাবিলে দোষের কিছু দেখা যায় না।
একজন কবি বা লেখক কিংবা ঔপন্যাসিক যাহাই বলেন না কেন তিনি লিখতে বসিবার পূর্বে বহুকাল ধরিয়া ভাবিতে থাকেন। ভাবনার বৃক্ষ যখন কিছুটা বিস্তৃত হয় তখন তিনি হাতে কলম ধরিয়া কাগজ পত্র লইয়া বসেন। আজকাল অবশ্য কাওকে কালি কলম বা কাগজের বোঝা বহন করিতে হয় না কেবল একখানা কম্পিউটার হইলেই কর্ম সম্পাদন করা অতি সহজ। ইহা যশবান বৈজ্ঞানিক বৃন্দের কর্মফল বলিয়া তাহাদের অন্তত এক কুড়ি ধন্যবাদ জানান উচিত।
আচ্ছা ঠিক আছে ধন্যবাদ ইত্যাদি পরে দিলেও তেমন ক্ষতি হইবে না এই সময় যাহা বলিতেছিলাম, লেখক মহাশয় লিখিতে বসিলেন। ঘণ্টা, দিন মাস, বছর ব্যাপিয়া লিখিয়া এবং অন্তত দুই কুড়ি দফায় পাঠ করিয়া (এডিট) অবশেষে একখানা গ্রন্থ রচনা করিলেন এবং যেহেতু আজকালের পুস্তক প্রকাশক অত্যন্ত বুদ্ধিমান বলিয়া নিজের টাকা খরচ করিয়া লেখকের হাবিজাবি লেখা প্রকাশ করিতে চাহেন না বলিয়া শতেক পুস্তক প্রকাশকের দুয়ারে ঘুরিয়া ঘর্মাক্ত হইয়া নিজ গাঁইটের টাকা খরচ করিয়া সত্যি সত্যি এক খানা গ্রন্থ ছাপাইয়া ফেলিলেন। নিজের লেখা গ্রন্থখানা সুন্দর ছবিওলা মলাটের ভিতরে ছাপার অক্ষরে দেখিয়া যারপরনাই পুলকিত হইলেন।
লেখক মহাশয় পুলকিত হইলে কি হইবে তাহার পুস্তকের প্রতি কাহারো কোন আগ্রহ নাই কারণ সকলেই জানে এই গদাধর মিয়া বা মশাই আবার কি লিখিতে জানে? ইহার লেখা মূল্য দিয়া ক্রয় করা মানেই হইল স্বেচ্ছায় নিজ পকেটের টাকা গঙ্গায় ফেলিয়া দেওয়া। আচ্ছা বলুন তো আজকাল কি আর এইরূপ আহাম্মক দেখা যায়?
লেখক মিয়া একে বলে ওকে বলে জান আমার লেখা একটি বই ছাপা হইয়াছে, দেখ কি সুন্দর তাই না?
বাহ! বেশ সুন্দরতো আমাকে একটা সৌজন্য কপি দিয়ে দাও তাহলে! তুমি একান্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধুজন তাই একটা সৌজন্য কপি আমার অধিকার!
ইহা শুনিয়া লেখকের লেখার ইচ্ছা কর্পূরের মত সপ্ত আকাশে উড়িয়া গেল কিন্তু বন্ধু জনের সৌজন্য কপি না দেয়ার মত ক্ষমতা অবশিষ্ট রহিল না। ওদিকে বন্ধু জন উক্ত সৌজন্য কপি বগলদাবা করিয়া বাড়িতে লইয়া গেল এবং যথারীতি বসার ঘরের তাকে সাজাইয়া রাখিল। কিছুদিন পর লেখক বন্ধু জিজ্ঞাসা করিল
ওহে বন্ধু আমার পুস্তক খানা পাঠ করিয়া তোমার অনুভূতি কেমন হইল?
হা হা আমি অত্যন্ত মনযোগ দিয়াই পাঠ করিয়াছি কিন্তু বন্ধু তোমার হাত এখনও ঠাকুর মশাইর মত পাকিয়া উঠেনি!

DSC_6890 - Copy

আতা কাহিনী

আতা ফল কোনটি?
আতা আর সীতা কি একই ফল?
আতা আর সরিফার পার্থক্য কি?
আতার আরেক না কি নোনা?

এই প্রশ্নগুলি মাঝে মাঝেই দেখতে পাই। মাঝে মাঝে বেশ ভালো রকমের যুক্তি-তর্কও দেখার সুযোগ হয়। অনেক দিন ধরেই ইচ্ছে ছিল এই বিষয়ে কিছু তথ্য উপস্থাপন করবো, আজ তাই করছি। মনে রাখতে হবে আমি শুধু কয়েকটি বইয়ের তথ্য এখানে উপস্থাপন করছি। লেখার শেষ অংশে আমার উপলব্ধি প্রকাশ করবো। আপনাদেরও তা প্রকাশের সমান সুযোগ রইলো।

আতা বিষয়ে কয়েকটি বইয়ের আলোচনা
১। কালীপদ বিশ্বাস ও এককড়ি ঘোষ লিখিত “ভারতীয় বনৌষধি” প্রথম খণ্ডের ১৩ নাম্বার উদ্ভিদ হচ্ছে আতা। বইটির ১১ ও ১২ নাম্বার পাতায় আতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
নামের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে – ফলটির বাংলা নাম – আতা, হিন্দি নাম – সীতাফল আর তামিল নাম – সীতা, বৈজ্ঞানিক নাম – Annona squamosa L.।
মাঝারী আকারের গাছ, ১০ থেকে ১৫ ফুট উঁচু। পাতা ২-৩ ইঞ্চি লম্বা, আধ ইঞ্চি চওড়া।

২। শ্রীহরিমোহন মান্না প্রণীত “ফলের বাগান” বইতে ৪ নাম্বার উদ্ভিদ হচ্ছে আতা বইটির ১৪০ নাম্বার পাতায় আতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
আতা সম্পর্কে সেখানে বলা হয়েছে –
“ফলগুলির গাত্রদেশ খাঁজকাটা বন্ধুর। ভিতরে শাঁস অতি কোমল।”

৩। নলিনীকান্ত চক্রবর্তী প্রণীত “ত্রিপুরার গাছপালা” বইতে ৫ নাম্বার উদ্ভিদ হচ্ছে আতা। বইটির ১৩ নাম্বার পাতায় আতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
নামের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে ফলটির বাংলা নাম -আতা, অন্য নাম – সীতা ফল, বৈজ্ঞানিক নাম – Annona squamosa L.
“squamosa” অর্থ অসমান, এতে ফলের অসমান গায়ের কথা বুঝায়। এই ছোট বৃক্ষটি আমেরিকার উষ্ণ মন্ডলের আদিবাসী। ফল অসমান গাত্র বিশিষ্ট গোলাকার। ফলত্বকের একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। উহা নরম সবুজাভ রঙের কতগুলি গোলাকার আঁশ জুড়ে যেন তৈরি। পাকা ফলে এই আঁশের মত অংশগুলি আলাদা করা যায়। ফলের মধ্যে মিষ্টি সাদা রঙের আঁশ থাকে।”

৪। শ্রীঊর্ণচন্দ্র সাহার সঙ্কলিত “আয়ূর্ব্বেদোক্ত উদ্ভিদ সংগ্রহ” বইতে ১৬ নাম্বার উদ্ভিদ হচ্ছে আতা বইটির ১৬ নাম্বার পাতায় আতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
নামের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে ফলটির বাংলা নাম -আতা, সংস্কৃত নাম – আতৃপ্য, হিন্দি নাম – সরিফা, তৈ নাম – সিতাফলম। (“তৈ” তে ভারতের কোন একটা প্রদেশের নাম বুঝানো হয়েছে।) ইংরেজি নাম – custard apple এবং বৈজ্ঞানিক নাম – Annona squamosa L.।

নোনা বিষয়ে কয়েকটি বইয়ের আলোচনা
১। কালীপদ বিশ্বাস ও এককড়ি ঘোষ লিখিত “ভারতীয় বনৌষধি” প্রথম খণ্ডের ১৪ নাম্বার উদ্ভিদ হচ্ছে নোনা। বইটির ১২ নাম্বার পাতায় নোনা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
নামের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে ফলটির বাংলা নাম – নোনা আর সাঁওতালি নাম – গম, ইংরেজি নাম – true custard apple এবং বৈজ্ঞানিক নাম – Annona reticulata L.
মাঝারী আকারের গাছ, ২০ থেকে ৪০ ফুট উঁচু। পাতা ৫-৮ ইঞ্চি লম্বা, দেড় থেকে ২ ইঞ্চি চওড়া।

২। শ্রীহরিমোহন মান্না প্রণীত “ফলের বাগান” বইতে ২৬ নাম্বার উদ্ভিদ হচ্ছে নোনা। বইটির ১৯৭ নাম্বার পাতায় নোনা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
নোনা সম্পর্কে সেখানে বলা হয়েছে –
“নোনা আতা জাতীয় ফল, কিন্তু গুণে ইহা আতা হইতে নিকৃষ্ট। ইহা আতার মত অত রসাল ও সুগন্ধি নহে। আতা হইতে নিকৃষ্ট হইলেও খাইতে এ ফলও বিশেষ সুস্বাদু। এ ফলগুলির উপরিভাগে আতার মত খাঁজ নেই। ইহা পাকিলে পীতাভ লালবর্ণ হয়।”

৩। নলিনীকান্ত চক্রবর্তী প্রণীত “ত্রিপুরার গাছপালা” বইতে ৪ নাম্বার উদ্ভিদ হচ্ছে নোনা বইটির ১২ নাম্বার পাতায় নোনা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
নামের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে ফলটির বাংলা নাম -নোনা, অন্য নাম – রাম ফল, নোনা আতা, বৈজ্ঞানিক নাম – Annona reticulata L.
reticulata অর্থ জালিকাকার, ইহা ফলের উপরের অস্পষ্ট জালিকার বুঝায়। আতা গাছের সাথে এর পার্থক্য এর পাতা অনেক লম্বাটে, ফলের গা সমান,অবশ্য তাতে অস্পষ্ট জালিকাকার খাঁজ রয়েছে। ফলের ভেতরটা অনেকটা আতার মত তবে শাস অনেকটা বালির মত দানাদার এবং এর গন্ধ ততোটা ভাল নয়। ফলের আকার প্রাণীর হৃৎপিণ্ডের মত।

উপরের সূত্রগুলি মোতাবেক আমার ধারনা হয়েছে “যাহা লাউ, তাহাই কদু।” থুক্কু, “যাহা আতা, তাহাই সীতা বা সরিফা।” কারণ সীতা ও সরিফা নামগুলি শুধুমাত্র আতার সাথে ব্যবহার করা হয়েছে, নোনার সাথে কখনোই ব্যবহার করা হয়নি। আর আতার বৈজ্ঞানিক নাম – Annona squamosa L. এর squamosa থেকে এবং বইগুলির আলোচনা থেকে সহজেই বুঝা যায় যে আতার পৃষ্ঠদেশ হবে অসমান অমসৃণ।

অন্যদিকে নোনার ক্ষেত্রে সকল বইতেই তার নাম নোনা পাওয়া যাচ্ছে। নোনাকে কোন বইতেই সীতা বা সরিফা বলা হয়নি। আর নোনার বৈজ্ঞানিক নাম – Annona reticulata L. এর reticulata থেকে এবং বইগুলির আলোচনা থেকে সহজেই বুঝা যায় যে নোনার পৃষ্ঠদেশ হবে মসৃণ এবং অস্পষ্ট জালিকাকার।

ছন্দে ছন্দে ছন্দিত কবিতা

ছন্দে ছন্দে ছন্দিত কবিতা

একসময় প্রেম পত্র লেখা হতো। আর সেইসব পত্র ছিলো অসাধারণ সব ছন্দে ভরপুর। আর সেইসব প্রেম পত্র যেই কোনো প্রেমিক বা প্রেমিকার হাতে গিয়ে পড়তো, ওমনি তারা টুপুস করে প্রেমে পড়ে যেতো। জীবনে খুব সখ ছিলো একটা এইরকম প্রেম পত্র পাওয়ার, কিন্তু ইহজীবনে তা আর হলো না। ফিলিং হেব্বি দুঃখ।

প্রেম পত্রে কবিতা লেখার একটা স্টাইলকে কোষন্ট বলে মানা হয়ে থাকে। তা সেটা গোলাপের সাথে জোলাপ, ওলার সাথে কলা, পলাশের সাথে গেলাস হলেও চলবে। আসল কথা ছন্দ মেলাতে হবে। আবার আধুনিক কবিতা এইরকম হতে পারে–

“আমি তোমার সেভেন আপ,
তুমি আমার মিরিন্ডা”।

এই ধরনের কবিতা লিখতে পারলে তো মার দিয়া কেল্লা। এই সব কবিতাতে বিদেশী গানের সুর ফিট করা সহজ। ভাবছি এবার লিখব –
“তু রু রু, তু রু রু রু রু,
এইতো আমার প্রেমের শুরু,
কি করবো বলোনা গুরু”।

খুব একটা কঠিন কিচ্ছু না। আবার পালিশ, মালিশ বা বালিশ দিয়েও ছন্দ মেলানো যায়। যা আমার জন্য ভীষণ কঠিন। বেরসিক মানুষ তো তাই বড্ডো কঠিন এই ছন্দ।

যাই হোক অনেক ভেবেচিন্তে কবিতার উপর আমার গরু খোঁজা (গো + এষণা = গবেষণা) লিপিবদ্ধ করলাম। মোদ্দা কথা পাওয়া গেল যে কবি আপনি ও হতে পারেন আবার আমিও। আর কবিতা লেখা এমন কিছু একটা শক্ত কাজ নয়। অতএব লেগে পড়ুন। একটা কিছু লিখুন, আর একটু পালিশ, বালিশ, মালিশের জোগাড় রাখুন।

তাই বলি “এখন আর দেরী নয়, ধরগো তোরা, হাতে কলম ধরগো,
এখন খাতা ভরে লিখে লিখে, পাতা গুলো ভরগো”।

আকর্ষণীয় অফার

রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, এনজিওসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সভা, সমাবেশ, সেমিনার ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে চাহিদা অনুযায়ী সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সরবরাহ করি। গ্রাহকের চাহিদা ও রুচি অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ দ্বারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা করানোর সুব্যাবস্থা আছে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের তথ্যের পক্ষে, বিপক্ষে ও বিতর্কিত বক্তব্য প্রদানের জন্য ইতিহাসবিদ, বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ভাড়া দেই।

বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস ও ভাষা শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য আজই যোগাযোগ করুন। ডিসেম্বর, ফেব্রুয়ারী ও মার্চ মাস ব্যাতীত বছরের অন্যান্য সময়ে ২৫% ছাড়।

চেতনা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড
(একটি মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস ক্রয়-বিক্রয়-সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান)

হটলাইন: ৭৪১****, ৮৭৬****, ০১৭১১****

বৃষ্টির দিনের কৌতুক

১।
নদীর দিকে যাওয়ার পথে বকের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল কচ্ছপের। জানতে চাইল বক, কোথায় যাচ্ছ?
কচ্ছপ বলল, নদীতে। কী গরমটাই না পড়েছে দেখেছ? ভাবছি নদীর পানিতে শরীরটা জুড়িয়ে আসি।
বক বলল, এখন তো গ্রীষ্মকাল। এক ফোঁটা পানি নেই নদীতে। এখন গিয়ে কী করবে?
কচ্ছপ হাসতে হাসতে জবাব দিল, আমি যেতে যেতেই বৃষ্টির দিন চলে আসবে।

২।
গ্রামের ছোট্ট এক ক্লাব ঘরে বসে তাস পেটাচ্ছে কয়েকজন। একজন উঠে বলল:
—এক মিনিট! ছোট কাজ সেরে আসি।
—সে ফিরে এলে দেখা গেল, তার সারা পোশাকে পানির ছিটা। সবাই জিজ্ঞেস করল:
—বাইরে বৃষ্টি?
সে বলল:
—না, প্রচণ্ড বাতাস!

৩।
এক বৃষ্টির দিনে মালিক তার কাজের লোককে বলছে-
মালিক : রহিম, বাগানে পানি দিতে যা।
কাজের লোক : হুজুর আজকে তো বৃষ্টি হচ্ছে।
মালিক : বৃষ্টি হলে ছাতা নিয়ে যা!

৪।
একদিন বৃষ্টি হচ্ছিলো। ঝিরিঝির বৃষ্টিতে প্রেমিক-প্রেমিকা ঘুড়তে বেরিয়েছে।
ট্যাক্সি ক্যাব ভাড়া নিয়ে ঘুড়ছে লাভ বার্ডস। ট্যাক্সি নিজ গতিতে চলছে। কিন্তু হঠৎ ট্যাক্সি আস্তে চলতে লাগলো !
প্রেমিক ট্যাক্সি ড্রাইভারের কাছে জানতে চাইলো
প্রমিক : হঠৎ আস্তে চালানোর কারন কী?
ড্রাইভার : আপুমণি যে বললেন আস্তে…আস্তে…আস্তে…

৫।
বর্ষা কাল, অহরহই বৃষ্টি হয়। তখন অনেক রাত, বাইরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। অনেকক্ষন বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তা ঘাটে প্রচুর পানি জমে আছে। এর ভিতর আমাদের পলাশ ভাই চিৎকার করে কেদে কেদে বলছে, কে আছো ভাই? একটু ধাক্কা দাও।
তানিয়া তার স্বামী রাশেদকে ডেকে তুলে বললো- “আমার মনে হয় তোমার যাওয়া উচিত।”
– কিন্তু বাইরে অনেক বৃষ্টি। রাস্তায় অনেক কাদা। :-<
– তোমার গত বছরের কাহিনী মনে নাই?
– আছে মনে আছে। কিন্তু এই ব্যাটার গলা শুনে ত মনে হচ্ছে পুরা মাতাল।
– তোমার গলা শুনে সেদিন কি অন্যরা মাতাল ভাবে নি?
গত বছর তানিয়ার বাচ্চা হবে। রাতের বেলা হাসপাতালে নিয়ে যাবে। সেদিনও এমন বৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তাঘাট ভেসে যাচ্ছিল। তাদের গাড়িটা আটকা পড়ে গিয়েছিল কাদায়। অনেকক্ষন ঠেলে ঠুলেও রাশেদ গাড়িটা গর্ত থেকে বের করতে পারছিল না। এদিকে বউয়ের বাচ্চা প্রসবের সময় হয়ে যাচ্ছে। বার বার ধাক্কা মারছিল। কিন্তু গাড়িটা বের করে আনতে পারছিল না। একসময় হতাশায় সে চিৎকার করে কাদা শুরু করেছিল । ধাক্কা দাও। কেউ একজন এসে ধাক্কা দাও। আশেপাশের বাসা থেকে দুইজন সহৃদয় মানুষ বের হয়ে এসেছিল। নিজেরা ভিজে, কাদায় মাখামাখি হয়ে গাড়িটা বের করে দিয়েছিল ধাক্কা মেরে। আর সেদিন রাতেই তাদের ফুটফুটে একটা মেয়ে হয়েছিল।
আজকে, বছরখানেক পর, আরেক বৃষ্টির দিনে এক লোক চিৎকার করে বলছে, ধাক্কা দাও। আমাকে ধাক্কা দাও।
রাশেদ বের হয়ে আসল। রাস্তার পাশের লাইটগুলাও নিভে আছে কেন জানি। বেশ অন্ধকার। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। শুধু চিৎকার শোনা যাচ্ছে, ধাক্কা দাও।
রাশেদ বলল, ভাই আপনি কই?
– এদিকে আসেন।
রাশেদ সামনে এগিয়ে যায়।
– বাগানের ভিতর আসেন।
রাশেদ বাগানে ঢুকে পড়ে। ভাই, আপনাকে দেখছি না তো।
– ভাই, টবগুলার পাশে আসেন।
রাশেদ টবের পাশে এসে দাঁড়ায়।
– ভাই, আপনার মত মানুষ হয় না। আসেন, একটু ধাক্কা দেন তো। অনেকক্ষন ধরে দোলনায় বসে আছি। এত ডাকছি, কেউ ধাক্কা দিতে আসে না।

পুনশ্চঃ সবগুলা কৌতুক আমি গতকাল রাতে ঘুমের মধ্যে লিখছি। দুনিয়ার মানুষ বেজায় ভাল। আমার কৌতুক গুলাম আমারে না জিগায়া বছরের পর বছর ধইরা এখানে সেখানে ছড়ায়া ছিটায়া রাখছে।

সহীহ আধুনিক রোজার সহজ তরিকা

রোজার ইতিহাস গুরুত্ব ইত্যাদি নিয়ে মওলানা সাহেবদের দিনরাত সবক শুনতে শুনতে যারা বিরক্ত হয়ে উঠেছেন অথবা বিরক্ত হওয়ার মত শোনার সময় যাদের নাই তাদের জন্য আমার সাড়া এই কিছু তরিকা আছে যাতে করে আপনি আধুনিক কায়দায় সহি রোজা রাখতে পারবেন।

সেহরির কমপক্ষে এক ঘন্টা আগে উঠবেন। উঠেই ফেসবকে লগইন করুন। সেহরি বিষয়ক স্ট্যাটাস দিন। বিশেষ কোন বান্ধবী/ বান্ধব যদি থাকে তাকে জাগিয়ে দিন। জাগিয়ে দিয়ে ঘন্টা খানেক কথা বলুন। রোজা রেখে খালি পেটে দিনের বেলা কথা বলে আরাম নেই। তাই এই সময়টি কাজে লাগান। ফজরের আগে রোজা শুরু হয় না। সুতরাং এই সময় মনের দুয়ার, মুখের লাগাম সব খুলে কথা বলুন। সব থেকে ভাল হয় সারারাত না ঘুমালে। রাতের খাবার খেয়ি ফোনালাপ শুরু করুন। নতুন নতুন বান্ধবী খুঁজে বের করুন। তাদের ইফতারির দাওয়াত দিন। সেহরির দাওয়াতও দিতে পারেন। আধুনিক রোজা সংস্কৃতির বিশেষ অনুষঙ্গ সেহরি পার্টি। তাই সেহরি পার্টী আয়োজনে ভুলবেন না। ঘুমিয়ে পড়লে পার্টি মিস হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই রাতে ফেসবুক, সিনেমা, পার্টি এসবে ব্যস্ত থাকলে সেহরি পার্টীতে অংশগ্রহন সুনিশ্চিত। আধুনিক সহীহ রোজার তরিকায় সেহরি পার্টির স্থান অনেক উঁচুতে। সেহরিতে চিকেন ফ্রাই, লবস্টার, ম্যাগি নুডলস, হরলিক্স মিশ্রিত দুধ, বিফকারি রাখতে পারেন। সেহরি পার্টিতে সেলফি তুলতে কোন ভাবেই ভুলবেন না। পার্টির ফাঁকে ফাঁকে সেহরি পার্টির সেলফি ফেসবুকে আফডেট করুন। খাবার কতটুকু ইয়াম্মি ছিল সে স্ট্যাটাস দিতে ভুলবেন না। সিগারেটের অভ্যাস থাকলে শেষবারের মত সিগারেট খেয়ে নিন।

সেহরি পার্টি শেষে ঘুমিয়ে নিন। রোজার অজুহাতে বেশ একটু দেরিতে অফিসে যেতে পারেন। অফিস না থাকলে বারোটার আগে ঘুম থেকে উঠার দরকার নেই। বারোটায় ঘুম ভাঙলে সাথে উঠে পড়বেন না যেন, নিদেন পক্ষে একটা পর্যন্ত গড়াগড়ি দিন। উঠে গোসল সারুন। গোসল করে পাঞ্জাবি পরে মুখে রোজাদার রোজাদার ভাব নিয়ে বের হম। পকেটে একটা টুপি রাখতে ভুলবেন না। ইফতারির সময় কাজে লাগবে। বিভিন্ন মার্কেটে যান। বন্ধু বান্ধবিদের ফোন দিয়ে তাদেরকে আসতে বলুন। বিভিন্ন মার্কেটে ঘোরাঘুরি করে ক্ষুধা লেগে গেলে, কোন একটা ফুডকোর্টে বসে খেয়ে নিতে পারেন। আর সহ্য করতে পারলে ইফতার পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

সেহরি পার্টি না থাকলে বাসায় জেগে থাকাই উত্তম। ছোট রাত, না ঘুমিয়ে একেবারে সেহরি খেয়ে ঘুমদিন। সেহরির সময় টিভি চ্যানেল গুলো একবার ঘুরে আসতে পারেন। বিরক্ত লাগলে দরকার নাই। ঘুমানোর আগে অবশ্যই বান্ধবী/ বান্ধবীদের সাথে ফোনালাপ সেরে নিবেন। এই সময় আলাপ না হলে বান্ধবী রাগ হতে পারে না। রোজা অবস্থায় কাউকে রাগানো বুদ্ধিমানের কাজ না। যাদের একাধিক বান্ধবী আছে তারা এই রাতকে কাজে লাগান। ইফতারের পরে, মাঝরাতে, সেহরির আগে-পরে এভাবে শিডিউল করে সকলের সাথে সদ্ভাব বজায় রাখুন। বাংলাদেশে পররাষ্ট্রনীতির মত সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে শত্রুতা নয় এই নিয়ম মেনে চলুন। তবে আপনার বান্ধবীর তালিকায় ভারতের মত কেউ থাকলে আপনাকে বিশেষ সাবধানে থাকতে হবে। এই ঈদে কাকে কি গিফট দিবেন সেটা ভেবে রাখুন। আপনি যদি বিশেষ চালাক প্রকৃতির হোন তাহলে কোন কোন গার্ল ফ্রেন্ডের কাছ থেকে গিফট আদায় করতে পারবেন। এমনকি আপনার গার্লফ্রেন্ড অন্য বয়ফ্রেন্ডের কাছ থেকে পাওয়া উপহার আপনার হাতে তুলে দিয়ে বলবে, এটা আমি শুধু তোমার জন্য নিজের হাতে কিনেছি (নিজের হাতে বানিয়েছিও বলে ফেলতে পারেন)। সবই নির্ভর করে আপনি তাদের কিভাবে ম্যানেজ করতে পারেন তার উপর।

আধুনিক রোজায় ফেসবুকের গুরুত্ব অপরিসীম। সেহরি পার্টি ইফতার পার্টি এসবের খবরা-খবর, সেলফি তো আছেই তাছেড়া এই মুমিন বান্দার জন্য কয়টা লাইক? আমীন না বলে যাবেন না কেউ, মুমীন বান্দারা শেয়ার করুন মার্কা প্রচুর স্ট্যাটাস, ছবি আসে। এইগুলোতে লাইক কমেন্ট শেয়ার করতে পারেন। নিজেও এসব পোস্ট দিতে পারেন। না হলে আপনি প্রকৃত রোজাদার ফেসবুকার না।
বিভিন্ন ব্যাংক, ফাইনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠান ইফতারিতে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে। চেষ্টা করুন এর প্রত্যেকটী অফার গ্রহন করতে। ইফতারি বিষয়ক স্ট্যাটাসে অবশ্যই ইফতারির দাম লিখতে ভুলবেন না। কত দামী ইফতারি খেলেন তা জাতিকে জানানোর দরকার আছে। আর যেদিন ইফতার পার্টি থাকবেনা বাসায় জম্পেশ ইফতারির ব্যাবস্থা করুন। বিভিন্ন টিভিতে রান্নার অনুষ্ঠান দেখে দেখে ইফতারির আইটেম তৈরি করুন। ইফতারিতে গাজরের হালুয়া, ম্যাগি নুডলস, পুডিং, স্টার হালিম/মামা হালিম, ট্যাং/রুহ আফজা থাকা বাঞ্চনীয়। টিভি’র আজান শুনে ইফতার শুরু করুন। ইফতার এশার নামাজের আগে শেষ হওয়া সমীচীন নয়। ইফতারির সময় মাথায় টুপি থাকলে ভাল দেখাবে। মেয়েরা সারাদিন বেপর্দা ঘুরাঘুরি করলেও ইফতারির সময় মাথায় কাপড় দিন।

সারাদিনে শরীরে অনেক ধকল গেছে এবারে বিশ্রাম নিন, ফেসবুকে লগইন করুন।

** লেডিস ফার্স্ট **

LadiesFirst_logo_pink

টোনা এবং টুনির মাঝে গভীর প্রেম। কেও কাওকে ছাড়া থাকতে পারে না। এমনকি তারা এক সাথে থাকবে বলে একই কোম্পানিতে চাকরি নিয়েছে যাতে করে অন্তত কাজের সময় দুইজনকে খুব একটা বেশী সময় ধরে দূরে থাকতে না হয়।
একদিন তারা উভয়ে কাজ শেষ করে একটা পাব এ গিয়ে বসল অনেকদিন পরে দুই জনে এক সাথে একটু সুরা পান করবে।
টোনা জিজ্ঞেস করল তুমি কি খাবে?
একটু সাদা ওয়াইন হলেই হবে।

টোনা টুনির ইচ্ছা জেনে বার কাউন্টারে গিয়ে টুনির জন্য একটা সাদা ওয়াইন আর নিজের জন্য এক পাইন্ট লাগার নিয়ে এসে টুনির পাশে বসে ওয়াইনের গ্লাসটা টুনির দিকে এগিয়ে দিল।
চিয়ার্স করে একটু একটু চুমুক দিচ্ছে আর অতীত, ভবিষ্যৎ বর্তমান নিয়ে নানা রকম গল্প করছে আর গ্লাস ফুরিয়ে গেলে আবার বার এ গিয়ে নতুন করে গ্লাস ভরে আনছে। এভাবে অনেকক্ষণ ধরে অনেক পান করে সবারই মাথা কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেল।
টোনার সামান্য এক কথায় টুনি এমন রেগে গেল যে আত্মবিসর্জন দিবে বলে টোনাকে জানিয়ে দিল।
এতদিন ধরে আমরা একসাথে রয়েছি আর আজ তুমি আমাকে এই কথা বললে? আমি আর বেচে থাকতে চাই না। বলেই পাব ছেড়ে ঝরের মত বের হয়ে গেল।
তার পিছনে টোনা অসমাপ্ত গ্লাস ফেলে দৌড় দিল।

টুনি দৌড়ে একটা ট্যাক্সি নিয়ে তাতে উঠতে যাবে এমন সময় টোনাও টুনির সাথে ট্যাক্সিতে উঠেই বলল টুনি প্লিজ তুমি একা যেয়ো না দরকার হলে আমরা একসাথেই মরব।
এর মধ্যে টুনি ড্রাইভারকে বলল কাছের পাহারের নিচে যেতে, গন্তব্য শুনেই ড্রাইভার পাহারের দিকে ফার্স্ট গিয়ার, সেকেন্ড গিয়ার, থার্ড গিয়ার এবং অবশেষে ফোর্থ গিয়ারে দিয়ে ফুল স্পীডে ছুটে চলল।
কিছুক্ষণের মধ্যেই পাহারের নিচে এসে উপস্থিত।
টুনি পার্স খুলে মিটার দেখে ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে দুর্বার গতিতে পাহার বেয়ে উপরে উঠছে আর তার পিছু পিছু টোনাও।

পাহারের চূড়ায় উঠে টোনা বলল চল আমরা একসাথে লাফ দেই!
না, পাব থেকে যেমন আমি আগে বের হয়েছি তেমনি আমি আগে লাফ দিব।
না না তা কি করে হয়? তার চেয়ে আমিই আগে লাফ দেই।
না, আমি আগে লাফ দেব।
না, তা হতেই পারে না, আমি বলছি চল আমরা এক সাথে হাত ধরে লাফ দেই।
অসম্ভব, আমার পক্ষে তোমার হাত ধরা আর সম্ভব নয়।
তাহলে ঠিক আছে, দেখ আমিই আগে লাফ দিচ্ছি কারণ আমি সত্যিই তোমাকে খুব ভালবাসি।
বলেই টোনা লাফ দিল আর অবধারিত ভাবে নিচে পরে গিয়ে মৃত্যুর সাথেই আলিঙ্গন করল। টুনি যেমন পাহারের চূড়ায় দাঁড়িয়ে ছিল তেমনি দাঁড়িয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে টোনার মৃত্যুর দৃশ্য দেখে নিশ্চিত হয়ে আস্তে আস্তে পাহার থেকে নেমে বাসায় ফিরে গেল।

ঘটনাক্রমে ওই পাহার চূড়ায় এক দাঁড়কাক বিকেল বেলা হাওয়া খেতে এসেছিল এবং টোনা টুনির এই কথোপকথন এবং তাদের কার্যকলাপ সবই দেখছিল শুনছিল। তবে সে ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেনি যে, টোনাই আগে লাফ দিবে। দাঁড়কাক ভাবল এভাবে যদি টুনি টোনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে তাহলে একটা কথা চারিদিকে ছড়িয়ে দিতে হবে যে, “লেডিস ফার্স্ট” তাহলে মহিলারা অত্যন্ত পুলকিত হবে এবং অন্তত তারা আর এভাবে কারো সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার সুযোগ পাবে না।

চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে দীলখুশ মিঞার ভবিষ্যত বানী

দীলখুশ মিঞার পক্ষ থেকে লাল গোলাপের শুভেচ্ছা।

হাই হ্যালো।

লোকেরা আমাকে কেন বলবে ভবিষ্যতবানী করতে? তবু যেহেতু আমার প্রতি লোকজনের বড় বেশি আস্থা তাই আমি নিজে রিস্ক না নিয়ে জগত বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইনকে স্মরণ করলাম।

বিজ্ঞানী আইনস্টাইন-কে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলো, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কেমন হতে পারে। তিনি বলেছিলেন, তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ কেমন হবে টা বলতে পারি না, তবে চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধ লাঠি দিয়ে হবে!

আইনস্টাইন-এর কথা থেকে এটা স্পষ্ট যে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা এতটাই হবে যে প্রায় ধ্বংসই হয়ে যাবে মানব সভ্যতা। সেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বোধহয় আর বেশি দূরে নেই। খুব শীঘ্রই এমনকি আজ বা কাল যে কোনো সময়েই লেগে যেতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। আর একবিংশ শতাব্দীর এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক জোট ন্যাটোর প্রতিপক্ষ হতে পারে চীন ও রাশিয়া।

মধ্যপ্রাচ্য ঘিরে থাকা সাগরেও ন্যাটো ও রাশিয়া নৌসেনা মোতায়েন করেছে। যে কোনো সময় অতিসাধারণ কারণ নিয়েও এদের মধ্যে সংঘাত শুরু হতে পারে।

আবার কোনো সামরিক কারণ ছাড়াই বিশ্বকে নতুন রূপ দিতে যুদ্ধ হতে পারে। এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি চীন যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের নেতৃত্বদানকারীর অবস্থান থেকে সরাতে চায়। চীনের অর্থনীতিও দেশটির এমন স্বপ্নকে সমর্থন দেওয়ার মতো অবস্থানে আছে।

উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া ও আমেরিকাকে কেন্দ্র করে বিশ্বে যে উত্তেজনা চলছে এ নিয়ে সবার মনে একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে- তাহলে কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ খুব কাছাকাছি?

সেই জল্পনাকে আরো উস্কে দিলেন ক্লেয়ারভয়ান্ট হোরাসিও ভিলেগাস নামে এক ভবিষ্যৎ বক্তা। তিনি একজন স্বঘোষিত ‘ভগবানের দূত’। আগামী ১৩ মে নাকি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হবে বলে দাবি করেন হোরাসিও।
( বাংলাদেশ প্রতিদিন ২০ এপ্রিল ২০১৭)

বিশ্বখ্যাত বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে তাতে ভুয়া খবর ছড়িয়েছেন টুইটার হ্যাকাররা। ১৬ জানুয়ারি ২০১৫ শুক্রবার নিউইয়র্ক পোস্ট, ইউপিআইসহ বেশ কয়েকটি সংবাদ সংস্থার টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যায়। হ্যাকারদের কবলে পড়া ওই অ্যাকাউন্টগুলো থেকে ভুয়া অর্থনৈতিক ও সামরিক খবর প্রকাশ করা হয়।

ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনালের ফিডের এক টুইটে লেখা হয়, ‘পোপ বলেছেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।’

যে কোন মাধ্যম থেকে হোক না কেন যেহেতু সংবাদ এসেছে ১৬/০১/২০১৫ ইং তারিখে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লেগে গেছে তাই আমাদের চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আর কে না জানে আমরা তীতুমীরের বাশের কেল্লা নিয়ে প্রস্তুত হয়ে আছি সেই ব্রিটীশ আমল থেকে।

চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধে আমাদের বিজয় ঠেকানোর সাধ্য কারোর নেই।
বিশ্ব এবার লাঠি সামলাও।

আপনাদের কল্যান হোক।

ইন্টারাপ্টার

IMG_1538

সত্যি কথাই বলছি। আমাকে কিন্তু আপনারা কেও চিনতে পারবেন না। আপনাদের সাথে আমার তেমন করে আলাপ পরিচয় হয়নি তবে আমার নানা ভাইয়াকে আপনারা ভাল করেই জানেন, তার সাথে আপনাদের বেশ সখ্যতা আছে আমি জানি। যখন তিনি ল্যাপটপ দিয়ে আপনাদের জন্য গল্প লেখেন আবার এখানে পোস্ট করেন তখন আমি কাছে এলেই তিনি তার যত রকমের বাধা দেয়ার কৌশল জানা আছে সবই করেন। আমাকেও যে ল্যাপটপে কাজ করতে দিতে হবে তা তিনি কিছুতেই বুঝতে চান না। তিনি অবশ্য তার একটা ল্যাপটপ আমাকে দিয়েছেন কিন্তু এটার মনিটরে কোন আলোতো জ্বলেই না, কী বোর্ড বা মাউস প্যাডের সাথে কুস্তী করেও কিছু হয় না, পরে বুঝলাম ওটা তার বাতিল নষ্ট ল্যাপটপ।

তবুও কিছু কথা আপনাদের না জানালে আমি অস্বস্তি বোধ করছি, কথাগুলি আমার পেটের ভিতর শুধু টগবগ করে ফুটছে কিছুতেই আটকে থাকতে চাইছে না। আমিওতো আপনাদের সাথে পরিচিত হতে চাই, শব্দনীড়ের জন্য কিছু লিখতে চাই। আমার নানা আমাকে শোনান “ থাকবোনাকো বদ্ধ ঘরে দেখব এবার জগতটাকে” কিন্তু যখনই আমি নানার সাথে ঘরের বাইরে যেতে চাই তখনই তিনি বিরক্ত হন। কোমরে ব্যথা, পায়ে ব্যথা এমনি নানা রকম অজুহাত দাড় করেন। তবুও কখনও বাইরে নিয়ে গেলে আমি যখন চারিদিকের নানা কিছু দেখে সব কিছু জানতে চাই তখনও তিনি বিরক্ত হন। এইতো সেদিন আমাকে কোলে নিয়ে বাড়ির কাছে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন তখন শুনলাম রাস্তার মাঝের ম্যান হোল থেকে শব্দ আসছে। আমি আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে জানতে চাইলাম এটা কিসের শব্দ? নানা ভাই আমাকে বুঝিয়ে দিলেন এটা ম্যান হোল, এখান দিয়ে প্রতিটি বাড়ির নোংড়া পানি সহ বৃষ্টির পানি নিষ্কাসিত হয়, একটু আগে যে বৃষ্টি হয়েছে সেই পানি যাচ্ছে বলে শব্দ হচ্ছে।

আবার ছাদে যেয়ে যখন টবে পানি দেয়ার বালতি হাতে পানির ট্যাংক এর কাছে যেতে চাইলাম তখন বাধা দিয়ে বললেন না না তোমাকে এ কাজ করতে হবে না। আচ্ছা ঠিক আছে করলাম না। তার পরে ছাদের একটা চেয়ার টেনে আম গাছটার নিচে নিতে চাইলাম তাতেও তার নিষেধাজ্ঞা, বলে কিনা “এই পণ্ডিত ওটা ধরবে না ব্যথা পাবে”। আচ্ছা বলতে পারেন এতসব বাধা বিপত্তি এড়িয়ে আমি কেমন করে সত্যিকারে পণ্ডিত হতে পারি?
সেদিন নানা ভাই ইনসুলিন নিচ্ছিলেন। আমি তাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে তার কাছে গিয়ে মাত্রই ইনসুলিনের বাক্সটা ধরেছি আর ওমনি তিনি চ্যাচিয়ে আমার মাকে ডেকে বললেন ওকে ধর। কিন্তু আমিও নাছোড় বান্দা, না আমার হাতে ওই বাক্স দিতেই হবে, না তিনি তা দিলেন না। এর মধ্যে ইনসুলিন নিয়ে আমার হাতে তুলার টুকরা দিয়ে বললেন যাও এটা বিনে ফেলে দাও, যাক এতেই আমি খুশি কিন্তু তাকে ইনসুলিন দিতে না পারার একটু দু:খ মনের কোণে রয়েই গেল।

আর একদিন সিঁড়ি দিয়ে উঠে ছাদে যেতে চাইছিলাম তখন আমাকে দেখেই ভাইয়া দৌড়ে এসে বাধা দিলেন, বলে কিনা আমি নাকি পরে গিয়ে ব্যথা পাব! এমনি যখন যাই করতে চাই সব কিছুতেই আমাকে interrupt করেন। সেদিন দেখলাম মা রান্না ঘরে চুলা জ্বেলে কি যেন রান্না করছিল, মা তখন সিংকে কি ধোয়ার কাজে ব্যস্ত। ভাবলাম আমার একটু গরম পানি দরকার তাই আমার পানির ফিডারটা নিয়ে মাত্রই চুলার উপরে ধরতে গেছি আর অমনি ভাইয়া এসে আমাকে চিলের মত ছো দিয়ে নিয়ে এলো। জ্বলন্ত চুলার উপরে আমার ফিডারটা ধরতেই পারলাম না, মা পিছনে ঘুরে দেখে অবাক হয়ে আমার দিয়ে তাকিয়ে রইল।

নানা ভাই অফিস থেকে ফিরলেই আমি তার জুতা মুজা খুলে রাখার জায়গা দেখিয়ে আবার ঘরে স্যান্ডেল কোথায় আছে তাও দেখিয়ে দেই তারপরে তার কোলে উঠে হাতের ইশারায় গেট দেখিয়ে বলি আমাকে নিয়ে এখন একটু বাইরে চল।

কয়েকদিন আগে নানা ভাই পাশের রেজা ভাইয়ের দোকান থেকে মসুর ডাল, সাবান, চিনি এরও কত কি আনতে গেল সাথে আমাকে কোলে নিয়ে গেল, সবকিছু মিলিয়ে প্যাকেটটা অনেক বড় হয়ে গেল তাই আমি ভাবলাম অন্তত মসুর ডালের প্যাকেটটা আমার হাতে নিই নানা ভাইয়ের কোলে বসে মসুর ডালের প্যাকেট হাতে করে এনে নানুর হাতে দিলাম, আর নানু যে কী খুশি হলো তা আর বলার নয়। আমার যে সংসারের অনেক কাজ করতে ইচ্ছা হয়, মনে হয় আমি সারাদিন ব্যস্ত থাকি। সারাদিন কি আর পড়াশুনা এবং খেলাধুলা করা যায়? যদিও নানা ভাইয়া আমাকে অনেক বই আর খেলনা কিনে দিয়েছেন। কিন্তু কিছু করতে গেলেই তিনি আমাকে ভীষণভাবে interrupt করেন তাহলে আমার জ্ঞান, অভিজ্ঞতা বাড়বে কেমন করে? আমার বয়স এখন দেড় বছর, এখন থেকেই যদি এই ঘূর্ণায়মান পৃথিবীর সবকিছু এক এক করে শিখে না নেই তাহলে আমি সত্যিকারে শিক্ষিত হব কি করে? আমার নানা ভাই এ কথা কেন বুঝতে চায় না বুঝি না!

আপনারা একটু আমার নানা ভাইয়াকে বলে দিবেন তিনি যেন আমার ইন্টারাপ্টার না হন।
IMG_1562

তাহলে এবার আপনাদের সাথে পরিচয়ের পালাটা সেরে ফেলি, আমি রিজভান রিহান, আমার নানা ভাইয়া জনাব খালিদ উমর। ছবিতে আমি ছাদের উপর টবে পানি দিতে চাইছিলাম কিন্তু ভাইয়া আমাকে দিতে দেয়নি! এমনি করেই তিনি আমাকে সব কাজে বাধা দেন।

সন্ন্যাসী

দূর ছাই ভাললাগে না আর
এই বাড়িঘর সংসার
সারাদিন বউয়ের ঘ্যানঘ্যান প্যানপ্যানানি
তার সাথে যোগহয় হাড়ি পাতিলের ঝনঝনানি
ছেলে পেলে আছে মোটে গোটা দুই
কুড়াল চালায় তারা যেখানে চলে না সুই
এরে ধরে তারে মারে
কার ডাব কার গাব কখন যে পাড়ে
সারাদিন সকলের এই সব নালিশ
চুল সব যায় বুঝি করিতে সালিশ
দিন রাত ঘানি টানাটানি ছেড়ে দিয়ে
ভাল হয় সন্ন্যাসী বনি যদি বনে গিয়ে
জগত সংসার মিথ্যে মায়া
মুক্তি পাবে ছেড়ে দিলে তার ছায়া

এই ভেবে মতি মিয়া বের হয়ে আসে
সে আর থাকবে না জগতের কারো পাশে
বনবাসি হবে বলে বনের দিকে চলে
সন্ন্যাসী জীবনের শুরু হবে কিছু ক্ষণ পরে

লুঙ্গি বাধা ছিল কোমরে
খুলে নিয়ে শকত করে আবার পরে
কয়েন কয়েক গোঁজা ছিল তাতে
লুঙ্গি খুলতে ঝরে পড়ে মাটিতে
কানে যেতে কয়েনের আওয়াজ
ভুলে গিয়ে সব ক্যাওয়াস
তুলে নিয়ে সেলাম করে বার দুই
টাকা বড় প্রয়োজন যতই সন্ন্যাসি হই

টাকাটা নগদ পেয়ে গেলেন বলে হাসি আর ধরে না যে দাদার

গোপাল গ্রামের এক মহাজনের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নিয়েছিল। আজ দেব, কাল দেব বলে সে টাকা আর শোধ করতে পারেনি। সেই লোক গোপালকে একদিন হাটের মধ্যে পাকড়াও করে বললে, আমার টাকাগুলো দিয়ে দাও তো গোপাল, নইলে আজ আর তোমার ছাড়ব না। তোমাকে এত লোকের সামনে অপমান করব, দেখি তুমি কোথা যাও বাছাধন।

মহাজনের দ্বারা অপমানিত হয়ে গোপাল বললে, টাকা কি দেব না বলছি? আপনার টাকা আগামী কালেই দিয়ে দেবো। পরশু সকালেই আমার বাড়িতে চলে আসুন। আমি টাকা শোধ করে দেব পরশুর মধ্যে সামান্য টাকার জন্য এত অপমান করার আপার দরকার ছিল না। আমি টাকা যেমন করে পারিশোধ করার ব্যবস্থা করবই।

গোপালের কথা শুনে মহাজন মনে মনে ভাবলেন গোপাল যখন এত লোকের সামনে কথা ছিল তখন পরশু দিন যেভাবেই হোক টাকা পরিশোধ করবেই। এই ভেবে পরমু মহাজন গোপালের বাড়িতে গিয়ে হাজির হল। কই হে গোপাল টাকা দেবে বলেছিলে দাও, আমি ঠিক সময় মত এসেছি। মহাজনের ডাক শুনে গোপাল বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসে বললে, কাকভোরে ছুটে এসেছেন, দয়া করে বাড়ির দাওয়ায় একটু বিশ্রাম করুন- আমি যত তাড়াতাড়ি পারি আপনার টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা করছি। আপনি কষ্ট করে এসেছেন প্রাণের টানে তাতেই আমি কৃতার্থ। আমার বাড়ি আজ পবিত্র হল।

মহাজন তো এখনই টাকা পাবে মনে ভেবে নিশ্চিত হয়ে গোপালের বাড়ির দাওয়ায় বসে হাটু দোলাতে রইল। কিছুক্ষণ পরে গোপাল আর গোপালের বড় ছেলে, সামনের খোলামেলা বেশ বড় বাগান ছিল, তাতে পাঁচ হাত অন্তর বেশ কয়েকটি নারকেল চারা পুতঁতে লাগল মনোযোগ সহকারে। তা দেখে মহাজন গোপালকে অস্থির হয়ে বললে, এ কি করছে গোপাল? আমার যে বেলা হয়ে যাচ্ছে। কাজকর্ম আছে যে। গদিতে যেতে হবে, সকালে উঠেই এসেছি জলখাবারও খাওয়া হয়নি। বাড়ীতে লোকজন আসবে, শ্রীঘ্র কর।

গোপাল নারকেলের চারা পুঁততে পুঁততে বললে দেখছেন, তো চারা পুঁতছি। একটু বসুন না। এখনি হয়ে যাবে পোতাঁ। আপনার টাকার ব্যবস্থা করে তবে আজ জলগ্রহণ করবো বলছি। এই দেখুন। করছি কিনা আপনি আর একটু বসে নিজে দেখুন। আপনি অপেক্ষা করুন, হলো বলে। বিশ্বাস না হয় উঠে এসে দেখুন।

কাজ শেষ করে গোপাল কাছে এসে দাড়াঁতেই মহাজন জিজ্ঞেস করলে, সেই থেকে তো বসিয়ে রেখেছো- একটা তামাকও দিলে না, যাক্ কই টাকা ‍দাও। আমার তাড়া আছে।

গোপাল মুচকি হেসে বললে, এতক্ষণ ধরে তো আপনার টাকা শোধের ব্যবস্থাই করলুম মশায়।

তার মানে তুমি তো এখন নারকেলের চারা পুতলে। আমার টাকার ব্যবস্থা করলে কি করে?

গোপাল বললে, এই যে নারকেলের চারা পুতলাম তাতে নারকেল গাছ হবে এবং এতগুলো নাকেল গাছে যা ফল হবে তা তো আর কম নয়। দুবছরের নারকেলের টাকায় আপনার সব দায় দেনা শোধ হয়ে যাবেই। আপনাকে যখন কথা দিয়েছি আজই টাকা শোধের ব্যবস্থা করব, তাই ব্যবস্থা করে দিলাম। দুবছরের জন্য নারকেলের ইজরাও আপনাকে দিয়ে এলুম। আর ভাবছেন কেন, ধরুন আপনার টাকা বলতে গেলে নিশ্চিন্তে পেয়েই গেলেন সুদ সমেত।

গোপালের কথা শুনে পাওনাদার হাসবে না কাঁদবে ভাবতে ভাবতে শেষ পর্যন্ত বেচারা হেসেই ফেলল।

গোপাল বললে, এখন কি না টাকাটা নগদ পেয়ে গেলেন বলে হাসি আর ধরে না যে দাদার।

By Sisir Suvro

খুল যা সিম সিমঃ গেদু, দীলখুশ ও খেয়ালী মন

দূরের কাছের সকল পাঠক দর্শকবৃন্দ আপনাদের সকলকে জানাই আশু নব বর্ষের শুভেচ্ছা। দিনে দিনে অনেক সময় বয়ে যাচ্ছে, শব্দনীড়ে নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে আসছেন অনেকই। খুল যা সিম সিম এ পক্ষ থেকে অভিবাদন জানিয়ে শুরু করছি আজকের পর্ব।

চিঠি চালাচালি নিয়ে নতুন আইডিয়া নিয়ে এসেছেন খেয়ালি মন। ঐদিকে দীলখুশ মিঞা হাই হ্যালো চালিয়ে যাচ্ছেন বেশ।

তো দীলখুশ মিঞা খেয়ালীমনকে চিঠি দিলো।

চিঠিতে লেখা, ‘ প্রিয় খেয়ালিমন, আমি একটা মহা ঝামেলায় পড়েছি, একমাত্র তুমিই পার এই ঝামেলা থেকে আমাকে মুক্তি দিতে। দয়া করে যদি তুমি আমাকে ১০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দাও, তাহলে বর্তে যাই আমি। ছয় মাস পরই ধারের টাকা শোধ করে দেব।’

এই চিঠি পেয়ে খেয়ালী মন পরে গেলেন মহা ফ্যাশাদে ওই ব্যাটা দীলখুশ যে একটা ফাকিবাজ ভালো করেই জানে খেয়ালী মন, মরে গেলেও দীলখুশ মিঞা কিছুতেই এ টাকা শোধ করবে না।
মহা চিন্তায় পড়ল, ভাবতে ভাবতে হুট করেই বুদ্ধি করল, এবার তাকে একটা পাল্টা চিঠি পাঠিয়ে দিই।
খেয়ালী মন চিঠির উত্তর লিখে দিল, ‘ভাই , আমি খুবই দুঃখিত যে, তুমি ১০ হাজার টাকা চেয়ে যে চিঠিটি আমার ঠিকানায় পাঠিয়েছ, তা হয়তো ভুল করে অন্য কারও কাছে গেছে। তাই সেই চিঠিটি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। তাই তোমাকে টাকাটা দিতে পারলাম না বলে ক্ষমা কোরো।’

আরে সাব্বাস। সাব্বাস, সাব্বাস।

এদিকে গেদুর সাথে দীলখুশ মিঞার সাথে দেখা।

দীলখুশ মিঞা গেদুকে বললঃ গেদু তুমি কি বিয়ে করেছো?
গেদুঃ হ্যা।
দীলখুশঃ কাকে ?
গেদুঃ একটা মেয়েকে।

দীলখুশ ভাবল এইতো সুযোগ গেদুকে বেকায়দা ফেলার, বললঃ কেউ কি ছেলেকে বিয়ে করে?

গেদু বললঃ হ্যাঁ, করে। গত বছর আমার বোন একটা ছেলেকে বিয়ে করেছিল।

গেদু বললঃ হায়রে হাই হ্যালো, তুমি চলো শিকরে শিকরে আমি চলি পাতায় পাতয়, তুমি বলো হ্যালো হাই, আমি বলি বাই বাই।

আজ এ পর্যন্ত। আল্লাহ হাফেজ।

দীলখুশ মিঞার সন্দেশ… কৌতুক যুদ্ধ

সকলকে দীলখুশ মিঞার পক্ষ থেকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা।

হাই হ্যালো।

আমি এসেছিলাম কিছু হাসিখুশি সময় কাটাতে। ভুল করে ঢুকে গিয়েছিলাম কবিতা পড়ায়। এমন নাকানি চুবানি খেয়েছি, বলার ভাষা নাই। তবু কষ্ট করে মাটি কামড়ে পড়ে ছিলাম, কিন্তু রাতে এসে এক কবি (মহিলা) এমন শিক্ষা দিয়েছেন যে আমি পালিয়ে এসে ভাবছি আর যাব না কবিতার তলায়। তারচেয়ে আসুন দেখি আপনাদের হাসাতে পারি কিনা। এখানকার সবায় এমন গম্ভীর কেশে কথাই বলতেই চান না!

আজ ২৬ মার্চ। আসুন একটা যুদ্ধ চালাই। কৌতুক যুদ্ধ।

আমি শুরু করি। তারপর আপনারা মনের ইচ্ছেমতো।
….

পাকিস্তানি এক ক্যাপ্টেন প্রায় নাচতে নাচতে এসে জেনারেলকে বললেন—
: স্যার, আমি এইমাত্র এমন একটা জিনিস আবিষ্কার করেছি, যা ৫০ জন মুক্তিসেনার সঙ্গে লড়তে সক্ষম।
জেনারেল: কী সেটা?
: ২০০ জন পাকসেনা।

……..
এক পাকিস্তানি সার্জেন্ট ২০ জন সেনাসদস্যের একটি দলের উদ্দেশে বললেন, ‘আমি ঠিক করেছি, তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে অলস যে, তাকে সবচেয়ে সহজ কাজটা দেব। কে সবচেয়ে অলস? ১৯ জন সদস্যই হাত তুলল। সার্জেন্ট হাত না তোলা সদস্যটিকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি হাত তুলছ না কেন?’
সৈন্য: স্যার, হাত তুলতে কষ্ট হয়।

…….
মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সাবেক এক পাকিস্তানি সেনা তার নাতির কাছে যুদ্ধের স্মৃৃতি রোমন্থন করছিল—
নাতি: দাদু, যুদ্ধের সময় তুমি তো একজন সেন্ট্রি ছিলে। রাতে পাহারা দিতে তোমার ভয় করত না?
দাদু: মাঝেমধ্যে করত।
নাতি: কখন?
দাদু: যতক্ষণ না আমি ঘুমিয়ে পড়তাম।
……
জেনারেল ইয়াহিয়া রাগান্বিত হয়ে এক সেনাকে বরখাস্ত করে দিয়ে বললেন, ‘আমি নিশ্চিত, আর্মি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর তুমি আমার মৃত্যু কামনা করবে, যাতে করে তুমি আমার কবরের ওপর থুথু নিক্ষেপ করতে পারো।’
সৈন্যটি বলল, ‘না স্যার। বরখাস্ত হওয়ার পর আমি আর লাইনে দাঁড়াতে চাই না।

এবার আসুন সেরা কৌতুকটা আপনাদের শুনাই।

কৌতুকটা প্রতমবারের মত চয়ন করা হলো ক্ষূদেব্লগারের ঝুড়ি থেকে। তাই এটা পড়তে গেলে নিশ্চয় কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন নিম্নরুপ_

**কৌতুকটা অত্যাধিক হাসির তাই হাসতে হাসতে যেকোন অঘটন ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই থাকে।

**আপনি কৌতুকটা পড়তে গেলে অবশ্যই একজন ডাক্তার পাশে রাখবেন। কারন যদি হাসতে হাসেত আপনার দম বন্ধ হয়ে আসে তখন ডাক্তার ডাকার সময় পাবেন কি না এই নিশ্চয়তা আপনাকে কে দিবে।

**তাছাড়া ৬০ উদ্ধ কোন লোক এই কৌতুকটা পড়তে পারবেন না কারন এই কৌতুকটা এমনই একটা মজার কৌতুক যে হাসতে মাতার তার ছিড়ে যেথে পারে।

**কৌতুকটা কোন স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি পড়তে পারবেন না, কারন হাসতে হাসতে ইনারা হাটফেইল্ড করতে পারেন।

**এছাড়াও কৌতুকটা শিশুদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে, কোন অবস্থাতেই যেন তারা এটা পড়তে না পারে, কারন তারা এটা পাঠ করলে আর কোনদিন স্কুলমূখী হবেনা সারা জীবন কািঠয়ে দিতে চাইবে এমন মজার মজার কৌতুক পড়ে পড়ে।

আহ্হারে দেখছেননি কি কান্ডটাই না হইল আপনাগো শর্ত দিতে দিতে কৌতুকটাই কি ছিল ভুলে গেলাম! পাঠক বৃন্দ কেউ মাইন্ড কইরেন না অবশ্য যখনই আমার মনে পড়বে কৌতুকটা তখনই আমি আপনাগো দরবারে তা হাজির করবই করব। কেমন——–?

এতক্ষন বরং আপানাদেরটা শেয়ার করুন

তো হয়ে যায় কৌতুক যুদ্ধ।

খুল যা সিম সিম…টিনের চালে কাক, গেদুতো অবাক

দূরে কাছে যে যেখানে আছেন সকলকে প্রাণ ঢালা শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি খুল যা সিম সিম এর আজকের পর্ব। প্রিয় বন্ধুরা আপনাদের মনে আছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই বিখ্যাত গল্প ইচ্ছাপূরণ। আরে হ রে ভাই ঐ যে বাবা আর ছেলের পাল্টাপাল্টি হয়ে যাওয়া, অর্থাৎ কিনা বাবা ছেলে হয়ে যাওয়া আর ছেলে বাবা হয়ে যাওয়া। কি মজার কা বাত হায়। আপনারা ভুলে গেছেন কিন্তু গেদুর খুব মনে আছে।

তো সেদিন গেদুর সাথে মুরব্বীর দেখা। এই ইচ্ছাপূরণ নিয়ে নানান কথা।
গেদু বলল ঃআমার জীবনে একটা ইচ্ছাও পূরণ হল না। আচ্ছা ভাই মুরব্বী আপনার কোন ইচ্ছা পূরণ হয়েছে?
বিশিষ্ট ভদ্রলোক মুরব্বী বললেনঃ হয়েছে, ছোটবেলায় স্যারের হাতে চুল টানা খেতে খেতে ভাবতাম চুলগুলো না থাকলেই বুঝি ভালো হত। এখন দেখ, মাথায় একটাও চুল নেই।

গেদু বলল এটা কিভাবে হলো? বলতে গিয়ে হঠাৎ থেমে মুরব্বী এদিক ওদিক তাকাচ্ছেন, গেদু বলল কি ব্যাপার?
মুরব্বী বললেন, না তেমন কিছু না, আশেপাশে মুরব্বীনি নাই তো!!

টিনের চালে কাক গেদুতো অবাক!!!

গেদুর সাথে সেদিন খালিদ ওমর ভাইয়ের দেখা। গেদু রাস্তায় দাড়িয়ে কাদছে। খালিদ ভাই বললেনঃ – কিরে কাঁদিস কেন?
গেদু বললঃ দেয়ালে পেরেক মারতে গিয়ে মুরব্বী মাথা ব্যাথা পেয়েছে।
খালিদ ভাই বললেন ঃ কাদার কি আছে? পুরানো টাক, এটুকু ব্যাথায় তার কিছু হয়?
গেদু বললঃ আমিতো প্রথমে হেসেইছিলাম… সেজন্যইতো আমাকে…

মুরব্বী শক্ত পুরানো টাক, গেদুতো অবাক।

মিতা আর গেদুর বাড়ি পাশাপাশি। এলেবেলে লিখে মিতা এখন শব্দনীড় ষ্টার। গেদু আর মিতার কিছু এলেবেলে কথা আমরা গোপন ক্যামেরায় রেকর্ড করেছি। প্রিয় পাঠক আসুন সংলাপগুলো একটু ভাবি…

মিতাঃ ভাই আপনার জন্মদিন কবে?
গেদুঃ কেন ভাই, জন্ম দিন জেনে কি করবেন?
মিতাঃ না মানে, আপনাকে একটা পর্দা gift করতাম আর কি। কারন জানালা দিয়ে প্রতিদিন আপনাদের রোমান্স দেখে দেখে bore হয়ে গেছি।
গেদু ঃ আপনার জন্ম দিন কবে?
মিতাঃ আগামী সপ্তাহে। কেন?
গেদু ঃ আপনাকে একটা দূরবিন gift করব যাতে আপনি দেখতে পারেন যে wife টা কার!!!

প্রিয় দর্শক শ্রোতা পাঠক / পাঠিকা গেদু খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। গেদুকে পাওয়া না গেলে অনুষ্ঠান চালাই কিভাবে?

খোদা হাফেজ।