অপরাজিতার শুভেচ্ছা
বিভাগের আর্কাইভঃ আলোকচিত্র
আমার আলোকচিত্র – ০২
আমার ছবি ব্লগ-১
কৃষক ব্যাস্ত কৃষিকর্মে।
নিঃসঙ্গতায় মলিন।
ক্ষুদে নিষ্পাপ শুভ্রতারা!
সবুজের ভীড়ে এক ফোঁটা জলের রাজত্ব।
সলাজ অভ্যর্থনা।
উষার কোমল দৃশ্য।
আনারস এখন খাওয়ার উপযুক্ত।
মন খারাপ।
মাথায় শুকনো পাতার বোঝা নিয়ে চললাম আপন গন্তব্যে।
ঐন্দ্রজালিক বৈচিত্র।
আমার আলোকচিত্র – ০১
ফ্রেমবন্দির গল্প-১
= ফ্রেমবন্দির গল্প =
আমার ক্যামেরা হলো ক্যানন ৬০০ডি, প্রথম লেন্স কিনেছিলাম ১৮-১৩৫, কিন্তু চাঁদকে কোনোভাবেই কাছে আনতে পারছিলাম না। কথায় বলে না শখের তোলা ৮০ টাকা। আমার বেলায়ও তাই হলো। টাকায় যখন চুলকায় তখন যেকোনো ভাবেই টাকা পকেট থেকে চলে যাবে এটাই স্বাভাবিক হাহাহা, টেকা পয়সা হলো তেজপাতা, সে উড়ে যাবেই। শেষে একদিন মনস্থ করলাম যে আরেকটা লেন্স কিনবাম। শেষে গিয়ে ৭৫-৩০০ লেন্স কিনে নিয়ে আসছি। আনছি কিন্তু ছবি তোলার জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ধারে কাছে সুন্দর লোকেশনও নাই। মনে মনে ভাবলাম বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনীতে তো ফুলের বাগান আছে, সেখানেই ট্রাই করে দেখবো।
ছেলেকে স্কুলে দিতে যাওয়ার সময় হাতে ক্যামেরাখান তুলে নিলাম। ভাবলাম বাগানের গেইট যেহেতু খোলা না দূর থেকেই চেষ্টাটা ভালো হবে। ছেলেকে স্কুলে দিয়ে লেগে গেলাম অসাধ্য সাধনে। কিন্তু বদের বদ লেন্স কোনোভাবেই বাগে আনতে পারছিলাম না। ম্যানুয়ালীই তুলেছি ছবিগুলো কিন্তু আশানুরূপ ফল পাই নি। জুম বাড়িয়ে কাছে আনি কিন্তু ফোকাস হয় না।
কী আর করা তাও চেষ্টা চালিয়ে যাই এবং বিশেষভাবে এই সূর্যমূখিটাকেই টার্গেট করি। দূর থেকে ছবি গুলো ভালোই আসে, তবে জুম করলে ফেটে যায়, যাই হোক কিছু সুন্দর দূর থেকে দেখলেও ভালো লাগে। ঐ দিন আরও ছবি তুলেছিলাম, সেগুলা অন্যদিন না হয় দিবো।
ছবি তোলা যদিও আজাইরা সময় নষ্ট, সবাই বলে -আমি না। ছবি তোলা একটি শখের কাজ। সুন্দর দেখা আর সুন্দর ধরে রাখার প্রয়াস মাত্র। আমার প্রতিটি ছবি পোস্ট করার আগে ডেস্কটপের ওয়ালপেপার হিসাবে ইউজ করি। দেখে কী যে ভালো লাগে বলার মত না। খুব শান্তি অনুভব করি। আমি প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার না, তাও কোনো কোনো ফেবু ফটোগ্রুপে বেস্ট ফটো, ফটো অব দা ডে, সুপার ফটোগ্রাফী হিসাবে মির্বাচিত হয়। এটা আমার এক্সট্রা পাওনা হয়ে যায়, ভালো থাকার। মুগ্ধ প্রহরগুলো তবে হয়ে থাক ক্যামেরা বন্দি, নিজে দেখি এবং সবাইকে দেখাই। আল্লাহ সবাইকে সুন্দর অনুভব করার জন্য একটা মন দান করুন। ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা সবাইকে। ফি আমানিল্লাহ।
ফ্রেমবন্দির গল্প যদি পাঠকের ভালো লাগে তবেই ফ্রেম বন্দির গল্প সিরিজ হিসেবে দিতে পারি। পাঠকের চোখেই তবে পোস্ট দেয়া না দেয়া নির্ভর করে- ভালো থাকুন।
©কাজী ফাতেমা ছবি।
» প্রকৃতির ছবি, দেশের ছবি (ক্যানন ক্যামেরায় তোলা)-২
মন হয়ে যায় প্রজাপতি-উড়ি ফুলোবনে
স্নিগ্ধ আলোর লুকোচুরি-সুখের হাওয়া মনে।
ফুল হয়ে যাও, নয়’তো পাতা-দেখা হবে দু’জন
বসবো উড়ে মনের শাখে-প্রেমের কুহু কুজন।
সুজন হবে তুমি আমার-আমি তোমার সখি
ফাগুন দিনে প্রেমের হাওয়া-মন মাঝে দেয় উঁকি।
২। প্রকৃতিতে_মন_রাখো
ধানের পাতায় পাতায় শিশিরের ফোঁটা
সবুজের সজীবতায় মুগ্ধতা ঝরে সারাবেলা।
এক স্নিগ্ধ বিকেলের প্রান্ত ছুঁয়ে আসি,
ক্ষেতের আলে বসে মুগ্ধতায় রাখি দৃষ্টি
যেথায় লাল পোকাদের বসেছে মেলা
লাল পিরান গায়ে, ইচ্ছে স্বাধীন ওরা
ঘুরে বেড়ায় পাতায় পাতায়।
ধানের হলুদ সবুজ শীষে ওরা বানিয়েছে শান্তি সুখের নীড়
ভালো লাগে আমার এবেলা-একটি বসন্ত বেলা
ওদের ভালোবাসার বাড়িতে মৃদু হাওয়ার দোলা
ওরা দুলে প্রেমে ভালোবাসায় খেয়াল খুশিতে।
৩। ও_আমার_দেশের_মাটি
এই যে আমার দেশের মাটি-গাছে তরুলতায় তার রূপবাহার
এখানেই গা ঘেঁষে আছে দাঁড়িয়ে সবুজ উঁচু পাহাড়,
নদীর জলের ঢেউয়ে ঢেউয়ে টেংড়া পুটির হাসি
ও বাংলা মা তোকে বড্ড ভালবাসি।
চিরচেনা ধূলো মাটি-সোঁদা গন্ধে আকূল প্রাণ
এখানেই সুর তুলে গাই
“আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি” গান।
বটের ছায়ায় আহা কি মায়ায় ঘিরে আছে বাংলা মায়ের কূল
এখানেই গাছে রশি বাঁধা দোলনায় সুখেতে খাই দুল।
৪। উদাল_ফুল
দে রাঙ্গিয়ে বন্ধু আমায়-উদাল ফুলের মালায়
আয় নিয়ে উদাল ফুল সব- সাজিয়ে প্রেম ডালায়!
নাকফুল আমায় দিবি গড়ে-হলুদ উদাল ফুলে
ডাল ভেঙে নিস ফুলের গুচ্ছ-যাস্ না আবার ভুলে।
উদাল ফুলে সাজবো আজি- দুদ্যেল দুলে কানে
থোকা থোকা ফুল দেখে যে-মুগ্ধতা এই প্রাণে।
৫। চলো_ঘুরে_আসি_মেয়েবেলা
এখানেই উপুর হয়ে আছে আমার একেকটি উদাস দুপুর
স্মৃতির নুপূর বাজিয়ে যায় সময়,
স্মৃতিগুলো উপুর হতে চিৎ করলেই-আমি হারিয়ে যাই সেই-সেইবেলা,
সেই শিউলী প্রভাত, ধূলোবালি মাখা মেঠোপথ
ক্ষেতের আলে লকলক করে বেড়ে উঠা সবুজ ঘাস
সেই ঘোলা পানির হাঁসদের সাঁতার কাটা ডোবা
সেই স্বচ্ছ জলের পুকুর-
যেথায় জল আয়নায় ঝুঁকে পড়তো এক আকাশ নীল সাদা মেঘ।
৬। তুমি_যাবে_যাবে_আমার_সাথে?
যাবে নাকি? যাবে চলো-আমাদের গ্রামে
দূর্বাঘাস মুড়ানো পথ-
যেথায় মাটি গিলে ফেলেছে-সবুজের লকলকে জিভ
এখানে নেই কোনো খাঁখাঁ প্রান্তর
সবুজের হাতছানি কেবল দিগন্ত জুড়ে
যাবে নাকি আমাদের গ্রামে-হাঁটবে খালি পায়ে আরামে?
৭। #ঝরো_ভালবাসার_বৃষ্টি_হয়ে
বুকের জমিনে বারো মাস চৈত্রের খরা
শুকনো খরখরে মাটি- আজন্ম তৃষ্ণার বুকে বসে ঠাঁয়
একফুটা ভালবাসার জল পেতে হাপিত্যেস জীবন
তবু নেমে আসে না বৃষ্টি,
দেয় না ভিজিয়ে শুকনো মন জমিন।
৮। অন্যের_জমির_দখল_ছেড়ে_দাও
কতটুকু জমিন পাবে বেলাশেষে?
এক বিঘা দুই তিন চার বিঘা?
কতটুকু জায়গায় ঠাঁই হবে শেষে
কোন সে বিছানায় শোবে গিয়ে বল?
এই যে এত হল্লা জীবন নিয়ে-জমি নিয়ে
নি:শ্বাস টেনে ছেড়ে দেবে! সে ভরসা কোথাও পাও?
যদি না চান তিনি-আমার মহান রব,
আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা!
কিসের অহমিকা মনে পুষো তোমরা
জমি দখলের দম্ভসীমা পার হতে হতে ভুলে যাও
তোমাদেরও বুকের বামে এক অচীন ময়না পাখির বাস,
বুকের খাঁচায় কারে পুষো-ওরে দাম্ভিক মানুষ!
৯। #কলমি_রঙ_শাড়ী_চাই
কলমি ফুলের রঙের একটা, কিনে দিবি শাড়ি
হালকা রঙ গোলাপী শাড়ি,আসবি নিয়ে বাড়ি?
সবুজ রঙের পাড়ের মাঝে, সূঁচ ফুটানো সূতা
কারুকার্য হবে শাড়ির, না হয় য্যান্ অন্যথা!
চুড়ি কিনিস মেজেন্ডা রঙ, সাথে বেলীর মালা
শোনছিস্ মারিস না তুই,কানের মাঝে তালা!
১০। #চলো_হারাই
চলো ভাসি আজ ভালবাসার হাত ধরে
উদাস দুপুর রাঙিয়ে দেই প্রেমানুভূতির রঙ দিয়ে
হোক ভালবাসা দিবস কি মন্দ বাসার দিবস
তাতে আমাদের কি বলো!
আমরা ভালবাসি-আজ কাল পরশু কিংবা
বাসব অনন্তকাল পর্যন্ত!
শুনো, খুই হইচই মুহুর্ত মনের ঘাটে এসে ভিড় করেছে
উছলে উঠছে ক্ষণে ক্ষণে প্রেম ঢেউ,
সবাই বলাবলি করছে-ফাগুন এসেছে-
রেঙেছে শিমুল অশোক বন
আর সাথে নিয়ে এসেছে একটি মাত্র ভালবাসার দিন!
» ভেজা অনুভূতি লেপ্টে থাকুক জীবনজুড়ে (মোবাইলগ্রাফী)
স্যামসাং এস নাইন প্লাস দিয়ে তোলা ছবিগুলো । বিভিন্ন সময় তুলেছিলাম বৃষ্টির পর। আশাকরি ভালো লাগবে সবার।
১। ছবির গল্প,
এই ফুলটি কুঁড়িয়ে পাই বাসার গেইটে, প্রায়ই এখানে কাঠগোলাপ পড়ে থাকে। কারণ ছাদে একটা গাছ আছে। খুব অবহেলায় টিকে আছে আহা কত ফুল যে ধরে ছাদে গেলে অন্য বাসার ছাদে চোখ দেই তখন। আর ফুলগুলো প্রায়ই কুঁড়িয়ে আনি বাসায়। সেদিন বৃষ্টি হলো ফুলটাকে রেখেছিলাম রোজ ক্যাকটাস গাছে ঝুলিয়ে, বৃষ্টির পর ঝকঝকে মুগ্ধ ছবি। দেখলেই আরাম লাগে এমন ছবি।
২। বৃষ্টির পর- অফিস ছুটির সময় তোলা এই ছবিটি। অফিসে ছবি তোলা লজ্জাজনক লাগে। তাছাড়া বাগানের কাছে হুদাই কে আর যায় সবাই দূর থেকে দেখে। সেদিন গেলাম কাছাকাছি বৃষ্টিতে ভেজা ফুলগুলোর ছবি উঠাতে । কেউ তাকাইলে তাকাক বললে বলুক এসব তোয়াক্কায় ছবিগুলো মনের নাগালে আসে। দেখলেই ভালো লাগে।
৩। এটা ছেলেদের স্কুল থেকে উঠানো। ছেলেকে আনতে গিয়ে দেখি বৃষ্টি ভেজা এই শুভ্র ফুল। কেমন করে সবুজের বুকে মুখ লুকিয়ে ওরা বৃষ্টি স্নানে রত ছিলো। আমার চোখ হতে বাঁচতে পারেনি ওরা হাহাহা। টাচ ক্লিকে তুলে আনি এই কিছু মুগ্ধতা।
৪। এই ছবিটা আমাদের বাসার কাছে, কবি জসীম উদ্দিনের বাচ্চাদের বাড়ি আসমানীর বাগান থেকে তোলা। ছেলেকে কোচিং থেকে আনতে যাবো তখনই চোখে পড়ে ওদের। ফুল ছোট কিন্তু রঙ মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর। বৃষ্টিতে ওদের আরো আকর্ষনীয় লাগছিলো।
৫। এই দৃশ্য রোজই দেখি। কখনো ছবি তুলি কখনো ফুল সরিয়ে হেঁটে যাই, এটাও ব্যাংক কলোনী স্কুল থেকে তোলা। নিচে বসে ছবি তুলতেছি -মেডামরা বলে কী করছেন আপনি, আমি বললাম ছবি উঠাচ্ছি ম্যাম। উনারা হেসে চলে গেলেন। ফুলরাও হাসলো আমার মোবাইলে চুপ বসে ।
৬। স্কুলের বাগান থেকে উঠাইছি। বেলী ফুলের হাজার ছবি আছে মোবাইলে। এই বাগানটি দারোয়ান খুব যত্নসহকারে করেছে। কত রকম ফুল ফুটে থাকে প্রতিদিন। ছবি উঠাতে উঠাতে আমি ক্লান্ত। তবুও উঠাই ভালো লাগে খুব। এসব আমার মুগ্ধতা। সুখ।
৭। এই ছবিটি আমাদের ভোগ্যপণ্যের দুতলা থেকে তোলা। সেদিন ছেলেদের টিফিন কিনবো-আমাদের আবার ফাস্টফুডের দোকান এখানে। সিঁড়ি বেয়ে উঠতেই দেখি পাতা চুয়ে বৃষ্টির ফোঁটা । ভালো লাগার ভরপুর সময়। সজীব প্রহর আমার । টাচ ক্লিকে তুলে রাখি সুখ সময়।
৮। বৃষ্টির মুুহুর্তে ছেলের স্কুল শুরু, ছাতা দিয়ে পৌছে দিয়ে তারপর পুরো কলোনী একটা চক্কর মারি। হাঁটতে ভালো লাগে তাছাড়া বৃষ্টির খোঁজে নেমে পরি ভেজা রাস্তায়। শিউলী গাছের নিচে পড়ে থাকে ঝরা শিউলী, বৃষ্টিতে মাখামাখি তবুও বদ বেটির রূপের সীমা নাই। শুভ্রতা রূপ নেয় শুদ্ধতায় মনটা পবিত্রতার ছুঁয়ায় ভরে থাকে এবেলা।
৯। এই ছবিটিও ব্যাংকের ফাস্ট ফুডের দোকান থেকে তোলা। একটা তুললে মন ভরে না। তাই দুই তিনটা ক্লিক পড়বেই পড়বে।
১০। দেখে দেখেন ক্যামনে আমার দিকে চায়া আছে, ছবি না তুললে সে অভিমানি হবে তাই আর দেরী না করে ছবি তুলে রাখি। সেও খুশি আমিও খুশি। সেও মরবে না আমার মুগ্ধতারাও মরবে না । ঠিক কইছি নি?
১১। ইহা একটি হাসনাহেনার হাসি। বৃষ্টির পরও সে পাপড়ি মেলে হেসেছিলো। ইহাকে খুঁজিয়া পাই আমি স্কুলের বাগানে। কিন্তু দিনের বেলা ইহার কোনো গন্ধ খুঁজিয়া পাইলাম না যদিও উনি বেশ সুন্দরী তখনো।
১২। ইহা জসীম উদ্দিনের বাড়ির বাগান থেকে তোলা। ইহাকে আমি কাঠবেলী বলে বুলাই। বৃষ্টিতে ভিজে লজ্জাবতী লতার মত চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলো দেরী না করে তুলে রাখি উনাকে আমার ছবিঘরে।
১৩। ইহার নাম আমি আজও সন্ধান করিয়া পাইলাম না। যাক নাম দিয়া কি হপ্পে ফ্রান্স । উনি আর ফুটেন না। এতটুকুই উনার সাহস। ইহা আমি স্কুলের বাগান থেকে উঠাইছিলাম।
১৪। ইহার কাহিনীও এক অই যে বলেছিলাম না ইহাকে আমি অফিসের ফাস্টফুড দোকান থাইক্কা উঠাইছি। দেখেন কেমন ফোঁটা ঝুলে আছে পড়ি পড়ি করে পড়ে না কার না ভালো লাগবে বলেন হুহ ভালো না লাগলে দেখা ফেরত নিমু কইলাম।
১৫। এটি হলো এজিবি কলোনীর বাজারের ফাঁকে একটা নার্সারী থেকে তোলা। কী কারণে বাজারে গেছিলাম অহহো একটা ঝাড়ু কিনতাম, দেখি বৃষ্টিতে ওরা সুন্দরী সাজে দাঁড়িয়ে আছে। ভালো লাগায় ভরপুর সময় আমার। থাকুন বন্দি মন ক্যামেরায়।
১৬। ইহার নাম জানি না কিন্তু। বৃষ্টিতে ভিজে সুন্দরী সাদা জামা গায়ে শুদ্ধতার রঙ ছড়াচ্ছে। স্কুলের বাগান থেকে তোলা ছবি।
১৭। ইহা কলোনীর বাজারের নার্সারী থেকে তোলা। ১৫ নং কমেন্টে লিখা আছে। হলুদ রাণীর প্রেমে পড়ে গিয়ে ছবি উঠাইছি।
১৮। স্কুলের বাগান থাইকা তুলছি। নয়ন তারা বৃষ্টিতে ভিজে জামাকাপড় ভিজে গেছে ওদের তবুও ওরা সুন্দর।
১৯। ১৫ নং কমেন্টে লিখা আছে। সাদা জবা রাণী। গন্ধ না থাকলেও চোখে মুগ্ধতা এনে দেয় এই হারামী।
২০। ২ নং কমেন্টে লিখা আছে এই গোলাপী কন্যার কাহিনী।
২১। ইহা স্কুলের বাগান থাইকা তুলছি। আর কিছু কইতে হপে ফ্রান্স?
২২। স্কুলের বাগানের টগর ফুল। বৃষ্টিতে ভিজে শুদ্ধতা ছড়াচ্ছে খুবসে । ভালো লাগে আমার এমন প্রহর। বৃষ্টি ভেজা প্রহর। ভালোবাসি আল্লাহ তাআলার সৃষ্টির সব সৌন্দর্য্যকে। ভালোবাসি আল্লাহকে।
২৩। স্কুলের বাগানের ফুল। আর কিছু কইতাম না হুহ
<img src="https://i.imgur.com/EJw9oNJ.jpg
২৪। এই কাহিনীর সাথে এক নং কমেন্টের মিল আছে । হাহাহাহ আর কইতাম না।
২৫। এই ছবিটি খুবই ভালো লাগে আমার। যেনো তুমি আর আমি ঝুলে আছি ডাল ধরে। প্রেমে প্রেমময়ী তুমি আমি সুখের জলে ভিজছি। মাথাতুলে দেখছি আবার বৃষ্টি ভেজা আকাশটাকে আহা। ভালো লাগার মুহুর্তগুলো আমার। তুলে ধরলাম আপনাদের মাঝে। শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী ভাই কইয়েন না আপনার সব পোস্ট একই রকম। কিতা করতাম কন এক জায়গাতেই থাকি খাই শুই। ছবি তোলার লোকেশন আর খুজেঁ না পেলে কিতা করতাম কন। আমি ছেলে হইলে সারা ঢাকা শহর চষে বেড়াতাম আর ফটো তুলতাম। না তুললে পোস্ট দিমু ক্যামনে আপনিই কন।
প্রকৃতির ছবি, দেশের ছবি (ক্যানন ক্যামেরায় তোলা)
আমার_দেশ_আমার_অহংকার
ছুঁয়ে দিলেই স্নিগ্ধতা ঝরে পড়ে,
ধানের পাতায় পাতায় কেবল ভোরের শিশিরের খেলা
সাঁই সাঁই হাওয়া এসে কাঁপিয়ে দেয় ধানের শিষ’দের,
মুগ্ধতাগুলো এখানেই ঝরে পড়ে
আর আমার চোখে থাকে সেঁটে।
চোখের ক্যানভাসে এঁকে রাখি সবুজ রঙ প্রলেপে
আমার দেশের পতাকা,
এখানেই ধানেরা দুলে স্বাধীনতায়-সবুজের বুকে উঁকি দিয়ে,
আর সবুজ পাতার বুকে লাল ফড়িঙ উড়ে বসে স্বাধীনতায়,
ক্ষেতের আলে বসে, নাক টেনে শ্বাস নেই স্বস্তির।
২। #জিনিয়া_কাব্য
রঙ গোলাপী কন্যা’রে তুই-নাম কি তোর জিনিয়া
নিয়ে গেলি রঙ ছিনিয়ে-থাকি ক’ কি নিয়া,
সবুজ পাতার বিছনার উপর-রাণী সেজে বসে
যাচ্ছিস বুঝি অহম মনে-রূপের অংক কষে?
বল্ না আমায় ও জিনিয়া
ভাবছিস বসে তুই কি নিয়া?
যৌবন বয়স তাই বুঝি তাই-উছলে পড়ে রূপ তোর
ফুটে থাকিস রঙ দেখিয়ে-একলা তুই রোজ চুপ ভোর।
রূপ বিলাচ্ছিস অহম মনে-বুক ফুলিয়ে তুই কি?
তোকে দেখে হিংসায় মরে-লতানো ফুল পু্ঁই কি?
বল্ না আমায় ও জিনিয়া
মন নিবি কি মোর কিনিয়া?
৩। #শুনো_আমার_টিয়া_পাখি
রেগে গেলে আমায় নাকি-লাগে সুন্দর অতি
শুনে তোমার এমন কথা-হলাম প্রজাপতি।
প্রজাপতি মন যে আমার-উড়ে ঘুরে হাওয়ায়
দেখো তুমি মনোযোগে-বসে দখিন দাওয়ায়।
প্রজাপতি হতে হতে-মন হয়ে যায় পাখি
পাশে উড়তে মন বাড়িয়ে-যাচ্ছি তোমায় ডাকি!
৪। ভাঁটফুল_জীবন
ভাঁটফুলেরও কি ঘ্রাণ আছে! মিষ্টি কি তিতে!
তবুও মেঠোপথ জুড়ে ওরা সাদা আলো জ্বালিয়ে চোখ দেয় ধাঁধিয়ে
এখানেই যেনো গাঁথা আছে আমার জোনাক জ্বলা প্রহর,
ভেজা মাটির পথগুলোতে উঁকি মেরে মেরে ওরা চুপ দাঁড়িয়ে
সুন্দর বিলিয়ে ঝরে পড়ে পাপড়ি-লাল টুকটুকে ফল
পাতায় পাতায় বাসা বাঁধে জোনাক পোকার দল।
৫। ভালোবাসি_প্রভু_তোমার_সৃষ্টি
জল আয়নায় ক্লান্তি ছেড়ে দিয়ে আমি শান্তি কুঁড়াই
এই শহরের ইট সুড়কির পথে হাঁটলেই রোদ্দুর আমায় পুড়ায়-
খুব পুড়ায়-ঠিক দুপুর যখন!
আমি তখনো হেরে যাই না, ঝরা পাতায় চোখ রেখে মুগ্ধতা ছুঁই।
কষ্টগুলো ঝেড়ে ফেলে-গাছের ছায়ায় পথিক হই
আর আমার প্রভুর সৃষ্টির সুন্দর উপভোগ করি নি:শ্বাস টেনে।
এই যে চোখের আলো-আল্লাহ তোমার দান
দৃষ্টিতে দিয়েছো আলো-আর এই প্রকৃতি জুড়ে দিয়েছো মুগ্ধতার রঙ
কি করে বলো চোখ ফেরাই নিরস বদনে!
নীল আকাশ করে দাও কখনো বিবর্ণ
কখনো ভরে দাও নীলে
আবার কখনো শুভ্র মেঘেদের ছেড়ে দাও আকাশের বুকে!
৬। সূর্যমূখী নোস কি-রে তুই -যেনো সূর্যমূখী
হেসে থাকিস ঠাঁয় দাঁড়িয়ে-মুখটি করে সুখি।
হলুদ রঙের শাড়ি পরে-সেজে থাকিস হেসে
যায় না থাকা তোকে বাপু-ভালো’টা না বেসে।
খয়েরি টিপ কপালেতে-হলুদ চুড়ি হাতে
সূর্যমুখী কন্যারে তুই-ফুটিস কি রোজ প্রাতে?
নাম দিলাম তোর হলুদ কন্যা-হলুদ বরণ রঙে
থাকিস সেজে রোজ বিকেলে-চোখ বাঁকিয়ে ঢঙে।
৭। #এসো_বসি_সভ্যতা_ছুঁয়ে
দু’দন্ড শান্তি না হয় এখানেই পেয়ে যাই-
দৃষ্টিতে মুগ্ধতা না থাকলে সব রঙ বিবর্ণ ছাই,
বিকেল ছুঁয়ে চলো বসি শান বাঁধানো ঘাটে
জলে পা ডুবিয়ে-ছুটি দিয়ে সকল কর্ম পাঠে!
ব্যস্ততার নাও খানা দাও ডুবিয়ে দাও এবেলা
মুগ্ধ প্রহর আসে না হরপল-করো না অবহেলা।
মুগ্ধ হয়ে তাকাও
মনে এক লহমা সুখ আঁকাও
বন্ধ চোখে দেখো তুমি আমি ফিরে যাই সেই সভ্যতায়
এখানে নেই আমি তুমি-সেই সেই রাজকুমার তুমি
বেঁধে রেখেছো আমায় প্রেম সূতায়!
৮। #মুগ্ধতা_আনো_চোখে
এই যে ফুলটবে আগাছা ফুল ফুটে আছে
আহা এইটুকুনই আমার মুগ্ধতা
ওর কোনো ঘ্রাণ নেই-নেই রূপের আস্ফালন
ওর গায়ে মাখানো শুধু স্নিগ্ধ সজীবতা।
কি আর আছে জীবনে বলো-যদি না থাকে চোখে মুগ্ধতা
বিত্ত বৈভব ঠেলে আগানো পথ কতটা সুখকর হয়?
গায়ের ঘাম ঝরিয়ে,এক দুই আনা জমিয়ে-
ব্যাংক ব্যালেন্স ফুলে ফেঁপে একাকার-
জীবনের সুখসময়, করে ক্ষয়।
৯। তুমি_আমি_গামারি_ফুল
পাতা নড়ে জলের ফোঁটায়-জলে ভাসে ফুলও
থাকলে তুমি পাশে আমার-হারাই না আর কূলও!
এই যে পাশে আছো ঘেঁষে-আমায় ছুঁয়ে ছুঁয়ে
আমায় ফেলে যাবে আরও-এখান’টাতে থুয়ে?
আমি তুমি গামারি ফুল-ফুটে থাকি পাশে
হলুদ রঙের বসন ভূষন-সবুজ পাতা হাসে।
১০। আবোল_তাবোল_ইচ্ছে
লাল ফড়িংয়ের দেশে লো-নীল ফড়িংয়ের দেশে
কে কে যাবি সঙ্গে আমার-আয় না হেসে হেসে লো
আয় না হেসে হেসে!
সবুজ ঘাসের ডগায় ডগায়-ফড়িং বসে রোদ পোহায়
বুনোফুলের ঘ্রাণে মাতাল-কি মায়াবী মোহ হায়…
যাই ভেসে যাই সুখে লো
আমি যাই সুখে যাই ভেসে।
এই যে আমার সোনার দেশে বৃক্ষ তরুর ছায়ায়
সুখাবেশে ধরে রাখে খুব মায়ায় লো
রাখে ধরে খুব মায়ায়।
শৈশব
বৈশাখী সাজে শিশু বালিকা
বৈশাখী সাজে সেজেছে এক বালিকা শিশু।
কয়েক দিন পর পহেলা বৈশাখ।
নতুন বছরে বাঙালি সাজবে নতুন সাজে।
রাবার দিয়ে কাল কালি মুছে। তারই সাথে
রং তুলি দিয়ে নতুন রং লাগাবে মনে।
সবাই নববর্ষের শুভেচ্ছা!!!!
সাকসেস পয়েন্ট আয়োজিত, শিক্ষা সফর ২০১৯
সাকসেস পয়েন্ট, গোয়ালাবাজার।
সিলেটের, ওসমানীনগর উপজেলার, গোয়ালা বাজারে অবস্থিত” প্রাইভেট কোচিং সেন্টার” সাকসেস পয়েন্ট এর আয়োজন করেছে শিক্ষা সফরের। প্রথম বারের মতো এবারও শিক্ষা সফরের আয়োজন। বিভিন্ন পূর্ব প্রস্তুতির মাধ্যমে ১৩ই মার্চ ২০১৯ রোজ বুধবার শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়।
কোথায় যাওয়া হবে? তাই নিয়ে শিক্ষার্থীর মাঝে কত কি যে প্রশ্ন জাগে। প্রকৃতির লীলাভূমি দেখার যেন শেষ নেই। অনেক আলোচনার পরে, সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিল, ভ্রমণে নাকি জাফলং যাবে। আর কোথায় যাওয়া হবে? শ্রীপুর পার্ক আর মনিপুরী রাজ বাড়ি।
বাংলাদেশের সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পাশে, একটি পর্যটনকেন্দ্র জাফলং, সিলেট শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে, ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এবং এখানে পাহাড় আর নদীর অপূর্ব সম্মিলন বলে এই এলাকা বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটনস্থল হিসেবে পরিচিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনোনয়ন প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে মন প্রাণ শীতল হয়ে ওঠে। প্রাকৃতিক বালুকণা, পাথর আর পানির সংমিশ্রণ যেন মন ভুলানো অপূর্ব দৃশ্য।
কবিতার নামঃ প্রাণের ভাষা
প্রাণের ভাষা
আমি জানি না, বর্ণমালা।
তবুও জানি বাংলা ভাষা।
আমি শিখেছি, বাংলা ভাষা,
মধুমাখা মায়ের কণ্ঠ থেকে।
এটা আমার মায়ের ভাষা,
এটা আমার প্রাণের ভাষা।
বাংলা ভাষা, বাঙ্গালি জাতির ভাষা।
আমি জানি, বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনে কথা।
ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে,লক্ষ বীর বাঙালি।
নাম না জানা লক্ষ বীর,
জানা কয়েক জন বীর, রফিক, শফিক, জব্বার,সালাউদ্দিন,
ওহিউল্লাহ সহ শহীদ হয়েছেন লক্ষ বীর।
জীবনের মায়া বিসর্জন দিয়ে,
এনেছে ছিনিয়ে মায়ের ভাষা।
তাই আমরা আজ বাংলা ভাষায় কথা বলি।
________________________________
প্রথম প্রকাশিত “স্বাধীন বাংলা কাব্য সমাহার” গ্রন্থে।

বান্দরবান ভ্রমণ – নীলগিরি
২৫ তারিখ রাতে ঢাকা থেকে ““খাগড়াছড়ির পথে…”” রওনা হয়ে ২৬ তারিখ সকালে পৌছাই খাগড়াছড়িতে। দুপুরের খাওয়া দাওয়া সেরে রেস্ট নিয়ে আমাদের “খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – শুরু” হয় “আলুটিলা গুহা” দিয়ে। আলুটিলা গুহা দেখে আমরা চলে যাই “রিছাং ঝর্ণা“ দেখতে। ঝর্ণা দেখা শেষে আমরা যাই প্রাচীন শতবর্ষী বটবৃক্ষ দেখতে। সেদিনের মত শেষ স্পট ছিল আমাদের “ঝুলন্ত সেতু“ দেখা।
পরদিন ২৭ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি থেকে রাঙ্গামাটির দিকে রওনা হই একটি চান্দের গাড়ি রিজার্ভ করে। পথে থেমে দেখে নিই “অপরাজিতা বৌদ্ধ বিহার”। ২৭ তারিখ দুপুরের পরে পৌছাই রাঙ্গামাটি। বিকেল আর সন্ধ্যাটা কাটে বোটে করে কাপ্তাই লেক দিয়ে “সুভলং ঝর্ণা” ঘুরে।
২৮ তারিখ সকাল থেকে একে একে দেখে এলাম ঝুলন্ত সেতু, রাজবাড়ি ও রাজবন বিহার। দুপুরের পরে বাসে করে রওনা হয়ে যাই রাঙ্গামাটি থেকে বান্দারবানের উদ্দেশ্যে।
বান্দরবনে পৌছতে পৌছতে রাত হয়ে যায়। দুই একটি হোটেল আগে থেকেই জানা আছে, কিন্তু সেগুলিতে পছন্দ মত রুম না মিলাতে চলে আসলাম ট্রাফিক মোড়ের কাছে হোটেল “ফোরস্টার”এ। স্বপনের ভাগ্যে এবারও কাপল বেড, এবং সবচেয়ে ভালো রুমটা।
রাতের খাওয়া বাকি এখনও। রাজার মাঠের পাশেই আছে চেনা রেস্টুরেন্ট “রি-স্বং সং”। বান্দরবনে আসলেই এখানে খাওয়া দাওয়া করি আমরা। ফ্রেশ হয়ে চলে যাই সেখানে।
রাতের খাবারের পার্ট শেষে রাতের আড্ডা শুরু হয় স্বপনের রুমে। আগামী কালের ট্যুর প্লান নিয়ে আলোচনার পরে ঠিক হয়, সকালের নাস্তা সেরে জিপ নিয়ে যাব নীলগিরি। সেখান থেকে ফেরার পথে চিম্বুক হয়ে থামবো শৈল প্রপাতে। সব ঘুরে বান্দরবন ফিরে দুপুরের খাবার শেষে বিকেলে যাব নীলাচল, সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকব সেখানে, দেখব সূর্যাস্ত।
২৯ তারিখ সকাল, নাস্তা সেরে গত রাতের প্লান মাফিক চলে আসি জিপ ষ্টেশনে। অনেক দরদাম করে একটি জিপ ঠিক করি নীলগিরি আর শৈলপ্রপাত যাওয়ার জন্য।
শহর ছেড়ে বের হতেই শুরু হয় পাহাড়ি উঁচুনিচু পথ। অনেক বার গিয়েছি এই পথে তবুও পুরনো হয় না। সব সময় তার সেই পুরনো মায়াতেই টানে।
পাহাড়ি পথ আর পথের ধানের পাহাড়ি বসতির বিচিত্র জীবন যাপনে সাক্ষী হয়ে ছুটে চলে আমাদের গাড়ি। পাহাড়ের মাঝ দিয়ে নদীর মতো একে বেকে চলেছে পথ আর পাহারের নিচ দিয়ে পথের মতো একে বেকে বয়ে চলেছে, পাহাড়ি নদী।
পথে দু যায়গায় থামতে হয়। একটি পুলিশ চেকপোস্ট, অন্যটি আর্মি চেকপোস্ট। পুলিশ চেক পোস্টে টুরিস্টদের নামতে হয় না কিন্তু আর্মি চেক পোস্টে নেমে নাম ঠিকানা ফোন নাম্বার দিয়ে আসতে হয়। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এখানে অবশ্যই সবাই সঠিক তথ্য দিবেন, এগুলি হয় তো আপনারই কাজে লাগবে যদি কোন সমস্যা বা দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ চেকপোস্টের সামনে আমাদের জিপ
ঘণ্টা দেড়েকের জার্নি শেষে আমরা পৌছাই আমাদের প্রথম গন্তব্য “নীলগিরি”। ঝাঁঝাঁ রোদ্দুর চার ধারে, চকচকে রদ উঠেছে। গাড়ি থেকে নেমে কিছুটা চড়াই টপকে উঠে যাই ভিউ পয়েন্টের ছাউনির নিচে।
বেশকয়েকটা ভিউ পয়েন্ট আছে এখানে। সেগুলি হেঁটে হেঁটে দেখি আর সেই সাথে চলে ক্লিক-ক্লিক ক্যামেরার কাজ। ক্যামেরার চোখে আপনারাও দেখুন শীতের নীলগিরি।
এই ধরনের একটা যায়গায় থাকতে গেলে আপনার পকেটের জোড় থাকতে হবে।
নীলগিরি হেলিপ্যাড
বসবেন নাকি একটু!
ভিউপয়েন্টে সাইয়ারা
সবার সামনের ভিউপয়েন্ট
ম্যাপের সামনে সাইয়ার ও বুসরা
পূর্বদিকের ভিউপয়েন্টে, পিছনে সাঙ্গু নদ
আড্ডা
ফিরবো এবার….
আগামী পর্বে দেখা হবে শৈলপ্রপাতে।
ছবি ব্লগঃ আহা, কোথায় যে হারিয়ে গেল সেই শৈশব
ঢাকার কোথাও। কাছাকাছি সময়েই তোলা। মাস দুয়েক আগে সম্ভবত।
কলেজ স্ট্রিট, কোলকাতা, ২০১৬। সত্যি দারুণ মধুর ভ্রমণ স্মৃতি। ওদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলবার সৌভাগ্য হয়েছিল। খুবই আন্তরিক, যেমন হয় শিশুরা, ফুলের মতো শিশিরের মতো সহজ, কোমল।
বেশ কবছর আগে তোলা। ঢাকার কোথাও। খুব সম্ভবত ২০১৩ সাল বা ১৪। আহা, সময় বহতা পানি। পরিষ্কার মনে করতে পারছি স্মৃতিগুলো। একটা ছবি মুহূর্তেই ফিরিয়ে নিয়ে গেল ফেলে আসা সেই দিনে।
ছবিটা ফ্রান্সের, আমার নয়, আমার এক বন্ধুর ফ্লিকার একাউন্ট থেকে নেয়া। দারুণ একটা ছবি। শেয়ার করলাম। ওকে সম্ভব হলে একটা লিঙ্ক পাঠাবো মেইলে।
দুই বা তিন বছর আগের ছবি। বৃষ্টির দিন ছিল। ওরা খেলছিল ছোটো একটি মাঠে। ঢাকার কোনওখানে।
এটা বেশ কবছর আগে তোলা, ২০১৩/১৪। সত্যি দারুণ স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ছি ওর ছবিটা নিয়ে লিখতে গিয়ে। খুব চমৎকার সম্পর্ক ছিল আমাদের। বহুবার আমার ক্যামেরার সামনে মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আহা, আজ নির্ঘাত অনেক বড় হয়ে গেছে!
দুটি ছবি
ফড়িং।
প্রজাপতি।