ট্যাগ আর্কাইভঃ পদ্যপঙ্ক্তিমালা

ঘোর

ঘোর কাটেনা
তাইতো এমন
রাত কাটেনা
দিন কাটেনা
ভোর কাটেনা
ঘোর কাটেনা !

ঘোর কাটেনা
তাইতো এমন
অমাবশ্যা
গহন রাতে
চাঁদ হাসেনা
ঘোর কাটেনা !

ঘোর কাটেনা
তাইতো এমন
কদম ফোটা
বাদলা দিনে
সব ভিজে যায়
মন ভেজেনা
ঘোর কাটেনা !

ঘোর কাটেনা
তাইতো এমন
মধ্য দুপুর
ক্ষরতাপে
সব পুড়ে যায়
মন পুড়েনা
ঘোর কাটেনা !

ঘোর কাটেনা
তাইতো এমন
শিশির স্নাত
স্নিগ্ধ ভোরে
সুর্য হাসে
মন হাসেনা
ঘোর কাটেনা !

১৬ জুন, ২০১৬

প্রকৃতি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

আজ হতে কোন এক দিন
যদি, এ ধরণীতল
তুমি আমি হীন
হয়ে যায়, শূন্য বিরান
প্রকৃতির এই গান
সেদিন কি হয়ে যাবে ম্লান ?

অথবা সেদিন কোন যন্ত্র মানব
বুঝবে কি এই ভাষা প্রকৃতির ?
কবি ও যেখানে নীরব।
সেই দিন কোন এক শিল্পির তুলি
পারবে কি এঁকে দিতে
এ রাঙ্গা গোধূলি ?

মানুষ যতটা নিখুত নয়, ততোটাই
বারংবার যদি মোরা চাই
তবে কি মূল্য বল আর,
নির্ভুল হতে চাওয়া,
ভুলে ভরা মানব সত্ত্বার ?

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যদি,
কোন এক দিন কেড়ে নেয়
এই মোর আবেগের নদী
তবে কি দোষ দিব তার ?
যদি আমি নাই থাকি আর !

২৩ জানুয়ারী, ২০১৬

গোলক ধাঁধা

এক জীবনের গোলক ধাঁধা দিলাম তোমায়
যখন আমি থাকবোনা আর
মিলিয়ে নিও
আমার থাকা, না থাকা আর
থেকেও না থাকার মাঝে
মিল অমিলের ব্যাবধানটা !
মিলিয়ে নিও ।

১৬ মার্চ, ২০১৭

যুদ্ধ ও প্রেম

বহুকাল অবাক হইনা আমি
যাহা কিছু ঘটে যায় নিয়ত এ ধরনীতে
প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে
আদৌ নিয়ম কিছু আছে কি তাহার ?
নাকি কেবলই খেলা শুধু ?
মোরা সবে খেলার পুতুল !

ভেবে ভেবে দিশাহারা
সুখ খুঁজে পাইনা কখনও
অথচ সে অবোধ বালক
নিয়মের ধার কিবা ধারে ?
সারাদিন মেতে থাকে খেলাছলে
সুখী সেতো !
কে শেখায় নিয়ম তাহারে ?

এ জীবন খেলা ছাড়া নয়তো কিছুই
আমরা বুঝিনা তাই
খেলা ভূলে যুদ্ধে নেমেছি
টিকে থাকার কিম্বা না থাকার
খেলার মাঝেও তাই নিয়ম এনেছি !

যুদ্ধ ও প্রেম
কখনও কি কোনরুপ নিয়ম মেনেছে ?
জীবনের দুই’ই কি নীতি ?
যদিওবা আমাদেরই সৃষ্ট নিয়ম
যুদ্ধ কি কোনদিনও জীবনেতে জীবন এনেছে ?

প্রেম সেতো অ-নিয়ম খেলা
সকলই হারালো যবে
বুঝেছি অবেলা !

১৪ মার্চ, ২০১৭

অন্তর্দ্বন্দ

আমি যখন চুপ
ভাবছো আমায় অহংকারী খুব !

যখন আমি সরব থাকি কথায়
তোমার সাথে সুর মেলেনা
ডুকরে উঠো ব্যাথায়

চাইছো আমায় তোমার মত করে
অনিচ্ছাতে তাইতো আছি দূরে ।

২০ মার্চ, ২০১৫

শূন্য হাত

বলেছিলে ধরবে আমার হাত
অপেক্ষাতে ছিলাম আমি
কত শত কাজের মাঝেও
সকাল, দুপুর, রাত ।

কবে তোমার এমন সময় হবে ?
যখন তুমি আপনা ভুলে
হৃদয় খুলে বলবে শুধু
আমার পাশে রবে ।

স্বপ্ন গুলো তাড়া করে পিছে
কি যন্ত্রণা ধৈর্য্য কি আর সয় !
দুরেই যদি থাকবে এমন করে
কেমন করে অমন কিছু হয় ?

অবশেষে যেদিন তুমি এলে
সকল দ্বিধা দ্বন্দ্ব পিছে ফেলে
অনেক সময় পাশাপাশি বসা
বিনিময়হীন অনেক ভালবাসা ।

অনেক কথাই হয়েছিল বলা
অনেকটা পথ হেটেছিলাম সাথে
প্রশ্ন শুধু আজও জাগে মনে
কেন ফিরেছিলাম শূন্য হাতে ?

২৬ মার্চ, ২০১৫

যখন তখন

যখন তোমায় খুজি,
আড়াল থেকে দেখতে আমায়
খুব মজা পাও বুঝি ?

যখন খুজে পাই,
ভাবটা তোমার এমন যেন
আমিই কোথাও নাই ।

যখন খানিক হাস,
ভাবি তখন হয়ত আমায়
অনেক ভালবাস !

যখন কষ্টে নীল,
তখন তুমি ক্যামন যেন
পাইনা খুজে মিল ।

যখন থাকি দূরে,
তখন তুমি বাজাও বাশি
ক্যামন করুন সুরে ।

যখন আবার কাছে,
ভবঘুরে মানুষটা যে
মূল্য কি তার আছে ?

২৫ মার্চ, ২০১৫

তোমার অভ্যর্থনা

এইখানে একদিন তুমি এসেছিলে,
উত্তরের হিমেল হাওয়ায়
শীতের পাখিরা ডানা ঝাপটালো,
এবং কলকাকলিতে মুখরিত ওরা
তোমাকে জানালো উষ্ণ অভিবাদন,
আর দলে দলে বারংবার উড়াউড়িতে আমাদেরকে প্রদক্ষীন
তোমাকে করলো পুলকিত আর আমাকে ভীষনই লজ্জিত !

কোনদিন করিনি কুর্ণিশ রানীর শ্রদ্ধায়
করিনি চুম্বন নতজানু হয়ে তোমার করতলে
এমন কি ভালোবাসি কতটা ?
অথবা আদৌ বাসি কি না !
বলিনি কখনো আয়োজন করে
এমনকি ঐ চোখে তাকিয়ে, কিঞ্চিৎ স্মিতিতে
কখনো বুঝতে দেইনি হৃদয়ের গভীরে কতটা আছ তুমি।

কিন্তু এ প্রকৃতির মাঝে
সেই দিন তুমি ছিলে বলে
কি এক অপরুপ সাজে ওরা সেজে ছিল তোমার অভ্যর্থনায় !
যেমন তোমাকে আমি দেখেছিলাম প্রথম স্পর্শে
আকাঙ্খা, ভয়, পূর্ণতা এবং লাজে !

অথচ আজও আমি আছি
শুধু তুমি নেই তাই অগ্রাহ্য করে আমাকে
অতিথী পাখিরা সাজালো না মালঞ্চ, জল ও সবুজের
হয়ত ওঁরা আর আসবেনা যতদিন তুমি না আস।
কি আর মূল্য বল তুমিহীন এই আমি ?
আমি শুধু পারি প্রতীক্ষার প্রহর গুলোকে সাজাতে নিজের মত করে
যেন তা এক্ষুনি শেষ হয়, অথবা যদি কোনদিনই নয় !

৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬। জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি