ট্যাগ আর্কাইভঃ শান্ত চৌধুরী’র কবিতা

ভালোবাসা ৪

বহু দিন বহু পথ গিয়েছে বয়ে
বলিতে চাই ওগো প্রিয়
ভালোবাসি আমি তোমাকে।

রোদের নাগরদোলা
পুস্পপল্লবে ঘেরা
বাগান বিলাস।

উল্লাসে-উৎসবে প্রজাপতির মেলা
বিরামহীন ভালোবাসা বিলিয়ে।
ভালোবাসি আমি তোমাকে।

ভালোবাসা ৩

তুমি যত কাল বলো
ভালোবাসি।
যত দিন বলো
ভালোবাসি।

যত বার বলো
ভালোবাসি।
তার চেয়ে বেশী
আমি, তোমাকে
ভালোবাসি।

তোমার জন্য বুকের জমিন
আবাদ করি।

তোমার জন্য সমস্ত ভাবনা
ধ্যান, জ্ঞান, সাধনা।

তুমি আমার স্বপ্ন বিলাস
তুমি আমার ভাবনার
অন্ত:করণ।
তুমি আমার
অন্ত:পুর,
স্বপ্নের দৃষ্টি বিলাস।

তোমার মায়াময় শোভা
তোমার মায়াময় দৃষ্টি
তোমার স্পর্শ,
অভিপ্রায়।

আমার ভাবনা বিলাস
আর পূর্ণ অন্তরঙ্গ
উচ্ছ্বাস।

ভালোবাসা ১

কতটা ভালোবাসলে, ভালোবাসা বলে?
কতটা রক্ত ক্ষরণ হলে ভালোবাসা হয়।
জীবনের অণু অধ্যায়, প্রান্তের শেষ
বেলায়ও ভালোবাসার মাপকাঠি।

অজস্র কাক ভোরের নগরীতে ভালোবাসার
ডানা ঝাঁপটায়, চুমু খায় অনবরত।
নব দীপ্ত সূর্যালোকে ফুলের পাঁপড়ি গুলো
অন্তহীন ভালোবাসায় ঝরে পড়ে।

মৃদু শৈল্পিক আবেশ,
রং তুলিতে একে ভালোবাসার ছবি।
জীবন পথের অংক কষে,
নির্মলা অনুভূতি।

ভালোবাসা,ভালোবাসা, ভালোবাসা
স্বৈর্গীক অনুপম, মনের নিপুণ কারুকাজ,
দু’মনের শাণিত বাঁধন।
ভালোবাসি আমি তোমাকে।

জোছনায় সিক্ত মেঘ মালা,
ক্ষুদ্র, ধ্রুবতারা ভালোবাসায় মিশ্রিত।
আদিকালের শুভ্র মহা অধ্যায়,
ভালোবাসা অনুরাগে প্রস্ফুটিত হয়।

ভালোবাসা ২

সাইবেরিয়া থেকে সুন্দরবন
উৎপল শুভ্রতায় মিশে
নোঙর করে সামুদ্রিক
ম্যানগ্রোভ সিক্ত
সমুদ্র স্নান।

পরশ খোঁজে
ভালোবাসার উজান-ভাটিতে
প্রেয়সীর লাল বেনারশী
অথবা একটু শরীরী
পারফিউমের ঘ্রাণ।

ভালোবাসার আদান-প্রদান
বেওয়ারিশ জলাভূমি।
মমতায় উদ্বেলিত
স্বর্গের মোহমায়া।

নির্বাসিত করে
জীবনের সুখ তরঙ্গ।
ভালোবাসা-ভালোবাসা
অন্তরঙ্গ-দেহ স্পর্শ
ভালোবাসা দু’জনে।

প্রস্থান

এক সন্ধ্যায় আমি চলে যাবো
পাখিদের নীড়ে ফিরে যাওয়ার মিছিলে।
কিচিরমিচির স্লোগ্যান মুখোরিত সূর্যাস্তে
বেলা শেষের আন্তরীক্ষ অভ্রতায় ডুবে।
পুরনো প্রচীরের দেয়ালে তৈলচিত্রের
মতো ফেঁকাসে অস্তর্নিহিত আধাঁরে।

নাগরিক ঈশ্বর

এই নগরে ঈশ্বর নেই !
ঈশ্বরের ছায়া মানব পিতা
ভুলের উপর দাঁড়িয়ে আছে
অধিকার নামের প্রহসন।

বিলাসিতা, উৎসব স্বপ্নের মতো
পূর্ণতার অন্তপুরে
এই নগরে আছে যান্ত্রিক
আর কংক্রিটের নগর পিতা ।

নাগরিক তুমি কে ?
তোমার পরিচয় কি ?
তুমি জলে ডুবে মরো
তুমি আগুনে পুড়ো
আমার তাতে কি !

অভাব অনটন
আমার নিত্য সঙ্গী
বিলাসিতা আমার স্বপ্ন।
কথিত স্বপ্নবাজ অন্ধকারে
ডুবে যায় গুপ্ত চরের বালির মতো।

কেউ বেঁচে থাকলো কি থাকলোনা!
আমার চাই সম্পদ,
আমার চাই অট্টালিকা, প্রাসাদ,
নারীর উষ্ণ শরীর
দু’পেয়ালা উস্কি মাদক
জমকালো উৎসব মুখোর সন্ধ্যা।

নাগরিক তুমি কে ?
তোমার জন্মসূত্র কি ?
তোমার জন্মের বিলাসিতা স্বপ্নে দেখ
তুমি শ্রমিক, তোমার যোগ্যতা শ্রম
বিনিময়ে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকো।

আমার স্বপ্নের যাত্রা অনেক বড়
ইউরোপ, আমেরিকায় দ্বিতীয় নাগরিক
প্রেসিডন্ট প্রাসাদে চোখ।

তুমি কেন নাগরিক অধিকার চাও ?
তুমি বেঁচে থাকো, না হয় মরো।
আমার প্রাচুর্য চাই’ই চাই
আমি ঈশ্বর, আমি পিতা।

তুমি শুধু স্বপ্নের মাঝে বাঁচো
আর আমার অন্তরালে
ভোগ বিলাসিতার দর্শক হয়ে
যাযাবর অথবা ফেরারী।

দহন

কবিতার ফরমেট এমন হবে ( ছবির মতো )

নির্ঘুম রাত জাগা
বাতাসে ভাসমান-গ্লানির দহন।
তখনও যৌবনের নগ্নতায়
প্রত্যাশার ঢেউ প্লাবন।

দহন ক্লেদে ভেসে
ইচ্ছের পরিসমাপ্তি।

প্রিয়তমার উষ্ণদেহ
শুভ্রতা মেখে নিরুদ্দেশ।
ললাটে লেপটে থাকা
তপ্ত প্রণাম।

প্রিয়তমা।

উন্মাদ ইচ্ছে গুলো
গহন রাত্রিতে চুমু খায় জানালায়
নক্ষত্র বিনিদ্র চোখ
আমার দহনে পূড়ে প্রেমার্দ্র

দহন।

তুমি ও প্রকৃতি


তুমি ও প্রকৃতি

তোমাকে একটি বিকেল দিবো
তুমি তোমার মতো করে সাজিয়ে নিও
প্রজাপতি, ফুল, পাখি, নির্মলবায়ূ।
একগুচ্ছ বৃষ্টি বিলাস, বৌণহাঁস, ডাহুক, বক
হিজল বনের শুভ্রলাল ফুলের বাড়ি
সবুজ সতেজ দূর্বাঘাস, ঘাসফড়িং।

ফুলগুলো তোমার উঠোনে সুগন্ধ বিলোবে
পাখির কিচিরমিচিরে মুখোরিত হবে
তোমার চারপাশ, বৃষ্টি স্রোতের পরশে
ভিজে যাবে লাল হিজলের ফুল।
বিকেলের উত্তাল প্রবাহ শিহরণ
মায়াময় স্বপ্নের তুমি
ডুবে যাবে প্রকৃতির মাঝে।

মেঘ-সূর্যের লুকোচুরি বিলাসে
মুগ্ধ হবে তোমার খেয়াল
পানকৌড়ির মতো সাতার কাটবে
রৌদ্রের পরশে, প্রজাপতির রঙিন ডানায়
সুখের আল্পনা এঁকে। নিস্তব্ধ,নিঝুম
প্রকৃতির রূপে বিমোহিত তুমি।

বিকেলের সব রঙ তোমার মাঝে মিশে
এঁটেল, বেলে মাটির মতো প্রকৃতি নিপুণ
আত্মসুখে মাতাবে উপভোগ্য রূপ।
তুমি ডুবে যাবে, বিকেলের স্বার্ণালী সোপানে
প্রকৃতির সবরূপ মিলিয়ে যাবে তোমাতে।
তোমাকে একটি বিকেল দিবো,
তুমি তোমার মতো করে
সাজিয়ে নিও সুখের পরশে।

কবির অস্তিত্বে কবিতা


ভাবনার দিগন্ত।

আমার অস্তিত্ব জুড়ে কবিতা
আমি কবিতাকে ছুঁয়ে যাই।
কবিতাকে আঁকড়ে ধরি
কবিতাকে রাখি অন্তহীন।

আমার অস্তিত্ব জুড়ে কবিতা
কবিতার অস্তিত্ব জুড়ে খুঁজি মানুষ।
কবিতার অস্তিত্ব জুড়ে খুঁজি প্রেম
কবিতার অস্তিত্ব জুড়ে খুঁজি মানবতা।

আমার অস্তিত্ব জুড়ে কবিতা
কবিতা অবিনশ্বর।
কবিতা সৃষ্টির উল্লাস
কবিতা মহাকালের মহাকাব্য।

কবিতার অস্তিত্ব জুড়ে সোনালী চত্বর
কবিতার অস্তিত্ব জুড়ে সৃষ্টিশীলতা।
কবিতার অস্তিত্ব জুড়ে খেয়াল
কবিতার অস্তিত্ব জুড়ে দেয়াল।

আমার অস্তিত্ব জুড়ে কবিতা
কবিতার অস্তিত্ব জুড়ে কবি।
কবিতার অস্তিত্ব জুড়ে দেশপ্রেম
কবিতার অস্তিত্ব জুড়ে প্রতিবাদ।

আমার অস্তিত্ব জুড়ে কবিতা
কবিতার অস্তিত্ব জুড়ে মুক্ত বিহঙ্গ
কবিতার অস্তিত্ব জুড়ে শ্লোগান।
কবিতার অস্তিত্ব জুড়ে বিজয়
কবিতার অস্তিত্ব জুড়ে স্বদেশ।

শহুরে রাত ও দুঃখ বিলাস

আঁধারের ছিটাফোঁটা নেই কোথায়ও
আলো ঝলমলে রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের স্পষ্ট
অবলীলায় মৃদুমন পথচারী
কোথায়ও কোলাহল নেই,সময়-ঘণ্টা
অবিরাম অবিনশ্বর রাতের মায়ায় ডুবে যায়।

কিছু মানুষ রাত জেগে!
ঘর নেই, সংসার নেই
সংগ্রামী জীবন নেই
আছে শুধু বেঁচে থাকার জগদীশ্বর প্রচেষ্টা।

জীবনে যখন চাওয়া পাওয়া বলে কিছু থাকেনা
স্বপ্নের কোন রঙ থাকেনা
নষ্টালজিক ধূসর রাতে নোঙ্গর করে
কল্পনার রঙ মেঘলা আকাশে ভেসে যায়
দূরের নক্ষত্রে,আর অবশিষ্ট সুখ যাপিত হয় দুঃখ বিলাস।

বেওয়ারিশ কুকুর গুলো এপার-ওপার করে
কখনও পথচারীর সঙ্গী হয়!
কখনও আবার পালিয়ে বেড়ায়!
দৃশ্যমান অদ্ভুত নিজস্ব তায় স্থায়ী রাত
স্বপ্নের চূড়ায় হাবুডুবু খায়
পার্টি সেন্টার,নাইটক্লাব, পানশালা,
ভদকা, হুইস্কি উৎসব।
কিছু মানব লুটে নেয় অবলীলায় সর্বত্র।

(অসমাপ্ত)

সুখের দুঃখ

কিছু কিছু সুখের মাঝেও দুঃখ লুকিয়ে হাসে, কাল্পনিক অনুভূতি থেতো করে দেয় জীবনের বেদনা গুলো। বিবর্ণ পানসে জীবনটা বন্দী চার দেয়ালে, শীতল এয়ার কন্ডিশনের হাওয়া। মাঝে মাঝে সব কিছুই ঝাপসা মনে হয়। রিলাক্সজেবল ডুপ্লেক্স ফ্লাটে রঙিন দেয়ালে নামিদামী শিল্পীর আঁকা জলছবি ফ্যাকাশে হয়ে ভাসে। পুরো দিগন্ত বন্দী হোম থিয়েটারে, কাল্পনিক সুখ। গাঢ় নীল আকাশ-রোদ-ঝড়-বৃষ্টি-পাখি-ফুল-প্রজাপতি উড়ে নিমেষেই পাশে বসে মুহূর্তে স্মার্ট স্যাটেলাইটে।
ঝাঁঝাল স্বাদের ওয়েন হুইস্কি নোনতা জলে দেহসলিল আড্ডায় মাতে। সুখের নীড়ে পূর্ণ জোছনা বিলাস ধাঁধার মতো মনে হয়, জোছনা জানালার গ্লাসের সাথে মিতালী করে, পূর্ণ জোছনায়। টেবিলের খাবার গুলো ঠাণ্ডা হয়ে বার বার; ওভেনের তাপে স্বাদ হীন, রুচি। ল্যান্সক্লুজারের কালো গ্লাস বন্ধ শ্বা-শ্বা, খুব দ্রুত প্রকৃতির ধুলো পিছু ছুটে। শুধু সুখ আর সুখ, দু চোখে ঘুম নেই, রাতের নির্জনতা নেই। ভরা দুপুরে প্রকৃতির কোলাহল নেই, মেঘের ঘনঘটা নেই, পাখির কিচিরমিচির নেই, প্রজাপতির উড়োউড়ি নেই, আছে শুধু সুখ, অন্তরীণ সুপ্ত সুখ বিলাস।

শহুরে বৃষ্টি


শহুরে মেঘের বাড়ি

শহুরে কোলাহলে নেমে গেছে নীরবতা
ঘরে ফেরা মানুষ গুলো কাক ভেজা।
পিচঢালা পথে জমে আছে কাদাজল
মুহূর্তের মুষলধার বৃষ্টি কান্নায়
ডুবে গেছে নগরী।

হাতিরঝিল ছুঁয়ে বৃষ্টি নেমেছে
উত্তাল এলোমেলো ঝড়ো হাওয়া
দৃষ্টির আড়ালে।
ক্লান্তদেহ, দূরভাবনার বৃষ্টি
গাঢ় অন্ধকারে ডুবে গেছে নগরী।
ল্যাম্পপোস্ট নিভে গেছে
বিদ্যুৎবিহীন রাস্তায়।
শূন্যতায় ডুবে গেছে
নাগরিক কোলাহল।

এলোমেলো ধমকা হাওয়া
উচ্ছ্বাস নেই, প্রাঁজল বিরহে
পথিক নীরবে দাঁড়িয়ে।
দু’একটি পাখির নীড়ে
ফিরে যাওয়ায় ব্যস্ত বাহুবলে।
বৃষ্টি ভিজা ঘাসফড়িং
ছোটাছুটি করে,
স্নিগ্ধ বকুলের ঘ্রাণে।

নগরীর বৃষ্টি প্রিয় মানুষ নেমেছে
বৃষ্টি ভেজার মিছিলে
প্রাণচঞ্চল, উৎসবে।
সবুজ পাতার শিশির
ছুঁয়ে নাগরিক অবসরে।

কালের খেয়া

নিঃশব্দ নিশ্চুপ পথের বাঁকে
এলোমেলো ভাবনার মিশে
দ্রুত চলো হারিয়ে যাই
সমুদ্রের প্রমত্ত উচ্ছ্বাসে।

হাঁটি হাঁটি পা পা করে
জোৎস্নায় ভিজে
নির্ঘুম রাতের আড়াল।

কোন এক মায়ার ছলে
নিঃসঙ্গ গাঙচিল
উড়ে উড়ে।
আহত হৃদয় চুপিসারে
আকুতি করে সুবর্ণচরে
অনন্ত অভিমানে।

হেঁটে যাই


ভবঘুরে

হেঁটে যাই রৌদ্র শুভ্রতায় ঘেমে
কখনও বৃষ্টি বর্ষণে কাশফুল ছুঁয়ে
কখনও শঙ্খচিল, বুনোহাঁস হয়ে
নির্জন আঁধার জোনাকির
মৃদু আলো ……

রক্তজবা লাল রঙের মিষ্টতা ছুঁয়ে
উর্বর প্রশান্তির কোন কালো কেশী
রমণীর চুল ছুঁয়ে।

বিকেলের সূর্যস্নানে পাখিদের
নিবাসে ফিরে যাওয়ার মিছিল
তখনও মোহমুক্তি অথবা
ফেরারী।

নীল আকাশ শুভ্র শাদা মেঘের ভেলা
পরিনত একটি অধ্যায়
থেকে নেই পথ চলা।

মেঠোপথ অলকগুচ্ছ
এক পা, দু’পা করে
সারি সারি ঝাউবনের
সবুজ ছুঁয়ে
অনিকেত পথচারী
বেলাভূমি অথবা পূর্ণ
শ্রাবণের একরাশ সিক্ততা ছুঁয়ে।

জল জোছনার কাব্য

জোছনা রাত দিগন্ত আলোয় ঝলমল প্রকৃতি সেজে
আছে আপন নিয়মে।ঝিঁঝি পোকা গুলো অনবরত
গান গেয়ে যাচ্ছে।দু’একটা রাতজাগা পাখি উড়ে উড়ে
জোছনায় ভিজে,বৃক্ষগুলো মৃদু হাওয়ায় দোলে,স্নিগ্ধ
উষ্ণতা কিছু মিষ্ট ফুলের ঘ্রাণ চারপাশ।

সমুদ্রের হুঙ্কারে এলোমেলো তট সৈকত,জলস্রোতের
প্রেমদীপ্ত জোছনা এ যেন প্রকৃতি আর জোছনার
প্রেম। জল জোছনার প্রেমলিলা,ঝাউ বন ছুঁয়ে স্নিগ্ধ
প্রশান্তি আর শুভ্রতায় মিশে স্বর্গের উপনিবেশ।

নীল জোছনা এলোমেলো হাওয়া, প্রমত্ত উচ্ছ্বাস
প্রান্তিক প্রবাহ শিহরণ উত্তেজিত তরঙ্গ ভেলা,সীমাহীন
দূরত্বে ডুবে যায় বিলাসী খেয়া।মেঘ দূত উড়ে উড়ে
জোছনা বিলাসে ভিজে যায় শৈল্পীক অনুভবে।

দূরের মিটিমিটি দীপ্তিময় ঝলমল ক্যানভাস,
মাঝিমাল্লা ডিঙিনৌক স্রোত-প্রবাহে অদৃশ্য হয়ে
ভেসে যায়, ঝিলমিল বালুকা বেলায় উপচে পড়ে
জোছনা দ্যুতি স্পর্শ করে ভালোবাসার যুগল মহাকর্ষ।