চারু মান্নান এর সকল পোস্ট

শ্রাবণের জলধোয়া নগর এখন

শ্রাবণের জলধোয়া নগর এখন

শ্রাবণের জলধোয়া নগর এখন!
বেশ ধবধবে, ঝরঝরে,
যেন উড়াল পাখির ডানায় ভাসছে।
সবুজ অঙ্গে লেগেছে,
শুভ্রতার হাওয়া; গায়ে মেখে
এখন বেশ ফুরফুরে যেন আহল্লাদে আটখানা।

ফুটপাতে কাঠবাদামের গাছগুলো
সবুজ পাতায় হাওয়ায় দুলে দুলে
যেন সাদা মেঘের ঝুলকার্নিশের
নির্মল আমন্ত্রণের মোহে মুশগুল।

স্বচ্ছ টলটলে জলে টইটুম্বর
নগরের লেকগুলো!
জল ছুঁই ছুঁই কৃঞ্চচূড়ার সবুজ পাতারা
জলভরা ঢেউয়ে সিক্ততায়
ঝির ঝিরে কাঁপনে শিহরত হয় নিত্য।

১৪২৪/৬, ভাদ্র/শরৎকাল।

জামার বোতামে রইলে না আর

জামার বোতামে রইলে না আর

জামার বোতামে রইলে না আর
জলছবির জলে রইলে কেঁপে কেঁপে!
আঁজলা ভরা জল ফুড়ালে
মেইয়ে গেলে সেই আগের মতো
কোন সে পাড়ে?

চন্দনার দুপুর গড়ালে অভিমানী মেঘ
কোন সে পরতে?
জলে ভাসা বৃষ্টির ছল করে
আচমকা ভিজাবে বলে; রইলাম চেয়ে
খোলা আকাশের নীচে বসে।

বিরহী বিদ্রুপ কালো মেঘ
ছল করে গগন বিদারি হাঁক ছেড়ে
খোলা আকাশটা;
ঢেকে দিল ক্রোধে!
একলা আমি,
সেই একলা হয়ে রইলাম পড়ে
মেঘের বিদ্রুপে;
তোমার ছোঁয়া জল মেখে।

১৪২৪/০৫, ভাদ্র/শরৎকাল।

মানুষ সর্বসহা

মানুষ সর্বসহা

মানুষ সর্বসহা,
এত এত যাতনা সহে!
আত্মচিৎকার নিত্য শূনি,
দেশ থেকে মহাদেশ নিত্য শোনা যায়;
উত্তরে কি দক্ষিণে?
পূর্বে কি পশ্চিমে?

কোথাও রক্ত ঝরে বুলেট বোমার নিমর্মতায়?
কোথাও মৃত্যু ক্ষুধা তৃঞ্চায় অনাহারে?
কোথাও মৃত্যু বানভাসি জলে ডুবে?
কোথাও মানুষ বাস্তুহারা, আশ্রয় হারা?

তবুও মানুষ আমরা,
আমরা আমাদের জন্য বাঁচবো
বাঁচবো সবার তরে; যেমন করে,
প্র-পিতামহের বংশ পরম্পরায়
আমাদের এই জীবন আখ্যান।

১৪২৪/০২, ভাদ্র/শরৎকাল।

যদি বৃষ্টি চাও

যদি বৃষ্টি চাও

যদি বৃষ্টি চাও
নিতে পার হাত পেতে
যদি বৃষ্টি চাও
দিতে পারি শ্রাবণ অরন্যে

মেঘ চেয়ে চেয়ে দ্যাখো
আকাশ নীলের চাতালে
যেন বন্য, অভিমানী
হবে হয়তো নর্তকী বিদ্যুষী!
হাওয়ার হারেমে-
সদ্য‌ মেঘকিন্নরী;

সবে রং ধরেছে
খুব চেনা মেঘের মতো!
তোমার আঁচল ভিজে দিতে পারে
যদি জল চাও
দিতে পারে আরন্যক কুসুককলি;

২৮, শ্রাবণ/বর্ষাকাল/১৪২৪

এমনি স্বপ্নবোনা ক্ষণে

এমনি স্বপ্নবোনা ক্ষণে

সে দিন সাঁঝ ঘনালে
বাদল দিনের ঘ্রাণ শেষে; অম্লবদনে
লালিমার ছিটেফোটা আলো ডুবে যায় ধীর লয়ে।
এমনি স্বপ্নবোনা ক্ষণে
তুমি পায়চারিতে মত্ত!
আনমোনা ছিলে বারান্দায়;
নীল আকাশটায় জড়ালো মেঘের ঝাঁক
ছড়িয়ে যায় উনুনের ধুঁয়া অম্বরে মাখে।

সেই ধুঁয়া ঢলে পরে ডোবাটার জল ছুঁয়ে
নল খাগড়ার ঝাড়ে!
সবে একটু বের হয়ে ছিল যুগোল ডাহুক ডাহুকী
রাজকীয় ছন্দে যেন পায়ে হেঁটে বেড়ায়
আর পোকা মাকড় খুঁজে ফিরে।

চোখের পলকে, ভেজা কাক উড়ে গেল
এ দিকে বৃষ্টি আবার নামবে বলে জলতরঙ্গের
মাদল বাতাসে তার গন্ধ ছড়ালো।

২৬, শ্রাবণ/বর্ষাকাল/১৪২৪

ভেসে যায় জোছনা ডুবা রাত

ভেসে যায় জোছনা ডুবা রাত

উৎসুক কাঠবাড়িলীর মতো চেয়েছিল পথের বাঁকে। লজ্জাহীনা লজ্জাবতীর মতো আনত নয়নে চেয়ে ছিল অনেক ক্ষণ, তবে কি চেনেছিল তাকে? এত কাল পরে!

তার কি মনে আছে তারে? শ্রাবণের জোছনা ডুবা রাতের কথা। ঘন বরিষনে সে রাত ছিল শ্রাবণ পঞ্চমীর রাত। জলডুবা সিক্ততায় পানকৌড়ির মতো, চুপসে ছিল পথিকের বুকে। চোখ মুদে! ভেসে যায় সব, সর্বনাশের জোয়ারে, ভেসে যায় জোছনা, ভেসে যায় জোনাক জোনাকি, ভেসে যায় জোছনা ডুবা রাত।

২৫, শ্রাবণ/১৪২৪

নষ্টালজিয়ায় পোড়া পথিক

নষ্টালজিয়ায় পোড়া পথিক

নষ্টালজিয়ায় পোড়া পথিক
ধুলোর গায়ে আঁকে কত কি?

গায়ে তার আঙ্গুল ছুঁয়ে,
এদিক ওদিক
লম্বালম্বি!
বৃত্তের মাঝে একটু কাত করে
আঁকে আঁখি জ্বল জ্বলে
নাসিকার নিচে,
ঠোঁট জোড়া যেন উর্বশী হাসে।

এমনি করে,
অবয়ব ভাসে দিনমান
রাত্রি অভিমান!
করতলে জোনাক চেপে
রাতের বিলাপ;
স্বপ্ন ঘ্রাণে যায় কেটে।

১৪২৪/২৩, শ্রাবণ/ বর্ষাকাল।

নিদ্রায় মগ্ন

নিদ্রায় মগ্ন

পথিক জানে,
তারে পোড়ায় পথের ধুলা!
আর বা জানে কে?
সে তো থাকে নন্দনপুরে; যাতনার শিখা জ্বেলে
অহরহ মরে বাঁচে
চঞ্চল ভারি,
মৃগনাভির তীব্র যাতনা সয়ে সয়ে
ঘাসে জমে ধুলোর আস্তর
আকাশ নীল দ্যাখো
নিদ্রায় মগ্ন।

১৪২৪/২১ শ্রাবণ/বর্ষাকাল

এ এক আরধ্য পথের আখ্যান

এ এক আরধ্য পথের আখ্যান

এই তো,
এই পথের ধুলায়
আজও তার নগ্ন পায়ের ছাপ!

মিইয়ে গেছে তো কি হয়েছে?
পদচিহ্ন ধুলার আবিরই তার সাক্ষ্য বহন করে
যদিও কিছু গেছে হাওয়ায় উড়ে!
কিছু গেছে ক্ষয়ে!
জল ধুয়ে ভেসে গেছে কিছু!

তাই তো এই পথেই
তারই অবয়ব যেন আনাগুনায়
নিত্য আলখেল্লায় বাতাস উড়ায় রাতদিন
ক্ষণ বুনে বুনে
কালের গহন জুড়ে আরধ্য
এক মুঠো ভালোবাসার!
পাছে হারিয়ে যায় মুছে
তাই তো এই পথ পাহারায়
সমাহিত ধুলোর আস্তর জমে জমে
হয়তো হবে কঠিন শিলা
তারই পদচিহ্ন গেঁথে রবে তার গায়;

পৌরনিক মিথে,
সেই পথের প্রেম গাঁথা সবার মুখে মুখে রবে
দূর্নিবার বেগে ছড়াবে বিশ্ব ব্যাপি;
প্রেম সোদা আধো চিহ্নে বাঁচে
এ এক আরধ্য পথের আখ্যান
তারই একচিলতে প্রেম ছিল!
—-মিথ অভিমান

১৪২৪/১২, শ্রাবণ/বর্ষাকাল।

অতঃপর বৃষ্টি

অতঃপর বৃষ্টি

তুই কেন ছুঁয়ে দিলি?
একটু পর ভিজিয়ে দিলি, কাক ভেজা!
এমন শ্রাবণ বাদলে,
তুই তো জলে রাঙ্গা মেঘ পার্বন;
হাওয়ায় সোদা টলে
মেঘবালিকা আকাশের, উনুন চালে!
রিম ঝিম বরিষণে,
আকাশ ঢলে মাধুর্য্য ঝরে ঘন বাদলে;
এ কোন শাখা পত্রে জল টলমল?
অরুচি সব ধুয়ে শুদ্ধ স্নানে, জল ডুবা লজ্জাবতী!
গহন অঙ্গে মেলেছে ডগা,
সিক্ততার নৈশব্দে মেঘে ঢাকে ঐ দিগন্তের পাড়;

ছুঁয়ে দিলি তো মিইয়ে গিলি
পোড়া যাতনা সব রাঙালি, রংধনু দ্রোহে!
ক্ষয়ীঞ্চু আকাশ পাড়ে,
তোকে তো লুকিয়ে রাখে যুগে যুগে;

১৪২৪/১০, শ্রাবণ/ বর্ষাকাল।

প্রসন্ন মায়ার আশ্রম বুনে জলধি বর্ষায়

প্রসন্ন মায়ার আশ্রম বুনে জলধি বর্ষায়

বৃষ্টির উম্মাদনা রাত ভর,
শ্রবণের ঝর ঝর অনামি কবিতারা পড়ছে চুইয়ে
নন্দন খিরকির ফাটল বেয়ে;
সিক্ততার ওম ঘরজুড়ে
আঁধারে টিকটিকির বিরহী মুর্ছনা ঘরময়!
দেয়ালে দেয়ালে জলে ভেজা জোছনা বিলাপ এঁকে যায়।

নগর ভেসে যায় জলে,
গভীর রাতে ক্ষ্যাপাটে কুকুরের মহু মহু বিভৎস গর্জনে
অলি গলির আঁধার ঠেলে বেড়িয়ে যায়;
নন্দন রাতের মোহনীয় নির্যাস অনাহত ভুতুরে বেশে।

আকাশে মেঘের লড়াকু জল বর্ষনের বিলাপ
নগরের চকচকে ফুটপাত!
বকুল তলার একটু আঁড়ালে পলিথিনের অনামি আবাস
একটু একটু করে ভেসে যায় জলে।
একটু আশ্রয় ঐ ক্ষ্যাপাটেদের কেউ লেজ গুটিসুটি
কুঁই কুঁই আওয়াজে প্রসন্ন মায়ার আশ্রম বুনে জলধি বর্ষায়।

১৪২৪/৯, শ্রাবণ/বর্ষাকাল।

একদিন নদীর কাছে জলের কাছে

একদিন নদীর কাছে জলের কাছে

মেঘ ভাসে খিল খিল

শ্রাবণে বাদল
রিমঝিম বর্ষায়
ঝম ঝম বৃষ্টি।

পথ ঘাট
কাদা জলে
একি অনাসৃষ্টি?

ঝিকঝিক ঝকঝক
মাদল বাজায়
রেলগাড়ি।

নদীনালা বিলঝিল
মেঘ ভাসে
খিল খিল।
=====

ভরা বরষায় ঐ যে নদী

সোদা মাটির গন্ধ ভাসে
ঝরা বৃষ্টির প্রাতে, শুদ্ধ বানের জল ছোটে
মিহি ঢেউয়ের স্রোতে।

ভরা বরষায় ঐ যে নদী
উতল তার ভাসান অঙ্গ-ভূঙ্গী, মেঘ ভাসে ঐ কাঁরি কাঁরি
নদীর এপাড় ওপাড় দিচ্ছে আঁড়ি।

খেয়া নাও, জেলের নাও
দূর-দূরান্তে ঐ যে ভাসে, রঙ্গীন বাতাম তোলা মাস্তুলে
জলের ঢেউয়ে ভাসে আহল্লাদের চোখের জল।
========

তিতাসের ঐ যে পাড়ে

তিতাসের ঐ যে পাড়ে
ঐ যে ছোট্ট সবুজ গাঁও,
আগল খোলা ধুনচে বন
ভাসান বর্ষায় ভাসছে বান।

ঝম ঝম বৃষ্টি মাখা ধুনচে বনে
এলোমেলো হাওয়ার মৃদ লয়,
ডুব সাঁতারে ডুবছে দ্যাখো দূরন্ত কৈশর
তিতাস পাড়ের অনাবিল ঐ সুখ মাখে।

কুচুরি পানার বেগুনী ফুল
তিতাসের ঐ নদীর জলে
গঙ্গা ফড়িং মেলছে ডানা মেঘলা দিনে
ঘাস ফড়িং দল বাঁধে ঐ ধুনচে বনে।
======

খঞ্জনপুর

নাইওর যায় বহু দিন বাদে, ফেলে আসার ঐ জলছবি ভাসে। তাইতো ছঁইয়ের খিরকি তুলে, আর কত দুর বধুয়ার সেই খঞ্জনপুর? বাবা মায়ের আঁচল পাতা। ভাই বোনের ঐ সোহাগ মাখা। কাক ডাকা ভোরে সেই সজনে তলা। মায়ের আঁচল পাতা উনুন চালে কি চালকুমড়া হাসে চুন মাখা গায়ে? কুয়াতলায় কলাবতির ঝাড়। বাঁশ ঝাড়টায় সাদা বকের ঝাঁক। অবশেষ তিতাসের পাড়ে, আদর মাখা, মায়া মাখা বানের জলে কৈশরের জলছবি ঠাসা, সোদা মাটির গন্ধভরা খঞ্জনপুর।
=====

নন্দন কোলাহলে!

ডুবিয়েছে জলে সে,
নন্দন কোলাহলে! বৃষ্টির ছোটায়
অভিমানে মেঘের আঁড়ালে
এ কোন মেঘ বালিকা?
এমন বর্ষায় তৃঞ্চায় পোড়ায়!
ঐ যে ধূসর মেঘের আঁড়ালে
যেন লুকিয়ে লুকিয়ে বিজলী চমকায়ে
অধর সিক্ততায় বিহব্বল অভিমানে
তারই জলছবি;
নদীর স্বচ্ছ জলে মিহি ঢেউয়ে মিলিয়ে যায়
যেন মেঘ বালিকা মেঘের অপঃরাহ্ণে।

তারই আঁচল যেন
মেঘে মেঘে সারি সারি সাজে
যেন বৃষ্টির নর্তকী;
ভিজাবে বলে সৌরম্য নৌকার ছঁইয়ে উম্মাতালে ঝরে
ছাতার অভিমানে মিলিয়ে যায় জলে।
=======
১৪২৪/০৮, শ্রাবণ/বর্ষাকাল।

রিমঝিম বরষায় জলজ নেশার ঘ্রাণ

রিমঝিম বরষায় জলজ নেশার ঘ্রাণ

এমন শ্রাবণ,
গান শোনার মস্ত বাহানায়
জলের অন্তর আশ্ফলনে!
তির তির করে ঢেউয়ের কাঁপন
রিমঝিম বরষায় জলজ নেশার ঘ্রাণ
ঝর ঝর মৃদঙ্গ জোছনা বাহার;
করতলে তারই জলছবি ভাসে।

আমলকির বন,
জলজ ঘ্রাণে জোছনা পেলব মাখে
রাতভর শ্রাবণ জলে;
যাতনায় কবিতার নির্মল দ্রোহ জলছবি!
আবছা আঁধারে ঢেকে যায়
উবে যায় ধূঁয়ার মন্ত্রবলয় যেন

এ কোন যাতনা!
জোছনা ডুবে যায় দুপুর রাতে
বৃষ্টির জলজ ঘ্রাণে জোনাকিরা আধো নেশায়
ঘাসের মৃদু ভেজা ওমে জেগে রয়
রাতের পাহারায়।

১৪২৪/৫, শ্রাবণ/বর্ষাকাল।

হারিয়েছে, সব সর্বনাশ

হারিয়েছে, সব সর্বনাশ

ভুতু সোনার মনটা পুড়ে
বানভাসিদের খবর দেখে
বসত বাড়ী বানের তোরে
ভেসে গেল এক নিমেষেই।

এমনি সবে ভাসছে বানে
কলা গাছের ভেলায় ভেসে
ভাসান জলে উনুন জ্বেলে
ক্ষুধার জ্বালায় পেট পুড়ে।

থৈ থৈ ঐ বানের জল
স্রোতের টানে নিচ্ছে তল
কুচুরি পানার ছিন্ন দলে
বিড়াল ছানা যায়রে ভেসে।

বান ভাসিরা দিশে হারা
বাড়ী হারা, ফসল হারা
বানের স্রোত ছন্ন ছাড়া
যাতনা ভরা, স্বপ্ন হরা।

কূল কিনারা নাইরে নাই
খুঁজছে সবাই একটু ঠাঁই!
ঐ যে ছিল সবুজ পথ
হারিয়েছে, সব সর্বনাশ।

১৪২৪/৩১, আষাঢ়/বর্ষাকাল।

আমাকে আমার মধ্যে

আমাকে আমার মধ্যে

আমাকে আমার মধ্যে
বাঁচিয়ের থাকার দ্রোহে নিত্য পুড়ে
শুকনা মেঘের ভাসান ভেলা যেন;
ঝরে পরার কষ্টে হাওয়ায় হাওয়ায়
ভেসে বেড়ানো!

কত কত পথ পালিয়ে যাওয়ার?
প্রত্যয় আঁকা ছক;
দিগন্তে তার স্থুতি মানে! সাজের বাহানা।
শেষ রক্ষা হল না বুঝি
রাঙা বসন খসে গেল! কালো ধূসর আবিরে ভেসে।

আমাকে আমার মধ্যে
এমনি নিঃস্বার হাওয়ায় হাওয়ায়
যাওয়া আসার নিত্য খেলা;
সুক্ষ্ম কালের কড়া নাড়ে।
মেঘের মতোই
দিগন্তে সোয়ানো পথের নিশানা
আঙ্গিক দেনায় তাও লুট হয়ে যায়।

১৪২৪/২৯, আষাঢ়/বর্ষাকাল।