কলিজার ভেতর লাল গালিচা বিছাইছি।
আইসবা?
কামরাঙা ফুলের এক জোড়া ঝুমকা,
এক জোড়া বকুলের নূপুর,
আর
একখানা শঙ্খমালা গাঁথি রাখছি আইসবা?
আমি দোতারা বাজাইলে তুমি গান ধইরবা,
চন্দ্রমল্লিকার বাগে জোছনা বইবে,
ডানা মেলে ভাসবা। আইসবা ?
আমি দিয়ে যাইতে চাই-
হাজার বছরের পুঁথির শ্লোক,
আউশ ধানের গন্ধ মাখা কবিতার তিথি,
বৈশাখের ঢোলক, তাল পাতার পাখা।…
আইসবা? জলে
রোদের তেজ মাখা মায়া দোলে,
দেখি-
পদ্ম পাতার তলে পোনা মাছের খোঁট।
আমি চাই তোমার কাঁচের চুড়িতে ঝড় উঠুক,
শরমে আঁচলে ঢাকো মুখ, কাঁপুক লাজুক লিরিক দুটি ঠোঁট!
কি কও… আইসবা তুমি?
উথাল পাতাল ঢেউর তালে মিশাইয়াছি আরক্ত গোলাপের স্রোত…
তোমার নামে ভাসাইয়া দিছি আপন অন্তর্যামী।