হাসনাহেনা রানু এর সকল পোস্ট

কাগজের ফুল আমি

অরণ্য নই আমি, আমার বুকে কেন নামহীন ঘাসফুল ফোঁটে
না ফুটিতে ফুল আবার ঝরে ঝরে পড়ে,

বলেছি কাগজের ফুল আমি গন্ধ বিলোবো কেমন করে ; আকাশ নই আমি, আমার চোখে কেন মেঘ গলে বৃষ্টি ঝরে, সে বৃষ্টিতে আমার যাপিত কষ্টগুলো এক সমুদ্র হয়ে ওঠে।

কোন কবির লেখা কবিতা নই আমি, আমার হৃদয়ে কেন স্বপ্নের অঞ্জন মেখে কবিতা বসবাস করে : গুচ্ছ গুচ্ছ শব্দরা আমার অনুভূতির অনুভবে গোপনে কবিতা হতে চাই আমার ভেতরে ;

রাত্রি নই আমি, আমার ইচ্ছে গুলো লাটাই ছেঁড়া ঘুড়ি হয়ে কেন রাতভর চোখের দৃষ্টি ছুঁয়ে থাকা খোলা আকাশে উড়ে ? আমি গভীর শূন্যতায় কেবলই ডুবতে থাকি একটু একটু করে।

সূর্য নই আমি, সকালের রৌদ্দুর কেন জ্বলে ওঠে আমার চোখের শাণিত মণিতে, কখনো চৈত্র’র আগুন হয়ে পুড়াতে চাই এই আমাকে।

বিলাসী স্বপ্ন নই আমি, তবু কেন দুঃস্বপ্নের শূন্যতার বুকে ডানা মেলে কষ্টের ভেতরে উড়ে বেড়ানো। আমাকে কেন ক্রমশই গ্রাস করছে একাকীত্বের শূন্যতা,
নষ্ট দুঃখের ছাই চাপা কষ্টরা আমার মাঝে খুঁজে ফেরে নিঃসঙ্গ পূর্ণতা।

আকাশ সঙ্গা

মেঘ হীন শাদা আকাশ আমার উঠোন জুড়ে
মোমের মত নরম রাত্রির ঠোঁট গলে ক’ফোটা বৃষ্টি ঝরেছে,
সমুদ্রের স্রোতে ভেসে গেছে সবুজ শ্যাওলা —
শ‍্যাওলা রং স্বপ্নটাও ভেঙে গেছে :
দুঃস্বপ্নের নষ্ট মেঘের বৃষ্টিতে;

রৌদ্দুর পোড়া জ‍্যোৎস্না এখন আমার শহরে
নিবিড় রাত্রিটাও কেমন শোকের মিছিলে,
সবুজ হীন ক্লান্ত প্রকৃতি আমার চোখে।
এক গ্লাস বিশুদ্ধ অন্ধকার রাত খেয়ে বেঁচে আছি এই আমি বহুদিন
বিরহে হেঁটেছি রাত দুপুর,
আমার রাত থেকে অসংখ্য নিদ্রা ঝরে গেছে।
হলুদ বিশ্বাসের নক্ষত্র গুলো
আমার অনেক প্রিয় কাশফুল
একটা নামহীন সমুদ্র,
প্রজাপতি নীল আকাশের মৃত্যু হয়েছে সবুজাভ নিসর্গ উদ্যানে,
গ্রীষ্মের পবিত্র ভোরে ঘুমন্ত কৃষ্ণচূড়ারা ঝরে গেছে !

অরণ্য আমাকে জড়াও তোমার সবুজ বুকে —
খেয়ালী মন হারিয়েছি শরতে ;
আবার আমি নতুন করে বেঁচে উঠবো
এই আমি জ‍্যোৎস্নায় ভিজবো বারমাস
লাল নীল প্রজাপতি ডানায় উড়ে কাশফুলের লাবণ‍্যতা মাখবো এ মনে,

মেঘ হীন শাদা আকাশ আমার উঠোন জুড়ে।

এই সব দিনরাত্রি

একদিন কবিতা হব মুক্ত মনের শরত আকাশে দিনরাত্রির কোলাহলে ,
মুখরিত সময় একদিন
দিন শেষে ক্লান্ত হবে ভীষণ
রাত্রি শেষে নক্ষত্র’রা ম্লান হবে ,
দিনরাত্রি একই বন্ধনে বাঁধা সে কথা বলব না,
তবে একে অন‍্যের পরিপূরক
দিন শেষে রাত্রি নামে
রাত্রি শেষে দিন;
শব্দহীন রাত্রি বড় চুপচাপ শান্ত
আমার এমন নিঃশব্দ রাত্রি ভাললাগে না
রাত্রি হবে দুরন্ত কৈশোরের মত ছটফটে উচ্ছ্বল
মধ‍্য আকাশের কোটি নক্ষত্র’র মত ।

কত রাত্রি নক্ষত্রদের মত ঝরে গেছে
মুছে গেছে কত চিহ্ন পৃথিবীর হলুদ ঠোঁট থেকে
কোন কোন রাত্রি ধুলোর নক্ষত্র হয়ে জমে গেছে গহীন অরণ্যে:
বেলাশেষে ঝরে গেছে মাধবীলতা
ভেঙেছে কামিনী স্বপ্ন;
হারিয়ে গেছে আমার স্মৃতিময় মধুর শৈশব
হারিয়ে ফেলেছি কৈশোরের স্বপ্ন দেখার দিন,
কৃষ্ণচূড়া বিকেল রঙিন হয়েছিল একদিন
সেই রঙিন বিকেলে আমি একজোড়া গোলাপ ঝরে পড়ার কান্নার শব্দে চমকে উঠেছিলাম,
আজ সেই বিকেল স্মৃতির মলাটে মোড়ানো এ‍্যালবাম থেকে হারিয়ে গেছে।

নক্ষত্র’র নীড়ে একটা একটা করে অনেক গল্প’র জন্ম হয়েছে
আমি কতদিন ভেবেছি নক্ষত্র’র শহর থেকে কৃষ্ণচূড়া বিকেল খুঁজে আনব।

কাশফুল বিকেলের শুভ্রতায়

আজ ও রাত্রি হীন কাটে প্রতিটি দিনের রাত্রি আমার
ঘুমহীন রাত স্বপ্ন হীন এ দুটি চোখ কী যেন খুঁজে ফেরে ,
আমার একটা সুন্দর বিকেল চাই-ই :
এ কোন সাধারণ বিকেল নয়
ধোঁয়া ধোঁয়া জ‍্যোৎস্নার নিবিড় স্পর্শে জেগেছে যে বিকেল
শুভ্র মেঘের মতো কাশফুল অরণ্য বিকেল;
পৃথিবীর দীর্ঘতম নদীর তীরে অবস্থিত এই কাশফুল অরণ্য —

আমি চাইনি কোন স্নিগ্ধ ভোরের আলো
সরল কোন দুপুর,
চাইনি কোন বিমূর্ত রাত্রি
চাইনি রাত্রির শেষ ভাগ
মধ‍্যরাতের শুনসান নীরবতায় আমি থমকে দাঁড়াতে পারতাম, দাঁড়ায়নি
তখনো চুপচাপ, দুপুরের শুরুটা একটু একটু করে ।

অতঃপর নিরবিচ্ছিন্ন মুগ্ধ বিকেলের দুধ শাদা ঠোঁটে ফুটেছে এক চিলতে হাসি,
এ হাসি বড় সুন্দর, আবার রহস্যময় : যার শুরুটা ছিল অনিন্দ্য সুন্দর দিয়ে শুরু ;
যেন শুভ্রতার কাশফুল আঁচল উড়ছে এই মাত্র ।

তাং 26.09.2020

সুখ পাঠ‍্য গোলাপ

শহরের বাইরে এক গুচ্ছ গোলাপ ফুটেছে
এক রাতের সবটুকু সৌন্দর্য নিয়ে,
গোলাপের কাছে জ‍্যোৎস্না ফিঁকে হয়ে গেছে
এক পৃথিবী ম্লান হয়েছে ,
মেঘ বৃষ্টিতে ধুয়ে গেছে:
বৃষ্টি আর শীত অনুতপ্ত কতখানি
শেষ রাতে গোলাপ ফুটেছে
খুব ভোরে সকালের মৃত্যু হয়েছে
আমি গোলাপ ফোঁটার শব্দের অনুবাদ করছিলাম;

বৃষ্টিস্নাত শহরে আর একটা গোলাপ ও নেই
সকালের রোদ অদৃশ্য কেমন,
কৃষ্ণচূড়ার ঠোঁট ছুঁয়েছে একটা কালো তিল;
এক তিলের জন্য কৃষ্ণচূড়া অনিন্দ্য সুন্দর এ কথা মানতেই হবে —
তবু গোলাপ সৌন্দর্য‍্যে সবার দৃষ্টি
বিশাল অসীম খোলা আকাশে গোলাকার ভরাট চাঁদের সৌন্দর্যকেও হার মেনেছে।

তাং 22.09.2020

বৃষ্টি বিলাস

মেঘ সুন্দর, বৃষ্টি সুন্দর
শ্রাবণ আকাশের মেঘলা বিকেলগুলো আরও অনেক সুন্দর,
এই আমির আমাকে ছুঁয়ে দেই বারবার
ছুঁয়ে দেই মন
ছুঁয়ে দেই স্বপ্ন:
দুঃখ কে সাথে নিয়ে আমি
বৃষ্টি ভেজা বিকেলের স্রোতে ডুব সাঁতারে মেতে উঠেছি কত
দুই এক টুকরো মেঘ থাকে আমার চোখের ভাঁজে
দুঃখ আমার বুকে কাঁটা হয়ে বিঁধে আছে;
আমি দুঃখ পেতে ভালবাসি
আমি বৃষ্টি স্নানে ভেসে ভেসে দু’ফোঁটা দুঃখ বিলাসী হয়ে উঠেছি!
এক পৃথিবী বৃষ্টি বিলাস করব আমি
শ্রাবণ মেঘের জলে ভিজে
সমুদ্র’র জলে চাঁদের আলোয় ভিজে আমার
দিন কেটে যায়
রাত কেটে যায়
কত বিকেল,
নির্জন সন্ধ্যা
গভীর রাত
আমার এক সমুদ্র শূন্যতা কে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়;
কত রাতে নির্জনতার বুকে মাথা রেখে কেঁদেছি
একদিন সবটুকু দুঃখ নিয়ে
সমুদ্র জলে ভেসে ভেসে কাঁদব ভীষণ!
সেদিন আর ফিরব না সমুদ্রের নোনা জলের দুঃখ মেখে
এক সমুদ্র দুঃখ বিলাস করব আমি
সমুদ্রই হবে শেষ ঠিকানা!

সময়ের ব্যবধানে অন্য রকম এক দেশ তুমি

হঠাৎ দেখি তোমার চোখের ভাষায় বিপন্ন নৈরাশ্যের শীতল ছায়া
নেমে এসেছে ধীর গতিতে মৃত শামুকের মতো,
কখনো খোলস বদলাও !
নিমিষেই সমস্ত চেহারা কেমন নিষ্প্রভ নীল হয়ে গেছে,
মুহুর্তে তোমার এলোমেলো ভাবনারা আমাকে আচ্ছন্ন করে দিয়েছে
স্বপ্নের আড়াল ভেঙে এক কণ্ঠস্বর বলে উঠল,
আমি কবি নই ঠিকই ——
যদি কবিই হতাম
তবে ঘটে যাওয়া অনেক কিছু নিয়ে লিখতাম
আজ অনেক কিছু বদলে দিতে পারতাম
সেটা সময়ের দাবি ছিল মাত্র ……

আমাদের সোনার বাংলা দিন দিন কসাইয়ের বাংলা হয়ে গেছে
এমন তো হওয়ার কথা ছিল না:
এসব কি হচ্ছে দেশে …
আমার প্রিয় বাংলাদেশ ;
হে স্বদেশ ভূমি ! তুমি কি সত্যি ভাল আছ ?
তুমি কথা বলো দেশ
আর নীরব থেকে তোমার সর্বনাশ ডেকে এনো না।
তোমাকে বাঁচতে হবে দেশ ..
তোমার জন্য —
শুধু তোমার জন্য মেধাবী ছাত্র আবরার নৃশংস ভাবে খুন হয়ে গেল ;
কেন জান ?
তোমাকে ভালবাসে দেশ —
আর এটাই তার অপরাধ….
আবরার হত‍্যা পৃথিবীর ইতিহাসে এক কলঙ্কময় কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে —-
যুগে যুগে মেধাবী ছাত্রদের
নর পিশাচদের খুনের বলী হতে হয় !
শুধু তোমার জন্য ওই ওরা যুদ্ধে গেল
কোনদিন আর ফেরেনি ঘরে :
কত মা প্রিয় সন্তান হারা হল
কত নারী বিধবা হল,
কত মা , বোন সন্মান হারালো
সেই যে লাশের মিছিল ;
দাউ দাউ জ্বলছে গ্রামের পর গ্রাম
আকাশে আগুনের শিখা
বাতাসে লাশের গন্ধ
চারিদিকে ভয়ঙ্কর চিৎকার আর চিৎকার বাঁচাও বাঁচাও….

দেশ তুমি ভুলে গেছো সেসব কথা
তুমি ভুলে গেলেও আমি ভুলিনি :
আমি ভুলতেও চাই না কখনো
সেই এত কষ্টে অর্জিত বাংলাদেশ তুমি
আজ তোমার মাটিতে, দুর্নীতির গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে
বাংলার আনাচে কানাচে
শেকড় বাঁকড়ে আজ দুর্নীতি ঢুকে গেছে।
রাষ্ট্রে চলছে বর্বর নির্যাতন হামলা মামলা গুম,খুন, ধর্ষণ গ্রেফতার লুটপাট ;
কি যে হল দেশ তোমার …..

দেশ তুমি কেমন আছ ?
শুধু একবার বলো …..
দেশ তুমি ভাল আছ ?

21.09.2020

বিকেলের আকাশে বিলাসী চাঁদ

মাঝেমধ্যে দিনের আকাশে চাঁদ দেখা যায়
মেঘ মুক্ত নির্মল নীল আকাশের ফাঁকে, —
এক টুকরো শাদা প্রেমময়ী চাঁদ হাসছে :
তখন জ‍্যোৎস্না রাত লাগে না চাঁদের পাশে
বিকেলটাও চাঁদের জন্য প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে;
বিকেলের শাদা ঠোঁট গলে কেন জ‍্যোৎস্না ঝরে না?
জ‍্যোৎস্না কি শুধু রাত্রির জন্য ?
আমি ঠিক বুঝি না —
আমার জ‍্যোৎস্না থৈ থৈ বালুচুড়ি মন
কেবলই সমুদ্র বিকেলের নগ্নতা ভেঙে ,
ধোঁয়া ধোঁয়া কুয়াশায় শুভ্র জ‍্যোৎস্না খুঁজে ফেরে।

অচেনা এক শহরে

নিঃসঙ্গ মধ‍্যরাতের নির্জনতা ভেঙে অচেনা এক শহরের বুকে –
হেঁটে হেঁটে
আমি মুঠো ভরে শব্দ কুড়োয়,
একটি কবিতার জন্য :
শব্দ ভাঙি
শূন্য হাতে,
প্রেমময় আবেগে ক্লান্ত পথিক হয়ে
এখন আমি তোমার শহরে —
পা বাড়িয়েছি,
শূন্য মনে ;
কতদিন তোমার হৃদাকাশে শুকতারা হয়েছি ,
ভালবাসার অনিমেষ চাওয়া পাওয়ার হিসেব থেকে
সবুজ পাতার মত টুপ করে খসে পড়ব হয়তো —-
ব‍্যর্থতার অন্ধকারে ডুবতে ডুবতে তলিয়ে যাব
একদিন সীমাহীন দূরত্বে ..!

কেয়া কাঁটার ফাঁকে ফাঁকে ফোঁটে কত ফুল —-
হারিয়ে গেছে অগুনতি উদাস দুপুর,
জোনাকি পোকার ভীড়ে ক্ষীণ হয়েছে এক জীবন,
সে জীবনে কি কোন অপেক্ষা নেই ?
তোমার ভালবাসা কেন জানি
মরুময় আবেগে বহু দূরে নিয়ে যাই আমাকে ——–
দিন শেষে ক্ষীণ আলোয় স্মৃতিময় পিছুটান
অনিমেষ হাহাকার আমাকে কাঁদায় ভীষণ …
অথচ তুমি স্বপ্নস্নানে মগ্ন ততখানি ;

কত দূরে তোমার স্বপ্নীল বাতায়ন
অবরুদ্ধ জীবনের তথাকথিত অসমাপ্ত গল্পের নায়ক তুমি ;
লেবু পাতার সবুজতার মত ছুঁয়ে থাক উর্বর প্রকৃতি —-
তোমার জীবনে অসমাপ্ত এক গল্প আমি,

বলেছি , একদিন হারাবো গভীর শূন্যতার শূন্য নীড়ে,
তখন শুকতারা হয়ে যাব আকাশ নীলে
তুমি তখন আমায় ছুঁতে পারবে না,
আর কোন কথা ও বলতে পারবে না…

তুমি কি ভেবেছিলে —-
আমি সারা জীবন থাকব ?
পথ ভুলে যদি চলে যাই অন‍্য কোথাও …
প্রথমেই নিঃসঙ্গতাকে সঙ্গী করব,
অতঃপর গোপনে কবিতায় এ মন বাঁধবো।

রচনা কাল : 28.09.2018

নদীর নাম অভিমান

আমি তোমার এক শান্ত নদী হবো
নদীর নাম অভিমান
যে নদী নীরব নিঃশব্দে বয়ে চলে
তার কোন ঢেউ থাকবে না,
বলতে পার এ অভিমান টুকুই আমার চোখের জল ;
একদিন এ জল জমে জমে বুকের গভীরে
সমুদ্র হবে..
আর সমুদ্রটা হবে তুমি
হা, তুমি..
শুধু তুমিই যন্ত্রণাবিবশ অবিন্যস্ত আমার জীবনে এক দুর্দিনের দুঃসময়.. !

আমি তোমার এক গানের সুর হবো
সুরের নাম বিরহ ;
যে সুর নিঃশব্দে কাঁদাবে আমার অনূঢ়া মন..
দুচোখ আমার বাঁধ ভাঙ্গা শ্রাবণে
নক্ষত্রের জল হয়ে ঝরবে
বলতে পার এ আমার নিজস্ব কষ্ট দহন !

আমি তোমার লেখা অভিন্ন এক কবিতা হবো
কবিতার নাম দুঃখ কাহন ;
আমার কবিতারা দুঃস্বপ্নের করাত কলে চেরাই হয় প্রতিটা মুহূর্ত,
যে কবিতা প্রেমের কথা বলে..
স্বপ্ন সুখের কথা বলে –
আমি এমন কবিতা হতে চাইনে
এটুকুই আমার গোপনতা !
কেউ কেউ এটাকে বলে বিচ্ছিন্নতা..
যে যাই বলুক,
আমি তোমার আকাশে মেঘ হতে চাইনি
বা তোমার অরণ্যে নীল গোলাপ ।

সবুজ শ্যাওলায় ঢাকা আমি তোমার এক শান্ত নদী
নদীর নাম অভিমান –
এটুকুই – – – – -!!

অনুভুতিহীন ভালবাসার শূন্য এক পৃথিবী

বিমূর্ত রাত্রি তুমি আমাকে সঙ্গে নেবে ?
বলো নেবে …
ঘন জঙ্গলে ঘুমিয়ে থাকা গভীর রাত্রির আদি রহস্য জানার
এক অদ্ভুত অনুভুতি গুলো আমি লিখব আধুনিক টানা গদ‍্য
কবিতার কোলাজ চিত্রে ;
দূরের পথ মাড়িয়ে হারাব অচেনা দেশের ভৌগলিক সীমারেখায়,
যতই কাঁটা তারের বেড়া থাকুক
মানব না সে বাঁধা; হাঁটব একা,
হোক সে গভীর রাত্রি — নিঃসঙ্গ আর নিস্তব্ধ
আমার মত :
আকাশে বাতাসে মেঘের ঘনঘটা
প্রকৃতিতে বিরহ সুরের মূর্ছনা ;
আমি ভেজা মেঘের বৃষ্টি মেখে নীল প্রজাপতি ডানায় রোজ একটা করে স্বপ্ন সাজাই!
আমার স্বপ্ন নীল পৃথিবীর কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে প্রায়শই; কখনো দুঃখ সুতোয় বাঁধা!
গোলাপের ঝরে পড়া কান্না:
শ্রাবণ রাতের বিরহী বৃষ্টির সুর
কদমের ডালে বিষণ্ন পাখির গান
ঝিঁঝিঁ পোকার টানা কোরাস!

গভীর রাতে পাখিদের ঘুম ভেঙেছে
দু’একটি ঘাস ফড়িং জেগেছে,
দশটা তারা লুকোচুরি খেলছে মেঘের আড়ালে,
ভাললাগা অনুভূতি ঢেউ খেলে যায় অজানা আবেগে !
অসংখ্য সমুদ্র আজ সঙ্গী বিহীন
ওদের জন্য আমার মন খারাপ ভীষণ,
আমি কবিতার কাছে ফিরে আসি
কবিতা এবং সমুদ্র এখন খুব কাছাকাছি :
সমুদ্রের জলে তোলপাড় করা জলোচ্ছ্বাস ঢেউ ভাঙছে একের পর এক
সে ধাক্কা এসে আছড়ে পড়ছে আমার চোখে মুখে
এত ঠান্ডা;
হীম করা হাওয়া
সমুদ্রের বুকে ভিজে হয়ে এসেছে মেঘ ,
গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে ঝরছে তুষার বৃষ্টি!
একটা গোধূলি সন্ধ্যা একটু একটু করে ডুবছে সমুদ্রের নোনা জলে;
একটা গাংচিল সঙ্গী বিহীন,
গাংচিলের দু’চোখ জলে ভেজা
আমার ভীষণ কষ্ট হল এ দৃশ্য দেখে!

পৃথিবীটা অনেক সুন্দর!
কিন্তু হলে কি হবে ?
এই মায়া ভরা সুন্দর পৃথিবীতে
প্রতিদিন,প্রতিটি মুহূর্ত কত বিচিত্র সব ঘটনা ঘটে যাচ্ছে :
রাত না ফুরোতেই দিন আসছে
দিন না ফুরোতেই রাত !
কোন কোন জীবন রঙিন
আবার কেউ চির দুঃখী ;
হে সোনালী ডানার গাংচিল, তোমার দুঃখের কাছে আমি হার মেনেছি !
অনন্ত কাল আমরা খুঁজে ফিরব পৃথিবীর সাদা মায়া —
এ মায়া বড় বিষাদের !
কেউ এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছে :

কেউ অচেনা পৃথিবীতে আসছে
কি বিচিত্র এই সৃষ্টির রহস্যখেলা ;
গভীর শূন্যতায় পড়ে আছে ফসল শূন্য ক্ষেত, মাঠ, ঘাস ; ঘাসফুলের শিশির !
জ‍্যোৎস্নাস্নাত নৈঃশব্দ্য রাত্রি মাঘের আকাশের কালো মেঘের সাথে গল্প জমিয়েছে বেশ,
হঠাৎ বৃষ্টিতে চাঁদের জ‍্যোৎস্না ধুয়ে গেছে!

সকালের আগুন রৌদ্রে শুকিয়েছে শিশির
এভাবে প্রতিদিন কত শত কোটি শিশির স্বপ্নের মৃত্যু ঘটছে, —
শিশিরের কান্নার শব্দ শূন্য বাতাসে মিলিয়ে যায় প্রতিনিয়ত:
কেউ কি বলতে পারে এই পৃথিবীতে ভাল আছি —–
এ পৃথিবীটা একটা রঙ্গমঞ্চ!
প্রতিনিয়ত সবাই যে যার মত করে কেবল অভিনয় করে যাচ্ছে
এখানে সবাই অভিনেতা।
মানুষ বলে কথা :—
এই মানুষ একবার পৃথিবীতে আসলে আর যেতে চায় না
অথচ শূন্য হাতে তাকে ফিরে যেতে হয় !
হায় বিধাতা! এ তোমার কেমন রহস্য ?
এত সুন্দর পৃথিবী কেন সৃষ্টি করেছ ?
আর কেনই বা মানুষ সৃষ্টি করেছ ?
কি বিচিত্র রহস্যময় সৃষ্টি তোমার !
একদিন এ পৃথিবী ধ্বংস হবে
আর মানুষ ও ; এই আসা যাওয়ার মাঝে
কি বোঝাতে চেয়েছ বিধাতা —
সে তুমিই ভাল জান !
এত যত্ন করে মানুষ সৃষ্টি করে সেই মানুষকেই তুমি শাস্তি দেবে ?
কেন বিধাতা? কেন …..
কেন বিধাতা ?
আমার পিতা গত হয়েছেন
নিজগুণে ক্ষমা করো তুমি আমার বাবাকে!
গত হয়েছেন স্বজন – আত্মীয় পরিজন…
হে বিধাতা! ক্ষমা করো তাঁদের তুমি ক্ষমা করো!
তুমি না ক্ষমা করলে …
আলোর দিশারী কি করে মিলবে :
ক্ষমা করো প্রভু আমার প্রাণ প্রিয় বাবাকে ,
ক্ষমা করো আমায় প্রাণের আলিফ সোনাকে …
তোমার সৃষ্টির একটা পিপীলিকা কিম্বা পাখিরাও নিঃসঙ্গ,
নীল নক্ষত্র নিঃসঙ্গ
রাত্রির নীড়ে আমি চেয়ে থাকি অবাক অপলক চোখে
নির্জন নিরালয় কতকথা ভাবি বসে !

সবুজ পাতাও একদিন হলুদ হয়ে ঝরে পড়ে
দিনরাত ধাবিত হয় অসীমের পানে ,
ফুরোয় না কভু এ জীবনের সাধ !
নীল ধোঁয়ার মত নরম কুয়াশার শীত বিকেলও ব‍্যর্থ হয় কোন কোন জীবনে ,
ঘাসের গভীরে শিশিরের বিচরণ
সেই শিশির বিন্দু ও ক্ষণজন্মা !
সে ঘুমিয়েছে নীল স্বপ্ন বুকে নিয়ে —- রূঢ় রৌদ্দুরের তীক্ষ্ণ আঁচড়ে বারবার মৃত্যু হয়
সে মৃত্যু অনেক কষ্টের!

এ পৃথিবী থেকে একবার চলে গেলে
আর কোন দিন ভীড়ব না এ পথে
বঞ্চিত হব শীতের রৌদ্রের আনন্দ থেকে,
কেউ ছিল আপনার আপন ; সব ভুলিব তখন
ব‍্যথা ভরে রবে মনে
গোপনে গোপনে কি যে ব‍্যথা বেড়ে যাবে এই অন্তরে ;
রহস‍্যের ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাবে শূন্য পৃথিবী —
কত উদাস দুপুর নিঃসঙ্গ পড়ে রবে
ক্লান্ত বিকেলের ব‍্যথা ভরা রক্তিম নীড়ে।
আমার কৃষ্ণচূড়া রাত্রি গুলো পড়ে পড়ে কাঁদবে দিনরাত সারাবেলা আলো আঁধারে ঢাকা শৈশবে ;
আমার প্রিয় গোলাপের গন্ধ মিলাবে অন্ধকারে
আমার দুঃখ গুলো উল্টো পথে সাঁতার কাটবে সমুদ্রে ,
শরতের কাশফুল আমার কত প্রিয়!
খুঁজব না আর প্রিয় ফুল
খুজব না গন্ধ মাখা দিন
নরম রাত্রির বুকে : জ‍্যোৎস্নার নেমে আসা আর ছুঁয়ে দেখব না এ হাতে
জানালার ফাঁকে নীল আকাশ দেখব না এ চোখ মেলে ;
একদিন আমি নীরব নিঃশব্দ হয়ে যাব।
সেদিন মৃত্যু আমাকে ছুঁয়ে যাবে
আমি পড়ে রব অসাড় শূন্যতায়,
অন্ধকারে শান্ত ঘুম ঘোরে চলে যাব অনন্ত কালের কাছে।
বিদায় দেবে পৃথিবী —-
একমুঠো সোনালী রৌদ্দুর এসে খেলা করবে আমার দেহের প্রতিটা কণিকায় :
আমি জানি মৃত্যু একদিন আসবেই আসবে —–
এক্ষুণিই নয় এমন ঘোর অমানিশা সন্ধ্যা!

আমার অনেক কাজ বাকি
কবিতার কাছে —
ফেরার বড় তাড়া আছে,
আমি কখনোই ভুলব না কবিতা তোমাকে
কথা দিলাম !
কবিতা, তুমি কি কথা রাখবে ?
ভুলে যাবে এই আমাকে?
কিছু গল্প, উপন্যাসের কাছে আমার শত জন্মের ঋণ আছে
শূন্য মনে;
শোধিতে চাই সে ঋণ!

মেঘভেজা শূন্য বাতাসের ডানায় ভেসে যায় স্মৃতিময় কুয়াশার সরল সমুদ্র অশ্রুসিক্ত আমার কবিতার গল্প ;

সত‍্যিই এ গল্প বড় বেশি ব‍্যথিত !

07.09.2020

নৈঃশব্দ্যের শূন্যতায় মৃত্যুই সত‍্য

রোজ একটা করে সন্ধ্যা ডুবে যায় সমুদ্র বুকে —
হোক সে নীড়ে ফেরা পাখির সন্ধ্যা,
গোলাপ ফোঁটা সকাল
ধূসর গোধূলি’র ধোঁয়ায় ডুবে যাওয়া মুহুর্ত;
কিম্বা বেলা শেষের শেষ বিকেলের নিয়ন আলোর মুছে যাওয়া সময় —
তখনো পাখিরা ব‍্যস্ত ছিল সোনালী বিকেলের রৌদ্রের ভিড়ে।

রোজ রোজ ভরা সন্ধ্যার মৃত্যু
এত ভাঙন চারিদিকে, —–
আজ সব পাখিরা নিখোঁজ হয়েছে
গোধূলি লগ্ন মুছে যাওয়ার ক্ষত হৃদয়ে;
আহা! দুঃখের এ কোন্ দিন এল
সমুদ্রে মরা চাঁদের জ‍্যোৎস্না ,
আর একটাও সন্ধ্যা নেই, শোকার্ত দিন :
এবার রাত ডুবে যাবে।

বিমর্ষ জ‍্যোৎস্না; বিষ ব‍্যথায় ভরা মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ ঈশ্বরের পৃথিবীর চৌকাঠে

তখনো বাকি ছিল, কিছু জীবনের কথা বলছি
আহত বৃষ্টির ফোঁটা — গোলাপের ঠোঁট গলে শাদা রক্ত ঝরছে !

রোজ সন্ধ‍্যা, রোজ একটা করে রাতের মৃত্যু
এ মৃত্যুর মিছিল অনেক দীর্ঘ :
মানুষ মরছে অহরহ
অদৃশ্যের এই আমি মৃত্যুহীন বেঁচে থাকা সম্ভব নয়,
আমি ও মৃত্যুর অন্তর্গত ;

এত মৃত্যু মিছিল থামাতে গিয়ে থরথর কেঁপে উঠেছি এই আমি।

রচনা কাল: ২২.০৮.২০২০

চিলমেঘ ডানায় ধূসর মেঘ

এক পৃথিবীর শূন্য বুকে সন্ধ্যা নামছে একটু একটু করে
দূর আকাশে কোটি তারা চোখ মেলেছে , কাজল টানা
অবাক চোখে —
চাঁদ জ‍্যোৎস্না ছড়ায়
নিবিড় বিমূর্ত রাত্রি
পাগল পারা:
মধ‍্যরাতে আমি জেগে থাকি
একা নীরব নৈঃশব্দ্যে
আমার স্মৃতিতে তুমি বারবার ফিরে আস
তবে কি ভুলতে পারিনি আজও তোমাকে?
সেই এক শতাব্দী আগের কথা ;
পড়ে আছে শূন্য বাতাসে।

এখন আমি একলা বিকেলের কাছে ভীষণ একা
যদিও একমুঠো মেঘ আছে
চোখের কোণে জমা ;

একটা নিঃসঙ্গ শালিক বসে আছে
কামরাঙা ডালে,
চিলমেঘ ডানায় মেঘ উড়ে এসে
গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে ঝরে পড়ে
গহীন সমুদ্রের নীল জ‍্যোৎস্নার অবাধ স্রোতে!

27.08.2020

অসম্পূর্ণ অন্য এক তুমি

মৌন অভিমানে —-

তুমি দূরে চলে যেতে যেতে
কেঁদে চাওয়া এক আকাশ হলে
তুমি এখন অনেক দূরের আকাশ ;

আমাকে একটা তুলি দাও
নীল আকাশ মুছে মুছে
তোমাকে জীবন্ত করে তুলব,
আর চাঁদটাকে তোমার পাশে বসিয়ে রেখে
স্থির চোখে দেখব ,কে সুন্দর?
চাঁদ নাকি তুমি ?
যদি কেউ বলে,
চাঁদ সুন্দর……
কসম আল্লাহর ;
আমি চাঁদকে ধ্বংস করতে
কোন দ্বিধা করব না।
আমার সব দ্বিধা এক জায়গায়
যদি তুমি বলো, ভালবাসি তোমাকে —-

আমাকে একটা রঙ তুলি দাও
তোমার স্বপ্নের পৃথিবীটা আমি
ভেঙেচুরে অত‍্যাধুনিক রঙিন ডিজিটাল এক পৃথিবীর স্কেচ এঁকে দেব।

তুমি আমাকে আর একবার বিশ্বাস করে দেখ,
আমি অবাধ বিশ্বাসকে প্রশ্রয় দিয়েছি
তুমি কেন নয় —–
যদি তুমি বলো, ভালবাসি !

20.08.2020

বিনিময়

একটা গোলাপ দেব, নেবে ?
বিনিময়ে তোমার মন দেবে আমায় …
নিঃশব্দ নিবিড় রাতের কোলাহল থেমে গেলে ,
জ‍্যোৎস্না যাকে প্লাবিত করে
শিশির যাকে আচ্ছন্ন করে রাখে —-
এ সেই কাঙ্ক্ষিত গোলাপ ;
নিখুঁত অঙ্কের জ‍্যামিতিক সূত্র সে কথায় বলে।

তোমার মনের বৃত্ত ভরাট করে আমি চাঁদের বুকে একটা স্বপ্ন এঁকেছি
এ বৃত্তের দূরত্ব ভেদ করে কখনোই তুমি বের হতে পারবে না,
আমার আঙুর লতা ফুলের সুঘ্রাণ
আর খয়েরি ডানার নীল ঠোঁটের শালিক পাখি তোমার জন্য:
তোমার মন খারাপের গোপন সূত্র নীল গোলাপ সে
আমি নিউটনের সূত্রের মত আবিষ্কার করেছি !

তোমাকে ভালবেসে বেসে একটা জীবন আমার মরে গেছে
এখন আমি মৃত; যখন জীবিত ছিলাম বোঝনি তুমি,
খোঁজনি আমায়
আমার মন খারাপের জটিল সময়
বিষন্ন রাতে প্রিয় নক্ষত্র’র মন খারাপ হয় !

আমার বাংলো ছুঁয়ে আছে এক সমুদ্র দুঃখ
দুঃখ’রা অবাধ স্রোতে ছোট ছোট ঢেউ ভাঙে,
পূর্ণিমা রাতে সমুদ্র বুকে জ‍্যোৎস্নার জোয়ার ঢেউ খেলে যায়
দিগন্ত বিস্তৃত সমুদ্র পাড়ে বিমূর্ত রাতে জ‍্যোৎস্না ধারা অদম‍্য স্বপ্নের পাড় ভাঙে;
আমি তখন নিঃসঙ্গ, একাকীত্বের টুকরো টুকরো বিরহের কোলজ চিত্রে ডুবছি ,
অন্তঃসারশূন্য এই আমি;
আমার পাশে কোথাও কেউ নেই
না একটা নীল প্রজাপতি
এমন কি ঘাসফড়িং, কিম্বা কোন ডানাওয়ালা চড়ুই পাখি……
তখন ও তুমি আছ মনে।

হারাতে চেয়েছি একফোঁটা বৃষ্টির জলে, আমার সৃষ্ট গভীর সমুদ্রে
সত‍্যিই যদি হারিয়ে যেতাম একফোঁটা বৃষ্টির জল হয়ে নীল সমুদ্রে ,
— তোমার কখনোই সে কথা জানা হত না।
বিশ্বাস কর শুধু তোমার জন্য বেঁচে আছি আজও!

একটা সমুদ্র দেব, নেবে ?
কোন বিনিময় চাইব না
তুমি হারিয়ে যাবে স্রোতের শ‍্যাওলায় এ আমি চাইনা
উজ্জ্বল নক্ষত্র’র মত তুমি বেঁচে থাক পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত !

একটা আকাশ দেব, নেবে ?
বিনিময়ে তোমার মন নেব, দেবে ? বলো দেবে…..
আমার জ‍্যোৎস্না চূড়ো রাত্রি শেষ হয়েছে কবেই!
এখন আর আকাশ দিয়ে কি হবে?
আকাশ বরং তোমার থাক
আমার এ চোখ তোমার আকাশ দেখবে
আজ না হয়, অপ্রত্যাশিত ভালবাসা পূর্ণতা পাক তবু একটা কিছু তো হবে ………….

১৮.০৮.২০২০