ইন্দ্রাণী সরকার এর সকল পোস্ট

গল্পকথা

গল্পকথা

রূপশ্রী তোর দ্বিতীয় ভালোবাসা ছিল
বহুজন এসে তোর থেকে কেড়ে নিতে চেয়েছে
কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পারে নি ।
রূপ সবাই ত ছেড়ে গেছে তুই এখনো রয়েছিস তাই না ?
কিছু ঝর্ণা নদী পাহাড়ের গল্প বল
কিছু আহামরি পুষ্পস্তবকের স্বপ্ন
কিছু রাখালিয়া বাঁশি বা কিছু জোনাকি
মেঠো পথে অথবা শহুরে রাস্তায় ঐ হেঁটে যাওয়া
ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের গল্পকথা
অথবা রাতের বেলায় বেলগাছে বসে থাকা সেই ব্রহ্মদত্যি
এমনি কিছু বল যেমন এখন বলিস
দেখ আমিও ত হাঁটি হাঁটি কবিতা লিখি
তুই এমনি থাক যেমন আছিস
এতটুকু বদলাস না !

পোস্ট মর্টেম

পোস্ট মর্টেম

এখন পোস্ট মর্টেমে আছি
এভাবেই কিছু কাল থাকতে চাই
পুরুষানুক্রমিক এই কাজে সিদ্ধ
কারো মৃত্যুর আগে কিংবা পরে
যতক্ষণ না একটা অর্ধমৃত শুকুন এসে
সবটা উদরস্থ করে।

#
যে টার্গেট হয় পোস্টমর্টেমে
তার শরীরের সব জায়গায় হাত চালাই
হেটেরো অথবা হোমো হব বাছবিচার করি না
শকুনের এমনি নির্দেশ।

#
নিজেদের উপপতি ও উপপত্নীগুলি গুনে নিয়ে
তারপর ভার্চুয়ালে আসি
টার্গেটের নাড়ি নক্ষত্র শুঁকে শুঁকে দেখি
আমাদের জীবনের পরম মোক্ষ আর তৃপ্তি।

#
নির্বাণের আর দেরি নেই
স্বর্গ থেকে মায়ের আত্মা রোজ হাতছানি দেন
শকুন ড্রিবল করে বেরিয়ে যায়
পরের জন্মে পতিতাদের দালালগিরি করার তপস্যায়।

শাঁখের করাত

শাঁখের করাত

পুরোনো, বাতিল, মানুষদের ছুঁড়ে ফেলে দিই
কোনও কাজে লাগে না তারা সমাজের বাতিল
নিজের মাতাপিতা যদিও দেবদেবী সম।

তবে এটা বলছি অন্যের হয়ে নিজের কথা নয়
আবার সুবিধে পেলে ঠিক উল্টো কথা গাই
বলি স্বার্থ ফুরিয়ে গেছে তাই ফেলে দিয়েছে।

আসলে ঠিক জানি না আমরা কি বলতে চাই
শুধু হিংসেয় জ্বলেপুড়ে যাই তাদেরই জন্য
যারা আমাদের বাড়া ভাতে এতটুকু ছাই দেয় নি।

শাঁখের করাত দেখেছো কি শাঁখের করাত ?
আমাদের হাঁড়ি মুখগুলো হল আসলে এক একটি
শাঁখের করাত এদিকে কাটে ওদিকেও কাটে।।

মনোতুষ্টি

মনোতুষ্টি

রাজা বলেন, কৃষ্টি কৃষ্টি কৃষ্টি
বিদূষক মোমে গোঁফ মেজে
মৃদু হাসিটিকে আকর্ণবিস্তৃত করে
বলে উঠলেন, দৃষ্টি দৃষ্টি দৃষ্টি
রাজকবি প্রিয়ার নাকে তুলো আর চোখে
তুলসী রেখে বলেন, মিষ্টি মিষ্টি মিষ্টি !
পাশ দিয়ে কবিরাজ যেতে যেতে বললেন
কি ভীষণ অনাছিষ্টি অনাছিষ্টি !
গাঁয়ের লোকেরা হেঁকে বললো
আহা কি দারুণ ফিষ্টি ফিষ্টি ফিষ্টি !!

মাপ

মাপ

ময়ূরী গণেশের দুধ মাপে
পাশে দাঁড়িয়ে থাকে যেন কলাবৌ
তার মোটা পেট থেকে প্যান্ট নামিয়ে দেয়
নাচের মুদ্রায় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে ওঠে।

পুরাণের চরিত্রগুলির নখ খুঁটে খায়
কাকে রাখে কাকে ধরে ?
সবাইকে ভেংচি কেটে কেটে ছন্দিল নকশায় ~
খাতার পাতাগুলো মেলায় বিলি হয়।

অস্থি

অস্থি

পাশ ফিরে বসে আছে শিকারী বক
রোজ সে আর তার নাচনেওয়ালী সখি
একটা সাদা পায়রা ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায়
পাতাল থেকে খুঁড়ে আনে কঙ্কাল
ক্যালিগ্রাফি হরফে আঁকা থাকে পায়রার অস্থি।

সাথীপাখি তুলাদণ্ড নিয়ে আসে
তলায় আঠা লাগিয়ে আলিবাবার সাথে মোহর ওজন করে।

কখনো দেখা যায় তার সুদৃশ্য পায়ের পাতা
উন্মুক্ত কাব্যিক গোড়ালি, নাকের নথ
অথবা খোলা বেলিবাটন;
যে নরকে বকও মাথা কুটে মরে
আর মেলাতলার লোকজন।

পরশপাথর

পরশপাথর

জগজ্জননী মা হাতে পরশপাথর নিয়ে বসে থাকেন
পুরুষের বেশে মিত্রশিবিরে কিছুদিন কাটিয়ে গেলেন
মাদার টেরেজার মত ডুকরে কেঁদে ফেলেন সেই থেকে
আহা বাছাদের আমার কি কষ্ট ! হাপুস নয়নে বলেন

তাঁর শ্রীহস্তের স্পর্শে লোহা হয় সোনা, সোনা হয় লোহা
মিত্র হয় শত্রু, শত্রু হয় মিত্র, নারী পুরুষ অবিমিশ্র এক
মাঝে মাঝে তিনি অত্যন্ত উতলা হলে বিছুটির জ্বালায়
আঁৎকে ওঠেন যেন, প্রসববেদনা ওঠে, কবিতা প্রসব হয়।

শহরতলীতে ইভনিং ওয়াকের ইমেজারি এনজয়…ব্লেসিংস

শহরতলীতে ইভনিং ওয়াকের ইমেজারি এনজয়…ব্লেসিংস

ক্রমশঃ দিনের আলো ফিকে হয়ে আসে
আবছায়া আঁধারে শহর ঢেকে যায়
দূরে নদীর জলে বোটগুলো ঢেউয়ের তালে তালে দোলে
আরও দূরে নদীর ওপারে শহরের
উঁচু উঁচু ইমারতের মাথা মিশে আছে মেঘেদের দেশে
পাশে প্ল্যানেটোরিয়ামের ডিম্বাকৃতি চূড়া
গাছের ডাল হেলে হেলে পড়ে যায় জলের উপর
পাতাগুলো জলের সাথে ভেসে ভেসে ওঠে
ইঁটের রাস্তা আর পাশে জগিং ট্রেইল সোজা চলে গেছে বহুদূর
যেতে যেতে হাঁপিয়ে গেলে বেঞ্চিতে বসে যাই
পাশে হেঁটে যাওয়া হাঁসগুলোকে হাত নেড়ে নেড়ে ডাকি
তারা প্যাঁক প্যাঁক করতে করে শাবকগুলি নিয়ে রাস্তা পেরিয়ে যায়।

আগমনী

আগমনী

পূজোর মরশুমে নাচে ঢাক ঢোল ঘন্টা
তাই দেখে বেজে ওঠে নিদারুণ মনটা।
জগজ্জননী মাতার সবেতেই লক্ষ্য
জানা নেই কবে তিনি কার নেন পক্ষ।
প্রণাম মাত: তব চরণে রাখি পুষ্পাঞ্জলি
তুমি না রক্ষিলে সন্তানের আকুলি বিকুলি।
পদ্মিনী শঙ্খিনী তুমি, নও কভু হস্তিনী
তব নামে চরাচরে ছুটে আসে আগমনী।

বৃষ্টির শেষে

বৃষ্টির শেষে
– থিওডোরা ওনকেন

সেদিন তোমার কথা খুব মনে পড়ছিল
যখন শিশিরের ফোঁটা সবুজ ঘাসে হীরের
মত ঝিকমিক করছিল।
কাঠবিড়ালী আর ব্যাঙগুলো আনন্দে ডেকে উঠছিল।
যখন ভোরের বেলা চরিদিক নিঃস্তব্ধ আর শান্ত
সুর্য্যের স্নিগ্ধ উষ্ণ বিকিরণ আমার শরীরে খেলা করে
আভাসে জানিয়ে যায় দু একটা মেঘের আগমন বার্তা
সঙ্গে এক শান্তি আর সন্তুষ্টিতে পূর্ণ এক দিনের শপথ।
এমনি এক নিখুঁত উজ্জ্বল দিনে ভয়ানকভাবে তোমার
অনুপস্থিতি চোখে পড়ছে।

Theodora Onken

I missed you the other day
When the dew left its diamond glitter upon the grass
And the squirrels and frogs were frolicking merry
When the silence of daybreak calmed
And the sunrise ever warmed
With its gentle rays dancing across my skin
Giving me hints of a fluffy white cloud or two
Promising an entire new day
Of peace and contentment
A perfect day-this
But for the glaring-almost blindingly-blazing
Absence of you

ডায়ানার দিনগুলি

ডায়ানার দিনগুলি

রাতের আলোয় পৃথিবীর স্তব্ধতা মাটিতে ছড়িয়ে পড়েছে।
আমাদের দু:খে ভারাক্রান্ত পায়ের ওপর আমরা ক্রমশ: নুয়ে পড়ি।
মন অজানাকে জানতে চায়
সূর্য্যকুমারী ছাড়াই আমাদের হৃদয় আগামীকে মাপতে চায়।

যে হাত দুটি দিয়ে সূর্য্যকুমারী তার উজ্জ্বল টায়ারা আর রত্নখচিত মুকুট ধরে থাকে,
সেই হাতেই এ্যাঙ্গোলার ধুলাময় রাস্তার ব্যাথাময় মুখগুলি স্পর্শ করে।

যদিও তার জন্ম আতিশর্য্যের মধ্যে
তবুও সে কোনো সবজান্তার ভাব না দেখিয়েই দরিদ্রদের সাথে মিশে যায়।

বসনিয়ার ঝলমলে আর চনমনে সুন্দর মেয়েটিকে তার সৌন্দর্য্য ও সহজলভ্যতার জন্য
আমরা তাকে সর্বদা ভালোবাসি ও ধরে রাখতে চাই।
আমাদের ভালো লাগে মেয়েটি যখন নিজের খুশিতে নিজেই হাসতে থাকে।

পৃথিবী এখন আর আগের মতো নেই।
অনেক ছোট, সংকুচিত আর বর্ণহীন হয়ে গেছে।

তবুও মেয়েটি বেঁচে ছিল কারণ সে পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে চলত।
সে ইতিহাসে তার পদক্ষেপ রেখে গেছে।

আমরাও নিজেদের ছেড়ে অন্যের জন্য চিন্তা ভাবনা করতে পারি।
তার জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে মমতা, কৌতুক, সৌন্দর্য ও উৎসাহ দিয়ে নিজেদের জীবন গড়তে পারি।

সূর্যকুমারী বিদায়।

_____________________________

The Week of Diana
A poem by Maya Angelou

The dark lantern of world sadness has cast its shadow upon the land.
We stumble into our misery on leaden feet.
Our minds seek to comprehend the unknowable and our hearts seek to
Measure a tomorrow without the Sunshine Princess.

Her hands which had held bright tiaras and jewelled crowns,
Also stroked the faces of pain along
Angola’s dusty roads.
She was born to the privilege of plenty
Yet, she communed with the needy without a show of pompous piety.

Glowing in Bosnia, radiant at glittering balls,
We came to love her and claim her for her grace and accessibility.
Luminous always.
We smiled to see her enter and grinned at her happiness.
Now the world we made is forever changed…

Made smaller, meaner, less colorful.
Yet, because she did live,
Because she ventured life and confronted change,
She has left us a legacy.

We also may dare…
To care for some other than ourselves and those who look like us.
And maybe we can take a lesson from her
And try to live our lives
With passion, compassion, humor and grace.

Goodbye Sunshine Princess.

লিপি ও প্রতিলিপি

লিপি ও প্রতিলিপি

আমি অনবরত কড়া নেড়েছি, কিন্তু তুমি সাড়া দাও নি।
আমি ভগ্ন থেকে ভগ্নাংশে সরে গেছি
আমি তোমার নৈশব্দপ্রিয়া হয়েছি
কবিতাগুচ্ছে জমিয়ে রাখি লিপি আর প্রতিলিপি

তোমার কপাল থেকে সরে যায় একগুচ্ছ চুল
আমি পাতায় তুলে রাখি তোমার বিষাদ ঠোঁট

অপূর্ব আলোয় ভরে যায় কনকফুলের বাগান
আমি চৌখুপি ইটের ওপর এক পা এক পা রেখে
অতিক্রম করে যাই গোটা একটা গ্রাম্য চত্বর
সাঁকো পেরিয়ে নদীর ওপারে গিয়ে দেখি অপূর্ব এক শহর।

তার অপার্থিব সৌন্দর্য্য

তার অপার্থিব সৌন্দর্য্য
– ওয়ার্ডসওয়ার্থের কবিতার অনুবাদ

তাকে প্রথম দেখার পর আমি খুব অবাক হই
যেন সে এক পলকের একটি অলংকার।
এক অপার্থিব সৌন্দর্য্যে মহিমান্বিতা।
তার চোখ দুটি যেন গোধুলির তারা
ভোরের লালিমা আর বসন্তের সব
সৌন্দর্য্য নিয়ে সে সৃষ্টিকর্তার এক
অভিনব সৃষ্টি নৃত্যের ভঙ্গিমায় আঁকা।
নিয়ত তার রূপ আমায় চমকিত করে,
বিচলিত করে আনমনে আনমনে।

তার অন্তর্মুখী রমনীয় কমনীয়তার প্রকাশ
প্রতি পদে পদে যখন সে গৃহকার্য্যে রত,
তার মুখাবয়ব মধুর স্মৃতি আর আশ্বাসে ভরা।
সে প্রাত্যহিক জীবনের জন্য একদম উপযুক্ত
না হলেও তার এই সাধারণ অথচ সাবলীল
মনোভাব আর গতিবিধি, তার মনের আপাত
দুঃখ, সহজ চাটুকারিতা, প্রশংসা, দোষারোপ,
ভালোবাসা, চুম্বন, অশ্রু এবং হাসি সব কিছুই
আমায় আকর্ষণ করে, উত্সাহিত করে।

এখন আমি যতই তাকে ভালোভাবে দেখি
তার জীবনের প্রতি পদক্ষেপ অনুভব করি।
তার জীবন আর মৃত্যুর অনুধাবন, অবিচলিত
আত্মবিশ্বাস, দূরদৃষ্টি, শক্তি, গুণাবলীতে সে
যেন বিধাতার একটি সম্পূর্ণ আর নিঁখুত সৃষ্টি।
তার উপস্থিতি আমায় সচকিত করে, সঠিক
পথের সন্ধান দেয়, মনকে শীতল করে।
তবুও আমার কাছে সে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র
যে এক অলৌকিক উপস্থিতিতে মহিমান্বিতা।

মেঘাচ্ছন্ন আকাশ

মেঘাচ্ছন্ন আকাশ
– উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ

নিবিড় ঘন মেঘে ঢাকা তমসাবৃত
আকাশ শুভ্র চাঁদের আলোয় ভরা।
অস্পষ্ট সঙ্কুচিত গোলাকার চাঁদ
মৃদু আলো ছড়ায় যা পাথর, গাছপালা
আর মিনারের নকশা মাটিতে এঁকে দেয়।

সুদূরে চিন্তারত একাকী পথিক সুমধুর
চাঁদের আলোয় সচকিত হয়ে
অবনত মুখ তুলে উপরে তাকিয়ে দেখে
মেঘ সরে গেছে আর মেঘের ফাঁক দিয়ে
ফুটে ওঠে সুস্পষ্ট চাঁদ আর স্বর্গের দীপ্তি।

নীলাভ আঁধারে বাঁকা চাঁদ ভেসে যায়,
কত শত ক্ষুদ্র অথচ স্পষ্ট অগুন্তি নক্ষত্র
সুগভীর নীহারিকায় চাঁদের পথসঙ্গী হয়,
কত দ্রুত তারা বৃত্তাকারে ঘুরে যায়
কিন্তু অদৃশ্য হয় না, গাছে গাছে ঝরো বাতাস
বয়ে যায় কিন্তু তারা পথভ্র্যষ্ট হয় না
বহু যোজন দূরে থেকেও;
মেঘেদের সারি সারি তোরণ
অপরিমিত গভীরতায় গাড় হতে থাকে।

দূরে মন আর দৃষ্টি ক্রমশঃ শান্ত হতে থাকে,
চারিদিকের সুন্দর আর পবিত্র পরিবেশে মন
হয়ে যায় অচঞ্চল, ধ্যানমগ্ন।

( My translation in Bengali from “A Night-Piece” by William Wordsworth)

আকাঙ্ক্ষা

আকাঙ্ক্ষা

নিশীথের স্বপ্নে তোমায় খুঁজি প্রিয়তমা
স্বপ্ন যতই দীর্ঘ হয় দিনের নিরাশ মুহূর্তগুলি
সংক্ষিপ্ত হয়ে আমায় উজ্জীবিত রাখে।

অজস্র আলোর ফুলকিতে ছড়ানো ধূমকেতু
হয়ে এসে যাও সবার মাঝে নতুন পৃথিবীতে
সবাইকে আপন করে নাও আমার মত।

এবার তুমি স্বপ্ন থেকে সত্যি হয়ে এস
যেন তুমি আমার চুলে হাত বুলিয়ে দাও
আর আমার ভুরুতে চুমু এঁকে বল
কেন শুধু শুধু এত কষ্ট পাও ?

নিশীথের স্বপ্নে তোমায় খুঁজি প্রিয়তমা
স্বপ্ন যতই দীর্ঘ হয় দিনের নিরাশ মুহূর্তগুলি
সংক্ষিপ্ত হয়ে আমায় উজ্জীবিত রাখে।

LONGING
Matthew Arnold

Come to me in my dreams, and then
By day I shall be well again!
For so the night will more than pay
The hopeless longings of the day.

Come, as thou cam’st a thousand times,
A messenger from radiant climes,
And smile on thy new world, and be
As kind to others as to me!

Or, as thou never cam’st in sooth,
Come now, and let me dream it truth,
And part my hair, and kiss my brow,
And say, My love! why sufferest thou?

Come to me in my dreams, and then
By day I shall be well again!
For so the night will more than pay
The hopeless longings of the day.