ইন্দ্রাণী সরকার এর সকল পোস্ট

দূরে যেও না

দূরে যেও না

দূরে যেও না, এমন কি এক দিনের জন্যও নয়
কারণ আমি জানি না কি করে বোঝাই যে
একটা দিনও আমার কাছে অনেক লম্বা মনে হয়,
আর মনে হয় আমি যেন জনশূন্য স্টেশনে তোমার জন্য
একা অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে, সব ট্রেন অন্যত্র ঘুমিয়ে আছে।

আমায় ছেড়ে যেও না, এমন কি এক ঘন্টার জন্যেও…
কারণ একটু কষ্টও যে অসম্ভব যন্ত্রণা দেয়,
দাবানলের আগুন যেন ক্রমশঃ আমার দিকে ধেয়ে আসে
আমার লুপ্ত হৃদয়কে অবরুদ্ধ করতে।
তোমার ছায়া ঐ সমুদ্রতীরে যেন কখনো মিলিয়ে না যায়;
তোমার চোখের পলক যেন না কাঁপে ঐ সুদূর শূন্যতায়।

আমায় ছেড়ে যেও না এক মুহুর্তের জন্যও প্রিয়তম আমার,
কারণ ঐ এক মুহুর্তেই তুমি অনেক দূর চলে যাবে আর
আমি হতভম্বের মত সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়াব আর
জিজ্ঞাসা করে বেড়াব তুমি কখন ফিরে আসবে ?
তুমি কি এভাবে আমায় ফেলে যাবে শেষ হয়ে যাবার জন্য ?

Don’t Go Far Off
Pablo Neruda

Don’t go far off, not even for a day, because –
because — I don’t know how to say it: a day is long
and I will be waiting for you, as in an empty station
when the trains are parked off somewhere else, asleep.

Don’t leave me, even for an hour, because
then the little drops of anguish will all run together,
the smoke that roams looking for a home will drift
into me, choking my lost heart.

Oh, may your silhouette never dissolve on the beach;
may your eyelids never flutter into the empty distance.
Don’t leave me for a second, my dearest,

because in that moment you’ll have gone so far
I’ll wander mazily over all the earth, asking,
Will you come back? Will you leave me here, dying?

ওয়েস্টমিন্সটার ব্রিজের উপরে

ওয়েস্টমিন্সটার ব্রিজের উপরে
– উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ)

এই পৃথিবীতে এত সুন্দর আমি কিছুই দেখি নি :
এমন অভূতপূর্ব দৃশ্যকে যে পাশ কাটিয়ে যেতে পারে সে তো মূর্খ :
দেখো শহর কেমন সুন্দর সাজ করেছে এই পবিত্র নীরব প্রভাতে,
দেখো জাহাজ, মিনার, গম্বুজ, রঙ্গশালা আর মন্দিরগুলি
কেমন দাঁড়িয়ে আছে মাটির উপর আকাশের নীচে।

সব কিছুই কেমন উজ্জ্বল আর ঝকঝকে বিশুদ্ধ বাতাসের আবরণে
সুর্য্য কখনো এত সুন্দরভাবে উদিত হয় নি এই পাথরে পাহাড়ি উপত্যকায়
কখনো এত গভীর প্রশান্তি আমি দেখি নি বা অনুভব করি নি।
নদী কেমন নিজের ইচ্ছেয় বয়ে চলে যায়:
ও ভগবান ! শহরের সব বাড়িগুলি এখনো কেমন সুষুপ্তিতে মগ্ন !

________________________________________

Upon Westminster Bridge
W. Wordsworth

Earth has not anything to show more fair:
Dull would he be of soul who could pass by
A sight so touching in its majesty:
This City now doth like a garment wear
The beauty of the morning:
silent, bare,
Ships, towers, domes, theatres, and temples
lie Open unto the fields,
and to the sky,
All bright and glittering in the smokeless air.
Never did sun more beautifully steep
In his first splendour valley, rock, or hill;
Ne’er saw I, never felt, a calm so deep!
The river glideth at his own sweet will:
Dear God! the very houses seem asleep;
And all that mighty heart is lying still!

জলপানের স্বার্থে

জলপানের স্বার্থে

খুব একা নয় যতটা ভেবেছ তুমি
ঘরে একটা মানুষ লেপটে থাকে
অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক কর্মবীর।

চাইলেই হাজারো ভীড়ে মিশে যাওয়া যায়
কিন্তু কবিমন একা চিন্তায় মগ্ন থাকতে বেশি চায়।

মানুষেরা আগে এখানে যেন আঁকড়ে থাকত ভালোবেসে
তোমার আর তোমার পিতামহের করুণায় তারা হল পৃথক।

মৃত্যু সন্নিধানে ভেবো পরজন্ম যদি থাকে
কখনো মানুষের মাঝে হেসেখেলে থাকা মানুষকে
এত একা করে দিও না নিজের জলপানের স্বার্থে।

মূল: উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ – বাই দ্য সী

বাই দ্য সী

এই সুন্দর শান্ত বিকেল যেন এক পবিত্র
সন্ন্যাসীনির ন্যায় প্রেমপরিপূর্ণ পরিশ্রান্ত,
সুর্য্য তার প্রশান্তির সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে।
সমুদ্রের উপর স্বর্গীয় নীরবতা —-
শোন সেই পরম শক্তি এখন জাগ্রত
তার অনন্ত গতি বজ্রের ন্যায় অবিশ্রান্তভাবে
শব্দ করে যায় —-
প্রিয় শিশু ও কন্যা, তোমরা যারা আমার সঙ্গে
এখানে হেঁটে গেছ, যদি এই পবিত্র রাত্রি
তোমাদের ছুঁয়ে নাও যায়
প্রকৃতি তবুও কম পবিত্র নয়।
তোমরা সবাই ঈশ্বরের বক্ষে আজীবন আশ্রিত
তোমরা জানো আর না জানো ভগবান
তোমাদের মনের মন্দিরেই বিরাজিত।

W. Wordsworth
By the Sea

IT is a beauteous evening, calm and free;
The holy time is quiet as a nun
Breathless with adoration; the broad sun
Is sinking down in its tranquility;
The gentleness of heaven is on the Sea:
Listen! the mighty being is awake,
And doth with his eternal motion make
A sound like thunder—everlastingly.
Dear child! dear girl! that walkest with me here,
If thou appear untouched by solemn thought
Thy nature is not therefore less divine:
Thou liest in Abraham’s bosom all the year,
And worshipp’st at the Temple’s inner shrine,
God being with thee when we know it not.

আমি মেঘের মত একা ভেসে যাই

আমি মেঘের মত একা ভেসে যাই

আমি মেঘের মতো একা ভেসে যাই
পাহাড়ি উপত্যকার উপর দিয়ে,

হঠাৎ দেখি পথের ধারে এক ঝাঁক
সোনালী ড্যাফোডিলের গুচ্ছ।

জলের ধারে ধারে, গাছের পাশে পাশে,
তারা হাওয়ায় ওড়ে আর দুলে দুলে নাচে।

ফুলগুলো সুন্দর ওই নক্ষত্রমণ্ডলীর
ঝিকমিকে তারাদের মত সারে সারে সাজান।

হাজার হাজার ফুলেরা চারিদিকে ফুটে রয়েছে,
বাতাসের দোলায় যেন তারা মাথা হেলিয়ে
খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে।

ড্যাফোডিলের বাগানে বাতাসের দোলায়
ঢেউ ওঠে যা জলের ঢেউকেও হারিয়ে দেয়।

তার মনোলোভা রূপে বিমুগ্ধ আমি
হতবিস্মিত হয়ে তাকিয়ে দেখি।

যখন আমি একাকীত্বের সুরভিতে নিমগ্ন
ড্যাফোডিলের সৌন্দর্য্য আমার অন্তরাত্মায়
অপার্থিব ভাবনার সৃষ্টি করে।

আমি ডুবে যাই অনাস্বাদিত এক অনাবিল
আনন্দে ওই ড্যাফোডিলের সুন্দরতায়।

I Wandered Lonely As A Cloud
(by William Wordsworth)

স্বস্তির নিঃশ্বাস

স্বস্তির নিঃশ্বাস

কে যেন ফুল ছুঁড়ে বলে গেলেন অখ্যাত ছাতা
কখনো মা, কখনো দয়িতা, তীর ছোঁড়া কবিতা।
কি ভাবে যেন বেডরুমে ঢুকে পড়েন
বিভিন্ন চরিত্র দেখে নেন
কেউ জঠরে, কেউ কোটরে।
ভাবতে অবাক লাগে এই মহাপুরুষকে
একদিন ভালোবাসা আর শ্রদ্ধায়
আপন করে নিয়েছিলাম
শুধু তিনি আপন হতে পারেন নি।

এখন খালি চত্বর থেকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।

রূপান্তর

রূপান্তর

দুর্বোধ্য কোনো বিষয়ের মত তোমায় পড়তে চেয়েছি

সকালের টুপটাপ ঝরে পড়া ফুল,
বিকেলে মুদে আসা পদ্মকোরক
রাতের রজনীগন্ধার আতর সুবাস

বিপন্ন কৃষকের অপারগ কৃষিকাজ আর খেয়াপারাপার
সবই গতানুগতিকতার কোনো সুচারু নিয়মে
অভিধান খুলে শব্দের পর শব্দ খুঁজেছি তোমায় মানাতে

পরিশেষে চোখ বুজে নিজের মনে প্রবেশ করে দেখি
রূপ থেকে রূপান্তর, দেশ থেকে দেশান্তর,
গ্রাম থেকে শহর, সেখানে মানুষ আছে, শুধু তুমি আমি নেই।

অতীত ও বর্তমান

অতীত ও বর্তমান

যে বাড়িতে আমি জন্মেছিলাম তা এখন মনে আছে
সেই ছোট্ট জানালা দিয়ে সকালের সুর্য্য উঁকি মারত;
কিন্তি কখন সে তাড়াতাড়ি করেও আসত না
অথবা দেরিও করত না।
কিন্তু এখন আমার প্রায়ই মনে হয় রাত্র যেন
আমার নিঃশ্বাস কেড়ে নেবে….
সাদা আর লাল গোলাপের কথা
বেগুনি আর হলুদ লিলি কাপ ফুলগুলো
আলা কেমন ঝলমল করে সবই মনে পড়ে।

ঐ যে লাইলাকের উপর রবিনের বাসা, যেখানে
আমার ভাই গুচ্ছ গুচ্ছ ফুলে সাজিয়েছিলো
সেই গাছ আজও বেঁচে আছে।
আমার মনে আছে যেখানে আমি দোলনায় দুলতাম
সেখানে ফার গাছেরা ঘন আর লম্বা আর তারা
হাওয়ার দোলায় কেমন দুলত !
আমার মনটা তখন কতই না হালকা ছিল যা
ক্রমশই ভারী লাগে।
গ্রীষ্মে পুকুরের শীতল জল আমার জ্বরতপ্ত কপালকে
আর ঠান্ডা করতে পারে না।
আমার মনে আছে উঁচু উঁচু অন্ধকার ফারগাছ্গলোর
তীক্ষ্ণ মাথাগুলি কেমন আকাশ ছোঁয়া !
এই সব অনুভূতিই ছিল ছোটবেলার অনভিজ্ঞতা।
এখন আমার আর আনন্দ হয় না এই ভেবে যে
এখন আমি আমার শৈশবের স্বর্গ থেকে অনেক দূরে

Thomas Hood
Past and Present

I remember, I remember
The house where I was born,
The little window where the sun
Came peeping in at morn;
He never came a wink too soon
Nor bought too long a day;
But now, I often wish the night
Had borne my breath away.

I remember, I remember
The roses, red and white,
The violets, and the lily-cups–
Those flowers made of light!
The lilacs where the robin built,
And where my brother set
The laburnum on his birthday,–
The tree is living yet!

I remember, I remember
Where I was used to swing,
And through the air must rush as fresh
To swallows on the wing;
My spirit flew in feathers then
That is so heavy now,
And summer pools could hardly cool
The fever on my brow.

I remember, I remember
The fir frees dark and high;
I used to think their slender tops
Were close against the sky:
It was a childish ignorance,
But now ’tis little joy
To know I’m farther off from Heaven
Than when I was a boy.

আদর্শবাদী নেতাজী ও তাঁর কবিতাকেলি

আদর্শবাদী নেতাজী ও তাঁর কবিতাকেলি

#১
নেতাজী মুক্তি চেয়েছিলেন,
দস্যুদের হাত থেকে কবিতার মুক্তি।
অনেক খিস্তি খেউড় করে
কবিতার চোদ্দ গুষ্টি
উদ্ধার করে কাব্যগ্রন্থ লিখেছেন।

#২
নেতাজী রাতে টপটপিয়ে
বছরের পর বছর চোখের জল ফেলেছেন
শোষকের হাতে কবিতার লাঞ্ছনা দেখে।
বর্তমানে তিনি সেই শোষকের হয়ে কবিতা লেখেন।

#৩
নেতাজী রাত জেগে আকাশের তারা দেখেছেন
ফায়ারপ্লেসে চাঁদ দেখেছেন
চাঁদকে ধরতে না পেরে খিল্লি দিয়েছেন
বর্তমানে তিনি একগুচ্ছ রমণীদের সাথে
কবিতাকেলি করেন।

অনুবাদ কবিতা : যদি তুমি আমায় ভুলে যাও

যদি তুমি আমায় ভুলে যাও

তোমাকে একটি কথা আজ বলি …..
যখন আমি ওই ঝলমলে চাঁদের দিকে তাকাই,
বা জানালা দিয়ে শরতের লাল শাখা প্রশাখা দেখি,
অথবা আগুনে পোড়া কাঠগুলো ছুঁই
সব কিছুই শুধু তোমার স্মৃতি মনে করায়।
যে কোন আলো, গন্ধ, ধাতব স্পর্শ যেন
নৌকার মত তোমার দ্বীপে ভাসিয়ে নিয়ে যায়
যেখানে তুমি আমার প্রতীক্ষারত।

কিন্তু ধীরে ধীরে যখন তুমি আর আমায়
ভালোবাসতে চাইছো না,
আমিও তোমায় একটু একটু করে আর
ভুলে যেতে চাই।
তাই হঠাত যদি তুমি আমায় ভুলে যাও
আর আমায় না খোঁজো তুমি জানবে
আমি তোমায় আগেই ভুলে গিয়েছি।

যদি তুমি আমায় সমুদ্রচরে নির্বাসন দাও,
যেখানে আমার মূল আর শাখা প্রশাখা বিস্তারিত,
তবে জেনো সেই মুহুর্তে আমি অন্য কোন
সমুদ্রচরের দিকে যাত্রা করেছি।

কিন্তু যদি প্রতি মুহুর্তে তোমার মনে আমার
মধুর স্মৃতি মনে পড়ে যায়,
যদি প্রতিদিন একটি ফুল তোমার ঠোঁটে
আমায় খুঁজে বেড়ায়,
ওগো প্রিয় আমার জেনে রেখো আমি তোমার
কোন কিছুই ভুলি নি।
আমার ভালোবাসা এখনো তোমার জন্য
অপেক্ষা করে, এখনো তুমি আছ আমার
এই দুই বাহুর মধ্যে চিরদিনের জন্য।

________________________________

মূল : If You Forget Me. (by Pablo Neruda)

পর্ণকুটীর

পর্ণকুটীর

পর্ণকুটীরে আসিয়া দাঁড়ায়েছ
কে বা তুমি পথিক ?
বারেক ফিরায়ে চাও
আজি এ কোজাগরী জ্যোৎস্নাপ্লাবিত রাতে
তোমার পায়ের মৃদুপরশটুকু দিয়ে
আমায় পূর্ণ করো
তোমার সুমনে আমার এই কিঞ্চিৎ হৃদয়ের
ছায়াটুকু এঁকে যাও
দেখো সুনীল আকাশ, আঁধারে প্লাবিত,
পল্লবিত আম্রকানন, হাসিভরা মম
তন্ময় মুখশ্রী, কাজল পেতে রেখেছি দু চোখে
একবার এই সুহাসিনী বদন
তুলিয়া নাও ও মোর বকুল ফুল
আমায় গৌরবান্বিত কর হে প্রভু !

শ্রীতে ভরে উঠুক আমার এ শ্রেয়সী নন্দিত কানন।

অমানিশার অন্তে

অমানিশার অন্তে

অমানিশা কেটে যাক
মানুষের ভোর হোক জাগতিক স্বপ্নে।
কথাহীনতার রেশটুকু ধরে
মেলে দিক ময়ূর পেখম ।
আজ এই নিঃশব্দ ভোরের মিছিলে
প্রান্তর থেকে ভেসে আসুক বিজয় সূচক হাসি।
পৃথিবীর সমস্ত কলুষ নিঃশেষিত হোক
তোমার ওই পদ্মসম করতলে,
আর জবাকুসুম পায়ের পাতায়।

তোমার ওই পবিত্র মুখ থেকে ধ্বনিত হোক
দন্তমঞ্জনী সুরলহরী ও যমুনার কলতান ।
নবজাগরণের রিক্ত প্রান্তরে পুনর্বার ডাকুক মত্ত দাদুরী।

ভারতীয় সুরের প্রতি

ভারতীয় সুরের প্রতি
P. B. Shelley
Lines to an Indian Air

প্রথম রাত্রে এক মধুর স্বপ্নে
তোমায় দেখে জেগে উঠলাম,
মৃদু হাওয়ার ফিসফিসানি আর
তারাগুলো ঝলমল করছে
আরই যেন কেউ আমায় তোমার ঐ
ঘরের জানালার দিকে চোখ নিয়ে গেল।

বাতাসের গতি ধীরে ধীরে মন্দ হতে লাগলো
রাত আরও গভীর অন্ধকার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে
চাঁপার গন্ধ কমতে লাগলো এক মিষ্টি স্বপ্নের মত।

বুলবুলি পাখিটির আওয়াজ আজ মৃত।
ও আমার প্রিয় আমিও তোমার বুকে
তোমারি সাথে মরতে চাই।

কেউ কী আছো ?
আমায় মাটি থেকে টেনে তোলো।
আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে মারা যাচ্ছি।
তোমার ভালোবাসার বৃষ্টির মতো
আমার ঠোঁটে আর বিবর্ণ
চোখের পাতায় ঝরতে দাও।
আমার গাল ঠান্ডা ও সাদা হায় !
আমার হৃৎপিণ্ড দ্রুত শব্দ করছে;
আমায় তোমার বুকে জোরে চেপে ধর
আর তার পরেই আমি চিরতরে বিদায় নেব।

আকাশ কুসুম

আকাশ কুসুম

#১
তারা দিদি কপালে তারা এঁকে দেয়ালা করেন
চিরকালের হাতা খুন্তিকে কান মুলে মাইক্রোওয়েভে ফেলে দেন
আগুন ধরে যায় মেটাল আর ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক
তাঁর নাদা পেট এখানে গাদা না খেলে কবিতার অর্গ্যাজম হয় না
সেই কবে থেকে ভুনা খিচুড়ি বানান, সেটা উগরে আবার খান

#২
ওদিকে কোজাগরী রাতে কান মুলে রাত থেকে দিন কেনা হয়
তার কারণ গবেষণা করলে দেখা যাবে সূর্যদেব সদা জাগ্রত
নিজেরই তেজে আর রোগে গা হাত পা থেকে ছাল উঠে যাচ্ছে
পুরোনো ছবি দিয়ে কাজ চলছে, একই জিনিস যেন চিরতার জল
তবু বলবে না বুদ্ধদেবের বংশধর যে আর পারছি না।

প্রেতাত্মার ঘুঙুর

প্রেতাত্মার ঘুঙুর

আসলে চেয়েছিলাম প্রেতাত্মার বাতাসের মতন
তার ঘুঙুর সর্বত্র বাজুক
সব অলিগলি, চোরাগলি, কানাগলি
শুধু তার নিজের গলি ছাড়া।

আমরা নড়ব না —

আমরা হাইওয়েতে দাঁড়াব,
ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়াব,
কবরের পাশে প্রেমিকার সাথে রতিক্রিয়া করব,
নর্তকীর ঘরে অম্ল-মধুর চেখে যাব,
বিঁড়ির দোকানে জটলা করব,
ফ্যানেদের সাথে মিশরের ফারাও হয়ে ফ্যানে ভাত খাব,
একদম নিজেদের আসন থেকে নড়ব না।

ল্যাপটপ মোবাইল থেকে জনে জনে
শয়ে শয়ে কবিতার তীর ছুড়ে দেব।

শুধু সে আহ্লাদী প্রেতিনী হয়ে, আপন ঘরবাড়ি ভুলে
নর্তকী হয়ে আমাদের চোখের সামনে দিয়ে নেচে নেচে বেড়াবে।