জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব এর সকল পোস্ট

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সম্পর্কে

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার নলছিয়া নামক গ্রামে ১০ ই জুন ২০০১ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তার লেখা গুলো বাস্তব ধর্মীয়। লেখা তার নেশা। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে কবিতা লিখতে। * চরম মুর্খ সেই যে শিক্ষা অর্জন করে নিজের মাতৃভাষা শুদ্ধ ভাবে বলতে পারে না । * আমার কাছে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি থেকে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি শ্রেষ্ঠ।

পলাশী থেকে মুক্তিযুদ্ধ (পর্ব -৬ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ)

আমি সাতই মার্চের গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপানো মুখরিত জ্বালাময়ী সেই বজ্রকন্ঠ বাণীর কথা বলছি,
আমি বাঙালির কলঙ্কজবক অধ্যায় কালো রাত্রির কথা বলছি,
আমি মুজিবের ছাব্বিশে মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণার কথা বলছি,
আমি মুজিব নগর সরকার গঠনের কথা বলছি,
আমি রাজাকার আলবদর আল-শামস বাহিনীর কথা বলছি,
আমি যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী ছাত্র শিক্ষক কৃষক শ্রমিক নারী কবি শিল্পীর কথা বলছি,
খাদ্য, বস্ত্র আশ্রয়, চিকিৎসা,অস্ত্র আর প্রশিক্ষণ দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করেছে আমি সেই দেশের কথা বলছি।

পলাশী থেকে মুক্তিযুদ্ধ (পর্ব -৫ বাঙালির আন্দোলন)

আমি ভারত পাক যুদ্ধের কথা বলছি,
আমি বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফার কথা বলছি,
আমি সেই আগরতলার মিথ্যা মামলার কথা বলছি,
আমি আসাদ জহুরুল আর শামসুজ্জোহার হত্যার কথা বলছি,
আমি আরও স্বচ্ছ করে বলি,
আমি ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের কথা বলছি,
আমি সত্তরের প্রহসন মূলক নির্বাচনের কথা বলছি।

পলাশী থেকে মুক্তিযুদ্ধ (পর্ব-৩ দেশবিভাগ)

আমি শেরে বাংলার লাহোরে প্রস্তাবের কথা বলছি,
আমি জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের কথা বলছি,
আমি নেতাজী সুভাসচন্দ্র বোসের অসাধারণ নেতৃত্বের কথা বলছি,
আমি ভারত আন্দোলনের কথা বলছি,
আমি চৌদ্দ আর পনের আগস্টের ইতিহাসের কথা বলছি,

পলাশী থেকে মুক্তিযুদ্ধ ( ইংরেজ শাসনামল ও আন্দোলন)

আমি কৃতঘ্ন মোহাম্মদী বেগের কথা বলছি,
আমি মসনদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বিশ্বাস ঘাতক মীর জাফরের কথা বলছি,
আমি বক্সারের যুদ্ধের কথা বলছি,
আমি দ্বৈত শাসন আর ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কথা বলছি,
আমি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত আর সুবিধা ভোগীদের কথা বলছি,
আমি ফকির সন্নাসী আন্দোলনের কথা বলছি,
আমি তিতুমীরের সংগ্রাম আর বাঁশে কেল্লার কথা বলছি,
আমি নীল চাষীদের নির্যাতন আর নীল বিদ্রোহের কথা বলছি,
আমি ফরায়েজি আন্দোলন আর নবজাগরণের কথা বলছি,
আমি সিপাহি মঙ্গল পান্ডের কথা বলছি,
আমি বঙ্গভঙ্গ আর বঙ্গভঙ্গ রদের কথা আলছি,
আমি স্বদেশী আন্দোলনের কথা বলছি,
আমি খিলাফত আর অসহযোগ আনদোলনের কথা বলছি,
আমি ক্ষুদিরাম, মাস্টারদা, প্রীতিলতার কথা বলছি।

পলাশী থেকে মুক্তিযুদ্ধ – (সূচনা পর্ব -১)

আমি আলিবর্দি খাঁর বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার কথা বলছি,
আমি রত্নগর্ভা মা আমেনার কথা বলছি,
আমি আরও স্বচ্ছ করে বলি,
আমি বাংলার শেষ নবাব সিরাজুদ্দৌলার কথা বলছি,
আমি প্রাসাদ ষড়যন্ত্র ও গোপন বৈঠকের কথা বলছি,
আমি ক্ষমতালোভী পরশ্রীকাতর ঘষেটি বেগমের কথা বলছি,
আমি আলিনগর সন্ধি কথা বলছি,
আমি উমিচাঁদ আর মিরনের কথা বলছি,
আমি প্রধান সেনাপতির শপথের কথা বলছি,
আমি ক্লাইভের চরণ লেহ্য কুত্তা মীর জাফরের কথা বলছি,
আমি সেই হলওয়েলের অন্ধকূপ হত্যার কথা বলছি,
আমি মীর মর্দন আর মোহনলালের কৃতজ্ঞতা কথা বলছি,
আমি বির্তকিত লবণ আর ইংরেজদের শোষণের কথা বলছি,
আমি নবাবের প্রধান গুপ্তচর নারায়ণ সিংহের কথা বলছি,
আমি পলাশীর আম্রকাননের নাটকীয় কাহিনির কথা বলছি।

জীবন যদি হতো

জীবন যদি হতো নজরুল রবীন্দ্রনাথ জীবনানন্দের
কবিতার পঙক্তির মতো সুন্দর,
বাস্তবতা যদি হতো রুপকথার কাহিনির মতো
যেখানে আছে শুধু শান্তি আর সুখ,
নেই কোনো অশান্তির ছোঁয়া।

সৌন্দর্য যদি হতো রংধনুর সপ্ত রঙের মতো
যা জীবনকে রাঙিয়ে দেবে বর্ণিল রঙে।
জীবন যেন না হয় বসন্তের পাতা বিহীন বিটপীর মতো
যেখানে শুধু বিরহের অনলে জ্বলে বিটপী।

রচনাকালঃ
২৮/০২/২০২১

যাযাবর জীবন

হে বিধাতা আর কত ভেসে বেড়াব
ঐ মেঘের ভেলার মতো।
ভালো লাগে না আর এই ভাবে ভাসতে
কবে হবে আমাদের মতো যাযাবরের স্থায়
জানি না,
সুখের জন্য শুধুই কি বিপ্লব করতে হবে
নাকি ললাটে নেই কোনো সুখ
নাকি আছে শুধুই দুঃখ।

এই যাযাবরের ললাট রাজ্যে জাগরিত
হয়নি কভু সুখের উল্লাস।
জন্ম জন্মান্তর শুধু ভোগ করতে হয় দুঃখ,
এটই কি বিধাতা আমার জন্য তোমার বিধান,
তুমি যদি চাও বিধাতা আমি আজন্ম সুখহীন থাকব,
কভু ভুলেও কোনদিন চাইব না সুখ।

রচনাকালঃ
১৫/০৩/২০২১

অপেক্ষা

অশ্রুসিক্ত দুই নয়নে
বসে স্রোতস্বিনীর ধারে,
আনমনা কবি হয়ে খুঁজি প্রিয় জনে,
আসবে তবে বলেছিলে
ফোনের এসএমএসে,
সে তো এলে না, কেন?

তোমার অপেক্ষায় বসে বসে
তোমার স্কেচ মাটিতে একেঁ,
তরুলতার পাতার রং বেরংয়ের
কালার করে,
করছি তোমায় মনে।
পর দিবসে চেয়ে দেখি,
এসেছে জোয়ার ভাটার টানে।
স্রোতস্বিনীর মোহনায় পরিস্কার হয়
আছে যত ময়লা আবর্জনা,
তুমি আমার জীবনের অনন্য অর্জন,
এসো না ওগো প্রিয় সোনা।

অপেক্ষায়, অপেক্ষায় দিন ফুরাল
এবার যাবার পালা,
তুমি আমারে গেছে ভুলে
মনের দিয়েছে তালা

রচনাকালঃ
১১/১১/২০১৯

নারী

হে নারী,
অদ্য আর তোমাদের ঘরে বসে বসে
শুধু সন্তান লালনের দিন নয়,
পুরুষশাসিত সমাজে পুরুষের সাথে
কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার দিন।

হে নারী,
সেই যুগে পুরুষকে যেমন ইন্ধন যোগায়েছ
অদ্যও তোমার ইন্ধন দেয়া প্রয়োজন।
তোমার ইন্ধন বিহীন পুরুষের কাজ অসমাপ্ত।

হে নারী,
এই ধরার যত বড় জয় অভিযান
তোমাদের কারণে পুরুষ হয়েছে মহীয়ন,
তোমারে বিহীন পুরুষের নহে কাম্য পৃথিবী।

হে নারী,
তোমার আয়তলোচন শুভদৃষ্টি ভঙ্গিই
একমাত্র পাল্টে দিতে সমাজের চিরায়ত প্রথাকে।
তোমার হাতের স্পর্শে শস্য শ্যামল প্রকৃতি
আরও নির্মূলতা ফিরে পায়।

রচনাকালঃ
১০/০৩/২০২১

তুমি ছিলে বলে মুজিব

bang

হে ক্ষণজন্মা সিংহ পুরুষ মুজিব
তুমি বাংলায় জন্মে ছিলে বলে
বাংলার মানুষ পেয়েছে স্বাধীনতা,
পেয়েছে ফিরে সমগ্র অধিকার স্বাধীকার।
তুমি ছিলে বলে বাঙালি পৃথিবীর বুকে
পরিচয় দিতে পারছে স্বাধীন জাতি হিসেবে।
তুমি কভু আপস করো নি অন্যায় অবিচারের কাছে
মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে থেকেছ বাঙালির জন্য
পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বুলেটের কাছে,
তোমার অবদান কভু ভুলবার নয়,
তাই তো তোমারে মুজিব
বাঙালি জাতির পিতা কয়।

রচনাকালঃ
১৭/০৩/২০২১

প্রতীক্ষিত প্রহর

হয়তো বা কোনো এক স্নিগ্ধ ভোরে
ঐ জামরুল গাছের মগ ডালে পাখি বসে গাইবে,
শিশিরে ভেজা ধানক্ষেতের পাশে ফিঙে
তার মনের অভিলাষে নেচে যাবে।
চারদিকে বাসন্তী ফুলের সৌরভ ছড়বে
তরুলতার নব সাজে সজ্জিত হবে চারিদিক।
ঐ পথের ধারে থাকা বুভুক্ষা মাছরাঙাটি
অধীর আগ্রহে খাদ্যের প্রতীক্ষায় থাকবে।
মাছরাঙাটির প্রতীক্ষার প্রহর শেষ হবে কি হবে না
তা জানে ঐ রিজিকদাতা।
শীতের আগমনে ঝরে পড়বে তরুলতার পাতা,
প্রতীক্ষিত পথিকের পদদলিত হয়ে মর্মর ধ্বণি উঠবে
তারপর প্রকৃতি আবার ফিরে পাবে নিজস্ব স্বকীয়তা।
হয় তো বা কোনো এক গ্রীষ্মের দুপুরে
মাঠ ঘাট খাঁ খাঁ করবে
সেই দিন পথিক থাকবে বৃষ্টির প্রতীক্ষায়।
হয়তো বা কোনো এক শরৎ মেঘের ভেলা
পথিকের মন ছুয়ে যাবে,
তবুও শেষ হবে না পথিকের সেই প্রতীক্ষার প্রহর।

রচনাকালঃ
১০/০৩/২০২১

অপূর্ণ জীবনের প্রহর গুলো

আমি তোমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছিলাম
তা আমাকে ফিরিয়ে দাও।
তুমি আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল
সুখে দুঃখে থাকবে পাশে পাশে
ছলনা করে ছেড়ে গেলে তুমি
বিরহ অনলে পুড়ছি আমি
আমাকে ফিরিয়ে দাও,
আমার ভালোবাসা।

যে ভালোবাসা ছিল আমার হৃদয়ে সুপ্ত
তা কেন করলে জাগ্রত,
ভালোবাসার জন্য ছোট্ট নীড়ে পাখিরা ঘুমায়
ভালোবেসে কবি লেখেন কত শত কবিতা
ভালোবেসে শিল্প আঁকেন কত শত ছবি
ছলনার তরে নয়।
ফিরিয়ে দাও –
আমাকে ফিরিয়ে দাও
আমার সেই প্রথম ভালোবাসা।

দেবদাস হয়ে আমি ঘুরি বনে জঙ্গলে
খাঁ,খাঁ করে আমার গৃহস্থালি
আমার জন্য কাঁদে আমার জনম দুঃখিনী মা
আমাকে ফিরিয়ে দাও,
আমাকে ফিরিয়ে দাও,
আমার ভালোবাসা।

এখন কর কেন ঘৃণা অহংকার
বার বার বলছিলাম বাসব ভালো আজীবন তোমারে
বুঝল না তো
ছলনা করে চলে গেলে
ফিরিয়ে দাও,
আমাকে ফিরিয়ে দাও,
আমার দেওয়া সেই নিখুঁত ভালোবাসা।

আমার ভালোবাসায় ছিলো না কো অভিমান
তুমি শুধু করছে আমায় অপমান,
ফিরিয়ে দাও,
ফিরিয়ে দাও, আমার সেই পবিত্র ভালোবাসা।

যার জন্য আমার জীবন এখন নরকময়
তুমি তো তাই চেয়েছিলো
তাই না –
ফিরিয়ে দাও
আমাকে ফিরিয়ে দাও
আমাকে দেওয়া সেই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা।

আমার জীবনের অর্পণ প্রহর গুলো কাটবে কেমন করে
তোমায় ছাড়া আমার জীবন চলবে কেমন করে
দুখ আমার নিত্য সাথী
শুধু তোমার জন্য
ফিরিয়ে দাও,
ফিরিয়ে দাও আমার সেই নির্লোভ ভালোবাসা।

দিবসে নিশিতে তোমার স্মৃতি আমাকে কাঁদায়
নিশ্চুপ থাকতে দেয় না
ফিরিয়ে দাও
আমাকে ফিরিয়ে দাও
আমার সেই আনন্দঘন মহূর্ত গুলো ।

বলছিলে তুমি আমি তোমার জীবন মরণ
আমিই তোমার সব-
স্বার্থের জন্য ভুলে গেলে তুমি দেওয়া সেই কথা
সারা জীবন রইল আমার তোমার দেওয়া ব্যথা।
আমাকে ফিরিয়ে দাও,
ফিরিয়ে দাও
আমার মনে শান্তি
পারবে না তো।

অর্পূণ আমার জীবন পূর্ণ থেকো তুমি
মরণ হলে দেখে যেও আমরা মুখ তুমি
এই মোর এই ধরার শেষ চাওয়া-
চাইবো না আর কিছু
তুমি চিরকাল সুখে থেকো ,
সুখে থাকাে, সুখে থেকো।

——–++
রচনাকালঃ
২১-১২-২০১৯

উৎসর্গঃ
(ছলনাকারীকে)

তোমায় ভালোবাসি

ও গো প্রেয়সী,
শুধু তোমায় ভালোবাসি বলে,
অপেক্ষায় কাটিয়ে দিচ্ছি অজস্র প্রহর।
কোনো ভাবে আমি ভুলতে পারি না,
তোমার স্মৃতি বিস্মৃতি গুলো,
কেন, তুমি কি জানো?
তোমার তো জানার প্রয়োজন নেই
শুধু আমার প্রয়োজন,
কারণ আমি তোমায় ভালোবাসি
ভালোবাসি বলে শুধুই তার জন্য।

ওগো প্রেয়সী,
তোমার সাথে কাটানো প্রহর গুলো
আমায় নিশ্চুপ থাকতে দেয় না,
নিরবে নিভৃতে আমায় কাঁদায়
আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের প্রহর ছিলো
তোমার সাথে কাটানো প্রহর গুলো।
তোমার কোমল হাতের স্পর্শ
আমাকে দেখতো অভিনব স্বপ্ন,
হঠাৎ তোমার অনুপস্থিতি আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে
দিয়েছে এনে একাকিত্ব,
তুমি তো ছিলো আমার স্বপ্ন
স্বপ্ন বিহীন জীবন সে তো মৃত বস্তুর মতো স্তব্ধ।
তবুও তোমার আশা পথ চেয়ে আছি
কবে আসবে তুমি ওগো প্রেয়সী,
কবে আসবে?
আমি আজ তোমার কাছে ডায়েরির ছেঁড়া পাতা
যার নেই কোনো প্রয়োজন
তুমি আমায় ভালোবাসো কি বাস না
আমি তা জানি না
আমি শুধু তোমায় ভালোবাসি
সত্যি আমি ভালোবাসি তোমায়, ওগো প্রেয়সী
অপেক্ষায় আমি কাটাবো অজস্র প্রহর,
শুধু তোমায় ভালোবেসে।

ওগো প্রেয়সী,
তোমার ডাকে আমি পাড়ি দিতে পারবো
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মতো দামোদর সমতুল নদী,
সকল বাঁধা বিপত্তি অনায়াসে কাটিয়ে আসব
তোমার কাছে,
শুধু তোমায় ভালোবেসে
শুধু তোমায় ভালোবেসে,
ওগো প্রেয়সী।

রচনাকালঃ
০৩/০১/২০২১

মুক্তির চেতনা

বল না, মা, বল আর কত দিন,
আমরা সহ্য করব পাকিস্তানীদের,
শাসন নামক পাশবিক পৈশাচিক নির্যাতন ।
বল না,মা বল –
আর কত দিন আমাদের বাক স্বাধীনতা হরিত থাকবে,
আমরা কি কোনো কাজে কোনোদিন মতামত দিতে পারি না।
বল মা, বল –
এভাবে কি জীবন চলতে পারে,
পারে না মা, পারে না,
জীবন তো এভাবে চলতে পারে না।
মাগো, জীবন মানে স্বাধীনতা
স্বাধীনতা মানেই তো মা জীবন,
জীবন তো কখনো বর্বরতা মেনে নেয় না।
মাগো,আমাদের দেশে এসে,
ওরা কেন আমাদের অস্তিত্ব বিলীন করতে চাই।
মাগো,ওরা তো ভিনদেশী
কেন ওরা আমাদের সংস্কৃতি ধ্বংস করতে চাই,
কেন ওরা ওদের নিজস্ব সংস্কৃতি,
আমাদের দেশে প্রতিষ্ঠা করতে চাই,
কেন, মাগো কেন?
কেন,মাগো ওরা এমন করে আমাদের তরে ,
ওরে খোকা শোন,
শুধু বাংলায় স্বাধীনতা নেই বলে
সমগ্র বাংলা গ্রাস করেছে পাকিস্তানীরা,
তাহলে মাগো আমরা এ অবস্থা থেকে মুক্তি চাই ,
মুক্তি ।

বল না,মা, বল –
কেন ওরা আমার ভাইকে মারছে,
কেন ওরা আমাদের উপর করে এত অত্যাচার নির্যাতন।
ওরে খোকা, বাংলার স্বাধীনতা নেই তাই,
পাকিস্তানীরা বাংলাকে করছে তোলপাড়,
তাহলে মাগো কবে আসবে স্বাধীনতা
কবে আসবে,
বল না, মা, বল-
আর কত দিন থাকব স্বাধীনতা বিহীন,
কীভাবে আসবে স্বাধীনতা বল না মা, বল-
ওরে খোকা শোন,
মুক্তির জন্য যুদ্ধ করতে হবে, যুদ্ধ?
মুক্তি জন্য যুদ্ধ,
মাগো, যুদ্ধ কী? বল না –
শোন রে খোকা শোন,
যুদ্ধ মানে,পাকিস্তানীদের অন্যায় অবিচার নির্যাতন
আর নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে
নিজের অধিকার আদায়ের পন্থা।
সকলে ঐক্য বদ্ধ হয়ে,
পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হবে,
পাকিস্তানি শত্রুদেরকে প্রতিহত করতে পারলে
দেশ মুক্ত হবে,
তাতে স্বাধীনতা আসবে,
তাতে আসবে মুক্তি।

রচনাকালঃ
০৩/০২/২০২১

প্রতীক্ষিত মা

ফুলে ফুলে ভরে গেছে ঐ পথের ধারের
পলাশ আর কৃষ্ণচূড়া গাছটা,
সেই কবে থেকে কোকিল গাইছে প্রাণ খুলে
ঐ জানালার পাশের স্রোতস্বিনীর ধারে গাছটায়।

কথা ছিলে এই বসন্তে খোকা তুই আসবি
ওহে খোকা আজ বসন্ত প্রায় শেষ,
তুই কেন আসছিস না কেন?
এই মা তো তোর প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছে
দিবানিশি সতত,
খোকা তুই কবে আসবি বাবা
কবে আসবি,
আমি তো তোর জন্য বাসন্তী ফুলের স্তবক রেখেছি
কণ্টকাকীর্ণ গাছের সৌরভের ফুলে তৈরি।

খোকা সেই দিন নাকি রাজপথে ফুটপাতে হাজারো
ছাত্র জনতার উপর পাকিস্তানিরা মেশিনগান চালিয়েছে,
খোকা তুই কি সেখানে গিয়েছিলি বাংলা ভাষার জন্য
পাকিস্তানিরা তো বাংলার উর্দু ভাষার চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল,
তা তো হাজারো ছাত্র জনতা সংগ্রাম করেছে।
খোকা তুই কবে আসবি বাবা,
কবে আসবি,
তুই মোর নাড়ি ছেঁড়া একমাত্র ধন,
খোকা তোর প্রতীক্ষায় আজ এই জনম দুঃখনী মা,
কবে আসবি তুই খোকা
কবে আসবি ।

রচনাকালঃ
৩১/০১/২০২১