জসীম উদ্দীন মুহম্মদ এর সকল পোস্ট

কিছু কিছু শব্দ সবার

প্রতিটি জংশনেই জং ধরেছে…জবর-জবর
যদিও আজকাল আর কেউ রাখে না খবর
তবুও আমি চাই কিছু কিছু শব্দাবলী সবার হোক
সবার কাঁধে কাঁধে একাধিক উত্তরীয় থাকুক!

এই যেমন জন্ম, মৃত্যু, ভালোবাসা..
এই যেমন স্বপ্ন দেখার একমাত্র আশা… এরা!

দেখছ না… ক্রমাগত নেমে আসছে লোনাজল
দু’চোখের সুড়ঙ্গ অথৈ অথৈ; তবুও…
পিশাচের মতোন হৈ হুল্লোড়.. হাসছে কেউ কেউ!

বন আর বনেদি ওরাও এখন নেহায়েত বাজার
যখন যার হাতে যায়.. সেই করে দেয় উজাড়!
তবুও আমি আশা আর ভালোবাসার জলকণা
এ বিশ্বচরাচর…..
কেউ কেবল যতই রাখুক নিজের খবর; তাকেও
খুঁজছে… জ্বলন্ত চিতা অথবা নতুন কবর…!!

ডাকাত

অনেকদিন ধরেই ঘাড়ধরা শব্দে কবিতা লিখি..
গাছ থেকে বেলের বদলে তাল পড়লে যেমন
হাঁচি আর কাশি একসাথে বেরোতে চাইলে যেমন
আমার কবিতার বেখাপ্পা শব্দেরাও তেমন..!!

তবুও কবিতা লিখি.. লেজ আর গোবর মাখামাখি
আমি ঋণগ্রস্ত অকবি..বয়ে বেড়াই শব্দের দায়,
এভাবেই বেড়ে চলছে অপরিশোধিত লেনদেন
যে কেউ ইচ্ছা হলেই স্বত্তাধিকার কিনে নিতে পারেন!

তবুও থেমে নেই বাক্যের মুখাগ্নি, উপমার ঘরামি
জমা-জমির মতোন নামখারিজ করে দিতে আমিও
সজ্ঞানে, স্বেচ্ছায় রাজি!!
কেউ হয়ত রসিকতা করে বলবেন আমি আসলে
একজন পাজি… আচ্ছা সে না হয় মেনে নিলাম
বলুন তো দেখি.. যে ডাকাত ঘাড়ধরা শব্দে কবিতা
লিখে… সে কীভাবে হয় কবি..?
সেতো বড়জোর হতে পারে প্রলুব্ধ ছায়ার ছবি!!

মন খারাপের নদী…

মন খারাপের নদীটার কোনো সীমান্ত প্রাচীর নেই
কোনো গ্রীষ্ম, বরষা, শরত, শীত কিংবা বসন্ত নেই
কেবলমাত্র কিছু মাংশ গলানো হাড়গোড় আছে!

অথচ অনেক মৃতমানুষও হাজার বছর বেঁচে থাকে
অনেক খাবারের স্বাধীন স্বাদ জিহবায় লেগে থাকে
আজীবন, আর কিনা কিছু কিছু জীবন্ত মানুষ মৃত মানুষের মতোন..!!

অথচ ওরাও পিঁপড়ে মানুষের মতো দিব্যি হাঁটে,
খায়-দায়, ঘুমায়, জমিয়ে আড্ডা দেয় চায়ের স্টল,
অথচ কেউ জানে না..জানতেও চায় না.. কেবল
ওরা নেহায়েত বেঁচে থাকার নামে ছল করে.. ছল!

গিটার

মাঝেমধ্যে খুউব খুউব ইচ্ছে হয় সুতো ছিঁড়ি…
ছিঁড়তে ছিঁড়তে ওলটপালট করে দিই কালের নদী
বাদ-প্রতিবাদ-বিসংবাদ ওরা ফিরে আসে যদি!

তাহলে আমিও হতে পারি কার-হীন কালো অক্ষর
চোখের কাজলে মেখে নিতে পারি কাবিননামার
কাঁপা কাঁপা স্বাক্ষর! দেখছো না…যুগের পর
যুগ জিয়ে আছে কাবিলের কাব্যিক উত্তরাধিকার;
ছেঁড়াসুতোর গিঁটে গিঁটে কেমন হাসছে অটে গিটার!

তবুও কিছু কিছু পাঠক জনান্তিকে হবেই আটক
সুলভে কিনে নেবে দুর্মূল্যের বাজার, আমিও বোধ
ছাঁকতে শিখে গেছি হাজারে হাজার!

মধ্যবর্তী

চলুক.. চলতে থাকুক জানু আর নতজানু নীতি
চলুক…নোঙর করা পাল তোলা জাহাজ প্রীতি
বাজারে বাজতে থাকুক..কোকিলের কণ্ঠে শেখানো
যতোসব বাউলা গীতি!

আমরা আম আদমি আছি পোশাক পড়া কবুতর
পোষা সাধ আর সাধ্যের গ্যাড়াকলে বাড়ন্ত ইতর!

তবুও মন্দের ভালো.. অভিধান দিয়েছে শাপে বর
রাত্রিকালীন যে আপনার চেয়েও আপন…
রাত্রি পোহালেই সে-ই হয় পরের উপর পর!

তবুও দর-দাম করি না ছা-পোষা মধ্যবিত্ত জীবন
আজ চাষা ভুষা আছি
না হয় চাষা ভুষাই থাকবো আজীবন…!!

খোঁজা

পুরুষ যেমন দেখেছি, তেমনি কাপুরুষও দেখেছি
আলো আর আঁধারের অগ্রভাগ…
সময়ে কেউ দায় নেয় না.. নেয় না গুটিবসন্তের দাগ!

তবুও আমরা কাউকে নারী বলি
তবুও আমরা কাউকে পুরুষ বলি
হিমাংকের নিচে এ কেবল একটি মাত্র জন্মদাগ!

অথচ আমি সারসংক্ষেপ বলতে কেবল নিজেকেই বুঝি
আমার চোখে বারংবার কেবল আমাকেই খুঁজি…
এভাবেই চলছে অন্ধকারে অন্ধকার খোঁজাখুঁজি!!

পাখির জোড়া ঠোঁট

খুটখাট করে করে ঠোকরে খায় পাখির ঠোঁট
কখনও খায় একলা আবার কখনও হয় জোট
তাবত পৃথিবীর সবাই জানে… ওরা কী খায়
আর কী ফেলে যায়…!

ওরা খায় নতুন-পুরাতন সব দাগ, সুসময়ের
অগ্রভাগ; তবুও সূঁচালো কাল ওদের হিসাব
কষে সকাল-বিকাল, একদিন বিলুপ্ত হয়
পৈশাচিক ধ্বনি.. আজকে যার বৃহস্পতিবার
আগামীকালই হতে পারে তার শনি!

তবুও আমরা খুব কমই মনে রাখি অর্জুনের
ছাল, হাঁটিহাঁটি পা পা করে বাড়-বাড়ন্ত দেখি
করোনাকাল..আবারও আসছে মহিয়সী শীত
পাখির জোড়া ঠোঁট আবারও গাইবে…
লকলকে জিবের.. আসন্ন বসন্তের আগমনী
সংগীত!!

আজকের কবিতাঃ ঘুমন্ত আশুরা

রোদ চাই রোদ চাই

অনেকদিন বুকফাটা আগুনে রোদ দেখতে পাই না..
দেখতে পাই না বোধ, সুবোধ, প্রবোধ
আমি চাই কিছু উড়নচণ্ডী রোদ উড়ুক.. জ্বলে-পুড়ে
খাক করে দিয়ে যাক দুরাচার এজিদের প্রতিরোধ!

আর মর্সিয়া চাই না, আর চাই না দুঃখ-শোক
যেখানেই অবিচার সেখানেই হোক প্রতিরোধ, প্রতিশোধ
শেকল ভাঙার উঠুক রোদ… উঠুক বুকফাটা রোদ!

এখনও দেখি এজিদের হরিহর আত্মাদের আনাগোনা
এখনও তাগুতের পায়ে দলিত হয় লাখো স্বপ্নবোনা
আর চাই না সান্ত্বনা, আর চাই না প্রবাসী প্রবোধ
জালিমের বেড়াজাল ভেঙে দিতে রোদ চাই রোদ!

আর কোনো আহাজারি হবে না, ছেড়ে দেওয়া হবে
না নির্বিবাদ; মুষ্টিবদ্ধ হাত জেগে উঠুক….মানবতার
দুশমনদের বিরুদ্ধে চলুক দুর্বার, দুর্নিবার প্রতিরোধ!!

আনন্দলোক

কিছু কিছু আনন্দ লুকানোর জায়গা থাকে না
যেখানেই রাখি পাথর, পাহাড়, নদী, সমুদ্র, আকাশ
কেবল ভরা কলসির মতো উপচে উপচে পড়ে
উপচে পড়ে সে অনন্ত আনন্দলোকের বহিঃপ্রকাশ!!

আসলে সবকিছু এতো ছোটো.. জলাধারের কথা
বলি অথবা মধ্যরাতের একাকি আকাশের কথাই
বলি..অসামান্য আনন্দলোকের কাছে তারা কতোই
না ছোটো!

জাগরণে হোক অথবা স্বপ্নেই হোক অতুলনীয় সে
রুপের খনি, মুহুর্মুহু হৃদয়ে বাজে সেই কলধ্বনি;
নিমিষ মাত্র দূর হয়ে যায় সকল চাপ,পাপ ও তাপ
দু’চোখ জুড়ে কেবল জ্যোতির উপর জ্যোতি ;
মিটিয়ে দিলো ঝঞ্জা বিক্ষুব্ধ হৃদয়ের সকল পরিতাপ, সন্তাপ!!

বিশ্বব্রহ্মাণ্ড জুড়ে কেবলই ঘুরে অনন্ত সে আলোক
ধাম, কোন নামে ডাকি তারে. যে বসত করে আমারই
ঘরে; মিশে আছে প্রাণের ‘পরে..অনন্ত আলোক;
আমি তাঁর নাম দিয়েছি আনন্দলোক.. আনন্দলোক!!

আইবুড়ো নক্ষত্র এবং সাঁওতালি মেঘ

আজ ঘুমের ঘোরে ঘোড়ায় সওয়ার হয়েছিলাম…
এই আজব পৃথিবীর মতো সেখানেও আমি একা
তবে আশেপাশে ঢাকাই রাজপথের মতো বেশ কিছু ছায়াপথ ছিলো
ছিলো অপ্সরীর মতোন অজস্র নক্ষত্র বীথিকা!

দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণ ঘুমিয়েও ছিলাম
জানি না কেউ জেগে ছিলো কিনা অতল শব্দপুরি,
প্রহরের পর প্রহর উচ্ছন্নে গেলো… তখনও আমি
একা; দূর দিগন্তে কেবল কিছু আইবুড়ো নক্ষত্র…
সাঁওতালি মেঘে ঢাকা!

শুনেছি ওরাও কবিতা ভালোবাসা প্রেমিক যুগল
কাঁধে ঝুলানো চটের ব্যাগ, ব্যাগের ভেতর সাত রাজার
ধন; মোটে একটি কবিতার পুরোনো খাতা.
আমি দিয়াশলাই এর কাঠির মতো এক চিমটি আলো,
ফুঁ দিতে না দিতেই নিভে যাওয়ার জীবন পাতা…
ভেবেছিলাম ঘুম ভাঙতেই হয়ত পেয়ে যাবো তোমার
দেখা; কে জানতো? আজ হোক, আগামীকাল হোক
অথবা তারপরের দিন হোক মানুষ কেবলই একা!!

সবকিছু শাপে বর হোক

জুয়ারি আর খোয়ারি সবকিছু নিয়েই পুতুল খেলে
সে পুরুষ হোক অথবা হোক নারী
পেশা অথবা নেশা যাই বলি না কেন সম্পত্তি নিয়েই
ওদের যত কাড়াকাড়ি; আমি চাই..
প্রবৃদ্ধির সাথে প্রশস্ত বোধের দালান তৈরি হউক,
দিনান্তে সবার জন্য সবকিছু শাপে বর হউক…!!

কেউ কেউ ডিমে তা দেওয়ার মতো সম্পত্তিতেও
তা দেয়; ফকির, মিসকিন প্রার্থী হলে মুরগির মতো
খকখক করে..পৃথিবীর সবকিছু যেন কেবলই তার
একার; যা কিছু আছে ভোগ করার, যা কিছু আছে
দেখার.. এসব কিছুই যেন কেবলই তার একার..
আমি চাই সর্বাগ্রে সার্বজনীন হউক সকল অধিকার!

এই রাত যতই প্রলম্বিত হোক, একদিন তারও
আছে অবশেষ; অন্ধকার যতই ঘনায়মান হোক না কেন,
তাতে একদিন না একদিন ঘটবেই দিনের প্রবেশ;
হোঁচট খেয়েছ–তাতে কী?
হতে পারে এতেই তোমার কল্যাণ ঘুমিয়ে আছে..
সাহস সঞ্চয় করে বীরদর্পে উঠে দাঁড়ানো হউক
আমি কেবল চাই…
দিন শেষে সবকিছু সবার জন্য শাপে বর হউক. হউক!

ছোট্ট মেয়েটির আকাশ গাল

একদিন ছোট্ট মেয়ে কবিতার আকাশ গালের প্রেমে পড়েছিলাম…
যেন-তেন প্রেম নয়; বলাই বাহুল্য ইউসুফ-জুলেখা, লাইলী-মজনু, শিরি-ফরহাদ, রজকিনী-চন্ডীদাসের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়; তবুও এই টুনটুনি মনের প্রদীপ
নিভেনি এতোটুকু ভয় কিংবা কিঞ্চিৎ সংশয়..!!

অথচ আজ আর সেইদিন নেই… নেই উত্তাল সমুদ্রের
ঝড়; শব্দ, বাক্য, ভাব ওরাও দিনকে দিন আমাকে
করছে পর!!
তবুও লক্ষ আর দূর্ভিক্ষ এখনও সাঁঝেরবাতি….
কেবল সাহস করে বলতে পারিনা ফিরে এসো সেঁজুতি!

আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম…
সত্য গিয়েছে
ত্রেতা গিয়েছে
দাপর গিয়েছে… এখন কলির কাল
আচানক কী.. তেলই চাটবে চকচকে সুখের গাল!!

তথাপি থেমে নেই লৌকিক অথবা অলৌকিক কাজ..
থেমে নেই অলীক স্বপ্নের মতোন মাংশল কুচকাওয়াজ
অথবা যে ঘরের কোণে থেকে সমস্ত সদর্থক আকাশ দেখে সেই কুনোব্যাঙের ফাল; তার মতো…
আমিও ভেসে অথবা ফেঁসে জাবর কাটছি শুন্যগাল; যদিও এই রেসে আমি বড়জোর একজন পরাজিত সৈনিক.. তবুও সেই ছোট্ট মেয়েটির এক আকাশ প্রেম
আমাকে রাঙিয়ে দিয়ে যায় দৈনিক..!!

চলো…কিছু দুঃখ আমদানি করি

আজকাল তো কতোকিছুই আমদানি হয় অ্যাসল্ট-
ব্যাসল্ট; ..চলো আমরাও কিছু দুঃখ আমদানি করি!
স্নেক আইসল্যান্ড থেকে হোক অথবা অকালে সন্তানহারা মায়ের
ছিন্নভিন্ন বুকের গভীর থেকেই হোক চলো..
একটা সুউচ্চ দুঃখের প্রাসাদ গড়ি
চলো.. চলো.. কিছু দুঃখ আমদানি করি!

ভেবো না, মেধা, শ্রম, অর্থ এসব জলে যাবে; যদি
যায় তাও ভালো…বিষে যেমন করে বিষ ক্ষয় হয়
তেমনি আমরাও করবো দুঃখ দিয়েই দুঃখ বিজয়…!
অতঃপর একদিন ফিরিয়ে দেবো নিরীহ জীবনের
নির্বিবাদ অধিকার, রেখে যাবো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের
জন্য বাঁচার উত্তরাধিকার!

এরচেয়ে বেশি আর কিছু বলতে পারছিনে, দেখছো
না, চারদিকে কেমন বৈরি বাতাস, আতসি কাঁচ,
কুয়াশাঘেরা আকাশ, ঘাটে ঘাটে নাটের মরা;
আজকাল বড়বেশি ভয় পাই পানপড়া, চুনপড়া.
এরচয়ে বরং চলো সচেতনে কিছু দুঃখ আমদানি করি
বুর্জ আল খলিফার মতো সুউচ্চ একটা দুঃখের পাহাড় গড়ি..!!

অবশেষে…

অবশেষে..
কিছু কিছু বোধ নিয়তির কাছে নিয়ত জমা দিলাম
আর কিছু উপযুক্ত গ্রাহক পেলে নগদে অথবা বাকিতে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিলাম!

বোধ বিক্রির এই আইডিয়াটা নেহায়েত মন্দ নয়..
পারিজাত অথবা পাস্তুরিত হওয়ার আগেই যে প্রেম
সীমান্ত চিনে নেয়—সে আর যা-ই কিছু হোক.. কোনোদিন প্রেম নয়!

এরপরও যদি কিছু বাকি থাকে বোধ
আহত সিংহীর মতোন যদি ওরা নিতে আসে শোধ
আমিও ঠিক করে রেখেছি…মাথায় হাত বুলিয়ে
বুলিয়ে ওদের দেবো প্রবোধ!!

অতঃপর ভাটার টানে ভাসতে ভাসতে ভুলে যাবো..
একদিন আমার ছিলো জোয়ারের জল… বোধ, শোধ,
প্রবোধ ওরা আসলে কিছুই নয়…. কেবলই ছল!!

খোসা

বাদামের খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে একদিন মনে হয়েছিলো..
শব্দের কলংক ঘুচাতে পারলেই আমিও পৌঁছে যাবো প্রেমনগর;
আর কিছু না হোক, না হোক… নিদেনপক্ষে শব্দের কারিগর.. !!

তখন আমার নেহায়েৎ সাপুড়ে বেলা
আঙুলের খাঁজে খাঁজে আঙুল খেলা!

কে জানতো.. ওসব তন্তর-মন্তর আসলে কিছুই না
বিষের পর বিষ কেবলই তাতিয়ে দেয় বেদনার পর
বেদনা; অতঃপর সারাজীবন ভর কেবলই ইশ আর ইশ…
কোন কুলে শ্যাম রাখি আর কোন কুলে রাখি

বিষ?
তবুও বলি…. জীবন এক বিশাল অদ্ভুত নোঙরখানা
কখনও আটকপালে আবার কখনও আহলাদে আটখানা!!

এরপরে আর তেমন কোনো কথা থাকতে নেই..বাড়ছে
আরও বাড়ুক বেদনার দেনা; এখনও ভাবছি বাদামের
বদলে… হোক না এবার বাদামের খোসা কেনা!!