কালাম হাবিব এর সকল পোস্ট

কালাম হাবিব সম্পর্কে

কবি কালাম হাবিব ১৯৯৯সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি মালদা জেলার অন্তর্গত সাহাবান চক গ্রামে এক নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা লাল মহাম্মদ মিঞা ও মাতা রুকসেনা বিবি। মা বাবার তিন সন্তানের মধ্যে কনিষ্ঠ সন্তান। শিক্ষা শুরু হয় সাহাবান চক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০০৪ সালে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে ২০০৯সালে বেদরাবাদ হাই স্কুলে ভর্তি হন এবং ২০১৬ ও ২০১৮ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক কলা বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ বেদরাবাদ হাই স্কুল থেকেই। তার পর ওই বছরই উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হন 'কালিয়াচক সুলতানগঞ্জ কলেজ'-এ।বর্তমানে পার্শ্বীয় কালিয়াচক সুলতানগঞ্জ কলেজ'এর বি এ সাম্মানিক বাংলা বিভাগে তৃতীয় বর্ষে পাঠরত। কবিতা লেখালেখির হাতেখড়ি দশম শ্রেণি পড়াকালীন , তবে আজও তার বেগ প্রবাহমান! কবির এই লেখালেখি বিশেষ কারও দ্বারা প্রভাবিত নয় বললেই চলে কবিতা পড়তে পড়তে ভাবনা আর সেই ভাবনা লিপিবদ্ধ করার অধীর আগ্রহই হাতে উঠে আসে কলম! কবিতার পাশা পাশি গল্প লেখাতেও কবির রয়েছে বিশেষ আগ্রহ ও মনোযোগ! কবির কবিতায় কথা বলে কলম, শরিয়তের মধ্যে থেকে সঠিক সত্য কল্যাণময় আদর্শের! কোন ভীরুতার ধার ধারেনা, সর্বাবস্থায় আওয়াজ তোলে সজীব তীক্ষ্ণ জীবন্ত দন্ড খান প্রতিবাদের শীর্ষক মাকামে! কবির প্রথম কবিতা "বেআইনি অস্ত্র ” এবং প্রথম গল্প " নৌকা যাত্রীরা"। বর্তমানে পার্শ্ববর্তী কয়েটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর সাথে শিক্ষকতার কাজে যুক্ত রয়েছেন......

মহা প্রশ্ন

মহা প্রশ্ন

কাব্যের অর্থ যদি কল্পনা হয়।
তাতে কি করে ইতিহাস আর বাস্তব রয়?
আমি আরও বলতে চাই;
সত্যি যদি সত্য ঘটনা আর বাস্তব অবলম্বনে
তা রচিত হয়, তাকে কি করে কাব্য কল্পনা বলা যায়?

কাব্য থেকেও মহাকাব্যের ভাবনা অতল!
তবে তা কী করে মোক্ষ লাভে পূজন হবে বল?
তা তো বেদব্যাস, বাল্মীকির মতো কবির ভাবনা!
তাই তাতে কোন ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ পাবনা।
তাইতো আমি তা ভুলেও পুজি না!
আর তাতে কোন মোক্ষ খুঁজি না!

কোন মানুষের কল্পনার ভাব রসে।
সকল মানুষকে রসিক আর তামাশিক করার বশে;
গড়ে তোলে কাব্য আর মহাকাব্য।
তা নয় কি আমার ভাব্য?

হারা বাবু

হারা বাবু

হারা বাবু
হেসে কাবু
বলতে তার নাম।
খুবই পেটুক
চলতো হেতুক
অজানা তার কাম।।

গোঁফ বোঝা
চলতে সোজা
মুখের ওপর জ্যাম।
নিলে আহার
ব্যস্ত তাহার
ঠোঁটে মারে ল্যাম।।

যাইতে অফিস
নিতো একপিস
খাবার টিফিন হাতে।
নিতো শক্তি
করতো ভক্তি
বাবার ছবি টাতে।।

বেজায় কঠিন
ছিলো সেদিন
রঙের ঢঙের কাম।
আজব কথা
দেখি তথা
ব্যস্ত খুঁজে নাম।।

বেআইনি অস্ত্র

👏👏👏বেআইনি অস্ত্র👏👏👏

আছে দুটি বেআইনি অস্ত্র আমার।
বারুদের নয়, লোহার নয়, ব্রোঞ্জের নয়, নয় যে
তামার।।
নেই কোন লাইসেন্স তার।
সকল মানুষের কাছে হয় পারাপার।।

আছে যে প্রাণ তার সে নয় কোন যন্ত্রাশী।
কখনো হতে চায়না সে সন্ত্রাসী।।
যদিও সে সন্ত্রাসের মুল হাতিয়ার।
সে অস্ত্র ছাড়া মানুষের নেই কোন গতি আর।।

তার কোন লাইসেন্সের বাধা ধরা।
প্রচণ্ড শক্তিশালী সে, নয়কো জীর্ণ জরা।।
সুখে-দুঃখে, হাসি-কান্নায় চলে বেআইনি অস্ত্র।
সর্ব কালে, সর্ব মূহূর্তে জোগাড় করে অন্নবস্ত্র।।

যার থাকে অস্ত্র দুটি তার কখনো সুখ কখনো কষ্ট।
যার থাকেনা একটিও তার সারাজীবনটায় নষ্ট।

বিরহ–৩

বিরহ – ৩

তোমায় কত আপন ভেবে,
সঁপে ছিলাম মন।
ভাবিনি কোনদিন এত ব্যাথা দেবে
আর কাটাতে হবে বিরহে জীবন।

কথা দিয়ে ব্যাথা দিয়ে
চলে গেলে সুখ নিয়ে
আমায় শূন্য করে।
তোমায় সঁপে মন
জানিনা কখন
চলে যাবো কবরে
মৃত্যুর হাত ধরে।

কত ছবি আঁকা ছিলো
এই পোড়া মনে
ক্ষয়ে সকল আশা
অনল ডেকে জীবনে।

বিশ্বাস ঘাতক তুমি
তুমি ঠকবাজ।
তোমায় সঁপে মন
পেলাম শুধুই মরণ
না জানি তুমি কত খুশি আজ।।

বিরহ ২

♥বিরহ ২♥

কখনো দেখিনি তোমায়
আমার এ অধম নয়নে
অনুভবে দেওয়া নেওয়া
প্রাণ রাখতে এ জীবনে
প্রিয়া গো আমার।

তুমি কেবল আমার সাথে
করিলে ছলনাময় খেলা
দিবে পাড়ি আপন বাড়ি
ফুরাইলে ভবের বেলা
সোনা গো তোমার।

দেখিতেনা পাইলে তোমায়
কেমনে রাখিব ধরে হৃদয়ে
মহান রব মালিক তোমার
কেমনে থাকিবে হৃদয়ে
আমার। তুমি গো প্রিয়া।

অনুভবে আমার জীবন
অনুভবেই সব
অনুভবহীনে বিদায় নিবো
তলপ দিলে মহান মালিক রব
তোমায় ছাইড়া দিয়া।

বিরহ–১

বিরহ

তখন তুমি কি ভাবিয়া ছিলে?
এখনই বা কি সিদ্ধান্ত নিলে?
তুমি কি এখন পাগল, না ভোলা ভুলো?
তোমার কি মনে নেই?
সেই…ক্লাস এইট -নাইনের দিন গুলো!

আমি এখন যদি তা মনে করিয়ে দেয়
চোখে চোখে রেখে,
বন্ধু বান্ধবীদের সঙ্গে থেকে।
করে ছিলে পরিচয়,
তবে আশা কি ছিলোনা তোমার?
সম্মুখে ঘটুক মোদের পরিনয়।

কেন বিরহ বিচ্ছেদ বদ্ধস্বার?
তুমি ছিলে আলগা ভাবে
মজার বেড়াজালে।
আমি অপারুক,
সে দিকে ছিলনা তো বুক,
চাইনিও আমি মায়া ভবে সুখ।

এখন সাঁড়া দেয় মন,
খুঁজিয়া যায় আপন।
ছিলনা নাকি তোমার হাসি,
আরও দেখার, বোঝার মতো
দুটি কাজল মাখা চোখ!
তখন ছিলনা বেদনা রাশি!
ছিল রঙ্গ তামাশা কত!
খুঁজি নিকো কোন তোমার মতো লোক।।

বুঝি নিকো তখন,
আজিকের দিনের মন।
হৃদয়ের গহিন ব্যাথা দোহ,
কাটিছে মোর দিন তোমার বিরহ।।

বডিগার্ড

বডিগার্ড

একদা এক বৃত্তশালী,
এদিকওদিক ঘুরতো খালি,
জীবনটারে করে কালি।
ছড়াইয়া সৌরভ,
দেখাইয়া গৌরব।
হাসি খুশি মুখে,
চলতো সুখে সুখে।

সবারই মুখে সুনাম,
ছিল অতি দেহের দাম।
নিজেকে না চিনে,
জ্ঞান চক্ষু হীনে।
কাটাইছে রবহীন ঋতু্,
হইয়া শয়তানি ভিতু।

পাশে রেখে রাইফেলধারী,
হইয়া পাপের ভাগিদারী।
হেদায়েতের পথ করিয়া অতি হার্ড!
দেখাইয়া আল্লাহকে ভয়!
দোজখ করিয়া জয়!
সঙ্গে লয়ে বডি গার্ড!

আসামি

আসামি

অতি যত্নে,
কত রত্নে
ভরিয়ে তুলে,
উদ্দেশ্য ভুলে
গড়েছিলে সাধের অট্টালিকা।

ক্ষণিকের চরাচর,
সুখের বরাবর
ঝটকা তুফান এসে,
দিয়ে যাবে শেষে
নিভিয়ে তোমার দীপশিখা।

রইবে পড়ে অনল হীনে,
স্তব্ধতায় কত রাত্রি দিনে।
তোমারই বিরহ ব্যাথা,
স্বজনেরই মনে গাথা
রবেনা চিরদিন,
হয়ে পড়বে সবাই সীমাহীন,
একদিন তোমায় ভুলবে।

গহিন ভিতরে চিরদিন রবেনা পড়ে।
ভেবনা তুমি,
প্রসারিত হবে ভূমি
তোমায় আবার দেবে গড়ে।
রাখবেনা গহিনে
শেষ বিচার দিনে
মহান স্রষ্টা তোমায় কাঠগড়ায় তুলবে।।

শিশুর মর্যাদা

শিশুর মর্যাদা

মুর্খ তুমি বুঝছ না কেন্ শিশুর মর্যাদা কত?
বলি আমি হাজার শত শত!
শিশু তো যেন শিশু নয় বারুদ পূর্ণ বোমা!
সময়ে তা বিস্ফোরন হয় করে না কাওকে ক্ষমা।
জ্ঞান নয় যে তার শিশির বিন্দু,
হয় সাগর সমতুল্য।
কোনো নদী নয় গঙ্গা নদ নয় সিন্ধু,
সে সবার অতূল্য।।

দেশ গড়তে বাধা দিবে তারে মূর্খ তোমার আচরণ।
তুমি যে পথেরকাঁটা বাধা দিবে তারে পথে করিতে বিচরণ।
মূর্খ তুমি জানো না শিশুর মর্যাদা কত?
স্রষ্টার পরে শিশুর নিয়ন্ত্রণাধীন এজগতে আছে যত।
বিশ্বাস কি কর না তুমি এই মন্ত্ররে?
ভবিষ্যৎএর দিন যে সকল শিশুর অন্তরে!
মূর্খ তুমি এবার সজাগ হও!
জ্ঞানের ডালি মাথায় লও।
দূর করো তার সকল বিক্ষেপ।
সঠিক স্থানে করো তারে নিক্ষেপ।
আসল কাজে তারে করিওনা বিরত!
কেন্?
শিশুর মর্যাদা যে হাজার শত শত।
——————————-

স্বপ্নের রাতে

স্বপ্নের রাতে
🌍
দিনের শেষে সাঁঝের বেলা,
নদীর জলে কলার ভেলা,
চাঁদনী রাতে মাছের খেলা,
হয়েছে মোর মন উতেলা।

খোলামেলা মনতো, কেউ নেই রেগে।
ঘাটের ধারে লোকের ভিড়ে,
জলের ওপর পাহ্নার নীড়ে,
ভাট ফুলে লাগাইছে মেলা,
সঙ্গ নিয়েছে কচুরিপানা,
ছোটোমাছে বড়োমাছ গেলা।

মাঝেমাঝে দিতেছে হানা।
ছোটো ছোটো পোনা গুলি,
এদিকওদিক ঝড়োগতিবেগে।
দিনের বেলা ক্লাতি ধরে,
কাটাইছে তারা অকাতরে।
এখন শান্তিতে উঠেছে জেগে।।

হাওয়া চলে শুন শুন,
চারিদিক গুন গুন,
রিম ঝিম মন,
হালকা শীতের আমেজ আসে,
ওই তো যেন প্রতিক্ষায় হাসে।
অতি শীঘ্রয় চায়ছে মোদের
ওপারে গাছপালা গন।
মোর সঙ্গী ওপরে কেউ,
বিরহ বিচ্ছেদ করেনা হেউ,
সেতো চাঁদ,তার ঝলকানি,
নদীর হালকা পানির ঢেউ।

তাতে মোর হৃদয় উজানি।
চোখ মোর ঝাপসা কেন?
সামনে দেখি বিপদ যেন!
চোখ খুলতেই মনে পড়ে,
হৃদয় বলে নড়ে চড়ে।
আরে……সবকিছু তো ফেউ।

স্বপ্নের ফলস্বরুপতায় বন্ধু

স্বপ্নের ফলস্বরুপতায় বন্ধু

পথে যেতে হঠাৎ দেখা!
জোড়া ভাবে থেকে একা।
একটু দূরেই এই রকম
মনের ভিতর বকম বকম।
কাছে গেলে কি হবে
সাহস থাকলে যেতই কবে।
ইশারা পেয়ে আর হালকা হাসি
পড়ে নিয়ে প্রেমের ফাঁসি।

সাহস বলে যারে আব
মনে নিয়ে জোয়ারি ভাব।
প্রস্তাব দিয়ে জুড়িয়ে আশা
শুরু বন্ধুর ভালোবাসা।
বন্ধু তখন মেতে ওঠে
হাসি মুখে বাড়িতে ছোটে।
বাড়ি গিয়ে মাথা চুলকাই
তার তো কোন্ ঠিকানা নাই।

আবার ছুটে সেই জায়গায়
যদি কোন্ ঠিকানা পায়।
রাস্তায় কত গাড়ি চলে
বন্ধু ভাসে সাগর জলে।
বন্ধুর চলে গাড়ি রেসে
সামনে একটা লরি এসে।
বন্ধু ব্রেক দিয়ে চমকে ওঠে
বাড়ির লোক ঘরে ছোটে
অবাক হয়ে বিছানা দেখে।

ঘুম ভাঙা ঝাপসা চোখে
চোখ ধুতে কলের কাছে এসে।
একটু একটু কেশে
দূঃখ করে সেই আনন্দের ঝোঁকে।
সেই হঠাৎ দেখার শোকে
তার পরেতে বেশ কয়েকদিন ধরে।
বাড়ির লোকে অস্থির করে
চায় শুধু ঠিকানা।
যার নাই কোনো নিশানা
পাগল হয়ে সেই ঠিকানার আশায়
একদিন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

বাড়ির লোকে খবর পেলে
ঠিকানার কেসে আছে জেলে।
ফেরার পথে রাস্তায় এসে
আবার পড়ে একই কেসে।
আবার ঠিকানা নিয়ে সেই ঝামেলা পাকালে
তাকে পাঠানো হয় মানসিক হাসপাতালে।

এখন কিছু করতে হবে

এখন কিছু করতে হবে

এখন কিছু করতে হবে,
যা দিয়ে সম্মান পাবে আর মান রবে,
শ্রেষ্ঠ হবে, আরও হবে শৌখিনতার।
পড়তে হবে, করতে হবে পড়া শোনা,
ভুলতে হবে, ছাড়তে হবে আনা গোনা,
শান্তি পাবে, আর সুখ হবে, জীবনভর।।

খুঁজতে গেলে সার্থকতা,
যতই আসুক বাঁধা বিপদ ভুলে যাও সব ব্যর্থতা,
গড়তে গেলে জীবন টা।
কোথায় বিপদ, কোথায় বাঁধা?
কোথায় কঠিন, কোথায় কাদা?
সবইতো শূন্য হবে, যদি কাজে লাগায় সময়টা।।

যতই দেখ সাফল্যে,
কিছু কিছু নামের মূল্যে,
বেশির ভাগই চলছে দেখ
পড়াপড়াপড়া।
বিনা মূল্যে যান কিনে!
জ্ঞান হীনে শিক্ষা বিনে,
জীবন পথে চলতে দেখ লাগে কড়াকড়াকড়া।।

মন না খাটিয়ে চিন্তা করে,
ব্যর্থতায় পড়ে রবে কি সারাজীবন ধরে?
দূর কর এই সব ভুল।
মনকে নিয়ে জ্ঞান সাজে,
আসল কথায় ঢাক বাজে,
সাফল্যের তালাতে অধ্যাবসাই মুল।।

ভাঙছ কেন্ মনের জোর? উড়ছ কেন্ আকাশে?
হতাশ কেন্ সামান্য একটু ফোকাসে?
আজেবাজে বাদ দিয়ে ভারী কর অধ্যাবসায়ের পল্লাকে।
একটা কথা ভুলনা,
জীবনটাকে পাপের জলে গুলনা,
স্মরণ করিও আল্লাহ্‌কে!!

দানবের আগমনে

আসিবে দানব,
লুটিবে মানব,
কোথায় নিবে ত্রাণ।
পারলেও নাপারা,
হবে দিশেহারা,
কীভাবে বাঁচাবে প্রাণ?

সত্যের পথে থাকলে,
জীবন বাজি রাখলে,
পেতে পারো স্থান।
অন্যের ধ্যানে,
শয়তানি জ্ঞানে,
বিসর্জন দিয়েছ মান।।

সামান্য একটু ভয়ে,
মিথ্যা বচন কয়ে,
কী হবে জীবন বাঁচিয়ে?
ভাবিলেনা তুমি,
অকারণে ভুমি,
মন গেলে নাচিয়ে।।

এখন স্মৃতি বাড়িয়ে,
আগের সময়কে তাড়িয়ে,
বদ্ধ কন্ঠে তুলে সুর।
আসবেনা গান,
সাজবেনা কান,
সময় বহে গেছে অনেক দূর।।

দু অক্ষরে দুনিয়া

(১)
দুই অক্ষরে দুনিয়া!
ব্যস্ত হলাম যেন,
একথা শুনিয়া।
একটু আমার মাথা ব্যাথা,
আমার কাছে এ আজব কথা!
মনে হইতেছে কেন?
ডানে দুই অক্ষর!
বামে দুই অক্ষর!
সামনে দুই অক্ষর!
পেছনে দুই অক্ষর!
আর মধ্যি খানে মোর,
শ্বাস রুদ্ধ কবর!

(২)
এক হিন্দি বাবু,
নামে গেরুয়া হাবু,
বলল কাছে অ্যাইসা।
ও হতে হে ক্যাইসা।।
হাম বাতায়ে,
বাটুয়া পাতায়ে,
দেখ এ ক্যেয়া।
ও বাতায়ে এ হো
টাকা আউর প্যাইসা।।

সত্যমিথ্যা

সত্য আজ নীরবতা
মিথ্যায় চলে মানবতা
মিথ্যায় সব প্রসারিত
আনন্দ নিয়ে বিকসিত
ক্ষুদ্র থেকে বিশাল
পাতা মিথ্যার জাল
মিথ্যায় লাভবান, মিথ্যায় খুশি।

তাইতো আমি
কথায় কথায় মিথ্যা মনে পুষি।
বর্তমানের হালকা একটু
আনন্দ পেতে সত্য আমি দূষি।

আরও কত, শত শত
মনে আমার বিকসিত ফাগুন।
মিথ্যায় আমার ধরা আছে
প্লাবিত জাহান্নামের আগুন।