কাজী জুবেরি মোস্তাক এর সকল পোস্ট

আঠারোটা উলঙ্গ বুলেট

আঠারোটা বেওয়ারিশ বুলেটের উলঙ্গ নৃত্য
মুহূর্তেই যে শরীরকে করেছিলো ক্ষতবিক্ষত,
সেতো তুমি নও পিতা সে বাঙালীর হৃৎপিণ্ড
খামচে ধরেছিলো তোমার স্বাধীন মানচিত্র ৷

যে বুকটাতে বাংলাদেশ ঘুমোতে চেয়েছিলো
যে বুকে সাত কোটি মানুষের বসবাস ছিলো,
আঠারোটা বুলেট সে বুকে স্থান করে নিলো
সাথে বাঙালী আর বাংলাদেশ এতিম হলো ৷

ওরা বুঝেছিলো তুমি বাংলাদেশের হৃৎপিণ্ড
তাইতো তোমার বিরুদ্ধে চললো ঘৃণ্য চক্রান্ত,
সেই হৃৎপিণ্ডতে অাঠারো বুলেট ঠুকে দিলো
আর স্বাধীনতাকে কালো কালিমায় ঢাকলো ৷

ওরা জানতোনা কীর্তিমানরা কখনো মরেনা
ওরা ভুলে গেছিলো দেশপ্রেম,আদর্শ মরেনা,
আর বঙ্গবন্ধু সেই দেশ যে ভাঙে, মচকায়না
তাইতো ধানমন্ডির ৩২-এ দিলো জঘন্য হানা ৷

তোমার তর্জনীর শক্তি ওরা টের পেয়েছিলো
বুঝেছিলো দেশের জন্য সে তর্জনীটা অমূল্য
তাই উলঙ্গ বুলেটে সে তর্জনীই থেঁতলে দিলো
আর বাঙালির স্বপ্ন বীজ অঙ্কুরে ধ্বংস হলো ৷

ওদের বলে দিও

ওরা জানেইনা যে আমার মৃত্যু নেই ;
ওদের বলে দাও ;
ওদের লাঠির আঘাতে আমি ইতিহাস হবো।

ওরা জানেইনা আমার শক্তির উৎস ;
ওদের বলে দাও ;
ওদের প্রতিটি আঘাতে যে আমি শক্তি পাই।

ওরা জানেইনা আমিও আগ্নেয়গিরি ;
ওদের বলে দাও ;
একবার জ্বলে উঠলে ওরা ধ্বংস হয়ে যাবে।

ওরা জানেইনা আমি যে বেঁচে আছি ;
ওদের বলে দাও ;
প্রতিটি নব প্রজন্ম মাঝে আমি বেঁচে থাকি।

ওরা জানেইনা আমার কি পরিচয় ;
ওদের বলে দাও ;
প্রতিটি নির্যাতিত মানুষই আমার আত্মীয়।

ওরা জানেইনা আমার দেশ নেই ;
ওদের বলে দাও ;
শান্তি ও বিজয়ের পতাকায় আমি থাকবো।

Unfair Society

In the garden of civilization, they are weird insects
But they are fit in this society today,
Understand the environment and keep pace
The color changed as a lizard.

Civilized citizens are civilians
Those who fight against injustice,
People in the mask of civilization lie down
I see them are pretty good today.

See the lies fireworks
And today the truth lies in the forehead,
They are lying today, they are crying
But truthful people have hidden their faces.

Today is the untoward cultivation
But there is always the leak in the neck of the right,
Today society is full of drugs
There are more terrorists’ royals.

Alas, the losers of the fortunate city
How long will the slave be,
As long as the politics of policy makers
The loss of the unemployed society will be there.

একটাই পৃথিবী

সেদিন ওরা বাঁচবে বলে চারিদিকে আগুন
জ্বেলেছিল ;
অস্ত্র আর গোলা-বারুদের পশরা সাজিয়ে
বসেছিল ;
মানুষকে কোন ঠাসা করে নিজেকে প্রচার
করেছিল ।

সেদিন ওরা ভুলেছিল সেখানেই ওদেরও
ঘর ছিল ;
সেই অস্ত্র যে তাদের দিকে তাক হতে পারে
ভুলেছিল ;
একদিন ওরাও সংখ্যালঘু হতে পারে ভুলে
গিয়েছিল ।

সেদিন ওরা অস্ত্র হিসেবে ধর্মকেও ব্যবহার
করেছিল ;
ধর্মের অমোঘ বাণী ভুলিয়ে রক্তাক্ত করতে
শিখিয়েছিল ;
কিন্তু প্রতিটি ধর্মের অহিংসটা বাণী ঠিকই
গোপন করেছিল ।

সেদিন গোলাবারুদের মিছিলে নিজেকেও
হারিয়েছিল ;
হিংসা বিদ্বেষে ছড়িয়ে বিশ্বটার দখল নিতে
চেয়েছিল ;
ভালোবাসার চেয়েও শক্তিশালী অস্ত্র হয়না
ভুলে গিয়েছিল ।

সেদিন ওরা গণতন্ত্র নামে আধুনিক দাসত্বে
বন্দী হয়েছিল ;
ভেবেছিল গণতন্ত্রটা দাসত্বর মুক্তির জন্যই
এসেছিল ;
কিন্তু ওরা জানতোনা এই গণতন্ত্র দাসত্বকে
বৈধ হয়েছিল ।

সেদিন আর বেশি দুরে নাই যেদিন সবারই
ঘুম ভাঙবে ;
হিংসা বিদ্বেষ হানাহানি ভুলে এক হয়ে পথ
চলবে ;
একটাই মানচিত্রেই সেদিন একটা পৃথিবীও
ঠিক হবে ।

ভুলেছি ভয় ডর

না আজ আর কোন ভনিতা নয়
বলে দিবো সব রাখবোনা সংশয়
অনেক হয়েছে মুখোশের অভিনয়
আর তোমার মিথ্যে প্রতিশ্রুতির জয় ৷

দেখবো আজ রক্তপিপাসুর জোড়
ভুলেগেছি আজ আমি সব ভয় ডর
উঁচিয়েছি আজ প্রতিবাদীর কন্ঠস্বর
দেখবো আজ শোষকের কতো জোড় ৷

আমার মায়ের সম্ভ্রম ঢাকা যে পতাকায়
পিতার রক্তের দাগ আছে যে পতাকায়
না হতো দেবোনা আমি তার সাথে অন্যায়
অনেক হয়েছে মিথ্যে প্রতিশ্রুতির জয় ৷

কসম খোদার এই বার হবেই তোদের ক্ষয়
যদি ঐ ঈশ্বরআত্মা সদা সত্যি হয়
ঐ দেখ জেগেছে বাঙ্গালী ভুলেছে ভয়
ওদের হাতেই হবে জানি তোদের পরাজয় ৷

মানুষের মতো দেখতে

আমি দেখতে অবিকল মানুষের মতো
কিন্তুু সত্যিই কি আমি মানুষ ?
না !
আজও আমি মানুষ হতে পারিনি
কিন্তু ! আশ্চর্যের বিষয় হলো,
মানুষের তকমাটা ঠিকই আমি বগলদাবা করেছি ৷
আমি আসলে মানুষের মতোই দেখতে
তাই সবাই আমাকে মানুষই মনে করে,
আর সকাল সাঁঝে কুর্ণিশ করে চলে,
কিন্তু ওরা জানেইনা মানুষের মুখোশে অন্য মানুষ আমি ৷

মানুষের মুখোশে এক প্রতারক খুনি আমি
তোদের সরলতায় তোদের প্রতারিত করি
বিশ্বাসের সাথে অবিশ্বাসের খেলা খেলি
আর সুযোগ বুঝেই চালিয়ে দেই ছুড়ি ৷
মানুষের মতো দেখতে হলেও, আমি কিন্তু ধর্ষক
নারীর সুঢেল বক্ষপিঞ্জর দেখলে
ধর্ষক আত্মা আমার জেগে ওঠে
আমার নির্লজ্জ চোখ ওকে ভোগ করে
আমার বিষাক্ত লালায় প্রতিনিয়ত ওকে ধর্ষিত হতে হয় ৷

তবুও মানুষের মুখোশে আমাকে মানুষই মনে হয় ৷

অভিযোগ নেই

হে রাষ্ট্র তুমি কি পারবে আমার দায়িত্ব নিতে ?
যদি না পারো তবে বলে দাও,
নিজের দায়ীত্ব না হয় আমি নিজেই কাঁধে নিবো
তবুও তুমি দায় মুক্তই থাকো ৷

হে গণতন্ত্র তুমি কি পারবে সব অধিকার দিতে ?
যদি না পারো তবে বলে দাও,
নিজের অধিকার না হয় নিজেই আদায় করবো
তবু তুমি অন্তত স্বতন্ত্র থাকো ৷

প্রিয় স্বাধীনতা তুমি কি পারবে স্বাধীনতা দিতে ?
যদি না পারো তবে বলে দাও,
না হয় আমি মুখ বুজেই অন্যায় অবিচার সইবো
তবু তুমি স্বাধীনভাবে থেকো ৷

মাননীয় রাষ্ট্র যন্ত্র কি আমার অভিভাবক হবে ?
যদি না হয় কোন আপত্তি নেই,
আমি না হয় অভিভাবকহীন একাকী থাকবো
তবু সে মুখে কুলুপ এঁটে থাক ৷

বানভাসী বলছি

এই যে শুনছেন?
হ্যাঁ হ্যাঁ এই যে এইদিকে দেখেন ?

আমি বানভাসী বলছি,
আপনিতো খাচ্ছেন পোলাও বিরিয়ানী
আর আমি বানের জলে ভেসে বেড়াচ্ছি,
আমি খাচ্ছি শুকনো খিচুরী নয়তো মুড়ি
তাও আবার পানি সাঁতরে গিয়ে নিচ্ছি
সেখানেও দেখাতে হচ্ছে পেশী শক্তি ৷

এই যে শুনছেন ?
আমি বানভাসী বলছি,
আমি ক্ষুধার্ত এখানে পরে আছি ,
আর আপনারা !

ফেসবুক, টুইটারে করছেন আহাজারী
আমি বানের জলে সব হারিয়ে কেঁদে মরছি ৷

আর আপনারা !
এইটুকু খিচুরী দিয়ে করছেন সেলফি বাজী ৷

এই যে শুনছেন ?
আমি বানভাসী বলছি,
দয়া করে আপনার স্মার্টফোনটা প্লিজ রাখেন
আর আমাদের দিকে মনযোগ দিয়ে দেখেন ,
আমরা জানি আমাদের সহযোগীতা করছেন
কিন্তু তার বেশি নিজের ঢোলটা পেটাচ্ছেন ৷

সামনেই আলো

এই যে শুনছেন ?
কেউ কি আছেন ?
এ আঁধারের ঐপারে দাঁড়িয়ে ?
বড্ড ভয় করি আমি আঁধারে
প্লিজ একটু বলবেন উনাকে
আলো জ্বেলে সামনে আসতে ৷
এই যে শুনছেন ?
কেউ কি আছেন ?
একটু পথ দেখাবেন আমাকে ?
পথ হারিয়ে বন্দী এই আঁধারে
বলবেন আলোটা কতো দূরে
অনুভব করবো ওর স্পর্শকে ৷
এই যে শুনছেন ?
কেউ কি আছেন ?
একটু জাগিয়ে দিবেন ওদেরকে ?
যারা ঘুমিয়ে আছে আঁধার দেখে
ওদের বলুন সামনে আলো আছে
সত্য আর সুন্দরের অপেক্ষাতে ৷

একটা বাক্সবন্দী প্রথা

সমাজের পরতে পরতে মানবতার অবক্ষয়
মানুষের মিছিলে আজ মানুষ পাওয়া দায়,
ধর্মের লেবাসেও আজ অধর্মরাই জয়ী হয়
আমরা বোকারাও গাই তাদেরই জয় জয়।

মানুষ আজ ব্যানার-ফেস্টুনে প্রতিবাদী হয়
কিম্বা ঝড় তুলে ফেসবুক টুইটারের পাতায়,
বাস্তবতায় অসহায়ের সহায় ক’জনইবা হয়
বাস্তবে মানুষের ভিড়ে মানুষই পাওয়া দায়।

সমাজের শরীর আজ বৈষম্যের ঘামে ভেজা
শহরের শরীরে ঝরছে সভ্যতার ভয়াবহতা,
রাতের শরীরে বইছে পতিতাদের কাতরতা
তবু চিৎকার করে বলি হায় সভ্যতা সভ্যতা।

বুক পকেটের নিচেই চাপা পরেছে মানবতা
পাশ কাটিয়ে যাই যদি দেখি কোন নৃশংসতা
নিজের বেলায় ঠিকইতো খুঁজি সেই মানবতা
এ কেমন মানুষ আমরা কেমনতর মানবতা ?

একবিংশ শতাব্দীতেও চালু আদিম হিংস্রতা
নাম পাল্টে সে প্রথা আজকে হয়েছে সভ্যতা
মানবতা আজ শুধুই একটা বাক্সবন্দী প্রথা
সভ্যতায় বিলীন আজ মানুষ আর মানবতা।

গণতন্ত্র সে কোথায়

স্বপ্ন সাধের গণতন্ত্র আজ ঝুলে আছে
কখনো ফেলানী সীমান্তের কাঁটাতারে,
কখনো আদরের ছোট বোন তনু হয়ে
নির্জন জঙ্গলে রক্তাক্ত পড়ে থাকছে ৷

গণতন্ত্রের আজ দেখা মেলাটাই ভার
গণতন্ত্র নামে চলে গলাবাজি নেতার,
গণতন্ত্র স্লোগানে গঠিত হয় সরকার
ক্ষমতা পেলেই শুরু হয় অপব্যবহার ৷

সাধের গণতন্ত্রের আজ দেখা মেলে
শুধুই নেতা-নেত্রীর ঝড়ো স্লোগানে,
নয়তো সংবিধানের পাতা উল্টিয়ে
বাস্তবেতো সে কবে পালিয়ে গেছে ৷

গণতন্ত্র ঝলসানো শরীরে পড়ে থাকে
কোন এক বার্ণ ইউনিটের বারান্দাতে,
নয়তো নিরপরাধ এক বিশ্বজিত হয়ে
পড়ে থাকছে পথের ধারে রক্তাক্ত হয়ে ৷

গণতন্ত্র সেতো আজ শুধুই ফাঁকা মন্ত্র
গণতন্ত্রের মুখোশে চলে শুধুই ষড়যন্ত্র,
আর মনে-মনে বাসনা একনায়কতন্ত্র
গণতন্ত্র আজ চাবি দেওয়া একটা যন্ত্র ৷

স্বতন্ত্রতা হারিয়ে গেছে সাধের গণতন্ত্রে
মুখ থুবড়ে পরেছে সে গভীর ষড়যন্ত্রে,
গণতন্ত্র সেতো পরিণত একনায়কতন্ত্রে
রুপ নিয়েছে সে আজ এক শাসনতন্ত্রে ৷

দিকভ্রান্ত পথিক

বেগানা পথের ভীড়ে দিকভ্রান্ত পথিক আমি
সতিনের মতো দু’পায়ে জেঁকে বসেছে ক্লান্তি,
তবু আমি খুঁজে চলেছি এক লোকমা শান্তি ৷

স্মৃতির খাতার পুরোনো হিসেব মেলাতে বসি
শূন্যতা সেও আজ এ হৃদয়ে যেনো বানভাসী,
ওগো প্রেয়সী তবুও তোমাকেই খুঁজে চলেছি ৷

বিষাদ ভর করেছে জীবনের প্রতিটি পাতায়
স্বপ্নগুলো পথ হারিয়ে শূন্যতায় মিলিয়ে যায়,
আর আমি ফুরিয়ে যাই জীবনের বাস্তবতায় ৷

মাঝে মাঝে বহুদূরে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে
এই স্বার্থপর সমাজ-সংসারের বন্ধনটা ছিঁড়ে,
তবুও আঁটকে আছি অক্ষমতাকে পূঁজি করে ৷

সময়ের ক্ষত হয়েই পরে আছি পথের মোড়ে
সব চাওয়া-পাওয়াগুলোকে ফ্রেমবন্দি করে,
ফিরে যাবার সেই মরণতরীর অপেক্ষা করে ৷

বিষ ফোঁড়া

হাজারো আলোর ঝলকানিতেও পৃথিবীটা আঁধারে ঢাকা ;
যেমন করে বাতির নিচেই ভরে থাকে ঘোর কালো আঁধারে।

লাখো কোটি মসজিদ মন্দির গীর্জায় আজ পৃথিবী
ঢাকা ;
যেমন সারিসারি পাইন গাছ দাড়িয়ে থাকে মাথাটা উঁচু করে।

কখনো কবর কখনো চিতা থেকে উঠে আসে জ্বলন্ত দীর্ঘশ্বাস ;
যেমন করে কেঁচো উঠে আসে নরম পঁচা মাটি ভেদ করে।

মশা মাছির মতো করেই আজকে বংশবৃদ্ধি করছে সন্ত্রাস ;
আর ক্ষুদ্ররা নিজের স্থান করে নিচ্ছে চিতাতে কিম্বা কবরে।

ধর্মগ্রন্থগুলো আজ সুন্দর সুশৃঙ্খল পরিপাটি মলাটে আবদ্ধ ;
যেমন পাথরের ভিতরটা সাজানো থাকে শস্য দানার
মতো করে।

ধর্মগ্রন্থগুলোর শান্তির বাণীকে আজ ভুলতে বসেছে ধর্মান্ধ ;
এই ধর্মান্ধরা আজ যেনো এক বিষ ফোঁড়া পৃথিবীর কোল জুড়ে।

ঘুণে ধরা সমাজ

এখন আমি ঘুমাতে পারিনা সত্যি আগের মতো ঘুম আসেনা
ঘুমোতে গেলে চোখে ভাসে বিভৎস আর্তনাদ আর কান্না
ওই অসহায়ের আর্তনাদ যে আমি কিছুতেই ভুলতে পারি না ।

এসমাজে এখন আর পথ চলা যায়না বিশ্বাস করুন সত্যি যায়না
পথে নামলে সারিসারি লাশ পায়ের নিচে পা ফেলা যায়না
এতো লাশ ডিঙিয়ে পা দুটো আর সামনেও এগুতে চায়না ।

এসমাজে এখন আর মানুষে;মানুষে ভাতৃত্বের দেখা মেলেনা
মানুষের সমাজে আজ মানুষের মুখোশেই বাস করে হায়েনা
কে কখন কাকে ছিঁড়ে খাবে একথা ঘুনাক্ষরে কেউ জানেনা।

যে সমাজের পরতে পরতে আজ উচ্চাভিলাষী স্বপ্নের আনাগোনা
সে সমাজে আজও অপ্রমাণীত আছে মানুষ আসলে মানুষ কিনা
মানুষ অমানুষ একই মুখোশে বসত তাই মানুষ চেনা যায়না।

এসমাজে এখন দিনের আলোতে একা হাঁটর সাহস পাইনা ;
অজানা আতংকেই আঁতকে থাকে প্রিয় ভাই, বোন বাবা, মা,
আর প্রিয়তমা স্ত্রী সেও ভাত নিয়ে বসে থাকে অথচ খায়না।

শুধু বিশ্বাস

একটা বিশ্বাস

এই বিশ্বাসের মূল্য কি সবাই দিতে পারে?
একজন খোদা, ভগবান, ঈশ্বর কিবা অন্যকিছু
না দেখেও শুধু বিশ্বাসে ছুটেছি তাদের পিছু
কারণ জানি তাদের আছে অমূল্য সম্পদ কিছু ৷

একটা সন্তান এক’পা দু’পা করে হাঁটছে সবে
তারও পূর্ণবিশ্বাস আছে তার বাবার উপরে
সে জানে পরতে গেলে বাবা আঙুল বাড়াবে ৷

একটা পিতারও বিশ্বাস তার সন্তানের উপরে
পিতা জানে বার্ধক্যে সন্তানই তাকে দেখবে
যেমন পিতা অাঙুল ধরেছে পুত্রের শৈশবে ৷

সন্তানের পূর্ণবিশ্বাস তার জন্মদাত্রীর উপরে
সে জানে মা তাকে ঠিক আগলে রাখবে বুকে
সকল প্রতিকুলতায় ঠাঁই পাবে মায়ের আঁচলে ৷

মা ৫২ ডেল ব্যাথা সয়ে যে সন্তানকে এনেছে
মায়ের বিশ্বাস আছে তার সে সন্তানের উপরে
সে জানে সন্তান তাকে রাখবেনা বৃদ্ধাশ্রমে ৷

একজন বোনের প্রতি বিশ্বাস আছে ভাইয়ের
তেমনি
ভাইয়ের প্রতিও সে বিশ্বাস আছে সে বোনের
এ বন্ধন সেতো বিশ্বাসের এক অনন্য অর্জন ৷

প্রেমিক বিশ্বাস করে যেমন তার প্রেমিকাকে
তেমনি
প্রেমিকাও বিশ্বাস করে তার সে প্রেমিককে
কারণ পরষ্পরের প্রতি তাদের বিশ্বাস আছে ৷

বন্ধুত্ব সেও তো বিশ্বাসেরই এক অমূল্য খনি
সব ছাপিয়ে বিশ্বাস আছে বলেই আছি বেঁচে ৷