ছন্দ হিন্দোল এর সকল পোস্ট

ফেরাউনের ঘরে মুসা আঃ

আলে ফেরাউন নামে ছিলো এক, যালেম শাসক মিশরে
মত্ত ছিলে তারা নাফরমানী, শীর্ক, কুফরে।
বিভিন্ন দলে বিভক্ত করেছিলো তথাকার জনগনকে
বনী ইস্রাইলকে হীন করেছিল পুত্রদেরকে মেরে, রেখে কন্যাদেরকে।
আল্লাহ চাইলেন তাদের অনুগ্রহ করতে
দাসত্ব মোচন করে দুনিয়ার উত্তরাধিকারী বানাতে।
একদা আল্লাহ ইঙ্গিত করেন মুসা জননীর অন্তরে
ভাসিয়ে দিও দরিয়ায় যখন দেখ মুসার জীবনে বিপদ আসে ঘিরে।
ভয় করোনা দুঃখ করোনা ফিরিয়ে দেবো তোমার বুকে
রসুল পয়গম্বর দিগের একজন বানাবো তাকে।

সহসা জননী ভাসিয়ে দেন নীল দরিয়ায় ঝুড়িতে ভরে
অবশেষে তুলে নেয় ফেরাউন পরিবার পেয়ে দরিয়ার তীরে।
স্ত্রী বলেন ফেরাউনে, হত্যা করোনা হতে পারে আমাদের চক্ষু শীতলকারী
পুত্র বানাবো তাকে হতে পারে আমাদের মঙ্গলকারী।
বুঝতে পারেনি ফেরাউন হামান, ছিল তারা ভ্রান্ত
তাদের দুশমন তাদের ঘরে প্রতিপালিত হয়ে, হয়েছিল পরাক্রান্ত।
জননীর অন্তর বিচলিত ছিল দৃঢ় করে দেন দয়াময়
তা না হলে সব ফাঁস হয়ে যেতো শত্রুর আস্তানায়।
কন্যাকে পাঠান পিছু পিছু যাও লক্ষ রাখ পাছে কেউ টের না পায়
ধাত্রীর দুগ্ধ পানে বিরত ছিলেন মুসা তার জন্য তা ছিলো হারাম।
মেয়েটি বলল এমন ধাত্রীর সন্ধান দিতে পারি, যার দুগ্ধ খাবে এ ছেলে দিতে পারবে আরাম
আল্লাহ বলেন, এভাবে আমরা ফিরিয়ে দিলাম মুসাকে মায়ের কোলে।
ওয়াদা করেছিলাম আমার ওয়াদা সত্য জানুক সকলে।
শক্তি তাকতে বড় হন মুসা ফেরাউনের দেয়া আদর যত্নে
আল্লাহ পরিপূর্ণ করেন বুদ্ধিমত্তা ও জ্ঞানে।
একদিন মুসা শহরে যান কোন এক দুপুর নিরালায়
হয়তে লোকেরা গা এলিয়ে দিয়েছিল নিঝুম অবেলায়।
দেখতে পান মুসা নিজ জাতির এক লোক শত্রুজাতির এক লোক সংঘর্ষে লিপ্ত
নিজের জাতির লোক সাহায্য চাওয়াতে মারেন মুসা এক ঘুসি হয়ে মহা ক্ষিপ্ত।
ঘুসিতে মারা যায় কিবতি বলেন মুসা ইহা শয়তানের কাণ্ড
নিজের উপর যুলুম করেছি আল্লাহ, মাফ করে দাও আমার দন্ড।
পরদিন মুসা শহরে যান ভিরু সংকোচে
দেখতে পান মুসা নিজ জাতির সেই লোক আজও সাহায্য চায় জড়ায়ে ফ্যাসাদে।
মুসা বলেন তুমি বিভ্রান্ত,উদ্ধত হন তাকে ধরতে
লোকটি চিৎকার করে বলে গতকালের মত চাও কি আমাকে মারতে।
শহরের আর এক প্রান্ত থেকে ছুটে এসে, বলে এক ব্যাক্তি
তোমাকে হত্যার হুকুম দিয়েছে পরিষদ,শহর ছেড়ে চলে যাও আমি তোমার হিতাকাঙ্ক্ষী।
সংবাদ শুনে বাহির হন মুসা ভীত সন্ত্রস্তে
দোয়া করেন মুসা রক্ষা করুন আল্লাহ, যালেমদের হাত হতে।

বিশ্ব কাপে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ হলো এবারে বিশ্ব কাপের ভেন্যু
মাঠ সাজাতে ওয়ার্ড এক্সপার্টরা তৈরী করেছে মেন্যু।
সেজে গুজে স্টেডিয়াম এখন বিশ্বের অন্যতম
পিচ হয়েছে প্যারাডাইস রানের স্কোর দ্রুততম।
স্কোর বোর্ডে তৈরী হয়েছে বিশাল আয়োজন
হাসি খুশি আনন্দ উল্লাস মেটায় প্রয়োজন।
ব্যাটসম্যানরা হাঁকছে ব্যাট তেমন কিছু নয়
চোখ ঘোরাতেই দেখা যায় চার ছক্কা হয়।
আমাদের ছেলেরা এমন করে খেলবে যে কবে
ধ্বংস স্তুপ থেকে দল ম্যাচ ঘুরিয়ে নেবে।
আশরাফুলদের কনফিডেন্সের বড়ই অভাব
পড়তে নিলে একে একে ঝরে পড়ার স্বভাব।
একটা পড়লে পরের জনের দায় যে অনেক বেশি
সেদিকে খেয়াল রেখে শক্তি উদ্যমে হবে সাহসী।
ধোনীদের মত করে দলকে জেতাবে
মাহেলাদের মত করে প্রতিপক্ষকে এড়াবে।
বাংলাদেশের মনের জোর হলে এতো কম
বিশ্বকাপের দলগুলো সব হবে ওদের যম।
সময় থাকতে কলা কৌশলে সাবধান হওয়া চাই
বাপের ব্যাটা শক্ত হলে হারাবে বুকের পাটা এমন কারো নাই।

ডেঙ্গু জ্বর

লোক লোকালয়ে ছড়াচ্ছে জ্বর,
ডেঙ্গু মহা ত্রাস।
দিন দুপুরে এডিস মশা,
চালাচ্ছে সন্ত্রাস।
সচেতনতা খুবই জরুরী,
যেন সবাই সজাগ রয়।
আস্তাকুড়েই বিনাশ করতে
যেন সচেষ্ট হয়।
হঠাৎ করেই উচ্চ জ্বর
মাথা ব্যাথা সাথে।
জোড়ায় ব্যাথা পেশী ব্যাথা,
ব্যাথা চোখের পিছনটাতে।
ক্লান্তি,বমি,র্য্যাশ
জ্বরের পরেই হয়।
ক্ষেত্র বিশেষে রক্তপাত
জটিলতর হয়।
প্রথমবারে ফ্লু বলে
ভ্রমে মনে হয়।
দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু হলে
অনেক প্রকট হয়।
ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিবার
যাকে ডেঙ্গু শক সিন্ড্রম কয়।
লিভার,লিম্ফ,ব্লাড ভ্যাসেলের
মারাত্মক ক্ষতি হয়।
পরিত্রাণে সবার আগে
মশারী ব্যবহার চাই।
মশক নিধনে যা করনীয়
সবই করা চাই।
ঔষধপাতি,পথ্য,বিশ্রামে
চাই সঠিক নিয়ম মানা।।
ডেঙ্গু জ্বরে হোমিও ঔষধ
নাক্স,ইউপেটো,আস,বেলাডোনা।‍‌

বিড়ম্বনা

আপিসের ক্লারক
জীবনটা ডারক,
অন্দরে ‍শোনা যায় শুধু হাক ডাক ।

গিন্নীর ফরদ ,
হাতে পেয়ে মরদ এর
তেঁতে উঠে টাক।

জামাইর বায়না ,
‍মেয়ের গয়নাা,
নইলে বাজবেনা বিয়ের ঢাক।

সাধ্যে আমার কুলায় না,
কাজে মন বসে না,
আপিসের কাজ রইল পড়ে থাক।

কলমটা যেতে চায় ,যায় উড়ে যাক।

চৈতালী সুর

আকাশ জুড়ে চলছে ছুটে,
চৈতালী মেঘের ভেলা।
মনের আকাশও সেজেছে আজ,
বসেছে খুশির মেলা।
নাইবা পেলাম দুরের আকাশ,
তারার হাতছানি।
পরম নির্ভরতায় তোমার আকাশে,
মেলব ডানাখানি।
গোলাপ সুবাসিত পাপড়ি রঙে,
সাজাব নীড় খানি।
কঙ্কটহীন ভালবাসায়,
ভরবে ভূবন খানি।

এস এম এস বসন্ত

দখিনা বাতাসে পাতা ঝরা সুরে ,
বসন্ত দোলা দেয় কোকিলের সুরে।
কুহুতানে দোলা লাগে ফাগুনি বাতাসে,
শুকতারা উকি দেয় মনেরি আকাশে।
ছাদে উঠে তারা গুলি গোনে বসে বসে,
আনমনা হয়ে মেঘে মেঘে ভাসে।
মুঠো ফোনে গুন গুন অবিরাম দিবসে,
বইগুলি কভারে ঢাকা পড়ে পাশে।
রাত কাটে ফেসবুকে না হয় এস এম এস এ,
নির্ঘুম সকালে, ধরে হতাশে।
চেতনাগুলি হারিয়ে যায় স্মৃতির পাহাড়ে,
বিবেকটা জমে যায় অস্তিত্বের তুষারে।

নীল পরী

আকাশে‍র নীলিমায় ন‍ীল পরীতে,
সীমাহীন তাঁত বুনে রুপালী জরিতে।
অঙ্গ তা‍র বুটিদা‍র খচিত উল্কি,
বাহারি চাদর যেনো খচিত চুমকি।
চেয়ে থাকে বাতায়নে নির্ঘুম প্রহরে,
দিবানীশি ‍খোঁজে ফিরে মনের ‍মুকুরে।
ভাবনায় আনচান ঢাকে আঁধারে,
খুঁজে খুঁজে হয়রান স্বপ্নের ‍বিভোরে।
দুঃখের ছায়া যে‍নো নেমে আ‍সে ম‍‍র্তে,
বুক বাঁধে ফের আবার আগমনি শ‍‍র্তে।
হাসি হাসি মুখখানি স্বর্গের খনি,
নীল জলে ছায়া ফেলে যেনো নী‍লমনি।

লীগ শিরোপা

ফুটবলে আমাদের সেরা দুই দল
পয়েন্ট তালিকায় থাকে শীর্ষে সমুজ্জল।
আবাহনী মোহামেডান
হয় রানার্স আপ নয় চ্যাম্পিয়ন।
কেউ খাটো নয়
খেলাতে তো থাকবেই জয় পরাজয়।

মুক্তিযোদ্ধা ফকিরের পুল
দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে, নেই তাতে ভুল।
সেমি ফাইনালে উঠেছে এবার
আকর্ষনীয় খেলা খেলে, দৃষ্টি কেড়েছে সবার।
ওয়ান্ডারার্স ব্রাদার্স
খেলায় নেই তেমন উচ্ছাস।
নিতে পারেনি দলের দায়
কোয়ার্টার ফাইনালের আগেই নিতে হয়েছে বিদায়।
রহমতগঞ্জ ফরাসগঞ্জ শুধুই গুঞ্জন শুনি
কখনো পায়নি লীগ শীরোপা,কল্পনার জাল বুনি।
গোপীবাগ আরামবাগ কুসুম বাগেই আছে
কলিই রয়ে গেছে, ফুল হয়ে ফোটেনি লীগের গাছে।
অন্যান্য দলগুলি এখনো অর্বাচীন
পয়েন্ট তালিকায় সবার নিম্নে,দলের চেহারা মলিন।
বি, কে, এস, পির বের হচ্ছে তরুণ খেলোয়াড়
দেখা যাক কতখানি সন্মান করতে পারে যোগাড়।
দলের জন্য চাই ব্যাক্তি স্বার্থ বাদ দিয়ে উদ্জীবিত হয়ে খেলা
দেশের জন্য চাই সফলতার স্বাক্ষর রেখে দেশের পতাকা শীর্ষে তোলা।

ঘুড়ি

মেঘ ছুঁই ছুঁই পাখি নয় সে,
হালকা হাওয়ায় পাখা মেলে আকাশে,
লাল, কমলা, বেগুনি, সবুজ, হলুদ, নীল নীলিমায় মিশে,
যেন সূর্য্যের সাত রঙ,রঙধনু হয়ে দিগন্তে ভাসে।
থেকে থেকে সাপের মত ফনা তুলে,
ছন্দ হিন্দোলে নাচেও হেলে দুলে।
এগিয়ে আসে একে অন্যের দিকে,
গলা গলিতে ছিটকে পড়ে দু জন দুদিকে।
আসলে ঘুড়ি মাঞ্জা সুতার সব কাজ,
হাতে ধরা লাটাই দেখায় সব কারু কাজ।

কম্পিউটর গেম

বেড়ে উ‍‍ঠছ‍ে দালান কোঠা
‍খেলার মাঠ ‍নাই।
পড়ার চা‍পে শিশুদের
‍খেলার সময় ‍নাই।
‍খেলা এখন জ‍‍মে উঠে
কম্পিউটরের পর্দায়।
ঘরে বসেই হাযার খলা
খ‍ল‍ে‍ছে সকাল সন্ধায়।

ছোট্ট শিশুরাও রপ্ত কর‍ে‍ছে
পি সি র ব্যবহার।
ঘুম ‍থেকে ‍জ‍ে‍গে উঠেই
ধরে গেমের আবদার।
ভি ডি ও গেম মাতি‍য়ে ‍র‍েখ‍েছে
শিশু ,কিশোরদের।
চ্যাট রু‍মের বাড়তি আকর্ষণ
টান‍েছ ‍বেশি তা‍দের।
পি সি ‍কে ঘি‍রেই আজকের শিশুরা
‍সব রয়েছে মেতে ।
ইন্টার নেটের বদৌল‍েত
পাচ্ছে তারা হাতে।

নির্মম পরিহাস

অর্বাচীনের মত যত কর উপহাস
গলায় পড়বে ঘ্যাগ সাক্ষী ইতিহাস।
ভুরি ভুরি কত ছলনারা হয়েছে ধূলিস্যাৎ
অসময়ে ক্রোধের অনল ঘিরবে অকস্মাৎ।
উদাসীন যারা বলছ কথা বেফাঁস
বুমেরাং হয়ে আসবে ঘিরে তামাশার ফাঁস।
কৃতকর্মের ফল, ঠিক ততটুকু যা করেছো চাষ
বুঝবে সেদিন কি ছিল পূর্বাভাস।
কার আদেশ, কেন দিয়েছেন আভাস
ফিরতে চাইলেও মিটবেনা অভিলাস।
নবায়ন হবেনা, রুদ্ধ হবে কণ্ঠ, আজীবন কারাবাস
অপরিণামদর্শিতার নির্মম পরিহাস।

পৃথিবীর থ্রী ডি

পৃথিবীর গভীর আলিঙ্গনে, পাহাড় দাঁড়িয়ে শীর উঁচু করাা
পরতে পরতে সাজানো ‍য‍তনে নানা উপাদানে ভরা।
থাকে পানির প্রস্রবন ধরাকে করতে শিক্ত,
থাকে আগ্নেয়গীরি অগ্নুৎপাত লাভা করতে অরন্য রিক্ত।
থাকে গ্যাস পেট্রোল থাকে সোনা দানা,
থাকে কয়লা, হিরা, থাকে জেম, কত কিছ‍ু অজানা।
পাহাড়ের খবর দেয় মুসিক সুড়ুঙ্গতে আনা গোনা,
পেরেকের রূপে পৃথিবীর বুকে পোতা এন্টেনা।

পৃথিবীর বুক চিরে সমুদ্র শুয়ে নীল চাদরে ঢেকে,
মোবাইল ডিজাইন চাদরে হরদম নকশা আঁকে।
বিচরন করে মাছ, হাঙ্গর, তিমি আবাস জলজ প্রানীর,
তলায় জন্মে জলজ উদ্ভিদ শৈবাল, ঘেরা মজবুত প্রবাল প্রাচীর।
মানুষেরা শুষে নিচ্ছে তেল-গ্যাস অতুল সম্পদ,
ছেড়ে দিচ্ছে বিষাক্ত বর্জ্য বিনাশে জলজ সম্পদ।
রাতের আলোতে বাহারি চাদর ঝলমল করে,
স্বর্গীয় রূপালী অপ্সরীরা ডিসপ্লে শো করে।

পৃথিবীর কো‍লে রূক্ষ মেজাজে ছড়িয়ে মরূভূমি,
উদয়‍াস্ত সূর্য গভীর মমতায় দিয়ে যায় চুমি।
মায়া মরিচিকা কুহেলিকা যতো বদনাম,
তার মাঝে আছে খর্জুর বৃক্ষ আছে মরুদ্যান।
আছে ‘উট’ মরূ-জাহাজ পথ হারাকে বইতে,
আছে ‘ভেক’ সচ্ছ সলিলে পথ হারার তেষ্টা মেটাতে।
মরূর বুকে আছে তেল-গ্যাস আছে সোনার খনি,
তপ্ত মরূতেই নাজিল হয়েছে পৃথিবী রহস্যের বানী।

লেখক

মাথায় কত ঘুরছে পোকা
দিবস রজনীতে।
পোকা গুলো নামাতে গিয়ে
ভরছে পাতাতে।
মনের ভিতর জাগছে কত
নানান উথাল পাথাল।
গদ্যে কিম্বা পদ্যে তারি
লিখছে আকাশ পাতাল।
অনিয়মের বেলায় ধরে
যেনো ধারালো অসি।
শোসক কুলের ভীতির সঞ্চার
রুখতে গিয়ে মসী।
প্রেমের জোয়ারে কাব্য গাথায়
উছলে উঠে ঝরণা।
রঙ রসে প্রণয় ভেরীতে
জাগিয়ে তোলে বন্যা।
প্রকৃতি তার উদার চোখে
ছড়ায় মাধুরীতে।
ছড়ায় আসে ছন্দে আসে
লেখার জাদুতে।
পেষনের যাঁতাকলে পিষ্ঠ করেছে
থেতলে দিয়েছে শাসক।
অসির চেয়ে মসী ই বড়
যুগে যুগে প্রমান করেছে লেখক।

প্রভাকর

সোনালী আবিরে মায়াময় প্রভা,
পূর্ব দিগন্তে বিচ্ছুরিত আলোকের শোভা।
কল কাকলিতে মুখরিত বন বনানী,
দিনের আলিঙ্গনে জেগে উঠেছে ধরণী।
গাছ গাছালী,পাখ পাখালী,করছে সূধা পান উর্ধ পানে চাহি,
সোনা ঝরা রোদে ব্যস্ত সবাই নিরন্তন চলছে অবগাহি।
সোনালী বরণ আগুনের গোলা তেতে উঠে দুপুরে,
সাগর,নদীর পানি হালকা হয়ে জমে মেঘের আকারে।
চক্রাকারে নিজের ফাঁদে আটকে পড়ে রবি,
মুখোশ খুলে যায় বর্ষণে শীতল বারী।
হালকা মেঘে ম্যাজিকের মত রংধনু হয়ে,
ভেসে উঠে সূর্য্যর প্রতিচ্ছবি হয়ে।
শক্তিধর সূর্য্য সেও ম্রিয়মান হয়,
চাঁদ এসে যখন তার পথে বাধা হয়।
সৌর পরিবারকে অবিরাম আবর্তনে ব্যাস্ত রেখে,
বিকেলের নিস্তেজ অরুণ অস্তাচলে ঢাকে।

দাবা

দাবা খেলা বুদ্ধির খেলা
সবটাই কৌশল।
তার সাথে হাতি ঘোড়া
আছে সৈন্যদল।
হাতি ঘোড়া মন্ত্রী সেপাই
লড়ছে মাঠে সবাই।
সুযোগ পেলে ছিনিয়ে নেবে
শত্রুর সব মাথাই।
মন্ত্রী অনেক ক্ষমতাধর
দেখায় কত দাপট ।
রাজা মশাই চমক দেখে
দেয় আড়ালে চম্পট।
ঘোড়া চলে লাফিয়ে
হাতি চলে বাঁকা।
দাবার ছকে যেনো
গোটা রাজ্যটাই আঁকা।
রাজামশাই আছে দেখেই
করছে বাজিমাৎ।
রাজামশাই পড়লে ধরা
সবাই কুপোকাৎ।
দাবা অনেক পুরোনো খেলা
বিশ্ব জুড়ে নাম।
গ্রান্ড মাষ্টার নিয়াজেরা
পেয়েছে যার সুনাম।