পৃথিবীতে শত শত বছর যাবৎ মানুষ বসবাস করছে। কত জন মানুষ তার জীবনের করে যাওয়া স্মৃতি, কৃতিত্ব, নাম বা অর্থ রাখতে পেরেছে আবহমান পর্যন্ত। আমরা যদি প্রত্যেকে কিছু না কিছু ব্যতিক্রম ভালো কিছু করে যাই ভবিষ্যতের জন্য। তাহলে অবশ্যই আমাদের বেঁচে থাকার অর্থ বা নাম থাকবে পরের প্রজন্ম পর্যন্ত। তারাও এটাই করবে ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য। এই ভাবে মানুষ তার কাজের কৃতিত্বের শান্তি চিরকাল ভোগ করতে পারবে। পৃথিবীটাও সৃষ্টিশীল হবে। তাহলে হয়তো নিজের সৃষ্টির স্বাদে অন্যকে ঠকানো বা প্রতারণা থেকে দূরে থাকবে। পৃথিবীটাও সুন্দর হবে।
বিভাগের আর্কাইভঃ প্রযুক্তি
Investigation of the Parameters of Indoor Spaces in Controlling the Transmission of COVID-19
By Md. Safiuddin, Navid Esmaeli, Nicholas Dunne, Jacqueline Horne, Merve Erenler, Nirmala Singh, Sebastian Kleefisch, Baryalai Sharifi
EXECUTIVE SUMMARY
This study examined the transmission risk of COVID-19 in indoor spaces and how the modifications of certain building parameters can reduce that risk. It is the duty of responsible members of the construction industry to not only be aware of public health issues but also to explore and examine how built spaces can be reformed to be safer. As individuals return to their pre-pandemic routines, it is crucial to understand the building parameters of interior spaces that affect the transmission of COVID-19, and to create guidelines to protect the occupants of buildings.
The primary research for this project was conducted through an analytical study for modeling a classroom (CLE-326) at the Casa Loma Campus of George Brown College. Assessment tools were developed based on the findings of secondary research, i.e., literature review pertaining to the major building parameters and their effects on the transmission of COVID-19 in indoor spaces. The research was performed by studying the effects of the key building parameters on indoor airflow trajectory and velocity, deposited mass concentration on desk and table surfaces as well as door push bars, suspended mass concentration of air at mouth level, relative proportions of the particles of different sizes in deposited and suspended masses, local mean age and turbulence intensity of air, local air quality index at mouth level, and mass deposition rate of the particles of various sizes.
In total, twenty-four models were developed for the selected classroom using SolidWorks. Twelve models were developed for the winter season and the other twelve models for the summer season. The key variables used in developing the models were relative humidity of indoor air, room temperature, air change rate, occupant density, and surface finish. The indoor temperature and relative humidity were varied in summer and winter seasons. The room temperature and relative humidity chosen for the winter models were 22°C and 40%, respectively. On the other hand, for the summer models, the room temperature and relative humidity were 24°C and 50%, respectively. For both seasons, the air change rates of 2, 4, 6 were used in the development of models. The occupant density was also varied – twelve models were developed considering the full capacity of the classroom, which is intended for 60 students, using 1.85 m2 floor area per student. The other twelve models were developed for 30 students, considering 3.7 m2 floor area per student. In addition, the half of the models were developed taking all surfaces into account as smooth. The remaining half of the models were developed by considering the high-contact areas, such as the desk, table, and door push bar surfaces as rough.
The classroom models were simulated to observe indoor airflow trajectory and velocity, suspended mass concentration of the room air, and the deposited mass concentrations on desk and table surfaces as well as door push bars that frequently become in contact with students and their professor. In addition, local mean age of indoor air, average indoor air temperature, average relative humidity of air in the classroom, turbulence intensity of air, and local air quality index were derived from the simulation of different classroom models. The relative amounts of the particles within the deposited and suspended masses in respect of various sizes were also determined from the models, with a focus on 2.5 μm, 5 μm, and 10 μm sizes. Furthermore, the mass deposition rates of the particles of these three sizes were determined. The above model results were obtained for the summer and winter seasons. In both seasons, the selected key building parameters exhibited significant impacts on the model outputs, except for surface finish, which has shown marginal effect. However, more impacts were noticed in the case of winter models due to lower temperature and relative humidity. Besides, the greatest effect was observed for air change rate, followed by occupant density in the classroom. The overall findings of the study were used to formulate the health and safety guidelines for indoor spaces.
নিলামে কার্ডলেস ০% ইএমআইতে পাওয়া যাচ্ছে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য্য ইলেকট্রনিক পন্য
দৈনন্দিন জীবনকে সহজ ও উপভোগ্য করতে Nilam এ আছে শত শত পন্য। এর মধ্যে ইলেকট্রনিক পন্য গুলো সবার জীবনকে সহজ ও সুন্দর করতে পারে। আজকের আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হবে নিলামের ১০ টি পন্যের ব্যপারে যেগুলো প্রতিদিন আমাদের জীবনে কাজে লাগে। কিছু পন্য ছাড়া আমরা একদিন ও চলতে পারিনা। এই আর্টিকেলে নিলামে সহজলভ্য ঐ পন্য গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আর নিলাম থেকে পন্য কিনতে পারছেন কার্ডলেস ০% ইএমআই সুবিধা সহ। আপনার ক্রেডিট কার্ড থাকতে হবে না, কোন সুদ দিতে হবেনা।
ফ্রীজ
রেফ্রিজারেটর বা ফ্রীজ এখন আর কোন বিলাস পন্যের মধ্যে পরেনা। আধুনিক জীবনের একটি প্রয়োজনীয় জিনিস ফ্রীজ। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে ব্যস্ততা বাড়ার পাশাপাশি আমাদের অনেক কাজ করার সময় কমে যাচ্ছে। এর মধ্যে প্রতিদিন বাজার করা একটি। উপরন্তু খাবার সতেজ রাখার জন্য ফ্রীজ একটি অনবদ্য যন্ত্র। নিলামে নামি দামী সব ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটর আছে। আপনার পছন্দ মতো ব্র্যান্ডের ফ্রীজ অর্ডার করতে পারেন এখানে।
স্মার্ট টিভি
স্মার্ট টিভি কালেকশনে নিলাম এখন বাজারের সবচেয়ে এগিয়ে। এখানে সকল ব্র্যান্ডের স্মার্ট টিভি পাচ্ছেন। সারাদিনের ক্লান্তি শেষে বাসায় ফিরে বিনোদনে সঙ্গী স্মার্ট টিভি। ইন্টারনেট ব্রাউজিং, অ্যাপ ইনস্টল করার সুবিধা, ও আরো নানাবিধ আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন স্মার্ট টিভি অর্ডার করতে ভিজিট করুন নিলাম ওয়েবসাইট। আর কার্ডলেস ইএমআই সুবিধাতো থাকছেই।
ওয়াশিং মেশিন
অনেকের জন্য বিলাস পন্য হলেও, যারা অনেক ব্যস্ত জীবন যাপন করেন তাদের জন্য খুবই দরকারি পন্য ওয়াশিং মেশিন। স্যামসাং, শার্প সহ সব বিশ্বসেরা ব্র্যান্ড এর ওয়াশিং মেশিন কিনতে এখানে ক্লিক করুন।
মাইক্রো ওয়েভ ওভেন
গৃহিনীরাই কেবল বুঝতে পারে মাঝে মাঝে একটি মাইক্রোওয়েভ ওভেন কত জরুরি হয়ে পরে। নিলাম দিচ্ছে কিস্তিতে সকল ব্র্যান্ডের মাইক্রোওয়েভ ওভেন কেনার সুযোগ।
ওয়াটার পিউরিফায়ার
বিশুদ্ধ পানির নাম জীবন। কিন্তু আমাদের এই যুগে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া দুষ্কর। তাই ওয়াটার পিউরিফায়ার প্রতিটি ঘরের একটি আবশ্যিক পন্যে পরিণত হয়েছে। নিলামে সব গুলো টপ ব্র্যান্ডের ওয়াটার পিউরিফায়ার পাবেন বাজারের সবচেয়ে কম দামে।
ইস্ত্রি
ইস্ত্রি বা আইরন আরেকটি দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় বৈদ্যতিক যন্ত্র। আমাদের কাপড় গুলোকে সুন্দর ও গোছানো রাখতে ইস্ত্রি একটি অত্যাবশ্যকীয় পন্য। এখন অনেক ব্র্যান্ডের আইরন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। তবে সব গুলো সেরা ব্র্যান্ডের আইরন এক প্ল্যাটফর্মে পেতে নিলামের ওয়েব সাইট ভিজিট করুন।
ব্লেন্ডার
ব্লেন্ডার আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করেছে। আগেকার যুগে মশলা বাটার জন্য বা গুড়া করার জন্য অনেক ঝামেলা পোহাতে হতো। এখন ব্লেন্ডার দিয়ে নিমিশেই এগুলো করে নেয়া যাচ্ছে। তাছাড়া ও অনেক ধরণের জুসার দিয়ে বানানো যায় ফলের জুস। তাই ব্লেন্ডার সব বাসাতেই দেখা যায়। নিলামে আপনারা সব ব্র্যান্ডের, ভালো কোয়ালিটির ব্লেন্ডার পাচ্ছেন। তাই জীবনকে আরেকটু সহজ করতে আজই নিলাম থেকে ব্লেন্ডার অর্ডার করুন।
ওজন মাপার মেশিন
স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের জন্য নিয়মিত ওজন মাপা খুব গুরুত্বপূর্ন। প্রতিদিন ওজন মাপার জন্য বাইরে যাওয়া বা অন্য কারো মেশিন ব্যবহার করা একটা বিরক্তিকর ব্যাপার। তাই নিজের জন্য নিলাম থেকে একটি ব্যাক্তিগত ওয়েট মেজারমেন্ট মেশিন কিনে নিন। এ ছাড়া আছে কিচেন ওয়েট মেশিন যা দিয়ে সহজেই ফলমুল, সবজি, মাংশ সহ অনেক কিছুর ওজন মাপা যাবে।
অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সাইট কোনটি? এটি কেন জনপ্রিয়?
কোন সাইটকে নির্দিষ্ট করে সবচেয়ে জনপ্রিয় বলাটা সম্ভবত ঠিক হবেনা। কারণ আমাদের দেশে অনেক গুলো ই-কমার্স সাইট খুব ভালো কাজ করছে। এটার জন্য যথেষ্ট কারণও আছে। নিচে কয়েকটি ই-কমার্স সাইট নিয়ে আলোচনা করা হলো এবং কেন এগুলো জনপ্রিয় সেটা ও তুলে ধরা হলো।
*দারাজঃ *নিঃসন্দেহে দারাজ এখন দেশের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স প্লাটফর্ম। ২০১২ সালে দারাজের ব্যবসায়িক কার্যক্রম যখন শুরু হয় তখন দেশের অনেক ই-কমার্স শুরুই হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশে দারাজ তাদের কার্যক্রম শুরু করে ২০১৫। শুরু থেকেই তারা মার্কেটিং এ মনযোগ দেয়। দেশের তারকাদের এম্বাসেডর করে তারা প্রচার শুরু করে। শুরু থেকেই দারাজ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অফিসিয়াল স্পনসর হয়। যার ফলে খুব দ্রুত দেশের আনাচে কানাচে দারাজের নাম ছড়িয়ে পরে। তারা দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্লাটফর্ম এতে কোন সন্দেহ নেই।
*চালডালঃ* যদি দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় পণ্যের কথা বলা হয় তাহলে চালডালকে সবার উপরে রাখতে হবে। তারা নির্দিষ্ট করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে কাজ করছে। এ ধরণের পণ্যের জন্য তারা একটি বিশ্বস্ত নাম।
*নিলামঃ* নিলাম (https://nilam.xyz/) যদিও সাম্প্রতিক সময়ে কাজ শুরু করেছে তবুও এই অল্প সময়েই তারা মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এর বড় কারণ তাদের ০% কার্ডলেস ইএমআই। আপনার যদি কোন ক্রেডিট কার্ড না ও থাকে তারপর ও তারা আপনাকে সুযোগ দিচ্ছে কেনাকাটার সুযোগ। আপনি কার্ড ছাড়াই কিস্তিতে পণ্য কিনতে পারছেন নিলাম থেকে। স্মার্টফোন, টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন সহ যে কোন পণ্য।
রকমারিঃ বই কেনার জন্য সবচেয়ে বিশ্বস্ত নাম। এখানে দেশি বিদেশি সব ধরণের বই পাওয়া যায়। বই প্রেমীদের কাছে রকমারি এক আস্থার নাম।
পিকাবুঃ ইলেকট্রনিক পণ্য কেনা বেচার জন্য পিকাবু দেশীয় মার্কেট ইতিমধ্যে অনেকটা ধরতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সবচেয়ে বড় ই- কমার্স সাইট কোনটি ?
১৮ কোটি মানুষের একটি বড় মার্কেট হওয়ায় বাংলাদেশ বর্তমান বিশ্বের ই-কমার্স ব্যবসার একটি স্বর্গরাজ্য। এখানে গত এক দশকে অসংখ্য ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করেছে। এর মধ্যে অনেক গুলোই ঝড়ে পরেছে, আবার অনেক গুলো সঠিক মার্কেট রিসার্চ ও মার্কেটিং কৌশল নিয়ে এখন ও টিকে আছে ও খুব ভালো ব্যবসা করছে। তাই একটি নির্দিষ্ট ই-কমার্স সাইটকে সবচেয়ে ভালো ও বড় বলা ঠিক হবেনা। কারন আমাদের দেশের ই-কমার্সে এমাজন এর মতো কোন একক কোম্পানি মনোপোলি করতে পারছেনা। বরং যে ই-কমার্স যে রকম পন্য নিয়ে কাজ করছে সে অনুযায়ী একটি লিস্ট করলে বুঝতে সুবিধা হবে। তাই এখানে বাংলাদেশের টপ ই-কমার্স সাইট গুলোর ব্যাপারে আলোচনা করা হলো সংক্ষেপে।
১। ডারাজঃ এখন পর্যন্ত ডারাজকেই মার্কেট লিডার ধরা হয়। তারা সব ধরণের পন্য বিক্রি করে থাকে।
২। নিলাম (https://nilam.xyz/): নিলাম একটি ইউনিক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। এটা শুধু কেনা বেচার প্ল্যাটফর্ম নয়। এখানে চাইলে আপনার কোন পন্য নিলাম ও করতে পারবেন। অকশানে গিয়ে এটা আপনার পন্য আপনি চাইলেই বিড এর জন্য উঠাতে পারবেন।
৩। রকমারিঃ রকমারি বই কেনার জন্য এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম। এখানে সব প্রকাশনীর সকল বই পাওয়া যায়। চাইলে বাইরের বই ও অর্ডার করতে পারবেন। যে বই স্টকে নেই সেটা স্টক করার জন্য রিকুয়েস্ট ও করা যায়।
৪। পিকাবুঃ ইলেকট্রনিক গ্যাজেট কেনা বেচার জন্য খুব ভালো।
৫। চালডালঃ নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য কেনার জন্য সবচেয়ে বিশ্বস্ত জায়গা চালডাল।
ক্রেডিট কার্ড ছাড়া কি ইএমআই সুবিধা পাওয়া সম্ভব?
জ্বী, বাংলাদেশে কার্ড ছাড়াই 0% রেটে ইএমআই কিস্তিতে পন্য কেনার সুবিধা রয়েছে। নিলাম দিচ্ছে তাদের সকল পণ্যে সর্বোচ্চ ৩৬ মাস পর্যন্ত কিস্তিতে পণ্য কেনার সুযোগ। কোন প্রকার কার্ড ছাড়াই আপনি উপভোগ করতে পারবেন এই সুবিধা।
নিলামে যে কোন পণ্য কিনতে পারবেন কার্ডলেস ইএমআই ব্যবহার করে। এ জন্য আপনি চাকরিজীবী হলে আপনার মাসিক আয় ২০ হাজার বা তার বেশি হতে হবে। শুধু ৩ মাসের ব্যাংকিং কার্যক্রম এর একটা ট্রানজেকশন হিস্ট্রি দেখালেই হবে। আর ব্যবসায়ী হলে আপনার সর্বসাকুল্যে ৩৫ লাখ টাকার ট্রানজেকশন দেখাতে পারলেই হবে। আর কোন ডকুমেন্টস লাগবে না।
নিলাম এর কার্ডলেস ইএমআই সুবিধা নিয়ে কিনে ফেলুন ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিন, স্মার্টফোন সহ সব ধরণের পণ্য।
Go cardless
বিস্তারিত জানতে ডায়াল করুনঃ 01844224191
কিভাবে ইকমার্স ব্যবসা শুরু করবেন?
আপনি কি চাচ্ছেন নিলাম এর মতো একটি ই কমার্স ব্যবসা শুরু করতে? কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন কিভাবে কি করবেন? আপনি তাহলে সঠিক জায়গাতেই এসেছেন। আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের বাংলাদেশে ২০২২ সালে কিভাবে ই কমার্স ব্যবসা শুরু করা যায় সে ব্যাপারে কিছু বলবো। আশা করছি আর্টিকেল পড়া শেষে আপনার দ্বিধা কেটে যাবে আর কিছু ভালো আইডিয়া নিয়ে আপনি আজকেই ই কমার্স ব্যবসায় নেমে যেতে পারবেন। তাহলে ঝটপট আর্টিকেলটি পড়ে নিন।
ই কমার্স কাকে বলে?
সর্বপ্রথম আপনাকে জানতে হবে ই কমার্স কি। তা না হলে আপনি ঠিক পথে এগোতে পারবেন না। ই কমার্স বলতে বুঝায় ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে ব্যবসা যা মূলত ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি ব্যবসা খাত। ই কমার্সে গ্রাহকগণ স্বশরীরে প্রডাক্ট দেখতে পারেন না। শুধু ছবি বা ভিডিও দেখে কিনতে হয়। টাকা লেনদেন ও হয় অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। ই কমার্স কি জানার পরে আপনাকে জানতে হবে কিভাবে শুরু করবেন।
আর্থিক এবং মানসিক প্রস্তুতি
ই কমার্স ব্যবসা শুরুর আগে আপনাকে মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। মানসিক প্রস্তুতি বলতে ই কমার্স ব্যবসায় যে ধরণের ঝামেলা পোহাতে হবে সেগুলোর ব্যপারে। এর পাশাপাশি আরেকটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো আর্থিক প্রস্তুতি। আপনার ব্যবসার ধরণ অনুযায়ী যথেষ্ট টাকা নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে।
প্রডাক্ট রিসার্চ
অসংখ্য ই কমার্স ব্যার্থ হচ্ছে শুধুমাত্র তারা ব্যবসায় নামার আগে প্রডাক্ট রিসার্চ করেনা বলে। তারা ভেবে বসে যে কোন প্রডাক্টই অনলাইনে বিক্রয় করা যায়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে কি প্রডাক্ট নিয়ে কাজ করবেন সেটার উপর আপনার সাফল্যের বৃহদাংশই নির্ভর করছে। যদি নির্দিষ্ট কোন এলাকার কাস্টমার টার্গেট করেন, তাহলে সে এলাকায় কোন প্রডাক্ট চলবে সেটা আগে থেকেই রিসার্চ করে নিতে হবে।
প্রতিষ্ঠানের নাম এবং ডোমেইন হোস্টিং নির্বাচন
প্রডাক্ট ও মার্কেট রিসার্চ হয়ে গেলে প্রতিষ্ঠানের নাম ও ডোমেইন নাম নির্ধারণ করুন। আপনার প্রডাক্ট সমূহ একটি নির্দিষ্ট প্লাটফর্মে রাখার জন্য আপনার নিজের ই কমার্স ওয়েবসাইট প্রয়োজন। এতে করে প্রডাক্ট নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী অপটিমাইজ করতে পারবেন। মার্কেটিং এর সময় এসইও করা ও সহজ হবে।
মার্কেটিং
প্রডাক্ট বিক্রির জন্য দশটি নিয়ম, এর প্রথমটি হলো ভালো পন্য, আর বাকি নয়টি হলো মার্কেটিং। প্রডাক্ট রিসার্চ, মার্কেট রিসার্চ, ওয়েবসাইট সব হয়ে গেলে এবার মার্কেটিং এর পালা। সকল স্যোশাল মিডিয়ায় নিজেদের প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য সব খানে প্রোফাইল করতে হবে। সব খানে আপনার প্রডাক্টকে বুস্ট করুন। এটা গেলো অনলাইন মার্কেটিং। অফলাইনে ও প্রচুর মার্কেটিং করতে হবে।
পেমেন্ট এবং ডেলিভারি সিস্টেম
ই কমার্সের পেমেন্ট গেটওয়ে হতে হয় গ্রাহকদের জন্য সুবিধাজনক। যত সহজে একজন গ্রাহক লেনদেন করতে পারবে সে ততবেশি ঐ প্লাটফর্ম থেকে পন্য কিনতে আগ্রহী হবে। একই কথা প্রযোজ্য ডেলিভারি সিস্টেম এর ক্ষেত্রে ও। ডেলিভারি সিস্টেম করতে হবে দ্রুত ও অল্প খরচে।
আফটার সেলস সার্ভিস বা কাস্টমার সাপোর্ট
যদি আপনি আপনার বিক্রিত পণ্যের ক্ষেত্রে বিক্রয় পরবর্তী কিছু সার্ভিস দেন, তাহলে আপনার পন্য বিক্রয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে বহুগুণ। যেমন, পন্য ফেরত দেয়া সহজ করতে হবে, রিফান্ড পলিসি গ্রাহকদের জন্য সহজ ও সুবিধাজনক করতে হবে, ওয়ারেন্টি গ্যারান্টি সিস্টেম রাখতে হবে।
সর্বশেষ
পরিশেষে বলবো, ই কমার্স ব্যবসায় অন্যদের সাফল্য দেখে হুটহাট শুরু করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন না। প্রথমেই নিজেকে জিজ্ঞেস করুন আপনি আর্থিক ও মানসিক ভাবে কতটা প্রস্তুত। যদি সব দিক ঠিক থাকে, তাহলে উপরে উল্লেখিত ধাপ গুলো অনুসরণ করে আপনার ই কমার্স ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
Lotus-Leaf-Inspired Biomimetic Coatings: Different Types, Key Properties, and Applications in Infrastructures
Abstract:
A universal infrastructural issue is wetting of surfaces; millions of dollars are invested annually for rehabilitation and maintenance of infrastructures including roadways and buildings to fix the damages caused by moisture and frost. The biomimicry of the lotus leaf can provide superhydrophobic surfaces that can repel water droplets, thus reducing the penetration of moisture, which is linked with many deterioration mechanisms in infrastructures, such as steel corrosion, sulfate attack, alkali-aggregate reactions, and freezing and thawing. In cold-region countries, the extent of frost damage due to freezing of moisture in many components of infrastructures will be decreased significantly if water penetration can be minimized. Consequently, it will greatly reduce the maintenance and rehabilitation costs of infrastructures. The present study was conducted to explore any attempted biomimicry of the lotus leaf to produce biomimetic coatings. It focuses on anti-wetting characteristics (e.g., superhydrophobicity, sliding angle, contact angle), self-cleaning capability, durability, and some special properties (e.g., light absorbance and transmission, anti-icing capacity, anti-fouling ability) of lotus-leaf-inspired biomimetic coatings. This study also highlights the potential applications of such coatings, particularly in infrastructures. The most abundant research across coating materials showed superhydrophobicity as being well-tested while self-cleaning capacity and durability remain among the properties that require further research with existing promise. In addition, the special properties of many coating materials should be validated before practical applications.
প্রিয় ফেসবুক বন্ধুরা সাবধান!
সকালে ঘুম থেকে ওঠে মোবাইলটা অন করে প্রথমেই ফেসবুকে টু মারা হলো, অনেকেরই দিনের প্রথম কাজ। তারপরই অনলাইনে থাকা আরও আরও সামাজিক সাইটে আনাগোনা-সহ নিজের দৈনন্দিন কাজ শুরু করেন অনেকেই।
কিন্তু নিজের দৈনন্দিন কাজ কোনদিন গোল্লায় গেলেও ফেসবুকটাকে কেউ গোল্লায় যেতে দেয় না। কারণ বর্তমান সময়ে ফেসবুকটা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বুকের মধ্যিখানে কাঁঠালের আঠার মতো সবসময়ের জন্য লেগেই আছে।
তাই অনলাইনে বিভিন্ন সাইটে সপ্তাহে দু-একদিন প্রবেশ করলেও কারোর কোনও সমস্যা হয় না। কিন্তু মোবাইলে এমবি নামের ইন্টারনেট অথবা ওয়াইফাই সংযোগ থাকলেই ফেসবুক দর্শন করতে হয় খুব সকাল থেকেই।
এর কারণ বর্তমান সময়ে ফেসবুক হলো বিশ্বের জনপ্রিয় এক যোগাযোগমাধ্যম। তা-ও আবার একেবারে সস্তা দরে। যেমন সস্তা আনন্দের বিনোদন। তেমনই সস্তা একে অপরের সাথে খুবই শর্টকাটে যোগাযোগ করার সুযোগ। তা হোক কলে বা মেসেঞ্জারে বা ভিডিও কলে।
তাই বর্তমান সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় যোগাযোগমাধ্যম হলো এই ফেসবুক। এই ফেসবুক যোগাযোগ মাধ্যমে আছে অনেককিছু। আছে আনন্দ, নিরানন্দ, হাসি-কান্না, জয় এবং ভয়-সহ সবকিছুই।
আনন্দের কারণ হলো, একজন মানুষ নতুন একটা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল বাজার থেকে কিনে প্রথমেই ফেসবুকে সাইন আপ করে ফেলে। তারপর লগইন। লগইন করা সম্পন্ন হলেই ফেসবুক নিজে থেকে কিছুসংখ্যক ফেসবুক ব্যবহারকারীর তালিকা দেখায়। সেই তালিকায় বেশিরভাগ ব্যবহারকারীই থাকে নিজ এলাকার এবং ঘনিষ্ঠ পরিচিত ব্যক্তিবর্গ। তখন নতুন লগইন করা ফেসবুকার নিজ এলাকার মানুষের তালিকা দেখে খুশিতে টগবগিয়ে বেছে বেছে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্টে টাচ্ করে। কিছুক্ষণ পর রিকুয়েষ্ট পাওয়া ব্যক্তিও স্বাচ্ছন্দ্যে রিকুয়েষ্ট গ্রহণ করে। হয়ে গেলো বাল্যবন্ধু বা চিরবন্ধু বা ফেসবুক বন্ধু।
তারপর নতুন ব্যবহারকারী নিজের প্রোফাইলে একটা ছবি আপলোড করে। সেই ছবিটা হোক নিজের, নাহয় হোক গাছপালা বা তরুলতার। ছবি যেটা বা যে রকমই হোক না কেন, ছবিটা আপলোড করার সাথে সাথে ছবিতে কেউ-না-কেউ লাইক দেয়, কমেন্ট বা মন্তব্য লিখে। যেমন: Nice, Good, Beautiful এরকম।
সেই লাইক-কমেন্ট দেখে নতুন ব্যবহারকারী আনন্দের জোয়ারে ভাসে। সেই আনন্দ থেকেই মহানন্দে দিন শেষে রাত জেগে ফেসবুকে একের-পর-এক ছবি আপলোড করা-সহ সারাক্ষণ ঢুঁ মারতেই থাকে। সাথে মাঝেমধ্যে দু’একটা শব্দ লিখে ছোট বড় আকারের স্ট্যাটাসও দিতে থাকে। যাকে বলে পোস্ট। সেই পোস্টে পড়তে থাকে লাইক-কমেন্ট। ব্যবহারকারীও পেতে থাকে ভীষণ আনন্দ। একসময় নিরানন্দেও কাঁদতে থাকে, যেকোনো একটা স্ট্যাটাস বা যেকোনো মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে। তখন আনন্দের জায়গায় নেমে আসে নিরানন্দ!
নিরানন্দের কারণ হলো, আপত্তিকর ছবি বা বিপত্তিকর স্ট্যাটাস বা পোস্ট। যদি হয় কোনও ধর্মগুরু বা কোনো দেবদেবী বা কোনও মহাপুরুষের বিকৃত ছবি, আর যদি হয় ধর্ম অবমাননাকর কোনও স্ট্যাটাস; তাহলেই বাঁধলো বিপত্তি ক্যাঁচাল। সেই ক্যাঁচালে ক্যাঁচালে মনের আনন্দ হারাম হয়ে নিরানন্দে রূপ নেয়। রূপ নেয়া নিরানন্দে পোস্ট দাতা নিজেও কাঁদে, তার সাথে তার কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীরা কাঁদে। কেউ আবার মনের আনন্দে শেয়ারের পর শেয়ার করে হাসতে থাকে।
হাসা হাসির কারণও আছে। সেগুলো হলো, ছবি বা কোনও মজার হাসির লেখা পোস্ট। কেউ যদি একটু অঙ্গি-ভঙ্গি করে একটা সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে, তার ফ্রেন্ড লিস্টে থাকা বন্ধুরা হাহা হিহিহি করে হেসে হেসে মন্তব্য লিখে। কেউ আবার মন্তব্যের ছোট বক্সে হাসির ইমোজি স্টিকারও সেটে দেয়। আবার কেউ যদি একটা মজার কৌতুক লিখে পোস্ট করে, তাহলেও তার ফ্রেন্ড বা বন্ধুরা হাসাহাসি করেই লাইক-কমেন্ট করে লিখে, ‘দারুণ লিখেছেন বন্ধু! আপনার লেখা পড়ে হাসতে হাসতে জীবন যায় যায় অবস্থা।’
এই হাসির মাঝেও দুঃখকষ্ট ও কান্নার উত্তাল ঢেউ লক্ষণীয়। তা হলো, কারো কারোর পোস্টে মৃত্যুর খবরে কেউ কেউ মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে মৃতব্যক্তির বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে শোক প্রকাশ করে। আবার কারো কারোর পোস্টে দুঃখের খবর শুনে ব্যতীত হয়। কেউ আবার কেঁদে কেঁদে মন্তব্যের ছোট বক্সে লিখে, “আপনার পোস্ট করা লেখা বা ছবি দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না।”
কারো কারোর পোস্ট আবার ভাইরাল হতে হতে ভাইরাসও হয়ে যায়। শেষাবধি সেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে দেশ-বিদেশের শহর-বন্দর গ্রাম-গঞ্জের পাড়া-মহল্লায়। আর সেই ভাইরাল থেকে রূপ নেয়া ভাইরাস কেউ-না-কেউ জয় করে ফেসবুকে রাতারাতি হিরো বনে যায়।
কারোর আবার ক্ষয়ও হয়। তা হয়, যদি আপত্তিকর পোস্ট কোনও অশ্লীল পোস্ট একবার ভাইরাস হয়। তখনই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। সেই আতঙ্কে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পোস্টদাতার মনে লাগে ভয়! ভয় মানে ভীষণ ভয়!
এই ভয়ের কারণ হলো, কারও কারও ব্যতিক্রমী কিছু পোস্ট ও বন্ধুত্বের ভালোবাসার আবেগে নিজের অসতর্কতাবশত কিছু মন্তব্য। আরও দশজন ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মতো সবারই ফ্রেন্ড লিস্টে কিছু বন্ধু থাকতে পারে, যারা সময় আর সুযোগ বুঝে আপত্তিকর একটা পোস্ট দিয়ে বিপত্তিকর কিছু তেলেসমাতি কাণ্ড ঘটাতে পারে।
আর সেই ঘটা থেকে তেলেসমাতি ঘটনার সূত্রপাতও হতে পারে নিঃসন্দেহে। যদি কিছু ঘটেই যায়, তাহলেই ভীষণ ভয়ের কারণ হতে পারে। আমি ঠিক সেই ভয়ের কথাই বলছি। আর ফেসবুক ফ্রেন্ড লিস্টে এতএত ফ্রেণ্ডের মধ্যে ওইরকম দু-এক জন সুযোগসন্ধানী ফ্রেন্ড যে থাকবে না তা-ও কিন্তু নয়! থাকাটাও স্বাভাবিক!
কারণ বর্তমানে ফেসবুকে যেমন সুস্থ স্বাভাবিক সুন্দর মনের মানুষ আছে, তারচেয়ে বেশি আছে অসাধু হীনম্মন্যতা মানুষিক প্রতিবন্ধী ব্যবহারকারীও। সুন্দর মনের মানুষগুলো থাকে জ্ঞানচর্চার সাধনায়, আর অসাধু অমানুষিক প্রতিবন্ধী ব্যবহারকারীরা থাকে গুজব রটানোর সুযোগে আর নিজের স্বার্থ হাসিলের ধান্দায়!
এসব অসাধু অমানুষিক প্রতিবন্ধী ব্যবহারকারীরা ফেসবুকে ঘুপটি মেরে বসে থাকে। এদের নাম ঠিকানা-সহ নিজের প্রোফাইল ছবিটিও থাকে দুই নম্বরি। এরা সহজে ফেসবুকে কোনও পোস্ট করে না। যদিও মাঝেমধ্যে দু’একটা পোস্ট করে, সেটা থাকবে অশ্লীল বা ধর্ম অবমাননাকর পোস্ট। সেই পোস্ট এরা আরও দশ থেকে পঞ্চাশ জনকে ট্যাগ করে বিপদে বা ফাঁসানোর চেষ্টা করে। তা-ও যদি না করে, তাহলে তারা সবসময়ই ওদের ফ্রেন্ড লিস্টে থাকা বন্ধুদের পোস্টের উপর রাখে বাজপাখির দৃষ্টি। সেই দৃষ্টি মোটেও সু-দৃষ্টি নয়! সেই দৃষ্টি একেবারে শয়তানের কু-দৃষ্টি!
তাদের সেই কুদৃষ্টির আড়ালে থাকে তেলেসমাতি রটানোর সুযোগ। মানে গুজব যাকে বলে। তাদের সেই সুযোগটা কাজে লাগায় পোস্টদাতার অসাবধানতাবশত ধর্মের নামে আপত্তিকর পোস্ট বা স্ট্যাটাস শেয়ার করার মাধ্যমে। তাদের টার্গেট থাকে নিজ এলাকার একজন সম্মানিত ব্যক্তি, আর নাহয় একজন নিরীহ ব্যক্তি; আর নাহয় তাদের নিজ স্বার্থসিদ্ধি বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য।
এসব লক্ষ্য নিয়েই কিছু-কিছু ফেসবুকার ইদানীংকালে আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে ফেসবুকের একটা স্ট্যাটাস শেয়ার করে অথবা একের-পর-এক ফেসবুক মেসেঞ্জারে মেসেজ পাঠিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। অথচ নিজের ফ্রেন্ড লিস্টে থাকা প্রিয় বন্ধুটির ভুলবশত করা পোস্ট সংশোধন করার জন্য পোস্টদাতাকে একটিবারও মেসেজ দিয়ে সাবধানতা অবলম্বন করার উপদেশ দেয় না। বরং আরও আরও শখানেক বন্ধুদের মাঝে বিপত্তিকর স্ট্যাটাস বা পোস্টখানা শেয়ার করে হুলুস্থুল সৃষ্টি করে।
এসবের কারণে যেমন ধর্মকে টানতে হচ্ছে গ্লানি, তারচেয়ে বেশি টানতে হচ্ছে সমাজের বেশকিছু অসহায় মানুষকে কষ্টের বোজা! এই কষ্টের বোজা টানতে টানতে অনেক সুখের সংসার দিন-দিন দুখের সাগরের তলদেশে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সাথে আপত্তিকর পোস্টদাতার পোস্টের কারণে তার নিজ এলাকাটা মুহূর্তে পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। তা হচ্ছে কেবল ফেসবুকে থাকা কিছু অসাধু অমানুষিক প্রতিবন্ধী ব্যবহারকারীদের জন্য। তাই নিজে ভয়ে থেকেও অন্যকে সাবধানে থাকার অনুরোধ করতে হচ্ছে।
অনুরোধ করছি এই কারণে যে, এসব হীনম্মন্যতা অসাধু পরিচয়হীন বন্ধুরা কোনও সময়ই আপনার ভালো চাইবে না। বরং বর্তমান যুগের সেরা সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকে আপনার ভুলবশত করা একটা স্ট্যাটাস বা একটা পোস্টকে কেন্দ্র করে আপনার নিজ এলাকায় তেলেসমাতি ঘটিয়ে দিবে। এতে এদের একটু বিবেকে বাঁধবে না বরং এরা দূর থেকে আনন্দই পাবে।
তাই সাবধানে থাকুন! এদের থেকে দূরে থাকুন! ভয়কে জয় করুন এবং এদের চিহ্নিত করে আপনার ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে এদের বিদায় করুন। নিজে নিরাপদে থাকুন। নিজে ভয়মুক্ত থাকুন। অন্যকেও শান্তিতে থাকতে দিন এবং সুন্দরভাবে বর্তমান বিশ্বের জনপ্রিয় যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করুন, অন্যকেও সুন্দরভাবে ব্যবহার করতে দিন।
Net-Zero Energy Homes
|Obstacles to Developing Net-Zero Energy (NZE) Homes in Greater Toronto Area|
Ghazal Makvandia and Md. Safiuddin
Abstract: Efforts have been put in place to minimize the effects of construction activities and occupancy, but the problem of greenhouse gas (GHG) emissions continues to have detrimental effects on the environment. As an effort to reduce GHG emissions, particularly carbon emissions, countable commercial, industrial, institutional, and residential net-zero energy (NZE) buildings were built around the globe during the past few years, and they are still operating. But there exist many challenges and barriers for the construction of NZE buildings. This study identifies the obstacles to developing NZE buildings, with a focus on single-family homes, in the Greater Toronto Area (GTA). The study sought to identify the technical, organizational, and social challenges of constructing NZE buildings, realize the importance of the public awareness in making NZE homes, and provide recommendations on how to raise public knowledge. A qualitative approach was employed to collect the primary data through survey and interviews. The secondary data obtained from the literature review were also used to realize the benefits, challenges, and current situation of NZE buildings. Research results indicate that the construction of NZE buildings is faced with a myriad of challenges, including technical issues, the lack of govern-mental and institutional supports, and the lack of standardized measures. The public awareness of NZE homes has been found to be very low, thus limiting the uptake and adoption of the new technologies used in this type of homes. The present study also recommends that the government and the academic institutions should strive to support the NZE building technology through curriculum changes, technological uptake, and financial incentives to buyers and developers. The implementation of these recommendations may enhance the success and popularity of NZE homes in the GTA.
ফেসবুক ট্যাগ কখন করবেন এবং কেন করবেন?
অনেকেই আছেন যারা অনেক দিন ধরেই ফেসবুক ব্যবহার করেই যাচ্ছেন। ফেসবুক মেসেঞ্জারে বন্ধুদের বিকাল-সন্ধ্যা, রাতদুপুরে মেসেজ দিয়েই যাচ্ছেন, দিয়েই যাচ্ছেন। কিন্তু বন্ধু তালিকায় থাকা বন্ধুদের পোস্টে ভুলেও লাইক/কমেন্ট করছেন না। এমনকি মাসে একবারও চুপি দিয়ে দেখছেন না, বন্ধুটি কি পোস্ট করেছে। লাইক/কমেন্ট তো দূরেরই কথা!
আবার নিজের একটা ভালোলাগা ভিডিও মেসেঞ্জারে প্রেরণ করছেন। ভাবছেন না যে, আমি যেটা পছন্দ করছি বা আমার যেটা পছন্দ, সেটা আমি যাকে প্রেরণ করছি, তার কাছে ভালো লাগবে কিনা? ধরে নিতে পারেন, তার কাছে সেটা ভালো না-ও লাগতে পারে। সেটা না ভেবেই নিজের ইচ্ছেমতো বলা নেই কওয়া নেই, সময় নেই গময় নেই; দিনরাত মেসেঞ্জারে বিরক্ত করেই যাচ্ছেন। এতে নিজের কাছে ভালো লাগলেও, তা অন্যের কাছে হতে পারে বড়ই বিরক্তির বা অশান্তির মহৌষধ! তবে হ্যাঁ, মেসেজ বা বার্তা প্রেরণ করবেন। কখন এবং কেন করেন? যখন আপনার বিশেষ প্রয়োজন হবে, তখন মেসেজ বা বার্তা প্রেরণ করতে পারেন। নিজের আত্মীয় স্বজনদের ছবি নিজের আত্মীয় স্বজনদের কাছে পাঠাতে পারেন। জরুরি কোন সংবাদ প্রাপকের ইচ্ছায় প্রেরণ করতে পারেন। এছাড়া তো কোন অবস্থাতেই কারোর মেসেঞ্জারে কোনোকিছুই পাঠাতে পারেন না। এটা একরকম বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়!
এবার আসি ট্যাগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায়। আমরা যারা ফেসবুক ব্যবহার করছি। সকলেই লক্ষ্য করছি যে, কেউ কেউ দিন 🐀 রাত সুযোগ পেলেই একসাথে ৫০ জন বন্ধুকে ট্যাগ করে যাচ্ছেন। কিন্তু কেন? ট্যাগ করার প্রয়োজন-ই-বা কি? আপনি যখন ফেসবুকে একটা পোস্ট করবেন, তখন অটোম্যাটিকলি আপনার ফ্রেন্ড লিস্টে থাকা সকল বন্ধুরা এমনিতেই দেখতে পাবে। তাহলে এরপরও আবাত ট্যাগ করার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। এটা একরকম গায়ে পড়ে ঝগড়া করার সামিল!
আসলে যারা হরদম ট্যাগ করে যাচ্ছেন, মনে হয় তারা আজও জানেন না যে, ফেসবুক ট্যাগ কি এবং কেন? বিশ্বাস করুন, এটি ঠিকমত ব্যবহার না করা হলে সত্যিই খুব বিরক্ত লাগে। যা যিনি যাকে তাকে দিন 🐀 রাত ট্যাগ করে যাচ্ছেন, তাকে যদি কেউ ট্যাগ করে; তার কাছেও বিরক্তিকর হতে পারে। কেন হতে পরে?
তাহলে আসুন জেনে নেই ফেসবুক ট্যাগ কী এবং কেন?
ট্যাগ এর ইংরেজি (Tag) বাংলা অর্থ হলো, শিকল বা শিকল দ্বারা আটকানো বা মোটা একটা দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা।
তাহলে বুঝতেই পারছেন যে, আপনার কোন পোষ্ট বা ছবিতে যদি আপনি অন্য কোন ফ্রেন্ডকে আটকাতে চান, তাহলে শুধুমাত্র ট্যাগ ব্যবহার করেই আটকাতে পারবেন। তার মানে হলো, আপনি নিজে অন্যায় করে অপরকে ফাঁসানো।
কিন্তু কেন? কেন অযথা নিজের দোষ অপরের ঘাড়ে চাপাবেন? যদি ট্যাগ সম্পর্কে বুঝে থাকেন, তাহলে শুধু শুধু আপনার একটি পোষ্টে অনেক ফ্রেন্ডদের ট্যাগ করবেন না। এর কোনও মানেই হয় না।
এবার জেনে নিন ট্যাগ করলে কি হয়! ট্যাগ করলে আসলে কি হয়?
ধরুন আপনি একটি ছবি আপলোড করে আপনার কোন বন্ধুকে ট্যাগ করলেন। সাথে সাথে আপনার আপলোড করা ছবিটি আপনার ট্যাগ করা বন্ধুর ওয়ালে বা টাইমলাইনে চলে যাবে। এর অর্থ দাঁড়ায় আপনার পোষ্টের সাথে তারাও জড়িত। তাই আপনি তাদেরকে ট্যাগ করেছেন। যা আইনের চোখে জঘন্য অপরাধ। কাজেই নিজের ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে ট্যাগ করবেন না।
হ্যাঁ, ট্যাগ করবেন। কখন করবেন, কী করবেন এবং কাকে করবেন? ট্যাগ করবেন, এলাকার কোনও জরুরি সংবাদ! আচমকা কোনও দুর্ঘটনাজনিত কারোর মৃত্যুর খবর ট্যাগ করতে পারেন। এছাড়াও নিজের পারিবারিক কারোর ছবি আপনার কোনও আত্মীয়স্বজনকে ট্যাগ করতে পারবেন। এই অবস্থায় আপনি আপনার ঘনিষ্ঠ পরিচিত বন্ধুদের অনুমতিতে ট্যাগ করতে পারেন। এছাড়া অন্য কাউকে নয়। আর এটাই হচ্ছে ফেসবুক ট্যাগের প্রকৃত অর্থ বা নিয়ম।
কিন্তু অনেকেই দেখি অবুঝের মতো নিজের একটা ছবি দিয়ে, ৩০ থেকে ৫০ জনকে ট্যাগ করে দেয়। যা আসলেই ফেসবুকের নীতি বিরোধী ও একপ্রকার স্পাম। তাই কখনোই এই কাজটি আর করবেন না, প্লিজ! আরও জানুন, ফেসবুকে ট্যাগ দ্বারা কাউকে বিরক্ত করা মানে নিজে ব্লক লিস্টে বা আনফ্রেন্ড তালিকায় নাম লেখানো। যদি ভুল বলে থাকি, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে ক্ষমা করে দিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো অন্যসব বন্ধুদের দিনে রাতে ২৪ ঘণ্টা অযথা মেসেজ আর বিরক্তিকর ট্যাগ করতে থাকুন। এরজন্য ভবিষ্যতে ফেসবুক থেকে পুরস্কারও পেতে পারেন। ধন্যবাদ।
ছবি গুগল থেকে।
চেরনোবিল: এইচবিও টিভি সিরিজ
প্রথম প্রথম ল্যাব করতে গিয়ে এ্যাসাইনমেন্ট পড়লো ইউরেনিয়াম, আর্মেসিয়াম সহ বেশ কিছু তেজস্ক্রিয় পদার্থের তেজস্ক্রিয়তা নিরূপনের জন্য। সারাজীবন শুধু ইউরেনিয়াম, এটমিক বোমার নামই শুনে গেছি কিন্তু কখনো ইউরেনিয়াম নিয়ে নাড়াচাড়া করবো সেটা ভাবিনি। এরপর আরেকটা পড়লো ঘরের কোনায় লুকিয়ে থাকা তেজস্ক্রিয় পদার্থের তেজস্ক্রিয়তা নিরূপনের জন্য একটা সিস্টেম বানানো। তখন এটমেল এভিআর ৩২ এর চল ছিলো, বাজারে রাসবেরীর সিস্টেম সবে আসতে শুরু করেছে। এরপর আরেকটা এ্যাসাইনমেন্ট এলো যে রেডিয়েশন ব্লক করার সিস্টেম এবং তাদের কার্যকরীতা। লেড মানে প্লামবাম থেকে শুরু করে এলউমিনিয়াম গ্রাফাইট, মোটা পুরু কংক্রীটের স্লাব সবই ছিলো সেই বিকিরন টেস্টে। সে এক লম্বা তেজস্ক্রিয় টাইপের ইতিহাস। যদিও প্রফেসর সুপারভাইজার গন আমাদের আশ্বস্ত করতেন যে আসলে আমাদেরকে পিউর ইউরেনিয়ামের সংস্পর্শে নেয়া হবে না। এমন কিছু ধাতব পদার্থ যাদের ওপর ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয় বিকিরন ফেলা হয়েছে সেসব দিয়ে এই প্রজেক্ট গুলো করানো হবে।
সে যাকগে, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টে কখনো যদি মেল্ট ডাউন বা দুর্ঘটনা ঘটে তখন সবচে বিপদজ্জনক যে জিনিসটা হয় তেজস্ক্রিয়তার ছড়াছড়ি। এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু সবাই যেটা জানি না কোরিয়ামের ভয়াবহতা। নিউক্লিয়ার রড যখন অনিয়ন্ত্রিত ভাবে চেইনরিএকশন ঘটে তাকে ঘিরে থাকা কন্ট্রোলড মডারেটর আর কিছু করতে পারে না। প্রচন্ড তাপে, এই মোটামুটি ২৭০০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে (১০০ ডিগ্রিতে পানি বাস্পীভূত হয়, ইস্পাতের গলনাংক ১৫১০ ডিগ্রী), মডারেটর ধরে রাখতে পারে না। সেখানে প্রচন্ড তাপে ইউরেনিয়াম ফুয়েল রড গলতে শুরু করে এবং আশেপাশের সবকিছু গলিয়ে লাভাতে পরিনত করে। পানির সংস্পর্শে এসে বোরিক এসিড, ইন্ডিয়াম হাইড্রোক্সাইড, সিজিয়াম আয়োডাইড এবং পরে জিরকোনিয়াম ডাইঅক্সাইডের সৃষ্টি করে। পানির সংস্পর্শে প্রচুর বাস্পের সৃষ্টি করে এবং সেই বাস্পে এসব তেজস্ক্রিয় পদার্থ বায়ুমন্ডলে ছড়িয়ে পড়ে আর তখন শুরু হয় তুষার পাত। দুর্ঘটনাস্থল হতে ১৫০-২০০ কিলোমিটার দূরে জানালার শার্সিতে যে ধূলো লেগে আছে তাতে পাবেন তেজস্ক্রিয় আয়োডিন ১৩১ এর আইসোটোপ। সেই কোরিয়াম ঠান্ডা করতে সারা সোভিয়েত ইউনিয়নের যত বোরন ছিলো অথবা হিট এক্সচেন্জারের জন্য যত লিকুইড নাইট্রোজেনের মজুত সব এক অর্ডারে চেরনোবিলে জড়ো করা হয়েছিলো। সুইডেনের নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের মিটারে আয়োডিন ১৩১ এর আইসোটোপ ধরা দিচ্ছিলো। তখনও সারা বিশ্ব জানতে পারে চেরনোবিলের নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টে দুর্ঘটনা হয়েছে। সাদা তুলোর পেজার মতো পড়তে থাকা তুষারপাত মানুষ ভুল ভেবে যদি চোখে মুখে লাগায়, অথচ এটাই তেজস্ক্রিয়তা তখন কি কেউ ভেবে দেখেছে তার কি হবে?
সুন্দর একটা পয়েন্ট! তেজস্ক্রিয়তা আসলে ব্যাপারটা কি? মানুষ যখন তেজস্ক্রিয়তার সংস্পর্শে আসে তখন আমাদের কংকালের হাড়ের ক্যালসিয়াম খুব দ্রুত তেজস্ক্রিয় বা আয়োনাইজড হয়ে যায় এবং সেগুলো বিকিরন করা শুরু করা। ফলে শরীরে রক্তে থাকা হিমোগ্লোবিন বা রেড সেলের অক্সিজেন স হজেই নস্ট হয়ে যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ও হিলিং ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। কোষের ডিএনএ গুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে মিউটেটেড হওয়া শুরু করলে হাড় থেকে মাংস গুলো খসে পড়ার যোগাড় হয়। বড় ভয়ংকর সে মৃত্যু। তবে আপনাকে সে পরিমান রেডিয়েশনের শিকার হতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে বছরে আপনি বছরে সর্বমোট মাত্র ৩ রয়েন্টজেন্ট রেডিয়েশনের সংস্পর্শে আসতে পারেন। আপনি যদি নিউক্লিয়ার ফ্যাক্টরীতে কাজ করেন তাহলে বছরে ৫ এর বেশী না। এখন আপনি যদি হেজমেট স্যুট পড়ে রিএক্টরের সামনে নাচানাচি করেন, তাহলে আপনার মৃত্যু হয়তো তার পরের দিন সকালে লিখিত হবে। চেরনোবিল রিএ্যাক্টরে যখন মেল্ট ডাউন হয় তখন দুর্ঘটনাস্থলের আশেপাশে ১৫০০০ রয়েন্টজেন্ট এবং কেন্দ্রে প্রায় ১ মিলিয়ন রয়েন্টজেন্ট ছিলো।
এইচবিও চেরনোবিলের ওপর অসাধারন সিরিজ তৈরী করেছে। প্রথম দুটো এপিসোডে এমনও দৃশ্য আছে যখন রেডিয়েশনের মেঘ লোকালয়ের ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে তখন তার নীচে ছোট ছোট শিশুরা পনিটেইল বেধে স্কুলে খেলা করছে। কিশোরীরা গরম থেকে রক্ষা পাবার জন্য আইসক্রীমে কামড় দিচ্ছে। উঠতি বয়সী যুবকেরা স্কুল ফাঁকি দিয়ে বাস্কেটবল কোর্টে সিগারেটে সুখটান দিচ্ছে। সবচেয়ে দুঃখজনক দৃশ্য ছিলো যখন রেডিয়েশনে আক্রান্ত সবাইকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তখন প্রিয় পোষা কুকুরটি সে গাড়ীর পিছে দৌড়াচ্ছে। কুকুরটির শরীরের অর্ধেক পশম নেই, রক্ত ঝরছে। তার সেদিকে ভ্রূক্ষেপ নেই। সে তার মালিকের গাড়ীর পিছু নিয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, সরকার পক্ষ নিজেদের এহেন ব্যার্থতাকে ঢেকে রাখবার জন্য যে অসুস্থ অস্বীকার ও ঘটনা ধামাচাপা দেবার প্রবনতা সেটা খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। যেসব কয়লা শ্রমিকদের রিএ্যাক্টরের নীচে থাকা পানি সরানোর জন্য পাম্প ও হিট এক্সচেন্জার বসানোর কাজে নিয়োজিত করা হয়, তাদের ছিলো না কোনো হেজমেট। ওপরে ইউরেনিয়াম অক্সাইডের কোর গলছে, মিলিয়ন মিলিয়ন রয়েন্টজেন্ট পরিমান তেজস্ক্রিয়তা নির্গমন হচ্ছে আর নীচ দিয়ে পুরো উলঙ্গ অবস্থায় সূড়ঙ্গ গড়ছে। যদিও জানে না এই আত্মঘাতী কাজের জন্য তাদের কোনো ক্ষতিপূরন দেয়া হবে কিনা কিন্তু তারা এটা করছে এই গলিত কোরিয়াম যদি পানির সাথে গিয়ে থার্মোনিউক্লিয়ার ব্লাসট ঘটায় অথবা পার্শ্ববর্তী নদীর পানিতে মেশে তাহলে ৫০ লক্ষ মানুষের খাবারের সুপেয় জলের উৎস বহু বছরের জন্য তেজস্ক্রিয় হয়ে থাকবে।
সমালোচনা করা যায় গর্বাচেভের আদলে যিনি অভিনয় করছেন। ছোটবেলায় গর্ভাচেভের ভারী কিউট পার্সোনালিটির সাথে এ চরিত্রটা তেমন যায় না। কিন্তু তাতে এক অথর্ব দুর্নীতিগ্রস্থ ও অযোগ্য সরকারের ভাবমূর্তি ফুটিয়ে তুলতে এতটুকু কার্পন্য নেই কারো অভিনয়ে বা শুদ্ধ বয়ানে।
কি যেনো মসৃন কালো পাথরের মতো ছিলো! বেশ উৎসাহভরেই দমকল কর্মী সেটা হাতে নিলো। পাশের সহকর্মী বলে উঠলো,”ওটা গ্রাফাইট, ফেলে দে!” একটু সন্দেহ দেখা দিলো, হাত থেকে ফেলে দিলো,”কংক্রিটও হতে পারে!” কিন্তু তার মিনিট কয়েকের মধ্যে তার হাত ঝলসে গেলো। আসলে ওটা গ্রাফাইট ছিলো, পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে তেজস্ক্রিয়তম পদার্থটি সে হাতে নিয়ে নিজের ওপর পৈশাচিক মৃত্যুকেই যেনো ডেকে এনেছিলো। রক্তাক্ত, কষ্টকর, যন্ত্রনাকাতর মৃত্যুর চাইতেও ভয়াবহ ছিলো এক অথর্ব স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী সরকারের চরম ব্যার্থতার রূঢ় শিকার!
আমরাও কিছু দিন পর নিউক্লিয়ার যুগে প্রবেশ করছি। চেরনোবিলের আরবিএমকে নিউক্লিয়ার রিএক্টর থেকে হাজার গুন নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী ও যুগোপোগী এই রিএ্যাক্টর। যদি দক্ষ হাতে চালানো যায়, আমাদের আর পিছে ফিরে তাকাতে হবে। ভুল হলেও এরকম ক্ষতি হবার সম্ভবনা নেই। তারপরও আমাদের হয়তো তখন একটা করে আয়োডিন ট্যাবলেটের কৌটা সাথে করে ঘুরতে হবে। তার আগে এই সিরিজটা একটা ভালো শিক্ষা হতে পারে।
অবশ্য আমরা মনে সান্তনা পাবার জন্য ফুকুশিমা দুর্ঘটনার দিকে তাকাতে পারি যেখানে তেজস্ক্রীয়তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে আনা গেছে যদিও দুর্ঘটনাস্থলে এখনো ভয়াব হ মাত্রা তেজস্ক্রিয়তা বিদ্যমান। সেই পুরো প্লান্ট স্ক্রাপ করার জন্য ৪০ বছরের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে যের শুধু প্লান করার জন্য হাতে ৫ বছর রাখা হয়েছিলো। কিন্তু ৮ বছর পর রোবট দিয়ে এখন ধারনা পাওয়া যাচ্ছে চেরনোবিলের ফুকুশিমার রিএ্যাক্টর পুরোপুরি ধ্বসে যায়নি এবং কোরিয়াম এখনো রিএ্যাক্টরের ওপরের দিকেই আছে। পুরোপুরি রোবট নিয়ন্ত্রিত উদ্বার কাজ করা হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে তবে সেই টেকনোলজি এখনো কারো হাতে আসেনি। তাই বলে গবেষনা থেমে নেই। আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ভূমিকম্প রিখটার স্কেলের ৬-৭ ঠেকাবার জন্য সিভিল ইন্জিনিয়াররা পন্থা বের করতে পারলেও ৮ এর ওপর বা ৯ হলে তার কোনো পন্থা কারো জানা নেই। হতে পারে প্রকৃতির একটা ধাক্কা তাই বলে এটা আশীর্বাদ ধরা যায় এ জন্য যে এর ফলে টেকনোলজিক্যাল যে উন্নয়ন ঘটবে তা কাজে লাগানো যাবে গ্রহান্তরী অভিযান বা আরো বড় কোনো কাজে।
বিজ্ঞান আসলেই উত্তর দেয়, বলা হয়নি যে সবকিছু স হজে মিলবে। প্রকৃতির গুপ্তধন আরাধ্য বলেই মানুষের এগিয়ে যাওয়া।
তথ্য-প্রযুক্তির এপিঠ ওপিঠ
মানুষ বুদ্ধিমান প্রাণী- তার প্রমাণ পৃথিবী ইতোমধ্যেই পেয়েছে। বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের মাধ্যমে কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে পেরে মানুষ আজ আনন্দে আটখানা। আছে গৌরবও। বিংশ ও একবিংশ শতাব্দীর প্রবহমান সময়কে মানুষের গৌরবের শতাব্দী বলাটা অবান্তর হবে বলে মনে হয় না। এ গৌরব হচ্ছে কৃতিত্বের গৌরব, সাফল্যের গৌরব। কী করেনি মানুষ? বহুকিছু করেছে। বহু রহস্যের দ্বার উন্মোচন করেছে। দুর্বোধ্য বিষয়ের সহজ-সাবলীল ব্যাখ্যা প্রদান করেছে। কল্পনা ও স্বপ্নকে সকল প্রকার সীমারেখার আচ্ছাদন হতে মুক্ত করেছে। মানুষ যেন সব পারে। আজ পারেনি কাল পারবে, কাল না পারলে পরশু পারবে। এটা পারবে না, ওটা সম্ভব নয়- এমন কথা কেউ বলে না।
মানুষের এই অগ্রযাত্রায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এক বিস্ময়ের নাম। পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন-স্যাটেলাইটের এই যুগে পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খবরাখবর আমরা পাচ্ছি হাতের নাগালে। অতীতে, অন্ততপক্ষে কয়েক শতাব্দী আগে এমনটা কল্পনা করাও ছিল বোকামির নামান্তর। পৃথিবী ক্রমেই ছোট হয়ে যাচ্ছে। এর মানে এই নয় যে, কয়েক শতাব্দীর মধ্যে পৃথিবী একটি ছোট্ট মার্বেলে রূপ লাভ করবে, আর আমরা কোটি কোটি মানুষ একজনের সাথে আরেকজন জড়িয়ে চিড়েচ্যাপ্টা হয়ে পড়ে থাকবো। আসল কথা হলো তথ্য-প্রযুক্তির ব্যাপক বিকাশের ফলে মানুষ দূরে বসে থেকেও সহজেই একে অপরের কাছে আসতে পারছে। কাছে আসছে মোবাইল, টেলিভিশন, রেডিও, ইন্টারনেট, স্যাটেলাইট ইত্যাদির মাধ্যমে। যেখানে আগে এক গ্রামে ঘটে যাওয়া তুলকালাম কা- অপর গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছতে কয়েক দিনের ব্যাপার ছিল সেখানে আজ এক মহাদেশের ছোট্ট একটি দেশে ঘটে যাওয়া সড়ক দুর্ঘটনা পর্যন্ত অন্য মহাদেশের মানুষ ঘরে বসে জানতে পারছে, দেখতে পারছে। এটাকেই বলা হচ্ছে পৃথিবীর ছোট হয়ে যাওয়া, বিশ্বের নামকরণ করা হয়েছে- বিশ্বগ্রাম (Global Village)।
তৃতীয় বিশ্বের দেশ বলে পরিচিত বাংলাদেশেও লেগেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ছোঁয়া। আমাদের দেশও তথ্য-প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তবে গতিটা বেশ অসামঞ্জস্যপূর্ণ। নিন্দুকেরা এটাকে বলেন কচ্ছপের গতি। আর আশাবাদীরা খরগোশ কচ্ছপের দৌড় প্রতিযোগিতার গল্পে অনুপ্রাণিত হয়ে বলেন- লক্ষ্য ঠিক থাকলে কচ্ছপের গতিতেই আসবে সফলতা। হয়তো আসবে। কিন্তু গতিহীনতার পেছনে কারো ব্যর্থতা থাকলে সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার।
তবে এটা মানতে হবে যে, যেটুকু তথ্য-প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে তাতেই দেশের আমূল পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছে। আজ থেকে বছর দশেক আগেও আমাদের দেশে মিডিয়ার এতো আধিক্য ছিল না। গ্রাম-গঞ্জের এবং শহরেরও অধিকাংশ মানুষকেই দেশের খবরাখবরের জন্য বিটিভির রাত আটটার খবরের ওপর নির্ভর করতে হতো। এছাড়া টেলিভিশনে প্রচারিত নাটক, চলচ্চিত্র, গান-বাজনা, প্রামাণ্য অনুষ্ঠান ইত্যাদিও ছিল সীমিত পরিসরে। কিন্তু আজ এক দশক পেরিয়ে আমরা টিভি চ্যানেলের ভিড়ে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হওয়ার অবস্থায় পৌঁছেছি। দেশে এখন প্রায় গোটা তিরিশেক স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল, আছে শত শত জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রপত্রিকা। বিবিধ টিভি চ্যানেলের বিবিধ অনুষ্ঠান। কোনো চ্যানেল সিনেমা, নাটককেন্দ্রিক; কোনোটা সারাদিন শুধু গানই প্রচার করছে; কোনোটা খেলা প্রচার করছে; কোনোটা আবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে শুধু সংবাদ, সংবাদ বিশ্লেষণ ও টক শো প্রচার করছে। অনলাইন পত্রিকার সংখ্যাও নিতান্ত কম নয়। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অনলাইন পত্রিকা যাত্রা শুরু করছে। ইদানীং অনলাইনভিত্তিক টিভি চ্যানেলেরও আনাগোনা শোনা যাচ্ছে। তবে এ দেশে দেশীয় চ্যানেলগুলোর চেয়ে বিদেশি চ্যানেলগুলোরই কদর দেখা যায় বেশি।
টিভি চ্যানেল ও পত্রপত্রিকার পর বাংলাদেশের তথ্য- যোগাযোগ প্রযুক্তির আকাশে হঠাৎ জ্বলে ওঠা নক্ষত্রের নাম ফেসবুক। অল্প দিনের ব্যবধানে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। প্রায় ১ কোটির বেশি বাংলাদেশি ফেসবুক ব্যবহার করছেন। কী হয় না ফেসবুকে! যে একটি স্থানে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির মানুষ একত্রিত হচ্ছে এবং সারা দেশের ঘটনাবলী ও তার বহুমুখী বিশ্লেষণ একসাথে পাচ্ছে, তা হচ্ছে ফেসবুক। বন্ধু নির্বাচন, আড্ডা দেয়া, রাজনৈতিক জ্ঞানগর্ভ স্ট্যাটাস দিয়ে হোমপেজ সরগরম রাখা থেকে শুরু করে রাজপথ সরগরম রাখার প্রচেষ্টা বা অপচেষ্টা কোনোটাও বাদ নেই। আবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বলা হলেও ফেসবুক থেকে এখন ব্যবসায়ীরাও বিশাল সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে।
এই আমাদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির একটি দিক অর্থাৎ আপাতদৃষ্টে উপকারের দিক। এবার দেখব অপর দিকটি অর্থাৎ অকল্যাণের দিক। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না যে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদের জীবনে একটি নীরব বিপ্লব স¤পন্ন করে ফেলেছে। আমাদের জীবন-ধারার অধিকাংশই পরিবর্তন করে ফেলেছে। আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বৈপ্লবিক বিকাশ হয় পশ্চিমা বিশ্বে। পশ্চিমা বিশ্বকে অনুকরণ করে আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর তথ্য-প্রযুক্তি হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগোচ্ছে। এতে কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু সমস্যা বাধল তখন- যখন দেখা গেল আমাদের দেশে পশ্চিমা প্রযুক্তির সাথে সাথে পশ্চিমা সংস্কৃতি তথা ধ্যান-ধারণা, দৃষ্টিভঙ্গিও আমদানি করার চেষ্টা শুরু হলো। ভাবা হলো না যে, পশ্চিমা বিশ্বের সমাজ ব্যবস্থা আজ যে রূপ ধারণ করেছে তা একদিনে হয়নি। হয়েছে দীর্ঘ সময়ের ক্রমাগত বিবর্তনের মধ্য দিয়ে। ঐ সমাজ-সংস্কৃতি ও আমাদের সমাজ-সংস্কৃতি শুধু ভিন্নই নয়, একেবারে বিপরীতমুখী। এখানে ওটাকে জোর করে খাপ খাওয়ানো সম্ভব নয়।
বাংলাদেশে ক্রমাগতহারে সামাজিক ও পারিবারিক অপরাধ বাড়ছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে বা আর্থিক ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে গ্রামাঞ্চলে হত্যা-সংঘর্ষের পরিমাণ বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। মানুষের মধ্যে ভয়ানক লোভ-লালসার বিস্তার লক্ষ করা যাচ্ছে। বাবা-মাকে জবাই দেয়া, স্ত্রী-পুত্রকে হত্যা করা, কিংবা পরকীয়ার জেরে স্বামী-সন্তানকে হত্যা করার ঘটনা এখন প্রতিনিয়ত ঘটছে। বাংলাদেশে এ ধরনের নৃশংস ও অমানবিক ঘটনার সংখ্যা অতীতে খুব বেশি ছিল না। ইদানীং এসব বেড়ে গেছে এবং বেড়ে গেছে অতি আশঙ্কাজনক হারে। জেল-মামলা, আইন-আদালত কোনো কিছুই কাজে আসছে না। এ ধরনের পারিবারিক কলহের পেছনে ভিনদেশি টিভি চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত সিরিয়ালের একটি বড় প্রভাব আছে বলে অনেকে মতামত প্রকাশ করছেন। এ নিয়ে বহু লেখালেখিও হয়েছে। কিছু জায়গায় মানববন্ধনসহ বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়েছে। বিশিষ্ট জনরা মনে করছেন, এসব বিদেশি চ্যানেলগুলো বাংলাদেশে চলতে দেয়া না গেলে হয়তো কিছুটা হলেও পারিবারিক কোন্দল প্রশমিত হবে।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও ইদানীং অসামাজিক কাজের প্রমাণ মিলছে। শোনা যাচ্ছে দেশের একটি বিরাট সংখ্যক তরুণ ক্রমেই এই মিডিয়াতে আসক্ত হয়ে পড়ছে। একবার ফেসবুক রোগ পেয়ে বসলেই আর রক্ষা নেই। নাওয়া-খাওয়া বাদ দিয়ে ইচ্ছামত ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে সারাদিন বসে থাকতে হয় ক¤িপউটার-ল্যাপটপ বা মোবাইলের স্ক্রিনের সামনে। এ নিয়ে প্রায়শই বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে অভিভাবকদের। এ ছাড়া ফেসবুক ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা, পরীক্ষার গোপন প্রশ্নপত্র ফাঁস, জঙ্গি কর্মকা- পরিচালনা ও ধর্মানুভূতিতে আঘাতসহ বিবিধ অপকর্ম করে চলেছে অনেকে। ফলে ফেসবুকের কল্যাণকর দিকের পাশাপাশি অকল্যাণকর দিক চিন্তা করে শঙ্কা প্রকাশ করছেন সমাজচিন্তকরা।
এর উপর আবার ভয়াবহ বিপদ দাঁড়িয়েছে ইন্টারনেটে পর্ণ সাইটগুলো। ইন্টারনেট জগতের সাথে বিভিন্ন পর্ণ সাইটগুলো এমনভাবে মিশে আছে যে, অনিচ্ছা থাকলেও এগুলো এড়ানো মুশকিল হয়ে দাড়ায়। হাত বাড়ালেই মিলে শত শত পর্ণ সাইট। অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়েরা কিছু বুঝে উঠার আগেই পরিচিত হয় এই অন্ধকার জগতের সাথে, হ্যান্ডসেটের মাধ্যমে খুব সহজেই হাতের কাছে পেয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার অরুচিকর পর্ণ ভিডিও। অনেকেই রীতিমত তাতে আসক্ত হয়ে পড়ছে। ফলে জীবনের শুরুতেই তাদের সর্বাধিক মূল্যবান যে স¤পদ অর্থাৎ চরিত্র- তারা তা হারিয়ে ফেলছে। স্বাভাবিক জীবনযাপনের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়ে তারা প্রবেশ করছে অস্বাভাবিক এক অন্ধকার জগতে। এর পরিণাম প্রাথমিকভাবে বোঝা না গেলেও, একটি পর্যায়ে তা ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও জাতির জন্য ভয়ানক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে; যার আঁচ ইতোমধ্যেই লক্ষ করা যাচ্ছে।
এই সকল বিষয়কে একত্র করলে যা দাঁড়ায় আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সামনে তা বিরাট এক প্রশ্নবোধক চিহ্ন এঁকে দেয়। আমরা এর ব্যবহার নিয়ে যতই উচ্ছ্বসিত হই, অপব্যবহার নিয়ে তার খুব কমই মাথা ঘামাই। এ থেকে বের হয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে, সমস্যা কেবল দু-একজনের নয়। জাতীয় সমস্যা। তাই এর সমাধানে ঐক্যবদ্ধ জাতীয় প্রচেষ্টা অপরিহার্য। আজকে বিদেশি সংস্কৃতি-সভ্যতার প্রতি আমাদের গভীর অনুরাগ জন্ম নিয়েছে এবং নিজেদের স¤পর্কে হীনম্মন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। যাবতীয় বিপর্যয়ের এটা এক বড় কারণ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে আমরা অবশ্যই এগিয়ে যাবো কিন্তু নিজ সত্তাকে বিসর্জন দিয়ে নয়, বিদেশ সংস্কৃতির আগ্রাসনকে নীরবে সমর্থন দিয়ে নয়। আমাদেরকে সেটা অবশ্যই বর্জন করতে হবে যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হুমকিস্বরূপ এবং যা আমাদের সামাজিক ও জাতীয় মূল্যবোধের সাথে যায় না।
আমার কিছু প্রশ্ন, কিছু যুক্তি
আমার কিছু প্রশ্ন, কিছু যুক্তি
প্রিয় ফেসবুক বন্ধুগণ, আপনারা কেমন আছেন? আশা করি দয়াময়ের অশেষ কৃপায় ভালো আছেন! আপনাদের সকলের আশীর্বাদে আমিও ভালো আছি। বন্ধুগণ, বর্তমানে আমরা ছোটবড় অনেকেই বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করছি। ফেসবুক হলো, বিশ্ব-সামাজিক আন্তযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েব সাইট। যা ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা সম্মানিত মার্ক জাকারবার্গ। জানা যায় বর্তমানে এর মালিক হলো ফেসবুক ইনক। ফেসবুকে বিনামূল্যে সদস্য হওয়া যায়। এবং ব্যবহারকারী বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী হালনাগাদ ও আদান প্রদান করতে পারেন। বর্তমানে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চল-ভিত্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারছেন।
এবার আসল কথায় আসা যাক! কথা হলো, বর্তমানে আমরা যারা ফেসবুকে বিনামূল্যে একটা আইডি খুলে ব্যবহার করছি, তা কি যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য ব্যবহার করছি? না-কি ছবি, ভিডিও পোস্ট আপলোড করার জন্য এই বিশ্ববিখ্যাত সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক ব্যবহার করছি? আমার মনে হয় অনেকে তা-ই করছে! সম্মানিত মার্ক জাকারবার্গ ফেসবুক তৈরি করেছেন শুধু একে অপরের কাছে মেসেজ (বার্তা) আদান-প্রদানের জন্য। মানুষের চাওয়া আর চাহিদা মেটানোর জন্য তা আস্তেআস্তে উন্নতকরণ করা হলো। ছবি আদানপ্রদান করার সিস্টেম তৈরি হলো। ছবি পছন্দ হয়েছে কি-না, সে ভাব প্রকাশের জন্য তৈরি হলো লাইক। যেই লাইক এখন অনেকের কাছে দিল্লিকা লাড্ডু। আজ ফেসবুকের একটা লাইকের জন্য অনেকে ভিক্ষাও করে থাকে। অনেকের পোস্টে লেখা থাকে, “ভাইয়া একটা লাইক দিবা?”। তা কি ঠিক? লাইক দিয়ে কি আলু পটল কেনা যায়? নাকি সংসার চালানো যায়? তবু কেন এতো লাইকের জন্য পাড়াপাড়ি মারামারি?
আবার একটা লাইক পাবার আশায় কতরকম অভিনব কায়দা কৌশল অবলম্বন করে, তা অনেকসময় ভাবিয়ে তোলে। এখন আবার সেই লাইকের সাথে ফেসবুক যুক্ত করে দিলো, লাল লাইক, সবুজ লাইক, ইমেজি লাইক। তাই মানুষ এখন লাল রঙা লাভ মার্কা লাইকের দিকেই বেশি খেয়ালি। আর ইমেজি লাইক তো আছে মনের ভাব প্রকাশের জন্য এক অন্যতম আবিষ্কার। কিন্তু দুঃখের কথা আক্ষেপ করে বলতে হয়, সম্মানিত মার্ক জাকারবার্গ ফেসবুকে কেন আনলাইক সিস্টেম চালু করলো না? এই আনলাইক সিস্টেমস যদি ফেসবুকে থাকতো, তাহলে দেখা যেত কত স্বাদের লাইক, আর কত অপছন্দের আনলাইক! একটা ছবিতে আনলাইক-এর সংখ্যা বেশি হলে ব্যবহারকারীর মনখারাপ হয়ে যাবে বলেই, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এই আনলাইক সিস্টেম হয়তো চালু করেনি। এটা আমার একপ্রকার আফসোস! তা শুধু থেকেই গেল!
এরপর ফেসবুক সুবিধা করে দিলো গ্রুপ সিস্টেম। যা কয়েকজন বন্ধু একত্রিত হয়ে দল বেধে থাকা। যাকে বলে পেইজ। এখন আমাদের দেশীয় ফেসবুকে কয়েক লক্ষাধিক গ্রুপ বা পেইজ। গ্রুপের অভাব অনটন আর নেই, শুধু গ্রুপ আর গ্রুপ। এখন ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই গ্রুপে যুক্ত করে ফেলে। তারপর মেসেঞ্জারে মেসেজ দিয়ে ব্যবহারকারীকে অবগত আর অনুরোধ করা হয়, কিছু দক্ষিণা দেওয়ার জন্য। মানে, কিছু ছবি, কিছু লেখা পোস্ট সহ যুক্ত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ। এটা কি ঠিক?
আবার একসময় শুরু হলো ভিডিও আদান-প্রদান, শেয়ারিং সিস্টেম। এখন অনেকেই নিজ ঘরের সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, রাতের খাবারের ভিডিও আপলোড করা শুরু করেছে বা করছে। কোনও ভ্রমণে, দাওয়াতে, বিয়ে-সাদির অনুষ্ঠানে গেলে, সেসব অনুষ্ঠানের ভিডিও সাথে সাথে ফেসবুকে শেয়ার করতে থাকে। কেউ আবার একসাথে ৪০ থেকে ৫০ জনকে তা ট্যাগ করে। (ট্যাগ) বাংলায় যার অর্থ শিকল। একজনের পাপ, আরেকজনের ঘাড়ে চাপানো। এগুলো কি ঠিক?
আবার কেউ কেউ দিনরাত ২৪ ঘণ্টা পোস্টের পর পোস্ট করতেই থাকে। আচ্ছা, একজন ব্যবহারকারী একদিনে কয়টা পোস্ট করা উচিৎ? আমার মনে হয় একটা পোস্টেই তো যথেষ্ট! নাহয় দুটো? এমনও দেখা যায়, একজন ব্যবহারকারী লাগাতার পোস্ট আপলোড আর শেয়ার করতেই থাকে। একটা পোস্ট করলে, সেই পোস্টের উপর পোস্টদাতার বন্ধুরা কে কি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলো, সেদিকে খেয়াল না করে, শুধু পোস্ট আর পোস্ট! এটা কি ঠিক?
আবার হলো নিজের মা-বাবার রাখা নাম লুকিয়ে রেখে ছদ্মনামে ফেসবুক আইডি ব্যবহার করা। প্রোফাইল ছবিও থাকে বনজঙ্গলের। যেমন- মাছের ছবি। বাঘের ছবি। পোস্টারের ছবি। কেউ কেউ দেবদেবীর ছবিও ব্যবহার করে থাকে। সেসব ফেসবুক ব্যবহারকারীদের একটা গুনও আছে। তাঁরা আবার ভালো জ্ঞানী। ভালো ভালো জ্ঞানের কথা লিখে পোস্ট শেয়ার করে। অথচ নিজের নামের কোনও হাদিস নেই। তাঁরা লোকচক্ষুর আড়ালে আবডালে। এরা কি জ্ঞানী? না-কি বীরপুরুষ?
আমার কথা হলো, আমি যখন এই বিশ্ববিখ্যাত সামাজিক যোগাযোগব্যবস্থার অন্যতম ফেসবুক ব্যবহারই করবো, তাহলে লুকাচুরি করে ব্যবহার করবো কেন? আমি আমার বল্টু মার্কা চেহারার নিজের ছবি দিয়েই ফেসবুক ব্যবহার করবো। দিনে একটা পোস্টি যথেষ্ট বলে মনে করি। বর্তমানে ফেসবুকে আমার বন্ধু সংখ্যা মনে হয় (৪০০০) চার হাজারের মতন। আমি একা। ক’জনের কয়টা পোস্টের দিকে খেয়াল রাখা যায়? কার পোস্টে লাইক দিব, আর কার পোস্টে কমেন্ট করবো? যদি বন্ধুদের পোস্ট সীমিত থাকে, তাহলে যতক্ষণ সময় ফেসবুকে থাকি, সেসময়ের মধ্যে অনেকজনের পোস্ট দেখা যায়, লাইক দেওয়া যায়, কমেন্ট করা যায়। কিন্তু না, তা আর হচ্ছে না। পোস্টের অচাব নেই! তাই আর সকল বন্ধুদের পোস্টে লাইক/কমেন্ট করা যায় না। দুঃখ শুধ থেকেই যায়।
আবার অনেকে ভালো মনে করে ফ্রেড রিকুয়েস্ট করে। কিন্তু দেখি যে, ছদ্মনাম। ছবিও বনজঙ্গলের ছবি। তাই আর ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করা হয় না। তাঁরা হয় তো মনে কষ্ট পায়। কিন্তু আমি বান্দা ছদ্মনাম আর নকল ছবিওয়া কাউকে ফ্রেন্ড লিস্টে রাখতে রাজি নই। থাকতে হয় তো আসল পরিচয়ে বীরের মতন থাকুন। নাহয় আস্তে করে সরে পড়ুন, প্লিজ! আমার এই মনোভাবের জন্য কেউ যদি মনঃক্ষুণ্ণ হন বা মনঃকষ্ট পেয়ে থাকেন, তো দয়া করে আমাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে ক্ষমা করে দিবেন। আশা করি আমরা সবাই সঠিকভাবে ন্যায়নীতি বজায় রেখে এই বিশ্ববিখ্যাত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করবো।
গুগল ‘প্লে সার্ভিস’ অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ
গুগল ‘প্লে সার্ভিস’ অ্যাপ্লিকেশনটি অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেম মোবাইলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কোনও একসময় অপরের কাছে থাকা একটা ওয়ান ব্যান্ডের রেডিওর পেছনে দৌড়াইতাম। দৌড়াইতাম এই কারণে যে, ছোট একটা যান্ত্রিক বাক্স থেকে কী করে গান-বাজনার আওয়াজ হচ্ছে? তা শোনবার জন্যই স্কুলে যাবার আগে-পরে রেডিওর গান-বাজনা, খবর, নানারকম পণ্যসামগ্রীর অ্যাডভারট্রাইজার শুনতাম। ভালো লাগতো। মনে অনন্দ আর কৌতূহল জাগতো। আবার অনেক শিক্ষিত মানুষের হাতে ঘড়ি নামের সময় দেখানোর যন্ত্রটি দেখলে অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকতাম। আর মনে মনে স্বপ্নের জগতে মিশে যেতাম। স্বপ্ন দেখতাম, নিজেই একটা ঘড়ি রেডিও কিনে বন্ধুবান্ধব সাথে নিয়ে গান শুনছি।
ফেলে আসা সেই দিন অনেক পিছনে চলে গেলেও, বর্তমান ডিজিটাল জগতের মোবাইল ফোনে সেই ফেলে আসা দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়। এই মোবাইল ফোন নিয়ে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের কথা না বলে, আমার নিজের দেশের কথাই বলতে হয়। মোবাইল ফোন এখন বাংলার স্বল্পসংখ্যক মানুষ ছাড়া প্রায় মানুষেই ব্যবহার করে থাকে। তাও কমদামি মোবাইল নয়! বর্তমানে আমাদের দেশে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা দামের মোবাইল ফোনও বাজারে পাওয়া যায়। সেসব নামীদামী মোবাইল অবশ্য ধনী ব্যক্তি এবং তাদের ছেলেপেলেরা ব্যবহার করে। আর যারা দিনে আনে দিনে খায়, তাদের হাতেও আজকাল ২০ থেকে ৪০-৫০ হাজার টাকার মোবাইল ফোনও দেখা যায়। তাও আবার অ্যান্ড্রয়েড ভার্সান।
আমি কোন অ্যান্ড্রয়েড বিশেষজ্ঞ নই। তবে বিশ্ববিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করলে অ্যান্ড্রয়েডের বিষয়ে অনেক তথ্যই পাওয়া যায়। আমিও এ বিষয়ে কিছু তথ্য গুগল থেকে সংগ্রহ করেছি। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। শেয়ার করছি এই কারণে যে, গত কিছুদিন আগে আমার নিজের (hTc one E9plus) মোবাইল থেকে অজান্তে এবং অসাবধানতার কারণে গুগল ‘প্লে সার্ভিস’ আনইন্সটল হয়ে যায়। আনইন্সটল হবার পর সাথে সাথে মোবাইল ফোনটিতে কোনও প্রকার সমস্যা দেখা দেয়নি। প্রায় দুইমাস পর দেখা যায়, মোবাইল ফোনটি সময়সময় আপনা-আপনিই বন্ধ হয়ে যায়। যা আর সহজে চালু হতে চায় না।
এমতাবস্থায় আমি রীতিমত মাথা নষ্ট হবার পালায় পড়ে গেলাম। মোবাইল ফোনটি ত্রুটিমুক্ত করতে ফ্লাশ (Backup Rest) মেরে দিলাম। তারপর দেখা দেখা যায় যে, ইউটিউব, জিমেইল সহ গুগল পরিসেবার সেবা থেকে আমি বঞ্চিত হয়ে পড়েছি। যা আর কপাল কুটলেও আমার এই মোবাইলটিতে গুগুল ‘প্লে সার্ভিস’ আর চালু করতে পারবো না। এটি সম্পূর্ণ নিষ্ক্রয় হয়ে গেছে। শত চেষ্টা করেও গুগল ‘প্লে সার্ভিস’ অ্যাপ্লিকেশনটি আর চালু করতে পারছি না। হয়তো আমার এই মোবাইলটিতে আর কখনোই গুগল পরিষেবার এই অ্যাপ্লিকেশনটি আপডেট হবে না। তা না হোক তাতে আর কোনও দুঃখ নেই। তবে মনের ভেতরে ঠিকই জ্বালা আছে। আবার ভয়ও আছে। ভয় আছে অপরের জন্য। ভয় হয় এই কারণে যে, যদি কেউ অজান্তে, অসাবধানতায়, ভুলবশত শখের মোবাইল থেকে এই অ্যাপ্লিকেশনটি মুছে দেয়; তাহলে তো আমার মতনই শখের জিনিসটি নিয়ে মহা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়বে। এই কারণেই অপরের জন্য আমার যত ভয়!
তাহলে জেনে নেই অ্যান্ড্রয়েড কী এবং এর আবিষ্কারক কে?
জানা যায় “অ্যান্ড্রয়েড হলো বিশ্বক্ষ্যাত সার্চ ইন্জিন google কর্তৃক আবিষ্কৃত একটি স্বয়ংসম্পূর্ন অপারেটিং সিস্টেম।” যা বর্তমানে বিভিন্ন মোবাইল ডিভাইস ও ট্যাবলেট এ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
অ্যান্ড্রয়েড (Android) : অ্যান্ড্রয়েড হচ্ছে একটি অপারেটিং সিস্টেম। কম্পিউটারে যেমন উইন্ডোজ, উবুন্টু, লিনাক্স মিন্ট, ম্যাক ইত্যাদি অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়, তেমনি স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট ডিভাইসের জন্য তৈরি করা হয়েছে এই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। উইন্ডোজের যেমন এক্সপি, ভিসতা, ৭ ও ৮ ইত্যাদি সংস্করণ রয়েছে, ঠিক তেমনি অ্যান্ড্রয়েডেরও বিভিন্ন সংস্করণ রয়েছে। যা বর্তমানে বিভিন্ন মোবাইল ডিভাইস ও ট্যাবলেট এ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
যাই হোক, যা হবার তো যুগের সাথে তাল মিলিয়েই হবে। সেই চিন্তাভাবনা না করে এবার মূল কথায় আসা যাক! কথা হলো, বর্তমানে যারা আধুনিক জগতের অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেম স্মার্ট ফোন ব্যবহার করছেন, আপনার মোবাইল ফোনের সেটিং-এ থাকা অ্যাপ সেটিং-এ প্রবেশ করে অন্তত গুগল পরিসেবার এই প্লে সার্ভিস অ্যাপ্লিকেশনটি আনইন্সটল করবেন না বা মুছে ফেলবেন না। যদি করে থাকেন তো আমার মতনই ভাগ্যবরণ করতে হবে বলে আধা করি। সেইসাথে সবাই এই বিষয়টি মনে এবং মাথায় রাখবেন বলেও আশা করি।
তাই সময়মত (Google Play Services) আপডেট করুন (Google Play Services) কিন্তু মুছে ফেলবেন না। কেন-না, এই গুগল প্লে সার্ভিস অ্যান্ড্রয়েডের কাজের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে – ডেটা সিঙ্ক্রোনাইজেশন, নেটওয়ার্ক প্রমাণীকরণ, ডিভাইস নিরাপত্তা এবং আরও অনেক কিছু। যদি আপনি Gooogle Play পরিষেবাগুলি মুছে ফেলেন বা একটি সময়মত সময়মত আপডেট করেন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই অ্যাপ্লিকেশনগুলি বন্ধ করার সাথে আপনার কোন সমস্যা হতে পারে। যেমন আমার যা হয়েছে।
ধন্যবাদান্তে নিতাই বাবু।