মুরুব্বী এর সকল পোস্ট

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter

স্বপ্ন

4hytr

আমি স্বপ্ন লালন করি
আবার আসবে ভেবে
ধরে রাখি মস্তিস্কের কোঠায়।
দিন বয়ে যায় দ্রুত
দীর্ঘ হয় সূর্যের ছায়া
যেন এক নারী বিছায় আঁচল
ভিজে এলো চুল আকাশ আড়াল
করে নামায় আঁধার।

বাতাস ছড়ায় দীর্ঘশ্বাস
রাত এলেই স্বপ্নেরা ভীড় করে
দূরে কোথাও বাজে একতারা
উদাস বাউল এক ভাঙ্গা গলায়
সুর ভাঁজে। ছড়ায় হাহাকার
আমি তাকে ভালোবেসে বেঁচে থাকি।

আমি স্বপ্ন লালন করি
আবার আসবে ভেবে
ধরে রাখি মস্তিস্কের কোঠায়।

ww

এমন কিছু যা কবিতা নয়

BW

একাকীত্বের কষ্টে কেউ পুড়ছেই শীতের মতো
অথচ গভীর উষ্ণতায় ভিজছে হৃদ কায়ায় কারো
শ্রাবণ যেমন চৈত্রের তৃষ্ণায় কাঁপে থরো থরো
তবু মানুষ শুধু নিয়তির ফেরে ভোগে অবিরত।

একাকীত্বের জীবন যেনো জীবনের বিপ্লবী যৌবন
না দেখে না পেরিয়ে হয়না যাওয়া মধুময় মৌবন
জগৎ মহা সূর্যের আগুন মাখা নিরব ঈশ্বর মহাজন
স্বপ্নিলের স্বপ্ন যেন আজো অপ্রাপ্তির কণ্টক বাঁধন।

ww

কৃতজ্ঞতা এবং ভালোবাসা বন্ধু জিয়া রায়হান

117fioz.jpg ইচ্ছে ছিলো পাখি হবার। স্বাধীনতা পাবার। কিন্তু আমার পূর্ব নারী পুরুষরা বানর ছিলেন কিনা আমার জানা নেই। তবে আমি জন্মেছিলাম বানরের খাছিলত মানে চরিত্রগত বৈশিষ্ট নিয়ে। ছিলাম গেছো বানরের মতো। স্কুলের শেষ বেঞ্চিতে বসে স্যারের দেয়া পড়ার ভয়ে বইয়ের ফাঁকে লুকিয়ে থাকতাম। প্রায় প্রতিদিন আমাদের একটি ক্লাস নিতেন শশ্রুমণ্ডিত স্যার। ধবধবে সাদা গায়ের রঙ হবার কারণে বন্ধুরা সবাই ডাকতাম জ্বীন স্যার বলে। ক্লাসে এসে পড়তে বলে ঝাড়া চল্লিশ মিনিট টেবিলে মাথা রেখে হাই তুলে ঘুমোতেন। প্রথমে ফিসফিস পরে হৈ হৈ করে চিৎকার করলেও টের পেতেন না। মিহি সুরে নাক ডাকতেন। বুঝতাম আমাদের হল্লা চিল্লা না থাকলে তাঁর সুখের ঘুম আরামের হয় না।

42cde যাই হোক। জীবনের এই গেলো এক খণ্ড চিত্র। এমন চিত্র গুলোই প্রায় প্রতিদিন অবশ্যি যদি বাজার করার ফরমায়েশ না থাকে, রেল লাইন ধরে অফিসে যাওয়া আসার পথে মনের মধ্যে আঁক বাঁক করতে থাকে। হাঁটু জলে চতুর মাছের মতো। কোনটা ধরতে পারি আবার কোনটা হাতে ব্যথা দিয়ে পালায়। যেন বয়সের কারণে স্মৃতির তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে সব। হাজার গজের হুইল সুতোয় গাঁথলেও পালিয়ে যায়। সাথে একজন নারী ষ্ট্যানো থাকলে ডগমগ হয়ে বলে যেতে পারতাম। তিনি লিখতেন। কে জানে আপ্লুত হয়ে কবিতার চরণ টরনও হয়তো বাদ যেতো না !! বয়সের অর্ধ সেঞ্চুরী’র কাছাকাছি থাকলে, কার মনটা না চায় কাছে কেউ থাক !! চিত্রা হরিনের দৃষ্টিতে চকিত চাহনি, কলম কাগজের পেষায় মুক্তো দানার অক্ষর বৃত্ত, শুনতে চাইবার বাহানায় সুরেলা কণ্ঠস্বর কেই বা কাছে থেকে শুনতে না চায়। হে ঈশ্বর, মুরুব্বীনি কিছুদিনের জন্য যাক পরকালে আমি থাকি ইহলোকের স্বর্গে। মুরুব্বীনি পাছে শুনে বা জেনে ফেলে মনের ভাষা এই ভেবে চেপেচুপে নিরীহ সেজে থাকি সামনে। শুনেছি এই বয়সের বউদের নাকি শ্রবণের চাইতে নাকের ঘ্রাণ শক্তি থাকে তীব্র। প্রিয় পাঠক আমি অধম ধরা পড়তে চাই না। আমি তো আর সত্য বলি নাই। কল্পনা’র কথা বলেছি। কল্পনা তো কেউ না বললে চোখে দেখে না।

জীবনে আমি মানুষের কাছে সমর্পণ করেছি যতোটা তারচেয়ে বেশী হয়েছি ঋণী। আদর ভালোবাসা পরম মায়া মমতার কাছে আমি আজীবন ধরা খাওয়া বিদগ্ধ। ঋণের শোধ দিতে চাইলে ভেবে বসেন, এই রে !! আবার বুঝি এলো ঋণ চাইতে। এই চাওয়াটা যে ঋণ নয় বুঝাই কি করে। যাক সে সব কথা। ঢের বুঝে গেছি এখন আমার জীবন স্মৃতি কথা লিখবার সময়। বেলা যে বয়ে যায়।

zia আমার স্মৃতিময় জীবন ঘনঘটায় প্রবাস থেকে স্বদেশের মাটি পর্যন্ত একটি মানুষের ঋণের বোঝা আমি মাটিতে রাখতে পারবো না। প্রবাসে কাজের ফাঁকে সামান্য পিজা ছাড়া হয়তো খাওয়া হয়নি সারাদিন; সন্ধা রাত্রিতে একটি মানুষের ডাক ঠিকই পেতাম … চলে এসো। একদম নির্ভেজাল নির্মোহ কণ্ঠস্বর। তোমার সহ আমাদের জন্য কাঁচের বোতলে বেলে ময়দার রুটি বানিয়েছি। অথবা খিচুড়ি বানিয়েছি ভেড়ার কলিজা দিয়ে, তাড়াতাড়ি চলে এসো। বলেই ফোন লাইনটা কেটে দিতো। আসবো না বলতে পারতাম না। চোখে জল চলে আসতো। মধ্য রাতে শীতের রাত্রিতে ঢাকা থেকে ফিরলে আমার মা ঘুমন্ত চোখ জোড়া না ডলেই বলতেন যেমন, খাবার গরম করছি টেবিলে আয় … তেমনই অদৃশ্য এক স্নেহ ভালোবাসাময় শব্দের কাছে আমি বন্দি হয়ে যেতাম। বন্ধু টি আমার আজো আছে। সেই দেড় যুগ আগের সেই মায়া ভরা মানুষটির মতোই। আপনার আমার আমাদের সকলের প্রিয়ভাজন জিয়া রায়হান। যার হাতে হাত রেখেই আমার জীবনে লিখার হাতে খড়ি।

জিয়া রায়হান’কে বলা যেতে পারে রাজধানী রোম এর বাঙ্গালী সংস্কৃতির পুরোধা। প্রবাসে বসেই দেশের জাতীয় দৈনিকে লিখতেন প্রবাসের কলাম। খেয়ালী মানুষ আমি কম দেখেছি। যখন যা মাথায় এসেছে করেছেনও তা। ইতালীর রোমে প্রথম শহীদ মিনার স্থপতিদের ইতিহাস যদি কখনো লিখা হয়, উদ্যোক্তাদের প্রথম সারিতে যার নাম থাকবে চির অম্লান তিনি জিয়া রায়হান। গ্রেগরিয়ান নববর্ষ, একুশ স্মরণ, বৈশাখ উদযাপন, বৈশাখী মেলার সফল আয়োজন, বিজয় উৎসব পালন থেকে শুরু করে গীতি নাটক কিংবা একক সঙ্গীতানুষ্ঠান। দক্ষিণ পূর্ব এশীয় দেশ সমূহের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসবে বাংলাদেশকে দ্বি ভাষায় কবিতা পরিবেশনের মঞ্চায়ন সহ রোম থেকে প্রকাশিত একমাত্র হাতে লিখা মাসিক পত্রিকা অবনী‘র সম্পাদক হিসেবে যিনি পেয়েছেন জন মানুষের ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং ভালোবাসা। অনুবাদ করেছেন ইতালীয় ভাষা’র অনেক কবিতা।

আমার সৌভাগ্য এই কাজ পাগল মানুষটি প্রতি মাসের ২৫ তারিখে দুটো কলম আর কিছু কাগজ হাতে তুলে দিয়ে বলতেন, নাও। এই থাকলো ম্যাটার। সারা রোমে একটি টাইপ রাইটার কিংবা কম্পিউটারও যেহেতু নেই, ঘচাঘচ হাতে লিখে ফেলো। ভালো কথা … একটু স্টাইল করে লিখো। শিল্পকলার আঁকিয়েদের মতো অক্ষরে কিছুটা ভাব এনো। আমি পূর্বাকাশে সূর্য না উঠা পর্যন্ত বন্ধুর কাজ করে যেতাম মহানন্দে। কখনো যে রাগ চাপতো না এ সত্য অস্বীকার করি কিভাবে। তাঁর কাছে আমার ঋণের বোঝা অনেক। যে বোঝা আমার এক জনমে পবিত্র কোন ভূমিতে রাখবার শক্তি আমার নেই। তবু মনটাকে যৎসামান্য হালকা করতে ক্ষুদ্র একটি প্রয়াস: স্মৃতি থেকে নিয়ে সবার সাথে শেয়ার করলাম। ধন্যবাদ।

alik

অলীক রমণ

পাথরের ঘুম ভেঙ্গে জেগে ওঠে নিপাট সকাল
রাতের আড়ালে সখী গিয়েছিল ও- পাড়ার ঘরে
এখন তো দেহ তার কালিমাখা আবীরের থাল
সাত পাকে বেঁধে, বল, তাকে আর নেবে কোন বরে।

নক্ষত্র- বাসরে আজ অব্দি যদিও বা অচল আধুলি
নিঃশর্ত সম্ভোগে তবু সিদ্ধা সে উদ্বাহু উপযোগে
সময়ের প্রান্ত ছুঁয়ে ঝুলে থাকে নিরুপায় খুলি
উন্মার্গ বিন্যাস চলে সামাজিক অনন্ত উদ্যোগে।

বেদনার সন্ত একা পাক খায় মেঘহীন শূন্যে
কুয়াশার বুক চিরে হেঁটে চলে নিঃসঙ্গ রমণী
সমূহ দৈহিক পাপ আশ্চর্য বদলে গেছে পূণ্যে
নুহের নৌকার জন্যে নদী- পথ মিলেছে ধমনী।

পৌরাণিক দেবী তাকে পাঠিয়েছিল গূঢ় শমন
নিজের নির্জনে সখী করেছিল অলীক রমণী।।

67891_

পরিবেশ

30600

প্রাচীন এ দৃশ্য পথ:
প্রত্যহ সমুদ্র-শব্দে জাগে সমতট,
অরণ্যে সবুজ দিন আসে,
রাত্রিরা তারায় তীব্র আদিম আকাশে।

কোনো এক প্রাগৈতিহাসিক
ভাদ্রের পদ্মায় আজও দেখে গেল রৌদ্রের ঝিলিক –
দিগন্তে মেঘের ছবি অদ্ভুত রেখায় আজও আছে –
কালো-নীলে রাঙা পাখি উড়ে যায়
এক বুনো গাছ থেকে আর এক গাছে –
এক মুঠো ধান
দেয় ম্লান অঘ্রানের হাওয়ায় অপরিমেয় ঘ্রাণ।

এই দৃশ্যে আমরা নূতন –
আমরা নূতন অভিনেতা:
আমাদের সুপ্তি জাগরণ
যেন অন্য কোনো দিনে
আমাদের হাসি-অশ্রু-ব্যথা
শুধু নিতে পারে চিনে
অন্য কোন সময়ের আকাশ-বাতাস।
এই নদী এই জল
সমতলে অলস ফসল
দূর হতে করে শুধু রূঢ় পরিহাস।

আমরা সমুদ্র চাই
যে-সমুদ্র নয় এই সুন্দরবনের,
বন্দরের আলো আর
জাহাজের ইস্পাতী ছায়ায়
সে- সমুদ্র করে ঝলমল।
আমরা এসেছি নিয়ে মনে এক ধোঁয়াটে আকাশ
সেখানের পাখির পাখায়
ছবি নেই- এল্যূমিনিয়াম।

আমাদের ক্ষেত হতে মুছে গেছে বলদের চোখে
কোনো বিষণ্ন দুপুর
সেখানে লোহার দাঁত-
গভীর লোহার দাগ
গ্রাম ছেড়ে একদিন শেষে
পৃথিবীর দিক্ প্রান্তে মেশে।।

sujon vill

শব্দনীড় এর অতিথিরা লক্ষ্য করুন … প্রয়োজন হবে

shobdoneer

blog ব্লগ কিংবা ব্লগিং কাকে বলে বুঝতাম না। জীবনে ব্লগের কি প্রয়োজন সেটাও জানা ছিলো না। আমার পেশার সাথে যা যায় না, তাকে কেন মিছে ভাবনায় আনি। এখনো আমার মনে পড়ে, পত্রিকার কল্যাণে একটি ব্লগের ঠিকানা আমি পাই। চুপিচুপি একদিন ব্লগ খানা খুলে ফেললাম। বিশ্বাস করুন, ঠাঁয় বসে থাকতাম সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। পড়তাম। কেবলই পড়ে যেতাম। কোন কোন পোস্টে ব্লগারদের আলাপচারিতা দেখে মনে হতে … কী সুন্দর করেই না একে অপরকে গ্রহন করছে তারা। ইচ্ছে করতো – আহা আমি যদি কথা বলতে পারতাম। অর্থ্যাৎ লিখতে পারতাম !!

সমস্যা হয়ে দাঁড়ালো বিজয় কীবোর্ডের ব্যবহার তো জানি, ইউনিকোড কিভাবে ব্যবহার করবো ? সাহস করে একদিন ফেসবুকের ষ্ট্যাটাসের ঘরে বাংলিশে লিখে ফেললাম, অনলাইনে বাংলা কিভাবে লেখে। বুঝে না বুঝে ঠিকই বেশ ক’জন লাইক মেরে বসলো কিন্তু সমাধান দিলেন না। এগিয়ে এলেন একজন। অভ্র’র লিঙ্ক বসিয়ে লিখে দিলেন, বিজয় জানলে ইউনিবিজয় অথবা ইংরেজীতে লিখে বাংলা আউটপুট পেতে ফনেটিক সিলেক্ট করে নিন।

অনলাইনে বাংলা লিখতে পেরে সত্যই সেদিন আমার আনন্দ আর ধরে না। কেউ বুঝুক আর নাই ই বুঝুক সমানে বাংলা লিখে চললাম। অবশ্যি তা ষ্ট্যাটাস বই আর কিছু নয়। মনের সাহস যেন বেড়ে গেলো। এই বার কোথায় যাবে ব্লগ বাছাধন !! রেজিষ্ট্রেশন করে ফেললাম। যথারীতি শুরু করে দিলাম। যেন নেশায় পড়ে গেলাম। খুব যে ভালো জাতের লিখিয়ে আমি নই, এ আমার শত্রু স্বজন আশেপাশে উঁকি ঝুঁকি না মেরেই সরাসরি বলবেন।

এই হলো আমার ব্লগ জীবন শুরু’র প্রাক কথন। এবার আসল কথায় আসি। শব্দনীড় ব্লগের প্রথম পাতায় আমাদের সতর্ক চোখ লক্ষ্য করলে দেখবে, অনলাইনে যারা আছেন তো আছেনই কিন্তু ব্লগটির ইনভিজিবল অর্থ্যাৎ অতিথি’র সংখ্যা সময় ভেদে প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ পর্যন্ত উন্নীত হয়। অনুমানে জানা কথা হচ্ছে, এই অতিথিদের মাঝে অনেকেই নিবন্ধিত ব্লগার রয়েছেন; যারা ঠিক সেই মূহুর্তে হয়তো ব্লগে লগিন করতে চাইছেন না ব্যস্ততার কারণে। কিন্তু পড়ছেন। অন্যদের অ্যাক্টিভিটি দেখছেন।

আমি বলবো বাকিদের কথা। কেননা বাকিদের সংখ্যাই বেশী। যারা আমার সেই ব্লগ জীবনের একাকী মানুষের মতো। দ্বিধাচিত্তে অপেক্ষা করছেন। হয়তো শিখছেন। যেমন আমি এক সময় শিখতাম। আর ভাবতাম কিভাবে যোগ দেয়া যায়। দুটো কথা বলবার অধিকার তো আমারও আছে। আমার এই লিখা … আমার মত যারা, তাঁদের জন্য। নিবন্ধন থেকে শুরু করে ব্লগিং নীতি’র দাগের এপারে থেকে নিজের প্রতিভা প্রকাশে কিভাবে নিজেকে এগিয়ে নেয়া যায়, সেই নবাগত বন্ধুদের উদ্দেশে। আসুন না নিবন্ধিত হয়ে ব্লগিং জীবনে নিজেকে প্রকাশ করি অন্য সবার মতো। সুপ্ত প্রতিভার প্রকাশ ঘটাই। বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হই। মিলি বন্ধুত্বের নিবিড় ছায়াতলে।

ni 01
প্রথমে আসবে ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন। চিত্রে চিহ্নিত ইপ্সিত বাটনে ক্লিক করুন।

ni 02
বৃত্তাকার চিহ্নিত অংশের নিবন্ধন বাটনে ক্লিক করুন।

ni 03
এটাই হচ্ছে নিবন্ধন ফরম। লাল বৃত্তাকার ঘর লক্ষ্য করুন।
১. আপনি যে নামে লগিন করতে চান তা ইংরেজীতে ফটাফট টাইপ করুন।
২. সুবোধের মতো আপনার ইমেইল ঠিকানাটি সুন্দর করে লিখে দিন।
৩. অভ্র যদি না থাকে নিচের লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে বাংলায় যে নামে লিখতে চান সেটা সোজাসাপ্টা লিখে দিন।
৪. মনের মাধুরী মিশিয়ে দুই দুইবার পাসওয়ার্ড বসিয়ে দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করুন বাটনটিতে নিশ্চিন্তে ক্লিক করে দিন। দেখবেন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এমন একটি বার্তা আপনার মনিটরে ভেসে উঠেছে।

আপনি যদি শব্দনীড়ে নতুন অতিথি হন তাহলে নিচের অনুচ্ছেদগুলোয় আপনার জিজ্ঞাস্যসমূহের জবাব পেতে পারেন। ব্লগে মুদ্রিত পুরাতন এপিসোড। পড়ে নিন।

নতুন অতিথিদের জন্য:

১. প্রথমে আপনাকে নিবন্ধন করতে হবে।

২. আপনার নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে কিনা কি করে বুঝবেন? প্রথমত নিব্ন্ধনের সময় কোন সমস্যা হলে মেসেজ দেখতে পাবেন, সফল হলেও সফল হওয়ার মেসেজ দেখতে পাবেন। এছাড়াও নিবন্ধন শেষে ব্লগের মূল/প্রথম পাতায় গিয়ে ডানপাশের নিচের দিকে ‘নতুন এলেন’ তালিকায় আপনার লগইন আইডি দেখা যায় কিনা দেখুন। দেখা গেলেই নিবন্ধন ঠিকঠাক হয়েছে।

৩. নিবন্ধন হওয়া মানেই কি আপনি লেখা শুরু করতে পারবেন? দুঃখিত, এক্ষণি নয়। আপনার নিবন্ধন তথ্যগুলো পরীক্ষা করার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে আপনার অ্যাকাউন্টটি অ্যাক্টিভেট করা হবে। এর পরই শুধু আপনি লগইন ও লেখা শুরু করতে পারবেন।

ni 04 ৪. কিভাবে বুঝবেন আপনার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভেট করা হয়েছে? ব্লগের মূল/প্রথম পাতায় গিয়ে ডানপাশের নিচের দিকে ‘নতুন বন্ধু’ তালিকায় আপনার লগইন আইডির পাশে যদি ঘড়ির চিহ্ণ দেখা যায় আপনি এখনো অপেক্ষমান, আর যদি টিক চিহ্ন দেখা যায় তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভেট করা হয়েছে।

৫. নিবন্ধন করেছেন কিন্তু কোন ই-মেল পাননি? তার দরকারও নেই, নতুন নিবন্ধন পদ্ধতিতে আপনি নিজেই নিজের পাসওয়ার্ড দেবেন নিবন্ধনের সময়, তা দিয়েই লগিন করুন। তবে আপনার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভেট হয়েছে কিনা তা দেখে নিন।

৬. পাসওয়ার্ড ভুলে গিয়েছেন? পাসওয়ার্ড উদ্ধার করুন। পাসওয়ার্ড উদ্ধার করে কোন ই-মেল পাননি? [email protected] এ এক কলম লিখে জানান। সাথে আপনার ব্লগ লগইন আইডি বা ই-মেল জানাতে ভুলবেন না যেন।

৭. পাসওয়ার্ড পেয়েছেন, কিন্তু তা মনে রাখা কঠিন? সমস্যা নেই, শুধু একবার তা ব্যবহার করে লগইন করুন, তারপর আপনার পছন্দমতো বদলে নিন প্রোফাইল সম্পাদনায় গিয়ে।

৮. বাংলায় লেখার জন্য কিংবা অন্যান্য প্রয়োজনে সাহায্য দেখুন।
৯. বাংলায় লিখার জন্য পড়ুন। এই ব্লগে বাংলা লিখবেন যেভাবে।
১০. প্রোফাইলে পিক এর জন্য দেখুন। প্রোফাইলে আপনার ছবি আপলোড।
১১. এবার লেখা ও মন্তব্য শুরু করার আগে দয়া করে ব্লগবিধি-টি দেখে নিন।

হলো তো সব কাহিনীর সহজ সমাধান !! তো দেরী কিসের। চলে আসুন। কেননা আমরা রয়েছি আপনারই অপেক্ষায়। পাশে পেতে চাই বন্ধু হিসেবে। সহ-ব্লগার হিসেবে। শব্দনীড় এ আপনাকে স্বাগতম। সবাই ভালো থাকুন। শুভ ব্লগিং।
logo1a

ফেসবুক লিঙ্ক : আজাদ কাশ্মীর জামান।

ফেরা

04

আকাশ নীল দেখলে খুব দূরে যেতে ইচ্ছে করে।
আর দূর ভাবলেই সমস্ত শব্দ ঝিনুকের মতো এক
সমুদ্রের ঢেউ- এ ওঠে পড়ে। মনে হয় ফিরতে ফিরতে
তোমার জন্য কিছু নিয়ে আসি।

দেখি লাল ভেলভেটের সবচেয়ে উঁচু বেদীতে বসে আমার মা সাম্রাজ্য শাসন করছেন।
তাঁর ইঙ্গিতে প্রতি বাড়ির সামনে একজন লোক হাত উঁচু করে দাঁড়িয়ে।
পাছে আমি চিনতে ভুল করি, ভুল বাড়ির সিঁড়িতে
ডাক দিয়ে দিয়ে কাউকে না পেয়ে ফিরে যাই।

ফিরে এলাম আবার। সেই পুরোনো পথঘাট
গূঢ় অঙ্গীকারে ভরা, এরাও নিস্তব্ধ হবে-
কিছু পরে কোন অদৃশ্য সুতোয়?

দ্যাখো, চমকে উঠছে তোমার দাঁতের ভেতর নখ
এবার কি শীত নেমেছে আগের চেয়ে বেশী, কান পাতো
আমার হাড়ের ঠকাঠক্ শুনতে পাবে তুমি।

আমাদের অতীত ঘুমিয়ে আছে সাংঘাতিক স্বপ্নে
খাটের তলায় মরে পড়ে আছে ছাতাধরা নীল জুতো
একদিন স্বপ্ন থেকে জেগে উঠলাম আমরা অদ্ভুত ভাবে
দেখলাম ছিল মহৎ, ছিলো বিষাদ জড়ানো অতীত মুখোশ পরা-
বুঝে গেলাম নিমেষেই… হায় ফেরা। আমার ঘরে ফেরা !!

ব্লগারস ফোরাম পিকনিক ২০১২: ক্রিকেট টিমের জার্সি

বন্ধুরা শুভেচ্ছা নিন।
২৬শে জানুয়ারী বৃহস্পতিবার। তারপর সেই মহেন্দ্রক্ষণ।
ব্লগারস ফোরাম বার্ষিক বনভোজন ২০১২ এর জমজমাট, শ্বাসরুদ্ধকর T10 ক্রিকেট ম্যাচ। ব্লগাররা কালো এবং সাদা এই দু’দলে বিভক্ত হয়ে খেলবেন সেই ঐতিহাসিক ম্যাচ। ম্যাচ প্রস্তুতি শেষ। পিচ বিশেষজ্ঞ জনাব রাজিন ও আউট ফিল্ড, এনভারমেন্ট ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জনাব সাইক্লোন সরজমিনে সব কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি ম্যাচ আয়োজকদের উচ্ছসিত ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

ক্রিকেট দলের জার্সি রেডি। টিম গঠন এবং আম্পায়ার ও শুরু বিষয়ক নীতি নির্ধারন হবে উভয় দলের দলনেতার উপস্থিতিতে। টস হবে। টসে জয়ী টিম খেলা শুরু করবেন। দল যথাক্রমে –

cri

দুর্জয় শব্দনীড়
বনাম
দুরন্ত শব্দতরী

আমি কোন দলে নেই। নেই আম্পায়ারিং এ। আমি আছি দূর গ্যালারীতে।
জানাই শুভকামনা এবং অগ্রীম অভিনন্দন এই দুই দলের জন্য।

আপনার জার্সির ছবি দেখুন। কোন টিমে খেলবেন ঠিক করুন। তৈরী করে নিন আপনার টিম। দলনেতা হতে পারেন। সংখ্যার আধিক্যে সিদ্ধান্ত জনগনের।

Jerssy 01

Jerssy 02

Jerssy 03

Jerssy 04

T10_Corporate_Challenge_Cricket_Trophy
এমন ট্রফির রেপ্লিকা দু’দলই পাবেন। নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। এগিয়ে নিন আপনার টিমকে। আমাদের করতালি এবং ভালোবাসা আপনার সাথে থাকবে।

পিকনিক – ২০১২ : আপনার অংশগ্রহন রিকনফার্ম করুন

pic001

বন্ধুরা শুভেচ্ছা নিন।
আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন ব্লগারস ফোরাম আয়োজিত বাৎসরিক পিকনিক ২০১২ এর সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন। আপনাদের অভূতপূর্ব সাড়া আমাদেরকে করেছে মুগ্ধ। আমরা হয়েছি আনন্দিত।

ব্লগে বা ফেসবুকে একে অপরকে আমরা জানি কিন্তু বাস্তবে চিনি না। অথচ নিত্য হয় আলাপ। হয় ভাব বিনিময়। একের সুখে হই সুখি অথবা সমব্যথী। বাস্তবতার আলোয় এ জানা শোনা নির্দিষ্ট এক পর্যায় পর্যন্ত থাকে। আত্মিক এ বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করতে অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে গেট টুগেদার। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় জীবন সংসার পেশা ব্যস্ততার কঠিন বৃত্তের বাস্তবতা।

বাৎসরিক কোন আয়োজনের বৃহৎ পরিসরে তারই একটা সুযোগ হয়ে উঠতে পারে। পিকনিকের মতো বাৎসরিক কোন মিলন মেলায় আমরা মিলিত হতে চাই প্রিয় মানুষের সান্নিধ্যে। মুখোমুখি বাস্তব আড্ডায় সম্পর্কটাকে ঝালিয়ে নিতে চাই। কোলাহল আড্ডায় পার করে দিতে চাই একটি বিশেষ দিন। নির্মোহ বন্ধুত্ব হোক আগামী দিনের সম্পদ।

পিকনিক কোথায় হবে কখন হবে কোথায় থেকে গাড়ি ছাড়বে কয়টায় উপস্থিত হবো …তার প্রত্যেক প্রশ্নের উত্তর এই পোস্টের চলমান প্রচ্ছদে দেয়া আছে। বাড়তি ইনফর্মেশন জানতে চাইলে ক্লিক করুন এখানে –
বার্ষিক বনভোজন ২০১২ এবং পিকনিক ২০১২ :: যেখানে হবে।

ইতিমধ্যে অনেকে টোকেন সংগ্রহ করে নিজ নাম তালিকাভূক্ত করেছেন। আবার দূর দূরান্ত থেকে অনেকে আসবার ইচ্ছে পোষণ করেছেন। ব্লগার নন এমন বন্ধুদের সঙ্গে করে নিয়ে আসতে চাইছেন। আমরা চাই আপনারা আসুন। পরিচিত হতে চাই সবার সাথে। ভার্চুয়াল জগতের বাইরেও আমাদের যে অনন্য বন্ধু সত্তা আছে … হয়ে যাক তারই এক পবিত্র প্রকাশ।

সকলের প্রতি যথাযথ সম্মান জানিয়ে আজকের এই পোস্টে আপনাদের সকলের উপস্থিতি অথবা অংশগ্রহন সুনিশ্চিত করতে চাইছি। মন্তব্যের ঘরে আপনার উপস্থিতি পুনঃ নিশ্চিত অথবা রি- কনফার্ম করুন।

আপনার রি-কনফার্মেশন পেলে আমাদের তালিকা এই পোস্টেই আপডেট করে নেবো। তো দেরী কিসের। আমার আপনার নামটি এই পোস্টে বসিয়ে দেই।

# ০১. কালপুরুষ।
# ০২. কালপুরুষ ভাবী।
# ০৩. রাইয়ান। ( বড় ছেলে )
# ০৪. রেজওয়ান। ( ছোট ছেলে )
# ০৫. ধ্রুব। ( ছেলের বন্ধু )
# ০৬. মিঃ লাভলু। ( কালপুরুষ অতিথি )
# ০৭. মিসেস লাভলু। ( কালপুরুষ অতিথি )
# ০৮. সাইক্লোন।
# ০৯. আফরোজা।
# ১০. হুমায়ুন কবির।
# ১১. তুষার।
# ১২. জিয়া রায়হান।
# ১৩. জোহা -ই- সামছিয়া।
# ১৪. খেয়ালী রায়হান।
# ১৫. আরিক রায়হান।
# ১৬. ডা. খালিদ।
# ১৭. মিসেস খালিদ।
# ১৮. আনবারিন খালিদ।
# ১৯. আজাদ কাশ্মীর জামান। ( মুরুব্বী )
# ২০. রেবেকা আজাদ লাকী। ( মুরুব্বীনি )
# ২১. পৃথিবী আজাদ পুষ্পিতা।
# ২২. অপূর্ব আজাদ পার্থক্য।
# ২৩. জান্নাতুন ফেরদৌস।
# ২৪. তৌফিক হাসান অনিক।
# ২৫. ইসরাত জাহান কাশপিয়া।
# ২৬. শাহনাজ পারভীন মুক্তি।
# ২৭. নুসরাত আক্তার নাবিলা।
# ২৮. ডা. দাউদ।
# ২৯. মো: আরফিন।
# ৩০. সাহাদাত উদরাজী।
# ৩১. উদরাজী ভাবী।
# ৩২. উদরাজী জুনিয়র।
# ৩৩. ভালবাসার দেয়াল।
# ৩৪. মিসেস ভালবাসার দেয়াল।
# ৩৫. ভালবাসার দেয়াল জুনিয়র।
# ৩৬. লুবনা রহমান বিষণ্ণময়ী।
# ৩৭. লুবনা রহমান বিষণ্ণময়ী। আকতার হোসেন। ( এম.ডি )
# ৩৮. লুবনা রহমান বিষণ্ণময়ী। কলিগ ০১
# ৩৯. লুবনা রহমান বিষণ্ণময়ী। কলিগ ০২
# ৪০. লুবনা রহমান বিষণ্ণময়ী। কলিগ ০৩
# ৪১. লুবনা রহমান বিষণ্ণময়ী। কলিগ ০৪
# ৪২. লুবনা রহমান বিষণ্ণময়ী। কলিগ ০৫
# ৪৩. লুবনা রহমান বিষণ্ণময়ী। কলিগ ০৬
# ৪৪. লুবনা রহমান বিষণ্ণময়ী। কলিগ ০৭
# ৪৫. জামান আরশাদ।
# ৪৬. জামান আরশাদ। বন্ধু ০১
# ৪৭. জামান আরশাদ। বন্ধু পত্নী ( ৭ বছরের এবং ২ বছরের দুই কন্যা সহ )
# ৪৮. জামান আরশাদ। বন্ধু ০২
# ৪৯. জামান আরশাদ। বন্ধু পত্নী ( ৭ বছরের এবং ৩ বছরের দুই পুত্র সহ )
# ৫০. আহমেদ ইউসুফ।
# ৫১. দোয়েল।
# ৫২. জেড এইচ সৈকত।
# ৫৩. চারুমান্নান।
# ৫৪. চারুমান্নান তনয়া চারু।
# ৫৫. আ,শ,ম, এরশাদ।
# ৫৬. ফারহানা বিদিশা রওশন।
# ৫৭. কাজলাদিদি।
# ৫৮. কাজলভাবী বেবী।
# ৫৯. নূর হোসেন। ব্লগনিক: জীয়নকাঠি
# ৬০. যাযাবর পলাশ।
# ৬১. যাযাবর কণা। ( ৪ বছরের কন্যা পুষ্পিতা সহ )
# ৬২. অধ্যক্ষ খাদিজা খাতুন শেফালী। মাননীয় মহিলা এম,পি। বগুড়া সদর।
# ৬৩. ফকির আবদুল মালেক।
# ৬৪. ফেরদৌসী মালেক।
# ৬৫. নাফিস মালেক।
# ৬৬. নুহা মালেক।
# ৬৭. সালমা মাহবুব। ( বি-স্ক্যান )
# ৬৮. আবুল হোসেন। ( বি-স্ক্যান )
# ৬৯. শরীফ। ( বি-স্ক্যান )
# ৭০. মইনুল আহসান। ( বি-স্ক্যান )
# ৭১. নিগার সুলতানা সুমি। ( বি-স্ক্যান )
# ৭২. সুমি। ( বি-স্ক্যান )
# ৭৩. শরীফুল ইসলাম। ( বি-স্ক্যান )
# ৭৪. আব্দুল কাইয়ুম। ( বি-স্ক্যান )
# ৭৫. রিয়াদ। ( বি-স্ক্যান )
# ৭৬. আসলাম। ( বি-স্ক্যান )
# ৭৭. সুন্দরী। ( বি-স্ক্যান )
# ৭৮. শিহাব। ( বি-স্ক্যান )
# ৭৯. রাশেদুল। ( বি-স্ক্যান )
# ৮০. প্রীতম। ( বি-স্ক্যান )
# ৮১. নাভিদ। ( বি-স্ক্যান )
# ৮২. পরাগ। ( বি-স্ক্যান )
# ৮৩. ফাহিম। ( বি-স্ক্যান )
# ৮৪. মোহিদুল। ( বি-স্ক্যান )
# ৮৫. মীর শওকত। ( বি-স্ক্যান )
# ৮৬. রাজিন।
# ৮৭. বখতিয়ার শামিম।
# ৮৮. সুপ্ত বখতিয়ার।
# ৮৯. ছবিয়াল।
# ৯০. ছবিয়াল ভাবী।
# ৯১. নীল নক্ষত্র।
# ৯২. ইজি রেসিপি। ( নীল নক্ষত্র ভাবী )
# ৯৩. আজমান আন্দালিব।
# ৯৪. এ. জেড. মাসুদ।
# ৯৫. সজল।
# ৯৬. কবিরনি।
# ৯৭. কান্তা কবিরনি। ( শিশু সন্তান অনামিকা সহ )
# ৯৮. শ্রাবণ সন্ধ্যা। ( ব্লগার বন্ধু কালপুরুষ অতিথি। সঙ্গে কন্যা জাফনা )
# ৯৯. মাহমুদুল আনাম। ( ছায়াবাজি )
# ১০০. মিসেস মাহমুদুল আনাম।
# ১০১. রক্ত নজরুল।
# ১০২.রাসেল
# ১০৩.তানিজিমা খালিদ সোহেলি
# ১০৪.গোধূলির সূর্য
# ১০৫.
# ১০৬.
# ১০৭.
# ১০৮.
# ১০৯.
# ১১০.

বিশেষ কোন প্রয়োজন পড়লে কথা বলতে পারেন: ০১৭৩৭ ৫১ ০৮ ১৫

২৬/০১/২০১২ তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টায় কল্যাণপুর দারুস সালাম টাওয়ার এর নিচে উপস্থিত থাকুন। যথাসময় বাস ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। সকাল ৭ টায় বাস ছাড়ার ২ টা কারন রয়েছে –

১. শীতের সময় দিন এমনিতে ছোট। তাই আমরা বেশি সময় পাশাপাশি থেকে আনন্দ উপভোগ করতে চাই, আর এই চাওয়া বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যথাসময়ে রওনা দেওয়ার কোন বিকল্প নেই।

২. স্পটে আমাদের জন্য অপেক্ষা করবে গরম ভাপা পিঠা আর টাটকা খেজুরের রস। চিরায়ত এই দুই প্রিয় খাবারের স্বাদ যত সকালে খাওয়া যায় তত মজা। অনুরোধ নিজে দেরি করে যেন নিজেই বিব্রত না হই। এবং অন্যকে আনন্দের পুরো সুযোগ টা যেন দেই।

বাস যাবে : কল্যাণপুর দারুস সালাম টাওয়ার – মিরপুর মাঝার রোড – বেড়ীবাঁধ – কামারপারা (ইস্তেমা মাঠের পাশ দিয়ে) – টঙ্গী – চন্দনা চৌরাস্তা (গাজীপুর) – হোতাপাড়া।

উল্লেখ্য যে : টঙ্গী তে মুন্নু টেক্সটাইল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে বাস কিছুক্ষণের জন্য থামানো হবে, উত্তরা বা ঐ দিকে যারা থাকেন তারা ইচ্ছা করলে সেখান থেকে আমাদের সাথে যোগ দিতে পারেন। তবে অবশ্যই তা জানিয়ে দিতে হবে।

down-
25th January

কাশেম সমাচার :: তথ্যানুসন্ধান পোস্ট

4827315796_bfeeb71f00

রংপুর বিভাগের মহিমাগঞ্জে ‘কাশেম’ নামটি নিয়ে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছে মানুষ। এই এলাকায় ৪০জন কাশেম বাস করায় কোন লোক কাশেম নামে কাউকে খুঁজতে এলে তাকে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হয়। লোকজন জিজ্ঞাসা করে, কোন কাশেম? কারণ নিজ নিজ কর্মের কারণে মহিমাগঞ্জ বাসী ওই ৪০ কাশেমের আগে একটি করে পদবী জুড়ে দিয়েছে। যেমন …

০১. শেখ কাশেম
০২. পাটোয়ারী কাশেম
০৩. আবুল কাশেম
০৪. চশমা কাশেম
০৫. বোলতা কাশেম
০৬. বোতল কাশেম
০৭. ভেজাল কাশেম
০৮. পিওর কাশেম
০৯. বিডিআর কাশেম
১০. পুলিশ কাশেম
১১. মালয়শিয়া কাশেম
১২. ড্রাইভার কাশেম
১৩. খাঁ কাশেম
১৪. খান কাশেম
১৫. তোতলা কাশেম
১৬. গোল্ডলিফ কাশেম
১৭. ষ্টার কাশেম
১৮. চিকা কাশেম
১৯. নাককাটা কাশেম
২০. গালকাটা কাশেম
২১. লম্বা কাশেম
২২. খাটো কাশেম
২৩. আলু কাশেম
২৪. মরিচ কাশেম
২৫. মোল্লা কাশেম
২৬. চৌধুরী কাশেম
২৭. ফর্শা কাশেম
২৮. আলসে কাশেম
২৯. জুতা কাশেম
৩০. জিন্স কাশেম
৩১. পানওয়ালা কাশেম
৩২. মুক্তিযোদ্ধা কাশেম
৩৩. লেবার কাশেম
৩৪. ব্যাপারী কাশেম
৩৫. মুনশী কাশেম
৩৬. রিক্সা ওয়ালা কাশেম
৩৭. পকেটমার কাশেম
৩৮. চোরা কাশেম
৩৯. ধুণকর কাশেম
৪০. সেক্সি কাশেম

উল্লেখ্য কাশেম প্রামাণিক নামে একজন ১১টি বিয়ে করায় এলাকাবাসী তার নাম দিয়েছে সেক্সি কাশেম।

( লিখার উদ্দেশ্য বিশেষ এলাকা কিংবা কাউকে হেয় করার জন্য নয় )
দেখুন আপনার এলাকায় অথবা জানা মতে আর কোন কাশেম বাদ গেলো কিনা !!

mz_4087361_bodyshot_300x400-21
9-19 2464

সেলিম আল দীন: একজন মহানায়কের মহাপ্রয়াণ

Selim Al Deen

সেলিম আল দীন (১৮ই আগস্ট ১৯৪৯ – ১৪ই জানুয়ারি ২০০৮)।
চতুর্থ মৃত্যু বার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

একজন প্রখ্যাত নাট্যকার। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি নাটকের আঙ্গিক ও ভাষা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন। ব্যঙ্গ-বিদ্রূপাত্মক বা স্যাটায়ার-ধর্মী নাটকে তিনি বিশেষ পারদর্শিতার স্বাক্ষর রেখেছেন।

জীবনী:
সেলিম আল দীনের বাবা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। সেই সূত্রে ঘুরেছেন বহু জায়গা। ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার প্রতি ছিল তাঁর চরম ঝোঁক। তাই দূরে কাছে নতুন বই দেখলেই পড়ে ফেলতেন এক নিমেষে। ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর লেখক হওয়ার বিষয়ে পাকাপোক্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি। লেখক হিসাবে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৬৮ সালে, কবি আহসান হাবিব সম্পাদিত দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকার মাধ্যমে। আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের নিয়ে লেখা তাঁর বাংলা প্রবন্ধ নিগ্রো সাহিত্য ছাপা হয় ওই পত্রিকায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়েই নাটকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন সেলিম আল দীন, যুক্ত হন ঢাকা থিয়েটারে। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা শেষে যোগ দেন বিজ্ঞাপনী সংস্থা বিটপীতে, কপি রাইটার হিসাবে। ১৯৭৪ সালে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসাবে যোগ দেন। ওই বছরই বেগমজাদী মেহেরুন্নেসার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। তাঁদের একমাত্র সন্তান মইনুল হাসানের অকাল মৃত্যু হয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠা সেলিম আল দীনের হাত ধরেই। ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সেলিম আল দীন ১৯৮১-৮২ সালে নাট্য নির্দেশক নাসির উদ্দিন ইউসুফকে সাথী করে গড়ে তোলেন গ্রাম থিয়েটার।

তাঁর প্রথম রেডিও নাটক বিপরীত তমসায় ১৯৬৯ সালে এবং টেলিভিশন নাটক আতিকুল হক চৌধুরীর প্রযোজনায় লিব্রিয়াম (পরিবর্তিত নাম ঘুম নেই) প্রচারিত হয় ১৯৭০ সালে। আমিরুল হক চৌধুরী নির্দেশিত এবং বহুবচন প্রযোজিত প্রথম মঞ্চনাটক সর্প বিষয়ক গল্প মঞ্চায়ন করা হয় ১৯৭২ সালে। তিনি শুধু নাটক রচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি, বাংলা ভাষার একমাত্র নাট্য বিষয়ক কোষগ্রন্থ বাংলা নাট্যকোষ সংগ্রহ, সংকলন, প্রণয়ন ও সম্পাদনা করেছেন। তার রচিত হরগজ নাটকটি সুয়েডীয় ভাষায় অনূদিত হয় এবং এ নাটকটি ভারতের রঙ্গকর্মী নাট্যদল হিন্দি ভাষায় মঞ্চায়ন করেছে।

সেলিম আল দীনের প্রথমদিককার নাটকের মধ্যে সর্প বিষয়ক গল্প, জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন, মূল সমস্যা, এগুলোর নাম ঘুরে ফিরে আসে। সেই সঙ্গে প্রাচ্য, কীত্তনখোলা, বাসন, আততায়ী, সায়ফুল মূলক বদিউজ্জামান, কেরামত মঙ্গল, হাত হদাই, যৈবতি কন্যার মন, মুনতাসির ফ্যান্টাসি ও চাকা তাকে ব্যতিক্রমধর্মী নাট্যকার হিসেবে পরিচিত করে তোলে। জীবনের শেষ ভাগে নিমজ্জন নামে মহাকাব্যিক এক উপাখ্যান বেরিয়ে আসে সেলিম আল দীনের কলম থেকে। তিনি ২০০৮ সালের ১৪ই জানুয়ারী মৃত্যু বরণ করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যে নাটক এর উপর গবেষণা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেন।

উল্লেখযোগ্য নাটকসমূহ:

* মুন্তাসীর ফ্যান্টাসি (১৯৭৬)
* কিত্তনখোলা (১৯৮০)
* কেরামত মঙ্গল (১৯৮৪)
* চাকা (১৯৯০)
* যৈবতি কন্যার মন (১৯৯১)
* শকুন্তলা
* হাত হদাই
* বণপাংশুল
* ধাবমান
* পূত্র
* নিমজ্জন
* প্রাচ্য

সেলিম আল দীনের অপ্রকাশিত রচনা:

বদরুজ্জামান আলমগীর রচিত ও কামালউদ্দিন কবির নির্দেশিত অহরকণ্ডল নিয়ে সেলিম আল দীন লিখেছেন ‘যে কথাগুলো বলা উচিত’। নিচে তাঁর ডায়েরির অংশবিশেষ-

লোকায়ত জীবনের মধ্যে খানিকটা বাইবেলের ফিউশন-অহরকণ্ডল। বাকিটা ছড়া-প্রবচন-ধ্রুপদী শব্দের ঘন গম্ভীর ধ্বনি। বাংলা নাট্যের সীমায় এ খুব অবাক হওয়ার মতো কাজ। নাট্য-ভূমিকায় লেখক যা বলেন তাতে তাঁর শিল্পভাবনার কৌশলটা বেশ বুঝতে পারা যায়। চরিত্রের নির্বিশেষ করণের বাড়তি প্রয়াস যে ওটা তাতে সন্দেহ নেই।
অহরকণ্ডলের গল্পটি আমাকে প্রথম শুনিয়েছিল নাসির উদ্দীন ইউসুফ। শুনে আমি উত্তেজিত হয়ে উঠেছিলাম। দীনপুণ্য বাংলা নাট্যে এ রকম কেউ ভাবে নাকি-বলে নাকি-লেখে নাকি?

তারপর কামালউদ্দিন কবির আমাকে অহরকণ্ডলের পাণ্ডুলিপি পড়তে দেয়। লেখাটি পড়তে পড়তে দেখতে পাই কথকের বলার ভঙ্গিতে বিচিত্র সব চিত্র-উড়ে আসে কি মাটি ফুঁড়ে বেরোয়। ঘটনা-চরিত্রের মনোভঙ্গি-ইঙ্গিত-দ্ব্যর্থবোধকতা-সব মিলিয়ে অবাক হওয়ার মতো লেখা।
বুঝতে পারা যায়, বাংলা নাটক চলনে-বলনে আর উপনিবেশ কালের শাসন অগ্রাহ্য করছে সচেতন শিল্পরীতির মাধ্যমে, যে রীতিটা উঠে এসেছে আবহমানকালের ধারায়-প্রাচীন ও মধ্যকালের বাংলা থেকে। তবে তাতে পাশ্চাত্য শিল্পরীতির ন্যায্য অংশটুকুই গৃহীত হয়েছে-বিশ্ব সংস্কৃতির আধুনিক প্রবাহের ধারায়।

বর্ণনাত্মক বাঙলা নাটক যে বিশ্বনাটকের শিল্পযাত্রায় এক নতুনতর সংযোজন সে বিষয়ে আর সন্দেহ থাকে না, যখন দেখি আমাদের একদিনের ক্ষীণ-ভীরু চেষ্টাটা আজ বৃহত্তর শিল্পমণ্ডলবর্তী। একদিন নিজের রচনার ভিতরে নিঃসঙ্গের মতো নির্জনে বসবাস করতাম। আজ দেখি সেই চেষ্টা কতই না বিচিত্রতর ভিন্নধারায় বাহিত হচ্ছে।
রবীন্দ্রোত্তরকালে বাঙলা কবিতা ও উপন্যাসের চেয়েও বাঙলা নাটক নবতর অথচ ভূমিজ এবং অনঔপনিবেশীয় আঙ্গিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ সে বিষয়টি সুস্পষ্ট ভাষায় বলা সংগত।

অহরকণ্ডল আমাদের নাট্যভাষায় এক নতুন অভিজ্ঞতা। এ নাটকের পরিচালককে এ জন্য ভাষা পারিতোষিক দেই যে তিনি বলার ভঙ্গিটাকেই থিয়েটারে দাঁড় করাতে সমর্থ হয়েছেন। একটা নতুন থিয়েটার সৃষ্টির অঙ্গীকার না থাকলে অহরকণ্ডলকে মঞ্চে তুলে আনা সম্ভব হতো না।
পাশ্চাত্য নাট্যধারার বিশাল থাবার নিচে আমাদের এ সকল প্রয়াস-একদিন ভূমি ভেদী বৃক্ষ রূপে দাঁড়াবেই-এই বিশ্বাসে নিরন্তর নিজ বীজ প্রোথিত করি বাঙালির শিল্প ভূমিতে।
৩রা মে ২০০৬।

sad-1.jpg
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া

কেউ কথা রাখেনি

oldman

মূলঃ সূনীল গঙ্গোপাধ্যায়

কেউ কথা রাখেনি, তেইশ বছর কাটলো, চুলও কথা রাখেনি
ছেলে বেলায় টিভিতে, এক নায়িকা তার বিজ্ঞাপনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিল
শূকর মার্কা তেলে সাতদিনে চুল ঘন হবে।
তারপর কতো দিন, মাস, বছর চলে গেল কিন্তু সেই ঘন চুল
আর হলো না
এগার বছর প্রতীক্ষায় আছি।

মামা বাড়ির চাকর কাদের আলী বলেছিল, ধৈর্য ধর দাদা ঠাকুর
তোমাকে আমি তিন পাগলীর চুল দেখাতে নিয়ে যাবো
সেখানে ওদের ঝাঁকড়া চুলে উকুন আর খুশকি
খেলা করে।

কাদের আলী, আমি আর কতো ধৈর্য ধরবো? আমার মাথার টাক পড়ে
ফুটবল মাঠ হয়ে গ্রীবা স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায়
তিন পাগলির চুল দেখাবে?

একটাও গোল চিরুনি কিনতে হয়নি কখনো
ঝাঁকড়া চুল দেখিয়ে দেখিয়ে রাহুল কাট্ মেরেছে কলেজের ছেলেরা
হ্যাবলার মতন গার্লস কলেজের গেটে দাঁড়িয়ে দেখেছি
ভেতরের বরণ উৎসব
হলুদ জমিন, লাল পাড়ের শাড়ি পরা ফর্সা মেয়েরা
কতো রকম আমোদে হেসেছে
আমার দিকে তারা ফিরেও চায়নি।

হাফ টেকো রমজান আমার কাঁধ ছুঁয়ে বলেছিল, দেখিস একদিন আমরাও…
রমজান এখন পুরো টেকো, আমাদের দেখা হয়নি কিছুই
সেই গোল চিরুনি, সেই রাহুল কাট্ , সেই বরণ উৎসব
আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবে না!

গায়ের মধ্যে বাদামি তোয়ালে জড়িয়ে পাড়ার নাপিত সুরিন্দর বলেছিল,
যেদিন চুলের মধ্যে- সত্যিকারের কালো মেহেদী লাগাবে
সেদিন তোমার মাথাও তোয়ালের উলের মত ঘন চুল চুল হবে!

চুলের জন্য আমি হাতের মুঠোয় টাকা নিয়েছি
দূরন্ত সব হেকিমের কাছে গিয়েছি
ফার্মাসি তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮ টা ই-ক্যাপ।
তবু কথা রাখেনি চুল, এখন আমার মাথায় শুধুই টাক
কখনো সে যে কোনো মরুভূমি!

কেউ কথা রাখেনি, তেইশ বছর কাটলো, চুল কথা রাখেনা!

n1831246912_20071393_n

httpv://youtu.be/t_L2qgZ-2_8

আগামীকাল দাবী আদায়ের হরতাল

কবি জিয়া রায়হান এর একটি ভালোলাগা কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

আজ আমি মিছিলে যাবো
আগামীকাল দাবী আদায়ের হরতাল।

সবুজ ঘেরা নির্জনে কাল এসোনা তুমি প্রিয়,
টি.এস.সি কিম্বা পাবলিক লাইব্রেরী কোথাও
আমাকে খুঁজে পাবেনা তুমি, কারণ
আজ আমি মিছিলে যাবো
আগামীকাল দাবী আদায়ের হরতাল।

জানি খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত হবে তুমি
ক্লান্ত হবে তোমার দু’টি পা
তবু বলতে পারছিনা আমার ঠিকানা।

যদি আগামীকাল আমাকে পেতে চাও
যদি আমার কাছে আসতেই চাও- তবে,
তবে জেনে নিও আমার অবস্থান
চলন্ত ট্রাক, সশস্ত্র পুলিশ কিম্বা গোপন অস্ত্রের কাছে
ওরাই শুধু বলতে পারে- আগামীকাল
আমি কোথায় কেমন থাকবো কিম্বা আদৌ থাকবো কিনা।

যদি তাদের খুঁজে না পাও
যদি চিনতে না পারো মুখোশে ঢাকা মুখ
তাহলে খোঁজ নিও হাসপাতালে
সেখানে আমার আহত দেহ পাবে,
খোঁজ নিও জেল- হাজতে
সেখানে আমার অবরুদ্ধ বাহু পাবে।

তারপরেও যদি খুঁজে না পাও, তবে
শেষ খোঁজটুকু নিও লাশ কাটা ঘরে
সেখানে আমার প্রাণহীন শীতল দেহ পাবে।

তুমি যদি আমার কাছে আসতেই চাও
তবে আর একটি নতুন হরতালের জন্ম দিয়ে
ফিরে এসো আমার পাশে
হাসপাতালে জেল- হাজতে কিম্বা লাশকাটা ঘরে।

আজ আমি মিছিলে যাবোই
আগামীকাল দাবী আদায়ের হরতাল।

সমমনা বন্ধুর প্রতি খোলা চিঠি


ছবি : নেট থেকে

প্রিয় বন্ধু,
আমি আসলে জ্ঞানগর্ভ কাহিনী লিখে গদ্য ফাঁদতে শিখিনি। সে ক্ষমতা আমার নেই। কোন কিছুর গভীরে চলে গেলে, নিজেকে ফেরাতে পারিনা। মনে যে যুক্তিটা গ্রহনযোগ্য মনে হয়, অনায়াসে লিখে ফেলি। তবুও আমার মতো অর্বাচীনের লিখা তুমি ধৈর্য্য ধরে পড়ো, আমি আনন্দিত।

লিখার শুরুতে ওপরের বিষয়গুলোনে দৃকপাত এই জন্য করলাম যে – যে কোন সভ্য মানুষ মাত্রই দিন শুরুতে নিজের অবয়ব দেখে নেন কাছের যে কোন আয়নায় যাতে নিজ সম্বল নিয়ে সতর্ক থাকেন। চরিত্র চক্র থেকে সহসা বেড়িয়ে আসা কারুরি সহজ নয়। চরিত চক্র যদি হয় বৃত্ত, আমরা সবাই সেই বৃত্ত খাঁচায় নিত্য ছোটায় ব্যস্ত গিনিপিগ। অদৃশ্য স্রষ্টা সে ঘরে ছক এঁকে দিয়েছেন শিল্পী সুলভ তুলির ছোঁয়ায়, আমরা সবাই নির্বোধের মত একেকটা ছকে ঢুকি আর সেটাকেই ভাগ্য মনে করে মেনে নেই। বোধকরি ভাষা রসিক জনেরা এ কারণেই অকারণে বলেন, মানুষ মরে গেলে সার হয় আর বেঁচে থাকলে বদলায়। প্রতিদিনের অদল বদলের চক্র পৃষ্ঠায় আমি আমরা সবাই।

দিগন্তের ঠিক কোথায় সাগর আর আকাশ মিলিত হয়েছে
চিহ্নিত করা সম্ভব নয় তা,
তবে দিগন্তরেখার উপরে বা নিচে তাকিয়ে
যে কেউ বলতে পারবে এখানে আর ওখানে সাগর।
সাগর আকাশের চেয়ে বেশী গাঢ়!

জীবন বরাবরই সাগরের মতো।
যখন নিথর, শান্ত, অবসাদ মুক্ত বুঝে নিতে হয়-
এই বুঝি সময় হলো
এলোমেলো হবার পালা।

একঘেঁয়েমীর সূত্র কোথায়!
এটাইতো অজানা।
যদি জানতাম যত অসাধ্য আর শব্দের অভাব থাকনা,
অন্তত আর কাউকে না হলেও তোমাকে জানাতাম।

একঘেঁয়েমী মানসিক ব্যাধি।
মগজের টিস্যু গুলোন যখন ভীষন উত্তেজিত
তখনই হই ব্যাকুল,
আশ্রয় পেতে চাই অপরিচিত পরিবেশে।

ব্যাধির ব্যথায় অসচেতন
তারা না বুঝনেওয়ালাদের দলে,
প্রায়শঃ থাকেন বিমর্ষ, অমনোযোগী।
এই আমারই মত।

শেষে শ্রী রবী ঠাকুর স্বরে বলি…
গোধূলী।
আমি বলি- ধূলি।
ধূলি আমার একলা ধূলি।

সে আমাকে আদর করিয়া বলে-সখা।
হয়তো কোন একদিন চিঠির শেষে কবিতা লিখিবে-
“ধরণীর যেথা যাও তুমি সখা; তব চরণ যাবে ধূলি চুমিয়া।”

ইতি।
বন্ধু।

শুভ জন্মদিন : জেড এইচ সৈকত

e25c1d282c42f86666277effd26c74b2

এই সব রাত আসে রাত্রির মত
এই সব রাত্রির বুকে নীল ক্ষত
ক্ষত নয়, মহাকাশে বেদনার জল
একটি জীবন তার উপমা অতল।

সে আমাদের প্রিয় ব্লগার zzzh জেড এইচ সৈকত।
zh
ছায়াপথের অশরীরী বৃষ্টি
গুচ্ছ ফোটায় সাদা গোলাপ
ইতিহাসের পরিবর্তে কৃষ্টি
মেলে ধরে নীল ময়ূরীর কলাপ।

আজ জেড এইচ সৈকত এর জন্মদিন।
c823c7ce64f6df35d20a69762035f12b
zia4
zia6
zia8
zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9
101010101010101010101010101010

তাজমহল

taj

২৭শে সেপ্টেম্বর ২০০৯-এ বিশ্ব পর্যটন দিবসে, ইন্ডিয়ার আগ্রায়, মধ্যযুগের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম ও বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকাভুক্ত তাজমহলের ৩৫৫ বছর পূর্তি উৎসব শুরু হয়েছিল। এই উৎসব চলেছে ছয়মাস। তাজমহল এর নাম শোনেননি এ ধরণের মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবেনা। আর এ তাজমহল দেখেননি এ রকম হয়তো একজনও নেই। কেউ সশরীরে না গেলেও ভিউকার্ড, পোস্টার, চলচ্চিত্র, পোষ্ট কার্ড, ফার্স্ট ডে কভার, স্যুভেনির শিট, ডাকটিকেট, ফোনকার্ড ও বই-এ তাজমহলের ছবি অবশ্যই দেখেছেন। বিশ্ববাসীর কাছে তাজমহল একটি দর্শনীয় স্থান এবং এই তাজমহলের মাধ্যমে ইন্ডিয়া বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছে। তাজমহলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে পর্যটকরা অনেক ধরণের উক্তি করেছেন। তার মধ্যে সবচেয়ে আবেদন সৃষ্টিকারী উক্তি করেন বৃটিশ পর্যটক এওয়ার্ড লিয়ার। ১৮৭৪ সালে তিনি বলেছিলেন, আজ থেকে বিশ্ববাসীকে দুটি শ্রেনীতে বিভক্ত করা হোক। একটা শ্রেনী যারা তাজমহল দেখেছে এবং আরেকটি শ্রেনী যারা দেখেনি। … এই উক্তিটি ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে রয়েছে।

তাজমহল দেখাটা আগে যতো সহজ ছিল, এখন ততোটা নেই। কেননা তাজমহল দেখার জন্য বিদেশীদের জন্য ইন্ডিয়া একটা চড়া প্রবেশ মূল্য (৯০০ রুপি) ধার্য করেছে যা সাধারণ পর্যটকদের কাছে গ্রহনযোগ্য বিবেচিত হয়নি। এ কথা ঠিক যে, তাজমহলের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ যথাযথ হয়েছে। কিন্তু মূল্যমান নিম্ন মধ্যবিত্তদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখাটা উচিৎ ছিল।

তাজমহল দিল্লি থেকে ২১০ কিলোমিটার দূরে আগ্রায় যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত। দিল্লি থেকে ট্রেনে আগ্রায় যেতে দেড় ঘন্টা সময় লাগে। তাজমহলের বয়স নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। কোনো ইতিহাসবিদ বলেন, ১৬৩১ সালে শুরু হয়ে ১৬৫৩ সালে শেষ হয়েছে। আবার কেউ বলছেন, ১৬৩২ সালে নির্মান কাজ শুরু করে ১৬৫৪ সালে সম্পন্ন হয়। এর অধিকাংশের মতে, তাজমহলের নির্মাণ কাজ ১৬৩১ সালে শুরু হয় এবং ১৬৫৩ সালে নির্মাণ সম্পন্ন হয়। কিন্তু কোনো বিতর্ক নেই যে, অমর প্রেমের নিদর্শন হলো তাজমহল।

ফার্সিতে তাজমহল অর্থ প্রাসাদের মুকুট হলেও তাজমহল প্রকৃতপক্ষে একটি স্মৃতি সৌধ। সম্রাট জাহাঙ্গীরের পুত্র খুররম ১৬১২ সালে ফার্সি-রাজকন্যা আরজুমান্দ বানু বেগমকে বিয়ে করেন। সম্রাট জাহাঙ্গীর বিয়ের দিনই আরজুমান্দ-এর নতুন নাম দেন মমতাজ মহল। ১৬২৭ সালের ২৯শে অক্টোবর সম্রাট জাহাঙ্গীর মারা যান এবং খুররমকে সম্রাট ঘোষনা করা হয়। খুররম ১৬২৮ সালের ৪ঠা ফেব্রয়ারি এক জাঁকজমক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পঞ্চম মোঘল সম্রাট হিসেবে সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং তার নতুন নাম রাখা হয় শাহ্জাহান। শাহ্জাহান ও মমতাজ মহল-এর মধ্যে ভালোবাসা এতো গভীর ছিল যে, রাজকার্য থেকে শুরু করে সামরিক অভিযান পর্যন্ত মমতাজ ছিলেন তার স্বামীর অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী। তাদের সংসার জীবন ছিল আঠারো বছরের এবং এর মধ্যে তাদের ১৪টি সন্তান লাভ করে। সর্বশেষ সন্তান জন্মলাভের সময় ১৬৩০ সালে বোরহান পুরে সম্রাট শাহ্জাহান-এর সঙ্গে এক সামরিক অভিযানে অবস্থান কালে মমতাজ মহল মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে শাহজাহানের কাছ থেকে মমতাজ চারটি প্রতিশ্রুতি আদায় করেছিলেন।

প্রথমতঃ সম্রাট শাহ্জাহান তাদের ভালোবাসার পবিত্রতা ও সৌন্দর্যকে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য একটা সৌধ নির্মাণ করবেন।

দ্বিতীয়তঃ তিনি আবার বিয়ে করবেন।
তৃতীয়তঃ তিনি ছেলেমেয়েদের প্রতি কখনো রুষ্ট হবেন না।
চতুর্থতঃ প্রতি মৃত্যু বার্ষিকীতে সম্রাট তার সমাধিতে আসবেন।

সম্রাট শাহ্জাহান চারটির মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছিলেন। মমতাজের মৃত্যুর পর তাকে তপতী নদীর তীরে বোরহান পুরের জয়নাবাদ বাগানে সমাহিত করা হয়। মৃত্যুর ছয় মাস পর মমতাজ মহল-এর মৃতদেহ আগ্রায় নিয়ে আসেন শাহ্জাহান। ১৬৩১ সালে সৌধ নির্মাণের জন্য ডিজাইন আহ্বান করেন এবং ওই বছরই শাহ্জাহান তাজমহল নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০ হাজার লোকের ২২ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে ১৬৫৩ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর আগ্রায় যমুনা নদীর তীরে তাজমহল প্রতিষ্ঠিত হয়। তাজমহল নির্মাণে, বর্তমান হিসাবে ৪০ লাখ পাউন্ড ব্যয় হয়েছিল।

তাজমহল বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপে পর্যটকদের কাছে ধরা দেয়। যেমন ভোরবেলায় গোলাপী, দুপুর-বিকেলে দুধ সাদা, চাঁদের ম্লান আলোয় সোনালী এবং ভরা চাঁদের (পূর্ণিমা) আলোয় মুক্তোর মত জ্বল জ্বল করে। এছাড়া বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন রং ধারণ করে। কথিত আছে, পৃথিবীতে যাতে দ্বিতীয় কোন তাজমহল গড়ে না ওঠে সে জন্য সম্রাট শাহ্জাহান কারিগরদের হাতের আঙ্গুল কেটে দিয়েছিলেন এবং অন্ধ করে দিয়েছিলেন।

তাজমহল-এর নকশা কারীর নাম নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। তবে যে নামগুলো বেশী উচ্চারিত হয় সেগুলো হলো- ইরানের নামজাদা স্থপতি ওস্তাদ ঈশা, ওস্তাদ আহমদ লাহোরি, ওস্তাদ হামিদ এবং ইতালির জেরোলিমো ভোরানিও। সম্রাট শাহ্জাহান ১৬৬৬ সালের ২২শে জানুয়ারী মৃত্যুবরণ করেন এবং তাকে তাজমহলের মাঝখানে একটি ঘরে মমতাজ এর পাশেই সমাহিত করা হয়।

glass taj 1

আমার ছায়াতে তোমার হাসিতে
মিলিত ছবি,
তাই নিয়ে আজি পরানে আমার
মেতেছ কবি।
পদে পদে তব আলোর ঝলকে
ভাষা আনে প্রাণে পলকে পলকে,
মোর বাণীরূপ দেখিলাম আজি,
নির্ঝরিণী-
তোমার প্রবাহে মনেরে জাগায়,
নিজেরে চিনি। … রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর