মুরুব্বী এর সকল পোস্ট

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter

আমি তোমাকে ভালোবাসি

প্রাচীন গ্রীক পুরাণে প্রেমের দেবতা কিউপিডকে ( রোমান পুরাণের কামদেবতা। প্রেমের দেবী ভেনাসের পুত্র। গ্রীক পুরাণে তাঁর নাম এরস। ) অন্ধ হিসেবে দেখানো হয়েছে। কারণ প্রেম অন্ধ। অন্ধ বলেই কিউপিডের কাছে ধনী দরিদ্র কখনো কোন সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়নি। তার ইচ্ছে মতো সে তার প্রেমের তীর মেরে চলেছে নানা মানুষকে। তাই প্রেম কোন ধর্ম বর্ণ বয়স জাত কিছুই মানে না। প্রেম যেমন অতি পুরোনো তেমন অতি নতুনও। যুগে যুগে প্রেম হয়ে এসেছে পুজনীয়।

02
আমি তোমাকে ভালোবাসি
এই কথাটির কয়েকটি ভাষার অনুবাদ আমার সংগ্রহ থেকে সকল বন্ধু পাঠককে আমার ভালোবাসা হিসাবে শেয়ার করলাম। দেশ ভেদে আঞ্চলিকতা থাকতে পারে শব্দের উচ্চারণে। কিন্তু অনুভবের প্রকাশ অভিন্ন। ভিন্ন জানা থাকলে শেয়ার করুন।

বাংলা … আমি তোমাকে ভালোবাসি।
ইংরেজী … আই লাভ ইউ।
ইতালীয়ান … তি আমো
স্প্যানিশ … য়ু লে আমো।
জার্মান … ইখ লিবে সিয়ে।
ফরাশি … জ্যঁ তেম।
পর্তুগীজ … ইউ তে আমু।
রাশিয়ান … ইয়া লুবল্যু তেবিয়া।
ইউক্রেনিয়ান … ইয়া কখায়ু তেবে।
মোজাম্বিক … সাফু ফুনা।
চাইনিজ … ও আই নি।
মঙ্গোলিয়ান … চমৎখায়েরতে।
জাপানী … ওয়াতাশি আনাতা ও আই সিত্তে ইমাছ।
কোরিয়ান … নানুন দাংগসিনউল সালাংগ হারনিদা।
ফিলিপিনো … মাহাল কিতা।
আরবী … আনা ব্যাহেব্বাক।
মালে … আকু চিন্তা কামু।
বার্মিজ … নি নামা চিত্তে।
সিংহলীজ … মামা ওবাটা আছরেই।
মালি … বি ফে।
হিন্দি … ম্যায় তুমসে পেয়ার করতা হুঁ।
তামিল … নান উন্নাই কাজালিক ক্যারে এন।
তেলেগু … না নে নেননু প্রেমেঞ্চু চুননানো।
থাইল্যান্ড … ผมรักคุณ (Phom Rak Khun – Male Speaker)
ฉันรักคุณ (Chan Rak Khun – Female Speaker)
সুইডিস … Jag älskar dig ইয়ো এলস্কার ডিগ। ( তথ্যসূত্র: ছোট ভাই মৃদুল )

ভালোবাসার লেখাগুলোতে যে মূল কথাটি বেড়িয়ে আসে তা হলো, আমরা সবাই মানুষ। ভালো মন্দ মিলিয়ে আমাদের জীবন এবং আমাদের পারস্পরিক ভালোবাসা বিশ্বাস, সহনশীলতা, সহমর্মিতা এবং নির্ভরতাই পারে একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলতে। একই ভাবে আমাদেরও দেশের রাজনীতিতেও যদি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও বিশ্বাস থাকে তবে একটি সুন্দর সমাজ আমরা অবশ্যই পাবো। আমরা কি এটা আশা করতে পারি না যে, নতুন প্রজন্মের মতো রাজনীতিবিদরাও দেশের জন্য এই সামান্য ত্যাগটুকু স্বীকার করবেন !!

আমার সবটুকু হৃদ্যিক ভালোবাসা রইলো রইলো শব্দনীড় এর আমার সকল পাঠক লেখক বন্ধুদের জন্য। যাদের ভালোবাসাকে সম্বল করে আমার এই পথচলা। সবাইকে আমার অভিনন্দন। এবার ভালোবাসা দিনে…
প্রেমমন্ত্র হোক-
আমরা যেন ভালোবাসতে পারি … ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি।
এ পৃথিবী আমাদের। আমরা সকলে … সকলের।

0314aআরেক পৃথিবী জাগে, সদ্যোজাত ফেননিভ শিশুর মতন, এই সব চেনামনে জন্ম নেয় অন্য এক মন। যতক্ষণ সূর্য থাকে, রোদ থাকে মেঘে, কর্ম কোলাহল থাকে দিনের আবেগে। গান গায় নদী – এই মত দিন কাটে সূর্যাস্ত অবধি। তারপরো বলি – আমি তোমাকে ভালোবাসি।

জিয়া রায়হান … প্রত্যয়ী এক শব্দ যোদ্ধার জন্মদিন আজ

shoykot

হে বন্ধু, সবার চেয়ে চিনি তোমাকেই এ কথায় পূর্ণ সত্য নেই। চিনি আমি সংসারের শত সহস্রেরে কাজের বা অকাজের ঘেরে নির্দিষ্ট সীমায় যারা স্পষ্ট হয়ে জাগে, সৌন্দর্যের যে- পাহারা জেগে রয়েছে অন্তঃপুরে সে আমারে নিত্য রাখে দূরে। তোমার মাঝে শিল্পী তার রেখে গেছে তর্জনীর মানা, সব নয় জানা। আজ কোন কথা নয়। নয় কোন স্বপ্নচারীর অসত্যের মুখভাষা। কেবলই ভালোবাসা। আজ তোমার জন্মদিন। শুভ জন্মদিন।
birthday_124-2-1

zia1
যাও তুমি মিছিলে যাও।
আজ দাবী আদায়ের হরতাল।

সবুজ ঘেরা নির্জনে আজ না আসুক তোমার প্রিয়,
টি.এস.সি কিম্বা পাবলিক লাইব্রেরী কোথাও
তোমাকে খুঁজে পাবে না সে, কারণ
তুমি আজ মিছিলে যাবে
আজ যে দাবী আদায়ের হরতাল।

জানি খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত হবে সে
ক্লান্ত হবে তার দু’টি পা
তবু বলবো না তোমার ঠিকানা।

যদি আজ তোমাকে পেতে চায়
যদি তোমার কাছে আসতেই চায় – তবে
তবে জেনে নিক তোমার অবস্থান
চলন্ত ট্রাক, সশস্ত্র পুলিশ কিম্বা গোপন অস্ত্রের কাছে
ওরাই শুধু বলতে পারবে – আজ
তুমি কোথায় কেমন থাকবো কিম্বা আদৌ থাকবো কিনা।

যাও তুমি মিছিলে যাও। আজ দাবী আদায়ের হরতাল।

তুমি আমাদের অহংকার। তুমি আমাদের প্রিয় বান্ধব zia0005 জিয়া রায়হান।

special cake

58197_482521061800173_503856566_n zzzzia
538505_476286862423593_1045806040_n 269366_482587041793575_899911904_n

জিয়া রায়হান প্রত্যয়ী এক শব্দ যোদ্ধার জন্মদিন আজ। হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে জানাই আমাদের শ্রেষ্ঠ ভালোবাসা এবং সম্মান। পঞ্চাশ বসন্ত পেরিয়ে আজ যিনি একান্নয়। কথা বলেছেন অমিয় সব শব্দ ভাবনায়, ছবি এঁকেছেন হৃদয়ের তুলিতে, চোখ রেখেছেন আপনার চোখে। অসম্ভব সব সৃষ্টির অন্বেষণে আজন্ম অস্থির যে ঘুরে বেড়িয়েছে দেশ থেকে দেশান্তরে। মা মাটি মানুষ এর প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন চিত্রিত ডিজিটাল ক্যানভাসে। A day in the world আন্তর্জাতিক ছবি প্রতিযোগিতায় এনে দিয়েছো বিশ্বসেরা বাঙ্গালী ছবি’র বিরল সম্মান।
শুভ জন্মদিন বন্ধু। দেখা হোক শতাব্দীতে …।

তুমি যে ভাষাতেই কবিতা লিখো আমি পড়বো। সে যদি কবিতা হয়।
তুমি যে ভাষায় গান গাও, সুর তোলো – সে গান সে সুর – শুনবোই।
যে সুরে ও গীতিকায় হৃদয় হৃদয়ের সাথে কথা কয়।

happybirthdayblueflash
312hpdsga
raa

birthday cake ity
special cake
happ866
zia6
zia8
zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9
101010101010101010101010101010

জীবনের কর্মে এবং সাফল্যে থাকুন বেঁচে। আমাদের সকলের শুভেচ্ছা ভালোবাসা সর্বোপরি শুভকামনা সব সময়ে থাকবে আপনার জন্য। শুভ হোক ব্লগিং।

ফেসবুক লিঙ্ক : আজাদ কাশ্মীর জামান।

এই আমি

ei ami

নিপুণিকার সনদ এঁটে
সেরেছি সব কাজ, সব দায়ভার-
শুধু আমার দিকে আমি
ফিরে চাইনি একবারও
– পাইনি অবসর।

যে যার মত নিয়ে চলে গেছে
যেমন গন্তব্য যার
আর আমি একাকী প্রান্তে-
তাৎপর্যহীন জীবনের তাৎপর্য খুঁজতে খুঁজতে
হচ্ছি অস্থিচর্মসার।

রবার্ট ফ্রষ্ট তুমি সত্য বলেছ-
শেষ নিদ্রায় যাবার আগে
অনেকটা পথ যেতে হবে।
Miles to go before I sleep …

সবুজ বনভূমি, মানুষের কোলাহল
এবং মানুষের ধ্বংসস্তুপের মধ্য দিয়ে
আমি পথ খুঁজতে খুঁজতে এগিয়ে চলছি।

পাড়ি দিচ্ছি পথ
যেন স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকা।

ei ami 01
(স্মৃতি থেকে নেয়া।)

আজ থেকে কমেন্ট ব্লগিং ছেড়ে দিলাম

কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও। তারি রথ নিত্যই উধাও জাগাইছে অন্তরীক্ষে হৃদয়স্পন্দন, চক্রে-পিষ্ট আঁধারের বক্ষফাটা তারার ক্রন্দন।

ওগো বন্ধু, সেই ধাবমান কাল জড়ায়ে ধরিল মোরে ফেলি তার জাল– তুলে নিল দ্রুতরথে দুঃসাহসী ভ্রমণের পথে তোমা হতে বহু দূরে। মনে হয়, অজস্র মৃত্যুরে পার হয়ে আসিলাম আজি নবপ্রভাতের শিখরচূড়ায়– রথের চঞ্চল বেগ হাওয়ায় উড়ায় আমার পুরানো নাম। ফিরিবার পথ নাহি; দূর হতে যদি দেখ চাহি পারিবে না চিনিতে আমায়। হে বন্ধু, বিদায়।

কোনোদিন কর্মহীন পূর্ণ অবকাশে বসন্ত বাতাসে অতীতের তীর হতে যে রাত্রে বহিবে দীর্ঘশ্বাস, ঝরা বকুলের কান্না ব্যথিবে আকাশ, সেই ক্ষণে খুঁজে দেখো– কিছু মোর পিছে রহিল সে তোমার প্রাণের প্রান্তে; বিস্মৃতি প্রদোষে হয়তো দিবে সে জ্যোতি, হয়তো ধরিবে কভু নাম-হারা স্বপ্নের মুরতি। তবু সে তো স্বপ্ন নয়, সব-চেয়ে সত্য মোর, সেই মৃত্যুঞ্জয়, সে আমার প্রেম। তারে আমি রাখিয়া এলেম অপরিবর্তন অর্ঘ্য তোমার উদ্দেশে। পরিবর্তনের স্রোতে আমি যাই ভেসে কালের যাত্রায়।

হে বন্ধু, বিদায়। তোমার হয় নি কোনো ক্ষতি। মর্তের মৃত্তিকা মোর, তাই দিয়ে অমৃতমুরতি যদি সৃষ্টি করে থাক, তাহারি আরতি হোক তব সন্ধ্যাবেলা, পূজার সে খেলা ব্যাঘাত পাবে না মোর প্রত্যহের ম্লান স্পর্শ লেগে; তৃষার্ত আবেগ-বেগে ভ্রষ্ট নাহি হবে তার কোনো ফুল নৈবেদ্যের থালে। তোমার মানস-ভোজে সযত্নে সাজালে যে ভাবরসের পাত্র বাণীর তৃষায়, তার সাথে দিব না মিশায়ে যা মোর ধূলির ধন, যা মোর চক্ষের জলে ভিজে।

আজো তুমি নিজে হয়তো-বা করিবে রচন মোর স্মৃতিটুকু দিয়ে স্বপ্নাবিষ্ট তোমার বচন। ভার তার না রহিবে, না রহিবে দায়। হে বন্ধু, বিদায়।

মোর লাগি করিয়ো না শোক, আমার রয়েছে কর্ম, আমার রয়েছে বিশ্বলোক। মোর পাত্র রিক্ত হয় নাই– শূন্যেরে করিব পূর্ণ, এই ব্রত বহিব সদাই। উৎকণ্ঠ আমার লাগি কেহ যদি প্রতীক্ষিয়া থাকে সেই ধন্য করিবে আমাকে। শুক্লপক্ষ হতে আনি রজনীগন্ধার বৃন্তখানি যে পারে সাজাতে অর্ঘ্যথালা কৃষ্ণপক্ষ রাতে, যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি, এবার পূজায় তারি আপনারে দিতে চাই বলি। তোমারে যা দিয়েছিনু তার পেয়েছ নিঃশেষ অধিকার। হেথা মোর তিলে তিলে দান, করুণ মুহূর্তগুলি গণ্ডূষ ভরিয়া করে পান হৃদয়-অঞ্জলি হতে মম।

ওগো তুমি নিরুপম, হে ঐশ্বর্যবান, তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারি দান– গ্রহণ করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায়। হে বন্ধু, বিদায়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই কবিতা না দিলেও চলতো। দিলাম এই জন্য যে প্রথম পাতায় যখন এই পোস্টটি শোভা বর্ধন করবে, তখন যদি মনের এই আশাবাদ প্রথমেই দেখে ফেলেন তাহলে ব্লগ বন্ধুরা কষ্ট করে পোস্টে ঢুকতে চাইবেন না।

শব্দনীড় এ যারা নিয়মিত – সবাই এই আমি নামের আমিকে দেখে এতদিনে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। প্রত্যেকটি পোস্টে আছি। কখনো অনুপ্রেরণা হয়ে কখনো পরামর্শক হয়ে। কখনো মন্তব্য ঘরে একঘেয়েমী শব্দে পাতা ভরিয়ে ফেলার অনুষ্ঠানে। সেই কাক ডাকা ভোর থেকে মাঝ রাত পেরিয়ে পরের তারিখের দ্বিতীয় প্রহর পর্যন্ত। আপনাদের দেয়া খেতাব: ২০১২ এর স্মরণীয় মন্তব্যটি করুন। আয়োজনে ভূষিত হয়েছি যুবরাজ ব্যাক উইথ ওয়াইড উইলো, চির সুন্দর প্রতিচ্ছবি, ব্লগে আসি ঘরদোর ছাড়ি, সবুজ মানুষ, বটবৃক্ষ। বাংলা ব্লগ দিবসে সর্বোচ্চ মন্তব্যকারী হিসেবে পেয়েছি শব্দনীড় পুরস্কার।

এখানে ‘ব্লগে আসি ঘরদোর ছাড়ি’ মূল্যায়নের যথার্থতা আমি অনুধাবন করতে পেরেছি। আসলেই সত্য বলেছেন খেতাব দাতা। আমার গতিবিধির সার্থক রূপায়ন করেছেন। বন্ধু যদির বন্ধুর হৃদ স্পন্দন না বুঝতে পারেন, পারবেন কে !!

এবার আমার মূল্যায়নের পালা। আমাকে অনেকেই বলেন আপনি বা আপনার কি আর কোন কাজ নেই। সারাদিন কি করেন !! ঘরের গিন্নী বলেন … কী খুটখাট করো সারাদিন, খুটখাটে কি টাকা আসে !! বিখ্যাত হয়ে কী লাভ। পরিচয় আমাকে কি এনে দিতে পারে !! দুটি পক্ষই আমার কাছে সম মর্যাদার। শব্দনীড় আমাকে ফুটো দশটি পয়সা দেয়না। তবু কেন পড়ে থাকা। ঘরে ঘরে ঘুরে ফেরা। কি হবে মানুষকে উৎসাহ দিয়ে। যিনি পোস্ট পড়েন অথবা পড়লেও মন্তব্য করেন না।

একই মানুষকে যখন দেখি অনলাইন নামের মুক্ত প্লাটফর্মে একই লিখা নিয়ে শত ব্লগে নিজের উপস্থিতি জানিয়ে দিয়ে সব কয়টা ব্লগেই চুপচাপ বসে থাকেন অনলাইনের তালিকায়। নিজের পোস্টে মন্তব্য এলে শ্রেফ একটা ধন্যবাদ আর গদগদ সার। মনটা দমে যায়। এ আমি কাকে উৎসাহ ব্যঞ্জনায় সিক্ত করে তুলি অহো দিন অহোরাত্রি। অহংবোধ কি অলসতা কিনা জানিনা চেয়েছিলাম সকলে তরে সকলে আমরা; হোক ভাতৃত্ব আর সৌহার্দ্যের প্রতিফলন।

নিকট অতীতে একটু ফিরে তাকাই। আমি নতুন ব্লগার। ধুমায়ে লিখি আর মন্তব্য করি। ধুমায়ে বলতে বোঝাচ্ছি মগজ দিয়ে ধোঁয়া বেড়িয়ে যাবার মতো শ্রম দিয়ে নিত্য উপহারের ডালি সাজিয়ে আত্মিক সম্পর্কের বাগান নানা বর্ণে ভারী করেছি। এখন সেই বর্ণের গাছগাছালির গোড়ায় জল ঢালতে নিজেকে করে ফেলেছি শব্দ বন্ধ্যা। এখন আমি আর লিখতে পারি না। নিত্য মন্তব্যের নামে নিজের ভাবনা সকল ফুড়ুৎ পালায় কাছের জানালা দিয়ে। নব্য আধুনিকতার লিখায় পা মেলাতে পারি না। অক্ষমের শব্দ অক্ষমতার গহীন অরণ্যে হারিয়ে যাচ্ছে এবং গেছে। এখন আমি আর ব্লগ লিখিয়ে ব্লগার নই। নতুন পরিচিতি এসেছে … খেড়ো পাতার মন্তব্যদাতা অথবা কমেন্ট ব্লগার। অস্বস্তির কষ্ট ভাণ্ডার বিন্দু থেকে বৃহদাকার বৃত্ত হয়ে দাঁড়ায়। নীল বিষে ভরে উঠে অন্তর। থাক না এমন। কি হবে ভেবে।

রূপায়িত চরিতে নিজেকে বড়ই অচ্ছুত লাগে। ক্লান্তি এসে গেছে। ফির পালিয়ে যেতে মন চায়। মনোবেদনায় তেতো হয়ে উঠলেও হয়তো সান্তনা পেতাম যদি দেখতাম শব্দনীড় এর অনলাইনে ২৬ আর অফলাইনের অতিথি বন্ধু ৩০০’র কাছাকাছি। প্রকাশিত পোস্ট শূন্য মন্তব্য অথচ দেখা হয়েছে ৫০ বারের কাছাকাছি। সামান্য একটা শব্দ বসিয়ে মন্তব্য করছেন না কেউ। পোস্ট দিয়ে পোস্টদাতা অপেক্ষা করছেন মন্তব্যের আশায়। বহুল চর্বিত গল্পের মতো। অফিস থেকে বাড়ি ফেরত কলিগের রিক্সায় উঠে বাড়ির কাছে নেমে পকেট হাতড়ে ভাড়া দেবার অভিনয় করা। আরে না না, আপনি দিবেন কেনো আমিই দেবো জোরাজুরি শেষে না দিয়ে কাজটা ভালো করলেন না, চোখ মটকে শাসানি সেরে আত্মতুষ্টি নিয়ে গৃহে প্রবেশ করা। মিটিমিটি হাসি হাসেন। ফাঁকা হলো না মানি’র ব্যাগ।

শব্দনীড় শব্দটি কেন ব্যবহার করছি বারবার। আমার নিজের সীমাবদ্ধতা হলো আমি নিজে পারতপক্ষে ভিন্ন ব্লগে যাই না বললে নাদান শোনাবে, বলতে পারেন ইচ্ছে করে না। এই ঘরই যে আমার ঘর। এখানের সবাই যে আমারই বন্ধু স্বজন। আত্মার আত্মীয়। আপনার চেয়ে আপন। তাঁদের ফেলে একদণ্ড তো অন্য কোথায় মন বসবে না। ব্রাউজারের এক ট্যাবে আর ভিন্ন ট্যাবে ফেসবুক। এই ই তো দৌড়। আমি জানি কারু ব্লগে ঢুকে একটা মন্তব্য লিখলে বা লগিন করে ঠাঁয় বসে থাকলেও নেট খরচ আমার সমান। যদি থাকতেই হয় ফুলবাবু সেজে লগিন করে বসে থাকবো। আর কিছু না। যার কাজ সে করুক আমি না।

নিজ দায়িত্বে ব্লগিং করুন। প্রিয় এই ব্লগটিকে ভালোবাসুন। অন্যের পোস্টে মন্তব্য করুন। আমি একটু ছুটি কাটাই। বিদায় বন্ধু বিদায়।
সবাই ভালো থাকুন। আল বিদা।

ই-ম্যাগাজিনঃ শব্দনীড় নবীনবরণ … লিখা দিন

E-Magazine

প্রিয় শব্দনীড় এ প্রতিদিন নতুন নতুন ব্লগার ব্লগে নিবন্ধন করছেন এবং লেখা পোস্ট করছেন। দিনের পর দিন শব্দনীড় পরিবারের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের স্বপ্নগুলো আরো বড় হচ্ছে। আমরা যেন ক্রমাগত সাহসী হয়ে উঠছি। দিনদিন প্রতিদিন। শিখছি। পড়ছি। একে অপরকে জানছি।

ব্লগে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আয়োজন করা হয়। লিখার পাঠানোর প্রতিযোগিতা, আড্ডা, পরামর্শ। ব্লগারদের লিখা নিয়ে প্রকাশিত হয় ই-বুক বা ই-ম্যাগাজিন। যেখানে নতুন পুরোনো সকলের সম উচ্ছাসে উদ্ভাসিত হয় প্রযুক্তির আরো একটি দিক। ব্লগের লিখা পরের পাতায় চলে যায়। খুঁজে বের করতে হয়। সেখানে একটি ই-ম্যাগাজিন বুক শেলফে রাখা অলঙ্কারের মতো। উপহার দেবার মতো।

কলেজ জীবনের নবীনবরণ অনুষ্ঠানের কথা কি মনে পড়ে? ভুলে যাবার কথা নয়।
শব্দনীড় এগিয়ে যাবে তার আপন গতিতে। কেননা যেখানে ব্লগাররাই ব্লগের প্রাণ।

তো আসুন হয়ে যাক ব্লগীয় নবীনবরণ উৎসব।

শব্দনীড় এ ১লা নভেম্বর ২০১২ থেকে ৩১শে জানুয়ারী ২০১৩ তারিখের মধ্যে যারা নতুন ব্লগার হিসেবে নিবন্ধন করেছেন এবং পোস্ট দিচ্ছেন বা দিয়েছেন, শুধুমাত্র তাঁদের লিখা নিয়ে শব্দনীড় এর পক্ষ থেকে ই-ম্যাগাজিন।
“শব্দনীড় … নবীন বরণ সংখ্যা”

আমার জানা মতে শব্দনীড় ই এই প্রথম এমন আয়োজন করতে যাচ্ছে।
তাই শব্দনীড় এ নতুন বন্ধুদের বলছি – এই পোস্টের কমেন্টস এর ঘরে কেবল শব্দনীড় এ প্রকাশিত আপনার নিজের লিখার তিনটি লিঙ্ক উল্লেখ করুন। সেখান থেকে আমরা বেছে নেবে আপনার লিখাটি। প্রযুক্তির এই যুগে আধুনিক একটি ই-ম্যাগাজিন এ আপনার আমার আমাদের সকলের অংশ গ্রহণ থাকুক স্বতস্ফূর্ত।

ভালো কথা – পুরোনো যারা আছি বা আছেন তাঁদের কারুরই হতাশ হবার কারণ নেই। আপনাদের জন্য রয়েছে আশীর্বাদ ময় বাণী দেবার ব্যবস্থা। নতুনদের কে উৎসাহ এবং উদ্দীপনাময় ভাষায় আপনার বাণী লিখুন মন্তব্যের ঘরে। আপনার মূল্যবান বাণী আপনার মতো করেই ই-ম্যাগাজিনে স্থান পাবে। শুভ ব্লগিং।

E- Magazine01

এখানে যারা লিখা জমা দিচ্ছেন তাঁদের আপডেট থাকবে। লিখা জমা পড়লো।
ww
০১. তায়েবুল জিসান। শহর।
০২. তায়েবুল জিসান। অবুঝ।
০৩. তায়েবুল জিসান। প্রহরী।
০৪. তায়েবুল জিসান। শহর/জীবন।
০৫. সাঈদ মোহাম্মদ ভাই। শ্বেত ময়ূরী প্রণরেনী -১
০৬. সাঈদ মোহাম্মদ ভাই। শ্বেত ময়ূরী প্রণরেনী-২।
০৭. সাঈদ মোহাম্মদ ভাই। বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া প্রসঙ্গ।
০৮. সাঈদ মোহাম্মদ ভাই। আমি বিজয় দেখিনি – ১ম খণ্ড।
০৯. সাঈদ মোহাম্মদ ভাই। আমরা কি ‘অপ’রাজনীতির কাছে হেরেই গেলাম !!
১০. সাঈদ মোহাম্মদ ভাই। প্রবুদ্ধ সভ্যতা।
১১. সাঈদ মোহাম্মদ ভাই। জীবিত কি মৃত।
১২. সাঈদ মোহাম্মদ ভাই। আমি কবি হতে চাইনি।
১৩. নাহিদ ধ্রুব। আমি যুদ্ধে যাবো।
১৪. নাহিদ ধ্রুব। ভালবাসা কি জানে?
১৫. নাহিদ ধ্রুব। আমার আছে অলৌকিক ঐশ্বর্য।
১৬. নাহিদ ধ্রুব। প্রতিমার বিসর্জন।
১৭. শঙ্খবীর। প্রশ্নহীন স্মার্ট’দের বলছি!
১৮. শঙ্খবীর। আমরা এবং তোমাদের পরিবর্তন!
১৯. শঙ্খবীর। অসভ্য আমরা এবং আমাদের শিশুরা!
২০. বনফুল। উড়ো খবর।
২১. নিঃশব্দ যাত্রী। দায়ী কি অভাব নাকি স্বভাব?
২২. নিঃশব্দ যাত্রী। মায়ের অপূর্ণতায় একুশ।
২৩. ফিদা। মাধবীলতার সাথে কথোপকথন।
২৪. ফিদা। কবিতা না থাকলে কবিতা লিখিয়েরা ধর্মযাজক হতেন।
২৫. ফিদা। ডাকবাক্স হয়ে গেছে ধর্ষিতা নদী।
২৬. মোহাম্মদ আনু। মনে করিয়ে দেব।
২৭. মোহাম্মদ আনু। অনন্ত এক নাম।
২৮. মোহাম্মদ আনু। আমার ভ্রান্তি।
২৯. আলমগীর সরকার। যমুনার পাশে।
৩০. আলমগীর সরকার। দু’তলা খেড়িঘর।
৩১. আলমগীর সরকার। দীঘির জলে পদ্ম ফুল।
৩২. আলমগীর সরকার। নক্ষত্রের আলো।
৩৩. আলমগীর সরকার। নতুন ফুলকলি ফুটতে দেই।
৩৪. আনু আনোয়ার। ভালবাসার দরদাম।
৩৫. আনু আনোয়ার। চুপচাপ।
৩৬. আনু আনোয়ার। দীর্ঘশ্বাস।
৩৭. আনু আনোয়ার। আমাদের জীবন তারাদের মত নয়।
৩৮. প্রলয় সাহা। কবি ও কবিতা।
৩৯. প্রলয় সাহা। মুখোমুখি।
৪০. অজরখেচর। দু’টি শিশুর বেড়ে ওঠা।
৪১. অজরখেচর। ভয়।
৪২. অজরখেচর। অপ্রাপ্তি।
৪৩. অজরখেচর। বাড়ি-ফেরা।
৪৪. অজরখেচর। একদিন আমি।
৪৫. অজরখেচর। নিখোঁজ।
৪৬. সেলিনা ইসলাম। সীমা লঙ্ঘন।
৪৭. সেলিনা ইসলাম। নীরব যন্ত্রণা।
৪৮. সেলিনা ইসলাম। অসমাপ্ত গল্প।
৪৯. রাফি নিয়াজ। সেই ফিঙ্গে পাখিটা।
৫০. কামাল উদ্দিন। মেঘের উপর বাড়ি … ফটোব্লগ।
৫১. কামাল উদ্দিন। জোড়া ঝর্ণা।
৫২. কামাল উদ্দিন। বাংলার দার্জিলিং।
৫৩. তীর্যক নীল। স্মৃতির অসুখ।
৫৪. তীর্যক নীল। 2012 … শেষ চমক।
৫৫. তীর্যক নীল। প্রবাসের দিনলিপি।
৫৬. মেঘবালিকা। ছয় দফা দেওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু কি তৃতীয় সারির নেতা ছিলেন?
৫৭. মেঘবালিকা। আমরা কেবলি কবিতা খুঁজি।
৫৮. মেঘবালিকা। যুদ্ধজয়ী বাংলাভাষা।

সেলিম আল দীন: একজন মহানায়কের মহাপ্রয়াণ

Selim Al Deen

সেলিম আল দীন (১৮ই আগস্ট ১৯৪৯ – ১৪ই জানুয়ারি ২০০৮)।
পঞ্চম মৃত্যু বার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

একজন প্রখ্যাত নাট্যকার। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি নাটকের আঙ্গিক ও ভাষা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন। ব্যঙ্গ-বিদ্রূপাত্মক বা স্যাটায়ার-ধর্মী নাটকে তিনি বিশেষ পারদর্শিতার স্বাক্ষর রেখেছেন।

জীবনী:
সেলিম আল দীনের বাবা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। সেই সূত্রে ঘুরেছেন বহু জায়গা। ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার প্রতি ছিল তাঁর চরম ঝোঁক। তাই দূরে কাছে নতুন বই দেখলেই পড়ে ফেলতেন এক নিমেষে। ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর লেখক হওয়ার বিষয়ে পাকাপোক্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি। লেখক হিসাবে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৬৮ সালে, কবি আহসান হাবিব সম্পাদিত দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকার মাধ্যমে। আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের নিয়ে লেখা তাঁর বাংলা প্রবন্ধ নিগ্রো সাহিত্য ছাপা হয় ওই পত্রিকায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়েই নাটকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন সেলিম আল দীন, যুক্ত হন ঢাকা থিয়েটারে। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা শেষে যোগ দেন বিজ্ঞাপনী সংস্থা বিটপীতে, কপি রাইটার হিসাবে। ১৯৭৪ সালে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসাবে যোগ দেন। ওই বছরই বেগমজাদী মেহেরুন্নেসার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। তাঁদের একমাত্র সন্তান মইনুল হাসানের অকাল মৃত্যু হয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠা সেলিম আল দীনের হাত ধরেই। ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সেলিম আল দীন ১৯৮১-৮২ সালে নাট্য নির্দেশক নাসির উদ্দিন ইউসুফকে সাথী করে গড়ে তোলেন গ্রাম থিয়েটার।

তাঁর প্রথম রেডিও নাটক বিপরীত তমসায় ১৯৬৯ সালে এবং টেলিভিশন নাটক আতিকুল হক চৌধুরীর প্রযোজনায় লিব্রিয়াম (পরিবর্তিত নাম ঘুম নেই) প্রচারিত হয় ১৯৭০ সালে। আমিরুল হক চৌধুরী নির্দেশিত এবং বহুবচন প্রযোজিত প্রথম মঞ্চনাটক সর্প বিষয়ক গল্প মঞ্চায়ন করা হয় ১৯৭২ সালে। তিনি শুধু নাটক রচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি, বাংলা ভাষার একমাত্র নাট্য বিষয়ক কোষগ্রন্থ বাংলা নাট্যকোষ সংগ্রহ, সংকলন, প্রণয়ন ও সম্পাদনা করেছেন। তার রচিত হরগজ নাটকটি সুয়েডীয় ভাষায় অনুদিত হয় এবং এ নাটকটি ভারতের রঙ্গকর্মী নাট্যদল হিন্দি ভাষায় মঞ্চায়ন করেছে।

সেলিম আল দীনের প্রথমদিককার নাটকের মধ্যে সর্প বিষয়ক গল্প, জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন, মূল সমস্যা, এগুলোর নাম ঘুরে ফিরে আসে। সেই সঙ্গে প্রাচ্য, কীর্তনখোলা, বাসন, আততায়ী, সায়ফুল মূলক বদিউজ্জামান, কেরামত মঙ্গল, হাত হদাই, যৈবতি কন্যার মন, মুনতাসির ফ্যান্টাসি ও চাকা তাকে ব্যতিক্রমধর্মী নাট্যকার হিসেবে পরিচিত করে তোলে। জীবনের শেষ ভাগে নিমজ্জন নামে মহাকাব্যিক এক উপাখ্যান বেরিয়ে আসে সেলিম আল দীনের কলম থেকে। তিনি ২০০৮ সালের ১৪ই জানুয়ারী মৃত্যু বরণ করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যে নাটক এর উপর গবেষণা করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেন।

উল্লেখযোগ্য নাটক সমূহ:

* জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন (১৯৭৫)
* মুন্তাসীর ফ্যান্টাসি (১৯৭৬)
* বাসন (১৯৮৫)
* কিত্তনখোলা (১৯৮৬)
* কেরামত মঙ্গল (১৯৮৮)
* চাকা (১৯৯১)
* হরগজ’ (১৯৯২)
* যৈবতি কন্যার মন (১৯৯৩)
* শকুন্তলা
* হাত হদাই (১৯৯৭)
* বণপাংশুল
* ধাবমান
* পূত্র
* নিমজ্জন (২০০২)
* প্রাচ্য (২০০০)
* স্বর্ণবোয়াল (২০০৭)

গীতিনৃত্যনাট্য:
* স্বপ্ন রজনীগণ
* ঊষা উত্সব

রেডিও-টেলিভিশনে প্রযোজিত নাটক:

* বিপরীত তমসায় (রেডিও পাকিস্তান, ১৯৬৯)
* ঘুম নেই (পাকিস্তান টেলিভিশন, ১৯৭০)
* রক্তের আঙ্গুরলতা (রেডিও বাংলাদেশ ও বিটিভি)
* অশ্রুত গান্ধার (বিটিভি, ১৯৭৫)
* শেকড় কাঁদে জলকণার জন্য (বিটিভি, ১৯৭৭)
* ভাঙনের শব্দ শুনি (আয়না সিরিজ, বিটিভি, ১৯৮২-৮৩)
* গ্রন্থিকগণ কহে (বিটিভি, ১৯৯০-৯১)
* ছায়া শিকারী (বিটিভি, ১৯৯৪-৯৫)
* রঙের মানুষ (এনটিভি, ২০০০-২০০৩)
* নকশীপাড়ের মানুষেরা (এনটিভি, ২০০০)
* কীত্তনখোলা (আকাশবাণী কোলকাতা, ১৯৮৫)

গবেষণাধর্মী নির্দেশনা:

* মহুয়া (ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে, ১৯৯০)
* দেওয়ানা মদিনা (ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে, ১৯৯২)
* একটি মারমা রূপকথা (১৯৯৩)
* কাঁদো নদী কাঁদো
* মেঘনাদ বধ (অভিষেক নামপর্ব)

চিত্রনাট্য:

* চাকা’ নাটক অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মিত হয় ১৯৯৪
* ‘কীত্তনখোলা’ নাটক থেকে চলচ্চিত্র নির্মিত হয় ২০০০ সালে।
* ‘একাত্তরের যীশু’ চলচ্চিত্রের সংলাপ রচনা করেন ১৯৯৪ সালে।

অন্যান্য রচনা:

* দিনলিপি
* ভাঙা প্রেম অশেষ বিশেষ

পুরস্কার ও স্বীকৃতি:

* বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৪)
* ঋষিজ কর্তৃক প্রদত্ত সংবর্ধনা (১৯৮৫)
* কথক সাহিত্য পুরস্কার (১৩৯০ বঙ্গাব্দ)
* একুশে পদক (২০০৭)
* জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩)
* অন্য থিয়েটার, কলকাতা কর্তৃক প্রদত্ত সংবর্ধনা
* নান্দিকার পুরস্কার, আকাদেমি মঞ্চ কলকাতা, ১৯৯৪
* শ্রেষ্ঠ টেলিভিশন নাট্যকার (১৯৯৪)
* খালেকদাদ সাহিত্য পুরস্কার
* জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (একাত্তরের যীশু, শ্রেষ্ঠ সংলাপ) ১৯৯৪
* মুনীর চৌধুরী সম্মাননা (২০০৫)

সেলিম আল দীনের অপ্রকাশিত রচনা:

2010-12-02-09-09-45-066189200-selim_al_din বদরুজ্জামান আলমগীর রচিত ও কামাল উদ্দিন কবির নির্দেশিত অহরকণ্ডল নিয়ে সেলিম আল দীন লিখেছেন ‘যে কথাগুলো বলা উচিত’। নিচে তাঁর ডায়েরির কিছু অংশ বিশেষ তুলে দেয়া হলো –

লোকায়ত জীবনের মধ্যে খানিকটা বাইবেলের ফিউশন-অহরকণ্ডল। বাকিটা ছড়া-প্রবচন-ধ্রুপদী শব্দের ঘন গম্ভীর ধ্বনি। বাংলা নাট্যের সীমায় এ খুব অবাক হওয়ার মতো কাজ। নাট্য-ভূমিকায় লেখক যা বলেন তাতে তাঁর শিল্পভাবনার কৌশলটা বেশ বুঝতে পারা যায়। চরিত্রের নির্বিশেষ করণের বাড়তি প্রয়াস যে ওটা তাতে সন্দেহ নেই।
অহরকণ্ডলের গল্পটি আমাকে প্রথম শুনিয়েছিল নাসির উদ্দীন ইউসুফ। শুনে আমি উত্তেজিত হয়ে উঠেছিলাম। দীনপুণ্য বাংলা নাট্যে এ রকম কেউ ভাবে নাকি-বলে নাকি-লেখে নাকি?

তারপর কামালউদ্দিন কবির আমাকে অহরকণ্ডলের পাণ্ডুলিপি পড়তে দেয়। লেখাটি পড়তে পড়তে দেখতে পাই কথকের বলার ভঙ্গিতে বিচিত্র সব চিত্র-উড়ে আসে কি মাটি ফুঁড়ে বেরোয়। ঘটনা-চরিত্রের মনোভঙ্গি-ইঙ্গিত-দ্ব্যর্থবোধকতা-সব মিলিয়ে অবাক হওয়ার মতো লেখা।
বুঝতে পারা যায়, বাংলা নাটক চলনে-বলনে আর উপনিবেশ কালের শাসন অগ্রাহ্য করছে সচেতন শিল্পরীতির মাধ্যমে, যে রীতিটা উঠে এসেছে আবহমানকালের ধারায়-প্রাচীন ও মধ্যকালের বাংলা থেকে। তবে তাতে পাশ্চাত্য শিল্পরীতির ন্যায্য অংশটুকুই গৃহীত হয়েছে-বিশ্ব সংস্কৃতির আধুনিক প্রবাহের ধারায়।

বর্ণনাত্মক বাঙলা নাটক যে বিশ্বনাটকের শিল্পযাত্রায় এক নতুনতর সংযোজন সে বিষয়ে আর সন্দেহ থাকে না, যখন দেখি আমাদের একদিনের ক্ষীণ-ভীরু চেষ্টাটা আজ বৃহত্তর শিল্পমণ্ডলবর্তী। একদিন নিজের রচনার ভিতরে নিঃসঙ্গের মতো নির্জনে বসবাস করতাম। আজ দেখি সেই চেষ্টা কতই না বিচিত্রতর ভিন্নধারায় বাহিত হচ্ছে।
রবীন্দ্রোত্তরকালে বাঙলা কবিতা ও উপন্যাসের চেয়েও বাঙলা নাটক নবতর অথচ ভূমিজ এবং অনঔপনিবেশীয় আঙ্গিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ সে বিষয়টি সুস্পষ্ট ভাষায় বলা সংগত।

অহরকণ্ডল আমাদের নাট্যভাষায় এক নতুন অভিজ্ঞতা। এ নাটকের পরিচালককে এ জন্য ভাষা পারিতোষিক দেই যে তিনি বলার ভঙ্গিটাকেই থিয়েটারে দাঁড় করাতে সমর্থ হয়েছেন। একটা নতুন থিয়েটার সৃষ্টির অঙ্গীকার না থাকলে অহরকণ্ডলকে মঞ্চে তুলে আনা সম্ভব হতো না।
পাশ্চাত্য নাট্যধারার বিশাল থাবার নিচে আমাদের এ সকল প্রয়াস-একদিন ভূমি ভেদী বৃক্ষ রূপে দাঁড়াবেই-এই বিশ্বাসে নিরন্তর নিজ বীজ প্রোথিত করি বাঙালির শিল্প ভূমিতে।
৩রা মে ২০০৬।

sad-1.jpg
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া

শুভ জন্মদিন : চৈতী আহমেদ

cake

কন্যারা জলজ নয়, ঊষর চৌচির ফসলের মাঠ
ইচ্ছার আগুন পোষে, অবিকল অলাত
তৃষ্ণায় ফেটে গেলে বুক
চেয়ে খায় জল।

choityবৃষ্টিরা আসে না শিখণ্ডী নাচে না বলে, অপেক্ষায়
পুড়ে পুড়ে যাবে ফুলেল বাগান, উপত্যকা,
ত্রিভূজ সমতল, ব্যর্থ হবে জীবনের
বাসনার পল!

বৃষ্টিরা আসে না শিখণ্ডী নাচে না বলে, অপেক্ষায়
পুড়ে পুড়ে যাবে ফুলেল বাগান, উপত্যকা,
ত্রিভূজ সমতল, ব্যর্থ হবে জীবনের
বাসনার পল!

ক্লান্ত চাঁদ ডুবে গেলে লুব্ধক তখনও জ্বলজ্বল
ফুলেল বাগান, উপত্যকা, ত্রিভূজ সমতল
সন্তর্পণে আপাণ্ডুর, গৃহহীন
নোনা নাবিকের খুব কাছে আসে

আকাঙ্খারা মরেনি এখনও, চোখ ছলছল
বহুদিন আগে অ্যালবাট্রস এসে
তার হৃদপিণ্ড খেয়ে গেছে
ফসলের মাঠ তবু তার জল ভালবাসে।

choity mini নিজেকে ভালোবাসি, ভালোবাসি আমার কন্যা মনস্বিতা মেধাকে, ভালোবাসি কবিতা, গান আর মানুষ, সকালের শিশির, সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি আমার বাংলাদেশকে। সে আমাদের প্রিয় ব্লগার চৈতী আহমেদ এর জন্মদিন।

special cake
zia4
zia6
zia8
zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9
101010101010101010101010101010

জীবনের কর্মে এবং সাফল্যে থাকুন বেঁচে। আমাদের সকলের শুভেচ্ছা ভালোবাসা সর্বোপরি শুভকামনা সব সময়ে থাকবে আপনার জন্য। শুভ ব্লগিং।

শব্দতরী’তে প্রকাশিত আমার লিখা … জীবন … একটি অনুগল্প

sadness

এ বছরে যেন বরষা খুব বেশী রকমের এগিয়ে এলো। ফি বছরে এমনটা হয়নি। দিন কি দ্রুত বদলে যাচ্ছে !! ঋতুকাল বলে কি আর কিছু অবশিষ্ট আছে ?
বলা নেই কওয়া নেই, ঝরঝরিয়ে মুষলধারে বর্ষণ !! তাও আবার ফাল্গুন মাসে। আনমনা হয়ে সেটাই ভাবছে জীবন।

হ্যাঁ, গল্পের নায়কের নাম জীবন। যে কিনা জীবনের অর্থ খুঁজে পায়নি কখনো। বাবা-মা কি কারণে জীবন নাম দিলেন, সেটাও ভেবেছে ও। তবে কি নাম নামের এই শব্দটা সকলের ব্যাপ্তিতে থাক; সেটাই চেয়েছিলেন !!

মেলা শেষের দিকে। বইমেলার প্রচন্ড ভীড়ে আট বছরের মেয়ে চর্যাকে নিয়ে ভিজছে জীবন। ভিজছেই তো ভিজছেই। বাবা মেয়ে জুবু থুবু হয়ে বড় আম গাছটার নিচে দাঁড়িয়ে। দোকানীরা দোকানের ঝাঁপি ফেলে খোশ-গল্পে মত্ত। কাউকে এগিয়ে আসতে দেখলেই চেহারার আকার পরিবর্তন করে ফিরিয়ে দিচ্ছে। … কি আশ্চর্য, বই গুলোন তো ভিজে যাবে ভাই। একটু সরে দাঁড়ান না।

এই সরতে সরতেই ঠাঁই মিলেছে গাছের তলে। খুব ইচ্ছে করছে ভিজে যাওয়া পকেটে প্যাকেটের অবস্থা জানতে। আহ্, বৃষ্টি হচ্ছে হোক, একটা সিগারেট যদি ধরানো যেতো !! মনের কথাটা বুঝতে পেরেই বুঝি, বৃষ্টি যেন আরো তেজ বাড়ালো। হবেনা। ধোঁয়া বিলাস আর সম্ভব না। গাছের দিকে তাকানোর চেষ্টা নিলো। যেখানে পেয়েছে সামান্য আশ্রয়।

আরে, এই গাছটা সেই গাছটাই না ! তাইতো !! আরো ছোট ছিল, কিভাবে এমন বড় হয়ে গেলো !! আনমনা হয়ে গেলো জীবন। আহা কত স্মৃতির এই গাছ। বৃষ্টি জলে নেয়ে যাচ্ছে শরীর। এক পশলা শিরশিরে বাতাস দোলা দিয়ে গেলো মন। নাড়িয়ে দিল মগজের তন্ত্রীতে নিতান্তই অবহেলায় যে স্মৃতি ছিল সঞ্চিত কোন গোপন কুঠরিতে।

গল্পের নায়িকা আকাশ। যে কিনা খেয়ালী। চ্যালেঞ্জ তার হবি।
আকাশ খুবই ছেলেমানুষি ভালোবাসতো। কখন কি যে ভর করবে ওর পরে, আগে ভাগে বোঝা মুশকিল। সেদিন এমনই এক বাদলা দিনে, দুজন বসে ছিলো, এই গাছটারই ছোট্ট ছায়ায়। লুকিয়ে বসতে চায়নি। বলেছে খোলা হাওয়ায় বসে ভিজি। জীবন বললো, ভিজতেই যদি হয়, তবে গাছের ছায়ায় কেনো, খোলা সড়ক কি অন্যায় করলো। ঐ যে সেই জেদ। পরাস্ত হতে হয়েছে জীবনকে। বসতে হয়েছে পাশে।
> বলতে পারো- আকাশ কেনো কাঁদে? এমনিতেই বিরক্ত লাগছিলো, তার উপর প্রশ্ন শুনে অবাক হতে হলো জীবনকে।
বললো- তোমার যেমন শখ হয়েছে বসে ভিজবার, আকাশেরও আজ ইচ্ছে করেছে কাঁদবার।
> ভুল বললে জীবন। এভাবে বোলোনা। বলো, আকাশ আজ দুঃখী। ও তার দুঃখগুলোন গড়িয়ে দিচ্ছে এ ধরার বুকে।

জীবন, আকাশের নিষ্পৃহ কণ্ঠ শুনে বিচলিত হয়। আকাশ তো কখনো এভাবে বলে না !! কি জানো জীবন, বৃষ্টির এই কান্নার সাগরে যদি একবার ঝাঁপ দিতে পারতাম। তোমাকে না বলা সব দুঃখ আমার একাকার হয়ে যেতো। জীবনের মাথায় আশু বিপদের অশনি ঘন্টা বেজে উঠলো। কি বলে আকাশ। কী বলতে চায় !! জীবন, আমাদের আর দেখা না হওয়াই ভালো। চলো না বৃষ্টি থেমে গেলে আমরা একে অপরকে ভুলে যাই। মনে করো, আমরা কেউ কাউকে জানিনা। চিনিনা। অচেনা কেউ। বৃষ্টি জলে ধুয়ে যাক আমাদের সকল পরিচিতি। কি, খুব স্বার্থপর ভাবছো, না ? আচ্ছা তুমিই বলো, আমরা এ পৃথিবীতে ক’জনাই বা স্বার্থের বাইরে নিজেকে ভাবি? আজ আমি স্বার্থপর। স্বার্থপরের মতই বলবো, চলো আমরা অপরিচিত হয়ে যাই। জীবন, আমাদের পরিচয় আজ না হয় বছর তিনেকের ই হবে, তার তো বেশী না, আমরা সহজে ভুলে যেতে পারি দু’জনকে, কোন চিহ্ন না রেখেই। হ্যাঁ, বলেছিলাম- ভালোবাসি। ভুল বলিনি। এখনো বাসি। না না তোমার কোন অন্যায় নেই, ভুল নেই, যা কিছু সব আমার।
অন্যায় যদি করে থাকি, তা আমি করছি। আমি তোমাকে স্বপ্ন দেখানো শিখিয়েছি, দু’জনে মিলে সারাটি জীবন পথ পাড়ি দেবার শপথ পড়িয়েছি।

জানো জীবন, আকাশের এই কান্না দেখে, আমার জীবনের সমস্ত দুঃখের কান্নায় তোমার জীবনটাও ভরিয়ে তুলতে চাই না। আমার কান্না আমার কাছেই না হয় থাক। আমাকে ক্ষমা করে দিও।
জীবন স্তম্ভিত হয়ে যায় আকাশের কথায়। ভাষা যেন হারিয়ে যায়। সেই চোখ, সেই মুখ, সেই সহজাত ভঙ্গি। বৃষ্টিস্নাত এক মানবী। নিষ্প্রাণ যেন। ঘোর তমসার রাত্রিতে নিশি পাওয়া মানুষ যেমন, এলোমেলো পা ফেলে অজান্তে এগোয়, জীবনও তেমনি এগিয়ে যায় পথের দিকে। একবার আকাশের দিকে ফিরে তাকায়; ঠাঁয় বসে আছে, অন্যমূখী হয়ে।
সম্পর্ক কতো ঠুনকো, কাঁচের মতন। ইচ্ছে হলো ভেঙ্গে দিলাম। সহসাই অপরিচিতের ঘরে নাম লিখিয়ে নিলাম। হায় জীবন !!

আজ দশটি বছর পর সেই আকাশ আজ আবার ভর করলো জীবনের চোখে। আর কোন দেখা হয়নি। যোগাযোগ পর্যন্ত না। দুই জগতের দুই বাসিন্দা। কেউ চেষ্টাও করেনি। না বলা কথাসমস্ত আর কারুরই শোনা হয়ে ওঠেনি। দুঃখ না দুঃখ বিলাস নিয়ে দু’জনেই হলো জীবন নামে জীবনের অচেনা অতিথি।

বৃষ্টিটা মনে হয় একটু ধরে এসেছে। আটকে পড়া মানুষজন ছুটছে। মেয়ে চর্যাকে নিয়ে বললো, মা চল। বাসায় ফিরি। সন্ধ্যে হয়ে এলো। আজ বোধহয় বৃষ্টি আর থামবে না। আজ আকাশের অনেক কান্না। বলেই মেয়ের হাত ধরে ত্রস্ত পায়ে ফিরে চলে জীবন। চোখটা ছলছল করে উঠলো। ঝাপসা দেখছে। মেয়ে বাবার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। কি হলো বাবা ?
না, মা, চোখে যেন কি একটা পড়লো। বাবা মেয়ে ফিরে যাচ্ছে নীড়ে। কাঁদুক। আকাশ আজ যত পারে কাঁদুক। জীবনের দুঃখ আছে। কষ্ট নেই।

sadness1

লিখাটি ব্লগারস ফোরাম এর নিয়মিত প্রকাশনা শব্দতরী তে প্রকাশিত হয়েছিলো।
জীবন … একটি অনুগল্প। শব্দনীড় এ পড়তে লিঙ্কে ক্লিক করতে পারেন। আর হ্যাঁ, নিয়মিত লিটিল ম্যাগ শব্দতরী ৪র্থ বর্ষে! আসছে প্রথম সংখ্যা একুশের বইমেলায়। শীর্ষক পোস্টে নিয়ম জেনে আপনার লিখা পাঠিয়ে দিন অতি সত্বর। কেননা আগামীকাল ৫ই জানুয়ারী লিখা পাঠানোর শেষ তারিখ। মনে রাখবেন। যেতে যেতে বলে যাই … গল্পটি যদি যুতসই মনে হয় তাহলে রেটিং অথবা প্লাস মাইনাস বাটনে টোকা দিতে ভুলবেন না যেন। বাম চোখ টিপ দেবার ইমো হবে।

শূন্য

shunno সে ছিলো আমার চাচাতো বোন। মনে পড়ে সে সময়ের কথা। আমি তখন ক্লাস থৃ-র ছাত্র। আমিই প্রথম তাকে স্কুলে নিয়ে গেলাম। ভর্তি করালাম। সঙ্গে চাচাও ছিলেন। আমার এসএসসি পর্যন্ত তাকে আমি সঙ্গে করে স্কুলে নিয়ে যেতাম। তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক সব সময়ই ভালো থাকতো। একটু- আধটু মন কষাকষি হতো না এমনটা নয়। তবে তা ক্ষণিকের। যেমন বৌচি খেলতে গেলে লাগতো। গোল্লাছুট, আরো অনেক খেলা বাড়ির পিছনে মাঠে গিয়ে আমরা খেলতাম। তখনই খেলার মাঝে ঝগড়া লাগতো। আমরা তখন সকল ছেলেমেয়েরা প্রায় সকল ধরণের খেলা একই সঙ্গে খেলতাম। তবে সে বেশ চিকন ছিলো। তাই ভালো দৌড় দিতে পারতো। আমি ছুঁই ছুঁই করেও তাকে ধরতে বা ছুঁতে পারতাম না।

যাই হোক, অনেক দিন গেলো। অনেক রাত গেলো। বৃটিশ গেলো পাকিস্তান এলো। পাকিস্তান গেলো বাংলাদেশ এলো। জাপানে নাগাসাকি আর হিরোশিমা-র বর্বরোচিত হত্যার ইতিহাস হলো। আমাদের জীবন থেকেও অনেক বছর চলে গেলো। কলেজে পড়ার জন্য বাড়ি থেকে চলে এলাম। কলেজের পাশেই কলেজ হলে থাকতাম। কলেজে পড়তে এসেই নিজেকে অন্যভাবে আবিষ্কার করলাম। তাকে না দেখলে যেন ভালো লাগে না। সে ছাড়া আমি যেন বড় একা।

কতো রাত তার কথা ভাবতে ভাবতে শেষ হয়েছে তা আজও অজানা। বাড়িতে গেলে তার সঙ্গে দেখা হলে কেমন লাগতো তা বুঝতে পারতাম না। চিন্তা করলাম, তাহলে কি আমি তাকে … !!

না। কোন উত্তর পেলাম না। চারদিকে শুধু শূন্যতাই দেখলাম। আমার প্রতি তার দূরত্ব অনেক কম অনুভব করলাম। এভাবে আরো অনেক দিন কেটে গেলো। আমি বিএ ক্লাসে উঠলাম।

তাকে দেখতে এখন আর আগের মতো মনে হয় না। সে যেন এখন একটু অসাধারণ, যেন একটু দূরের, একটু ভিন্ন। তার দেহের প্রতিটি অঙ্গই যেন আলাদা সৌন্দর্য প্রকাশ করছে। প্রতিটি অঙ্গেরই যেন আলাদা ব্যাখ্যা রয়েছে। তার চোখের দিকে আগের মতন তাকানো যায় না। তখন কেন যেন নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়। মনে হয় আমি যেন এক লক্ষ্যহীন নাবিক। কোন ক্রনোমিটার ছাড়াই যেন সাগরে পাল তুলেছি। জীবনতরী যেন অচেনা পথেই ছুটছে। কূলে ফেরার কোনোই সম্ভাবনা নেই।

তার বিয়ের কথা চলছে। নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছে। কিছুই বলতে পারছি না। সে একদিন বললো, আমার বিয়ে করতে ইচ্ছে করছে না। আমার ইচ্ছে হচ্ছে কোথাও পালিয়ে যাই।

বললাম, কাউকে পছন্দ করে রেখেছিস কি না ?
তার মুখ থেকে কোনো জবাব আসেনি শুধু এক পলক দৃষ্টি ছাড়া। সে দৃষ্টি, সে চাহনীর ব্যাখ্যা করতে পারিনি। তার চোখের জটিল চাহনীর সূত্র বের করতে পারিনি। তাই তো অংক মেলাতে পারিনি। জীবনে হায়ার ম্যাথমেটিকস এ আমি প্রথমেই শূন্য পেলাম।

তার বিয়ে হচ্ছে। তার বিয়েতে ছবি তোলার দায়িত্ব আমার ওপরই পড়েছে। তুললাম। মনের মাধুরী দিয়ে আমার ক্যামেরার বাটনে একটার পর একটা টিপ দিয়ে অনেক ছবিই তুললাম। সে ছবির ভিড়ে আমার মনের মধ্যে একটা ছবি খুঁজে পেলাম। এবং সেখানে কোনো এক মানবীর চেহারা খুঁজে পেলাম। কিন্তু সে মানবীর পাশে আমি কাকে দেখতে পাচ্ছি ? সে তো অন্য কেউ। অন্য একজন তাহলে কি সেখানে আমার থাকার কথা ছিলো ? মনে পড়ে, সেদিন যখন তাকে বিদায় দিচ্ছিলাম তখন সকলেই কাঁদছে, সকলের চোখেই পানি। আমার দুটো চোখকে সিক্ত অনুভব করলাম। তাই পরিস্থিতি সামলে নেয়ার জন্য কৌতুকের ছলে বললাম, দেখি কার কার চোখে জল।
তখন তার এক বান্ধবী বললো, আপনি অনেক দুষ্টু।

আমি এর জবাব দিতে পারলাম না। কারণ তখন আমার কণ্ঠ ভারী হয়ে আসছিল। পালকির বেয়ারাগুলো তাকে নিয়ে ছুটছে। তাদের হই হই বল হইয়া শব্দের নিচে চাপা পড়ে গেলো আমার বুকফাটা নিঃশ্বাস।

ww

প্রিয় পাঠক। এই ছ্যাঁকা গল্পটি আমার জীবন থেকে নেয়া নয়। এটা হচ্ছে অলস ভাবনার সৌখিন কল্পনা। ত্রুটি হলে ক্ষমাপ্রার্থী। পড়েছেন তাতেই ধন্য।

নিন এবার রেটিং করুন। রেটিং চর্চা অব্যহত রাখুন। ধন্যবাদ।

x:আপনাদের দেয়া খেতাব: ২০১২ এর স্মরণীয় মন্তব্যটি করুন

আসুন ২০১২ এর শব্দনীড় ব্লগারদের খেতাব সাজাই। পোস্টে আমরা অভিভূত হয়েছি নতুন এবং পুরোনো অনেকের সরব পদচারণায়। নিঃশব্দ কীবোর্ডের চাপাচাপিতে অন্যের ভাবনাকে নিজের ভাবনায় তুলে এনেছেন সুনিপুণ ভাবে। কেউ কেউ দম নিয়েছেন সত্য। কিন্তু ফিরেছেন ঠিকই। দেখেছেন চোখ মেলে, ব্যস্ততায় পূর্ণ অংশ হয়তো নিতে পারেন নি তবু জানিয়েছেন শুভকামনা। আমি এবং আমরা সুখি হয়েছি, আনন্দিত হয়েছি। একটি পোস্ট আমি যখন প্রকাশ করি তখন আমি আমার বলে দাবি করিনা। মনে করি এটা পাঠকের। পাঠক সেটাকে যেভাবে ইচ্ছে গ্রহন করতে পারেন। পারেন বর্জন করতে; সে স্বাধীনতা বা অধিকার তিনি সংরক্ষণ করেন। প্রদত্ত খেতাব অনেকের মনে ধরবে, অনেকের ধরবে না। আপনাদের ভালোবাসা পেয়েছি সেই অধিকারে মাথা নুইয়ে বলবো … এটা একটা শ্রেফ মজা। এবং আনন্দ। খেতাবকে সর্বৈব সত্য ধরে নিয়ে নিজেকে ছোট মনে করার কিছু নেই। বরং আনন্দ ঠাট্টার মাঝে সীমাবদ্ধ থাকলেই তা হবে মঙ্গল এবং ভাতৃত্ব বোধের পরিচায়ক। থিম কৃতজ্ঞতায় মুহাম্মদ সাঈদ আরমান

সহ ব্লগারদের দেয়া খেতাব। আপনার প্রতি একান্তই ভালোবাসার দান।

কিছু নেই। আ,শ,ম,এরশাদ।

ডা. দাউদ – দেবী ও নাই কবিও উধাও। আছে কেবল ধ্যান।
ওয়াচডগ – বিকেলে ভোরের ফুল।
সাইক্লোন – কেবল চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক ভালো! অন্য কিছুর জন্য নয়।
মুরুব্বী – যুবরাজ ব্যাক উইথ ওয়াইড উইলো।
জিয়া রায়হান – পদ্মা সেতু। যার আলো এখনো নেভেনি।
আনন্দময়ী – অ অভিমানী।
সাহাদাত উদরাজী – ছোট ছোট রেসিপি।
ভালবাসার দেয়াল – দেয়াল ভাঙ্গার শব্দ শুনি।
খালিদ উমর – নীলে আর বিশ্বাস নাই।
বিষণ্ণময়ী – কী-বোর্ডটা অনেক দিন আরামে আছে।
নাজমুল হুদা – সবুজে অমর।
কবিরনি – ভুলে যাইনি সাগর-রুণি।
আফরোজা হক – শেরে বাংলা একে হক, সৈয়দ শা. হক এরাও তো হক বংশের।
হরবোলা – সহজ সমীকরণ এক থেকে এক বাদ দিলে মাইনাস টু।
রাজিন – মতামত জরিপের এবারের বিষয় “তুষারই বরফ?”।
ফকির আব্দুল মালেক – লম্বা এক কবিতা।
মাহবুব আলী – ”গঠন মুলক” এর মাঝে স্পেস নাই।
জুলিয়ান সিদ্দিকী – গল্পই সাহিত্য, সাহিত্যই গল্প।
আদর – মরলে শহীদ বাঁচলে মুক্তিযোদ্ধা।
সুমন আহমেদ – খুব সহজেই লিখা যেত একটি কবিতার খসড়া !
কালপুরুষ – কালো হই আর ধলা হই আমিই একমাত্র কালপুরুষ।
রেজওয়ান তানিম – জটিল বিষয় পাইনা তাই কলম চলে না।
কামাল উদ্দিন -“ভ্রমণ” নিরাপদ তবু এ জার্নি বাই বোট লিখেও ৫ নাম্বার নাই।
রাবেয়া রব্বানি – আমার নামেও আছে সাহিত্য।
বখতিয়ার শামিম – কবিতা লিখতে পারি না!! আমিন! আমিন!
মুক্তিযোদ্ধা – সত্যের জয় হোক।
চারুমান্নান – ভুতু সোনা এখন কোন ঋতু!
সৈয়দ মাজারুল ইসলাম (রুবেল) – খেতাব দিব খাপে খাপ।
হামিদুর রহমান পলাশ – ইতিহাস ছিড়ে আনিব মণিমুক্তা।
সুস্মিতা জাফর – ডাক্তার হই আর সাহিত্যিক হই নামটা তো ভারী আছে।
কুহক – কবিতা বাহক।
আমিন আহম্মদ – ভাব সম্প্রসারণ ভালো পারি সারাংশ পারি না।
দোয়েল – পাখি দোয়েল কাব্য জানেনা।
বিলিভার – পড়তে জানলে লিখতে হয় নাকি!
আজমান আন্দালিব – উদ্যোগ কাজের অর্ধাংশ।
রুপালি গিটার – রুপালী।
সকাল রয় – নিভৃতে লিখে যাই ।
রেজা নুর – কবিতা অনুবাদে কবিতা হারায় না।
নির্ঝর নাসির – যাক নাসিরের আগে কিছু একটা যোগ করা গেল অবশেষে।
বাংলাদেশী স্লাম ডগ – বাপরে–ডরাইছি …
দীপক সাহা – রাস্তায় আটকা।
জেড এইচ সৈকত – ব্লগে তো অনেক এবার ফেবু।
জিল্লুর রহমান – গড ফাদারের তুলনায় গড় মাদার ভয়ংকর।
ফৈরা দার্শনিক – দার্শনিক আবার ধনী হয় নাকি!
সেতুবন্ধন – জীবনেও সেতু বানাইনি।
মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী – শেয়ার করি।
নীলসাধু – নিকটা ছোট করতে চাই। আগেরটা কাটবো না পরের টা?
জিপসী – চেনা জানা অবু অচেনা।
শাকিলা তুবা – শাকিলা যাই হোক তুবাটা বেশ।
ফকির ইলিয়াস – গেয়ে যাবো মুক্তির গান।
সাঈদ মোহাম্মদ ভাই – ভাইটা না লাগালে কেউ মনে রাখত না।
মেজদা – দাদার খুব অভাব!
ইজি রেসিপি – ব্লগাররা দয়া করে পুরুষদের দেয়া রেসিপি ফলো করবেন না।
অপদেবতা – এখনো সু দেবতা হতে দেরি আছে।
বই পাগল – এখন ফেবু পাগল।
নেবুলা মোর্শেদ – তোমরা থাক ধুলির পরে, আমি চলিব নভোমণ্ডলে।
আজিম হোসেন আকাশ – কাব্য গ্রন্থের কাব্য।
ছেলেবেলা -আবার হাসিব ব্লগটির তীরে!!
ডা. তৈয়বা – সিডর ডারাইনি, সাইক্লোন ব্যাপার না।
ডাক্তারের রোজনামচা – লিবিয়ার পথ শেষ এবার সিরিয়া।
বাবুল হোসেইন – একটা জীবনান্দ কবিতা লিখব।

এখনো চলছে কবিতার সাথে জীবনের লুকোচুরি। ডা. দাউদ।

নীড় সঞ্চালক – হাইপার টেনশনে সারাক্ষণ।
হরবোলা – অক্ষমের মন্তব্য প্রতিবেদক।
জিয়া রায়হান – ছবির কবি।
সাইক্লোন – সদ্য কুমারব্রত হারিয়ে নিঃস্ব যে জন!
বিষণ্ণময়ী – সবাইকে বিষণ্ণ করে আনন্দ খোঁজে হারালো যে জন।
জামান আরশাদ – জাতীয় দুলাভাই।
ফকির আব্দুল মালেক – ব্ল্যাক ডায়মন্ড।
মোঃ খালিদ উমর – ইজি রেসিপির চকিদার।
আদর – ক্যামেরায় ব্যস্ত চোখ।
ডা. দাউদ – না ডাক্তার! না কবি!!
ছায়েদা আলী – সুহার মা।
খেয়ালী মন – বেখেয়ালে সারাক্ষণ।
কবিরনি – আইডিয়া মাষ্টার।
সাহাদাত উদরাজী – ছোট ছোট কথায় বড় বড় শ্লোগান।
চারুমান্নান – কবিতার মানুষ।
মরু বেদুইন = মুহাম্মদ সাঈদ আরমান।
হামিদুর রহমান পলাশ – প্রবাসী কণ্ঠ।
সুস্মিতা জাফর – হাস্যোজ্জ্বল নাম।
কুহক – কবিতার গুরু।
রাজিন – ভ্রাম্যমান আদালতের হাকিম।
ওয়াচডগ – ব্লগ বুদ্ধিজীবী।
আমিন আহম্মদ – হট সিট কারিগর।
দোয়েল – রিভার জলে হাবুডুবু খাওয়া কাব্য গল্প।
মাহবুব আলী – বিচক্ষণ মেধা।
বিলিভার – হারিয়ে খুঁজি বিশ্বাস।
বখতিয়ার শামিম – চমকিত কবি।
পাংশুল – রহস্যময় মুখ।
নীলসালু – লালসালু’র খালাতো ভাই।
জুলিয়ান সিদ্দিকী – সাহিত্যের হেড মাষ্টার।
রাবেয়া রব্বানি – হিজাবের মডেল।
জুয়ারি – ফেরারী আসামী।
হেমায়েত সুজন – সখীর খোঁজে ব্লগিং।
জামান একুশে – ভাষা আন্দোলন চলছে আজো।
এলিজা আকবর – হাসির রাণী।
মুরুব্বী – চির সুন্দর প্রতিচ্ছবি।
আজমান আন্দালিব – শিশুর হাসি।
রুপালি গিটার – মধ্য রাতের টুং টাং।
সকাল রয় – শিশির স্নিগ্ধ ঘাস ফুল।
নির্বাসন এ একা – নিভৃতের সুর ছন্দ।
মরুভূমির জলদস্যু – জোনাকির নৃত্যকার।
রেজা নুর – ভিন দেশী কবিতার সেতু।
নির্ঝর নাসির – অঝর প্রেমিক।
বাংলাদেশী স্লাম ডগ – মননশীল ভাবুক।
এজহারুল এইচ শেখ – প্রমিত ব্লগার।
আ,শ,ম,এরশাদ – আলোকিত মানুষ।
ছবি – ছবিতার রাণী।
তীর্যক নীল – ধরে না কোন বায়না।
ফরিদুল আলম সুমন – কবিতার কারিগর।
ডা. সুরাইয়া হেলেন – পরম শ্রদ্ধেয়া।
বাবুল হোসেইন – হলুদিয়া পাখি।
ফিদা – সংখ্যা কাব্যের নক্ষত্র।
কামাল উদ্দিন – সম্ভাবনায় উজ্জ্বল।
বন্ধু ব্লগ – বন্ধুর জন্য নিবেদিত।
দীপক সাহা – মন ভালো হাসি।
কালপুরুষ – ব্লগ আইকন।
মোসাদ্দিক উজ্জ্বল – সত্যের লড়াকু কবি।
জেড এইচ সৈকত – পাহাড়ের বুকে সমুদ্র সৈকত।
ভালবাসার দেয়াল – ভালবাসার সেতু।
আনন্দময়ী – নিখুঁত প্রজ্ঞাময়ী।
নাজমুল হুদা – শব্দের ডাক্তার।
আফরোজা হক – কান্তার মা। কবিতার বেয়াইন।
বনফুল – চির স্ফুটিত ফুল।
সুমন আহমেদ – কবিতার বন্ধু।
নীলকণ্ঠ – সময়ের সুজন।
জিল্লুর রহমান – আঁচলের ফুল।
ফৈরা দার্শনিক – মারাত্মক প্রগতিশীল।
সেতুবন্ধন – ভালোবাসার হ্যান্ডসেক।
সৈয়দ মাজারুল ইসলাম (রুবেল) – প্রবাসী প্রেমিক।
রেজওয়ান তানিম – মৌন মুখর কবি।
আহমাদ ইউসুফ – বক্র সত্যের আলোক রশ্মি।
আয়েশা আহমদ – কবিতার পূজারীনি।
সাঈদ মোহাম্মদ ভাই – ভাগ্যিস আজিজ মোহাম্মদ ভাই নয় !!
মেজদা – সুন্দর উপস্থিতি।
বালুচর – বৃষ্টি নামুক সবুজের জন্য।
শাহিদুল ইসলাম – শুভাগত মানুষ।
সারাদিন – কেন নয় সারা রাত।
ইজি রেসিপি – নাতির ভয়ে পলাতক দাদী।
রুবেল আহমদ – চমৎকার ব্লগার।
মিজানুর রহমান – শুভ কামনা যার জন্য।
রকি – যাকে ঠিক দেখি না।
মেঘ – এবার বৃষ্টি নামুক।
ঈশিতা জুলিয়া – শিশির সিক্ত ঘাস ফুল।
অপদেবতা – এবার মানুষ হবে প্রেমে।
বই পাগল – পাগল হবার সম্ভাবনা .ooooooooooooo%।
লিখন – বিজলির মত আসা যাওয়া।
সুলতানা – সুলতানা বিবিয়ানা সাহেব বাবুর বৈঠক খানা।
তুস – প্রকৃতির মহিমা।
হেমন্ত হিমালিয়া – দোয়েল পাখির খাঁচা।
নেবুলা মোর্শেদ – মহাকাশের টাইম মেশিন।
শাপলা – জাতীয় ফুল।
অজানা পথিক – জেনে যাবো ভালোবেসে।
আজিম হোসেন আকাশ – কষ্টের নীল রঙ।
ছেলেবেলা – প্রবীণ বেলার স্মৃতি চারণ।
পাশা – আশা করি ভালোবাসা পাবো।
গোলাম মাহাবুব – নিরব আলো।
ছবিয়াল – কবিয়ালের ভায়রা ভাই।
আলইমরান – হারানো মুখ খুঁজি।
সুজন – তেঁতুল পাতায় নয় জন।
সরসিজ আলীম – কবির আইকন।
শৈবাল কায়েস – সমুদ্রের গুঞ্জন।
মাহাফুজুর রহমান – উজ্জ্বল আশা।
আসাদ – গাজী হয়ে থাকুন চিরন্তন।
কৃতদাসের নির্বাণ – শিখায় অনির্বাণ কবি।

নিজের সম্পর্কে নিজে কি লিখব! কি বলবো! সাহাদাত উদরাজী।

নীড় সঞ্চালক – কঠিন হৃদয়।
হরবোলা – চুল পাকিলে লোকে হয় না বুড়ো।
জিয়া রায়হান – লোকে আমার বয়স বুঝতে পারল না।
সাইক্লোন – এ যে কঠিন অভিজ্ঞতা।
বিষণ্ণময়ী – পাথর দিল!
জামান আরশাদ – নীলগিরি।
ফকির আব্দুল মালেক – সোজা সাপটা আমি ফকির বাবা।
আদর – দেবর।
ডা. দাউদ – নিজের খেয়ে বনের মেষ তাড়ানো।
ছায়েদা আলী – স্বদেশী কবি।
মোঃ খালিদ উমর – শুধু গান গেয়ে পরিচয়।
খেয়ালী মন – মনের খোয়াল রাখবে কে?
কবিরনি – উপরে গরল নীচে তরল!
সাহাদাত উদরাজী – !!!
চারুমান্নান – কবিতার প্রহর।
মরু বেদুইন – স্বদেশী আশা।
হামিদুর রহমান পলাশ – লোহিত সাগরের পাশে একা দাঁড়িয়ে।
সুস্মিতা জাফর – ফুল ফুটে রাত্রী কালে।
কুহক = চেনা ব্রাক্ষণের পৈইতা লাগে না।
রাজিন – মামা, আমি অনেক বড় হয়েছি।
ওয়াচডগ – পুরা শরীরেরই পচন, ওয়াচ করবো কোথা।
আমিন আহম্মদ – ইউনাইটেড একশন।
দোয়েল – আশা পুরন হল না লো সখী।
মাহবুব আলী – পথেই পড়ে থাকে ভালবাসা।
বিলিভার – হারিয়ে যাওয়া এক মহানায়ক।
বখতিয়ার শামিম – চোখ যে মনের মথা বলে।
পাংশুল – কত কথা বলার ছিলো।
নীলসালু – একদিন দেখা হবে, অনেক মজা হবে।
জুলিয়ান সিদ্দিকী – ভালবাসা মরুময়।
রাবেয়া রব্বানি – একেলা পাখি।
জুয়ারি – রাত জাগা পাখি।
আজমান আন্দালিব – সেরা কাজী।
রুপালি গিটার – মামা, আমি এখানে।
সকাল রয় – কি যে করি।
নির্বাসন এ একা – ভালবাসা যায় না দেখা।
মরুভূমির জলদস্যু – দুনিয়া ঘোরে টাকার পিছে আমি ঘুরলে দোষ কি!
রেজা নুর – দিল কারবারি।
নির্ঝর নাসির – হে দুনিয়া, মেরা কাম কি নেহি!
বাংলাদেশী স্লাম ডগ – এটেনশন।
এজহারুল এইচ শেখ – প্রতিভা।
আ,শ,ম,এরশাদ – শাদকেলিক্স।
বাবুল হোসেইন – সোনার পালঙ্কে কাঁথা!
ফিদা – টুনটুনি।
কামাল উদ্দিন – একেই বলে অভিজ্ঞতা।
বন্ধু ব্লগ – তোমাদের ছেড়ে যাব কোথায়।
দীপক সাহা – ইয়ং ম্যান অফ দ্যা ইয়ার ২০১২।
কালপুরুষ – আছি তোমাদের সাথে।
মোসাদ্দিক উজ্জ্বল – আর কত লিখবো।
জেড এইচ সৈকত – ইয়ং ব্যাচেলর অফ দ্যা ইয়ার ২০১২।
ভালোবাসার দেয়াল – ভালবাসা লাগে, ভালবাসা!
আনন্দময়ী – লুকানো বাঘ।
নাজমুল হুদা – ফ্রেন্ড অফ দ্যা ইয়ার ২০১২।
আফরোজা হক – মা জননী।
বনফুল – হীরক রাজা।
সুমন আহমেদ – ছন্দের যাদু।
নীলকণ্ঠ – সাধারণ।
জিল্লুর রহমান – এই জন্মে আর হল না!
ফৈরা দার্শনিক – ইশারা।
সেতুবন্ধন – জানি ফিরে আসবে একদিন।
মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী – মরিলে কান্দিস না কেহ।
সৈয়দ মাজারুল ইসলাম (রুবেল) – এই কুলে আমি আর ওই কুলে তুমি।
মুক্তিযোদ্ধা – বয়স তো আর কম হল না!
নীলসাধু – আবার আসিব ফিরে।
জিপসী – আই এম এ ডিসকো ড্যান্সার।
শাকিলা তুবা – সময়ে এক ফোঁড়।
আবু মকসুদ – ইয়া বাবা।
ফকির ইলিয়াস – দূর থেকে কাশ বন সাদাই দেখা যায়!
আয়েশা আহমদ – চলতে চলতে।
সাঈদ মোহাম্মদ ভাই – কি যে হল বুঝি না।
মেজদা – আদাব।
বালুচর – সীমানা হারা।
শাহিদুল ইসলাম – বল না কবুল।
রেজওয়ান তানিম – ইঞ্জিনিয়ার কবি।
আহমাদ ইউসুফ – রাতের ছবি।
সারাদিন – সাথে আছি।
ইজি রেসিপি – সে সময় কোথায়।
রুবেল আহমদ – সে যে এল না, কিছু ভাল লাগে না।
মিজানুর রহমান – খোঁচায় বন্দী।
রকি – বুঝেও বুঝে না।
মেঘ – আয় রে।।
ঈশিতা জুলিয়া – মেরা নাম চুন চুন চু।
অপদেবতা – দেবতাদের রাজা।
বই পাগল – কাজে মন নেই।
লিখন – কি খাই, ঘরে কিছু নাই।
সুলতানা – মনের মানুষ।
তুস – তোরা দেখে যা, আমিনা মায়ের কোলে।
হেমন্ত হিমালিয়া – ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত।
ছবি – দিন ফুরায় না।
মাইন রানা – ওরে ও বাঁশিওয়ালা।
তীর্যক নীল – ছাড় নেই।
ফরিদুল আলম সুমন – কবিতায় ভালবাসা লুকিয়ে থাকে।
ডা. সুরাইয়া হেলেন – রিক্সা প্রেম।
নেবুলা মোর্শেদ – মহাকাশ গবেষণা।
শাপলা – পুরুষের মেকাপ দরকার।
অজানা পথিক – পথ ভোলা।
আজিম হোসেন আকাশ – তরুন কবি।
ছেলেবেলা – যে দিন যায় না ভোলা।
পাশা – মাঝ রাতে চাঁদ যদি।
গোলাম মাহাবুব – বলব কথা তোমার সনে।
ছবিয়াল – ক্যামেরায় নাই কালি।
আলইমরান – নুতন চাকুরে!
সুজন – দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া।
সরসিজ আলীম – সর্বভূক কবি।
শৈবাল কায়েস – দিনের আলো দেখিবার চাই।
মাহাফুজুর রহমান – যে ডালে কাক বসে না।
আসাদ – ইলাই কিতা।
কৃতদাসের নির্বাণ – ইমেল আর চলে না।
হেমায়েত সুজন – বন্ধুর বাড়ী।
জামান একুশে – লিড নিউজ।
এলিজা আকবর – ফুল ফুটে ঝরে যায় দুনিয়ার রীতি।
মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধূরী – যে বাগানে আর ফুল ফুটে না।
ঘাস ফড়িং – প্রতিজ্ঞা।
রাফিউল রাজী রিটন – শান্তি চাই।
নাজমুন নাহার – কে কোথায়।
হাসান ফেরদৌস – দুই দিনের দুনিয়া।
রক্ত-নজরুল – ভাল মানুষ।
আর. এইচ. মামুন – জীবনের দাম।
মুরুব্বী = ব্লগে আসি ঘরদোর ছাড়ি !!

আশরাফুল কবির রনি। কবির রনি। কবিরনি।

নীড় সঞ্চালক – নীড়হারা অচল লোক।
হরবোলা – যাত্রার বিবেকের পার্টটা একা আমার।
জিয়া রায়হান – বোঝার চেষ্টায় আছি।
সাইক্লোন – ঝড় তুলতে চাই, কিন্তু রসদ নাই।
বিষণ্ণময়ী – অবুঝ বুঝময়ী।
জামান আরশাদ – আত্বগোপনে নেতা।
ফকির আব্দুল মালেক – সংগ্রামী বালক।
আদর – দিদির ছোট ভাই।
ডা. দাউদ – দেবী না কবি?
ছায়েদা আলী – বিদেশে স্বদেশী ফুল।
মোঃ খালিদ উমর – দিকভ্রান্ত নাবিক।
খেয়ালী মন – খেয়ালী ব্লগার, খেয়ালে ব্লগিং ।
সাহাদাত উদরাজী – ছোট ছোট কথা বলি। বড় বড় কাজ করি।
চারুমান্নান – ব্লগের কবি ব্লগার কবি।
মরু বেদুইন – নিক চেন্জ করাই কাল হলো।
হামিদুর রহমান পলাশ – স্ত্রী’র কারণে ব্লগিং।
সুস্মিতা জাফর – ফেসবুক গল্পকার।
কুহক – উচিৎ কথার জায়গা নাই।
রাজিন – জরিপে আমেরিকান ব্যাচেলার।
ওয়াচডগ – ওয়াচে কারিগরী সমস্যা।
আমিন আহম্মদ – রাজাকারের ক্ষমা নাই, আওয়ামী প্রীতির ভাত নাই।
দোয়েল – হঠ্যাৎ ডাকি।
মাহবুব আলী – পাঠকের খোঁজে।
বিলিভার – হারিয়ে গেছি খুজে পাবে না।
বখতিয়ার শামিম – কবিতায় সম্বল।
জুলিয়ান সিদ্দিকী – জ্বলছি জ্বালায়।
রাবেয়া রব্বানি – চোর ধরার কারিগর।
আজমান আন্দালিব – প্রজেক্ট উদ্যেক্তা।
রুপালি গিটার – গিটারের তার ছিঁড়ে গেছে।
সকাল রয় – কেন অভিমানী নিজেও বুঝি না।
নির্বাসন এ একা – এবার হবো দোকা।
রেজা নুর – অনুবাদক কবি।
বাংলাদেশী স্লাম ডগ – ওয়াচডগের কাজ চাই।
আ,শ,ম,এরশাদ – চায়না ছিলাম ভালই ছিলাম আইসা দেখি মগজ নাই।
বাবুল হোসেইন – 100% কবি।
ফিদা – ভাব বোঝার অপেক্ষা।
কামাল উদ্দিন – মঙ্গল গ্রহ ঘুরে এলাম।
বন্ধু ব্লগ – বন্ধু চাই।
দীপক সাহা – গলায় কথা আটকে থাকে।
কালপুরুষ – আমার বনানীর বাসার স্মৃতি।
মোসাদ্দিক উজ্জ্বল – বুঝতে চাই, চিনতে চাই।
জেড এইচ সৈকত – হান্ড্রেড পার্সেন্ট ব্যাচেলার।
ভালবাসার দেয়াল – পরিবর্তনের হাওয়া।
আনন্দময়ী – আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্য সুন্দর।
নাজমুল হুদা – হুদাহুদি ব্লগিং করি না।
আফরোজা হক – শ্বাশুড়ি আম্মা।
সুমন আহমেদ – ভাংতি পদ্যের ব্যাপারী।
নীলকণ্ঠ – পোষ্টের উৎস লিখতে মনে থাকে না।
জিল্লুর রহমান – টু অর নট টু বি উপন্যাস চলবেই।
ফৈরা দার্শনিক – এখনো তো দর্শন কপচাই নি।
সেতুবন্ধন – রূপকথার গল্পপ্রেমী।
মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী – শেয়ার পোষ্ট বিশারদ।
সৈয়দ মাজারুল ইসলাম (রুবেল) – মন অস্থির।

সত্য বলতে চাই।সৈয়দ মাজারুল ইসলাম (রুবেল)।

নীড় সঞ্চালক – অর্থনৈতিক মন্দা ব্লগে পোস্ট ও কম আসে।
মুরুব্বী – সবুজ মানুষ।
হরবোলা – বাঁশে তেল কিভাবে লাগাতে হয় শিখে নিন।
জিয়া রায়হান – ভবের হাটে ছবি খুঁজি।
সাইক্লোন – যদি সমুদ্র পাড়ে আর কটা দিন।
বিষণ্ণময়ী – মমতার আধার।
ফকির আব্দুল মালেক – বিজ্ঞজন।
আদর – বড় হইছি এখন কেউ আদর করে না।
ডা. দাউদ – দেবীর বর্ণনায় কবি।
ছায়েদা আলী – এই আছি এই নাই।
নীল নক্ষত্র – আকাশ এখন ধোঁয়ায় ভরা।
খেয়ালী মন – ইচ্ছে হলে ব্লগে আসি।
কবিরনি – যেন নাম সূত্রেই কবি।
সাহাদাত উদরাজী – ছোট কথা বড় ভাবনা।
চারুমান্নান – নিয়মিত কবি।
মরু বেদুইন – চারপাশ দেখে থমকে যাই।
হামিদুর রহমান পলাশ – সব বলতে চাই সময় হয় না।
সুস্মিতা জাফর – ডাক্তার হবো না সাহিত্যিক চিন্তায় আছি।
কুহক – কাব্য থাকবো বেঁচে।
রাজিন – স্নো পড়তেই হবে না হলে হরতাল।.
ওয়াচডগ – সদ্য বাবা আদুরে শিশুর।
আমিন আহম্মদ – নিবেদিত ব্লগার।
দোয়েল – আবেগ সামলাতে কবিতা লেখা।
মাহবুব আলী – ব্লগ মাস্টার।
বিলিভার – হঠাৎ কোথায় হারিযে গেলাম।
বখতিয়ার শামিম – ডুবিয়ে এলাম এবার জলের কবিতা।
পাংশুল – রবী ঠাকুরের দাদী।
নীলসালু – মোল্লারা এখন দৌড়ের উপর।
জুলিয়ান সিদ্দীকি – ঝুনঝুনি হাতে।
জুয়ারি – জমে না খেলা শীতে জমে যাই।
আজমান আন্দালিব – কথা বলি তবে সুযোগ পাই না।
রুপালি গিটার – বে- সুরে বাজি।
সকাল রয় – হানিমুনে কোথায় যাবো।
নির্বাসন এ একা – আসলে একা না।
মরুভূমির জলদস্যু – কেবল বালি।

ফকির আবদুল মালেক

নীড় সঞ্চালক – আয়লো সখি উইড়া যাই, ঢিল মারি তর টিনের চালে।
হরবোলা – আমি তো বন্ধু মাতাল নই।
জিয়া রায়হান – আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা ফুল তুলিতে যাই।
সাইক্লোন – শিশুকাল কাল ছিল ভাল, যৌবন কেন আসিল।
বিষণ্ণময়ী – ভেঙ্গে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে।
জামান আরশাদ – বন্ধু তিনদিন তোর বাড়িত গেলাম দেখা পাইলাম না।
আদর – আমায় ডেকো না ফেরানো যাবে না।
ডা. দাউদ – রক্তে আমার মিশা আছে সুরের ছোঁয়া।
ছায়েদা আলী – যেও না সাথী, চলেছো একলা কোথায়।
মোঃ খালিদ উমর – ওরে রে নীল দরিয়া, আমায় দে রে দে ছাড়িয়া।
খেয়ালী মন – কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে।
কবিরনি – পাড়ার মানুষ কয় আমায় ভুতে ধরেছে।
সাহাদাত উদরাজী – আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।
চারুমান্নান – এই পথ যদি শেষ না হয় তবে কেমন হতো বলো তো।
মরু বেদুইন – কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই।

আমিও তারা হবো তোর মেঘলা আকাশে। আদর।

নীড় সঞ্চালক – অলস সম্রাট।
হরবোলা – সুপ্ত আগ্নেয়গিরি।
মুরুব্বী – বটবৃক্ষ।
জিয়া রায়হান – ছবির মাঝে অপরূপ জন্মভূমি।
ডা. দাউদ – আলোকবর্তিকা হাতে ছুটে চলা কবি।
সাহাদাত উদরাজী – প্রিয়জন।
চারুমান্নান – কবিতার মাঝেই যার জীবন।
মরু বেদুইন – ছড়ার মেলা।
মাহবুব আলী – প্রিয় শিক্ষক।
আজমান আন্দালিব – যোদ্ধা।
আ,শ,ম,এরশাদ – নির্ভেজাল আলোকিত মানুষ।
কামাল উদ্দিন – প্রথম সকাল।
কালপুরুষ – আমের দেশের মানুষ।
মোসাদ্দিক উজ্জ্বল – সোজাসাপ্টা কথা।
জেড এইচ সৈকত – নিখোঁজ বালক।
বনফুল – লুকিয়ে থাকা প্রতিভা।
জিল্লুর রহমান – দেখা হয়েছিল সাইবার ক্যাফেতে।
সৈয়দ মাজারুল ইসলাম (রুবেল) – সরল মন।
রুবেল আহমদ – মধ্য রাতের কণ্ঠ।
সুজন – হারানো কণ্ঠস্বর।
রাফিউল রাজী রিটন – মামা মিঞা পাম পাম।

পরে বলব…. ফৈরা দার্শনিক।

সুজন – মহা ব্লগার।
সাইক্লোন – সত্যিই ঝড়।
নীলসাধু – আর কি করব।
কুহক – জোয়ান কবি।
সৈয়দ মাজারুল ইসলাম (রুবেল) – প্রেমের কবি।
জগতের সব কাজই আমি পারি না। জুলিয়ান সিদ্দিকী।

আফরোজা হক – সংক্ষেপে হক্কানী।
সৈয়দ মাজারুল ইসলাম (রুবেল) – অদৃশ্য-কাহিনীকার।

আমি অতি সাধারণ, নিরব, আর লাজুক প্রকৃতির একটি ছেলে। নির্ঝর নাসির।

নির্বাসন এ একা – একা আর ভালো লাগে না সঙ্গী খুঁজিতেছি।
ওয়াচডগ – বড়ই উদ্বিগ্ন।
আমি নগরের জেষ্ঠ শামুক। রাবেয়া রব্বানি।

সাহাদাত উদরাজী – ব্লগ আইকন পার্সোনালিটি।
সমযের প্রয়োজনে, জীবনের দায়বদ্ধতায়। হামিদুর রহমান পলাশ।

নীড় সঞ্চালক – সফল নীড় পর্যবেক্ষক।
হরবোলা – জীবন বিষাদময় নয়।
জিয়া রায়হান – ছবি পাগল।
সাইক্লোন – রোগী না হয়েও ডাক্তারের কবলে।
বিষণ্ণময়ী – বিষন্নতায় ভরা, মমতায় ঘেরা।
জামান আরশাদ – ব্যস্ত দুলাভাই।
ফকির আব্দুল মালেক –
আদর – আরো আদর চাই।
ডা. দাউদ – ভালবাসার বাতিঘর।
ছায়েদা আলী – ভালবাসার নীল খাম।
মোঃ খালিদ উমর –
খেয়ালী মন – এখনও বেখেয়ালে আছি।
কবিরনি – কবিতার জাগ্রত সত্তা।
সাহাদাত উদরাজী – সফল রেসিপি হতে পারলাম কই, ছোট কথার জাদুকর।
চারুমান্নান – ভোরের পাখি।
মরু বেদুইন – এখন তীরে খুঁজে ফিরি।
হামিদুর রহমান পলাশ – এখনও জানার অনেক বাকী।
সুস্মিতা জাফর – জীবন তো নয় যেন খেলাঘর।
কুহক – আসলে আমি হক।
রাজিন – এখনও অনেক পথ বাকী।
ওয়াচডগ – দেখার বাকী অনেক কিছু।
আমিন আহম্মদ – রাজনীতির পাঠশালা।
দোয়েল – সদ্য কৌমার্য হারানো।
মাহবুব আলী – আর কত কাদাবে বল ?

তো এই গেলো মহাকাব্য। পোস্ট এর দৈর্ঘ্য দেখে আমি নিজেও বিস্মিত। জানিনা কয়জন আমাকে সশব্দে অভিসম্পাত করবেন। তবু এটার প্রয়োজন ছিলো। কেননা আবাহন পোস্টে আপনারা যে উদ্দীপনায় আমাকে সঙ্গ দিয়েছেন তাতে আমি অভিশপ্ত খেতাব পেলেও ক্ষতি নেই। সানন্দে মাথা পেতে নেবো। মনে করবেন এটা আমার কর্তব্য ছিলো আমি পালন করেছি। এবার আপনাদের পালা।

প্রথমত: নিজে গুনে মন্তব্যের ঘরে লিখুন কে কয়টা খেতাব পেলেন।
দ্বিতীয়ত: আপনার দৃষ্টিতে সেরা ১০টি খেতাব মন্তব্যের ঘরে লিখুন।
তৃতীয়ত: লিখুন ২০১২ সালের আপনার স্মরণীয় মন্তব্যটি।

সুন্দর খেতাব দাতা ও এই পোস্টে ২০১২ সালের সেরা মন্তব্যের জন্য রয়েছে বিশেষ পুরুস্কার। পুরুস্কার দেয়া হবে একুশে বই মেলার ব্লগারস ফোরামের স্টলে।
ধন্যবাদ সবাইকে। ভালো থাকুন। সুস্থ্য থাকুন। সর্বোপরি নিরাপদে থাকুন।
শব্দনীড় এর অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাক। সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।

শুভ জন্মদিন : জেড এইচ সৈকত

birthday_cake1_1920x1200

এই সব রাত আসে রাত্রির মত
এই সব রাত্রির বুকে নীল ক্ষত
ক্ষত নয়, মহাকাশে বেদনার জল
একটি জীবন তার উপমা অতল।

সে আমাদের প্রিয় ব্লগার zzzh জেড এইচ সৈকত।
zh
ছায়াপথের অশরীরী বৃষ্টি
গুচ্ছ ফোটায় সাদা গোলাপ
ইতিহাসের পরিবর্তে কৃষ্টি
মেলে ধরে নীল ময়ূরীর কলাপ।

আজ জেড এইচ সৈকত এর জন্মদিন।
birthday77
zia4
zia6
zia8
zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9
101010101010101010101010101010

আসুন ২০১২ এর শব্দনীড় ব্লগারদের খেতাব সাজাই

14

আমি নাম প্রস্তাব করলাম। আরো নাম যোগ করবো। শব্দনীড় এ নতুন অনেক বন্ধু ব্লগার এসেছেন তাঁদেরকেও আনবো। তো আসুন শুরু হয়ে যাক আপনার দৃষ্টিতে আপনারই প্রিয় ব্লগারকে কি নামে ভূষিত অথবা সম্মানিত অথবা সমালোচিত করা যায়। দেখা যাক কে হতে পারেন সর্বোচ্চ খেতাব দাতা। সম্মানিত জুরি বোর্ডের নাম অচিরেই ঘোষণা করা হবে। সর্বোচ্চ খেতাব দাতাকে নির্বাচন এবং পুরস্কার প্রদানের দায়িত্ব তাঁদের। শালীন এবং সুন্দর খেতাবই হবে আমাদের সকলের চাওয়া। নতুন বছর সকলের জন্যই বয়ে আনুক সুখ সমৃদ্ধি এবং কল্যাণ। ধন্যবাদ সবাইকে। যারা শ্রম আর মেধা দিয়ে পাশে ছিলেন। নতুন বছরের শুভকামনা।

থিম অনুপ্রেরণা এবং কৃতজ্ঞতায় প্রিয় ব্লগার মুহাম্মদ সাঈদ আরমান এবং শ্রদ্ধেয় আনন্দময়ীডা. দাউদ। যাদের কাছে আমি ব্যক্তিগত ভাবে শ্রদ্ধাচিত্তে ঋণী।

blue
নীড় সঞ্চালক =

red
হরবোলা =
জিয়া রায়হান =
সাইক্লোন =
বিষণ্ণময়ী =
জামান আরশাদ =

blue
ফকির আব্দুল মালেক =
আদর =
ডা. দাউদ =
ছায়েদা আলী =
মোহাম্মদ খালিদ উমর =

red
খেয়ালী মন =
কবিরনি =
সাহাদাত উদরাজী =
চারুমান্নান =
মরু বেদুইন =

blue
হামিদুর রহমান পলাশ =
সুস্মিতা জাফর =
কুহক =
রাজিন =
ওয়াচডগ =

red
আমিন আহম্মদ =
দোয়েল =
মাহবুব আলী =
বিলিভার =
বখতিয়ার শামিম =

blue
পাংশুল =
নীলসালু =
জুলিয়ান সিদ্দিকী =
রাবেয়া রব্বানি =
জুয়ারি =

red
আজমান আন্দালিব =
রুপালি গিটার =
সকাল রয় =
নির্বাসন এ একা =
মরুভূমির জলদস্যু =

blue
রেজা নুর =
নির্ঝর নাসির =
বাংলাদেশী স্লাম ডগ =
এজহারুল এইচ শেখ =
আ,শ,ম,এরশাদ =

red
বাবুল হোসেইন =
ফিদা =
কামাল উদ্দিন =
বন্ধু ব্লগ =
দীপক সাহা =

blue
কালপুরুষ =
মোসাদ্দিক উজ্জ্বল=
জেড এইচ সৈকত =
ভালোবাসার দেয়াল =
আনন্দময়ী =

red
নাজমুল হুদা =
আফরোজা হক =
বনফুল =
সুমন আহমেদ =
নীলকণ্ঠ =

blue
জিল্লুর রহমান =
ফৈরা দার্শনিক =
সেতুবন্ধন =
মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী =
সৈয়দ মাজারুল ইসলাম (রুবেল) =

red
মুক্তিযোদ্ধা =
নীলসাধু =
জিপসী =
শাকিলা তুবা =
আবু মকসুদ =

blue
ফকির ইলিয়াস =
আয়েশা আহমদ =
সাঈদ মোহাম্মদ ভাই =
মেজদা =
বালুচর =
শাহিদুল ইসলাম =

red
রেজওয়ান তানিম =
আহমাদ ইউসুফ =
সারাদিন =
ইজি রেসিপি =
রুবেল আহমদ =

blue
মিজানুর রহমান =
রকি =
মেঘ =
ঈশিতা জুলিয়া =
অপদেবতা =

red
বই পাগল =
লিখন =
সুলতানা =
তুস =
হেমন্ত হিমালিয়া =

blue
ছবি =
মাইন রানা =
তীর্যক নীল =
ফরিদুল আলম সুমন =
ডা. সুরাইয়া হেলেন =

red
নেবুলা মোর্শেদ =
শাপলা =
অজানা পথিক =
আজিম হোসেন আকাশ =
ছেলেবেলা =

blue
পাশা =
গোলাম মাহাবুব =
ছবিয়াল =
আলইমরান =
সুজন =

red
সরসিজ আলীম =
শৈবাল কায়েস =
মাহাফুজুর রহমান =
আসাদ =
কৃতদাসের নির্বাণ =

blue
হেমায়েত সুজন =
জামান একুশে =
এলিজা আকবর =
মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধূরী =
ঘাস ফড়িং =

red
রাফিউল রাজী রিটন =
নাজমুন নাহার =
হাসান ফেরদৌস =
রকি =
রক্ত-নজরুল =

blue
আর. এইচ. মামুন =
মুরুব্বী =
ww

ঋণ হচ্ছে সবচেয়ে নিকট শত্রু কিংবা বন্ধু।

দিন পেরুলেই নতুন সালে’র জন্য থাকবে অপেক্ষা।
এই ই মোক্ষম সময়। অন্যের ঋণ স্বীকার করে নিন।
ক্ষমা করে দিন আপন জনের সকল অন্যায় অপরাধ।
জটিলতা ভুলে কাছে ডেকে বলুন : বন্ধু তোমায় শুভ নববর্ষ।
106_n

২০১৩ শুভ না অশুভ? পড়লে পড়ুন না পড়লে ক্ষতি নেই

2012-12-28 আগামী সোমবার যে খ্রিষ্টীয় বছরটি শেষ হবে, সেই বছরটি মহাজোট ওরফে আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য মোটেই সুখকর ছিল না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিরোধী দলের আন্দোলন কাবু করতে না পারলেও দেশ পরিচালনায় নানা ব্যর্থতা, অব্যবস্থা, অদক্ষতা এবং ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সরকারকে বেশ বেকায়দায় ফেলেছে।

২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতা নেওয়ার অব্যবহিত পর পিলখানা ট্র্যাজেডি সত্ত্বেও শেখ হাসিনার সরকার দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছিল। বিরোধীদলীয় নেতা এখন যা-ই বলুন, সেটাই ছিল বাস্তবসম্মত। সেদিন পিলখানায় সেনা অভিযান চালালে আরও বেশি রক্তপাত হতো। পরবর্তী সময়ে জঙ্গিবিরোধী সফল অভিযান, নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ন, কৃষি, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধিসহ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। বিশ্বব্যাপী মন্দা সত্ত্বেও তিন বছর ধরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ওপরে রাখাও সরকারের সাফল্য হিসেবে বিবেচিত।

কিন্তু মেয়াদের চতুর্থ বছরে এসে কতগুলো ভুল পদক্ষেপ সরকারকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। বলা যায়, সরকার এখন সফলতা ও বিফলতার সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। এ মুহূর্তে সামান্য ভুল যেমন সরকারের জন্য বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে, তেমনি হিসাব করে পা রাখলে সংকট উত্তরণও কঠিন হবে না বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন।

২০১২ সালের যে ঘটনাগুলো সরকারের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেগুলো হলো: সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি বাতিল, মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে টানাপোড়েন, কক্সবাজারে বৌদ্ধপল্লিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, হল-মার্ক ও সোনালী ব্যাংক কেলেঙ্কারি, শিক্ষাঙ্গনে অশান্ত পরিবেশ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং বিশ্বজিৎ দাসের খুন হওয়া।

গত ফেব্রুয়ারিতে সাগর-রুনি হত্যার পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘাতকদের পাকড়াও করার ঘোষণা দিলেও গত ১০ মাসেও তা কার্যকর করতে পারেননি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বদল হলেও খুনিদের ধরতে পারেনি সরকার। তদুপরি বিএনপির নেতা ইলিয়াস আলীর গুম হওয়ার ঘটনা ছিল বছরজুড়ে তপ্ত আলোচনার বিষয়।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের বিষয়ে বিশ্বব্যাংক সতর্ক করে দিলেও সরকার যথাসময়ে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়; এমনকি ২৯ জুন বিশ্বব্যাংক চুক্তিটি বাতিল করার পরও নীতিনির্ধারকদের চৈতন্যোদয় হয়নি। তখন সরকারের মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জোর আওয়াজ তুলেছিলেন যে, বিশ্বব্যাংক ঋণ না দিলে জনগণের কাছ থেকে চাঁদা তুলে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। তাঁরা ভুলে গিয়েছিলেন, ১৯৭১ ও ২০১২ এক নয়, শেখ হাসিনাও বঙ্গবন্ধু নন যে ‘যার যা আছে’ ডাক দিলেই সবাই ঝাঁপিয়ে পড়বে। অবশেষে বিশ্বব্যাংকের সব শর্ত মেনে নিয়ে এবং সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে সরিয়ে সরকার বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা শুরু করলেও বছরের শেষ নাগাদ তা কোনো সুফল দেয়নি। সর্বশেষ দুই আবুলকে সন্দেহের তালিকায় রেখে অভিযুক্ত বাকি সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। গ্রেপ্তার হয়েছেন সেতু বিভাগের সাবেক সচিব ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্যসচিব কাজী মোহাম্মদ ফেরদাউস। বিশ্বব্যাংক ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্তের ওপরই পদ্মা সেতুতে তাদের অর্থায়ন নির্ভর করছে।

মহাজোট সরকারের দুটি প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল: যুদ্ধাপরাধের বিচার ও পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন। যুদ্ধাপরাধের বিচার-প্রক্রিয়া মোটামুটি ভালোভাবেই চলছে। বছরের শেষে এসে স্কাইপ কেলেঙ্কারির পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের পদত্যাগ সাময়িক ধাক্কা দিলেও দ্রুত আদালত পুনর্গঠন করে বিচার-প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে সরকার। কিন্তু পদ্মা সেতু চরায় আটকে গেছে। এর মধ্যে অত্যাশ্চর্য কিছু না ঘটলে বর্তমান সরকারের আমলে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হওয়া কঠিন বলেই পর্যবেক্ষকেরা মনে করেন।

গত বছর ও চলতি বছরের শুরুতে সরকারের কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে খোদ সরকারি দলের সাংসদেরা সমালোচনায় মুখর হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভায় ঈষৎ পরিবর্তন আনেন। প্রথমে তিনি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে ভাগ করে ওবায়দুল কাদের ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে যথাক্রমে যোগাযোগ ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন। মন্ত্রিত্ব পাওয়ার আগে ক্ষমতাসীন দলে এ দুই নেতাই সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ব্যাপারে সোচ্চার ছিলেন। কিন্তু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত রেলওয়ের কালো বিড়াল ধরার আগেই নিজে কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ে দপ্তর হারান। বর্তমানে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী হিসেবে তিনি বিরোধী দলের রাজনৈতিক বক্তৃতা-বিবৃতির জবাব দানে ব্যস্ত।

বছরের মাঝামাঝি প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় আরেক দফা পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নিলেও দলের ও মহাজোটের দুই প্রভাবশালী নেতা তোফায়েল আহমেদ ও রাশেদ খান মেনন সরকারের শেষ বেলায় মন্ত্রিত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানান। ফলে মন্ত্রিসভায় পরিচ্ছন্ন ও দক্ষ ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার শেখ হাসিনার দ্বিতীয় চেষ্টাও সফল হয়নি। নতুন মন্ত্রীদের কারও কারও বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আসতে শুরু করেছে।

বছরের শেষার্ধে এসে সরকারকে যে বিষয়টি সাঁড়াশির মতো চেপে ধরে, সেগুলো হলো: হল-মার্ক ও সোনালী ব্যাংক কেলেঙ্কারি। একটি অখ্যাত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দেশের ব্যাংকিং খাতের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি করতে পেরেছে ব্যাংক কর্মকর্তা ও পর্ষদের যোগসাজশে। সোনালী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ঘন ঘন যাতায়াত নিয়ে খোদ সংসদীয় তদন্ত কমিটিই প্রশ্ন তুলেছে। পর্ষদের একজন সদস্য তিন কোটি টাকা উৎকোচের বিনিময়ে হল-মার্কের কাগজপত্র ধামাচাপা দিয়েছেন বলে পত্রিকায় খবর এসেছে। সরকারি ব্যাংকগুলোতে কী পরিমাণ দুর্নীতি ও অনিয়ম হচ্ছে, তার ক্ষুদ্র একটি অংশই পত্রিকায় আসছে। পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকগুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে গতি আনতে পারবে, না জঞ্জাল বাড়াবে তা দেখার জন্য আমাদের আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।

২০১২ সাল জুড়েই উচ্চ শিক্ষাঙ্গন উত্তপ্ত ছিল, উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে অচল হয়ে পড়ে জাহাঙ্গীরনগর, বুয়েট, রুয়েট ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। থেমে থেমে আন্দোলন হয়েছে জগন্নাথ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকার প্রথমে সমস্যা উপেক্ষা করতে চাইলেও পরবর্তী সময়ে উপাচার্য বা সহ-উপাচার্যকে বিদায় দিতে বাধ্য হয়। এর পাশাপাশি সরকার-সমর্থক ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দৌরাত্ম্য ও আত্মঘাতী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাঁদের টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি সরকারের ভাবমূর্তি হিমাঙ্কে নামিয়ে দিয়েছে।

মেয়াদের মাঝামাঝি সরকার দলীয় সাংসদদের বেপরোয়া আচরণ লক্ষ করা গেলেও এখন অনেকই আগামী নির্বাচনের কথা ভেবে খামোশ হয়ে গেছেন। কিন্তু ‘বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড়’ ছাত্রলীগের মাস্তানি-সন্ত্রাসী তৎপরতা এতটুকু কমেনি। সরকার-সমর্থক এ ছাত্রসংগঠনটির সন্ত্রাস ও দৌরাত্ম্য এতটাই বেড়ে যায় যে, নানা হুমকি-ধমকি সত্ত্বেও তাদের লাগাম টেনে ধরা যায়নি। যার সর্বশেষ উদাহরণ ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের অবরোধের দিন পুরান ঢাকায় বিশ্বজিৎ দাস হত্যা। এ ঘটনা এতই নৃশংস ও নির্মম যে গোটা জাতিকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে।

এ রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যে গত ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামু, উখিয়া, টেকনাফে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলা ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি ও বিহারে আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা দেশবাসীকে হতবাক করে দেয়। বাংলাদেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর সংঘবদ্ধ আক্রমণের ঘটনা এই প্রথম। ধারণা করা হয়, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর আক্রমণের প্রতিশোধ নিতে স্বার্থান্বেষী মহল বাংলাদেশে বৌদ্ধদের আক্রমণের লক্ষ্য করে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন, গোয়েন্দা বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়। এমনকি বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলায় অংশ নেন বলে অভিযোগ আছে।

তবে এসব বিপর্যয় ও বিতর্ক সত্ত্বেও ২০১২ সালে অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার কথা স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও গবেষণা সংস্থাগুলো। ইকোনমিস্ট, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, খালিজ টাইমস-এর মতো পত্রিকাগুলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্যকে বিস্ময়কর হিসেবে অভিহিত করেছে; দেশের ভেতরে এবং বাইরের বিশ্লেষকেরাও মনে করেন, রাজনৈতিক ঝগড়া-বিবাদটা একটু কম হলে অর্থনৈতিক অগ্রগতি আরও গতিশীল হতো; সেক্ষেত্রে ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশের মধ্য আয়ের দেশ হওয়া অসম্ভব নয়। তবে এ অগ্রগতির সঙ্গে বৈষম্যটা হ্রাস না পেলে এক দেশ দুই সমাজে পরিণত হবে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।

নানা টানাপোড়েন বিপর্যয়-বিপন্নতায় সরকার ২০১২ সালটি পার করেছে। ২০১৩ সালে তার জন্য কী অপেক্ষা করছে, পরিস্থিতি কীভাবে সরকার সামাল দেবে; সেটাই এখন দেখার বিষয়। ২০১৩ সালে সরকারের জন্য বড় তিন চ্যালেঞ্জ—সব শঙ্কা ও সংশয় কাটিয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংককে ফিরিয়ে আনা, আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে বিরোধী দলের সঙ্গে একটি সমঝোতায় আসা এবং যুদ্ধাপরাধের বিচারকাজ শেষ করা।

সরকার এ তিনটি অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে প্রস্তুত আছে কি? যদি তারা যুক্তির ভাষায় চলতে চেষ্টা করে এবং নির্বাচনের ব্যাপারে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি সমাধান বের করতে পারে, তাহলে ২০১৩ সালটি সবার জন্য শুভ হবে বলেই আমাদের ধারণা। আর যদি সরকার গোঁয়ার্তুমি করে কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে চায়, দলীয় মাস্তানদের নিবৃত্ত না করে, তাহলে দেশ কঠিন অবস্থার মুখোমুখি হবে, যা সরকার ও দেশের জন্য শুভনা-ও হতে পারে।

লিখেছেন: সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
মূল পাতায় যেতে হলে লিঙ্ক এ ক্লিক করুন।
২০১৩ শুভ না অশুভ? দৈনিক প্রথম আলো।

57883_na

রবীন্দ্রনাথের চির সবুজ অনুভূতি

rrytui

হে বন্ধু, সবার চেয়ে চিনি তোমাকেই
এ কথায় পূর্ণ সত্য নেই।
চিনি আমি সংসারের শত সহস্রেরে
কাজের বা অকাজের ঘেরে
নির্দিষ্ট সীমায় যারা স্পষ্ট হয়ে জাগে,
প্রত্যহের ব্যবহারে লাগে,
প্রাপ্য যাহা হাতে দেয় তাই,
দানা যাহা তাহা নাহি পাই।

অনন্তের সমুদ্রমন্হনে
গভীর রহস্য হতে তুমি এলে আমার জীবনে।
উঠিয়াছ অতলের অস্পষ্টতাখানি
আপনার চারিদিকে টানি।
নীহারিকা রহে যথা কেন্দ্রে তার নক্ষত্রেরে ঘেরি,
জ্যোতির্ময় বাষ্পমাঝে দূ্র বিন্দু তারাটিরে হেরি।
তোমা-মাঝে শিল্পী তার রেখে গেছে তর্জনীর মানা,
সব নহে জানা।
সৌন্দর্যের যে- পাহারা জাগিয়া রয়েছে অন্তঃপুরে
সে আমারে নিত্য রাখে দূ্রে।।

ww

শুভ জন্মদিন : আজমান আন্দালিব. ব্যর্থ পাবলিক. ২২শিকদার

e25c1d282c42f86666277effd26c74b2

এই সব রাত আসে রাত্রির মত
এই সব রাত্রির বুকে নীল ক্ষত
ক্ষত নয়, মহাকাশে বেদনার জল
একটি জীবন তার উপমা অতল।

সে আমাদের অনেকের প্রিয় ব্লগার –
c3fd আজমান আন্দালিব 14dbart ব্যর্থ পাবলিক ecca22 ২২শিকদার।

ajmanbartho22 shik

ছায়াপথের অশরীরী বৃষ্টি
গুচ্ছ ফোটায় সাদা গোলাপ
ইতিহাসের পরিবর্তে কৃষ্টি
মেলে ধরে নীল ময়ূরীর কলাপ।

আজ আজমান আন্দালিব … ব্যর্থ পাবলিক … ২২শিকদার এর জন্মদিন।
c823c7ce64f6df35d20a69762035f12b
zia4
zia6
zia8
zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9zia9
101010101010101010101010101010

জীবনের কর্মে এবং সাফল্যে থাকুন বেঁচে। আমাদের সকলের শুভেচ্ছা ভালোবাসা সর্বোপরি শুভকামনা সব সময়ে থাকবে আপনাদের জন্য। শুভ ব্লগিং।