সাইদুর রহমান এর সকল পোস্ট

সাইদুর রহমান সম্পর্কে

এ যাবত ২টি কাব্যগ্রন্থ (একক) এবং যৌথ ১৬টি কবিতা ও গল্পের বই প্রকাশিত হয়েছে।

রাখাল ছেলে

resiz8546

ভোর বেলাতে রাখাল ছেলে
ছুটে মাঠের পানে,
হাতে বাঁশি বাজিয়ে তাই
ভরে মিষ্টি গানে।

নদীর ধারে সবুজ মাঠে
প্রতিদিন যায় চলে,
ঘাস খায় সেথা গোরু তারি
তৃষ্ণা মেটায় জলে।

দুপুর হলে হররোজই খায়
নুনভাত মা দেন তারে,
গোরুর গাড়ি চালিয়ে আয়
কতই হতে পারে ?

পরিবারে অনেক অভাব
নেই যে টাকা-কড়ি,
তবুও রাখাল এই বয়সে
কভু যায় না ডরি।

তার এখনো প্রয়াস অনেক
হবে বড়ো কিছু,
রাখাল হয়ে থাকবে নাকো
জীবন নাকি মিছু !

শুধু কি বিদ্যাপীঠ

শুধু কি এ বিদ্যাপীঠ শিক্ষার স্থান
প্রথম দীক্ষা দেন জননী;
চারিপাশে পাখিদের সে কলতান
শিখায় রাগ ও রাগিণী।

ভুবনে কে বা এমন, হয় না কাবু
আসলে ঐ বৈশাখী ঝড়;
করে যায় তছনছ, ভাঙচুর, তবু
সামনা করা শিখি ভয় ডর।

যে প্রেম দেয়, বারে বারে জ্বালা
দেয় বিমুখতা ও ছলনা;
জীবনে সেও তো এক পাঠশালা
করে চৌচির হৃদয়খানা।

বুভুক্ষা শুধু কি কাঁদায় এই ভবে
শিখায় জীবনের শত রং;
মানুষ হারায় তার মানবতা যবে
দ্যাখি, শিখি হৃদয়ের ঢঙ।

মানুষে হিংসা এই ঝগড়া বিবাদ
ঘটছে চারিপাশে অহরহ;
জীবনে আসে হাসি খুশী অবসাদ
নূতন পরিচিতি প্রত্যহ।

বসন্ত সাজায় যেমন কমলে ভুবন
করে কসুমিত ও সুরভিত;
সাজাতে শিখি তেমনি এই জীবন
আরো শালীন আলোকিত।

রাধা কৃষ্ণের প্রেম

Dorm

যমুনাতে আসি শুনে তব বাঁশি
মন রহে না যে স্থির,
লোকে মন্দ বলে অঙ্গ তাই জ্বলে
বুকে লাগে যেন তীর।

তবু কিন্তু রাই ছুটে আসে তাই
ডাকে ওগো মোর কালা,
ভয় নাহি করি দেবো গলে ভরি
গোলাপ ফুলের মালা।

আসুক না বাঁধা আমি তব রাধা
মনে নেই কোনো ডর,
ভালোবাসি খুব তাই দিই ডুব
মরিব আসুক ঝড়।

ননদিনী মোর বিরোধী সে ঘোর
কলঙ্কিনী নাকি আমি?
বোঝে না যে তারা দুখ তুমি ছাড়া
তুমি কালা কতো দামি !

ভাঙ্গে মোর বুক বিরহে যে দুখ
সহিতে আর না পারি,
ক্ষণ যায় বয়ে হাতে মালা লয়ে
সবারে কহিতে নারি।

লিমেরিক গুচ্ছ ৪৬

লিমেরিক গুচ্ছ ৪৬

এক। সে কি দৃশ্য

যখনই ঈদ উৎসব পৌছায় আমাদের দ্বারে
রেল বাস লঞ্চ মানুষের ভিড়ে উপচে পড়ে;
সে কি দৃশ্য, শহরে বন্দরে
ফিরছে সবাই আপন নীড়ে
প্রিয় স্বজনের টানে শত কষ্ট উপেক্ষা করে।

দুই। না কেউ দিতে পারি

কত গর্বিত, আছে গাড়ি বিশাল সুরম্য বাড়ি
কারো তবে নেই একখানি ঘর না টাকাকড়ি;
হৃদয়ে যে ধন তবে সঞ্চিত
এক সমুদ্র প্রেম মমতা শত
মূল্য তার এতই ভারী, না কেউ দিতে পারি।

অনুবাদ কবিতা: প্রকৃতির নির্মিত ঘর ঐ তারাগুলো যেন

The Stars Are Mansions Built
By Nature’s Hand:

আকাশের ঐ তারাগুলো যেন
সারি সারি এক একটি সুরম্য অট্টালিকা
প্রকৃতির নিজ হাতেরই বানানো কখনো;

যেথা শুধু হাসি গান প্রফুল্লতা
স্বর্গের আবাস স্থল অবিনশ্বর, ফুলের মত
মনোহর কত বিচ্ছুরিত আলো উজ্জ্বলতা।

ভালোবেসে জীবন, এ সৃজন
প্রকৃতির মনে কত যে ব্যাপক কল্পনাসব
আকাশের বুকে দুর্গ কক্ষ, এক উল্লম্ফন।

চলমান সবি প্রকৃতি নির্দেশে
ঋতুরাজ বসন্তে যেন বরাবরই সে দুর্বল
পাখিরা গায় পোকামাকড়ের অসন্তোষে।

যেন তাই প্রকৃতির এ অঙ্কন
ফুলেল ভূতল, রঙ প্রাচুর্য আরো সুরভিত
মুকুলিত, সবুজে পল্লবিত উর্বর বাসস্থান।

.
মূল: William Wordsworth

পরিশেষে

850252554

এই যে বসে আছি দু’জনা
তুমি আর আমি মুখোমুখী;
কত করি জল্পনা কল্পনা
হয় না শেষ, থাকেই বাকি।

কত এই আনন্দ উচ্ছ্বাস
হৃদয়ের কত মাখামাখি;
তবু কেন যেন দীর্ঘশ্বাস
একটু হাসি আপ্লুতআঁখি।

কত আবদার অনুরোধ
হাতে হাত রেখে কথা বলা;
যেন আজন্ম মমতা বোধ
রবো এমনি সে কত বেলা ?

তোমার আমার কলরব
কিছু হাসি কিছু দঃখ জ্বালা;
একদা থেমে যাবে এসব
থেমে যাবে সব রঙ খেলা।

কত শত মান অভিমান
কত সে চিমটি কাটাকাটি;
কত শত মধু স্বপ্ন গান
নিমেষে সবই হবে মাটি।

.
রচনা:২০১২

সাথী তবু দীর্ঘশ্বাস

চারিদিকে আজ এতো রক্ত ঝরা
সততই চৌচির স্বপ্নেরা
লোকজন দিশেহারা;

কর্ম অন্বেষণে কিশোর শিশুরা
খেলার বয়সে তন্দ্রাহারা
স্বপ্ন যে আকাশ ভরা।

দ্যাখো ঐ যে শহরের রাস্তাঘাট
রঙিন যানে জমজমাট
করতে বাজার হাট;

সাজ সজ্জায় সুন্দর ফিটফাট
কলকাকলিতে ভরা মাঠ
চলেও পুস্তকপাঠ।

হেথা মাথায় ভেঙ্গে পড়ে আকাশ
সারা বেলা কান্না হাহুতাশ
কখনো যে উপবাস;

জীবন যুদ্ধ চলে বারোটি মাস
লাঙল গরুর আশপাশ
সাথী তবু দীর্ঘশ্বাস।

খুকির ইচ্ছে

images

ঐ যে দেখো পাখি উড়ে
নীল গগনের মাঝে,
আমি দেখি ব্যাকুল হয়ে
প্রতি সকাল-সাঁঝে।

মাগো আমার ইচ্ছে করে
আমিও তেমন উডি,
জগতটাকে একবার দেখি
ওদের সনে ঘুরি।

যখন তবে বিকেল হয় মা
চলি নদীর ধারে,
নৌকা বেয়ে গাইছে মাঝি
কী সুন্দর গলারে !

গাছের ডালে কতো পাখি
গায় গান মধুর স্বরে,
আমিও চাই মা গানের সুরে
দেবো ভুবন ভরে।

পড়া করে মা, হই বড়ো
রই গরিবের পাশে,
নিঃস্ব কতো খেতে পায় না
আবার যেনো হাসে।

কবে হবো মানুষ ?

5d691

আমরা নাকি মানুষ
কোথায় তবে সে হুঁশ ?
মানবতা নেই আজ
পশুর মত সব কাজ।

কেউ ভাবে না শান্তি
চলার পথ সে ভ্রান্তি;
খায় মানুষের রক্ত
মুখটা রয় যে শক্ত।

কারো নেই গো মায়া
মানবরূপ তার কায়া;
হৃদ তার ভরা পাপে
জীবন রয় যে শাপে।

কে বা ভাবে সোজা ?
মাথায় পাপের বোঝা;
মানুষ আর কই সেরা
হিংসা ক্রোধে ঘেরা।

ভক্তি শ্রদ্ধা মনে
নেই আর গুরু-জনে;
কবে হবো মানুষ ?
কদিন পর সব তুষ।

জীবন পথে

57894_n

জীবন পথে বাধা আসবে
সব সময় তাই হয়,
সাহস করে এগিয়ে যাও
তবেই হবে জয়।

পথের কাঁটায় ভয় পাবে না
সামনে ধেয়ে যাও,
রক্ত ঝরুক মনকে আরো
শক্ত করে নাও।

ঐ যে দেখো শশী হাসে
যখন তবে রাত,
সৎ পথে যে প্রভু সহায়
দূর করে দেন ঘাত।

যুদ্ধ করেই গড়তে হবে
তোমার জীবনখান,
জয়ী হলে লোকে বলে
তুমি ভাগ্যবান।

রবি আসে রাতটা পালায়
ধরা হাসে খুব.
যখন পাবে জয়ের মুকুট
দুঃখ দেবে ডুব।

.
মাত্রাবিন্যাসঃ স্বরবৃত্তঃ ৪+৪ / ৪+১

মাদক ছোবল

86_n

মাদক করে জীবন নষ্ট
সংসার ভরে দুখে,
জীবন শুধু ধ্বংস করে
কাটে না দিন সুখে।

সুখ পাখিটা ধরতে হলে
মাদক ছাড়ো তবে,
ভবিষ্যতটা গড়তে এখন
মন লাগাতে হবে।

জীবনটা নয় স্বল্প ক্ষণের
হয়ত সময় বাকি,
বাঁচার মত বাঁচো নয় গো
নেশার ঘোরে ফাঁকি।

মাদক সদাই মৃত্যু ঘটায়
কেন যাও তার পাছে ?
কোথায় যাবে ওই উপরে
যাচ্ছ যমের কাছে ?

মাদক ছোবল ধ্বংস আনে
ঘটায় সর্বনাশ,
যেদিন তবে বুঝবে আহা
ফেলবে দীর্ঘশ্বাস।
.
স্বরবৃত্ত ৪+৪/৪+২

গরমের দিনে

1981_n

যখন আসে গ্রীষ্মকাল ওই
সবার কষ্ট হয়,
চলাফেরায় রয় যে তখন
রোগ-বালাইয়ের ভয়।

ভর দুপুরে রোদের দাপট
যেনো আগুন হায়,
ঘাম ঝরিয়ে পিপাসায় যে
প্রাণখানি যায় যায়।

স্বস্তির আশে পথিক খোঁজে
বৃক্ষের ছায়া-তল,
পুড়ে শরীর তাই যে ভাবে
কোথায় পাবে জল ?

গরম হাওয়া চারিদিক বয়
কোথাও ঠাণ্ডা নাই,
বনের শতো পশুপাখিও
ছটফট করে তাই।

নদীর তীরে তখন একটু
বাতাস লাগে বেশ,
মানুষ কতো ছোটে সেথা
দূর হয় একটু ক্লেশ।

.
স্বরবৃত্তঃ ৪+৪ / ৪+১

অক্ষরবৃত্ত ছন্দের নিখুঁতভাবে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ- কবি আলমগীর

আমরা সবাই জানি অক্ষরবৃত্ত ছন্দতে শব্দের প্রথমে ও মাঝখানে বদ্ধস্বর থাকলে একমাত্রা ধরতে হয়। হ্যাঁ এটাও সঠিক শিখেছি আমরা এবং সঠিক জেনেছি। তাহলে এখন আপনাদের প্রশ্ন;

কোরআন \ ইসলাম \ মসজিদ \ মুসলিম \ বাইবেল।
শব্দগুলো চারমাত্রা হয় কীভাবে? যদি শব্দের প্রথমে বদ্ধস্বর একমাত্রা ধরতে হয়।

এখানে শব্দগুলো চারমাত্রা এটাও সঠিক। শব্দের প্রথমে ও মাঝখানে বদ্ধস্বর একমাত্রা ধরতে হয় এটাও ঠিক। আমরা শিখেছি শব্দের প্রথমে ও মাঝখানে বদ্ধস্বর একমাত্রা ধরতে হয়, হ্যাঁ এটা আমরা সঠিক শিখেছি কিন্তু এটা আজও শিখেনি যে, কখন কোন সময় কোন শব্দগুলো শব্দের প্রথমে ও মাঝখানে একমাত্রা ধরতে হয়?

( ঃ ) – ( ৎ ) – ( ং ) এগুলো কখনো কোথায় মাত্রা ধরা যায় না এবং কোথায় ধরতে হবে? কবিতা লিখার পূর্বে এই বিষয়ে সবার জানা থাকা অত্যন্ত জরুরী।

আজকের বিষয় খুবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ কষ্ট হলেও একটু বুঝার চেষ্টা করবেন সবাই। আমরা যেটা শিখেছি তা হলো বদ্ধস্বর শব্দের প্রথমে ও শব্দের মাঝখানে থাকলে একমাত্রা ধরতে হবে।
মনটা – অক্ষরবৃত্ত ছন্দোতে তিনমাত্রা।
অথচ – মনটা শব্দটিতে শব্দের প্রথমেই বদ্ধস্বর।
তাহলে রহস্যটা কি এই হলো আজকের ক্লাস
মনটা – শব্দটিতে রয়েছে তিনটি বর্ণ – দুইটি অক্ষর যেমন –
মনটা \ উচ্চারণ ( মন+টা )
মন – একটি অক্ষর \ এবং এই অক্ষরের নাম বদ্ধস্বর।
টা – একটি অক্ষর \ এবং এই অক্ষরের নাম মুক্তস্বর মন+টা
মন – বদ্ধস্বর হলো কেনো?
টা – মুক্তস্বর হলো কেনো?
যে শব্দটি দুইটি বর্ণ দ্বারা গঠিত হবে সে শব্দটির নাম বদ্ধস্বর হবে।
যে শব্দটি একটি বর্ণ দ্বারা গঠিত হবে সে শব্দটি মুক্তস্বর হবে।
মন+টা
মন – বদ্ধস্বর হলো কেনো?
টা – মুক্তস্বর হলো কেনো?

কারণ –
মন – অক্ষরে দুইটি বর্ণ তাই বদ্ধস্বর
টা – অক্ষরে একটি বর্ণ তাই মুক্তস্বর।
এবার আপনাদের প্রশ্ন আসতে পারে।

তাহলে তো ( মনটা ) শব্দটি দুই মাত্রা হবার কথা
শক্তি – শব্দটিতে রয়েছে তিনটি বর্ণ \ দুইটি অক্ষর –
উচ্চারণ – শক+তি
শক্তি – শব্দটিতে শব্দের প্রথমে বদ্ধস্বর রয়েছে
যেমন – ( শক + তি )
শক – শব্দের প্রথমে বদ্ধস্বর একমাত্রা ধরতে হবে এবং বাধ্যতামূলক।
এবার আপনাদের প্রশ্ন আসতে পারে।
তাহলে ( মনটা ) শব্দের প্রথমেও তো বদ্ধস্বর রয়েছে এখানে বদ্ধস্বর শব্দের প্রথমে দুইমাত্রা হচ্ছে কেনো?
শক্তি দুই মাত্রা।
শক – শব্দের প্রথমে বদ্ধস্বর একমাত্রা
তি – মুক্তস্বর সবসময়ই একমাত্রা।
মনটা – শক্তি
এখানে রয়েছে দুইটি শব্দ।
এবং দুইটি শব্দই সমান বর্ণ দ্বারা গঠিত।
মন+টা \ শক+তি
এখানে দেখতেই পারছেন দুইটি শব্দের প্রথমে বদ্ধস্বর রয়েছে।
একটি শব্দের প্রথম বদ্ধস্বর দুইমাত্রা
আরেকটি শব্দের প্রথম বদ্ধস্বর একমাত্রা।

কিন্তু কেনো?
শব্দের প্রথম বদ্ধস্বর টা যদি যুক্তবর্ণ দ্বারা গঠিত হয়। সেক্ষেত্রে শব্দের প্রথম বদ্ধস্বর একমাত্রা ধরা আবশ্যক। শব্দের প্রথম বদ্ধস্বর যদি যুক্ত বর্ণহীন হয়। সেক্ষেত্রে শব্দের প্রথম বদ্ধস্বর দুইমাত্রা ধরা আবশ্যক।
যেমন –
মনটা – শব্দের প্রথমে বদ্ধস্বর রয়েছে ঠিক, কিন্তু যুক্তবর্ণ নাই সেজন্য শব্দের প্রথমের বদ্ধস্বর হয়েও দুইমাত্রা ধরতে হচ্ছে।
শক্তি – শক+তি
শব্দের প্রথমে বদ্ধস্বর রয়েছে কিন্তু এই বদ্ধস্বর যুক্তবর্ণ হওয়ায় শব্দের প্রথমে বদ্ধস্বর একমাত্রা হচ্ছে।

এবার বাকি থাকলো শব্দের মাঝখানে কীভাবে
অশক্তি – উচ্চারণ \ অ+শক+তি
অশক্তি – উচ্চারণ \ অ+শক+তি
অ শক তি
এখানে শব্দের মাঝখানে একটি বদ্ধস্বর রয়েছে এবং সে বদ্ধস্বর যুক্ত বর্ণ হওয়ার একমাত্রা ধরতে হবে।

ইসলাম শব্দটির উচ্চারণ \ ইস – লাম
শব্দের প্রথমে বদ্ধস্বর কিন্তু যুক্তবর্ণহীন হওয়ায় শব্দের প্রথমের বদ্ধস্বর হয়েও দুইমাত্রা ধরতে হচ্ছে।
-( ং ) ( ৎ ) ( ঃ ) এগুলো শব্দের মাঝখানে থাকলে মাত্রা হিসেবে গণনা হবে না।
যেমন-
অংশ – দুইমাত্রা গণনা হবে
সৎকর্ম – তিনমাত্রা গণনা হবে।
দুঃখ – দুইমাত্রা গণনা হবে।

ওহে দয়াময়

18658_n

তুমি আমি সবে করি বাস এক সাথে
প্রতিদিন দেখা মেলে যবে মিলি প্রাতে;
কত শোষণে শাসনে মোরা সবে বাঁচি
কষ্ট যত বুকে নিয়ে তবু ভালো আছি।

কখনো বা ক্রোধে করি কত মারামারি
তাই যে সমাজে দেখি দুখ আহাজারি;
যাদের অর্থ অনেক বড়ো সুখে রয়
নাহি তাদের অশান্তি সুখ বন্যা বয়।

কখনো জড়াই মোরা নানান বিবাদে
কখনো কাটে সময় সুন্দর নিনাদে;
কারো রয় দম্ভ ভারি বলে না যে কথা
বুঝিতে না চায় কভু অপরের ব্যথা।

এই তো সমাজ চিত্র প্রতিদিন দেখি
কেউ কাঁদে কেউ হাসে কেহ চুপ সেকি,
ভাবি না কেহ হায়রে সে পরের তরে
নিজের সুখেই মত্ত কী বা অন্য ঘরে ?

ওহে মোর দয়াময় আমরা মানুষ
যেনো না হই ধনীর খেলার ফানুস;
দুখে যবে রই সবে থেকো তুমি পাশে
সতত দুখী তারাও যেনো তবে হাসে।

.
অক্ষরবৃত্তঃ ৮+৬

ঈদের কেনাকাটা

186208669_18

ইচ্ছে থাকলেও নেই যে উপায়
করবো কেনা-কাটা,
কোভিড এবার খুবই ভয়াল
ভারি বুকের পাটা।

একটা ঈদ সে নাই বা হলো
শোনো খোকন সোনা,
আসছে বছর দেখে নিয়ো
দেবো গো দুই-গোণা।

খোকন সোনার কী অভিমান
বলে না সে কথা,
না পেয়ে তাই নতুন কিছু
মনে তার খুব ব্যথা।

কোভিড উনিশ কী ভয়ানক
জানো তুমি খোকা ?
বাতাসে যে ঘুরে বেড়ায়
মারে মাথায় টোকা।

সোনা আমার রাগ করো না
করলে পড়া-লেখা,
কোভিড ব্যাটা পালিয়ে যায়
বইয়ের পেলে দেখা।

.
শিশুতোষ ছড়া
স্বরবৃত্তঃ ৪+৪ / ৪+২