বলবো বলবো বলে অনেক কথা
জমে আছে মনে,
কাকে বলি ভাই পাই না উপায়
শুরু করি কেমনে?
এসো শুরু করা যাক, সবাই শুনতে থাক।
এ দেশে কিছু শিক্ষিত ছাগল আছে
জানি আমরা সবাই,
এমন ভাব নিয়ে চলে বড় কথা বলে
ভীষণ জোর গলায়।
নিজেকে ভাবে দক্ষ অন্যরা অজ্ঞ
কেবল সে পণ্ডিত মশাই,
বেটা কথায় কথায় মেজাজ দেখায়
জেনো আস্ত একটা কসাই।
এরা নাকি শিক্ষিত, জ্ঞানী, বুদ্ধিজীবী
বুঝে হাল জামানার সবই,
মোল্লারা নাকি কিছুই বুঝে না জানেনা
কেবল বুঝে তারাই সবই।
মোল্লা দেখে বলে সন্ত্রাস, জঙ্গি, উগ্রবাদী
আরও নানান কথা বলে,
টুপি, দাঁড়ি, জুব্বা দেখে চোখ রাঙিয়ে
কটাক্ষ করে করে চলে।
মোল্লারা নাকি দেশের বোজা দশের বোজা
খেয়ে খেয়ে নাকি উদর ভরে?
আমরা তো দেখি মোল্লারা নয় তোমরাই
দেশটা কে নিয়েছ রসাতলে ।
দেশের কুসংস্কৃত নিয়ে প্রতিবাদ করলে
কেনো করো তোমরা হামলা?
সন্ত্রাস বানিয়ে মোল্লাদের অপদস্থ করে
কেনো দাও মিথ্যা মামলা?
অফিস, আদালত, শিক্ষাঙ্গন, ভার্সিটি
দেখি সন্ত্রাস করে কারা,
আমরা দেখি ঘুষখোর, রক্তখোর তোমরা
করে না তো মোল্লারা।
নয়ছয় বুঝিয়ে এদিকের মাল ওদিক করে
খাও গোপনে গোপনে ঘুষ,
তোমরা তো ডুবে আছো স্বার্থের নেশায়
চুরিদারি তে হয়ে বেহুশ।
শিক্ষিত হয়ে কেমনে অন্নহীনদের রেখে
খাও পোলাও কোর্মা রোস্ট,
এসব নিয়ে মোল্লারা কিছু বলতে গেলে
ওমনি হয়ে যায় দোষ।
এই হাল জামানার কারুণ অবস্থা দেখে
কেবল মোল্লারাই কাঁদে,
তোমরা তো স্বার্থের নেশায় পকেট ভরতে
অন্যকে ফেলো ফাঁদে।
তবুও তোমরা মোল্লাদের বলো অপয়া, অধম
মিথ্যা অপবাদে বলো সন্ত্রাস,
আমরা তো দেখি মোল্লারা নয় তোমরাই
পদে পদে করো জাতীর সর্বনাশ।
মোল্লারা তো জাতীর কল্যাণের কথা বলে
সর্বনাশ কভু নয়,
কেনো তবে তাদের পিছু-পিছু অযথা
করো নয়-ছয় ?
মোল্লাদের দেখে শরীর চুলকাও মাথা চুলকাও
মোল্লাদের দিয়েই তো শুরু,
কেনো তবে তাদের দেখে ফ্যালফ্যালিয়ে হেসে
কটু কথা বলে করো দুরু-দুরু?
মোল্লাদের এবার সন্মান দিতে শিখো
তোমাদেরি তো ভালো তবে,
তাদের কথা শোনো, জানো, এবং মানো
তবেই তোমরা কামিয়াবি হবে।
প্রথমে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি সকলের কাছে। এক শিক্ষকের মুখ থেকে সুনে বাধ্য হয়ে এই লেখাটি লিখলাম, কেউ কিছু মনে করবেন না। কারণ আমি অতি সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করতে পারবো না বলে লিখে মনের খায়েশ মেটালাম।