সুমন আহমেদ এর সকল পোস্ট

তোমাকে মান্যবর

Scr

কদর্য রাজার একদল জিঘাংসার কালিতে লিখে দিচ্ছে দৈনিক প্রতিদিন। নাট্যমঞ্চে সং সেজে একদল কুশীলব লিখে যাচ্ছে যাবতীয় অভিনয়। একদল মুখের নেকাব সরিয়ে আত্বস্থ করছে গালিবিদ্যা। ওখানে এখন খিস্তি-খেউরের বসন্ত উৎসব। নর্দমার নোংরা ঘেটে ঘেটে তুলে আনা দুঃশাসনের কাল!

এখানে চাল ডাল নুন তেল পান্তা আনতেই যাদের অকাতরে ঝরে যায় জীবনের ক্লেদ, অবশিষ্ট কাল; তারা ঠিক কবে প্রাত্যহিক দুর্বিসহ জীবনের ধারাপাত আত্বস্থ করে শেষবার আরেক মানুষকে বলেছিল ‘ভালো থেকো’ আর মনে নেই।

এখানে পশু ও পাশবিক ভঙ্গিকা রপ্তকারীরা অনায়াসে লিখে মানুষের সংবিধান! এখানে তাবৎ দুঃশাসকেরা আকাশের সামিয়ানা জুড়ে টাঙ্গিয়ে দিয়েছে নোটিশসমগ্র; এখানো বিদ্রোহ মানা, মাথা তুলে দাঁড়ানো যাবে না!

শোন হে মান্যবর তুমি ইতিহাস শেখোনি? জানো না মানুষের মাথা খুব বেশিদিন মাটিতে থাকে না?

কথাগুলো তোমাকে দিলাম

কথাগুলো তোমাকে দিলাম

বসন্ত চলে যায় যদি যাক,
কথা দিলাম পাতাঝরা দিনে ঝরে পরা
বৃক্ষের ডালে সবুজ ফলাবো।
তোমার বাকল খুলে খুলে লিখে দেবো
হৃদয়ের শর্করা, আমিষের উপমায়!

যদি হেমন্তে শুকনো পাতাদের শরীর থেকে
ফেরারি হয় কিছু মর্মর কথা দিলাম
চুম্বনের চর্চা বাড়াবো!
মিশে যাবো, যেভাবে জলের অঙ্গে
মিশে যায় বৃষ্টির ভঙ্গিমা।

যদি শীতরাতে তোমার বিছানা জুড়ে
নেমে আসে হিমের ভূগোল
গণিতের বিয়োগ ভুলে কথা দিলাম
শিখে নেবো ওমের যাবতীয় পাঠ
দাহ ও উত্তাপের সরল।

কথা দিলাম ফাল্গুনে না হোক
গ্রীষ্ম এলে, খুব বেশি তৃষ্ণা পেলে
বর্ষা নামাবো, ঢেলে দেবো হৃদয়ের
সবটা তরল।

ফিনিক্স শিশু

এরপর মৃত মায়ের গর্ভাশয় হতে
বেরিয়ে আসলো অসংখ্য ফিনিক্স শিশু
তাদের দুধ মুখগুলোতে ফুটে উঠলো
অনিবার্য প্রতিশোধ চিহ্ন।

ফিনিক্স শিশুরা লাল লাল রক্তে
দৃঢ় প্রতিবাদ এঁকে প্রতিজ্ঞা করলো
মাতৃভূমিকে স্বাধীন না করে ও মুখগুলো

ছোঁবে না আর মাতৃস্তন।

শিশুগুলো ভিজে যাচ্ছে ঘুমিয়ে পড়ছে

দ্যাখো দ্যাখো শিশুর তাজা রক্তে
খসে যাচ্ছে পৃথিবীর মানবিক মানচিত্রগুলো।

ওদিকে অবলীলায় মুছে যাচ্ছে ভূগোল ও নৃতত্ত্ব!

প্যালেস্টাইনের আকাশ আজ উদার ভীষণ
সেখানে নেই ঈশ্বরের কোনো ছাদ
তাইতো বুলেট বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে ঘুমন্ত শিশুগুলো
আর ঘুমের মধ্যেই তারা ঘুমিয়ে পড়ছে পুনরায়!

এদিকে একদল পিতা ঘুমন্ত শিশুদের হাড়গোড়,
অস্থিমজ্জা, রক্তমাংস বুক ভর্তি তুলে নিয়ে
ছুটে পালাচ্ছে দিগ্বিদিক, পাথরের গুহায়।

পাথরগুলো গলে যাচ্ছে, খুলে যাচ্ছে; আর –
শিশুগুলো ভিজে যাচ্ছে, ভিজে ভিজে
ক্রমশ ঘুমিয়ে পড়ছে পুনরায়।

আমাকে হত্যা করো জীবন দাও পাখির শরীর

অলিখিত স্পর্শের ভেতরেই বেঁচে থাকুক প্রিয় পালিত শব্দেরা। কোনো দুঃখ নেই। জানি ভুলে যাওয়া শব্দ এখন মানুষের প্রিয় পাঠ। হৃদয়ের সুঘ্রাণ মেখে যে শব্দগুচ্ছ ছড়িয়ে দিয়েছিলাম চারিদিকে বাতাসও প্রতিপক্ষ ছিল তার। একদা ভুলে যেতে হয় বলে মানুষেরা ভুলে যায় কাদা ছেনে তুলে আনা কেঁচো কাল- শুশুকের ঝাঁপ।

স্মৃতির বয়স বাড়ে, চেয়ে দেখি একটি উদাস ভোর বয়োবৃদ্ধ দুপুরকে হামাগুড়ি দিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে শামুক বিকেলে। আমাকে হত্যা করো জীবন, দাও পাখির শরীর। মানবিক খোলস ফেলে এবার শিখবো উড়াল। না হয় বেঁচে-বর্তে যাবো।

মানুষের শরীর আঁকড়ে বেঁচে থাকা? এর চেয়ে ঢের ভালো মাছের জীবন!

মায়ার পৃথিবী দেবো তোকে মেয়ে

মায়ার পৃথিবী দেবো তোকে মেয়ে। তুই হবি হৃদপিণ্ডে দস্যি বুনোহাঁস! মেয়ে তুই করিস বিচরণ অবাধে সেখানে; তুলিস তুফান! দেহের ভেতর আরেক দেহ পাবি তুই!

ভালবাসার প্রচণ্ড বিলাপে যদি হারাই শ্রবণ, তোর বুক হবে ভাষার কোমল সংকেত! বুঝে নেবো, বুঝে যাবো বুকে রেখে বুক, পরাণ কি চায়; যাচে কিসের ফাগুন! মেয়ে দস্যি যদি হোস তবে হবো বসন্তে আগুন!

হাত রেখেছি ভুলে তখন অমনি গেছ খুলে

তোমার খোঁপার চুলে
হাত দিয়েছি ভুলে
ঠিক তখনি খোঁপা গেছে
মেঘের মতো খুলে!

ডাক দিলে আয় আয়
তোমার কোমল গায়
সুখের অমন ভ্রমণ শেষে
নূপুর দিলাম পায়!

তোমার বুকের ফুলে
হাত রেখেছি ভুলে,
ঠিক তখনি তুমি গেছ
মোমের মতো গলে!

মেয়ে দস্যি হয়ে ভুলে
ঠোঁট নামিয়ে দিলাম ছুঁয়ে
তোমার গভীর তিলে!

সুশীলের ভূগোলে লিখেছি প্রবেশ নিষেধ

সুশীলের ভূগোলে লিখেছি প্রবেশ নিষেধ

আমি খ্যাতিমানদের সভা সযত্নে এড়িয়ে চলি কেননা, তাদের খ্যাতির আলোর বিচ্ছুরণে আমার ক্ষুদ্র অস্তিত্ব বড় বেশি ফ্যাকাশে লাগে। অবশ্য কুকুরেরাও আজকাল পথসভা করে, পথিমধ্যে একদল নেড়িকুকুর চালায় স্বগোত্রীয় আড্ডাবাজি। সেখানে কয়েকজন প্রভু সাজেন আর বাকিরা সব অনুগত প্রজা। আমি রাজা ও প্রজার বানানো ভূগোলে স্বেচ্ছায় লিখে দিয়েছি প্রবেশ নিষেধ।

আমি তোমাকে চিনি না আর তাকেও চিনি না এবং তোমাদের কাউকে চিনতে চাইনি বলে আমার নাম কাটা গেছে সুশীলের সংসদে। একদা সুশীল হওয়ার আগে যে পত্রিকা সম্পাদকেরা স্বইচ্ছায় ছেপে দিতে আমাকে সহজাত; আজ তারাও চোখে সেঁটে রেখেছে কালো চশমা। কালো চশমার এমনি মহিমা; সে চশমায় সকলে ভাসে না।

অথচ এ কথা কখনও কাউকে বলিনি –
এইসব সুশীলেরা একদা লেহনেই অধিক পারঙ্গম ছিল।

জীবন বৃত্তান্ত

জীবন বৃত্তান্ত

কি রকম সুদৃশ্য
ঝুলে থাকে জীবনের দেয়ালে
মানুষের বৃত্তান্ত গুলো-
কত শত জনে, কত কী!

আমি উঠে এসেছি হাওরের জল হতে
গায়ে মেখে মাছেদের আঁশটের ঘ্রাণ,
শালুকের লালা!

কাদার শিলালিপি দেখে
আমাকে ডেকেছে ভদ্রমহোদয়
‘গেয়ো ভুত কোথাকার’!

আমার একটি শূন্যস্থান ছিল
জীবনের অমোঘ নিয়তি ছিল,
অথচ সেখানে শব্দ সেঁটে দিয়ে কিছু
লিখবার মতো কোন বৃত্তান্ত ছিল না।

জলে সন্তরণ

জলে সন্তরণ

ক্লান্তির ঘোর হতে উঠে আসি
তোমার হাওড়ের জলে সচতুর করি স্নান।
চৈত্র খরায় তোমার ওষ্ঠে ওষ্ঠ রেখে
তৃষ্ণা মেটাই।

আমাদের অন্তর জানে উত্তাপের ভাষা
জানে শীত গ্রীষ্ম বিষয়ক অনুক্ত শব্দমালা।
আমরা নেমে পড়ি, নিবিড় আলিঙ্গনে
খসে পড়ে স্বর্গ ও মর্তের আচ্ছাদন।

এরপর পরষ্পর পরস্পরে হত্যা লিখি,
এবং পুনরায় জীবিত করি। অতঃপর
যৌথ নদীর স্রোতে নৌকা ভাসাই।

আমার বৈঠা জানে জলের গভীরতম উচ্ছ্বাস
জানে প্রবল প্লাবনে ঢেউয়ের ব্যাকরণ।
তোমার বুকের ভূমধ্য আল বেয়ে
যে জোয়ার ছুটে গেছে গোপন অভিমুখে
আমার নৌকা জানে –
সে জোয়ার ও জলে সন্তরণ।

আমি জলের মাঝি,
জেনো হাঙ্গরেও নেই কোন ভয়।

দহনের শব্দমালা

দহনের শব্দমালা

অবহেলায় জন্ম নেওয়া মথের ভেতরেও দেখি সম্ভাবনা অথচ মানুষে দেখি না। এই যে একদল রাজনীতি নামের বেশ্যা কারবারি চতুর বণিক, যাদের বড় জোড় বৃহৎ কোন শপিং মলের সেলস ম্যান কিংবা টি বয় হলে মানাত তারও আজ রাষ্ট্র যন্ত্রের ঘাড়ে অনাহুত চেপে বসা আমাদের স্বপ্ন নির্মাণের ভণ্ড প্রকৌশলী! বড় জোড় তারা অন্তর্বাস বিক্রেতা কিংবা ঘরে ঘরে গৃহিণীর পুরনো কাপড়ের খোঁজে বেরিয়ে পড়া আড়চোখে তাকান লম্পট ফেরিওয়ালা নতুবা পুরনো পোশাক বিক্রয়ের হাঁটে চতুর দোকানি হতে পারত অথচ দেখ কী ভীষণ দুঃসাহসে তারা লিখে দিচ্ছে আমাদের দিন যাপনের প্রণালি আর বিবিধ বিধান!

অথবা, তারা হতে পারত নোংরা নর্দমায় কিংবা বুর্জোয়া বস্তিতে পান মুখে পিক ঝরা ঠোঁটে ‘মাদার চো* মাদার চো*’ শব্দ-খিস্তির আবিষ্কারক অথচ দেখ নেহায়েত ভদ্র পোষাকে তারা সংসদে সংসদে লিখে দিচ্ছে সংবিধান!

স্বদেশের আকাশে রঙধনু রঙ্গা প্রজাপতিটিও আর নিরাপদ নয়! গাছের পাতায় দোল খাওয়া বাতাসও নয়! আমাদের মাছগুলো ভাষাহীন বলে, শিরা উপশিরায় রক্তে রক্তে বয়ে বেড়ায় বিষাক্ত ফরমালিন। ডোবা থেকে বড় জোড় সমুদ্রে পালাতে পারে; মহা সাগরের পথ আমাদের জানা নেই!

প্রকাশ্যে হয়েছিল লেখা দেশপ্রেম ছিল তার নাম

এ ইতিহাস প্রকাশ্যে হয়েছিল লেখা দেশপ্রেম ছিল তার নাম।

পাখিদের ডানায় রাখা ছিল বিগত দিনের খতিয়ান অথচ আমরা পালকের বুনন শিল্পে মোহাবিষ্ট হয়ে শিখতে চেয়েছিলাম কারুশিল্প। অনাবিষ্কৃত থেকে গেছে তাই দানব বধের গল্প গাঁথা বরং অধিকতর আজ তা হয়ে গেছে পৌরাণিক তত্ত্ব পুরাণ! আমাদের কেউ বিংশ শতাব্দীতে এসে সে তত্ত্ব পুরাণ ঘেঁটে একদিন আবিষ্কার করেছিলাম বধ্যভূমির কঙ্কাল, বুলেটের তিলক আঁকা বিচ্ছিন্ন খুলি! বাম পাঁজরে অগণিত স্প্রিণ্টারের ক্ষত।

আমাদের ইতিহাস প্রিয় কেউ কেউ বিজ্ঞানাগারে কঙ্কাল, খুলি, হাড়ের ব্যবচ্ছেদে নিমগ্ন হয়ে খুঁজে দেখতে চেয়েছি কতোটা তীব্র ছিল আঘাতের ক্ষত অথচ আমরা জানি নি, কতোটা ভেতরে জাগলে রক্তে রক্তে দ্রোহ, ত্রিশ লক্ষ দক্ষ কারিগরের নিপুণ বুননে, একটি পতাকা লাল সবুজে শিল্প হয়ে ছিল।

আসলে একা

আসলে একা

রাত বিছানায় তার ঠোঁটে ঠোঁট রেখে
হয়ত ভেবে নেবে এই নির্জনতায় তুমি একা নও,
হয়ত ভেবে নেবে তার কোমলে কোমল পেতে,
আজ রাত্রিতে তুমি একা নও!

যে রকম জোড়া চোখ চেয়ে থাকে অপলক জোড়া চোখে
যে রকম যুগল স্নানে নেমে পড় ফুলেল বিছানা সমুদ্র ভেবে
যে রকম কামনার হাতে উদ্ধত থাকে বিচলিত আঙ্গুলেরা।

হয়ত ভেবে নেবে এই ঘুম ঘোরে খুব তুমি একা নও!

হয়ত ভেবে নেবে এই জনারণ্যে তুমি একা নও
হয়ত ভেবে নেবে এই মিছিলের ভিড়ে তুমি একা নও
হয়ত ভেবে নেবে অফিস ফেরত পথে ট্রাফিক সিগন্যালে
মুহূর্ত আটকা পড়ে তুমি একা নও।

যদি একা নও তাহলে কেন
একটি উদাস পাখি ডেকে গেলে আচানক
এই নির্জন দুপুরে তুমি নিজেকে নিজের ভেতরে
লুকালে সুচতুর!

শব্দ গুলো তোমার জন্য

শব্দ গুলো তোমার জন্য
[তোমার জন্য- যে তুমি এনে দিলে এমন গর্বিত উপলক্ষ,
আমার এ শব্দমালা শুধু সে তোমার জন্য]

কিছু শব্দ ভোরের কাছে লিখছি সুখের তর্জমাতে
কিছু শব্দ তোমার নামে অনুভবের প্রহর বুনি,
কিছু শব্দ খোদাই করি, তোমার নামে নামাঙ্কিত
কিছু শব্দ বুকের ভেতর তোলে তোমার প্রতিধ্বনি।

কিছু শব্দ মৌন হয়ে আরও মুখর আপন ঢঙ্গে
কিছু শব্দ সলাজ প্রেমে ঠিক মেখেছি তোমার অঙ্গে।
কিছু শব্দ শব্দ নয় ঠিক, বুকের ভাষার অনুবাদে
কিছু শব্দ ভাসিয়ে দিলাম অমন সুখে নির্বিবাদে।

কিছু শব্দ দাগ কেটে যায় বুক পাঁজরে স্বাক্ষী রেখে
কিছু শব্দ উল্লোসিত তোমার সুখের মুখটি দেখে।
কিছু শব্দ আপ্লুত আজ অনিবার্য কারণ দোষে
কিছু শব্দ চতুর্দিকে, ছড়িয়ে দিলাম ভালোবেসে।

উভয়ে অবিচ্ছেদ্য জেনেছি

উভয়ে অবিচ্ছেদ্য জেনেছি

সময়ের বিবর্তনে কতো কিছু বদলে যায়; তুমি আমি বদলাবো এমনটা ভাবি না কখনো। আমরা বরং অধিকতর সুন্দরের কাছে সমর্পিত হবো। যৌথ হৃদয়ের আবাদে পৃথিবীর জন্য রেখে যাবো উৎকৃষ্ট শস্যদানা; শ্রেষ্ঠতর সম্পদ! আমরা বরং মাটি হতে তুলে নেবো কাদাময় ঘ্রাণ! বুকের নরমে জন্ম নেবে যুগের শ্রেষ্ঠ উচ্চারণ! আমরা ভালবাসা হবো; তারও আগে প্রেম হবো। তৃষ্ণার্ত যুগল চোখ হবে নৈঃশব্দ্যে বাঙময়।

একবার তাকিয়ে ও চোখে আমি কি মৃত্যু লিখিনি স্পর্শের বিনীত অক্ষরে? এ রকম অনেক লিখেছি মায়া, শিখেছি বুকের বিন্যাসে কার দাগ রাখা! কত রাত তোমাকে ভেবেছি; কতবার এ চোখ পৌঁছে গেছে তোমার শহরে। ভেতরে ডাকলে দৃশ্যান্তর তুমি বরং আরও বেশি সপ্রতিভ হয়ে ওঠো। যুগল বন্ধনী খসে পড়া রাতে আমরাও হয়েছিলাম প্রিয়তর হন্তারক অথচ আমাদের বিচার হবে এমন কোনো বিচারালয় ছিল না পৃথিবীতে!

একবার তাকিয়ে ছিলাম পরস্পর পৃথিবী দেখেছিল একটি জন্ম দৃশ্য। একবার প্রতিস্থাপিত হয়েছিল যুগল ঠোঁট পৃথিবী দেখেছিল শ্রেষ্ঠতম চুম্বন। একবার আমরা মিশে ছিলাম পরস্পর পৃথিবী দেখেছিল শ্রেষ্ঠতম আলিঙ্গন!

এরপর আমরা অনিবার্য স্থিতির সম্পাদ্যে উভয়ে অবিচ্ছেদ্য জেনেছি।