আলমগীর সরকার লিটন এর সকল পোস্ট

আলমগীর সরকার লিটন সম্পর্কে

আলমগীর সরকার লিটন। লেখকের প্রথম কবিতা প্রকাশ হয় ‘দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘ভিজে যাই এই বর্ষায়’ এরপর লেখকের অন্যান্য কবিতা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে যেমন- ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা "মেঘফুল", ত্রৈমাসিক পত্রিকা ’পতাকা’, মাসিক ম্যাগাজিন, সংকলন ‘জলছাপ মেঘ’। এছাড়া অনলাইন পত্রিকায় লিখে থাকেন। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ’’মেঠোপথের ধূলিকণা’’ প্রকাশিত।

কি এসে যায়

bbgt

তিলে তাল পেকেছে
অন্য ইশারায়!
মাগুরে শিং ফুটেছে
বিষফোঁড়ার কি এসে যায়?
কি এসে যায়- তিলে তাল পেকেছে
অন্য ইশারায়।

তেঁতুলের গন্ধ ভারি জল;
খরস্রোতে নদীর বালুচর-
এক নজরে বৃন্দাবন,
কে বলে প্রেমের সখায় চল!
তেঁতুলে গন্ধ ভারি জল।

ধানে উইপোকা, ঘরের চালে
বৃষ্টির ফোটা, গড়ে গড়ে বান-
নিজের ভুলে হয় না শ্মশান
ফাল্গুন এলো গেলে-
এই আগুনে জ্বলে পুড়ে ছাই।

২৪ বৈশাখ ১৪২৯, ০৭ মে ২৩

শূন্য হাত

shunn

ফিরলাম শুধু শূন্য হাত
পাশের লোকটি চেয়ে চেয়ে দেখলো!
মেঘটা কখন মাথায় ঘসে গেলো
বুঝলাম না; জল বৃষ্টি দেখে ভাবছো কি?
ভেবো না- দু’পা এখনো জলের উপর দাঁড়িয়ে
আকাশ ভাবি না, মাটিকে স্পর্শও করি না-
কারণ দেহটাই তো আগুন- মাটি;
দেখো দেখো ঐ যে ঘুড়ি উড়ছে-
এই বুঝি ফিরার পালা, সন্ধ্যাটা ভারি দুষ্ট
শিশির ভোর হেঁটে যাচ্ছে-
শূন্য ফাল্গুন কিংবা শূন্য হাত।

১৭ বৈশাখ ১৪২৯, ৩০ এপ্রিল ২৩

বৃষ্টি চাই বৃষ্টি দাও

rain

বৈশাখে জলকাদাতে মাখবো,
তা না হয়ে- ইটভাটার অনল,
শুধু গায়ে পিঠে জ্বলে যাচ্ছে-
সহ্য করা দায়-বলো এখন চৈত্র
না কি বৈশাখ; সব ইতিহাসকে
হার মেনেছে; তবু রোজারগলা
পিপাসার লাগে না শুধু তাপদাহ
এক প্রেম অনল অনুভব হেঁটে যাচ্ছে
আকাশ মাটির উপর নিচু সব সমান
নিজের শুধু নিঃশ্বাস পুড়া হাহাকার
চলে এসো সব স্লোগান ধরি-
প্রভু বৃষ্টি চাই- বৃষ্টি দাও- দাও!

০৩ বৈশাখ ১৪২৯, ১৭ এপ্রিল ২৩

আঙ্গিনা

tyu

আগুনের কাজ জ্বলতে
ভালোবাসা চায় পুড়তে- পুড়তে
এটাই তো দৃষ্টি বহর শুধু
বাতাস বয় নিশ্বাসে নিশ্বাসে;
ফাল্গুনের হাটবাজারে
কত রঙের মেলা, কিনবো বলো
সরিষার চারা- সোয়া চন্দন পিটের ফুরা
ধোয়া ছাই শুধু সোনালি মোড়ে
আগুনে পোড়া- পোড়া-
এ ভালোবাসার ঘর আঙ্গিনা।

২৯ চৈত্র ১৪২৯, ১২ এপ্রিল ২৩

রঙিন টিভি

ttvv

নিশ্চিয় এক চেয়ারে বসে গেছি
দেখছি দুনিয়ার ছবি সব অলি গলি;
কত এলো সাইক্লোন, হ্যারিকেন, টনর্ডো
তবু চেয়ার ভাঙ্গে না- প্রভু গেছেন মিশে
যাত্রাপালা মঞ্চ নাটক ভুলেই গেছি-
এসব চলে কি আর, সবকিছু আজ আধুনিক!
অভিনয়টাও স্মার্ট- চমৎকার রঙিন টিভি-
চেয়ারটা ভেঙ্গে যাবে যাক- আমি থাকি চাঁদ
আমার সুখে চেয়ার হাসে, বাঁচলে বাপের নাম;
আমজনতা লিচুচোর সমুদ্র হলেও কিছু আসে না।

২৩ চৈত্র ১৪২৯, ০৬ এপ্রিল ২৩

শুধু শুধু

শুধু শুধু

এ কথা সত্য তোমাকে দেখতে পাই না
খুব কাছে দৃষ্টির বহরে ঠিকই দেখতে পাই
বুঝতে পাই- এ যেনো হেঁটে যাচ্ছো!

ওখানে দাঁড়িয়ে আছো আর পছন্দ অপছন্দ
বিরক্ত হওয়া সময়, জানি খুব কাছের কেউ না
মন ভাবনার উচ্ছলে উঠার নদী ছিলে নদী
সব সময় ভাল থাকার দোয়া করার শুভাকাঙ্ক্ষি
তারপরও যদি বিরক্ত অপছন্দ মনে করো;

তাহলে আমি মানুষ না, অন্যকিছু- সত্যিই
সংসার জীবন কঠিন, ভয় লজ্জার নিয়ম শুধু শুধু।

১৯ চৈত্র ১৪২৯, ০৩ এপ্রিল ২৩

সুখ আঁধার

ttyui

সুখ পাখি রে চেনা দায়
ঘর কোণায় থাকিস রে তুই!
ডাকলে কাছে না পাই-
সুখ পাখি রে চেনা দায়!
দুঃখের দুঃখী আমি ‍শুধু
বলে গেলো না কেউ-
আমার ঘরে আয়।

উড়াল দিল ইচ্ছা ডানায়
অশ্রু জলে কেমন করে সহ্য
আমি অধম অসহায়-
তোক ছাড়া নাই উপায়
কোন চোখে দেখবো আবার
আপনে আপন জগত সংসার
এই হলো সুখ পাখির সুখ আঁধার।

দুঃখের দুঃখী আমি ‍শুধু
বলে গেলো না কেউ-
আমার ঘরে আয়।

১৪ চৈত্র ১৪২৯, ২৮ মার্চ ২৩

নুনের চোখ

326769_183

এক বাটি নুনের চোখে নাকি
এক গলা মুক্তার স্বপ্ন- তাহলে ঝিনুকের
কষ্ট কোথায়, বুঝে না- বুঝে না- না শুধু
মাছ রান্না করা গোলমরিচের আচড়;
এ সব রঙিন বাতাসে ভাসে না
বাঁশপাতার বাঁশিতেও গান ধরে না-
কি সুখ আছে নুনের চোখ; এক বার
এক বার মধুরচাক এক নজরে দেখে না;
সেই ঝিনুক পরে থাকে বালুচরে- সোনালি
আইল পাথারে- তবু সুখে থাক নুনের চোখ।

০৫ চৈত্র ১৪২৯, ১৯ মার্চ ২৩

গন্ধ

tty

বাতাসের গায়ে যখন
সোনালি দিনের গন্ধ পাই!
তখন কারেন্ট শট খায়;
মৃদু কথা হয়, ঘোর পূর্ণিমায়,
চাঁদ আপনায় চলে আসে- আসে-
যত আনন্দ, চোখের পাতায়
পাতায় খেলা করে করে- একাকার
কোন ক্লান্তবোধ নাই গন্ধ ফুরায় না
শুধু দুর্বলা ঘাসের মাঠে ঘাসফড়িং,
জোনাকিরা মাতোয়ারা নাচে নাচে।
বাতাসের গায়ে যখন সোনালি
দিনের গন্ধ পাই- গন্ধ, গন্ধ।

২৭ ফাল্গুন ১৪২৯, ১২ মার্চ ২৩

অট্রালিকা

অট্রালিকা

অট্রালিকার সামনে
দাঁড়িয়ে পাগল, দেখো তো
কোন পাগল; গন্ধ
সামাল যেনো ঝড় তুফান
ভয়, ক্ষয়, জয় সব
থাক- জীবন মৃত্যুর খেলা;
ভাবতে কি পারো?
অট্রালিকার কোণায় কবর
পাগলামি নয় কো
পাগল, অহমিকার পাগলী।

২৪ ফাল্গুন ১৪২৯, ০৯ মার্চ ২৩

ভোর গঞ্জনা

ভোর গঞ্জনা

রাত এলে দেহের কুঞ্জ বনে
শৈশবের ধান চাষের ঘন্টা বেজে উঠে;
ঘুম এলে স্বপ্ন ডাঙ্গার প্রেম
প্রেম ভাব-যেনো দীর্ঘশ্বাস নাকের ডগায়
ভেসে যায় মেঘ- পানকৌড়ি
সাঁতার কাটার জল কিংবা বুনোহাঁস!
এভাবেই যাচ্ছে সরগম সব
চাপটা আঘাত, রক্তপাত, ভোর গঞ্জনা-
স্বার্থপর দিনের আলো বুঝে না
গড়ে আসে সন্ধ্যা অথচ শৈশব ফিরে না।

২২ ফাল্গুন ১৪২৯, ০৫ মার্চ ২৩

উম্মুখ প্রেম

উম্মুখ প্রেম

লাল সাদা প্রেম
উম্মুখ বাউল মনের কি ভাবনাময়
দিন রাতের স্বপ্ন-
কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, বুঝা কঠিন
তবু লাল সাদা
প্রেম- গড়ে গড়ে যাচ্ছে মৃত্যু সুখের
মাটি ছোঁয়া ঘাসে-
ঘাসে অথচ বুঝার শক্তি হয়ে উঠে না,
লাল সাদা গায়;
শুধু নেশায় নেশায় চলচ্ছে উম্মুখ প্রেম!
প্রকৃতি হেরে যাচ্ছে-
নিয়মের কাছে লাল সাদা মেঘে মেঘে;

১৩ ফাল্গুন ১৪২৯, ২৬ ফেব্রুয়ারি’২৩

রঙ বিলাস

rongbilash

রস গাছের সন্ধি হেঁটে যায়
কোন প্রেমের কথা শুনলে-
কি অভিমানী পাতা গুলো
ঝরে পরতে থাকে; বলে
উঠে- এ বসন্তের খেলা-
নতুন ভাবনার রঙ বিলাস!
পা লম্বা হয় ঠিকই কিন্তু
বিভিন্ন ভালোবাসায় কাতর
হয়ে পরে প্রেম শুকনো বাসর;
অভিমানী জল তৃষ্ণায় মরে-
মধ্যরাতে কিংবা ভোর ক্লান্তে-
তবু প্রেম চুপি চুপি বাতাসে বয়;

০৬ ফাল্গুন ১৪২৯, ১৯ ফেব্রুয়ারি’২৩

কিলবিলিয়ে চলা চল

spea

ভালোবাসা মানে
যষ্টিমধুর মতো মন!
আষাঢ় শাওন বুঝে না
এমন কি চৈত্রপুড়া রোদ?
রসগোল্লার মতো, দেখা
যায় না সত্য- ভালোবাসা;
তবু অন্ত ক্ষরণ উপলদ্ধিকর
মুখ বুঝা যায়- তা না হলে
ভালোবাসার মৃত্যু প্রায়- ভব
ক্ষণে এমন ভালোবাসা নাই-
মহৎ প্রাণে প্রণয়ের পোকা হয়
দৃষ্টিবিরল কিলবিলিয়ে চলা চল।

০২ ফাল্গুন ১৪২৯, ১৫ ফেব্রুয়ারি’২৩

বৃষ্টি সকাল দুপুর আর কি

rain

বৃষ্টি ঝরা বিকাল কিংবা দুপুর
কেনো জানি গা ঝিমঝিম করে উঠে
স্মৃতিরা ভিজে যায় নয়নের কোণে
আম কুড়াতাম- ফুটবল খেলতাম-
আর কত কি? এই হলো বৃষ্টি প্রহর
বুকের অলি গলিতে করে অমলিন!
সাদা মেঘ গড়ে যায় ক্লান্তির ঘুমে
আষাঢ়ের বোবা কান্না থামে না
হার মানায় দুচোখে বৃষ্টি আর বৃষ্টি
শ্রাবণের বৃষ্টি সকাল দুপুর আর কি।

২৩ মাঘ ১৪২৯, ০৬ ফেব্রুয়ারি’২৩