মনের কথা, মনে না হলে
কিসের সব কথনিকা-
মানলে বুঝি তাল গাছ
-না মানলে ঢেঁকি পার
এক কথায়- লোজ;
সত্য কথার গন্ধ অনেক
সুবাস বয় না যতসব
নর্দমার চিন্তা ফল; বুঝলে
জ্ঞান- না বুঝলে চেংক
নদী চায় নদীর মতো ভোজ।
১৬ মাঘ ১৪২৯, ৩০ জানুয়ারি’২৩
মনের কথা, মনে না হলে
কিসের সব কথনিকা-
মানলে বুঝি তাল গাছ
-না মানলে ঢেঁকি পার
এক কথায়- লোজ;
সত্য কথার গন্ধ অনেক
সুবাস বয় না যতসব
নর্দমার চিন্তা ফল; বুঝলে
জ্ঞান- না বুঝলে চেংক
নদী চায় নদীর মতো ভোজ।
১৬ মাঘ ১৪২৯, ৩০ জানুয়ারি’২৩
বামনের সাদা ঘরে- চাঁদ কেনো
যে খেলতে না রাজি-তবু ঝিলমিল
জোছনাময় যত কষ্ট, ব্যর্থতায়
মেঠোপথে হেঁটে যায়- মন মরা
ধানসালিক; কোন এক সময় চৈত্রের
ধূলি উড়ে যায়-কালো ধোঁয়া উড়ানো
চাঁদের সাথে ছায়া চলে একাকী!
যত সব সোনালি রুপলী কথোন
ভাবতে অবাক লাগে, রঙিন রাতে
এখনো হাত ছুঁয়া চাঁদের গন্ধ বহুদুর।
১২ মাঘ ১৪২৯, ২৬ জানুয়ারি’২৩
রঙধনুহীন কিছু মানুষ আছে
অভাবের কথা শুনলে মরে যায়;
প্রাচুর্য দেখলে অজ্ঞান হয়!
বাস্তবতার মুখে গুলিফোটাই-
তবু আমরা শ্রেষ্ঠ মানুষ!
অভাব প্রাচুর্য সুখের নায়ে ভাসাই
কৃত্রিম নদীর জলে জলে-
তারপর শূন্য মাটিতে মিশি
বলো দেহের কোন পকেটের ফ্রেমে
নিয়ে গেলে অভাব প্রাচুর্য।
০৭ মাঘ ১৪২৯, ২১ জানুয়ারি’২৩
কবিতার পিছে ছুটে- ছুটে
বৃদ্ধ হয়ে পরছি- ঠিক কাদামাটি মতো;
নোনা জল চারপাশে বালুচর!
তবু কবিতা কেমন আছে, জানি না;
সোনালি মাঠ প্রান্ত শুধু দৃশ্যময়-
আর কত কবিতা? জানি জানতে পারবো না
সর্বশেষ বৃদ্ধ বয়স বলে কথা, চিনবে না
এ কবিতার পরিচয়ও জানবেই না;
সমাধির উঠন শুন শান হাওয়ার মেঘ-
গন্ধ মলিন- তবু জানি, করবে না- কবিতা।
০৩ মাঘ ১৪২৯, ১৭ জানুয়ারি’২৩
একটা আকাশ শূন্যতে ভাসতে চায়!
গল্পের রূপ লাবণ্য কি জানতে চায় না,
মাটির মায়া কি বুঝতে চায় না- আকাশ
চায় যত তারার সাথে মিতালী সাদা মেঘে
ময়ূরপঙ্খি হতে, জানি কত গল্প গাঁথা শুধু
কষ্টের প্রজাপতি উড়া- তবু মাটির কবিতা
বৃষ্টি বাদল শ্রাবণ দিনে কাদা জল একাকার
কি অদ্ভুত গল্পটা সীমানাহীন রোদ্দুর;
যতো সব সোনালি আইল পাথার যেখানে নাকি
গল্পের ইতি টানা সবুজ রঙে সাজানো মাটি
আর আকাশের গলা পর্যন্ত আনন্দ উল্লাস
হাসতে হাসতে ময়ূরপঙ্খি সাজে ভাসমান।
২৬ পৌষ ১৪২৯, ১০ জানুয়ারি’২৩
এক রাত-ভাবতে ভাবতে ভোর
দিনের খরা উত্তাপ বর্ণ গুলো
কষ্টদায়ক; রাত কিছু বুঝে না
নীরবতা তারার আকাশ শুধু
বৃষ্টি বাদল, দুপুর রঙধনু মেঘ
তারপরও সুখ মনে করে না রাত
ভোরের শিশির সিক্ত স্পর্শ রঙ
ছড়ে যায় সমস্ত মাটির কিনারায়;
গন্ধ মাতাল চলছে তুফান গতি
দৃষ্টির জানালায় পর্দা নাই, সমাপ্তি।
১৯ পৌষ ১৪২৯, ০৩ জানুয়ারি’২৩
চোখে মুখে যে আগুন
বর্ণ চূড়া মন অসভ্য;
তবু বাপু, সাধু তুলসী
পাতার গদ্য! পদ্যের
গায়ে শুধু ফুল চন্দ্রন-
হাত লাগে না- পুড়ে
পুড়ে দৃষ্টিভারি চঞ্চল
হায় খোদা সবাই দেখি
গলা পর্যন্ত গণ্ডগোল-
মাটির ভাজে অনশন।
১৪ পৌষ ১৪২৯, ২৯ ডিসেম্বর’২২
৭১ মানেই রক্ত ঝরা রাত
দীর্ঘ নয় মাস বীর বাঙালির যুদ্ধ;
৭১ মানেই ৭ মার্চের ভাষণ
২৫ মার্চের সার্চলাইটে ছাত্র, শিক্ষক
বুদ্ধিজীবী হত্যার কালো রাত,
আর ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ডাক;
৭১ মারেই ৩০ লক্ষ শহীদ- ২ লক্ষ
মা বোনের সম্ভ্রম হারানোর আর্তনাদ;
৭১ মানেই রক্তে অর্জিত ১৬ ডিসেম্বর
লাল সবুজের বিজয় পতাকা।
আর কতবার অবাধ্য হলে
অসুখের মুখে সুস্থ হবে;
প্রতিটা ঘন্টা, প্রতিটা দিন
এভাবেই চলছে অবাধ্যতা!
আকাশের বৃষ্টি দেখে বুঝাই
মাটির কাদা দেখো চৈত্রের
খরা হয়ে ফেঁটে ফেঁটে যাচ্ছে-
পাতা দেখো নিয়মে ঝরছে;
তবু তারা অবাধ্য নয় শুধু শুধু
তোমার জ্ঞানটাই যত অবাধ্য।
২৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ১১ ডিসেম্বর’২২
সময়টা এখন মাঠ ভরা ফুটবল-
প্রিয় দলের জার্সি গায়ে হায় উল্লাস
টিভির পর্দায়, এলার্জির আর্তনাদ
রাস্তার মোড়ে মোড়ে আর বাতাসের
গায়ে পতপত করে উড়ছে পতাকা
আপন চিত্রা কোথায় রাখি বলো ভেবে
পাচ্ছি না, তবু ওরা প্রিয় দল নিয়ে ব্যস্ত
রাস্তা পারাপারে সাদা চিহ্ন থাকা সত্ত্বেও
গাড়ি স্লো করে না-কখন হবে দুর্ঘটনা
প্রাণ বুঝি যায়, ফুটবলে হায় উল্লাস পায়
এই হলো নাকের ডগায় বাস্তবতা, আর
জেগে থাকা হিমশীতল উষ্ণতার জার্সি।
১৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ০৪ ডিসেম্বর’২২
বাতাসের গায়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ দেখিনি
গোলাপের গন্ধে গল্প ইতিহাস শুনছি;
চোখে প্রভাতফেরি বিজয় উল্লাস দেখি
জলভারি বুকটা গর্বে ঝর্ণা ধারা বয়-
সুখ দেখি শুধু লাল সবুজের পতাকায়
সুফলা শস্য শ্যামলা চির সবুজের সমাহার
গলা ভরে গায়তে ইচ্ছা হয় “আমার সোনার
বাংলা- আমি তোমায় ভালবাসি- মা গো
খুব বেশি ভালবাসি” “প্রথম বাংলাদেশ আমার
শেষ বাংলাদেশ; জীবন বাংলাদেশ আমার-
মরণ বাংলাদেশ- বাংলাদেশ- বাংলাদেশ”
“আমি বাংলা মায়ের ছেলে- জীবন আমার ধন্য
যে হায়-জন্ম বাংলা মায়ের কোল” “জীবন
বাংলাদেশ আমার- মরণ বাংলাদেশ-বাংলাদেশ”।
১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ০১ ডিসেম্বর’২২
ভালোবাসা তো কাঠ নাই
তাই চোখের বরাবর দরজা নাই;
অদৃশ্য চৌকাঠ শূন্যতেই
ঘুরা- রঙ বাহার ছবি শুধু আকাশ
কিংবা মাটির গায়ে অঙ্কন!
এতটুকু ভালোবাসার মাটি বাতাসের
গন্ধ যে উত্তর দক্ষিণ ভাসে
কেউ, তাকে কতখানি প্রণয় বলে মুখে;
অন্তরে ভালোবাসা লুকে-
অতঃপর প্রণয় জল স্থল কোন বস্তু না।
০৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৪ নভেম্বর ’২২
যা রে অন্তর বসে দিলাম!
কইতর পাখি বাসার মতো
অন্তর খসে জ্বলা দিল,অন্তর্যামী
আমি কি করে যে বাঁচছি-
বাঁচার স্বাদ এখন প্রণয়ের অনল;
ইটভাটা বুকের গভীরে সচল।
বিকাল ছিল, রঙে রঙে রঙধনু আকাশ
সবুজ ঘিরা মাঠ আর মাঠ- ধূলি
বালি খেলার প্রাণ চঞ্চল উঠান;
সবই আজ সাদা মেঘে শঙ্খচিলের
উড়া বাতাস- তবু মাটির মৃন্ময় গন্ধে রাত
কাটে না আর- প্রণয় সাজে আঁধার!
০৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২০ নভেম্বর ’২২
দেহ জুড়ে ব্যর্থতার তারা
মিটমিট করে জ্বলছে- এতকিছু
জানা সত্ত্বেও চাঁদের এখনও
অহংকারময় পূর্ণিমা রাত-
ঝলসে যাই অজস্র বেদনায়;
তবু ঘুট ঘুটে অমাবস্যার মনে প্রত্যাশিত
ফুলের গন্ধ ছুঁয়ে যায় যুগান্তর।
তারপরেও মৃত্তিকার যত হট্টগোল
সোনালি মাঠে ফিরে তাকায় না-
ইঁদুর খেয়েছে পাকা ধানের সফল,
চাঁদের অহংকারে কিছু যায়- আসে না;
অতঃপর বহুদূর হেঁটে যাচ্ছি ব্যর্থতার সুখে।
২৮ কার্তিক ১৪২৯, ১৩ নভেম্বর ’২২
মধ্যরাত শ্যাম শালিকের চোখে
সময় বুঝি গড়ে- গড়ে যাচ্ছে-
ভয়ঙ্কর দেহ বুক ধর- ধর, বুকে;
নিশ্চিত গায়ের জোড়ে ইট ভাটা
জ্বালান যায় অথচ মনের গা দিয়ে
নিভান যায় না,আরও জ্বলতে হয়;
চোখের সাথে মনটা রাখ খোলাখুলি-
দেয়াল বেয়ে উঠে যাবে না তো শ্যাম
শালিকের ফাঁকি-গন্ধ নাকে শুধুই মাটি
আকাশ শূন্যে চলো দেহ হাঁটি- হাঁটি।
২১ কার্তিক ১৪২৯, ০৬ নভেম্বর ’২২