অরুণিমা মণ্ডল এর সকল পোস্ট

কবিতাকে ভালোবাসি

কবিতাকে ভালোবাসি

আমার কাছে হামাগুড়ি দিয়ে আসে
নাক চোখ মুখে একরাশ সিক্ত তৃষ্ণা
আমি স্নেহের সরবত খাইয়ে কোলে ঘুম পাড়াই
বাগানের মাঝখানের পথটা নিরব
তাকিয়ে থাকা পরীক্ষাহল আমার সতীন
ফুল গাছগুলি মনপাখি” ভেবে আদর করছে
তবু
সেই অজানা হঠাৎ প্রেমটা মুখ ফুটে বলবে না—!

লাল গোলাপের“ রক্ত” পড়া বিরহ নিয়ে
সোয়েটার পরে দাঁড়িয়ে থাকা “আমার বিষন্ন কবিতা”

গরমে সে সিজোফ্রেনিয়া” তে আক্রান্ত থাকে
পা হাত আছড়ে অতিরিক্ত যন্ত্রনাটা উগরে ফেলে
প্রতারণার কষ্ট না মেনে নিতে পারলে কেটে ফেলা চামড়া পোড়াতে ইচ্ছে করে—
কবিতা আমার সুস্থতার ট্যাবলেট
টেনসনের ওষুধ
অসুস্থ সমাজের ভাঙাচোরা রাজনীতি না খেতে পাওয়া বিষাক্ত প্ল্যাটফর্ম
গরিবের কান্না
বেকারের হতাশা
সাহিত্যের গ্লানি
রাজনীতির কালিমা
কবিতা আমার “হিট” থেকে সুপার হিট মিউজিক”
আনমনা নাচ!
ভালোবাসার গান
প্রেমের গাঢ় আলিঙ্গন
বারবার “সুখ” সম্ভোগে“ পরকীয়া”
আনন্দ উল্লাশ স্বাধীনতার “সমকামী”—
কবিতা ——-
ভেজানো চুম্বনে দগ্ধ যৌবন
খোলা ছাদের পর পর কাছে আসা
একাকীত্বের সঙ্গম—-

শীতের রোদে ডুবে থাকা ভেজা যৌন-কাক–?

জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি

জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি —কবিতাপাঠ

হেঁটে যাচ্ছে গলার মধ্যে কবিতাগুলি
হাততালি হীন নিরব কবিবৃন্দ
চোখে সায়েন্স আর্টস কমার্সের হিসাবনিকাস
কবি কবি উচ্ছলতা মারা গেছে সাজগোজের রক্ষনশীলতায়
হাসিমুখে র কালো কালো লাইন পড়তে পড়তে ঠোঁট চেপে যাচ্ছে—

“চাপান উতোর”
দমকা হাওয়ার আবেগটা “ভালো লাগার” পারদের উঠানামা কে বুঝতেই দিচ্ছে না—
তরুন কবিদের কি মন” থাকতে নেই?
জীবনানন্দ দাশ, জয় গোস্বামী, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রাও কি তরুন” ছিলেন?
উনারাও প্রথম কবিতা পাঠে” হেসেছিলেন “সবুজহাসি”?
কেঁপে উঠেছিলেন কি প্রথমবারের মতো “রাজনীতি র কালো দাঁত দেখে?”
দর্শক হয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বসেছিলেন কি?
তাকিয়ে থাকতেন কি প্রথম চেয়ারে র দিকে হতাশ হয়ে?
হাওয়াদের” সংগে বারবার মনে মনে কথা বলতেন কি?
সুন্দর” প্রেমটার ব্রেক আপে কেঁদেছিলেন কি?

তরুন কবিদের কি মন থাকতে নেই?
মধ্যবিত্তদের কি “কবি” হতে নেই?

হুমায়ূন আহমেদ

হুমায়ূন আহমেদ

রাশি রাশি বাস্তব তাঁর চারিদিকে মাথা লুকোচ্ছে
মোহময়ী চিন্তাধারা
তাঁর ঘা ঘেঁষছে,মনে মনে জ্বলছে—

প্রেমগুলো উদাসীন
শুনুন
বয়স মেপে প্রেম-ভূতএ ধরে না
সকালের খাবার র মতো তাঁর হাবভাব
ফ্রেস চৈতন্যের নির্লজ্জ বোধোদয়—–

কবিতা উপন্যাস গল্প নাটক—
র মধ্যে “গরিব”পান্তাভাত উঠানামা করে—
মা” কে সিংহাসনের উপরে বসিয়ে
প্রণাম করেন—
চতুর্দিকে
ক্লেশ গ্লানি বেশী বয়সের গোঁফ পাকা চুল
তারুণ্যের দগদগে “ছড়ি” টিকে ভাঙতে পারে নি
“হুমায়ুন আহমেদ” নামক বৈজ্ঞানিক সাহিত্য সংস্করণ
সহজ সরল জমজমাট “ইদের” জীবন্ত “নামাজ”?

Happy birthday.

প্রেম

প্রেম

স্বচ্ছ জলে এলোমেলো চুল
পাশ কেটে যাওয়া
স্বার্থপর লোভী মাছ
স্নিগ্ধ আবেগের উথালপাথাল পাঁক
ছেলেটি
চুনোপুঁটি খুঁজছে
হাঙরের আলজিহ্বা বরাবর

এক বালতি সফল সুস্থতায় নিমজ্জিত
নিউরন, চোখের কালো অংশ
কাঁপা ঠোঁট—
মন্দ বায়ুর চলাফেরা
শান্ত টোপে জলের ঝিকিমিকি

বড় মাছের অট্টহাস্য, মোলায়েম লুকোচুরি খেলা—\

হাতের কামড়ে পায়ের নিছক স্বাধীনতা দান
গেরুয়া আদরের প্রলেপে স্পর্শহীন “আলগা”শিহরন
“ফিলিংস” র কালো নিঝুম অস্থির মেঘ
চারিদিকে ফিসফিস “লাল কটা চোখের” আবদার —-
টানটান উত্তেজনা, ধড়ফড় বুক, চোখ মুখে কামনার গোলাপি আভা, লাজুক ইশারা—-

“বৃষ্টি”নামার ঠিক আগের মুহূর্ত—

“ অস্থিরতার সুতো” ছিঁড়ে আসছে
বিকট আওয়াজ, আগুনের ফুলকি—\
বৃষ্টিতে ভেজা শ্যাওলায় “মাখোমাখো দুটি শরীর”

তৃপ্তির আধঘন্টা জলে ভাসা প্রকৃতির “ডোবা”চোখ
মুচকি হাসি
এক অদ্ভুদ সুখ ফুটে উঠেছে
শরীরের সব অঙ্গে পাখিদের কলরব”—-

সুবাসিত হাওয়ায় হালকা বাদামী “সুখ”গুলির বিচরন—!

_______________
অরুণিমা মন্ডল দাস
১১ নভেম্বর, কাকদ্বীপ।

কথামালা

কথামালা

কৃষ্ণ কে দেখেছেন?
বাংলা সিনেমার গণ্ডী পেরিয়ে হিন্দী সিনেমার “হাফ বয়ফ্রেন্ড”
হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন
রাধাদের প্রেম টি “ক্রাশ” এ পরিনত হয়েছে

ঠোঁটের নেশা জল অবধি গেলেই “ব্রেক আপ”—

ছেলেদের ফুলের গন্ধ “লুকোচুরি” খেলা একবছরের জন্যই যথেষ্ট—

এক পাপোষে বছর বছর পা ফেলতে তাঁদের পায়ের চামড়া কুঁচকে যায়—গালের সঙ্গে মুখ ও-

নতুন কালো পেঁচি শরীর শূণ্যা নারীও একসময় তাঁদের অমৃত … “

প্রতিশোধ

প্রতিশোধ

আদর দিতে দিতে গৃহবধূদের কপালে ও “বিষফোঁড়া” জাগে
অলক্ষ্যে জেগে থাকে “হিংস্রতার” লীলাখেলা,

কয়লা চেয়ে ই “সুখ” পাওয়া যায়
সর্বোপরি “ঝাঁটাদের” তাড়নায়, দগ্ধ কলুষিত “বিষ” হাজার প্রেমেতেও ছাড়ে না;
তাড়িয়ে “প্রতিশোধ” নেয়, মনের শান্তি, আবেগের শরীর, চোখ মোহটাকে ই বছর বছর ভালোবেসে “বাটি হাতে” তাঁর কাছে “সম্মানের খিচুড়ি” আশা করে, অপমান অসম্মানের বিরিয়ানিতে সে “ভদ্র” হাতখানি ধুয়ে “কুল” থাকে …

________________
অরুণিমা মণ্ডল দাস
কাকদ্বীপ
সকাল দশটা, ২ নভেম্বর।

কথামালা

কথামালা

শরতের আকাশ “বুনোহাঁস”-
কখনো চ্যাটে খেলছে— হেলেদুলে চলছে-
ডিম পাড়ছে-
শুয়ে আছে মিটমিট করে কিছুটা দূরে আনমনভাবে তাকিয়ে-
মনখারাপের অাড়ষ্টতা-
প্রকৃতির পুরো থালাটাই বাঁধাধরাহীন ফেসবুক-

“নোটিফিকেশন” মৃদুমন্দ ভাবে দুলছে-
বৃষ্টির নিম্নচাপ-
হঠাৎ কালো মেঘ-
ঝড়—
আবার “সেলফির” বিচরন-
রোদের হুঙ্কার ——
লাইক কমেন্টের স্নান খাওয়া।

কথামালা

কথামালা

শুনছেন!
আপনাকে বলছি—–
কেমন করে “প্রেম” করলেন?
কেমন করে “শিহরিত” শরীর আগুনে পোড়ালেন?
আমি আপনাকে জলের মাছেদের সংগে আলিঙ্গন করতে দেখেছিলাম—
আপনি ছিটকে সবরকমারি “ফিসফ্রাই” র স্বাদ গ্রহন করে বেড়াচ্ছেন–!
আপনি ভদ্র বিনয়ী “সার্টের” মানুষ?
এতো অন্যায় যন্ত্রনা” দিচ্ছেন কেন বলুনতো?

শুনছেন?
পরকীয়া” বলে “অবহেলা করছেন?
আপনার গার্লফ্রেন্ড ঠিক আছে তো?
“কালো মেয়ে”!
তাই একবার দেখে নেবেন—–
কাঠের দুদিক চেঁছে চেঁছে নিমগাছ হয়ে বসে আছো!

“বাথরুমের ভালো লাগা” গুলো তাঁর সংগে শেয়ার করো—–
তাঁকে ও ভালোবেসে একই কথা বল– একই ভাবে আদর করো– রাগ করো— গালি দাও——
সেও কি আমার মতো কান্না করত গোপনে- !!
সেও কি একবার কাছে পাওয়ার জন্য ছটফট করত-
সেও কি ভালোবেসে সারাদিন তোমার অপেক্ষায় বসে থাকত-
সেও কি তোমার ছবি র গন্ধ গায়ে মেখে ঘুমিয়ে পড়ত–
বলুন তো আপনি কেমন প্রেমিক–?
বারবার সার্ট প্যান্টের দাগগুলো প্রেমিকাদের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখো——
যেমনভাবে মোবাইল ফোন সর্বদাই আনরিচেবল?

আপনি ধোঁকা দিতে ভালোবাসেন?
না শরীর নিতে ভালোবাসেন?
নির্ভেজাল প্রেম পেতে?
উঠোনের আঙিনায় সবকিছু পেয়ে ও হারিয়ে ফেললেন?
শুনছেন—
এখন কাঁদছেন?
কাঁদুন হালকা হয়ে মনটিকে শিউলি ফুলেদের সংগে উড়িয়ে নিয়ে যান–
মেয়েদের সংগে নয়/
শরীরের একই ক্ষ তে কতবার মিথ্যে “আলপনা” পরাবেন—?
আমাকে এখন খুব মনে পড়ছে? খুব মিস করছেন? খুব ভালোবাসতে ইচ্ছে করছে?
ছোট্ট অপরাধের বারবার একই শাস্তি দিলে—
নিদারুণ এতো বড় শাস্তি “ আপনার একান্ত কাম্য”?
তাই নয় কি—-?

মনখারাপের কটাচোখ

মনখারাপের কটাচোখ

মনখারাপের বেড়াজাল—-
তাঁর দুদিকে রঙ
মাথার উপরে শান্ত ঢেউ

সে উড়তে জানে ভালোবাসতে জানে মানতে জানে
ঝগড়া করতে জানে নাটক করতে জানে
কালো বেড়াল পছন্দের আংটিটিকে বিভাজিকা
ভেবে বারবার সেতু পার হয়ে আসে
একটু ঝর্ণার জল পান করতে—-

সে ফ্লোরিনে স্নান করে পারদ শুঁকতে থাকে
বরফের মধ্যে প্রেমিকাকে শুইয়ে চাপা প্রেমে মজে আবেগ হানে—
“মন খারাপ” কি তাঁর সঙ্গী হবে?
“সিংহের” কেশরে কালো বেড়ালের নকশা কি মানায়–?

জীবন

আমাদের বাঁচাটাকে আমরা সহজভাবে দেখতে পারি না; ঠিক সহজ সরল ভাবে ভাবতেও পারি না বা ভাবা যায় না, বাঁচতে হয় লড়াই করে। যেকোন পরিস্থিতিতে ই মানুষকে কাজ করতে হয় বা কাজ করা অবস্থায় থাকতে হয়।

এক মানুষ যখন বড় হয় তাঁর জীবন কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ হয়ে যায়। তাঁর খেলাধুলার দিন, শৈশবের দিন প্রেমে পড়ার দিন বা বার্ধক্য যন্ত্রণা রোমন্থন করার সময়, প্রকৃতির হাবভাব কল্পনা করলেই আমাদের জীবনের ঝড় জল শান্ত নিরিবিলি আবহাওয়ার পরিচয় পাবেন। মানুষের জীবনের তিনটি পর্যায় খুব ভালোভাবে মানুষ অনুভব করে।

আমরা সবাই খুব ভালো বা খুব খারাপ হতে পারি না সবার মধ্যেই খারাপ ভালো মেশানো আছে–

জীবনে কেউই ভালো প্রেমিক নই; বেকারদের প্রেম কর্পূরের মতো, হয় অনেকের শরীর দেখে নেশায় আসে- তারপর বিয়ের বেলা বিয়ে করে কালো কোটিপতিকে– দেখুন সূর্য একজায়গায় সবসময় একভাবে কিরণ দেয় না, তেমনি “জীবন” নামক উপত্যকা একই অবস্থায় থাকেন না– কখনো ফুল কখনও ফল কখনো তেতোগাছেদের “সুক্তো” ব্যবহার –সবকিছু “উষ্ণতা” সহ্য করার “থার্মোমিটার” নিজের মধ্যে তৈরী করেই রাখা উচিত।

প্রেম

প্রেমিক বা কবি যে প্রেমের ভালো কবিতা লেখে সে যে সত্যি প্রেমিক “ভালো” সুখী’ হবে ই তাঁর কোন মানে নেই–বা তাঁরা কখনোই “সুখী” হবেন না বা হন না /বা জোর করে বাইরে “ভালো আছি–“দেখাবেন।

মোট কথা– যে পথ আপনি আগে দেখছেন –ফুলেদের ঘ্রাণ নিতে নিতে বোর হয়েছেন—সেখানে ইন্টারেস্ট” থাকবে না–যতই নতুন বা গন্ধ/নেশার কারনে ছুটে যান না কেন—আপনার স্যূটকেসে’ ঠিক “সুট” করবে না–?

ধরুন একজায়গায় ‘ঘা আছে—আপনি জেনেবুঝে বারবার সেই জায়গায় “ঘা লাগতে দিতেই পারেন না—

তাই সুখী” মানুষ অনলি সাধারন” মানুষরাই হয়ে থাকে–! কোন সাকসেসফুল হৃদয়ভাঙা হৃদয়হীন প্রচন্ড সেন্টিম্যানটাল /খুব ইগো প্রেমিক প্রেমিকা গন -যতবড় কবি’ আ্যক্টর /যেকোনো সাকসেসেফুল হোন না কেন —“সুখ” র সংজ্ঞা জীবনে’ ও খুঁজে পাবেন না–! ব্যাপারটা হচ্ছে “অতিরিক্ত সরবতের” অনর্গল “গোলগোল” ঘোরা। যার কারনে “জল” সব বাইরেই পড়তে থাকে! লেখা বা ভাবপ্রকাশেই এরা সমর্থ! বাস্তবে মরুভূমি’ টাকে নিজের ইচ্ছায় “সাগরে” পরিনত করা যায় না!

প্রেম তাই যতগুলুই করুন কেন? বেশী লাফালাফির কারনে আসল চিনি স্বাদ উবে–যায়?—পড়ে থাকে “অর্থ আর শরীর” সেটা ও ঠিকমতো না পেয়ে ফ্রসট্রেসানের শিকার? আমার মতে যারা মধ্যবিত্ত দরিদ্র দিন আনে দিন খায় খুব ভালোবাসা না পেলেও এরা’ প্রাকৃতিক নিয়মে “সুখী” র অভিনয় করতে করতে সুখ আঁচলে বশ করে রাতে ঘুমিয়ে পড়ে। “খিদে” র জ্বালাটুকু ই বোঝায় মোমবাতি’ প্রজ্বলনের আসল রহস্য।

অস্তিত্বের মধ্যে “সুখ”এক একক যা আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে–মাপার বাইরে –অনুভূতিতে ধরে কেবল ই খেয়ে পেট ভরাতে ভালোবাসি।

মাসুদা ভাট্টি”!!!!!

মাসুদা ভাট্টি”!!!!!

সাংবাদিক মইনুল সর্বসমক্ষে মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রাহীনা বলেছেন- কেন বলেছেন ? কি জন্য বলেছেন? তা জানার দরকার নেই। একজন পুরুষ একজন মহিলাকে চরিত্রাহীনা বলেছেন ? -তাতেই পুরো সমাজ ক্ষেপে উঠেছেন? সাংবাদিক চুপিচুপি ক্ষমা চেয়েছেন কিন্তু তাতে বুদ্ধিজীবীদের কিছু যায় আসে না। তাঁরা ব্যাপারটাকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে মজা নিতে চান; তাই প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার প্রকট আবেদন রাখেন!

আচ্ছা একটা কথা বলুন তো- ওই সাংবাদিক ভাট্টি কে লুকিয়ে শ্লীলতাহানি করতেন; ভাট্টি যদি না মুখ খুলতেন তাহলে পুরুষ সাংবাদিকটার তহরম মহরম দেখার মতো থাকত, খবরটা উল্টো প্রচারিত হতো?- যেটা মধ্যবিত্ত এবং গরিব মহিলাদের ক্ষেত্রে ঘটে থাকে!

অশ্লীল গালি আর গায়ে হাত বশেদের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। কটা মেয়ে আছে নিজেকে স্কুল কলেজ অফিস পেরিয়ে নিজেকে “ভার্জিন” রেখেছে দেখাতে পারবেন? আমাদের এইরকম অপমান লাথি লাথাজ গালি গালাজ খাওয়া—- নারীদের জীবনে নিত্যদিনের ঘটনা!

ভাট্টিকে পুরো সমাজের সামনে বলা হয়েছে- বলেই কি পুরুষদের টনক নড়েছে? না এর পিছনে পাবলিসিটি বা টিআর পি বাড়ানোর রাজনীতি চলছে। ভিতরের ব্যাপার তো সাধারণ মানুষের বুঝতে অনেক সময় লাগবে! তাছাড়া নেতা পলিটিক্যাল প্রেসার মিডিয়াগুলোকে চড়কের কাঁঠালগাছ বানিয়ে দিচ্ছে; প্রতি এক ঘন্টা অন্তর “বোমাফাটা” মশলাদার নিউজ চাই!

আমি নিজে লেখার জগতে এসে এইরকম “মশলা”র মুখোমুখি হয়ে দেখেছি। শিক্ষিত হোক আর মূর্খ পাবলিক হোক /জনতা র স্বভাব ন্যায় টা খুঁজে বের করা নয়? জলের গতিবেগ যেদিকে বেশী সেদিকেই ভেসে যাওয়া। এখানে “পাওয়ার” টাই মেন সুইচবোর্ড হিসেবে কাজ করে?

আমাকে নিয়েই পোষ্ট দেওয়া হয়েছিল -তখন নতুন লিখতে এসেছি – কেউ তেমন চেনেন না—আমি ভাবতে পারিনি মানুষ বিশেষ করে শিক্ষিত সম্প্রদায় যারা বুদ্ধিজীবি বলে পরিচিত তাঁরা নিজের সাথী কে বাঁচাতে বা তাঁর ভুল এড়াতে / তাঁর সম্মান উপরে তুলতে —এতটা নোংরা ভাষায় কথা বলতে পারে—?

আমার চোখ মুখ ঠোঁট শুকিয়ে গেছিল কিছু ক্ষণের জন্য। তারপর নিজেকে সামলে গায়ে মেখে নিতে বাধ্য হই। কারন আমি গরিব নতুন অচেনা মুখের সাধারণ লেখিকা? মাসুদা বা তসলিমা নাসরিন শ্রীজাত /মন্দাক্রান্তা নই।

আমার চোখ দিয়ে জল খুব কম বেরোয় কারন কি বলুন তো কষ্ট পেতে পেতে শুকিয়ে গেছে ? ছোটবেলা থেকে সমাজ যে কতটা জঘন্য নোংরা হতে পারে তা দেখতে দেখতে বড় হয়েছি? মা না থাকলে তাঁকে যেকোন দিক থেকে অপদস্ত করতে সমাজ ছাড়ে না—তারপর যদি হয় বাবা অসুস্থ!

আমার দিক থেকে বলব মাসুদা ভাট্টি র কাছে সাংবাদিক যদি ক্ষমা চান। তাহলে উনার ভালো মানসিকতার ই পরিচয় পাওয়া যাবে। যদি নাও দোষ থাকে তবুও একজন নারীকে সর্বত্র সম্মান দেওয়া উচিত। শুধুমাত্র ভাট্টি নয় সবার ক্ষেত্রে এই নীতি প্রযোজ্য। নারীদের বিশেষ করে মধ্যবিত্ত গরিব নারীদের জীবন কুকুরের মতো! এদের চরিত্রহীনা বলতে হয় না পরিবেশের চাপে সমাজ এদের চরিত্রাহীনা বানিয়ে দেয়। লোকলজ্জার ভয়ে চুপচাপ সহ্য করে যায়।

এবারে মূল কথায় আসা যাক:
১. মিডিয়ার অহেতুক লাফালাফি বন্ধ করা হোক।
২. সাংবাদিক প্রকাশ্যে ক্ষমা চাক আর ভাট্টি যাই থাকুক না কেন উনার নামে কুৎসা বন্ধ হোক।

৩. তসলিমা নাসরিন সর্বদা ই উনার রাগ টাই প্রকাশ করেন। স্বাভাবিক উনার অবস্থায় থাকলে যে কেউ এরকম করতেন। ভাট্টির উচিত উনার কথায় কিছু মনে না করা।

৪. প্রকৃতপক্ষে নারী সমাজের মর্যাদা দিন ভালোবাসুন। সম্মানের নামে টরচার করবেন না
৫. আমি নিজে ভুক্তভোগী। তাই যন্ত্রণাটা ঠিক কোথায় হয় সবার সামনে অপমান করলে… প্রচণ্ডভাবে অনুভব করতে পারি।

________________
অরুণিমা মন্ডল দাস
কাকদ্বীপ, পশ্চিমবঙ্গ।

“বই তে” শারদীয়া

“বই তে” শারদীয়া

আমার দূর্গা বইগুলোতে লুকিয়ে আছে
পাতার সাদা সাদা হাতগুলো আমাকে মহিষাসুর ভেবে এগিয়ে আসে
ছন্দগুলো রক্ষনশীল একঘেঁয়ে কথাগুলো “মহালয়া”র সেই
“যা দেবী সর্বাভূতেষু–“—

অসহ্য মণ্ডপ চর্চা
কোন এন্টারটেনম্যান্ট নেই
“খোলা আকাশের” “বুকভরা মুক্ত অক্সিজেন নেই–!

টেবিল ভর্তি অহেতুক “সাজগোজের আবর্জনা–“?

খোলা বারান্দা
খোলা চুল
খোলা মন
দখিনা হাওয়ায় ——
মায়ের আলতাভরা পায়ের ছাপ—–

পাশ দিয়ে চলে যাওয়া রোমান্টিক কিশোরকুমারের গান—–
সংগে গলা জড়িয়ে ধরে থাকা ভেজা প্রকৃতি
ভেজা প্রেম—
ভেজা চোখ—

শারদীয়া য় শুঁকতে থাকা এক আশ্চর্য অনুভূতি
আরব্য উপন্যাসের শেষ পর্বের
দগ্ধ “শিহরণ”—-

চোখ খুললেই মনে হয় “সুন্দর ধূপবাতির” গন্ধ উবে যাবে—
আবার “বই পত্র” হেঁটে হেঁটে আসবে ক্লাশের” ঘন্টা নিয়ে—-
কালো কালো অক্ষর গুলো যেন ষাঁড়ের ন্যায় মাথার ভিতরে
সারা বছর ধরে তাড়িয়ে বেড়ায়—?!

কলেজের আগমনী

কলেজের আগমনী

বৃষ্টিভেজা দিন—ফুরফুরে হাওয়া—-কলেজের গেট—-সুন্দরীদের আনাগোনা—কলেজ ছাত্রী ছাত্রদের আসা যাওয়া—হাসি ঠাট্টা—-কোলাহল—স্যার মাডামদের মুচকি হাসি—মাঝেসাঝে বকাঝকা—-কোন কোন প্রেমিক প্রেমিকার ঘুরে ঘুরে তাকানো—তাঁদের হাত ধরাধরি উল্লাস—চোখের কোনে জমাট বাঁধা কত খুশি—

সত্যিকথা বলতে আমার নিজে হইচই আনন্দ করার থেকে এককোণে রাস্তার ধারে গেটের মুখে চেয়ারে বসে এইসব কাহিনী রোমান্স দেখতে ভালো লাগে—ফিল করতে ভালো লাগে স্কুলের ক্লাশটিচারদের মনে পড়ে যায় —মনে হয় আজো যেন “মণ্ডল এদিকে আয়” বলে ডাকছে–! তাঁদের সেই মাথায় হাত বোলানো স্পর্শটুকু আজো মুছতে দি নি—-হাজার স্নানে ও বারো বছর আগের ছোঁয়াটুকু হাসিটুকু বাঁচিয়ে রেখেছি—-

যেকোন “ডিগ্রী” পেলেই কি সব কিছু–! ওইজন্য অনুষ্ঠানের মূহুর্ত’ গুলো সামান্য হলেও আমার কাছে অনেক বড়–!

কোন আগমনীর সুর —-নাচতে যাওয়ার আগে মেয়েটির টেনশনের লাল মুখ হাসিতে টোম্যাটোর মতো আভা— আকাশের দিকে তাকালে মনে হয় কত ধৈর্য্য কত সহনশীলতা আমাদের উপর বৃষ্টিপাত করছে?

এককোণে বসে সারাদিন লিখে যেতে চাই— জুতোর শব্দ—সেই সব কোলাহল—সব ই যেন কোন আগমনীর পূর্ব “আলিঙ্গন”!

নাচ হল কৃত্রিম আবৃত্তি হল এতে কোন মহানতা —স্বাদ’ রোমাঞ্চতা নেই—কেমন বিয়েবাড়িতে রসগোল্লা খাওয়ার মতো গেলাম চলে এলাম—-

বন্ধুদের দুঃখ আনন্দ প্রকৃতি রস কিছুই নিজের মধ্যে আহরণ করতে পারলাম না—!

সবার ধারনা সমান নয় —-আমার রোমন্থনে স্মৃতির সাগরে ডুবে থাকতে খুবই ভালো লাগে —যতসামান্য প্রকৃতি র ঝরাপাতা’ সংগী থাকলেই আমার কাছে ”অনেক কিছু-“!

এক রিয়েল কাহিনী … নারীকথা

এক রিয়েল কাহিনী … নারীকথা

দুই তিন বছর আগের কথা হবে —–ঠিক আবছা কিন্তু স্পষ্ট তাই মেমোরি তে থেকে গেছে বলা যেতে পারে। আসলে জীবনে কাকতালীয় কিছুই নয়—-ঘটনাগুলো কারো না কারো সংগে ঘটেই থাকে।

সবুজ প্রকৃতি ধানক্ষেত বৃষ্টি সবই যেমন আনন্দ দেয় তেমনই ঝড় খরা আমাদের খুব ক্ষতি করে। আনমনা প্রকৃতির খেয়ালের মতই আমাদের ভাগ্য ওঠানামা করছে। কখনও গ্রহর দোষ কখনো বৃহস্পতির যোগ কখনো মহেন্দ্র যোগ ইত্যাদি ইত্যাদি—! কি বলুন তো ভাগ্যটাকে আমাদের নিজেদের তৈরী করতে হবে। সিঙাড়া খাব ভেবে বসে থাকব ভাবলে কেউ মুখে পুরে দেবে না। কিন্তু হয় গিয়ে না হয় চেয়ে খেতে হবে?

অনন্যা খুব সহজ সরল মেয়ে; বাবা মা ভাই বোন নিয়ে সংসার, ক্লাশ টেন অবধি পড়ে ভাবল কি আর হবে পড়ে। সংসারের হাল ধরতে কাজ শুরু করল… টেলারিং শিখে বাড়িতে মেশিন নিয়ে টুকটাক কাজ হতো। কিন্তু গ্রামের দিকে ঠিকঠাক ইনকাম হত না —
সে ভাবল শহরে যাবে — অনেক টাকা ইনকাম করবে—ভাইকে সাহায্য করবে –বাবা মা কে সংসার চালাতে সাহায্য করবে—

একটা মেয়েকে সমাজে নিজের পায়ে দাঁড়াতে কতখানি স্ট্র্যাগল করতে হয় তা আমরা দেখতেই পাই— একটা মেয়ে বড় হলেই বাড়িতে ছেলেদের আনাগোনা লেগে যায়—বয়স্কদের উপদেশে দুইকান উপচে পড়ে? এই ভাবে থাকতে হবে?এই করা যাবে না ওই করা যাবে না ইত্যাদি ইত্যাদি—

অনন্যার ক্ষেত্রে অনন্যার মা একটু অন্যরকম ছিলেন। অনন্যাকে শহরে কাজ করতে যেতে বাধা দিলেন না! গরিবী মানুষকে সবকিছুই করাতে বাধ্য করায়? যে বয়সে ক্যারিয়ার গড়ার বয়স! হাসি খুশি থাকার খেলাধুলা করার বয়স ! সেই বয়সে শহরের কল সেন্টার শপিং মল যেকোন প্রাইভেট কোম্পানির দোরগোড়ায় দোরগোড়ায় কাজের জন্য ঘুরতে হয়েছে—যন্ত্রনা ধিক্কার কষ্ট সব বুকে চেপে তাঁকে হাসিমুখে কাজ করে যেতে হতো শুধুমাত্র পরিবারের জন্য—
প্রতিটি দিনের সকাল আর সন্ধ্যা তাঁর কাছে শুধু কাজের দিন হিসেবেই চিহ্নিত থাকত …

যাইহোক অনন্যা শহরে একটা ছোট্ট ভাড়ারুমে থাকত — কলসেন্টারে কাজ ও পেল—মোটামুটি যা ইনকাম হত নিজের চলে যেত আর যৎসামান্য টাকা বাড়িতে পাঠাত—বেশ কিছু মাস যাওয়ার পর সে ভাবল তাঁর অনেক টাকা ইনকাম প্রয়োজন — তাই মাঝেমধ্যে নাইট সিফট ও করত—-শরীরে কুলোতো না মাঝেমধ্যে বমি পেটে গ্যাস জ্বর লেগে থাকত —তা সত্ত্বেও শুধুমাত্র বাড়ির কথা ভেবে কাজ করে যেত—

নাইট সিফ্ট খুব বেশী করার কারনে শরীর ও পরপর ভেঙে পড়ছিল–!

একদিনের একটা ঘটনা তাঁর জীবন টা তছনছ করে দিল—ঘটনাটি সত্যি মর্মান্তিক চোখে জল আনার মতো। অনন্যার মা ছাড়া আর কোন ক্লোজ ছেলেবন্ধু ছিল না বললেই চলে—অফিসের কলিগ বাড়ীয়ালার ছেলে ট্রাই করত—প্রেম করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় —

সেই দিনটা শনিবার —হাফছুটি—অনন্যা নাইট সিফ্ট ফিরে বাড়ি ফিরছিল— শনিবার —একটু তাড়াতাড়িই বাড়ি ফিরছিল—পোশাকে ঝলমলে ভাব—মন খুব ভালো–বশ বলেছে সোমবার টাকা দেবে—

খাওয়া দাওয়া হয় নি—-ভাবল গিয়ে কি রান্না করবে —একটু ঘুমিয়ে নিয়ে বেলার দিকে রান্না করে খাবে—

এই ভেবে ভেবে অফিস থেকে বেরিয়ে ট্যাক্সি ধরল— কিন্তু আজ মাঝরাস্তায় কিছু দূর যাওয়ার পর ট্যাক্সি আর যেতে চাইল না—অনেক ভাড়া চাইল—ভাড়াবাড়ি একটু ভেতরে —এখন ভ্যান রিক্সা পাওয়া অসম্ভব—শরীর ও খুব দুর্বল লাগছে— এদিকে কেমন থমথমে পরিবেশ— ভয় ও লাগছে—কিন্তু বাড়ি ফিরতেই হবে—–

একটা স্টপেজ পেরিয়ে মোড়ের মাথায় দেখল মাতালদের আড্ডা—দুদিক থেকে তাঁরা মদের বোতল ছোঁড়াছোঁড়ি করছে—নিজেদের মধ্যে নোংরা ভাষায় কথাবার্তা বলছিল– অনন্যাকে দেখে তাঁরা হঠাৎ ই উঠে দাঁড়াল—অনন্যা কিছু বলতে করতে যাবে–বা প্রতিবাদ করতে কিছু করবে সে সুযোগ পেল না—

চারপাঁচজন মিলে জোর করে মুখ বেঁধে জামা কাপড় ছিঁড়তে শুরু করল—
হিংস্র বাঘের মতো তাঁরা অনন্যাকে ছিঁড়ে খেয়ে ফেলল—প্রায় আধঘন্টা ধরে চলল নারকীয় কাজকর্ম–

অনন্যার কথা বলার শক্তি ছিল না— সে প্রায় অর্ধমৃত— সেই অবস্থায় মাতালরা যৌনাঙ্গে বোতল ঢুকিয়ে পালিয়ে যায়। তিনঘন্টা পর মানুষের নজরে আসে—তখন তাঁর শরীর রক্ত ঝরতে ঝরতে এক লাশে পরিনত হয়েছে—-

এই হচ্ছে আধুনিক তার ভয়ঙ্কর পরিণাম—?

পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে অনন্যার পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়ে—একটা ফুলের মতো জীবন অকালে ঝরে যায়—?

আপনারা বলতে পারেন এর জন্য দায়ী কে? অনন্যা? সমাজ? মাতালরা? শাসনব্যবস্থা?????

আগমনী

আগমনী

একটা নরম গ্রহ
উপরে নীচে নামছে
সাজগোজ নেই
পাগলিনী মিষ্টি সৌন্দর্য
অকৃত্রিম প্রাকৃতিক
একজন লেখকের কাজ হল যেকোনো পরিস্থিতিতে লিখে যাওয়া।

আগমনী তে কি লিখব? মাথার চারিদিকে বৃষ্টিগুলি আ্যমোনিয়া হয়ে যাচ্ছে? একজন প্রেমিক কবির ক্ষেত্রে জলজ্যান্ত প্রেমিকার কোন প্রয়োজন নেই—? শুধুমাত্র মন আর ফিলিং স আর কল্পনা থাকলেই হবে? তাহলেই সব জায়গায় তেই প্রেম টা রোমান্সে ঝরঝর হয়ো ওঠে?

সুন্দর দেয়ালপত্রিকা
ছুটোছুটি
সরলতা
সেই ছেলেবেলা—
মেয়েবেলা
মানুষের মন থেকে কখনো অন্তর্ধান ঘটে না!