এই মেঘ এই রোদ্দুর এর সকল পোস্ট

শর‌তের আকা‌শে মেঘ ‌নেই

300

ভাদ্র মা‌সের গরম এ‌সে ছু‌ঁয়ে দেয় দেহ,
কড়া ‌রোদ্দুর দে‌হে বুলায় উষ্ণতায় স্নেহ;
আকা‌শে নেই মেঘ আজ সা‌রি সা‌রি,
উষ্ণতায় বিতৃষ্ণা উফ অস্ব‌স্তির হাওয়া ম‌নের বা‌ড়ি।

নদী কিংবা পুকুর ঘা‌টে
ই‌চ্ছে হয় ব‌সে থা‌কি ই‌তি দি‌য়ে কর্মপা‌ঠে
চ‌লো পা ডু‌বি‌য়ে ব‌সি জ‌লে,
আকাশ দে‌খি সু‌খে থাকার ছ‌লে।

‌কেমন যেন হাঁসফাঁস ক্ষণ, বিতৃষ্ণা ম‌নের কো‌ণে,
এই একটু যাও তো শু‌নে,
আকা‌শের কিনা‌রে চোখ রে‌খে দে‌খো মেঘ নেই
এমন দি‌নে কাট‌ছে না ক্ষণ আন‌ন্দেই।

‌‌রিক্সায় ঘুর‌বে না‌কি?
কর্ম ব‌্যস্ততা‌কে দি‌য়ে ফা‌ঁকি,
খোলা আকা‌শের নি‌চে বস‌লে হয়‌তো সুখ আস‌বে ফি‌রে,
বড্ড গরম বই‌ছে এই ছোট্ট নী‌ড়ে।

আ‌মি আকা‌শের ‌মে‌ঘে রাখ‌তে চাই চোখ
য‌দি এক টুক‌রো মেঘ চ‌লে আ‌সে সম্মুখ
মুগ্ধতায় ভু‌লে যা‌বো গর‌মের উষ্ণতা,
কে‌টে যা‌বে যত বিতৃষ্ণার দৈন‌্যতা।

আকা‌শে মেঘ নেই অথচ শরত এ‌সে হা‌জির,
নে‌য়ে ঘে‌মে কাপ‌ছি গর‌মে থির‌থির;
চ‌লো আকা‌শের নি‌চে গি‌য়ে দাঁড়াই
আনমনায় কিছুটা ক্ষণ সু‌খে‌তে হারাই।

.
(স‌্যামসাং এস নাইন প্লাস, পীঁরেরগাঁও মিয়াবাড়ী চুনারুঘাট)

একটি গোলাপ দিয়ো আমায়

2920

একটি গোলাপ দিয়ো আমায়
বইয়ের পাতায় রাখবো,
স্মৃতির পাতায় চুপটি বসে
ভালোবাসা আঁকবো।

গোলাপ পাপড়ি দিয়ো বন্ধু
আমার হাতে তুলে
বইয়ের পাতায় রেখে দেবো,
ঘ্রাণ নেবো সে ফুলে।

মনটা আমার উদাস ভারী
ফুল উপহার দিয়ো,
হয়ে যেয়ো একটি দিবস
প্রাণের চেয়ে প্রিয়।

প্রিয় বন্ধু শুনো কথা
গোলাপ দিয়ো আমায়,
ছন্দ দিয়ো ভালোবেসে
আমার কাব্যনামায়।

কেমন যেন বিষণ্ণ খুব
চুপটি বসে আছি,
ইচ্ছে করে তোমায় বাঁধি
দিয়ে প্রেমের কাছি।

ফুল উপর দিয়ো বন্ধু
দিয়ো বকুল বেলী,
আর যেয়ো না আমায় তুমি
একটু অবহেলি।

দিয়ো আমায় বেলীর মালা
দিয়ো ফুলের বালা,
আর মেরো না ঠোঁটে তোমার
শক্ত লোহার তালা।

কথা বলো আমার সঙ্গে,
মুখে মিঠে বুলি,
দাও না এঁকে ভালোবাসা
দিয়ে প্রেমের তুলি।

রঙ্গিন চায়ের দিলাম ছুটি আজ

300d

ফুরফুরে দিনের বুকে স্বচ্ছ আলো নাচানাচি,
রোদ্দুর আর সূর্য খেলছে কানামাছি,
ছুটির দিনে রঙিন চায়ের আজ দিলাম ছুটি,
এবেলা দুধ চায়ে মজা লুটি।

দু’বার বসাতে পারবো না চুলায় হাঁড়ি,
র’ চায়ের পিছনে তুমিও টেনে দাও দাঁড়ি,
হলুদাভ রঙের ছোঁয়া লাগুক মনের বাড়ি,
এসো বারান্দায় বসে সুখের নিঃশ্বাস ছাড়ি।

জানালার পর্দায় হাওয়ার হুড়োহুড়ি,
দেখো তাকিয়ে যেন ওড়ছে ঘুড়ি,
ভীষণ আরাম ছুঁয়ে আছি, করো না মুখ বাঁকা,
তুমি বজ্র বুলি ছাড়লেই ভিতর বাড়ি ফাঁকা।

ধূসর রঙ চায়ে আলগোছে রাখো ঠোঁট,
ভালোবাসার সম্পর্ক আজ থাকুক অটুট,
শুয়ে বসে চাই না কাটাতে দিন,
দুজনে মিলে সংসার সাজাই এসো,
দেখো তাকিয়ে ঘরে সব হয়ে আছে মলিন।

মুঠোফোনটা রেখে দাও দেরাজের উপর,
এক কাপ চা নাও হাতে অতঃপর…
চলো কাজে লেগে পড়ি, ঘর দেই ঝাড়ু আমি
তুমি শুরু কর মুছার পাগলামি।

কেটে যাক দিন সুখে, মন ভরে থাকুক হইচই আনন্দ,
চায়ের জলে ছুঁড়ে ফেলো মনের সব দ্বন্দ্ব,
আমি এমনই এলোমেলো… পাতা ভরে লিখি
সয়ে নাও, জানি তোমার কাছে এর মূল্য নেই সিকি!

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

চায়ের কাপে বাজে না সুর

2jh

বিষণ্ণতা একটি রোগের নাম
সে এলেই যুদ্ধ চলে মন বনাম;
বিষণ্ণতা তাড়াতে না পারা মনের দুর্বলতা,
এক কাপ চা’ই বলে দেয় সে কথা।

চায়ের কাপে যায় না তোলা সুর,
বুকের গহীন যেন কষ্ট সমুদ্দুর;
নীল জলের ঢেউয়ে ভাসি ডুবি,
তবুও এক কাপ চা পেতে হই লোভি।

চায়ের কাপে ঠোঁট রাখি, মন ভালোর পথ খুঁজি,
এমন তো নয় বিষণ্ণতা পাগল করে রোজই!
তবুও কিছু সময় হয়ে যায় বিষ
কেমন যে হাঁসফাঁস, হারাই দিশ।

চায়ের কাপে বাজে না সুর
সুখগুলো কই, তারা কী বহুদূর?
চায়ের জলে জমা হয় বিতৃষ্ণা সব
মনের তারে আর বাজে না সুর কলরব।

ইচ্ছেগুলো যায় নিমেষেই মরে,
দেহ হয় দুর্বল, মন তো রয় মন ঘরে
তবুও আঙ্গুলে পেঁচাই চায়ের কাপ,
হয় না সহন মনের উপর এহেন চাপ।

চা শেষ হয়ে যায়, শান্তি আসে না ফিরে,
কিছু বিষণ্ণতা মাঝে মাঝে ধরে আমায় ঘিরে
আমি পালাতে চেয়েও ফিরে আসি বিষণ্ণতার কোলে,
অকারণে মন কেন বিষাদের ঢেউয়ে দোলে।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস,ঢাকা)

হারিয়ে যেতে মন চায়

3009g

হারিয়ে যেতে মন চায় তোমায় নিয়ে দূর অরণ্যে,
যেথায় মুগ্ধতারা অপেক্ষায় আছে তোমার আমার জন্যে;
যেখানে আকাশ গিয়ে থেমেছে, যে আকাশ শুভ্র মেঘে পূর্ণ;
যেখানে মিহি হাওয়া পাতাদের চারপাশে হয় ঘূর্ণ।

তোমার হাত ধরে পালাতে চায় এ মন,
যেখানে নৈঃশব্দের খেলা, আলো ছায়ার পথ নির্জন,
কোথাও পাতার ফাঁকে এক চিলতে রোদ্দুর
কোথাও সবুজ বৃক্ষ তরুর মহা সমুদ্দুর।

সেখানেই যেতে চাই যেখানে বিশুদ্ধ হাওয়ার বসবাস
যেখানে জলের আয়নায় মুখ দেখে নেয় আকাশ
অজস্র পথ পেরিয়ে সেখানেই তুমি আমি চলো ঘুরে আসি,
যেখানে গিয়ে বলতে পারি নিদ্বির্ধায়, তোমায় ভালোবাসি।

ধুলো মাটির পথের পাশে যেখানে বুনোফুল’রা ফুটে,
যেখানে গেলে কর্মক্লান্তি আর পেরেশানি যায় টুটে
চলো যাই সেখানেই, যেখানে খোলা আকাশ মাথার উপর
একদিন এক দুপুর বেলা আমরা না হয়
পরে নেবো রোদ্দুর টোপর।

ব্যস্ততা আমাদের খাচ্ছে গিলে গিলে,
এমন আর কত বলো, মনে কী আর শান্তি মিলে?
যেখানে শুভ্র মেঘেরা বসিয়ে নীলের বুকে মেলা,
চলো সেখানে গিয়ে ভাসাই আমাদের প্রেমের ভেলা।

ফুরিয়ে যায় দিন
আমাদের কেবলই আসে বয়ে দুর্দিন,
আজ এ কাজ, কাল ও কাজ এই করে করে বেলা যায় বয়ে,
অতীত নিয়ে যায় দেহের জোর, চলো ঘুরে আসি সবুজ পাহাড়ে
কিছু সুখ স্মৃতিই না হয় যাক হৃদয়ে রয়ে।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, পীঁরেরগাঁও মিয়াবাড়ী চুনারুঘাট)

কী মায়াবী হাওয়া

295

দিনের মেজাজ ঠান্ডা হয়েছে, এই শুনছো?
শুয়ে শুয়ে মনের ঘরে কোন সে স্বপ্ন বুনছো?
তার চেয়ে ভালো, চলো স্বচ্ছ আকাশ দেখে আসি,
দেখে আসি বিকেলের বুকে নিস্তেজ সূর্যের হাসি।

শুয়েই যদি ছুটির দিন যায় চলে, কী করে তা হয়,
সময় কী আর আমাদের জন্য পড়ে রয়,
এসো আকাশের কিনার ছুঁয়ে আসি
বিকেলের আকাশটাকে আজ ভালোবাসি।

এই যে আমাদের পানসে দিনগুলো, চলো রঙিন করি
বুকের বাড়ীতে মুগ্ধতার পাহাড় গড়ি,
চোখ দুটোকে শান্তিতে দেই ভরিয়ে,
বিকেলের মিহি আলো নেই এসো বুকে জড়িয়ে।

শুধু শুধু টাচ স্ক্রীণে চোখ রেখে যে জ্বালাচ্ছি চোখ,
ঝাপসা আলো’রা এসে দাঁড়ায় সম্মুখ,
চোখে লাগিয়ে আসি চলো সবুজ আলো,
দৃষ্টিতে বাড়বে আলোর জ্যোতি, লাগবে ভালো।

কিছু পথ না হয় দেই হেঁটেই দেই পাড়ি
সন্ধ্যে হয়ে আসলে আসবো ফিরে বাড়ী,
কিছু সুখ অনুভূতি এসো জমাই স্মৃতির পাতায়,
কিছু সুখোক্ষণের কথা লিখে রাখবো কাব্যের খাতায়।

বৃষ্টি ঝরার পর আকাশ, আহা কী স্বচ্ছ আলোয় ভরা
এসো চোখ রাখি আকাশে, কেটে যাবে মনের খরা,
টুকরো মেঘগুলো ওড়ছে আকাশ জুড়ে,
এসব দেখতে চলো বাহির হতে আসি ঘুরে।

(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

তোমার জন্য হলুদ গোলাপ

292

ফুল বাসো না ভালো তুমি
কী নিরামিষ মানুষ
কাজ আকাশে ওড়াও শুধু
ব্যস্ততারই ফানুস।

ফুলও দাও না, কও না কানে
তোমায় ভালোবাসি
অনন্তকাল নিলে কেড়ে
আমার ঠোঁটের হাসি!

ঘুরতে যাও না আমায় নিয়ে
বন্দি রাখো ঘরে,
আমার জন্য রোজই সাজাও
বিষাদ থরে থরে।

কী জানি কী মনে তোমার,
জ্বালাও পুড়াও নিত্য
ফুল চেয়েছি চাইনি বন্ধু
গাড়ী বাড়ী বিত্ত।

আমার জন্য প্রেমের ডালা
সাজাও আশা করি,
আরও আশা আমায় নিয়ে
ভাসাও প্রেমের তরী।

আশায় আশায় যাচ্ছে এই দিন
লাগছে না আর ভালো
তোমার জন্য হলুদ গোলাপ
মন করে নাও আলো।

সুখ মুগ্ধতায় পাগল হয়ে
বলো ভালোবাসি,
ঠোঁটের কোণে দাও না এনে
ভুবন ডাঙার হাসি।

রোজ আকাশ যেন শরত হয়ে রয়

29271

ঘুম থেকে জেগেই আকাশে তাকাই
কী সুন্দর মনোহারী মেঘ ছড়ানো ছিটানো
সূর্যটাও জ্বলে আবার নিভে যায় কালো মেঘের দাপটে
কী সুন্দর নীল স্বচ্ছ আকাশ।

আমার ভালো লাগে ছুটির আকাশে রাখি চোখ
আমার ভালো লাগে মেঘেদের উড়াউড়ি
ভালো লাগে ডানা মেলা পাখি
ভালো লাগে মিহি হাওয়ার দাপট।

পাতাবাহারে গায়ে গায়ে বৃষ্টির রেণু
পাতায় পাতায় বেজে উঠে সুখ বেণু
আমার ভালো লাগে বৃষ্টির ঝরার পর আকাশটি
কী নীলাভ ছায়ায় গিলে খায় আকাশ আহা।

কিছু মেঘ আমার হয়ে আসে, আমি মুঠোয় পুরি সুখ
মেঘগুলো চোখের আয়নায় হয় জড়ো,
আমি শুদ্ধ করে নেই অন্তর,
অতঃপর কিছু কালো মেঘ এসে দখল নেয় আকাশ।

আকাশের কালো মেঘের মাঝে বৃষ্টিরা থাকে লুকিয়ে
আমি বৃষ্টিদের ডাকি হাত বাড়িয়ে
সহসা নেমে আসে অঝোর বৃষ্টি
ঝুপঝাপ সুরে বেজে যায় বৃষ্টিরা নিরবে।

কী মনোলোভা সময় আমার, আমার ব্যস্ততা নেই আজ
বাহিরে কান পেতে শুনি বৃষ্টির আওয়াজ,
মিষ্টি আমেশ, নেই উষ্ণতা অল্প
আমি হাওয়ার সাথে তখন জুড়ে দেই গল্প।

এই যে পাহাড় ঐ যে নদী

2913

আমায় নিয়া যাবে বন্ধু
আমায় নিয়া যাবে?
এই যে পাহাড় ঐ যে নদী
যেতে মত বদলাবে?

যাবে বন্ধু নদীর পাড়ে
ভাসবে ডিঙি নায়ে,
একটুখানি খোলা হাওয়া
দাও লাগিয়ে গায়ে!

ঐ যে গিরি এই যে ঝর্না
যাবে নিয়ে আমায়?
জীবন খাতায় দেবে গড়ে
সুখের কাব্যনামায়?

ঝর্না ছুঁবো স্বচ্ছ জলের
ইচ্ছে করে যেতে,
ইচ্ছের মালা বায়নার সুতোয়
দাও না বন্ধু গেঁথে।

আমার জন্য রাখবে বন্ধু
সময় অল্পখানি,
নিয়ে যাবে অন্য কোথায়
দু’হাত ধরে টানি?

সবুজ ঘাসে বসবে বন্ধু
যাবে আমার সাথে?
রাখবে বন্ধু গোধূলিয়ায়
হাতটি আমার হাতে?

রঙবাহারী মেঘের মাঝে
দৃষ্টি রাখবে তুমি?
আমার জন্য প্রেমে উর্বর
করবে বুকের জমি?

মেঘ দেখে আর করি না ভয়

292

কালো মেঘ দেখলেই আকাশে ভয় পেতাম খুব
মনে হতো মন আকাশই হয়ে আছে কালো,
দিনের আলো নিভে গেলে মন হতো বিষণ্ণ
ভাবতাম এমন দিন কী তবে আমারই জন্য।

মন বিষণ্ণ সারা বেলা…বারোমাস
এখন আর দিন কালোতে পাই না ভয়,
মনের মতই দিন কখনো হয়ে থাকে অন্ধকার,
বিষাদে পূর্ণ জীবন তা ভাবাই যে বেকার।

এখন আকাশে তাকিয়ে ভাবি, থাকুক দিন এমন
ভয় পাই না, ডাকুক মহুর্মুহু বজ্র নিনাদ,
আমি শিখে গিয়েছি কী করে থাকতে হয় মন্দ,
দিন কালো নিয়ে মনে নেই আর দ্বন্দ্ব।

আকাশে তাকিয়ে আকাশকে বলি
ও আকাশ তুই ফুটাস নে রোদ্দুর,
থাকুক এমন যেমন আমার মনের মতন
আমি আর সুখ সাজাই না মনে করে যতন।

কতই না দেখলাম, কতই ভাবলাম
কেউ আমার কথা ভাবেনি
আমার মন সেই বিবর্ণ আকাশ যেমন,
এখন আর বিষাদে মন করে না কষ্টে কেমন কেমন।

মেঘলা আকাশের মত মন থাকুক
আমার ভালো লাগে,
দুঃখী দুঃখী থাকি, আর ছন্দ করি আহরণ
আমার কবিতা আছে, আমি নিয়েছি তাকেই স্বযতনে বরণ।

.
(ছবি: স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

চেনা পথও সময়ের সাথে যায় হারিয়ে

চেনা পথে পা বাড়াতেই থেমে যাই, এ পথ আর আমায় নয়
অচেনা পথগুলো এবার হবে আপন, আর আপন করতেই মনে ভয়;
আপন হয়ে রয় না কিছু,
কী আছে সম্মুখে, ভবিষ্যত তো অনায়াসে নেয় পিছু।

ভালো মন্দ যাই হোক একটা কিছু হয়তো অপেক্ষায়
অচেনা পথেই বাড়াতে হবে পা, সময় থাকুক উপেক্ষায়
অচেনা মানুষগুলো মেনে নেবে আমায়? কে জানে,
তবুও আমায় ছুটতে হবে নতুন পথে, নতুনত্বের সন্ধানে।

কেমন যেন চেনা পথ ছেড়ে গেলেই বুকে কষ্টের মোচড়,
কেমন যেন চেনা মানুষগুলোর সাথে হবে না আর কথা
বুকে ব্যথার আঁচর;
নতুন করে আপন করতে গিয়ে কেউ আমায় করবে তুচ্ছতাচ্ছিল্য
জানি না কে করবে মনে মনে অপমান কে বা দেবে মূল্য।

সময়গুলো তো আর থাকবে না থেমে
অচেনা জায়গায় একদিন বসবো আসন গেঁড়ে….
সুখ অথবা দুঃখ আসুক নেমে
আমি চাই না অচেনাতে গিয়ে যাই হেরে।

যা যায় হারিয়ে, তা আর যায় না পাওয়া ফিরে,
কিছু অবসাদ ধরলো এবেলা আমায় ঘিরে,
যেখানেই যাবো……দীর্ঘশ্বাসগুলো ফেলবো চুপিসারে
অচেনা মানুষ পাশে আহা সুখ দুঃখ আর বলবো কারে।

একদিন অচেনা পথও হবে চেনা, অচেনা মানুষগুলো হবে আপন;
তাদের নিয়েই হরদম হবে সুখে অথবা কষ্টে জীবন যাপন
মেনে নিতেই হয়, মেনে নেব ইনশাআল্লাহ,
চাই নতুন স্থানে আল্লাহ হন যেন সহায়।

আমাদের সময়গুলো কুড়ি হয়ে থাক

সময়গুলোকে বুড়ো ভেবো না, টেনে এনো না জরা জীর্ণতা,
চাই না মন বাড়িতে আসুক ভালোবাসার দৈন্যতা,
আমি চাই উচ্ছল থাকি, তুমি থাকো গুটিয়ে,
এসো প্রেম গাছে হাজার গোলাপ ভালোবাসার জলে নেই ফুটিয়ে।

অযথাই বুড়ো ভেবে, মন রঙগুলো ধুলায় মিশাও,
আবোল তাবোল ইচ্ছেদের গাঙের জলে ভাসাও,
হাসি ঠাট্টা ভুলে গিয়ে, মুখ অমাবশ্যা বানিয়ে রাখো,
কেবলই জরা জীর্ণতার তুলিতে মুখ ক্যানভাসে বিষাদই আঁকো।

এই শুনো না, মন করে নাও ঊনিশ কুড়ি,
আমি হতে চাই না সহজেই বুড়ী
আমাদের প্রহরগুলো হোক প্রজাপতির মত,
ভালোবাসা ছুঁয়ে হাসি গানে মেতে থাকি অবিরত।

বুড়ো সেজে লাভ কী, মন যেন বিরান হাওয়ার মাটি
এমন জীবন নয় সুখে পরিপাটি,
চাই না হাসিগুলো অবেলা যাক মরে,
সুর হাসি ঠাট্টার কলরব চাই হরদম মন ঘরে।

ঝরে যে যাব সেতো জানি,
শুনিয়ো না আর তত্ত্ব কথার বাণী,
আমি চাই না চেহারায় বুড়ো ভাব আনতে, গম্ভীর হতে,
তুমি যাও, বুড়ো হও, হাঁটো উলটা পথে।

এই… তোমার সামার সময়গুলো হয়ে থাক খঞ্জনা,
মনের আকাশে সুখেই হোক ওড়াউড়ি, সুখ কী! বুঝো না?
আমি মনটাকে রাখতে চাই কুড়ি, তাই হোক তোমারও,
সহজ হও, নরম হও এই বুড়ো, হয়ো না বুমারু।

বৃষ্টির চাদরে ঢেকে আছে শহর

728

নিরিবিলি ঝরেই যাচ্ছে, বৃষ্টির কোলাহলেই মানুষ রাখে পা,
গন্তব্যে ছুটে চলা মানুষ কখনো মুখ দেখলে বুঝা যায় খেপা;
খানাখন্দে পা রেখে ছাতা মাথায় ভিড় এড়িয়ে হাঁটতে দুর্বিসহ কষ্ট;
ভদ্র পোষাকের বারোটা বাজে, কাদায় সব নষ্ট।

কেউ বৃষ্টি নিয়ে সুখ কাব্য লিখে, কেউ ত্যক্ত বিরক্ত,
বৃষ্টি ঝরছে অঝোর ধারায় এখন দুপুরের অক্ত,
বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখছি মানুষের কাণ্ডকারখানা;
রঙ বেরঙের ছাতা মাথায় দৌড়াচ্ছে যেন মানুষ…..
গন্তব্য কারো কী অজানা?

কার মনে কী আছে কে জানে, কেউ ভিজছে শখে
কেউ লিখছে কাব্য জানলার পাশে বসে, মুগ্ধতার ছায়া মুখে
আর আমি বৃষ্টি দেখি, দেখি মানুষের হাঁটাচলা
মানুষের মুখ দেখি বুঝতে চেষ্টা করি ভিতরে কী ছলাকলা।

বৃষ্টি এসে থেমে যায়, পথ কাদায় পরিপূর্ণ,
আকাশে তাকিয়ে দেখি কালো মেঘ’রা আকাশে ঘুর্ণ
খানিক বাদেই নেমে আসবে বৃষ্টি
আহা বৃষ্টি ভেজা দিন লাগে বড় মিষ্টি।

ছেঁড়া কাব্য গুলো তুলে রাখি কবিতার খাতায়,
অনুভূতিতে সুখ, বৃষ্টির বিন্দু আহা পাতায় পাতায়;
কোথায় যেন সুর কেটে গেছে, কোথায় সুর এসে লেগেছে জোড়া;
বৃষ্টি দেখে দেখে কেটে যায় বেলা, সময় যেন পাগলা ঘোড়া।

সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে, বৃষ্টিরা থেমে যায়, থেমে যায় কবিতা বোনা
থেমে যায় রাজপথে মানুষের আনাগোনা,
মাগরিবের আযান হবে, ইফতারের আসর বসবে ঘরে ঘরে,
একটি বৃষ্টি ভেজা দিন আহা কত সুখ মনে
সাজিয়ে রাখলাম থরে থরে।

মন কথনিকা-৪১৪১

কেমন জানি লাগে উদাস ভাল্লাগে না কিছু;
বিষণ্ণতা কেন নিলো অযথাই পিছু;
কত সুখে আছি তবু বিষাদ ভরা মনে,
আমি এখন থাকতে চাচ্ছি খুব খুবই নির্জনে।

মন কথনিকা-৪১৪২
ফাগুন হাওয়ার নাচছে পাতা, আমি কেন নিরব
মনের বাড়ী হয় না অল্প সুখের তরে সরব
কী জানি কী হয়নি পাওয়া, অপূর্ণতায় আমি
কী যেন নেই হারিয়েছি, কোন জিনিস সেই দামী।

বন্ধুরে তোর মন ক্যান আকাশ হইলো না

2932

বন্ধুরে তোর মনটা যেন পাহাড় পর্বত গিরি,
মনের বাড়ী যেতে দেখি পাতা আছে কাঁটার সিঁড়ি
মন যে কেনো হলো না তোর শুভ্র মেঘের আকাশ
তুই কেনো হলি আমার এক নদী দীর্ঘশ্বাস,
পাথর বুকে হলো আমার ব্যথায় বসবাস!

শুভ্র মেঘের আকাশ যদি মনটা হতো তোর,
তুই রে বন্ধু হতি আমার গহীন নিদ্রা স্বপ্ন ঘোর,
দেখলে তোরে ফেলি কেবল বিষাদের নিঃশ্বাস,
হইলি না বন্ধুরে তুই আমার নীল আকাশ,
বুকে আমার করলি কেবল, নীল বেদনার চাষ!

হতি যদি রঙধনু রঙ,
করতি যদি প্রেমেরই ঢং
লাগলো ভালো, হতো আমার সুখে বসবাস,
দিয়ে গেলি দিন দুপুরে, বিতৃষ্ণারই বাঁশ,
একলা আমি হয়ে আছি যেন জিন্দা লাশ!

হইলি না তুই শরতের মেঘ
বুক খুলে দেখলি না তুই, প্রেমেরই আবেগ,
আর হইলি না মন উঠোনে সবুজ দূর্বাঘাস,
থাকলে পাশে তুই যে আমার, সময় হাঁসফাঁশ,
আমার মনে রাখলি গড়ে, কষ্টেরই সন্ত্রাস।

কাশফুল হইতি যদি বুকের বাম কিনারে,
উচ্চস্বরে বাজতো প্রেম সুর মনের মিনারে,
দিলি নাতো আজ পর্যন্ত ভালোবাসার আশ্বাস,
হইলি না তুই বন্ধু আমার শরতের নীল আকাশ,
গড়লি তা তুই মনের ভিতে ভালোবাসার আবাস।

গ্রীষ্মের আকাশ, চৈত্রের খরা হইলি আমার জন্য,
মন বাড়ীটা প্রেম অভাবে যেন ধুঁধু অরণ্য,
প্রেম আমার রইলো কুঁড়ি, হইলো না ভালোবাসার বিকাশ,
হইলি না তুই রঙ্ধনু রঙ, হইলি না নীল আকাশ,
তুইরে বন্ধু হয়ে রইলি এক সমুদ্দুর দীর্ঘশ্বাস।

(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)