জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব এর সকল পোস্ট

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সম্পর্কে

জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার নলছিয়া নামক গ্রামে ১০ ই জুন ২০০১ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তার লেখা গুলো বাস্তব ধর্মীয়। লেখা তার নেশা। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে কবিতা লিখতে। * চরম মুর্খ সেই যে শিক্ষা অর্জন করে নিজের মাতৃভাষা শুদ্ধ ভাবে বলতে পারে না । * আমার কাছে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি থেকে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি শ্রেষ্ঠ।

নির্বাসিত জীবন

আমায় যদি গো তোমরা নির্বাসন দাও,
তবে দিয়ে ঐ হিজলতলীর দ্বীপে,
একাকি নির্জনে বসে থাকব প্রকৃতির সাথে,
বসন্তের দিনে পত্র ঝরা পলাশ বৃক্ষের নিচে।
বসন্তে কোকিলের সাথে মনের অভিলাষে গান গাইব।
বিকালে লুকোচুরি খেলব ঐ গগনের কালো মেঘের সাথে,
নির্বাসিত জীবনে একাকিত্বের জন্য যদি মনে বিষন্নতা আসে,
তাহলে সন্ধ্যা বেলায় পাহাড় পাদদেশে বসে শুনব,
ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ন্ত পাখির কুজন ধ্বনি।
রাতে মিটমিট করে জোনাকিরা জ্বলবে সেই আলোতে,
চাঁদের বুড়ির সাথে মনের অভিলাষে গল্প কবর।
নির্বাসিত জীবনে দীর্ঘ সময় কাটানোর জন্য,
পাহাড় পাদদেশে জুম চাষ করব মনের মাধুর্য।
তাই অন্যথায় নির্বাসিত হতে চাই না।

রচনাকালঃ
১৭/০৪/২০২১

একটি সংবিধান

আমি একটি সংবিধানের কথা লিখছি,
যে সংবিধান বিনির্মাণের পশ্চাতে রয়েছে,
সুদীর্ঘ করুণ ইতিহাস।
যে সংবিধান রচিত হয়েছে লক্ষ শহিদের রক্তে,
ইজ্জত হারা মা ও বোনের আত্মা চিৎকার।
যার রয়েছে একশত তিপ্পান্ন অনুচ্ছেদ
একটি প্রস্তাবনা ও এগারো ভাগে বিভক্ত।
জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ধর্ম নিরপেক্ষতা
সেই সংবিধানের অনন্য প্রধান বৈশিষ্ট্য।
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ধারায় রচয়িতা
সেই সংবিধান খানি।

রচনাকালঃ
২৫/০৪/২০২১

জীবন- ২

যে মানবের কথায় জীবনকে জেনেছি
বুঝেছি জীবনের মর্মার্থ,
তাই আজ গায় জীবনের জয় গান।

মানব জীবনকে সত্যের আলো দিতে
লোষ্ট্রাঘাতে রুধিরাক্ত হয়,
জগতে সেই মানব জীবনই মহান।

সেই মহামানবের কথা অনুসারে জীবন গড়লে
ধন্য হবে জীবন,
কিন্তু বর্তমান ফ্যাশনে হবে কষ্ট।

সেই মহামানবের আদর্শ জগতের সেরা
মান তবে দৃঢ়ভাবে,
মানলে হবে না তো কোনো কিছু নষ্ট।

জিজ্ঞাসা

হে বিভো, কেমনে স্থাপিলা
শূন্যে সুধাকর আর সবিতারে,
জিজ্ঞাসা আমার।

হে বিভো, কেমনে স্থাপিলা
অদৃশ্য সমীরে যা অনুভাবিত,
জিজ্ঞাসা আমার।

হে বিভো,কেমনে স্থাপিলা,
এ নিথর মানব দেহে প্রাণ,
জিজ্ঞাসা আমার।

হে বিভো, কেমনে স্থাপিলা
ঐ জোনাকির দেহে আলো,
জিজ্ঞাসা আমার ।

হে বিভো, কেমনে স্থাপিলা
স্তম্ভবেদি হীনা এই বসুমতী,
জিজ্ঞাসা আমার।

হে বিভো, কেমনে স্থাপিলা
ফুল সৌরভ ও ফলের স্বাদ,
জিজ্ঞাসা আমার।

হে বিভো, কেমনে স্থাপিলা
এই মেদিনীতে শূচি শুদ্ধ চাতকের,
জিজ্ঞাসা আমার।

হে বিভো, কেমনে স্থাপিলা
সুধাকরের মিষ্টি মধুর আলো,
জিজ্ঞাসা আমার।

হে বিভো, কেমনে স্থাপিলা
সবিতারে এত প্রখর রৌদ্র,
জিজ্ঞাসা আমার।

হে বিভো, কেমনে স্থাপিলা
দিনের আলো আর আন্ধারে,
জিজ্ঞাসা আমার।

রচনাকালঃ
২২/০৪/২০২১

বিদায়

নশ্বর এই বসুমতীতে কেউ অবিনশ্বর নয়
সকল জীব ক্ষয়িষ্ণু,
অমর কেবা তাতে ।
স্বল্পক্ষণের মুসাফির আমরা,
অহ্নি ফুরালে যাবার পালা।
জীবন যে ছোট্ট,
জীবনের রং যে কত বিচিত্র।
কল্পনায় আমরা আঁকি রং বেরংয়ের ছবি,
আমরা যে সেই ছিবর নির্বাক কবি।
অদৃশ্য বন্ধনে বিভো বেঁধেছে আমাদের নাটাইয়ের মতো,
বিচরণের মধ্যে বিভো গুটিয়ে নেবে সেই অদৃশ্য নাটাইয়ের সুতো।
হবে না তো কোনো অভিযান শেষ,
চলে যেতে হবে পর জন্মের দেশ।
কান্না করবে আমাদের আত্মীয় স্বজন,
আরও কান্না করবে আছে যাদের ভক্ত গণ।
চার বেহারার পালকি করে নিয়ে যাবে তারা,
বলব আমরা তখন আমায় কোথায় নিয়ে যাচ্ছ কেউ দেবেন সাড়া।
মণকে মণকে মণ মাটি বুকে দেবে চাপা,
বলব তখন আমরা রেখে যেওনা এখানেতে একা।
কেউ শুনবে না সেই দিনে আমাদের কথা,
হাজারো কষ্টে নিয়ে করব আতাপাতা।
সবাই চলে আসবে বিদায়ের পরে স্ব স্ব ঘরে,
শুধু আমরা পড়ে থাকব এই মাটির তরে।
বিদায় বেদনা বিধুর শব্দ,
সেই শব্দকে সাথে নিয়ে কাটাতে হবে মাটির ঘরে অব্দের পর অব্দ।

রচনাকালঃ
২৮/০৩/২০২০

স্মৃতির ডায়েরি

আমার তেমন কোনো স্মৃতি বিজড়িত কিছু নেই,
আছে শুধু ভগ্ন টেবিলের কোণে
ধূলোবালি সংযুক্ত একটি ডায়েরি,
তাতে কোনো সুখের কথা লেখা নেই,
নেই কোনো সাফল্যের কথা লেখা।
লেখা আছে কষ্টের জর্জরিত দিন গুলোর কিছু কথা,
যা আমি সম্পূর্ণ লিখতে পারিনি,
লিখতে গেলে চলে আসে বুক ফাটা চিৎকার।
জীবনের সংগ্রামের কথা দিয়ে ভরা,
সেই কথা গুলো লেখা আছে ডায়েরি স্বল্প পাতায়।

ডায়েরি খানি খুলেই আজও ভেসে আসে,
সেই রক্তরঞ্জিত ডায়েরির ভগ্ন পৃষ্ঠা গুলো
যা আমায় অতীব গভীর ভাবায়।
তবুও সেই ডায়েরি খানি টেবিলের কোণে
ধুলোবালি সাথে আলিঙ্গন করছ।
ডায়েরি খানি আমার অতীত স্মৃতি কিছুটা,
স্মরণ করাবে পর প্রজন্মকে।

রচনাকালঃ
১৪/০৪/২০২১

বৈশাখ

বৈশাখ মাসের কাল বৈশাখী ঝড়ে,
ইমু বাবুর ঘর নড়বড় করে।
কাল বৈশাখী কালো ধোয়ার ফল,
সজীব হচ্ছে অজীব আর অজীব হচ্ছে সজীব।
ঝড়ের শেষে পর দিবসে,
গহিন টিলা-পাহাড়ি গাঙে নাইতে যখন যাই,
গাঙের টলমলে কাজল জল,
মিষ্টি হেসে বলে, ওগো,
কেমন আছ ভাই।
তখন জলের সাথে মীনের সাথে করি,
লুকোচুরি খেলা।
নীল আকাশে কে দিল আবার,
ধবল রঙের ভেলা।
লাল মেঘের ভেলা দেখা যায়,
পূর্ব পশ্চিম কোণে।
গাছপালা ভেঙে শেষ,
ঐ গহিন বনে।
ঝড়ে সব ঝরে পড়ে,
আম কাঁঠালের মুকুল।
পথ ঘাট যে জল ছুয়েছে,
আনন্দে আনন্দে দূকুল।
বৈশাখ হল মধু মাস,
বাহারি রকমের ফল।
জলের তলে দূর্বাঘাস,
করছে যে টলমল।

মায়াবতী ললনা

একদিন সুবর্ণরেখা গ্রামের পথে,
দৃপ্ত পায়ে পুলকিত মনে হাঁটতে হাঁটতে,
পূর্ব প্রান্তে তাকিয়ে দেখতে পেলাম,
আলতা রাঙা পায়ে হেঁটে যাচ্ছে
এক মায়াবতী ললনা।
দীঘল কালো কেশ, যার নয়ন ভরা স্বপ্ন,
বদনখানিতে লেগে আছে হাসিররেখা ।
যার মুখনিঃসৃত বাণী বকুল গাছটার নিচে দাঁড়িয়ে শ্রবণ করলাম,
শ্রুতি থেকে অতি শ্রুতিমধুর বাণী গুলো।
যা একজন পথযাত্রী শ্রবণ করলে,
শ্যেনদৃষ্টিতে বদনখানি চেয়ে দেখবে।
যা তার কাছে চির চেনা সুর হয়ে রবে,
জন্ম জন্মান্তর।
সুবর্ণরেখা গ্রামটি ছবির ন্যায় ততটা সুন্দর নয়,
যতটা সুন্দর ঐ আলতা রাঙা পায়ে ললনাটা।

যে তাকে এক বার দেখবে সে তার প্রেমে না পড়ে,
কাটাতে পারবে না একটি প্রহর।
হাজারো প্রেমিক মায়াবতী ললনার দিকে তাকিয়ে থাকবে,
ততক্ষণে কেটে যাবে দিবার দৈর্ঘ্য খানি,
তবু সেই সৌন্দর্যের ঘোর শেষ হবে না প্রেমিকের।
আমারও সেই দিনে ঠিক তেমনি হয়েছিল।

সোনার ছেলে

আমার দেশের সোনার ছেলে
মাঠে ফলায় ধান,
কষ্ট ভোলার জন্য ধরে
আহা মধুর গান।

গাত্র পোড়ে সোনার ছেলের
সবারে দিতে অন্ন,
এমন ছেলে কে না চাই বল
এই জগতের জন্য।

রচনাকালঃ
১৪/০৪/২০২১

পরকালের আপন কে?

হাশরের দিনে বিচার বসবে,
সকলেই খোঁজবে একটি নেকের আপন জন।
না পেয়ে কাউকে বলবে তখন –
নাই কিরে আপন কেউ? নাই কিরে আপন কেউ?
এই ধরাতে কি সকলেই সকলের পর?
ঐ ধরাতে আপন ছিল,
মা,বাবা,ভাইবোন আর স্ত্রী সন্তান।

আজ আমি বিপদে পড়েছি, নেই কেউ রক্ষা করার।
একটি নেকের জন্য যাবে জনম দুঃখনী মাতার দ্বার,
যে তোমাকে করল ধারণ গর্ভে দশ মাস দশ দিন তার। হাশরের দিনে তুমি মাতাকে বলবে মাগো,
তোমার সন্তান আজ বিপদে ওগো মা,
রক্ষা করো একটি নেকি দিয়ে।
সেদিন মাতা বলবে,
আমার তো বিয়েই হয় নাই কোনো দিন,
ঐ ধরাতে কেউ ছিল না আমার, ছিলাম একলা।
চিনি না তোমায়, কে তুমি?
এই ধরাতে মাতা বলবে,….
ইয়া নাফসি…. ইয়া নাফসি…..।

একটি নেক আমলের জন্য যাবে,
পিতার কাছে ওরে,
যে তোমারে খাওয়াছে তার আজীবন উপার্জন করে।
সেই দিন পিতা বলবে, চিনি না তোমায়,
কে তুমি?
এই ধরাতে পিতা বলবে তখন..
ইয়া নাফসি….. ইয়া নাফসি…..।
একটি নেক আমলের জন্য যাবে,
সেই দিন তুমি ভাইবোন স্ত্রী সন্তানের কাছে ওরে,
যাদের তুমি নিজে খাওয়াছ উপার্জন করে।
কেউ চিনিবে না সেই দিনে তোমায়,
সবাই বলবে কে তুমি?
তৃষাতুর পথিক মরুভূমিতে যেমন করে খুজে বেড়ায় জল,
তেমন করে হাশরের দিনে তুমি খুঁজবে একটি নেক আমল।
তৃষাতুর পথিক মরুভূমিতে সারাদিন খুঁজে পায় না কো জল,
শুধু করে মরীচিকা যে ছল।
সারাদিন ঘুরে ঘুরে পাবে না কো তুমি ফল।

এই ধরাতে কেউ পরের কারণে দেবে না নিজের স্বার্থবলি,
বলবে সকলে ইয়া নাফসি… ইয়া নাফসি…।

এক ব্যক্তি হবে তোমার এই ধরাতে আপন,
আছে ওর একটি নেক আমল, দেবে উজাড় করে।
তখনই তুমি হাসিতে হাসিতে যাবে চলে জান্নাতের দিকে,
তখন বিভাবরী বলবে ওরে,
তোর কারণে নিজের স্বার্থ যেজন দিল বলি,
তুই তারে কেমনে ফেলে যাস জান্নাতের দিকে চলি।
নিয়ে যা ওরে জান্নাতে।
এখানে ঐ তোমার চির আপন,
ঐ ধরার চেয়ে।
আর বাকিরা বলবে ইয়া নাফসি… ইয়া নাফসি…।

পরকালের আপন কে (শেষ পর্ব)

এক ব্যক্তি হবে তোমার এই ধরাতে আপন,
আছে ওর একটি নেক আমল, দেবে উজাড় করে।
তখনই তুমি হাসিতে হাসিতে যাবে চলে জান্নাতের দিকে,
তখন বিভাবরী বলবে ওরে,
তোর কারণে নিজের স্বার্থ যেজন দিল বলি,
তুই তারে কেমনে ফেলে যাস জান্নাতের দিকে চলি।
নিয়ে যা ওরে জান্নাতে।
এখানে ঐ তোমার চির আপন,
ঐ ধরার চেয়ে।
আর বাকিরা বলবে ইয়া নাফসি… ইয়া নাফসি…।

পরকালের আপন কে? (পর্ব -২)

একটি নেক আমলের জন্য যাবে,
পিতার কাছে ওরে,
যে তোমারে খাওয়াছে তার আজীবন উপার্জন করে।
সেই দিন পিতা বলবে, চিনি না তোমায়,
কে তুমি?
এই ধরাতে পিতা বলবে তখন..
ইয়া নাফসি….. ইয়া নাফসি…..।
একটি নেক আমলের জন্য যাবে,
সেই দিন তুমি ভাইবোন স্ত্রী সন্তানের কাছে ওরে,
যাদের তুমি নিজে খাওয়াছ উপার্জন করে।
কেউ চিনিবে না সেই দিনে তোমায়,
সবাই বলবে কে তুমি?
তৃষাতুর পথিক মরুভূমিতে যেমন করে খুজে বেড়ায় জল,
তেমন করে হাশরের দিনে তুমি খুঁজবে একটি নেক আমল।
তৃষাতুর পথিক মরুভূমিতে সারাদিন খুঁজে পায় না কো জল,
শুধু করে মরীচিকা যে ছল।
সারাদিন ঘুরে ঘুরে পাবে না কো তুমি ফল।

এই ধরাতে কেউ পরের কারণে দেবে না নিজের স্বার্থবলি,
বলবে সকলে ইয়া নাফসি… ইয়া নাফসি…।

পরকালের আপন কে? (পর্ব ১)

হাশরের দিনে বিচার বসবে,
সকলেই খোঁজবে একটি নেকের আপন জন।
না পেয়ে কাউকে বলবে তখন –
নাই কিরে আপন কেউ? নাই কিরে আপন কেউ?
এই ধরাতে কি সকলেই সকলের পর?
ঐ ধরাতে আপন ছিল,
মা,বাবা, ভাইবোন আর স্ত্রী সন্তান।

আজ আমি বিপদে পড়েছি, নেই কেউ রক্ষা করার।
একটি নেকের জন্য যাবে জনম দুঃখিনী মাতার দ্বার,
যে তোমাকে করল ধারণ গর্ভে দশ মাস দশ দিন তার।

হাশরের দিনে তুমি মাতাকে বলবে মাগো,
তোমার সন্তান আজ বিপদে ওগো মা,
রক্ষা করো একটি নেকি দিয়ে।
সেদিন মাতা বলবে,
আমার তো বিয়েই হয় নাই কোনো দিন,
ঐ ধরাতে কেউ ছিল না আমার, ছিলাম একলা।
চিনি না তোমায়, কে তুমি?
এই ধরাতে মাতা বলবে,….
ইয়া নাফসি…. ইয়া নাফসি…..।

চাষা শ্রমিক

ওহে কামার, ওহে কুমার, ওহে চাষা শ্রমিক ভাই,
তোমাদের মতো দেব্যতুল্য মানুষ ধরায় আর নাই।

তোমাদের হাত ধরে হয়েছে সভ্যতার উত্থান,
তাই সম্মিলিত কন্ঠে গাওয়া উচিত তোমাদের জয় গান।

তোমাদের বক্ষে ভর করে চলে এই ধরার সকল গনি,
করে শুধু শোষণ দেয় না কখনো কোনো ন্যায্য সম্মানী।

তোমাদের শ্রমে আজ গড়েছে আধুনিক সভ্যতার ভিত,
নানা নির্যাতনের রেখাচিহ্ন লেগে আছে এই যে তোমার পিঠ।

কোনো দিন তোমার করেনি তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ,
নিভৃতে কাঁদে বলেছে আহাদ আহাদ।

রচনাকালঃ
১৬/০১/২০২১

জীবনের পথে

জীবন চলার পথে
মানুষকে পারি দিতে হয়,
কত সরল গরল পথ।
চলতে হয় কত রংয়ের মানুষের সাথে,
কেউ সুজন, আবার কেউ কুজন।
তবুও চলতে হয় প্রতিকূল পরিস্থিতি,
মোকাবেলা করে।
জীবন যত দীর্ঘ হবে ঘাত প্রতিঘাত,
তত বেশি পার করতে হবে।
ততই মানুষ চতুর থেকে সুচতুর হবে।
স্বল্প আয়ু কারো কাম্য নয়।

রচনাকালঃ
১৩/০৪/২০২১