খালিদ মোশারফের কবিতা এর সকল পোস্ট

খালিদ মোশারফের কবিতা সম্পর্কে

তবুও থামিনি আমি ''''''''''''''''''''''''''''''''''''''' তোমার যাত্রা শুভ হক এ কথা কেউ আমাকে বলেনি আমি কবিতা লিখতে বসলাম। পকেটে ময়লা মন তবু আমার যাত্রার শুভক্ষণ হঠাৎ গাড়ী নষ্ট হল নামলাম হাটলাম অনেকদূর তবুও থামিনি তোমার যাত্রা শুভ হক এ কথা কেউ আমাকে বলেনি ।

আরেক পোশাকের টানে

আরেক পোশাকের টানে

বেহুলা বাংলা, ঢাকা কর্তৃক প্রকাশিত আরেক পোশাকের টানে কবিতা গ্রন্থটি কেউ যদি সরাসরি ডাক যোগে পেতে চান তাহলে এই নম্বরে ০১৭৭৬১৬২২২৮ আপনার ঠিকানা এস এম এস করুণ এবং ১৫০ টাকা বিকাশ করুন।

কয়েকদিনের ভেতরে লেখক আপনাকে বইটি ডাকযোগে পাঠিয়ে দেবেন। উক্ত ফোন নম্বর লেখকের। এছাড়া কয়েক দিন পর থেকে ইনশা আল্লাহ মেহেরপুরের রাজ্জাক লাইব্রেরি ও দোয়েল বুক হাউজে পাওয়া যাবে।

নেটে রকমারিতে এই বইটি পাওয়া যাবে। এছাড়াও ঢাকায় কনকর্ড টাওয়ার, বাংলা বাজার ও বিবিধ লাইব্রেরিতে বইটি পাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও বইটি প্রকাশক কর্তৃক সিলেট, চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশের বিবিধ লাইব্রেরিতে সীমিত আকারে মার্কেটিং হবে ইনশা আল্লাহ।

স্বর্গীয় আরণ্যক-৯

প্রিয় কবি তোমার কবিতায় একটি আরণ্যক আছে
ও তোমার কবিতায় দুটো না খেয়েই সকাল সকাল পিছু নেই
ওকে আরেকটু পুষ্টি দিও, খাওয়ার সময় দিও
ও যাতে আরো বেড়ে উঠতে পারে
আরণ্যক অনেকটা
গাছের অপুষ্ট চারা তুল্য, মরতে মরতে বেঁচে গেছে
প্রভুর দূর্বল ভৃত্য তুল্য, মায়ের না চাওয়া সন্তান তুল্য
তোতলা, অবলা ধরনের
ও খালি হাতে রোদ্রে গেলে ওর হাতে ছাতা দিও
আমরা ওকে বৃষ্টি মাথায় ছাতা হাতে দেখতে চায়
রোদে পোড়া শরীরে মাঠে ময়দানে ঘুরে বেড়াবে!
ও আরেকটু বেশী বলতে দিও!
ওকে ঘুমাতে দিও!
ওকে দিয়ে সারা পৃথিবীটা ঘুরিয়ে নিয়ে এসো
ভারি বাতাস ও পুরা পৃথিবীর আধমরা ভাবটা ও দেখে আসুক
কেন যেন মনে হচ্ছে ! আধমরা আরণ্যক অনেক ফল দেবে
অনেক ফল দেবে! কাঠ দেবে!
তোমার আরণ্যক অনেক বেঁচে থাকুক
ওর বালক বয়সের দূর্বল বাহুদুটো খুব শক্ত হক
না খাওয়া পেট, টেক মাথাটা আরো আশীর্বাদপুষ্ট হোক
তোমাকে ও তোমার আরণ্যককে অভিনন্দন।

স্বর্গীয় আরণ্যক-৮

স্বর্গীয় আরণ্যক-৮

প্রিয় আরণ্যক দিনের মত সঠিক সময়ে আসতে চেষ্টা করো
ঠিক সময়ে রাতের মত চলে যাবার সময় করে নিও
সারা দিন ব্যস্ত থেক
তোমার সব কিছু ঠিক মত হবে না বলে
তোমাকে আরো সুন্দর মনে হবে
তোমার কর্ম প্রচেষ্টা দেখে
দেবতারা তোমাকে দেখে হাসবে
তোমার প্রতি মুহূর্তে তোমাকে চিনে ফেলেছে
বৃক্ষরা, রাস্তারা, মাঠেরা
তুমি চঞ্চল হয়ে বেড়িয়ে এসো কোথাও
দেখ তোমার কষ্টের মাঝে স্বর্গ নেমে এসেছে
তোমার কর্মক্লান্ত শরীরকে ঘামতে দাও
নিশ্বাস ফেল চারিদিকে দুহাত মেলে তাকাও
দেখ ইশ্বর তোমাকে ভালবেসে ফেলেছে
তোমার বুক ভরা আশা দেখে তোমার
দিকে তাকিয়ে রবে আকাশটা
তোমার সে আশা পূরণ হবে না
তবু তোমার কর্ম প্রচেষ্টা দেখে
তোমাকে খুব ভাল লাগবে ইশ্বরের
ইশ্বর তোমার হাত খালি রেখেছে তোমাকে ভালবেসে
আরণ্যক তুমি সবার থেকে আলাদা
তবুও তোমাকে সবার মত মনে হবে
তোমার বুক ভরা ব্যথা ও সুখ
তবুও তোমাকে স্বাভাবিক মনে হবে
তোমার কঠিন এক বিবেক
তবুও তোমাকে দেখা যাবে ভাল ও খারাপের মাঝে
তোমার অন্ধকার শুষ্ক কর্মক্লান্ত মুখটি বোঝা যাবে না
তুমি ইশ্বরের কত আপন
তোমাকে বৃক্ষ পথ ও পাতারা কত ভালবাসে
তোমাকে দেখে বোঝা যাবে না
তুমি আসলে কে?

স্বর্গীয় আরণ্যক-৭

স্বর্গীয় আরণ্যক-৭

আরণ্যক তোর রক্তের মাঝে যে স্বভাব আছে
আরাধনা করে তা কি দূর করা সম্ভব?
তোর স্বভাব কিছু দিনের জন্যে ঘুমিয়ে যেতে পারে
যখন স্বভাব আবার ঘুম থেকে উঠবে
তখন তুই কি করবি?

আরণ্যক তুই যা জানিস
তা ছোট একটা বাচ্চাও জানে
প্রতিদিন তুই যা ধ্যান করে জেনেছিস
তা আগে থেকেই জানত অনেকে
আরণ্যক তুই যেখানে আত্মনিয়ন্ত্রণ করে ভাল থাকিস
সেখানে অনেকেই স্বাভাবিকভাবেই তোর চেয়ে ভাল আছে
তুই যে ভাল কাজগুলো করিস অনেক যত্মে
সে কাজগুলো অনেকেই করে যাচ্ছে অবলিলায়
তোর ভুলগুলো ভুল-ই রয়ে গেল
ওগুলো অবলা শিশুরাও করবে না
তুই যে মন্দ গুলো করিস
সেগুলো আর কেউ না করুক,তুই-ই তো করিস
প্রতিদিন তোর কষ্ট করে ভাল থাকা
প্রতিদিন তুই সত্য বলার অভ্যাস করিস
দেখ অনেকেই স্বাভাবিক ভাবেই তোর চেয়ে সত্য বলে
প্রতিদিন তোর চেষ্টাকরেও পাপ ছাড়ার অভ্যাস গেল না
ছোট শিশুদেরর কাছে যাস ,মূর্খ কিংবা দূর্বলদের কাছে যাস
তাদের কাছ থেকে কিছু শিখে নিস
দেখিস তুই যা আরাধনা করে শিখেছিস
তোর চেয়েও বেশী জানে শিশুরা,মূর্খরা ও দূর্বলেরা।

স্বর্গীয় আরণ্যক-৬

স্বর্গীয় আরণ্যক-৬

প্রিয় আরণ্যক এত সহজে নষ্ট হয়ে গেলি
এত ভাবতে পারিস তুই, এত ভাববার কি আছে?
এত কাঁদিস তুই, এত কাঁদবার কি আছে?
প্রিয় আরণ্যক মাথার চুলগুলো আঁচড়িয়ে নে
কিছু তরুণের সাথে তোকে মিলিয়ে নেব
একটু কথা বলত উঁচু করে
বিকেলের ঘুরতে যাওয়া তরুনদের সাথে
তোকে মেলাব
আমাদের নষ্ট শহরে ভাল মেয়েটি গোপনে বলেছে
ঠিক তোর মত একটি ছেলে তার দরকার
সেই মেয়েটির সাথে তোর দেখা করিয়ে দেব
প্রতিদিন প্রতিদিন তোর বদ্ধ ঘরে তালা দেখতে চাই
যেন বুঝতে পারি তুই ঘর ছেড়ে হাসি মুখে বেরিয়ে গেছিস
তোর স্বপ্নগুলোর কথা পথের মানুষ শুনুক
আমি তোকে কিছু ভাল বন্ধু দিতে চাই
আরণ্যক তোকে সবার সাথে মিলিয়ে নেব
ভাল একটা জামা পরে তাড়াতাড়ি
ঘর থেকে বেরিয়ে আয়-আর দেরি করিস নে।

স্বর্গীয় আরণ্যক-৫

স্বর্গীয় আরণ্যক-৫

আরণ্যক বই ছেড়ে খেলতে গেলি
দেখ তোকে কেউ খেলতে নেবে না
চুপ করে পড়ার টেবিলে বসে পড়
দেখ চিন্তারা তোকে বসে থাকতে দেবে না
তোর বুক ঘেমে গেছে, হাঁটুর সাথে কথা বলিস
তোর এত কথা কেউ শুনবে না
পাখিদের মত উড়িস তোকে কেউ
দেখতে পাবে না
তুই ইশ্বর সৃষ্ট দেবতা তুল্য মানুষ
দেখ তাও তোর কেউ সুনাম করবে না
ফুলের কুঁড়ি হয়ে বাগানে ফুঁটিস
তোর দিকে কেউ তাকাবে না
আমাদের এখানকার পানি পানের উপযুক্ত
তাও তোর তা ভাল লাগবে না
যা না হয় অন্য কোথায় বেড়িয়ে আয়
কোথাও তোর পা দাঁড়াবে না
খেলার মাঠ, পড়ার বই কেউ তোকে সাথে নেবে না
তোকে সাথে নেবে না ঘর-মেঝে, ছাদ
তোকে সাথে নেবে না ধুধু প্রান্তর ও মরুভূমি
দেখ দেহটা খুব শুকনো, মুখে তৃষ্ণা
তবু তুই হাটুর সাথে কথা বলিস
তোর কথা কেউ শুনবে না।

স্বর্গীয় আরণ্যক -৪

স্বর্গীয় আরণ্যক -৪
—-
মেয়েটাকে খুব বুঝি ভালবেসেছিলি আরণ্যক?
খুব করে তাকে কাছে রাখতে চেয়েছিলি?
আরণ্যক দ্রুত বেগে শহরের রাস্তায় গাড়ী চলে যায়
সেভাবে তুই না হয় একটু শান্তির জায়গা থেকে বেড়িয়ে আয়

চারা গাছ লাগাতেই মারা গেল তোর!
এত সুন্দর ঘরে তোর ছাদ ফেঁটে গেল!

আরণ্যক তোকে কি বলে সান্ত্বনা দেব?
আর রাত জাগবি না, নিঃসঙ্গ থাকবি না
যেভাবে বক পাখিগুলো আকাশে উড়ে যাবে
সেভাবে নিজের চিত্ত ভাসিয়ে দিস
আরণ্যক প্রতিদিন তোকে মেঘমালা ভালবাসে
বৃষ্টিতে ভালবাসে, অরণ্য ভালবাসে
এখানে সান্ত্বনা বলে আছে রোদ ও বৃষ্টি দুটোই
আজ দুপুরের খাবারটা ভাল করে খেয়ে নিস
কাজ মন দিস, সব ভুলে থাকিস
ঠিক আগের মত করেই এক বুক আশা নিয়ে
বাড়ী ফিরিস, হাসি মুখেই বাকী কাজগুলো করে নিস
আর সবটুকু ভালবাসা পৃথিবীতে ছাপিয়ে দিস
প্রকৃতি ও পৃথিবী তোর ভালবাসায় একাকার হয়ে যাবে।

স্বর্গীয় আরণ্যক-৩

——
প্রিয় আরণ্যক খোদার দেওয়া কষ্টগুলো
আশীর্বাদ ভেবে ভালবাসিস
প্রতিদিন তুই কষ্টগুলো সহ্য করার
অভ্যাস করিস

দেখ খড় ও শুকনো পাতাগুলো উড়ে যাই
নিজের চাওয়াগুলো ওভাবে উড়িয়ে দিয়ে
কষ্টগুলো বুকে তুলে রাখিস

প্রতিদিন তোর বাড়ির পাশের নদী দিয়ে স্রোত চলে যাবে
বাতাস ভেসে যাবে
মেঘ ভেসে যাবে
প্রতিদিন খোদার দেওয়া পৃথিবীটাকে
দুচোখ খুলে , বুক ভরে দেখিস
প্রতিদিন জীবনটাকে হাল্কা করে দেখিস

প্রতিদিন ব্যথাগুলোকে ঠুনকো মনে করিস
প্রতিদিন সবার সাথে হাসি মুখে কথা বলিস
প্রতিদিন স্বাভাবিক হয়ে আনন্দে থাকিস
প্রতিদিন খোদার দেওয়া কষ্টগুলো
সহ্য করে থাকিস,খোদাকে ভালবাসিস।

পুত্র আমার পিতা আমার

এগুলো আমার পুত্রের পরণের জামা
এগুলো সেন্ডেল এগুলো তার প্যান্ট
বয়স তার মাত্র এগারো মাস
কেবল একটু একটু হাটতে শিখেছে
বাবা মা বলেও একটু একটু ডাকতে পারে

পুত্রের কোন পোশাক আমি ময়লা হাতে
ধরেতে পারিনি
পায়ের কাছে জামা, স্যান্ডেল পড়ে থাকলে
তাড়াতাড়ি শ্রদ্ধাভরে তুলে রাখি সেগুলো আলমারি
কিংবা সোকেচের উপরে

প্রিয় পিতাকে হারিয়েছি অনেক আগে
পুত্রের মাঝে পায় বৃদ্ধ পিতার মূর্তি
পূর্ণ অভিভাবক ভেবে ফেলি তাকে
সময় সময় আমাকে সে চড় থাপ্পড়
কিল ঘুসিও মারে

প্রিয় পিতা প্রিয় পুত্র আমার
বাবার গায়ের ঘ্রাণ ও বাবার চেহারা
পুত্রের সাথে মিশে গেছে
মন পড়ে থাকে যেখানেই যাই
পুত্রের কাছে
তাড়াতাড়ি অফিস থেকে ঘরে ফিরি
প্রিয় পুত্রের টানে

পুত্রের খেলনাগুলো দেখলেও কেমন
যেন মায়া লাগে
পুত্রের হাসিটাও মায়ার
তার চেয়েও মায়া লাগে
তার কান্না শুনলে

সুন্দর হাফপ্যান্ট ও সুন্দর টি শ্যার্ট
পরা পুত্র যখন আমার কোলে আসে
আমিও আমার পিতার আদরের পুত্র ছিলাম
সেকথা খুব মনে পড়ে

যেখানে যাই সবখানে সব শিশুকেই
আপন ভেবে ফেলি নিজের পুত্রের টানে
পুত্র আমার পিতা আমার
সবখানে সে মনে প্রাণে।

স্বর্গীয় অারণ্যক -২

স্বর্গীয় আরণ্যক-২
———-

ঠুনকো এক টুকরো মেঘের মত
আরণ্যক তুমি হারিয়ে গেলে
বলিষ্ঠ গোলাপের মত তুমি ফুঁটেছিলে
এখন তোমাকে পাওয়া যায় না খুঁজে

হেটে হেটে চলে গেলে আমাদের শহর ও গ্রাম থেকে
প্রতিদিন তোমার জন্য প্রিয়সী পথ চেয়ে থেকে

লোকালয় ও শহর ঘুরে ঘুরে
তোমার মত পাগোল একখান জোটেনি বলে
প্রিয়সি তোমার রয়ে গেল একা বসে

চারা গাছের মত মরে গেলে আরণ্যক
অকালে একটুকু পানি পাওনি বলে
নদীর মত চলে গেলে বেঁকে বেঁকে

প্রতিদিন তোমার কথা ভেবে ভেবে
আমাদের একখানি মেয়ে এখনো গসুল করেনি
খায়নি –আমরা তাকে পাগলি বলে ডাকি মাঝে মাঝে
জান আরণ্যক তোমার জন্য এখানে ভালবাসা আছে
চলে গেছ সময় মত মূল্য পাওনি বলে
অকালে একটু যত্ন পাওনি বলে

চলে এসো আরণ্যক আমাদের একখানি
পাগলি মেয়েটির কাছে।

অন্তরের চাহিদার কোন দাম নেই

এই এক-ই আকাশের নীচে থাকি তুমি ও আমি
প্রতিদিন তোমার বাড়ির প্রায় কাছাকাছি রাস্তা দিয়ে যায়
যে বাতাসগুলো তোমাকে স্পর্শ করে
সেগুলোও হয়ত আমাকে স্পর্শ করে
আচ্ছা প্রীয়সি পৃথিবী আমাদের এত আপন করে
এ ভাবে ফেলে দিল কেন?
সীমানা পেরুলো আইন লঙ্ঘন হয় কেন?
দেখ ইশ্বরের সৃষ্ট নৃশংস মানুষগুলো দেহ ও ভালবাসাগুলো
কিভাবে পাহারা দিচ্ছে,দখল করছে
খুব সাধ করে ইশ্বরের পৃথিবীতে তোমাকে একবার
স্পর্শ করে আসি,সম্ভব নয়
দেখ নোংরা দেহখানি কত দামি?
অন্তরের চাহিদার কোন দাম নেই।

কথা হবে না

কথা হবে না
——–
কি আশ্চর্য ব্যপার ,তোমার সাথে দেখা হলে
তোমার আমার আর কথা হবে না
অথচ তোমার হাত দুটো আমি দীর্ঘসময় ধরে থাকতাম
তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতাম
কোন বাধা থাকত না
দীর্ঘ সময় তোমার সাথে কথা বলতাম
প্রীয়সী বিচ্ছেদ কতটা সহজ আবার সহজ না
ভোলা যায় ,ভোলা যায় না
পাওয়া যায় ,পাওয়া যায় না
তোমাকে স্পর্শ করা আমার এখন নিষেধ
অথচ এক সময় তোমাকে স্পর্শ করতাম
কি এক হিংসে আমার তোমাকে কেড়ে নিল
কি এক ঝড় তোমাকে আমাকে আলাদা করল
গাছ ভেঙ্গে গেল ,ছাদ ভেঙ্গে গেল
মাঠ ময়দান ঘুরে গেল ,পথ পাল্টে গেল
তোমার সাথে দেখা হবে না
যদি দেখা হয় ,কথা হবে না

এত ভাববার কি আছে?

এত ভাববার কি আছে?
———
তোমাকে দেখতে গিয়ে আর কি হবে
কোন না বাড়ী উঠানে গৃহস্থলির কাজে তুমি ব্যস্ত
জান প্রিয়সী –তোমার আমার খুব মিল

তুমি আমি একই আকাশের নীচে
প্রতিদিন এক-ই চাঁদের মুখ দেখি দুজনে সন্ধ্যে হলে
তা কি কম পাওয়া বল?
প্রতিদিন পৃথিবীর মানুষগুলো ব্যস্ত হবে
ঘুমোবে,খাবে,হাসবে,কাঁদবে
আমি ও তুমি সেরকম-ই মানুষ
ভাববার কি আছে এত ?

সব-ই তো ঠিক আছে
পৃথিবীর সব গাছ আজ পাতা ধরাবে,পাতা গজাবে
রাস্তা সব মানুষ ব্যস্ত হয়ে হেটে যাবে
আমি ও তুমি নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত থাকব
যথেষ্ট মিল আছে
আর ভাববার কি আছে?

আরণ্যককে মাপা যাবে না

———
আরণ্যকের বিনয়ী হাসির মূল্য হবে কি?
কে দিবে আরণ্যকের কান্নার মূল্য?
এ পৃথিবীতে মানুষের কান্নার ভাবনার মূল্য কি মাপা যায়?
আরণ্যক বাসের জানালা দিয়ে বিশাল পৃথিবী দেখবে
কিছু বাতাস আরণ্যকের চুল উড়াবে
আরণ্যক চুপ হয়ে বসে রইবে
হয়ত সময় পেলে কারোর সাথে কথা বলবে
হেটে যাবে আরণ্যক তার রীতিমত প্রয়োজনীয় জায়গায়
বাজারে ঘাটে
আমি আরণ্যকের স্বর্গীয় স্বভাবকে মাপতে চেয়েছিলাম
অনেক দূর থেকে আরণ্যক ফিরে আসবে ঘরে
আমি তার দূরত্ব মাপতে চেয়েছিলাম
আসলে মানুষের ভাষা ,কথা ,ভাবনা,ব্যথা,হাসি ,কান্না
মাপা যাবে না
মাপা যাবে না
মানুষকে মাপা যাবে না
আরণ্যককে মাপা যাবে না।

কম করে ভালবেসো

এত সুন্দর ভালবাসা তোমার অন্ধকারেরও হিংসে হতে পারে
প্রতিদিন ভালবাসা কম করে বেস,নইত চুলের খোপারাও
হিংসে করবে
আলোতে ভালবাসা হিংসে করবে
মানুষ হিংসে করবে
শয়তান হিংসে করবে
প্রিয় প্রেমিক তোমার ভালবাসা টিকবে না
এত ভালবাসলে সে ভালবাসা টিকে না, চলে যাবে
মরা লাশের মত ভেসে সমুদ্রের স্রোতে
আকাশের মেঘের মত করে
ঝড়ে উড়ানো শুকনো পাতার মত
প্রিয় তরুণ কম করে ভালবেসো প্রিয়সিকে।