খেয়ালী মন এর সকল পোস্ট

সুখের দ্বিতীয় পাঠ

images

এক টুকরো সুখ ঠোঁটে উড়ে যায় পাখী
শূণ্যতাকে সাথে নিয়ে জাগে তার আঁখি
নীল অাকাশ ললাট তাঁর, চাঁদ হয় টিপ
সরোবরে জমানো স্বপ্ন হয়েছে অলীক
অলীকতায় হৃদ পোড়ে ভীষণ সকালে
ঝরে পড়া অশ্রুর দাগ জমেছে কপোলে।

আছে ডানা, আছে চোখ, সাথে বাসনা
উড়িতে পারেনা তবু, কারণ অজানা
অজানা সে পথে পথে সমাজের মুখ
সমাজ দেয়না কোন রোগের অসুধ
পুরুষ দাঁড়িয়ে আজ ভিন্ন ভিন্ন মতে
ভাগ্যবিধাতা চলে বাতাসের রথে।

তবু হাতে বরমাল্য হবে বলো কার
প্রেমের অঙ্কুর রূপ ভূমিতে যাহায়!
তুমি আছো, আমি আছি অার আছে মায়া
তবুও চলতি পথে সাথী শুধু ছায়া
শীতল জলের স্রোত পাহাড়ের বুকে
পাহাড়টা উদাসীন ঝর্নার সুখে।

খরস্রোতা নদীর মত সকল জীবন
ভাসায় স্বপ্ন সুখ, হৃদয় অার মন
তবুও সুখের খোঁজ করে কেন অাঁখি?
সব সুখ নিজ বুকে জানে না কী পাখী!

সময়ের লক্ষভ্রষ্ট তীর

বেদনা আর সম বেদনা দিয়ে কি হবে আর, সময় তো আসবে না ফিরে
সাথে নিয়ে মৌ-মাছিদের প্রান; সময় তবে কি পেরেছে কবে;
সময় শুধু পোশাক তৈরীর ক্ষমতা দেখাতে সক্ষম হয়েছে,
পরিপত্র দিয়ে এখন আর কিছু পরিবর্তন সম্ভব নয়।

জীবন এখন বাঁওড়ের মাঝে স্থীর, মানুষে চাতুর্যতা
এখন প্রতিজিহবায় জড়ানো মৌবী। সুযোগের অপেক্ষায়
যজমান সাজ বিচিন্তিত মঞ্চে পিন্ড দান করে।

কেয়ামতের প্রলুব্ধ ভয় লোভের তাবুতে প্রচ্ছন্নতায়
পুরোগামী যে পথে ভুল করে ঠুকেছে মাথা,
সাকার কিংবা নিরাকার কতটা দিয়েছে সেই
সৌখিন লোবান; বিবেকের কাছে দ্বায় মিটাতে।

পৌরানিক যুগে ফিরে যেতে যেতে মাথা ঘুরিয়ে
বিচারের চৌকাঠে লোলুপের ফাঁসি কে দেখেছে
কবে? আজো কোন জনপথে সীতাদের অগ্নী পরিক্ষা হয়
কিংবা দ্রুপদির লজ্জা বস্রতে ঢাকতে পারে না
হাজার নেকড়ের চোখের – নখের থাবায়।

অতীথি পাখার দল মাঝ পথে পাখা ভেঙে পরে রক্ত নদীর বুকে
ঘৃনার শকুন – শকুনিরা পাখা মেলে উড়ে চলে রাজপথে,
পারাপারের মাঝিও বুঝে গেছে জীবনের থেকে অর্থের অর্থ অনেক বেশী মজবুত;
দেশের ক্ষয় কিংবা ক্ষয়ে যাওয়া জীবন থেকে যেটুকু চেটেপুটে নেয়া যায় তাই
জীবন বোধ।
ততটা উচুতে উঠতে পারে না মানুষ, যেখানে শকুনের চলাচল;
আর পাকা শিকারীর হাতে থাকা হাজারো তীর লক্ষভ্রষ্ট হয়ে পরে
মাটির উঠানে।

ভালোবাসার নদী

ভালোবাসার নদী

ভালোবেসে একটা নদী চেয়েছিলাম
যার পার ছুঁয়ে জেলেদের ঘরবাড়ি থাকবে,
সরল বিশ্বাসে পুরুষের শরীর পেতে দেবো সেই
চপলার কাছে। তোমার নদী নদী মন আমাকে ভাসাবে,
আমাকে ডুবাবে, জোয়ারে কাছে টানবে, ভাটায়
একটু দূরে ঠেলে দেবে, ঠিক নদী যেমন করে তার উপরে
ভেসে থাকা বারোয়ারি পূজার বিসর্জিত ভাসমান দেবীকে।

কিংবা খুব বরষায় দু-কূল ভাসানো জল আবার ফাগুনের শেষে
কিছুটা গভীরতাহীন। তোমার ভালোবাসা কোন গাঁয়ের বধূর
কলসিতে ছলাৎ ছলাৎ সুরে দিন শেষে ঘরে ফেরার ছবি দেখবো বলে
কত না রং বদলে দিয়েছি আকাশের নীড়ে,
নিজেকে বন্ধী করেছি শামুকের খোলসে, হৃদয়ের খুব কাছে
পরে থাকা শিউলি গুলো তুলে দেখিনি তোমাকে দেখবো বলে,
মেঘেদের ডাকে বাইরে বের হইনি একাকি কোন দিন;
শুধু দু-জন এক সাথে ভিজবো বলে।

তবু আজো আমি একাকি ভিজে চলি এক ছন্নছাড়া চাঁদের আলোয়,
গলিত জোৎস্না আমাকে দগ্ধ করে, মাকড়সার জালের মায়া বাঁধন
আমাকে ঠেলে নিয়ে যায় সময়ের শেষ প্রান্তে।

ঘরগেরস্ত চাঞ্চল্যে আজও তুমি বাগান সাজাও নিজ হাতে, আর
আমিও একটা ভালোবাসার নদী হতে চাই।

মেঘলাসুনীল দিনে যে নদী ভালোবেসে
চৌচির করে দিতে পারে তার দু- কুল সাজানো
শিল্পের কারুকাজ।

ফেলেআসা সময় কিংবা প্রেম

86301_o

তারপরে…
বিবর্তনবাদ খুবলে খেয়ে যায়
উড়তে থাকা অনুভুতির পাখনা;
মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা শরীর
হারায় উষ্ণতা,
মগজের কোষে যাদুমন্ত্র গুলো
নিজেকে জাগাতে নির্ভরতা ছোঁয়া খোঁজে নাগপাশে,
আর আমি তুমি কিংবা আমরা মানসিকতাকে দ্বায় চাপিয়ে
দাবা খেলার দায়িত্ব থেকে মুক্তি নেই।
তারপরে…..
কেউ চলে গেলে পিপাসায় জেগে উঠি মাঝরাতে,
পাশের বালিশে রেখে যাওয়া শারীরিক গন্ধে
স্মৃতিগুলো নীরবে জেগে ওঠে।
চলে গেলে অভ্যাস হয়ে যাওয়া কলিংবেলটায়
বেখেয়ালে চাপ পড়ে যায়, তালাবদ্ধ দরজায়।
চলে গেলে চাবিরতোড়ায়
পকেট ভারী হয়ে যায়
হৃদয়ের মত।
তারপরে……..
দূরে বহুদূরে
ভালোবাসাবাসির অবক্ষয়ের জেগে থাকে রেশ
আমিও জেনেছি বহুগামী মন
দৃষ্টির দাবানলে স্মৃতি গুলো ভুলে যায় বেশ।
=========================== ♥♥

জীবন বৃত্তে দহন চাষ

index

বৃত্তের মাঝে বন্দি জীবনদশা
তোমাতে আমাতে কাঁটার ক্ষরণে গাঁথে
সংসার ভেঙ্গে চৌচির হওয়া দাগে
নতুন কোন জীবনের গল্প আঁকে।

সুখের কোকিল বসন্ত দিনের সাথি
বোঝেনি অবুঝ জীবনের মানচিত্র
নোঙ্গর করা জীবনের নৌকাখানি
ভেসে গেছে আজ প্রবল স্রোতের টানে।

সুখের চড়ুই নীড় বেঁধেছিলো যেই ঘরে
দুঃখের দহনে বেহিসাবের ফলাফল
আমিও কেঁদেছি রক্ত গোলাপ হাতে
তোমার চোখেও বেদানা অশ্রু জল।

ভুলকরা দিন চলে গেছে সেই কবে
নিপীড়ন ক্ষনে বিবেকের পোড়া স্বাদ
আমাদের মাঝে ধর্ম দেয়াল তোলে
পারিনি বুঝতে জীবনের চাষাবাদ।

তোমাতে আমাতে করেছে যে বিভাজন
সময় অসময় তাকেই স্মরণ করি
তৃষিত বুকে শান্তির সুধা পেতে
মন মন্দিরে তাহার প্রাসাদ গড়ি।

তবুও যখন মাঘ নিশি শীতে জাগে
তুমি আমি জাগি জীবনের ক্ষুধা নিয়ে
পুড়ে যাওয়া জলে কলমি লতার মত
আমাদের জীবন নরম মটিতে বাঁচে।
====================== ♠♥♠

পরদেশী পাখির পালক

2167657536_o

আমার দরজায় কেউ একজন কড়া নেড়েছিলো
সে তুমি নও অন্য কেউ, হয়তো মাঘের শীত।
তখন আমি অাবৃত ছিলাম পশমি পাখির পালকে,
সকালের অালস্য ভেঙে জেগে উঠতে পারিনি যেমন
জেগে ওঠে সকালের কচি রোদ লাজুক পাতার ফাঁকে।

জীবনের বাঁকে জমেথাকা প্রতিটি ঋতুই একটি অতিথি পাখি
তোমারই মত ঘুরেফিরে আসে গান গায়, গল্প করে
তারপর শরীর ভিজিয়ে
নিজেকে তৃপ্ত করে ফিরে যায় পরদেশী মেঘের মত।
আমার গভীর থেকে ফিরে গিয়েছে কেউ একজন
সে তুমি নও অন্য কেউ, হয়ত পড়ন্ত বিকেলের রোদ।

আমি তাঁকে ফেরাতে পারবোনা বলে পিছু ডাকিনি
সেই থেকে পিছুটান আমাকে ডুবিয়ে দিয়েছে।
প্রজাতির জীবনদশার মত সরল বিশ্বাসে জমেথাকা
পালকের উষ্ণতা হারিয়ে গাঢ় কুয়াশার শীতে কু আশা নিয়ে
বারংবার অভাব দেখেছি সময়ের ক্ষয়ে যাওয়া পথে।

যাপিত জীবনে বয়ে চলা সময়ও একটি অতিথি পাখি
তোমারি মত ভিন্নভিন্ন নামে ফিরে আসে, কখোনো বৃ্ষ্টি ঝরায়,
কখনো রোদ ঝলমলে দিন, কখনো বা বৈরী সমুদ্রের ঢেউ যে কিনা
নিজের ইচ্ছে পূরণ করে খুব শান্ত মেজাজে ফিরে যায় প্রকৃতির বুকে।

আমাকে এঁকেছিলো কেউ একজন, সে তুমি নও অন্য কেউ হয়তো আকাশ
তার জমে থাকা বিন্দুবিন্দু জলে কাজলের রঙ দিয়ে গড়েছিলো এক ছায়া মূর্তি
আজো আমি তাকে বহন করি আমার প্রতিটি অালোক বিন্দু দিয়ে।
===========================♠♠

সেলফি ভাবনা….

594052

সময় খুবলে খেয়ে ফেলে আমাদের সময়ের বিন্যাস,
পোড়ামাটির রঙে জেগে থাকে ইতিহাসের কারুকাজ
জীবনের সাধ পুড়ে ছাই হয়ে পড়ে থাকে হা – হুতাশ
জংধরা ভাবনা গুলো আঁধারহীন ফাগুনের মাস।

স্বাধীনতার ভাবনা

8_o

স্বাধীনতা মানে উদাম শরীর
স্বাধীনতা মানে ঘুড়ি,
স্বাধীনতা মানে নাটাই তোমার
আমি সারাদিন উড়ি।
স্বাধীনতা মানে সাতনড়ি হার
ঝুলে থাকা বুকের মাঝে,
স্বাধীনতা মানে উদাস দুপুর
কিছু কথা কানেকানে।

স্বাধীনতা মানে জননীর মুখ
শুভ্র সকালবেলা,
স্বাধীনতা মানে শুক্রবারে
সব কিছু হেলাফেলা।
স্বাধীনতা মানে পতাকা হাতে
সোনার বাংলা গান,
স্বাধীনতা মানে ঝরে যাওয়া সুখ
ত্রিশ লাখ প্রাণ।

স্বাধীনতা মানে ক্লাসের করিডোর
হাঁটিচলি গান গেয়ে,
স্বাধীনতা মানে পালতোলা নাও
মাঝি চলে নাও বেয়ে।
স্বাধীনতা মানে সবুজ ঘাসে
সকালবেলার আলো,
স্বাধীনতা মানে অাঁধার সরিয়ে
বাঁচার মশাল জ্বালো।
__________________♥♥

হেমন্ত বিলাপ

12631_o

যাবার বেলায় বলেছিলে
ফিরে আসবে হেমন্তের ফসল ঘরে তুলতে,
ফিরে আসবে মাঠের পাকা ফসলের বুকে,
ফিরে আসবে শরীরে জেগে ওঠা শিশিরের ঘ্রাণ পেতে।
সেই থেকে প্রতিটি হেমন্তের আগমনে ফসলের বীজকোষে
আমি কৃষাণি হয়ে যাই। অপেক্ষার প্রহরে পাতার ফাঁকে রাতের
শিশিরজলের প্রত্যাশা নিয়ে বসে থাকি তোমার রেখে যাওয়া
প্রেমের ভ্রুণকে বাঁচিয়ে রাখবো বলে।

ফিরে অাসবার আগে
সব কিছুরই একটি আগমনী গান থাকে
নিজেকে জানান দেবার জন্য;
তেমন কোন সুর আজো শুনতে পাইনি
তোমার রেখে যাওয়া লতা কিংবা বৃক্ষের শাখায়;
দেখাতে পারোনি আজো গৃহস্থের পূর্ণ ফসলের ডোলা।

তবু কোনদিন কারো কাছে বলিনি সোনালী ফসলের মাঠে
হয়নি কভু চোখ মেলে চাওয়া, হয়নি নগ্ন পা’য়ে ছুঁয়ে দেখা
সবুজের শীতল তরল, যে তরল তপ্তরূপে শুষে নেয়
বুকে থাকা জমাট শ্যামল।
শুধুই জেনেছি আমি, পাকা ফসলের ঘ্রাণ
সময়ের ভারে ক্ষয়ে ক্ষয়ে পড়ে জমিনের বুকে।

তবু কোনো বোধনের সুরে ডাকি’নি তোমায়;
সুখের দ্রুপধি স্বপ্ন ভেঙে যাবে বলে। যেমন
হেমন্ত তার সুখস্পর্শ ভেঙে চলে যায়
পৌষ’এর কুয়াশার কাছে।
প্রতিটি শরৎ শেষে উত্তরায়ণে থাকে তনু;
পেতে চায় কিছু হেমন্তে জড়ানো থরথর
সুখের কম্পন হৃদয়ের অাঙ্গিনায়।

মৃদু উষ্ণ শিশিরে জড়ানো মন
নতুন বীজের স্বপ্নে ঝেরে ফেলে
জীবনের যত শব চিটাধান।
এখনো তোমার শরৎ পথের
হয়নি কী অবসান!!
এ গাঁয়ে এখনো মাতাল ঘুঙুর হেমন্তের পা’য়ে
কামনার নৃত্যে বাজে,
এ গায়ে আবারো জরানো চাঁদের আলোতে তারাদের সাথে
রাতজাগে কুমারীর লাজে।

ভিনদেশী তারা বসন্ত দিনের সাথী, সঞ্চিত করো প্রেম সুধা তব
হৃদয়ে হেমন্ত ডাকি
ফিরলে কুলায় দেখতে পাবে, কার্তিক মাসের দ্বাদশীর চাঁদে
জেগে আছে দুৃ’টি অাঁখি ফসলের অাগমনে।

পরিসীমা

শৈশবে তুই রংবেরঙ ফুল
কৈশোরে হও নিটোল দীঘির জল
বয়স সন্ধি চপলা এক নদী
মনের কথা কার কাছে কই বল।

যখন তখন ঝরনার হাসি হেসে
গড়িয়ে পরিস পাথর গুলোর গা’এ
পাথর বুকে কতটা জল ধরে!
চল ভেসে যাই
আমার ছোট নাও’এ

একটা আকাশ বুকে নিয়ে
চোখের কোনে মেঘ
সবুজ বনে দাবানল হয়
ঘার ঘুরিয়ে দেখ।

চোখ ঘুরিয়ে দেখনা চেয়ে
উদাস হাওয়ায় মন
প্রেম উড়িয়ে মন খুঁজি চল
মাতাল সমীরণ।

একলা সময় যাচ্ছে কেটে
দিনে এবং রাতে
ভাবছি চুলে জট পাকাবো
বট বৃক্ষের সাথে।

চিরহরিৎ এর সৎকার কার্য

পরিপূর্ণ ঘুম আসে না
শুধুই এপাশ ওপাশ
আঁৎকে উঠি স্বপ্ন দেখে
ম্যানহোলে বন্ধুর লাশ

মানুষ কসাই
কসাই মানুষ
একই সুতায় দেখি
স্বাধীন জীবন কোথায় পেলাম
আসলে সব মেকি

বুদ্ধিধরা বুদ্ধো মানুষ
শুধুই কথার ঝাল
চিরহরিৎ এর রক্তে দেখি
রাজপথটা লাল

ধর্ম আর রাজনীতি
একই সুতায় গাঁথা
পচে যাওয়া বকধার্মিক
তিনিই দলের মাথা

ঝাপসা চোখে যেদিক তাকাই
অজগরের বাস
ইদুর ছানাই টোপ হয়ে যায়
মুদ্রার এপাশ আর ওপাশ

কলি আমার ফুল হলো না
কীট কাটে তার বোটা
চিন্তা টাকে ঘুরিয়ে দিতে
চায় রক্তের ফোটা

মন্ত্রীরা খুব যন্ত্র এখন
ডিজেল গ্যাসে চলে
প্রাতঃকালীন বিচার কার্য্য
শ্রীযুক্তাদের দুর্বোধ্য পর্দা তলে

থাক ঘুমিয়ে চিরতরে
মোর পাঁজরের হাড়
তোদের জন্যই আমার দেশ
আমার অহংকার।

ভালো লাগে তার বলা

নৃত্য, গীতি, ছলাকল
নরম হাতের মিষ্টি কিল
খেলে পরেও ঠান্ডা দিল
এই ভালোবাসা হয় নীল

মাথার মধ্যে সকাল সন্ধ্যা
ভালোবাসার বুদবুদ
রাত্রি জাগার কারণে
ভালোবাসা হয় হলুদ

চার পাঁচজন সখা সখী
সর্ব সময় ঘুচঘুচ
এই পিরিতি বিফল হবে
রং হবে তার আফসুস

অনেক কষ্ট ব্যাথা সয়ে
প্রেম হয়েছে কাল
মরন যদি পিছলা কাটে
সেই পিরিতি লাল

আসল প্রেমের মজা যদি
বুজতে চাও তুমি
জেনে রাখে ভালোবাসার
রং জন্মভূমি।

প্রেমের শরশয্যা

মনের সব মধু চেটেপুটে খেয়েছে মৌমাছি
শরীরে জমে আছে শুধুই ধুতরাফুলের বিষ
প্রেমের ক্ষরণ শেষে মরনের বেলা
কি নিয়ে যাবো বলো ফুলের বাসরঘরে!
সেই কবে জেনেছিলাম সবাই প্রেমে পড়ে।

একবার স্বাদ জেগেছিলো মনে প্রমের দহনে জ্বলে
বুকেতে আগলে রাখি তাকে অনলের সুখে।
গেঁথেছিলাম প্রেমের মালা আঁখির ফুলেতে,
দিন শেষে সেই মালা হেমলক রসে
আমার গলাতে ঝুলে সাতনরী হয়ে।

পারিনা গিলে নিতে, পারিনা ফেলে দিতে যন্ত্রণার ঢেউ এসে
অাঁখিকে ভাসায় জলে তৃষিত সাগরে
এখন বুঝতে পারি পিরিতের কাদাজলের তীব্র দহনে
শরশয্যায় বেঁচে অাছি কষ্টের কাননে।

রং এর ভালোবাসা

বুকের মধ্যে অনেক অভাব
দেখলো নাতো কেউ
দিন রাত্রি একই রকম
সাত সাগরের ঢেউ

ভাবনা গুলে ভেবেই মরি
অনুভবহীন সময় পার
কষ্টগুলো কেষ্টর ধন
রইলো নাতো কেউ দেখার

সাত রঙএ সাতটি ধারা
ভালোবাসার মানে
কোন রঙএ তে কেমন প্রেম
কজনেই তা জানে

বলতে শিখি বুজতে শিখি
খুঁজতে শিখি ঢং
এটা হলো ভালোবাসার
আসল মেকি রঙ

বাঁকা চোখে মুচকি হাসি
তোর গলাতে পড়বে ফাঁসি
বুজবিরে তুই এরই জ্বালা
এই প্রেমের রঙ যে কালা

যখন কোন প্রেমে লাগবে গায়ে কাদা,
জাত কুল মান সবই যাবে
দেয়ালটাতে ঠুকবি বসে মাথা
মান সম্মান সস্তা নয় জানিস
এই প্রেমের রঙ সাদা হয় মানিস ।

আমার আলোকচিত্র – ০৫

ভালোবাসা আর অবহেলা দুই দিগন্তে বাস করলেও তাদের একটি মধ্য বিন্দু আছে, যেখান থেকে ভ্রুণ প্রতিষ্ঠা পায়, তাই ভালোবাসা দিয়ে মাপা হয় অবহেলা আর অবহেলা কে মাপা যায় ভালোবাসা দিয়ে।
ভালো না বাসলে অবহেলা আসে না আর ভালোবাসা সত্যি হলে কখনোই পথ হারায় না। ♥♥

♣♣ ছবিটি অনেক দিন আগে বুড়িগঙ্গা ব্রিজ থেকে তুলেছিলাম ♥♥