খেয়ালী মন এর সকল পোস্ট

বেড়া জাল

স্বপ্নের কোন বেড়া জাল নেই
দুঃস্বপ্ন তাই হানা দেয় সচল জীবনের পথে;
গ্রাহক দিনগুলো প্রতিকূল পথ থেকে
খসে পরে ধূলিকণা হয়ে সময়ের ভাঁজে।
গত দিনের ফুল আজ শোভা পায় না
দেবতার চরণে, আমরা সবাই কম বেশী স্বার্থের
কাছে নিজের সীমানার প্রতিবিম্ব চাই;
কিন্তু স্বপ্নের ধারা পাল্টাই না।
যে গৃহ এত দিন আমাকে রোদের ছায়া দিয়েছ
তাকে পাল্টে নতুন আবাস চাই, যে পোশাক এত দিন
আমাকে অাবৃত রেখেছে তাকে পাল্টাই,
যে খাবারে এই শরীরের শক্তি যুগিয়েছে তাকে
দূরে ঢেলে দিয়ে নতুনত্ব ইশারা করে প্রতিনিয়ত।

স্বপ্নের কোন বেড়া জাল নেই
ভঙ্গুর জীবন রোদ্দুরে পোড়ে শুকনো নদী;
সব কিছুই পাল্টে যায়, আসবাবপত্র সৌখিন থেকে
অারো সৌখিনতর হয়, পুরাতন ঘুনে ধরা সর্ম্পক
ছুড়ে ফেলে প্রাপ্ত দশ অানা নগদ কুড়ানো ;
যাপিত জীবনে মগজের কোষে বারে ঋণের ভার
যা বয়ে চলে প্রজন্ম ধারা।
তুমি আমি এর বাইরে জীবনের অস্তিত্ব নেই;
সবটাই স্বপ্নের কারসাজি, নাকি দুঃস্বপ্নের যাত্রাপথ।

স্বপ্নের কোন বেড়া জাল নেই
প্রতিদিন জেগে উঠি প্রতিদিন মরে যাই
প্রতিদিন অায়োজন করে গড়ি প্রতিদিন ভেঙে ফেলি
প্রতিদিন অজস্র চিন্তার জেগে উঠা গন্তব্যহীন পথে
প্রতিদিন অকাল বোধন, প্রতিদিন বিষপান
প্রতিদিন হেঁটে যাই প্রতিদিন ফিরে অাসি।
শুধু প্রতিদিনের স্বপ্ন সময়ের সাথে শব হয়ে যায়।

স্বপ্নরা ভালোবাসার মত
স্বপ্নের কোন বেড়া জাল নেই
নেই কোন সীমা
কলঙ্ক লেপন করে
সময় দ্রাঘিমা।

আমার আলোকচিত্র ০৫

আমার আলোকচিত্র তো বটেই। তবে সৌখিনতায় এই ছবি গুলোন আমার ক্যানন ডিভাইসে এসেছে। সতত ব্যস্ততার ভীড়ে ছবি তুলবার পর্যাপ্ত সময় আমার হাতে থাকে না। তারপরও কখনও বা কোথাও ভ্রমণ বা কাজের অথবা বিশ্রামের সুযোগ হয়, ক্যামেরার চোখ আমার চোখের সাথে ক্লিক করে ওঠে। নাম দিয়েছি পর্ব ০৫।

দুটি কুবিতা

দ্বিধাগ্রস্থ শিথানের পর্দা

চাঁদ একা জেগে থাকে নির্ঘুম রাতে
তারা গুলো ও জাগে দূরে আরো দূরে;
জেগে জেগে দেখে যায় যৌবনের শহর, শহরের রাস্থা,
নিয়ন আলো, গলির ভাঙ্গাচুরা পথ, পরিপাটি ড্রইং রুম।
মাঝে মাঝে শিথানের জানালার ফাঁক গলে
ঢুকে পরে সৌখিন বেডরুমে। শরীর ভেঙ্গেপরা নগ্নতার
কারুকাজ আর প্রেমার্দ্র বুকে ভালোবাসাহীন উত্তাপের চুমু;
দ্বিধাগ্রস্থ জানালায় পর্দা পরে।

শহরের নিয়ন আলোর রাস্থা গুলো হেঁটে হেঁটে চলে যায়
কুপি জ্বলা গ্রামে। যদিওবা কেরোসিন শেষ বিন্দু জ্বলে গেছে
বহুক্ষণ আগে তবুও ম্লান আলোয় আটপৌড়ে আলুথালু বধূটির
পাশে নিদ্রামগ্ন, দ্বিধাগ্রস্থ ভালোবাসা জেগে থাকে।

সব ভালোবাসা শব হয় একদিন যদি
তবু কেহ জেগে থাকে বিরান ঘরের দুয়ার খুলে;
কেহ করে অপেক্ষা সবুজ স্বপ্নের ফসলের মাঠ দেখবে বলে।
দ্বিধায় জড়ানো লাজুক পাতার ফাঁক দিয়ে
চাঁদ ঠিকই ফিরে যায় অমাবশ্যার কাছে;
তারা গুলো দূরে আরো দূর থেকে ভালোবেসে যায় ।

IMG_3227

শিরোনাম হীন

দুঃস্বপ্নও কখনো স্বপ্ন হয়ে যায়
বাস্তবতার হাতে গড়ে উঠে জীবনের সৌখিন বিন্যাস,
সময়ের ফুল অসময় সবুজ বৃক্ষ;
আমাদের ভালোবাসা এর থেকে বাইরে বেরতে পারে না।
আগুন রঙের মেঘ, রং বে রং এর চুড়ি কিংবা
বেনীমাধবের পাঠশালা এখন আর আমায় ভাবায় না।
রাজা রানির দিন শেষ, মানুষ এখন মন্ত্রী নিয়ে ভাবে,
আর হৃৎপিণ্ড জুড়ে কালো কাপরের জ্বর।
গঙ্গাজলে গঙ্গা পূজা চলে অবিরত, পূজার ঘর পেরিয়ে গঙ্গাজল
বারান্দায়, ড্রইং রুমে অতঃপর শোবার ঘরে, তারপর বন্যা হয়ে ভাসায়
বিছানার চাদর, হাতের রুমাল, চৌকাঠ, ঝুলবারান্দা, ঘরের আসবাব;
বন্যায় ভেসে যায় দুঃস্বপ্ন’র থেকেও আরো বেশী কিছু, আর জমানো
দুঃস্বপ্নকে আজ স্বপ্ন মনে হয়। দুই মেঘের বিরোধে তৈরী আগুনে
পুরে যায় সবুজ বৃক্ষ। আমি কোথাও আমার চালককে খুঁজে পাইনা
যার ছোট বাগানের ছোট গাছগুলো নিয়ে অনেক ছোট ছোট ইচ্ছে ছিলো
সেই ছোট বাগানে গাছটি এখন ভেসে চলছে গঙ্গাজলের বন্যায়।
অনেক গাছই অধিক পানি সইতে পারে না, কিছু শুকনো মাটি চায়
বেঁচে থাকার জন্য…….।

উৎসর্গঃ একজন গাড়ীচালকের সন্তানের জন্য।
.
.
নোটঃ এই দুটো আমার লেখা অনেক আগের কুবিতা, নেট খুঁজে পেয়ে গেলাম ভাবলাম জমিয়ে রাখি তাই পোষ্ট করলাম।

তোমার প্রদোষবেলা

তোমার প্রদোষবেলা

যদি প্রদোষবেলায় বৈশাখী ঝড়ের
দমকা বাতাসে গাছের সজীব পাতাও
উড়ে যদি যায় তোমার আঙ্গিনায়
অথবা কোন ঝড়ো বাতাস উড়িয়ে নিয়ে যায়
পাখিদের নীড় জেনো সরল ভালোবাসার উল্টো পথে
প্রকৃতির প্রকৃষ্ট প্রতিবাদ যা আমি পারিনি।

যদি প্লাবনে প্লাবনে ভেসে যায় নির্দোষ সুখ
যদি নির্ভুল সমান্তরাল জীবনের বাঁধ ভেঙ্গে
ঢুকে পরে কোন মাধবী রাত
অথবা মায়াবী চোখে পৌরাণিক প্রতিবিম্ব
আনে ভাসান পালা, জেনো স্বপ্ন নয় কোন
ছিলো আমার ভালোবাসার প্রতিবাদ যা আমি পারিনি।

প্রেমের বৈশাখী ভাব ক্ষুধাতে পালায়

“অভাব দেখালে তুমি
ডুবে যাবে দিন
অভাবের কাছে যার
অনেক বেশি ঋণ…” – জাহিদ জগৎ।
______________________

ঋণ করে দিন যায়
হেঁটে চলি খালি পা’য়ে
শুধিবো কেমনে ঋণ
করি হায় হায়।
ধার করে বারবেলা
গলা চাপে কালবেলে
কারবালার মগজ গলে
মহাজনের পায়।
প্রেমের বৈশাখী ভাব
ক্ষুধাতে পালায়।

যার ক্ষরণ নেই, মরন নেই

জীবনের আঙ্গিনায় নীরবে দাঁড়িয়েছিলো
যে ভাষা, কণ্ঠে বাহিরে আলো দেখেনি কোনদিন
দুরুদুরু বুক সাহসী যোদ্ধা হতে পারে কিন্তু
কিছু তো থেকে যায় মস্তিষ্কের কোষে
জমাটবদ্ধ রক্ত
যার ক্ষরণ নেই, মরন নেই
শুধুই স্বপ্নের ছাঁচে আটকে রেখে
কল্পনাকে বাঁচায়, জীবনবোধ বাঁচায়
আর বাঁচিয়ে রাখে
আগামীর জন্য আমাকে
কিংবা তোকে।

ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা মুরুব্বীর জন্য সকলের কাছে দৃষ্টি আর্কশন

বন্ধুরা
স্বনামধন্য শব্দনীড় বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা এবং শব্দনীড় ব্লগ মডারেটর আমাদের সবার প্রিয় আজাদ কাস্মীর জামান( মুরুব্বী) গত কয়েক দিন অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ছিলেন। তিনি আজ সকলের দোয়াতে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। ব্লগের সকল বন্ধুদের কাছে তিনি দোয়া চেয়েছেন যেন আতি দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে আবার সরব হতে পারেন।
আমি ভেবে অবাক হয়েছি তিনি এই শারিরীক অবস্থার মধ্যেও শব্দনীড়ে আসতে না পারার জন্য দু:খ প্রকাশ করে যে কথা বলেছেন আমরা তার সেই ইচ্ছার, সেই চিন্তা চেতনার কতটা কাছে আসতে পেরেছি।
আপনাকে সেলুট মুরুব্বী বস্ । সেই সাথে সকলের কাছে আন্তরিক অনুরোধ থাকবে এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা সবাই তার জন্য একবার দোয়া করি।

প্লিজ পোষ্ট আপনার ভালোবাসার অবদানটুকু রাখবেন আশাকরি, যেন তিনি বুঝতে পারেন শব্দনীড় তার পাশে আছে ও থাকবে।

ধন্যবাদ সকলকে।

অমীমাংসিত লেফাফা ২

পরজীবি গাছের চিন্তায় একটি সময়ের গোল টেবিলে
আমারা কজন বসেছিলাম মুখোমুখি, যৌক্তিক কথার
ফাঁকফোকর গলিয়ে সন্ধ্যা নামে, তারপর কথার জালে
আঁটকে পরে বিরক্তিকর আঁধার, কিছুটা ছায়া দেখা গেলেও
আমারা একে অপরের দিকে অন্ধকার ছুঁড়ে মারতে শুরু করি,
যেখানে যবনিকাপাত হবার কথা ছিলো, সেখান থেকেই
নতুন শুরু হয় রঙ্গমঞ্চের পটাবরণ। বাড়ন্ত নোলা দিয়ে
আলো চেটে অন্ধকারে কেটেছে চল্লিশ বছর, আর কতো
নখ, দাড়ি, গোঁফ সাজিয়ে রাখতে চাও ঝুলন্ত পাঞ্জাবীর পকেটে!

এইবার গাত্র তোল ফাঁসির মঞ্চে তোর ডাক পরেছে,
বারান্তর বারুদ এখন আর মানুষ ভয় পায় না।
দাত, নখ বা লাল চক্ষু এখন আমরা ভয় পাই না,
ফতোয়ার বুনো পারাং এর প্রতিবাদ করার ক্ষমাত
ধীরে ধীরে বুঝে নিয়েছে মানুষের দল। বৃত্তাকার সওদাগরির
চক্র ভেঙ্গে বেরিয়ে এসেছে যোদ্ধা বুহিতাল। প্রয়োজনে আবারো
তারা গান বাঁধবে, কবিতা লিখবে, করবে পথনাটক;
মানুষের মানবাত জাগিয়ে দিতে, তবু তোকে কেউ
আলোতে আনবে না। যতই চিৎকার করো
গোল টেবিলে আলোর মিছিলে দাঁড়িয়ে থাকা ভীতু
মানুষগুলোও বুঝে গেছে, ছুড়ে দেয়া অন্ধকার
আলোর কাছে কোন দিন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি আর
কোন দিন পারবেও না।

* এইটা কোন কবিতা না এটা কুবিতা, কবিতা ভেবে পড়লে সেই দায় আমার না।
ছবি নেট থেকে কপি পেষ্ট এবং ছবিটি রশীদ তালুকদারের তোলা।

বৃক্ষের জীবনে সার প্রয়োজনই সারকথা

সমুদ্র থেকে জেগে ওঠা চর বিলীন হয় মাতৃগর্ভে
সাথে করে নিয়ে যায় কিছু কিংবদন্তী সময়
কখনো কখনো কৃষ্ণ ও অভিশপ্ত হয় ভক্তের কাছে
আমি প্রজন্মের কাছে আশা রাখিনা,
এ যুগে দ্রৌপদীকে বস্ত্র দান কেউ করে না। না ঈশ্বর না মানুষ।

রোগ, শোক, জীর্ণ জরা, আশা নিরাশা, আবেগ, বিবেক,
কিংবা মাতাল কিংবদন্তি আমাকে ক্ষমা করেনি।

আমি মস্তক নত করে
যে ভিক্ষা চেয়েছি
দূর্বাঘাস নির্লজ্জ হয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে
জীবনের জীবন্ত জীবনান্ত জীবনাবসান;
অপেক্ষার সুযোগ সময়ে ছাড়া চারা গাছ
জন্ম দিতে পারে নি কোনদিন, মৌচাকেই শুধু
মধু দিয়ে যায় মৌমাছি-জাত প্রাণ;
আর সমুদ্রের সৈকতিনী প্রসব করে মৃত
সমুদ্রপ্রানী, মৃত্তিকাগর্ভ খুঁজে ঘেটে বুঝলাম
তার সর্বনিম্নে কেউ আবাস করে না
আর বৃক্ষের জীবনে সার প্রয়োজনই সারকথা।

গন্তব্যের শেষ সীমানায়

ভেসে যাই গন্তব্যের শেষ সীমানায়
কিছুতো থেকেই যায় বাকি
আমাদের মুছে দিয়ে উঠে যায় সময় সিঁড়ি মাড়িয়ে
পক্ষাঘাত জীর্ণ মৃত্যু ভুলে যায় পরিচিত ভালোবাসার মানুষ
একদিন পরিবর্তন হয় সমাজের ক্ষয়
বিবেক বেচে দিয়ে বেঁচে থাকার ভয়
হয় মানুষ এমন ও হয়।

প্রথম আঁকা জলছবি

প্রথম সেবার নদীর জলে সাঁতার কাটি আমি
প্রথম নদী তুমি আমার জোয়ার কিংবা ভাটি
প্রথম যে দিন বৃষ্টি মাদোল তোমার অঙ্গ ঢাকে
প্রথম সেদিন কাঁপন ধরায় জড়িয়ে ধরার ফাঁকে
প্রথম যে দিন গোলাপ কাঁটায় কাঁটে তোমার হাত
প্রথম সে দিন আমার জন্য ধূসর কালো রাত
প্রথম যখন অষ্ট প্রহর নষ্ট করার দিন
এক প্রহরে তোমার হাতে মেহেদী রঙ্গীন।

প্রথম আমার একলা চলা দৃষ্টিপথে নীল
প্রথম তুমি কারো জন্য তনু করলে বিলীন
প্রথম অামার সীমান্তপথ সীমান্তে হয় শেষ
প্রথম প্রথম বধূবেশে আনন্দ অশেষ
নীল জোসনা,লাল জোসনা, সাদা জোসনার মেলা
কালো জোসনার আলো নিয়ে প্রথম আমার চলা।

এখন প্রথম নষ্টকরি ভালোবাসার মালা
এখন প্রথম চিনতে পারি সুখ বিপরিত জ্বালা
এখন প্রথম স্বপ্ন দেখি সুখের ঘরে কাঁটা
অল্প সল্প ফুলের সুভাস মাতাল পথে হাঁটা।

এইতো প্রথম চোখ ফিরিয়ে আঁচল দিয়ে মুখ ঢাকো
এখন প্রথম ভিন্ন পটে জল রঙেতে ছবি আঁকো
এখন প্রথম আঁকড়ে ধরো স্মৃতির গভীর জল
অনেক সুখে লুকিয়ে রাখো মৌণতার সম্বল।

বুঝতে গিয়ে হারিয়ে গেলো অনেক অনেক দিন
বুঝতে চেয়েও গুলিয়ে ফেলি কে কার কাছে ঋণ।

ছবি ও কবিতা

জীবনের সঠিক মানে কি!
তা আজো সঠিক ভাবে জানা হয়নি।
জীবন উৎসে নাবী ধান হয়ে
এতটা সময়।
প্রমদা প্রলুব্ধ হয়ে ক্ষনকাল মোহগ্রস্থ
কল্পক ঢঙে জীবন নয়
রুদ্র দোষে জীবনের পোড়া খাই সমুদ্রসমান।
তোমার প্রজ্ঞার বীজে
আমার জমিতে বপন কর
সবুজ দিনের পাণ্ডুলিপি।
_________________

ফটো ডিভাইস : Canon. 55-250mm

অমীমাংসিত লেফাফা ১

ছবি নেট থেকে কপি পেষ্ট

সময়ের চড়াই-উতরাইর ভাঁজে ভাঁজে নিজেকে সাজাতে সাজাতে
সময়ের গা বেয়ে উঠে আসে সর্বনাশা সময়। যতটা হলে ঠিক মানায়,
সেই গোল টেবিলে ততটা খাদ্য ভরা পাত্র রেখেও হাতে লাঠি নিয়ে
চলে লোপাট জীবন, পায়ের উপরে এখন আর সবটুকু ভরসা
করা যায় না। যদৃচ্ছায় হেঁটে বেড়ানোর স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে
ফুট মেপে কিনে দেয়া বিচিত্র বিলাসী ইট। এখন বেশ বুঝতে পারি

বয়সি বিরহ ভালোবাসার নয় নির্ভরতার, আমার বিরচিত
রামায়ণে রাম আছে, সীতা আছে, লক্ষন আছে, রাবন ও আছে
তবে তা কিনা সময় ভেদে। একদা রাম, যিনি ছিলেন
তিনিই এখন রাবন, আর সীতা হয় সূর্পনাখা। কিছুটা
ছায়াছবিতে দেখা এক নায়কের দুইটি অভিনয়ের মতো।
তবু আমরা সংসার বিয়োজন করতে পারি না, বর্তমানের
গা বেয়ে উঠা সর্বনাশা শীতল, সময়ের সাপের জন্য।
স্মৃতির হৃদয়ে বিরাজ করা চিন্তার কোষগুলো ফাঁসুরে ডাকাত হয়ে
আমার সামনে হেঁটে বেড়ায়, আমি তাকে বলতে পারিনা
দেখ এই আমি একদিন তোকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন বুনছিলাম,
স্বপ্নের গাছে পানি দিয়েছি, সার দিয়েছি, নিজের সময় নষ্ট করে
তোকে স্বপ্ন দেখা শিখিয়েছি, তোর স্বপ্ন পূরণের জন্য
নিজের স্বপ্ন বিক্রি করেছি জলের দামে ।
আসলে আমি কিছুই বলতে পারি না।
কিছু বলার মত অবস্থান আমার আর নেই
কারন আমার সরকারী পেনশনে পাওয়া অর্থগুলোর সবটুকু
স্বপ্নের হাতে তুলে দিয়েছি তাকে স্বপ্ন দেখাবো বলে আর নিজে
কিছু বয়সি স্বপ্ন বুনবো বলে। আসলেই জীবনের সাথে কড়ির সম্পর্ক
নাড়ি ছেড়া মাতৃ সর্ম্পকের থেকেও বোধকরি বেশী ।
মাঝে মাঝে নিজেকে বেশ পরজীবি কোন গুল্ম বলে ভুল করি।
কিছু পরজীবি গাছও তো ফুল ফোটায় কিন্তু আমি তো তাও পারলাম না।

___________________________________________

* আমি আমার এক বন্ধুর বাবাকে সম্মান জানানোর জন্য এই লেখাটা লিখেছি যদিও সেই বন্ধুর সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই বা করিনা আর যার জন্য লেখা তিনিও কোন দিন ব্লগ পড়ে না তবুও লেখাটা লিখতে গিয়ে আমার বুকে একটা পাথরের চাপ অনুভব করেছি কারন আমিও এক জন পিতা।

**** এটি একটি কুবিতা
কেউ কবিতা ভেবে পরলে সেই দায় পাঠকের।