খেয়ালী মন এর সকল পোস্ট

আমি জুড়েই তুমি

IMG_4350

কালে কিংবা অকালে
ভোরে নয়তো বিকালে
সৃষ্টি বা বিনাশে
নিরাশার আশাতে
চোখ ছুঁয়ে যায় তোমাকে।

গল্প কিংবা ধাঁধাতে
আলো নয়তো আঁধারে
দৌড়ে বা সাঁতারে
নিরবতার উল্লাসে
মন ছুঁয়ে যায় তোমাকে।

নিরাকার কিংবা আকারে
কাণ্ড নয়তো শাখাতে
কোড়া বা আঁকাতে
গাঢ় নীলের সাদাতে
অনুভূতি ছুঁয়ে যায় তোমাকে।

তোর জন্য পুড়ি
তোর জন্য উড়ি
তোর জন্য বাতাস ভাসা
সূঁতো ছেড়া ঘুড়ি।

কাল্পনিক ৫

সীমানার বাইরে যতটা সুখ দৃষ্টিগোচর হয়
সেই পার্থিব সুখের বিভাজন চলে মৌনভঙ্গ আলিঙ্গনে।
তোমার তুমি, আমার আমি ধূমায়িত কফি পাত্র থেকে মুখ ফিরিয়ে যৌবন ভিক্ষার মাধুকরী; কতটা সময় পার করে বুঝেছি, সব ভালোবাসার শব তৃষাতুর হয়ে নয়নজল আকণ্ঠ পান করে।

আমারও উড়িয়েছি সেই রঙিলা ঘুড়ি আকাশের সীমাহীন সীমারেখায়; তারপর একদিন নাটাই থেকে সূতা ছিড়ে সূতিকাগৃহে বিলাপের আলাপ। তার বহুদিন পরে মনের অজান্তে মনে পরে বিকেলের ম্লানতা মুছে বিকল্পিত ধূসর রাস্তায় হাতে হাত হয়তো রাখা যেতো কল্পকথা কিংবা কল্পভয় পিছে ফেলে।

হৃদয়ের জমে থাকা পাহাড় সেও অালিঙ্গন করে মেঘকে
কালো মেঘ তার দুঃখ ভেঙে বৃষ্টিজল; ভালো বাসার ভালোবাসা বৃষ্টিজলে ভিজে ধুয়ে দেয় কাজলনয়ন সাথে করে নিয়ে যায় চোখের লবন জল সবার চোখের আড়ালে।

আমাদের মাঝে সীমানার সীমারেখা যৌগিক সহজ হিসাব ভিন্নরকম ভিনজগত, যেখানে তোমার যাবার কথা সেখানে তুমি নেই যে জমি আমার আবাদ করার ছিলো তার জমিদার ভিন্ন রথারোহী

আজ আমার মেঘে আমার দুঃখ জল
আজ আমার ফুলে পুজার থালায় নিয়তি পুজারী
আজ আমার নদী জল শুকিয়ে নৌকা যাত্রা হীন
আজ তোমার কলস পুনর্যৌবন চেয়েছে অসিম
আজ তোমার দেনা শুধতে গিয়ে শুধুই বারে ভার
তোমার মাঝেই লুকিয়ে ছিলো যুগল আঁধার।

বৈরাগী সংসার

বৈরাগী সংসার

গ্লাস ভরা আলো পান করে বুকের তৃষ্ণা যতটা জুড়িয়েছ তার থেকে বেশী কষ্ট নিয়ে চলে গেছো নাকের ফুল কিংবা সিঁদুরের টিপ পরে। কোন দিগন্তরেখায় যে ধোঁয়াশা মেঘ উড়ে যায় সে কি জানে তার গন্তব্য কোথায়;
সীমানার প্রাচীরে ঝুলে যায় স্মৃতির স্বারক
স্থানবদল হয়ে পাল্টে খোরাক, বসন, চিন্তা, চেতনা
অপলক চোখেরপর্দা যতটা শিহরণ তোলে তার থেকে বেশী কম্পন ধরায় শারীরিক খসে পরা শাড়ির জমিন; বুঝেও বুঝনি অপেক্ষার সুরমালা কার কণ্ঠে বিষের জ্বালা ধরিয়ে বানায় নীলাভ নীলকণ্ঠী। সব নদী পায় না সাগরের ভালোবাসা, সব গাছে বাধে না পাখি তার নীড়, সব আলোয় চোখ শব কি দেখতে পায়?
মৃত শরীরের থেকে আরো বেশী শীতল মৃত মন;

আমি পাহাড় হয়ে দাঁড়াতে পারিনি,
মেঘ চলে গেছে দূরে
আমি সীমানার প্রাচীর তুলতে পারিনি
জমি কেড়ে নিয়েছে প্রাচুর্যদায়িনী ;
আমি মোহনায় গড়েছি বালুর বসতি
পাইনি স্রোতের দেখা
পারিনি সেই বৃক্ষ হতে;
গোধূলি বেলায় তাই পাখী ফিরে গেছে আপন নীড়ে
সকাল কিংবা বিকেলবেলার নরম রোদ হয়ে
পারিনি কুসুম উষ্ণতা দিতে
তবু যা দিয়ে হারিয়েছি নিজের বাসন্তীরঙ
এই অবেলায় তাকে আর সঞ্চয় করা যাবে না।

বৈরী বাতাস ঘরেবাইরে
উসকে দিয়েছে যে দহন
সেই তাপে পুড়ে পুড়ে ক্ষার
তোমার আমার
বৈরাগী সংসার।
______________

বিঃদ্রঃ এই কুবিতা কেউ কবিতা ভাবলে সেই দায় তার নিজের। ছবি নেট থেকে।

কিছু ইংরেজি শব্দের মজার তথ্য না জেনে থাকলে জেনে নিন

► 80 কে letter marks বলা হ্য় কারণ L=12, E=5, T=20, T=20, E=5, R=18 (অক্ষরের অবস্থানগত সংখ্যা) সুতরাং 12 5 20 20 5 18= 80

► ইংরেজি madam ও reviver শব্দকে উল্টো করে পড়লে একই হবে।

► “a quick brown fox jumps over the lazy dog” বাক্যটিতে ইংরেজি ২৬টি অক্ষর আছে।

► “i am” সবচেয়ে ছোট ইংরেজি বাক্য।

►”Education” ও “Favourite” শব্দে সবগুলো vowel আছে।

► “Abstemious ও Facetious” শব্দে সবগুলো vowel আছে।
মজার ব্যাপার হল শব্দের vowel গুলো ক্রমানুসারে ( a-e-i-o-u) আছে।

► ইংরেজি Q দিয়ে গঠিত সকল শব্দে Q এর পরে u আছে।

► একই অক্ষরের পুনরাবৃত্তি না করে সবচেয়ে দীর্ঘ শব্দ হল Uncopyrightable।

► Rhythm সবচেয়ে দীঘ ইংরেজি শব্দ যার মধ্যে vowel নাই।

► Floccinaucinihilipilification সবচেয়ে বেশি vowel সমৃদ্ধ শব্দ যাতে ১৮টি vowel আছে।

► vowel যুক্ত সবচেয়ে ছোট শব্দ হল A (একটি) ও I (আমি)।

► vowel বিহীন সবচেয়ে ছোট শব্দ হল By।

► গুপ্তহত্যার ইংরেজি প্রতিশব্দ Assassination মনে রাখার সহজ উপায় হল গাধা-গাধা-আমি-জাতি।

► Lieutenant শব্দের উচ্চারণ লেফট্যান্যান্ট বানান মনে রাখার সহজ উপায় হল মিথ্যা-তুমি- দশ-পিঁপড়া।

► University লেখার সময় v এর পরে e ব্যবহৃত কিন্তু Varsity লেখার সময় v এরপরে a ব্যবহৃত হয়।

► “Uncomplimentary” শব্দে সবগুলো vowel আছে।
মজার ব্যাপার হল শব্দের vowel গুলো উল্টো ক্রমানুসারে ( u-o-i-e-a) আছে।

►”Exclusionary” ৫টি vowel সমৃদ্ধ এমন একটি শব্দ যার মধ্যে কোন অক্ষরের পুনরাবৃত্তি নাই।

► “study, hijak, nope, deft” শব্দগুলোর প্রথম ৩ টি অক্ষর ক্রমানুসারে আছে।

► “Executive ও Future”এমন দুটি শব্দ যাদের এক অক্ষর পর পর vowel আছে।

► Mozambique এমন একটি দেশের নাম যাতে সবগুলো vowel আছে।

► A1 একমাত্র শব্দ যাতে ইংরেজী অক্ষর ও সংখ্যা আছে।

*(সংগৃহিত)

সুখ দুঃখের কষ্টগুলো

জোয়ার ভাটার জীবন যাপন
মরা গাঙ্গের পানি
লাল গোলাপের পাপড়ি ঝড়ার
কষ্ট কি তা জানি।

ডানার কষ্ট রোদে পুড়ে
সাত সাগরের পাড়ে
পথের কষ্ট হারিয়ে গেলে
ধূলো বালির ঝড়ে।

তোষক বালিশ কষ্টে ভোগে
জমলে মনের ক্ষয়
রোদের কষ্ট বাজে বুকে
মেঘের পাহাড় ভয়।

তুমি কষ্ট আমি কষ্ট
হাড়ি পাতিল থালা
কষ্টহেতু কষ্টগুলোই
বাড়ায় মনের জ্বালা।

কষ্টে মাটি আকাশ ডাকে
দিগন্তর তার মিল
রাতের কষ্ট দিনের আলো
গোধুলিতে নীল।

কিছু কষ্ট ঘুরে বেড়ায়
আকাশ কিংবা মাঠে
কিছু কষ্টের প্রকাশ থাকে
নদী, পুকুর ঘাটে।

বন্ধী কষ্ট, স্বাধীন কষ্ট
কণ্ঠে জমে থাকে
কষ্টগুলোই রঙিন হতে
তোমায় আমায় ডাকে।

চোখের কষ্ট স্বপ্নবিহীন
রাতজেগে হয় ভোর
কিছু কষ্ট হাটে বিকায়
কেনে স্বপ্নখোর।

জন্ম কষ্ট মৃত্যু নিয়ে
বেড়ায় ঘুরে ফিরে
জাগরণে ঘুমিয়ে থাকো
মরন ধীরে ধীরে।

তোমার উপর নির্ভরতা

ধীরে ধীরে জমছে ধূসর
চোখের পাতায়
বাতাস গুলো যাচ্ছে চলে
নীরবতায়
আমার গানের সুর গুলো সব
শব হয়ে যায়
পিছন পানে জোছনা জোনাক
ডাকছে আমায়
সামনে সাদা সফেদ কাপড়
দুলছে হাওয়ায়
তোমার কাছে ভুল ছিলো যা
অসীম চাওয়ায়
গণ্ডী রেখে ছাড়লে সূতা
ঘুড়ী হাওয়ায়

জন্মেছিলেম মাধব যুগ
মাধুকরী
আজো আমি ভার টেনে যাই
গরুর গাড়ী

আটকে থাকে সৃষ্টিকরণ সূঁচের মাথায়
গল্প থেকে সাহেব বিবি শুধুই হারায়
বসত বাড়ির চালচুলো সব জলের তলায়
ভেসে থাকাই জীবন এখন তোমায় আমায়

নতুন কথায় গানের ভাষণ যুদ্ধরত
তোমার কাছেই মাথা নত অবিরত
নির্ভরতা তোমার উপর ভর করে আজ
বাকি পথের ছায়ায় আঁকি ঘর কারুকাজ।

ভুলের পাণ্ডুলিপি

আমি মানুষ, তাই ভুল করি …
জীবন চলার মুদ্রাতে ভুল করি,
ভুল করি ভালবাসাতে,
ভুল হয় সংসার যাপন,
ভুল হয় কল্পনার ছবি আঁকায়,
আমি জানি উড়াল ঘোড়ার পিঠে
কোন রাজপুত্র স্বপ্নতে চাই, তাও ভুল করা।

আমার মনের জীর্ণ ঘরে মাথা তুলে
দাঁড়াবার জন্য ভুল করেও কেউ বসে থাকে না,
তাই ভুলে যেতে যেতে যেতে
ভুল করে আবার পিছু ফিরে তাকাই…
কারো ভুল দেখার অপেক্ষা…
তারপর,
ভুল কষ্ট নীল হতে হতে চোখের কোনে নীল রেখার অবক্ষয় জমে যায় খু্ব।

**********
কুবিতা

মুদ্রার ভিন্ন দিকে

জীবন যায় যৌবন ভাটায়
ইটের ভাটায় গাছ পোড়ে
কয়লার ছাই ধরতে নাই
ভুল মানুষই সুখ করে

দুঃখ যার সুখ সেচার
টাকার ঘরে ঘুমাক সে
সুখের গান গলায় যার
বিষণ্নতাই তার ঘরে

হাসির বাঁশি বাজায় কে
লোক হাসানো সং তিনি
পেটের দায় ভাড় হয়ে আজ
লোক হাসিয়ে রং কিনি

কষ্টের কথন বলেন যে জন
বিলাস বসন তার তরে
অভাব নাই স্বভাব তার
দুঃখ বিলাস ভাব ধরে

খালি কলস বেশী বাজে
ভরা হলেই শব্দ কম
বেঁচে থাকতে ভয় নাই
মরতে গেলে ডরাই যম

পাপের ঘরে কারা পোড়ে
বিচার করে কোন রাজা
ভুল বিচারে কি হবে তার
তিনি পাবেন কোন সাজা

আমার আলোকচিত্র – ০৩

বুঝেও বুঝিনি অপেক্ষার প্রহর স্মৃতি হলে সব থেকে দামী হয়। সেই পথে আমরা হেঁটে চলেছি স্বপ্নলোকের গন্তব্যে। কিছু বিষয় থাকে যা সর্বদাই মানুষ ভালোলাগা থেকে মনে রাখে, ঠিক তেমনি একটি কাজ সবার সাথে শেয়ার করা গেলে মন এমনিতেই আনন্দে মেতে ওঠে। আমার আলোকচিত্রের তৃতীয় পর্বে স্বাগতম।

নীল অশ্রু

নীল অশ্রু

কে বলে কান্নার কোন রং হয় না
যেদিন তোমায় প্রথম ভালোবাসার কথা জানালাম
সেই দিন তোমার চোখের জলে আমি সাত সাতটি
রং দেখেছিলেম। এর পর সময় ভেদে এক একটি
রং ঘুরে ফিরে আবিস্কার করেছি তোমার চোখ
থেকে ঝড়ে পরা অশ্রু বিন্দুতে। প্রাপ্তির রং,
হারানোর রং, অভিমানের রং, সুখের রং সহ
সব রং গুলো তোমার চোখ থেকে ঝড়ে পরেছে
আমাদের ধূসর দেয়ালে, ধীরে খুব ধীরে
নিজের তারল্য ভেঙ্গে জেগে উঠতে চেয়েছি ত্রেতা যুগে,
তবুও ত্র্যহস্পর্শ ছুঁয়েছে আমাদের সুখের থালা বাসন।

রাতের গাঢ় ঘুম আমার চোখে এঁকে দিয়ে গেছে
আগুনে পোড়া মাটির পদবিন্যাস; আর তোমাকে দিয়েছে
অবিচ্ছেদ অশ্রু ভয়। তারপর থেকে
আমাদের নাদুসনুদুস সুখের হাঁড়ি পাতিলে
শুধু রং বে রং এর অশ্রু।

আমাদের সাংসারিক ললাটে দুধে দাঁত
ওঠার আগেই দমকা বাতাসে তোমার চোখে
জমে থাকা শেষ রং এর অশ্রু গড়িয়ে পরে,
বরাবরে মত তোমার অশ্রু ছুঁয়ে দেখি
দুই হাতে শুধু নীল রং লেগে আছে।
_______________________

*ত্র্যহস্পর্শ – ত্র্যহস্পর্শ – [বিশেষ্য পদ] একই দিনে তিথিত্রয়ের মিলন।
*ত্রেতা যুগ – (দেবনাগরী: त्रेता युग) হিন্দুধর্ম অনুযায়ী, চার যুগের দ্বিতীয় যুগ।
২৮/১১/১১

সাঁওতালী ভাবনায় অকবিতা

পরানে জাগে পিরিত ফুল
পরাবো তোকে কানের দুল
দেবো তোকে ফুলের মালা
মুখ ফিরিয়ে দিসনে জ্বালা।

বুকের মাঝে চিকন প্রেম
উথাল পাথাল করে
তারো অধিক অাশায় থাকি
আসবি আমার ঘরে।

ঘর বানানু সেগুন কাঠে
দক্ষিণ দিক খোলা
কালা গরুর দুধ আছে
আছে ধানের ডোলা।

যমুনাতে ধইরা মাছ
বেইচা দিয়া হাটে
কিইনা আনি নতুন শাড়ী
দেবো তোমার হাতে।

রাতের বেলা কুপি জ্বেলে
গল্প করবো মেলা
মেলায় নিয়া ঘুরবো তোকে
সারা বিকেল বেলা।

ফিরে দেখা পথ

তোমার পদচিহ্ন ধরে হেঁটে যাই সময়ের পথে
পৃথিবীর চারপাশ ঘুরে ফিরে আসি পুনরায় পরিচিত শস্যক্ষেতে;
তোমাকে আর পাওয়া হয়না, ক্লান্ত শরীর স্মৃতি গুলো নিয়ে পরে থাকে;
সমাধানের পথ গুলো সমাপ্ত হয় না তবু, বার বার ফিরে যায়
দিগন্তের ধূসর স্মৃতির পথে।

কল্পনার ছবি গুলো বেশ জীবন্ত হয়ে হেঁটে বেড়ায় আমার চারপাশে
সেই চরিত্র গুলো খুব উপভোগ করি;
তোমার শাসন, তোমার বকুনি
তোমার অভিমান, তোমার বেদনা
তোমার অশ্রু, তোমার অভিযোগ
তোমার ভালোবাসা, তোমার ফিরে চাওয়া
তোমার শূন্যতা, তোমার পূর্ণতা
তোমার শাড়ির আচল, তোমার কপালের টিপ
তোমার শব – তোমার সব কিছু চলমান চরিত্র হয়ে ফিরে আসে।

তবু তোমার শেষ দিনের দান আমাকে একাকী করে চলে যায়
অচেনা গন্তব্যের পথে।
হে পথ তোমাকে খুঁজেছি বহুবার, হে পথ তোমাকে রচেছি বহুবার
হে পথ তোমাতে হেঁটেছি বহুদিন, হে পথ তোমার কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়েছি অবিরত
তবুও খুঁজে পাইনি তোমায়, তবুও ফিরে পাইনি তোমায়
তবুও জানতে পারিনি তোমায়, তবুও বুঝতে পারিনি তোমায়
তবুও পারিনি ছেড়ে যেতে ,তবু পারিনি ফিরে যেতে।

আজো চোখ মেলে তাকালে দেখতে পাই ধূলো উড়া গেরুয়া পথে
জোনাক জ্বলা শাড়ির আঁচল।
সব কল্পনার শক্তি স্বপ্নকে পিছে ফেলে হেঁটে যায় বহুদূর
যেখানে সুখের সরোদ বাজে করুণ বিলাপে।

***
ছবিটি হাতিরঝিলে তোলা।
এই ছবিটাও একটা গল্প অন্য একদিন বলবো।

শেষ প্রহর

সোনালী সময় সোনালী নদী
চলে যায়, ভেসে যায়,
ফুরিয়ে যায় যৌবনের গান।
পড়ন্ত বিকেল ছুঁয়ে চপলা নদী
বালু দিয়ে বাঁধে শুকনো জীবন।
আর কলঙ্কিনী চাঁদ ক্ষয়ে ক্ষয়ে
কৃষ্ণপক্ষ।

যে শিশুটি মায়ের কোলে শুয়ে
রাজা রানীর গল্প শুনে ঘুমিয়ে পরেছে
এক ভোরে স্বপ্নমাখা চোখে জেগে উঠে
সেই চোখও চলে যায় অচীনপুরের
অপেক্ষার বন্ধীশালায় যেখানে
পড়ন্ত রোদ, গতিহীন নদী আর কৃষ্ণ পক্ষের
তারাটি ঘোলা চোখে শেষ প্রহর গোনে।