মহাশয় এর সকল পোস্ট

মহাশয় সম্পর্কে

মহাশয় আমার ছদ্মনাম। আমি ভারতীয়। ছদ্মনাম নেওয়ার পেছনে কারণ দ্বিধাহীনভাবে যা ইচ্ছা লিখতে পারার সুবিধা। অনেক সময় আসল পরিচয়ে স্বাধীনভাবে লেখা যায় না। আমি জীবনানন্দ দাসের মতো মনে করি না কেউ কেউ কবি। আমি মনে করি সবাই কবি। প্রতিটা মানুষ প্রেমে-বিরহে, সুখে-দুখে, বিপদে-দুশ্চিন্তায় যখন আবেগী হয় তখন হৃদয়ে কবিতা নেমে আসে। তখন চাইলেই যে কেউ কবিতা লিখে ফেলতে পারে। শিক্ষার বা জ্ঞানের কারণে অনেকের কবিতায় আকর্ষণীয় শব্দ বা বাক্য থাকে না। তবে সেই সময় তারা যা লিখে তা অবশ্যই কবিতা। সবাইকে আমার ব্লগে স্বাগতম।

বলে যাও প্রজাপতি

c7d23

কথা কও প্রজাপতি, কখনো কি তুমি
দেখেছো মোর প্রিয়তমার সুন্দর মুখখানি।

কখনো কি উড়ে গিয়ে, বসেছ তাঁর খোঁপায়
দেখেছো কি চুলের বাহার, আছে কেমন মাথায়।
দেখছো কি তাঁর চোখে হাজার কবিতার কাব্য
চোখ দিয়ে আবৃত্তি করার, কার আছে সাধ্য !
কখনো কি ছুঁয়েছিলে তাঁর হাতের আঙুল
স্পর্শেই রোগ সাড়ে যেন শ্বেতচন্দন ফুল।

বলে যাও প্রজাপতি কখনও কি তুমি
দেখেছো মোর প্রিয়তমার সুন্দর মুখখানি।

সে হাসলে কেমন বিশ্বজাহান, যায় থমকে মুহূর্তে
দুঃখরা সব পালিয়ে বেড়ায়, কোন দূর নীল দিগন্তে।
তাঁর কথায় কোন যে যাদু, শব্দে ছড়ায় সুগন্ধি
তাঁর কথা শুনতে কেবল, করে চলি অভিসন্ধি।
দেখেছো কী তাঁর রূপ লাবণ্যে মুগ্ধতা একরাশ
হাজার ফুলের ভিড়েও শুধু তাঁর উপরই খায় ক্রাশ।

কথা কও প্রজাপতি, কখনো কি তুমি
দেখেছো মোর প্রিয়তমার সুন্দর মুখখানি।

দশটি অনুকাব্য

(১)
কারো কোন দোষ নেই
নেই কোন ভুল,
অসময়ে কাছে আসার
দিতে হচ্ছে মাশুল।

(২)
পাখিরা নিজেদের নীড়ে ফিরে যায়
নদীগুলো মিলিত হয় মোহনায়,
আমি একযুগ ধরে অপেক্ষা করছি
তোমার সাথে মিলিত হওয়ার নেশায়।

(৩)
এক সমুদ্র ভালোবাসা নিয়ে
অপেক্ষায় ক্লান্ত মন,
সুখের দেখা মিলবে সেদিন
তুমি আসবে যখন!

(৪)
হাত নিশপিশ করে চাঁদ ছুঁতে
সে তো অনেক দূর আকাশে,
তোমার মুখটিও ছুঁতে পারিনা
কম তো নয় চাঁদের থেকে !

(৫)
কোন ওষুধে কাজ হয়নি
ডাক্তার কী আর জানে –
আমার শরীর মনের অসুখ
তোমাকে দেখলেই ঠিক হবে !

(৬)
যেমন আছো
তেমন থেকো
বদল চায় না
একটুও…
খুশির পরশ
লাগুক প্রাণে
স্বপ্ন ছেড়ে
বাস্তবেও…

(৭)
তোমার মায়াবী প্রেমে
এমন গোলকধাঁধায় আটকে আমি,
যেখানে দরজা অনেক
কিন্তু প্রতিটি দরজা খুললেই তুমি।

(৮)
হাজারো দীর্ঘশ্বাস শান্ত হয়ে যায়
তোমাকে একবার দেখলে,
হাজারো ঝগড়ার অবসান ঘটে
তুমি সামনে চলে এলে।

(৯)
তুমি ছাড়া কবিতা চর্চা
সেতো স্পন্দন ছাড়া হৃদপিণ্ডের মতো।
তুমি ছাড়া আমার জীবন
সেতো আত্মা ছাড়া শরীরের মতো।

(১০)
তোমার চোখে স্বপ্ন অনেক
আমার বুকে ভালোবাসা,
তোমার বুকে কষ্ট অনেক
আমার চোখ জলে ভাসা।

তোমাকে চাই

36b9

আমি তোমাকে ঠিক সেভাবে চাই
যেভাবে একটা শিশু চায় খেলনা।

আমি তোমাকে সেভাবে ভালোবাসি
যেভাবে মানুষ ভালোবাসে জীবনকে।

আমি তোমাকে সেভাবে ছুঁতে চাই
যেভাবে সবাই ছুঁতে চায় চাঁদকে।

আমি তোমাকে সেভাবে কাছে চাই
যেভাবে কাছে চায় মরুভূমি বৃষ্টিকে।

তোমাতে সেভাবে মিশে যেতে চাই
যেভাবে চায়ে মিশে যায় চিনি।

তোমাকে সেভাবে আপন করতে চাই
যেন দুই জীবনেই আর পর না হও।

কফি শপ

একদিন কফি শপে দেখা করো
যে কথা কখনও বলা হয়নি তোমায়
যে কথা দু ঠোঁটের মাঝে চাপা পড়ে আছে
সব দু চোখ দিয়ে বলবো। তুমিও চোখ দিয়ে শুনবে।

যে ফুলের গন্ধে মাতোয়ারা দুনিয়া
তার চেয়েও বেশি সুগন্ধি মেখে
কেন তুমি দরজায় দাও আওয়াজ?
কেন তুমি তোমার রূপ লাবণ্যের বাহার দিয়ে
ঘায়েল করো আমার শরীর মন?
কেন তুমি ঘুমাতে দাও না আমার ক্লান্ত দুই নয়নকে?
সব জিজ্ঞাসার উত্তর চাইবো তোমার কাছে।

যে ক্ষত সময়ের তালে শুকিয়ে গ্যাছে
কেন তুমি তাতে লাগাও নখ?
কেন তোমার প্রেমে পাগল করো দিনরাত।
সব প্রশ্নের উত্তর চাইবো তোমার কাছে
কফি হাতে কফি শপে।

লিমেরিক

illustra

(১)
অবসরে পড়লে মনে, আমায় একবার ফোন দিও
আমায় যদি ভালো লাগে, ভালো লাগায় মন দিও

শীত ভোরের কুয়াশা
মনের সব স্বপ্ন-আশা

তোমায় পাওয়ার অংক কষি, মনের ভেতর ফন্দিও।

(২)
মিষ্টি হেসে আসলে কাছে, আমার প্রেমের শহরে
বিকালবেলায় সূয্যি ডোবে, তিন ঘণ্টার প্রহরে

বাড়তি যত বায়না
ভাঙা নতুন আয়না

বৃষ্টিও আজ নামছে দূরে, ঝমঝমিয়ে অঝোরে।

(৩)
পাহাড় থেকে নামছে দেখো, জলপরী এক ঝর্ণা
ভালোবাসার নদী হবে, মিটবে মনের তৃষ্ণা

সময় যাচ্ছে ফুরিয়ে
দেখছি মুখ ঘুরিয়ে

মনের ভেতর তোমার বাস, মনই তোমার আস্তানা।

(৪)
তুমি আমার কবিতার রসদ, আমার ভাবনার প্রাণ
তোমায় খুঁজি বাস্তবে, সপ্নেও পাই তোমার ঘ্রাণ।

আবার ওই চার দেয়ালে
লোকচক্ষুর অন্তরালে।

চার হাত এক হয়ে, করবো স্মৃতির পাহাড় নির্মাণ।

(৫)
আসলে আসুক বৃষ্টি, ভিজবো আমি অবেলায়
পুকুরে ঝাঁপ দেবো, ডুববো আবার এই খেলায়।

বৃষ্টির আদূরে ছোঁয়া
আনন্দে চার পোয়া।

তুমি শুধু কাছে ডাকো, প্রেমে পড়বো পুনরায়।

তার খুব দরকার

a90f37ac8

যার কারণে লেখালিখির হাতে খড়ি
লাগাম ছাড়া আমার ভালোবাসার ঘুড়ি
যাকে পাওয়ার জন্য নিজের সাথে লড়ি
সে যেন আকাশ থেকে নেমে আসা পরী
তার খুব দরকার।

যার কারণে আকাশ হয়েছে রক্তিম নীল
যার শরীর জুড়ে খুঁজে বেড়াতে চাই তিল
যার সাথে আমার মনের অনেক মিল
যার জন্য ডানামেলে হয়েছি উড়ন্ত চিল
তার খুব দরকার।

যার কারণে বুকের ভেতর মেঘমেদুর
যার জন্য সাতরে পারি দিতে পারি সমুদ্দুর
যার খুশিতে হতে পারি শীতের মিষ্টি রৌদ্দুর
যার একটু সান্নিধ্য পেতে হেঁটে চলেছি বহুদূর
তার খুব দরকার।

যার কথা ভাবলেই ঠোঁটে আসে হাসি
যাকে দেখলেই মনে আনন্দ খুশি
যার জন্য হাসিমুখে ঝুলতে পারি ফাঁসি
যাকে বেহাদ বেহিসাব ভালোবাসি
তার খুব দরকার।

ভালোবাসার নদী

1a411

আমার ভালোবাসা গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ে-
তৈরি হোক নদী। যেমন ঝর্ণা থেকে নদী হয়।
সেই নদী হবে ভালোবাসার নদী।
তোমার বাড়ির উঠোনের সামনে দিয়ে বয়ে চলবে।
সারাদিনের কাজের ফাঁকে যতবারই তোমার চোখ
জানলা গলিয়ে দূরে দিগন্তে যাবে
ভালোবাসার নদী কাছে টানবে তোমায়।

রোজ বিকেলে পায়চারি করতে যাবে নদী তীরে
আমাকে নিয়ে লেখা কবিতাগুলো আবৃত্তি করবে
তোমার আমার প্রিয় গানের কলি গুনগুন করবে
কখনও বা বসে থাকবে নিশ্চুপ হয়ে
পুরোনো স্মৃতি মনে পড়ে হেসে ফেলবে
কখনও বা ডিসেম্বরের কুয়াশার মতো
মনখারাপ জাকিয়ে বসবে তোমার মনে।

বিচ্ছেদের বিরহে তোমার চোখ দিয়েও
অঝোর বৃষ্টির মতো ভালোবাসা ঝড়বে।
তোমার নরম গাল ছুঁয়ে দু-ফোঁটা ভালোবাসা
মিশে যাবে আমার ভালোবাসার নদীতে
আমাদের ভালোবাসার নদীতে।

ভালোবাসি তোমাকে

IMG_2021

কিছু স্বপ্ন মনের ভেতর গুমোট বেঁধে আছে –
শহর থেকে একটু দূরের সেই নদীটার পারে দাঁড়িয়ে
তোমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকবো।
নৌকা দিয়ে নদীর ওই পারে যাওয়ার সময়
যখন নৌকার দুলুনিতে তুমি ভয় পাবে, তখন-
তোমার হাতটা ধরে বলবো ‘ভালোবাসি তোমাকে।’

বাড়ির উঠোনে একটা লাল গোলাপের গাছ লাগাবো
রোজ জল দিয়ে, সার দিয়ে অপেক্ষা করবো ফুল ফোটার
অনেক অপেক্ষার পর যেদিন রক্তরাঙা ফুল ফুটবে
তোমার খোঁপায় গুজে দিয়ে বলবো, ‘ভালোবাসি তোমাকে’।

কত রাত কাটিয়েছ আমাকে কাছে না পাওয়ার বিরহে
যেদিন তুমি আমার হয়ে আমার বিছানার শোভা বাড়াবে
আমার বুকে মাথা রেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস নেবে
তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলবো, ভালোবাসি তোমাকে।

আমার সাথে অজানা কোন পথে, অলিতে গলিতে
অকারণেই ঘুরে বেড়ানোর তোমার বড় সাধ
পাহাড়ি নির্জন রাস্তায় তোমার সাথে হাঁটবো
পাখিদের কিচিরমিচি’র ভিড়ে, তোমায় দিকে চেয়ে-
আমিও চিৎকার করে বলবো, ভালোবাসি তোমাকে।

অনেক স্বপ্ন মনের ভেতর গুমোট বেঁধে আছে
যেদিন স্বপ্নগুলো বাঁধ ভেঙে স্বাধীন হবে
চারপাশের সবকিছুতে একটা প্রতিধ্বনি বাজবে
ভালোবাসি তোমাকে… ভালোবাসি তোমাকেই।

নতুন ভোর

coff

আজ আকাশ মিশে যাক জমিনে
ধুলো ধুসরিত হোক আমার সব কামনা,
ফুলের গন্ধে এলার্জি হোক
ভেঙে চুরমার হোক মনের আশিয়ানা।

আজ সমুদ্রও পিপাসিত হোক
বৃষ্টি পড়ুক অন্য শহরে,
বিষ হোক আরোগ্যর ওষুধ
দমকল ভিড় জমাক বুকের ধারে।

আজ গাছেরা অক্সিজেন গ্রহণ করুক
হঠাৎ থেমে যাক নদীর জল,
পাহাড় আজ নতজানু হয়ে যাক
দলছুট পাখিরা খুঁজে পাক দল।

আজ লুডুর গুটি এলোমেলো করে
শেষের শুরু হোক।

এত দেরি করলে ?

আমার স্বপ্নে রোজ একটা মেয়ে আসে
মধ্য রাতে স্বপ্নে এসে ঘুম ভাঙিয়ে দেয়
তারপর বাকি রাত শুধু তার কথা ভেবেই কাটে।

লাল শাড়ি পরা মেয়ে, বউয়ের সাজে দাঁড়িয়ে থাকে
খুব পরিচিত মনে হয়, কিন্তু চিনতে পারি না
তার চোখে অদ্ভুত চাহনি।
কাজল, লিপিস্টিক, টিপ, গহনা
সব কিছু দিয়ে সুন্দর করে সেজেছে।

আমাকে দেখেই মুচকি হাসে সে
সেই হাসি বড় মায়াবী। বড় রহস্যজনক।
অনেক অপেক্ষার পর কাউকে দেখলে
যেমন খুশি চোখে মুখে দেখা যায়
ঠিক তেমনি সেই হাসি।

স্বপ্নে আমি বর কী না জানি না
তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে
তার রূপ লাবণ্য দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে যায়
ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকি তার দিকে।

সেও মুগ্ধ হয়ে আমাকে দ্যাখে, দু চোখ ভরে দ্যাখে
সময় গড়িয়ে যায়। দুজনই স্থির। মুখোমুখি।
মেয়েটা কোন কথা বলে না, একটা মাত্র কথা ছাড়া
সেই গলা বড় পরিচিত। বড় আপন।
আদুরে গলায় আমার চোখে চোখ রেখে বলে –
এত দেরি করলে ?

শুধু অপেক্ষা

হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হলে নাকি কবিতার জন্ম হয়
আমি সারারাত তোমায় ভেবে বালিশ ধরে কাঁদি
গাল বেয়ে ভালোবাসা গড়িয়ে পড়ে
বুক চেপে ধরে অজানা কোন ভয়ে
তবুও কবিতারা আসে না

নীড় ছেড়ে পাখিরা পরিযায়ী হয়ে উড়ে। নীল দিগন্তে
ছুটে চলে অজানা দেশে, অজানা পথে, বহুদূরে
বছর খানেক পর ফিরে আসে সবাই
পুরোনো নীড়ে আনন্দের ফোয়ারা হয়
কিন্তু কবিতারা আর আসে না

পথ ভুলে কোন পথে যায় ভুবঘুরে মন
গন্তব্য নেই শুধু চলতে থাকা, অজস্র বছর
তোমার কাছাকাছি যাওয়া হচ্ছে না শুধু
হাঁটছি তো অনেক, তুমি কই? কোথায় কোন খানে?
কবিতার মতো তুমিও কী আর আসবে না !

অপেক্ষা অপেক্ষা অপেক্ষা
শেষ শ্বাস পর্যন্ত
শুধু অপেক্ষা…

মনে হয় তুমিই এলে

95314

প্রচণ্ড গরমের বিরক্তিকর দুপুরে
প্রাণ যখন হাঁসফাঁস করে
তখন হঠাৎ স্নিগ্ধ বাতাসের আগমন হলে
মনে হয় তুমিই এলে।

খরায় যখন মাটি ফেটে চৌচির
ফসল মারা যাচ্ছে জলের অভাবে
তখন হঠাৎ ঝুম ঝুম বৃষ্টি হলে
মনে হয় তুমিই এলে।

ঘুটঘুটে অন্ধকার রাতে
চাঁদ যখন মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকে
হঠাৎ পৃথিবীর পানে উঁকি দিলে
মনে হয় তুমিই এলে।

তপ্ত মরুভূমিতে দিকভ্রষ্ট
তৃষ্ণায় প্রাণ যায় যায় অবস্থা
হঠাৎ জলভর্তি কুয়োর খোঁজ পেলে
মনে হয় তুমিই এলে।

গহীন সমুদ্রে নৌকাডুবি
কাঠের টুকরো ধরে মৃত্যুর অপেক্ষা
হঠাৎ দ্বীপের দেখা পেলে
মনে হয় তুমিই এলে।

মহাশয় ম্যাডাম

love_drawing_romantic_couple_icon_classical_design_6833847

মহাশয়:
তুই যে আমার ভালোবাসা
আমার স্বপ্ন আশা,
তুই যে আমার পূর্ণিমার চাঁদ
শীতের প্রিয় কুয়াশা।
তুই যে আমার হাতের ঘড়ি
সব সময়ের সঙ্গী
তুই যে আমার শার্টের বোতাম
জড়িয়ে আছিস অঙ্গাঙ্গী।

ম্যাডাম:
তুই যে আমার মেঘ বৃষ্টি
দুঃখ করিস দূর,
তুই যে আমার রাতের ঘুম
আমার গানের সুর।
তুই যে আমার নাকছাবি
আমার কানের দুল,
তুই যে আমার চোখের কাজল
আমার খোঁপার ফুল।

মহাশয়:
তোকে পেয়ে বুঝেছি আমি
ভালোবাসা কী
এমন অদ্ভুত অনুভূতি
কখনও হয়নি।
তোকে নিয়ে কত প্লানিং
হিসেব কষি রোজ,
তোর সাথে কাটাবো জীবন
তুই প্রতিদিন নওরোজ।

ম্যাডাম:
তোকে পেয়ে সব পেয়েছি
তুই জান্নাতের সুগন্ধি,
তোকে একবার দেখার জন্য
কত করি ফন্দি।
তোর নরম বুকে মাথা রেখে
ছাড়বো শেষ নিঃশ্বাস,
তোর সঙ্গে থাকবো সুখে
যদিও হয় বনবাস।

মহাশয়:
তুই যে আমার ব্যাথার ওষুধ
অভাবের দিনের সম্বল
তুই যে আমার শক্তি সাহস
তোকে ছাড়া আমি দুর্বল।
তুই আমার ঈদের রাত
ছুটির দিনগুলো
তুই হতাশার অন্ধকারের
এক টুকরো আলো।

ম্যাডাম:
তুই যে আমার ভেজা চুল
শীতের দিনের রৌদ্দুর,
তুই যে আমার শাড়ির আঁচল
ভালোবাসার সমুদ্দুর।
তুই যে আমার রোদ চশমা
ঠোঁটের মিষ্টি হাসি
তুই যে আমার প্রিয় মহাশয়
সুখ শান্তির গ্যালাক্সি।

এখনও সময় অনেক বাকি

96536

আমার কাঁধে জাঁকিয়ে বসা অভিমানগুলো
তোমার বুকের কষ্টের হিসেব জানে না,
কালক্যুলেটর আবেগ না বুঝলেও
হিসেব বোঝে… আমি হিসেব বুঝি না।

বিকেল বেলায় ফিরতি পশুর দলও
রঙিন আলো মেখে ঘরে ফিরে
শুধু তুমি আমি অজানা কোন কারণে
বসন্তের ফুলের সুবাসে মাতি না।
রাত নামবার পর
কষ্টগুলো মাথা চাড়া দেয়
সুখের স্মৃতির বস্তা পাটকারী নিয়ে
তারপর এক একটা কলঙ্কিত রাত
নতুন ইতিহাস রচনা করে

একবেলা বৃষ্টি শেষে, রৌদ্দুর উঁকি দেয়
রঙধনু আকাশ সাজাই আমাদের জন্য
মন ভোলানোর বৃথা চেষ্টায় মুছরে পরে আকাশ।
পরিযায়ী পাখিরা ঘরে ফেরার জন্য ডানা মেলে
দূরে তাদের নীড়
নাম না জানা কোন দেশে।

কথার পিঠে কথায় সমস্যা এগোতে থাকে
আমরা তাকিয়ে দেখি রাস্তার শেষ প্রান্তেও
দেখা যাচ্ছে। এগিয়ে চলেছে, দ্রুতগতিতে
তার গন্তব্য কোথায় ?
চলো উত্তর খুঁজি
এখনও সময় অনেক বাকি।

আমি জানি

কী করে চাঁদ ডুবে সুর্য উঠে যায়
তোমায় ভেবে ঘুমাতে না পেরে সকাল হয়ে যায়
কাঁপতে থাকে ঠোট ছলোছলা দু নয়ন
আবেগে ভেসে যায় ভালোবাসার পিপাসিত মন
তা কেউ না জানলেও, আমি জানি।

সময়ের সাথে বদলে যেতে থাকে সুর্যের তাপ
দুপুরের উত্তপ্ত রৌদ হয় বিকেলের মিষ্টি রৌদ্দুর
কী করে ভাবলেশহীন চোখ তাকিয়ে থাকে বিছানার ওপাশে
লোমগুলো দাড়িয়ে তালাশ করে কী কেন কীভাবে
তা কেউ না জানলেও, আমি জানি।

কী করে জীবন রঙধনু থেকে হয়ে যায় মনখারাপী আকাশ
কালো মেঘে ঢেকে যায় সুখের যত আবেগ অনুভুতি
পোড়ামন সুতো কাটা ঘুড়ির মতো অজানা গন্তব্যে উড়ে
এক এক করে সুখের তারারা কেন খসে পরে
তা কেউ না জানলেও, আমি জানি।

আমি জানি, কীভাবে পরিবর্তন মানুষকে ভালো রাখে
জিন্দা লাশের মতো অনুভূতিহীন করে বাচিয়ে রাখে।
আমি জানি, অনেক বছর পরে কবরে শুয়ে থাকবে
দুটি লাশ। জীবাশ্ম হয়ে
কোন একদিন যদি আবারও পাশাপাশি দাড়ানোর
সুযোগ আসে। সেই আশায়।