শামীম বখতিয়ার এর সকল পোস্ট

শামীম বখতিয়ার সম্পর্কে

মুক্তধারায় জেগে ওঠা মানুষ।

দাড়ি কমা

দাড়ি(।) কমাকে(,) করলে
কেয়ার, হতে পারতো সব
পারফেক্ট; ভাগ্য তখন হতো
প্রসন্ন, গ্রীষ্ম বর্ষা বসন্তে।

দাঁড়ি(।) কমাতে(,) স্কিল
বোঝা যায়, নারী কিম্বা পুরুষে
হসন্ততে ‘ন’ বোঝা যায়
পাবে কিনা শীত বসন্তে।

বসন্তে যদি ‘ন’ বোঝা যায়
গ্রীষ্ম কিম্বা অশান্ত
তখন কিছু ন পাওয়া যায়
ভাঙা সবই হসন্ত।

চাঙ্গা তবে নাই আর কিছু
ভাঙা মনের অসন্তে
জুটলো যদি শূন্য সবই
পড়বে কি আর বাসন্তী!

দাঁড়ি(।) কমা(,) ভাঙলো
যে মন, ভাঙলো যে ঘর একান্তই;
ভেঙে গেল ঘরের কপাট,
ভাঙলো মনের বসন্ত।

উন্নয়নে যত কর্মী যত উন্নয়ন

দেশের কি গলা আছে, যে গলায় দড়ি পড়বে?
দেশের আছে ভাবমূর্তি
দেশে আছে হালি হালি উন্নয়ন!
উন্নয়নের ডিমপাড়া বাংলাদেশ…
এত উন্নয়নের ডিম দিয়ে কি হবে?
এত উন্নয়ন দিয়ে কি হবে?
উন্নয়নের ডিমে তা দিতে দিতে তো দেশের
সাধারণ মানুষ শেষ হয়ে যাচ্ছে!
তবুও উন্নয়ন ফুটে উঠছে না।
এই কান্নার ভাষা কি কোনো উন্নয়ন বোঝে?
এই কান্না বোঝে শুধু ক্ষুধা, দারিদ্রতা, কষ্ট, যন্ত্রণা
শরীরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বৃষ্টি, সূর্যের তাপ,
শীতের আনাগোনা।
এত বছর ধরে উন্নয়ন হচ্ছে কি উন্নয়ন হয়েছে?
কোন উন্নয়নের জোয়ারে জলোচ্ছ্বাস হল?
কোন উন্নয়নের জোয়ারে আমি সুবিধাভোগী?
আপনি সুবিধাভোগী?
দারিদ্র্যপীড়িত মানুষেরা সুবিধাভোগী?
সেটা কোন উন্নয়ন?
উন্নয়ন মানে কি আর্তনাদ?
বোবা কান্না?
বোবা চিৎকার?
আর আত্মহত্যার মত প্রকাশ করা?
উন্নয়ন মানে কি কিস্তির টাকায় কেনা রিক্সা?
উন্নয়ন মানে কি সিটি কর্পোরেশনের বুলড্রোজার
এর নিচে চাপা পড়া মানুষের আর্তনাদ?
উন্নয়ন মানে কি চিৎকার করে কান্নাকাটি করা?
উন্নয়ন মানে কি ভয়?
কিভাবে কিস্তির টাকা দিতে হবে?
কিভাবে ঘর ভাড়া দিতে হবে?
কিভাবে সংসার চালাতে হবে?
তাহলে উন্নয়ন কি?
উন্নয়ন মানে কি ধারদেনা করে লোন নিয়ে মহাজন
হাত থেকে পালিয়ে বাঁচা?
উন্নয়ন মানে কি বুকে হাত চেপে শোকস্তব্ধ যন্ত্রনায়
হা’ হুতাশ করা?
এটা কিসের উন্নয়ন?
সেটা আবার কিসের প্রবৃদ্ধি?
সেটা আবার কোন মধ্যআয়ের দেশ?
উন্নয়ন মানে কি প্রজাতন্ত্রের ঘাড়ে চেপে যা বলবে
তাই মেনে নেয়া?
উন্নয়ন মানে কি মন্ত্রী মিনিস্টারদের সেকেন্ড হোম
দেশের বাহিরে?
উন্নয়ন মানে কি লুটপাট?
উন্নয়ন মানে কি ভূমি দখল চাঁদাবাজি?
উন্নয়ন মানে কি মুক্ত স্বাধীনতার গলা চেপে ধরা?
উন্নয়ন মানে কি মতপ্রকাশে বাধাগ্রস্ত করা?
উন্নয়ন মানে কি রাতের ভোট?
উন্নয়ন মানে কি দারিদ্রতার কষাঘাতে পৃষ্ঠ করা?
উন্নয়ন মানে কি ক্ষমতার জোরে ভূমি দখল?
উন্নয়ন মানে কি জোরপূর্বক ধর্ষণ করা?
উন্নয়ন মানে কি ভয়-ভীতি দেখিয়ে সত্যকে
লুকিয়ে রাখা?
উন্নয়ন মানে কি 5000 টাকার বিনিময়
বিধবা ভাতা?
বয়স্ক ভাতা?
প্রতিবন্ধী ভাতা?
উন্নয়ন মানে কি গুম খুন?
উন্নয়ন মানে কি অপশাসন?
উন্নয়ন মানে কি ক্ষমতা?
উন্নয়ন মানে কি সোনার ডিমে তা দেয়া রাজহাঁস?
তাহলে উন্নয়ন মানে কি?
উন্নয়ন মানে হরিলুট?
উন্নয়ন মানে যখন যা ইচ্ছা তাই করা?
উন্নয়ন মানে জায়গায় অজায়গায় ব্রিজ
কালভার্ট?
তাহলে কোনটা উন্নয়ন?
উন্নয়ন মানে কি দেশ এখন সিঙ্গাপুর
নিউজিল্যান্ড?
উন্নয়ন মানে কি দ্বিতীয় তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী
হাজার কোটি টাকার মালিক হওয়া?
উন্নয়ন মানে কি যেমন ইচ্ছা তেমন করে খাও?
উন্নয়ন মানে কি না খেয়ে থাকা?
উন্নয়ন মানে কি লবণ মরিচ দিয়ে খাওয়া ভাত?
উন্নয়ন মানে কি ফিতরার টাকা
নেয়ার মানুষ খুঁজে না পাওয়া?
উন্নয়ন মানে কি এনজিওগুলোকে ভাগিয়ে দেয়া?
উন্নয়ন মানে কি পদ্মা সেতু?
উন্নয়ন মানে কি মহাখালী গুলিস্থান মালিবাগ
ফ্লাইওভার ব্রিজ?
তাহলে উন্নয়ন মানে কি?
উন্নয়ন মানে কি বিচার না পাওয়া ধর্ষিতার
আত্মহত্যা?
উন্নয়ন মানে কি দখলদারের হাত থেকে সম্পদ
পুনরুদ্ধার করে না দেয়া?
উন্নয়ন মানে কি ভারতের পা চেটে গোলামী করা?
উন্নয়ন মানে কি পিলখানা হত্যাকাণ্ড?
উন্নয়ন মানে কি আবরার ফাহাদ এর হত্যাকারী?
উন্নয়ন মানে কি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের
ধর্ষণে সেঞ্চুরি করা যুবকটির বিচার না হওয়া?
উন্নয়ন মানে কি ধর্ষককের পাশে থেকে
ধর্ষিতাকে গ্রামছাড়া করা?
উন্নয়ন মানে কি কলেজ ইউনিভার্সিটির মেয়েদের
জোরপূর্বক আমলা মন্ত্রীদের দিন আর রাতের
খাদ্য পরিণত করা?
উন্নয়ন মানে কি ক্ষমতাসীনের হুকুম তামিল করা?
নাকি উন্নয়ন মানে চুপ রাখা?
উন্নয়ন মানে কি ট্রানজিটের নামে করিডোর দেয়া?
নাকি উন্নয়ন মানে এটুকুই বলা যাবে বেশি কিছু
বলা যাবে না?
তাহলে উন্নয়ন মানে কি?
উন্নয়ন?
কিসের উন্নয়ন?
কিসের কিসের কিসের উন্নয়ন?
7 অক্টোবর 2020 রাত 1:30 a.m.

কবিতা একটি ব্যর্থতার আকার খোঁজার গল্প

লেইফ এরিকসন কিছুটা নিঃশব্দে
ব্যর্থতার আকার খোঁজার চেষ্টা করছে
এখনো জাগেনি নভোমণ্ডলের এহলৌকিক রশ্মি।

আইসল্যান্ডের বরফ বিস্তৃত পাহাড় আর
মহা-সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে আছে চোখ;
এখনও জাহাজের সাইরেন বাজেনি;
আর খানিক বাদে ভোঁ ভোঁ শব্দে মেতে উঠবে রেইকিয়াভিক সমুদ্র ‘মৎস’ বন্দর।
শতাব্দীর এই সূবৃহত্তর প্রাচীনতম মৌনতা ভেঙে কেঁপে উঠবে।

কিছু জাহাজ নোঙ্গর ফেলেছে মাঝ দরিয়ায়
ভোঁ ভোঁ শব্দের উন্মুক্ত উন্মত্ততায়
উন্মাদ হয়ে চিৎকার করছে এক ঝাঁক শঙ্খচিল;

এখন সবকিছুই যেন থমকে গেছে
সবকিছু যেন বিস্তৃত সমুদ্র আর পাহাড়ি ইসপাত কঠিন বরফে মোড়া এই ভূস্বর্গ।
পশ্চিমে ঢলে পরা কালের হলুদ বর্ণের সূর্যরশ্মি
বালুর মেঘ চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে।

চাঁদের বিকীরণ আর সূর্যের মেলবন্ধনে
এ যেনো আফ্রোদিতির ভালোবাসার স্বর্গ…
‘মে’ এর কি এক ঠান্ডা বাতাসে হতভম্ব মানুষ
পাহাড়ি তুষার ঢেউয়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ কালের
অগ্রযাত্রা ইতিহাস-ঐতিহ্য নগর-বন্দর গ্রাম।

আজ আর কোনো দিন নেই,
আজ আর কোন রাত নেই এ যেন এক নতুন দিগন্ত
চোখ মেলে তাকিয়ে আছে মহাজাগতিক এক বলয়ের মধ্যে।

পাশ দিয়ে বয়ে চলছে স্যেদ বিহীন নিপুণতার জনবিরল এই মহাসড়ক
পথে-প্রান্তরে ঝাঁক ঝাঁক মেষপাল দলবেঁধে ছুটে চলা।

কেফলাভিক জনবিরল বিমানবন্দর ছেড়ে
দীর্ঘযাত্রার পথ বেঁয়ে আমরা যেন নেমে এসেছি এক মহাজাগতিক স্বর্গের অন্যতম দ্বারপ্রান্তে।

আজ আর কোন কবিতা নয়
কবিতাও নেই; কবিতারা যেনো’ ছুটে চলেছে কোন এক অজানা উদ্দেশ্যে…

আমি কিছুটা নিরব হয়ে অপেক্ষা করছি
পৃথিবীর এই উন্মত্ত কোলাহল ঢেকে
ভেসে উঠবে কোন এক নিঃশব্দ আকার
যাকে আমি আলোকিত করব। আকাশ দেব, নতুন মাত্রা দেবো। নতুন তাল দেবো ভাষা দেবো সুর দেবো।

যা কিনা কোন এক যাযাবর শিল্পীর কন্ঠে 40 হাজার বর্গমাইলের এই জনবিরল স্থান
সুমধুর সুরেলা গানে ছড়িয়ে দেবে ক্যানেরি
যার সত্যতা খুঁজবে একটি প্রাচীন ফিনিক্স পাখি।লেইফ এরিকসন শুনছো কি তুমি আমি এটা করবোই করবো।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:
দীর্ঘদিন শব্দনীড়ে লিখিনা অসুস্থতাজনিত কারণে। শব্দনীড়ের মতো আরো অনেক ব্লগেও লেখা হয়ে উঠছিল না। দুই একটা প্লাটফর্ম ব্যতিরেকে। আজ বহুদিন পর শব্দনীড় ব্লগের একটি কবিতা পোস্ট। আমার জন্য দোয়া করবেন যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারি। যাতে এই বোনাস লাইফ এর অবশিষ্ট সময় গুলো সুন্দর ভাবে অতিবাহিত করতে পারি। আপনাদের প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা ও শুভকামনা রইলো ভাল থাকুন সব সময়।

মানুষের আত্মকহন

মানসিক অবক্ষয় থেকেই আমাদের এই সমাজে সামাজিক অবক্ষয় শুরু। যে অবক্ষয় মানুষকে সমাজের একদম নিম্নস্তরে পৌঁছে দেয়। যে মানুষ তার নিজের আত্মসম্মান ও তার অবস্থান সম্পর্কে চিন্তিত না সেই মানুষটার কাছে সমাজও পরিবারের বিধিনিষেধ তখন সবচেয়ে খারাপ ও অসহ্য উক্তি বলে মনে হয়। কিন্তু সে মানুষটা নিজেও জানে ঠিক তার কর্মের প্রতিফল একদিন তাকে ভোগাবে এবং ভোগ করতে হবে। মানুষ যদি তার কর্মফল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না হয়, তাদের কাছে সমাজ ভালো কিছু আশা রাখেনা। আমাদের এই বিচ্ছুরিত পৃথিবীতে মানুষ যেই সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা সৃষ্টি করেছে, যে জায়গাটা মানুষের জন্য নিয়ম তান্ত্রিক বিচরণ ক্ষেত্র অথবা সেই সমাজ ব্যবস্থা মানুষের জন্য একটা দলবদ্ধ জায়গা।

সেখানে বাস করে ধনী-গরিব মধ্যবিত্ত এমনকি সব শ্রেণীর মানুষ। কিন্তু সেই সমাজে যদি কুশিক্ষায় শিক্ষিত চরিত্রহীন লম্পট ও নষ্ট চরিত্রের অধিকারী মানুষের বসবাস হয় তবে সেই সমাজের মানুষ ওই অসামাজিক নোংরা নিকৃষ্ট কীটের কাছে কি আশা করতে পারে। মানুষ কোনদিন সমাজ ব্যতীত একা বাঁচতে পারে না। এই পৃথিবীতে পশুও পোকামাকড়ের মধ্যে “পিঁপড়া বানর” সুন্দর সমাজব্যবস্থা দেখা যায়, সেটি যদি প্রত্যেকটা মানুষ মনস্তাত্ত্বিকভাবে তাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে অনুসরণ করতো তাহলে অবশ্যই সে মানুষটা বুঝতে পারতো তার দায়িত্ব কি! তার দায়বদ্ধতা কি! তাকে কি করা উচিত বা তাকে কি না করা উচিত, যা কখনোই ইগনোর করতে পারত না।

আমরা মানুষ নিষিদ্ধ সবকিছুতেই আকর্ষিত হই, আমরা যদি একবার ভাবতাম এই নিষিদ্ধ কর্মটি কেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে ও আমরা যদি জানতাম তার পরিণাম কি তাহলে পৃথিবীতে মানুষের পরিবর্তন ঘটতো। আমরা কি একবারও ভেবেছি কখনো, আমাদের আত্মসম্মান ছাড়া আর কি আছে, যার দ্বারা মানুষ তাকে স্মরণীয় করে রাখবে এবং নীতিগত ভাবে স্মরণীয়-বরণীয় হয়ে থাকবে মানুষের হৃদয়ে?

মানুষ মরে গেলে আর কী থাকে তার জীবনে, মানুষ কি তার মৃত্যুর পরে কোন সম্পদ সঙ্গে নিয়ে যেতে পারে! যদি নাইবা নিয়ে যেতে পারে তাহলে কিসের আশায় পথ ভ্রষ্ট হয়? মানুষ যদি তার চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, মানুষ যদি তার নফসকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, মানুষ যদি তার চরিত্রকে সংবরণ করতে না পারে অথবা মানুষ যদি তার আত্মসম্মানবোধ, অথবা তার অস্তিত্বকে নিজের ইচ্ছায় ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে তাহলে সে মানুষকে সভ্য জগতের মানুষ কোনদিন ভালো দৃষ্টিতে দেখতে পারে না। সুনজরে ভালবাসতে পারেনা।

যাদের জন্য এই সমাজে কিছু মানুষ হেয় প্রতিপন্ন হয় তারা কি কখনো বিবেচনা করে দেখেছে সে মানুষের কি ক্ষতি হবে কাউকে ভিখারি বানিয়ে কাউকে সমাজের একদম নিম্নস্তরে মাথানত করিয়ে দিয়ে ভালো থাকা যেত তাহলে জগতে ভালো আর মন্দের পার্থক্য অনুধাবন করার প্রয়োজন ছিল না আমি জানি সব অস্তিত্ব চিরদিন টিকিয়ে থাকে না কিছু কিছু অস্তিত্ব আছে পৃথিবী সেই অস্তিত্বকে স্বীকার করে না কিছু কিছু অস্থিত্ব আছে যে অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য পৃথিবীর মানুষ এগিয়ে আসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে আমি সেই সমাজে বাস করি যে সমাজের মানুষ আমাকে ভালবাসে। সেজন্য আমি নিজেকে গর্বিত ভাবি একটা কথা বিভিন্ন লোকমুখে শোনা যায় একাডেমিক শিক্ষায় শুধু মানুষকে শিক্ষিত করে না পারিবারিক শিক্ষাটাও থাকতে হয় পারিবারিক মূল্যবোধ পারিবারিক গুরুত্ববোধ যদি কোন সভ্য মানুষের ভিতরে থাকে সে কখনো খারাপ পথে সঙ্গী হতে পারে না সে কখনো খারাপ মানুষের সাথে হতে পারেনা সে কখনো খারাপ সমাজের বাসিন্দা হতে পারে না। মানুষকে মনে রাখতে হবে জীবন অতি ছোট এখানে কর্মের দিক দিয়ে অনেক কিছুই করার আছে এখানেই সম্মান দেয়া নেয়া হয় এখানেই ভালো আর মন্দের পার্থক্য করানো হয় এখানেই সৎ অসৎ এর মূল্যবোধ বিবেচনা করা হয় এই সুন্দর পৃথিবীতে সম্ভব চেহারার সাথে যদি সুন্দর মন গঠন করা না যায় তাহলে তাকে মানুষ ভালো দৃষ্টিতে দেখে না এই সমাজের ৫ জন মানুষ যদি আপনাকে পাঁচটা ক্যারেক্টারে দেখে এই সমস্ত ক্ষমতা কে ঘৃণা করে একটা শরীর যদি বহুগামী হয় একটা মন যদি বহুগামী হয় দুইটা পা যদি পথের পথিক হয় তাহলে সে মানুষটার কি আত্মসম্মানবোধ থাকল কি গোপনীয়তা থাকল জানি এসে গর্ব করবে জানিয়ে সে অহংকার করবে যা নিয়ে সে মানুষের মুখোমুখি দাঁড়াবে। একজন স্বাধীন মানুষ হয়ে যদি স্বাধীনতার অপব্যবহার করে একজন স্বাধীন মানুষ হয়ে যদি সে মানুষ স্বাধীনতার খেলাপে যায় তাহলে পাড়ার স্বাধীনতা নামের কোন শব্দটি অবশিষ্ট থাকল যাহা নিয়ে সে মানুষটা গর্ব করতে পারে যে জীবন মানুষকে ঘৃণা ব্যতীত কিছু দিতে পারে না সেটা কি প্রকৃত জীবন বলে যে বন্ধু মহল খারাপ পথের দিকে ধাবিত করে সেই বন্ধু কখনোই কোনদিনও প্রকৃত বন্ধু হতে পারে না যে মানুষ ভুল মানুষের সাথে উঠা বসা করতে করতে সঠিক মানুষকে ভুলে যায় যে মানুষ ভুল মানুষের সঙ্গে চলতে চলতে তার বর্তমান কে ভুলে যায় তার অতীতকে ভুলে যায় সে কোনদিনও প্রকৃত মানুষ হতে পারে না একজন প্রকৃত মানুষ হতে গেলে পার ভিতর ন্যূনতম বিবেকবোধ থাকতে হয় মনুষত্ববোধ থাকতে হয় ভালো মন্দ বিচার করার ক্ষমতা থাকতে হয়, একজন মানুষ যদি তার ভালো জ্ঞান কে খারাপ কাজে ব্যয় করে পাখি ধরে নেয়া যায় সে কোনদিন ভালো ছিল না জ্ঞানী ছিলই না নীতিবান ছিলনা বিবেকবান ছিলনা। এই সেই সমাজ যে সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের স্থান হয় এই তো সেই সমাজ যে সমাজে টাকার ক্ষমতাবলে মানুষকে সম্মানিত করা হয় কিন্তু আড়াল থেকে তাকে ঠিকই ধিক্কার দেয়া হয় আড়চোখে দেখা হয় মন থেকে কখনোই সেই মানুষটাকে কোন মানুষই ভালোবাসে না ভালোবাসতে পারে না মানুষ কি মিথ্যা ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে মানুষ কি ভুলের পথে চলতে চলতে নিজের বৌদি সত্তাকে হারিয়ে ফেলতে পারে এটা সেই সমস্ত মানুষদের না দেখলে বোঝা যাবে না বোঝা যেত না। আমি এই সমাজেরই একজন ধুকে ধুকে চলা মানুষ আমার জীবনে গর্ব করার মতো কিছু নেই আমি এই সমাজে এমন কোন পরিচয় বহন করিনা যার দ্বারা আমি উপকৃত হব আমার এই সমাজে এমন কোন উচ্চস্থানে আসীন নয় যার জন্য আমি আলাদাভাবে মানুষের কাছে সুবিধা নিতে পারব আমি নিরাশ অগ্রস্থ মানুষ কখনো আশায় বুক বাধি না যারা আশাবাদী মানুষ তারা আশায় আশায় থেকে যায় অনন্তকাল কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি পরে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করে যদিও আশাহীন জীবন অন্তঃসারশূন্য যে জীবনের কোন মানে নেই যে জীবনের কোন মূল্য নেই আমি প্রতিদানহীন মানুষ আমি কোনদিনও প্রতিদানের আশা করি না আমার হাত থেকে যেটা চলে যায় সেটা আবার ফিরে আসবে প্রতিদানস্বরূপ সেটা কখনোই কল্পনা করি না মনের ভিতর যদি স্থির বাসনা করি প্রতিদানের আশায় থাকে তাহলে আমাকে অবশ্যই সেইসব আশাবাদী মানুষের মতো হয়ে বেঁচে থাকতে হবে যার কোনো ভবিষ্যৎ নাই যার ভবিষ্যৎ বলতে কিছু নেই তাইতো আমি এই পৃথিবীর পথে প্রদক্ষিণ করছি কোন প্রতিদানের আশায় নয় আমি শিখে গেছি কিভাবে একা থাকতে হয় আমি শিখে গেছি প্রতিদিন কিভাবে একা একা কাঁদতে হয় যন্ত্রনা গুলো উপভোগ করতে হয় নিজের কষ্টকে দূর করতে হয় কিভাবে সেটা আমি শিখে গেছি নিজেকে কিভাবে ভোট দিতে হয় সেটা আমি আজ জেনে গেছি অনেক কষ্টে ও আমি ব্যথিত হই না অনেক যন্ত্রণায় আমি কখনো কাতর হই না আমি এক সময় পরনির্ভরশীল ছিলাম আমি শিখে গেছি আমি শিখে গেছি কিভাবে নিজের উপর নির্ভরশীল হতে হয় বহুদিন একা একা কেঁদেছি এখন আর চোখে অশ্রু আসে না এখন আর কোনো কষ্টকে কষ্ট বলে মনে হয়না এজন্যই হয়তো বেঁচে আছি এই জন্যই হয়তো দেখতে পাচ্ছি পৃথিবীকে নতুন করে ছাড়া প্রতিদিন নিজের পৃথিবীটাকে একেকটি পিন্ডের সাথে খোলামেলা ভাবে উদযাপন করে তারা হয়তো তাদের রাজ্যে সুখে আছে যদিও সে রাজ্য সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই ওয়াকিবহাল না সে রাজ্য বিষয়ে আর নাইবা বললাম মানুষ তার হারানো গৌরব কোনদিন ফিরে পাবে না মানুষ তার হারানো অতীত কোনদিন ফিরে পাবে না সেই সব পথ হারানো স্মৃতি এক একটা দিনের মতোই পরিষ্কার একটি দিন গত হলে যেমন সেটা আর ফিরে পাওয়া যায় না সময় যেভাবে সময়ের জালে আবদ্ধ করে নিয়ে যায় অন্ধকারের দিকে ঠিক তেমনি করে সময় সে মানুষগুলোকেই দেখা দেয় যে মানুষগুলো তার জীবন থেকে অনেক কিছু হারিয়েছে সেটা সে ধরতে পারো কার না পারুক তবুও তার সামনে দিয়ে বয়ে যায় এবং একদিন তার নতুন জীবনের পথ উন্মোচিত হবে পাবে নতুন করে যা কিছু হারিয়েছিল সে আর কেউ নয় একজন প্রকৃত মানুষ।

বায়োলজিক্যাল উয়েপন পার্থিব জগতের জন্য হুমকি

বায়োলজিক্যাল উয়েপন পার্থিব জগতের জন্য এবং মানবাধিকারের খেলাপ সভ্যতার জন্য হুমকি। মানবসৃষ্ট এই জৈব রাসায়নিক উয়েপনের হাত থেকে সভ্যতার বিশ্ব দরবার রক্ষা পাবেতো? ঠিক আছে ধরে নিলাম আমরা এই যাত্রায় বেঁচে গেলাম।

আবার নতুন করে সূর্যোদয় হবে, নতুনভাবে আবার সূর্যাস্ত যাবে, প্রকৃতিতে বসন্ত আসবে, গাছে গাছে ফুল ফুটবে, আবারও একদিন সভ্যতার বুকে অন্ধকার ছেয়ে যাবে, মানুষ অতীতের পথ ধরে আবারও হাঁটা শুরু করলো “করোনা” এর চেয়ে ভয়ংকর জৈব মারনাস্ত্র পৃথিবীর বুকে “তৈরি করলো” বায়ুমণ্ডলে আঘাত হানলো। নতুন করে শুরু হতে চললো সভ্যতার পতন।

মানুষ তাঁর কর্মের দ্বারা নিজেদের বিলুপ্তি নিজেই ডেকে আনলো। এভাবেই চলতে থাকলো বিনাশের এক মহাযজ্ঞ। তখন মানবের এই জৈবাস্ত্র দেখার আর কেউ থাকবে না। প্রকৃতির এই প্রাণকেন্দ্রে ধার্মিক অধার্মিক নাস্তিক সন্দেহবাদী, নিরাঈশ্বরবাদী, বৈজ্ঞানিক অবৈজ্ঞানিক প্রকৃতি প্রেমি অপ্রকৃতিপ্রেমী রাজনৈতিক অপ-রাজনৈতিক অপরাধী নিরাপরাধী সাধারণ অসাধারণ কেউতো আর বিচরন করতে পারবে না?

তাহলে কিসের জন্য এই উয়েপন? কিসের জন্য এই মানব সভ্যতার আগ্রাসী আগ্রাসন চালানোর মতো উয়েপন? এসবের কি কোনো প্রয়োজনীয়তা দেখা দেবে? আর কোনো ক্ষমতার দ্বন্দ্বে, ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে এমন মারনাস্ত্রের? (The biological threat).

আমরা কেনইবা পরিকল্পনা করি, যে মারনাস্ত্র হতে পারে সভ্যতার সমাপ্তকারী “বিলুপ্তকারী” এমন অস্ত্রের কি প্রয়োজন? ক্ষমতাই যদি সভ্যতাকে টিকে রাখতে পারে তবে, তাহ‌লে মানুষের বিরুদ্ধে মানুষ কেন? আমাদের হাতে কি অন্য কোনো পৃথিবী এসে গেছে যা ছিনিয়ে নেবার আশায় আমরা আমাদের তাবৎ জ্ঞান মানব হত্যার কাজে ব্যাবহার করছি? আমরা কি একবারের জন্যেও ভেবেছি যে এটি ভুল না ঠিক? ঠিক হলে প্রশ্নঃ আমরা এই উয়েপন কার বিরুদ্ধে ব্যবহার করছি?

আমরা কি আমাদের নিজেদের অজান্তেই সভ্যতার পতনের দ্বার অতীব দ্রুতগতিতে উন্মোচন করছি না !! তবে তাই যদি হয় সেটা কি প্রয়োজনে? এই পৃথিবীতে যদি মানব সভ্যতাই না টিকে তাহলে কি দরকার এই মারনাস্ত্রের? আমরা কি এমন একটি পৃথিবী বস্তুত তৈরি করার কোনো ক্ষমতা রাখি?

আমরা কি প্রস্তুত ধ্বংস হওয়ার জন্য?
আমরা কি প্রস্তুত নিজেদের অস্তিত্বকে নিজেদের অজান্তে ধ্বংসের জন্য?

আমরা একবার ভেবে দেখেছি যে, আমরা কি করছি?
কিসের প্রয়োজনে করছি?
আমরা কি সত্যিই বুঝতে পেরেছি টিকে থাকার লড়াইয়ে ক্ষমতাই সব?
বেঁচে থাকার মুলমন্ত্র?
তাহলে আমরা ভুল!

আমরা ক্ষমতাকে গুলিয়ে ফেলেছি আরেকটি উচ্চতর ক্ষমতা বিশিষ্ট ক্ষমতার সাথে! আমরা এই দুইয়ের ক্ষমতার পার্থক্য বুঝতে পারিনি অথচ দাবী ধরে বসে আছি আমরা সভ্য জাতি! আমরা এই দাবি ত্যাগ এখনও করছি না কেনো যে যোগ্যতা আমরা নিজেদের ধ্বংস করার জন্য অর্জন করে থাকি সেই যোগ্যতা কিভাবে সভ্যরূপ হয়? এটি সভ্যতার সাথে নেহাতই ধোঁকা, নেহাতই প্রতারণা। এই প্রতারণার জাল যতক্ষণ পর্যন্ত ছিন্ন করা হবে ঠিক ততোটা পর্যন্ত আমরা নিজেরাই নিজেদের নিজেকে কোনো ভাবেই সভ্য বলে দাবি করতে পারিনা।

(What is the history of biological weapons and what is the meaning of biological weapons). আমরা কার সভ্যতা রক্ষা করতে গিয়ে নিজেদের তৈরি ফাঁদে নিজেরাই আটকা পড়ছি? হে বিশ্ব বিবেক আমরা কি তা একবারের জন্য হলেও ভেবে দেখেছি?

যদি তা না করে থাকে তাহলে এখনি ভেবে দেখার সময় আমরা কি করতে যাচ্ছি আমরা কি করছি আর আমরা কি করব। শুধু এটুকু মনে রাখতে হবে (The world’s most dangerous biological weapon).

বিসর্জন দেয়া মানুষের আত্মকথন

আমাদের এই পৃথিবী সহজ মানুষদের জন্য অত্যন্ত জটিল এবং কঠিন। এই মানুষগুলোকে অনেক পথ পাড়ি দিতে হয়। জীবনের এই জটিল পথে নানা বাধা-বিপত্তি চলে আসে নানা বিঘ্নতা তাদের জীবনে নেমে আসে তাদের জীবনে নেমে আসে ঝড় যে ঝড় সামাল দেয়া সহজ-সরল ভাষায় যায়না।

মানুষ, যারা প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে, যুদ্ধ করে বেঁচে থাকে, প্রতিনিয়ত আঘাতপ্রাপ্তির শিকার হয়, প্রতিনিয়ত যন্ত্রণায় ভোগে, কষ্টে ভোগে, যাঁর কোনো কুল কিনারা থাকে না।

এই মানুষগুলো পৃথিবীতে কেন এসেছে? তাদের তো কোনো চাওয়া-পাওয়া ছিল না! পৃথিবীতে আসার জন্য তাদের তো কোন অনুদান থাকার কথা নয়; তাহলে কেন তারা এই পৃথিবীতে আসলো, তাহলে কেন তারা এই পৃথিবীর আলো-বাতাসে মানানসই করে নিতে পারে না নিজেদের;

মানব জীবনকে যদি শুধু যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হয় তাহলে এমন অনেক মানুষ কেন আছে আমাদের এই পৃথিবীতে! আমাদের এই সমাজে যারা যুদ্ধ ছাড়াই স্বাচ্ছন্দে, অত্যন্ত সুন্দরভাবে জীবনকে উপভোগ করছে, অতিবাহিত করছে, কালক্রমে তারাও কি এমন কোন দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে যে দুর্ঘটনা তাদের জীবনকে পরিবর্তন করতে পেরেছে?

জীবন পরিবর্তন করার জন্য দায়ী এই মানুষগুলোকে কেন বুঝতে পারেনা কাছের মানুষেরাওপৃথিবীতে যদি স্বার্থ ছাড়া টিকেই না থাকা যায় তাহলে তাদের আবির্ভাব কেন হল?

কেন ঘটল নতুন এই অধ্যায়ন যে অধ্যায়ন একজন মানুষের জীবনে অত্যন্ত দুরূহ করে তোলে। অর্থবিত্ত প্রতিপত্তিই কি শুধু মানুষের জীবনের মূল প্রতিপাদ্য হতে পারে? এই অর্থ-সম্পদ প্রতিপত্তির প্রতিপাদ্য ছাড়া কি মানুষ জগতে বসবাস করতে পারবে না?

এই পৃথিবীতে দুইটা শব্দ খুবই কঠিন যার মধ্যেকার একটি হচ্ছে বিশ্বাস আর আরেকটা হচ্ছে অবিশ্বাস; মানুষ এই দুইটা শব্দকে সম্বল করে বেঁচে থাকে এইদুটো শব্দকে নিয়ে যেভাবে বেঁচে থাকে এভাবে কি জীবন অতিবাহিত করা যায়? কিন্তু যে মানুষগুলো কোন কিছুই করতে পারল না মানুষের জন্য যে মানুষগুলো আজীবন যুদ্ধ করে আর বেঁচে থাকে

অন্যের জন্য যে মানুষগুলো বরাবর ধরেই নিজেকে নিজের অস্তিত্বকে নিজের চাওয়া পাওয়াকে নিজের ভালো থাকাকে নিজের সুখ দুঃখ কেবিসর্জন দেয় অন্যের জন্য, সে মানুষগুলোর জীবন কেন এত দুর্গম দুর্বিনীত দুর লগ্ন দুর্যোগপূর্ণ সে মানুষগুলোর জীবন কেন এত কঠিন হয় করুন হয় যন্ত্রণাদায়ক হয় বিষণ্নতায় জর্জরিত হয় কষ্টে নিমজ্জিত হয় জীবনের প্রত্যেকটি মুহূর্ত প্রতিটি সেকেন্ড যে মানুষগুলো নিজের কষ্টকে নিজের যন্ত্রণা কে নিজের ক্ষত কে ঢেকে রাখে অন্যের ভালো করার মধ্য দিয়ে সেই মানুষগুলো কি কখনোই সুখের সন্ধান পাবে না?

জগত কি এতটাই নিষ্ঠুর? জগত কি এতটাই নির্বোধ পৃথিবী এতটাই কি বেখেয়ালি হয় যাদের পদচারণায় এই পৃথিবী ধন্য হয় নিঃস্বার্থ হয় নিঃশর্ত হয় তারাই যদি এই কঠিন পথের মুখোমুখি হয়ে থাকে তাহলে জগত কাদের জন্য উপজীব্য হবে কাদের জন্য সৌন্দর্যমন্ডিত হবে কাদের জন্য শুভকর হবে কাদের জন্য আলোচিত হবে কাদের জন্য সূর্যময় হয়ে উঠবে আমাদের এই পৃথিবী?

এই ভয়ে সেই চিন্তায় সেই ভাবনায় আমার এই বিস্ময়কর জীবন বয়ে চলে পৃথিবীর এই পথ ধরে যেখানে মানুষ মাত্রই একা যেখানে মানুষ মাত্রই অসহায় যেখানে মানুষ মাত্রই নির্দয় দয়ালু নিরাপদ নিষ্কর্মা নিষ্ঠুর এবং জীবন হরণকারী।

পাওয়া না পাওয়া

আপনি আপনার অর্থনৈতিক যোগ্যতা দিয়ে পৃথিবীর সবচে সুন্দরী নারীটাকে কাছে পেতে পারেন, বিলাসবহুল জীবন নিজেকে বা পরিবারকে উপহার দিতে পারবেন, পৃথিবীর সবকটি দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন, সকলধরনের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন, অনেক মূল্যবান কিছু ক্রয় করতে পারবেন কিন্তু আপনি সেই অর্থ দিয়ে ভালোবাসা ক্রয় করতে পারবেন না। সুখ ক্রয় করতে পারবেন না। পৃথিবীতে এই অর্থ যদি সব দিতে পারতো তাহলে পৃথিবীতে এত ধনাঢ্য ব্যক্তির ভিতরেও আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা যেতো না, হতাশা দুঃখ কষ্ট আর অবাধ্য যন্ত্রণা পিষ্ট করতে পারতো না এত ধনাঢ্য জীবন উপহার পেয়েও দুখি হতোনাI

সম্মান

মানুষ যদি চেয়ারকে সম্মান করে তবে আমি মানুষ অতিপ্রাকৃত জ্ঞানকে সম্মান করি। কারণ চেয়ার একধরনের জড় পদার্থ চেয়ার জড়পদার্থ হলেও ওই চেয়ারে একজন খুনিও বসে আবার একজন মানব ও প্রকৃতি প্রেমিকও বসে কিন্তু জ্ঞান যখন ৭০ হইতে ৭ বছরের একজন বালকের মধ্যে বাসা বাঁধে তাকে শ্রদ্ধা সম্মান দুটোই দেয়া যায়।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা কি করছি এবং কি রেখে যাচ্ছি

. যে যা করতে চায় তাকে সেটা করার সুযোগ দেয়া উচিৎI একটি শিশুর যেমন স্বাধীন জ্ঞান বিকাশের সুযোগ দেয়া উচিত; কিন্তু আমরা তার ব্যতিক্রম! তার একদম উল্টো করে থাকি যা একটি শিশুর স্বাধীনতাকে খর্ব করার শামিল, এটি একধরনের চরম অপরাধ স্বরূপI

আসলে আমরা কখনো নিজেদেরকে বোঝার চেষ্টা করিনি তো যে কারণে আমাদের প্রজন্মকে আমাদের বোঝার চেষ্টা করি না।

আমরা নির্ধারণ করি জন্মের আগেই আমার সন্তান কিভাবে বেড়ে উঠবেI কি হবে আর কি না হবে ইত্যাদি ইত্যাদিI আচ্ছা আমরা কি আমাদের শৈশব কে খুঁজে দেখেছি কখনো? যদি খুঁজে দেখতাম যদি পেতাম সে হারানো দিনগুলো তাহলে আজকের দিনটা ছিল শ্রেষ্ঠ দিন… আপনার সন্তানের জন্যI

আমরা কি শুধু দুধ ভাতে বড় হওয়া শিশুর ভবিষ্যৎ চাই? নাকি সে শিশুর মনে থাকতে হবে বহুমাত্রিক চিন্তার বিকাশ?নাকি জ্ঞান প্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষা, চতুর বুদ্ধিমান ধৈর্যশীল!

আসলে আমরা তো এমন কিছুই চাইনা। আসলে আমরা আমাদের সন্তানকে বুঝতে চেষ্টা করি নাকি আমরা আমাদের নিজেদের অজান্তে আমাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছি?

আমরা আমাদের সন্তানের আমাদের আপনজনের ভবিষ্যৎ সংগ্রহকে জন্মলগ্নের পরপরই হত্যা করি। নিজেদের মতামত তাদের মগজে ঢুকিয়ে দেয়া এসবের সাথে সাথেI

আচ্ছা আমরা কি কখনো কল্পনা করেছিলাম আমার সন্তানের কি হওয়ার কথা ছিল,,, আমরা যদি তাদেরকে স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দিতাম তাহলে সে কি হতে পারত!

না আমরা আসলে সেই সুযোগটা কখনোই দেই নাই কোন পিতা-মাতা এই না দেয়ার কারণেই আমাদের দেশে মনীষীরা জন্মগ্রহণ করে নাIবিজ্ঞানী জন্মগ্রহণ করেনা।

মুক্তচিন্তার মানুষ খুঁজে পাওয়া যায়না।সৎ নীতিবান কিম্বা বুদ্ধিমান মানুষ বেশিদূর অগ্রসর হতে পারেনা। আসলেই কি উচিত না এমন কোন কিছু যা কারো মনের বিরুদ্ধে করা হয়I

উচিত না এমন কোন কিছু যা কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে চলে যায়I তবে কারো যৌক্তিক সাবলীল ও স্বাভাবিক ভাবনা কে তাচ্ছিল্য করবেন নাI

মনে রাখবেন, কার সাফল্য কোথায় বিদ্যমান সেটা কেউ বলতে পারবেনা জানেও না কেউI তাই বলবো সুবুদ্ধির মধ্যে মন যা বলে সেটাই করুনI অন্যের দমিয়ে রাখা মনোভাবের দিকে গুরুত্ব দেবেন নাI

কিন্তু কারো তাচ্ছিল্য আচরণে হতাশ না হয়ে বরং সেই ইচ্ছাকে আরো প্রবল শক্তিশালী করুন গুরুত্ব দিনI জীবন আপনার মূল্যবান।

সময় ও আপনার, ইচ্ছা আপনার, শক্তি আপনার। এত দা সবকিছুই আপনারই তাই বলব আওয়াজ তুলুন,,, আপনার লক্ষ্যের দিকে ছুটতে থাকুন যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনার গন্তব্য নিকটবর্তী না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত সকল ভাবনাবাদী মানুষের চিন্তা-ভাবনা কে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যান সামনের দিকে মনে রাখবেন ওখানে আপনার ভবিষ্যৎI

আপনার আপনি কিভাবে তাকে চিনবেন জানবেন বুঝবেন

মানুষকে চেনা যায় তার কর্মে, তার আচরণে, তার কথাবার্তার মধ্য দিয়েI আমি অনেক মানুষকে চিনি নাI কিন্তু কিছু চেনা মানুষের মধ্যে সবচেয়ে কাছের মানুষদেরকে চিনতে পেরেছি…

তারা সবাই নিজেদের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করবেI তারা নিজেদের স্বার্থে আপনাকে চেঁপে ধরবে, কিন্তু নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য আপনাকে উদার হতে বলবেI

এটা তাঁদের বলতে হবে না, তারা আপনাকে অন্যের কর্মগুলোর গল্প শোনাবে যাতে সেই কথাগুলো শুনে তার কথা মত চলতে বাধ্য হন যদি সামান্য একটু বিগড়ে যান কিন্তু আপনাকে বাধ্য করবে, আপনি না করতে পারবেন নাI

তারা আপনাকে বিশ্বাস দেবে যে, সে আপনার সবচেয়ে কাছের মানুষ; সেই জন্য আপনার সবকিছু হিসাব নেবে, তারা আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যেকোনো একটি সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবে যে কোন একটি ইচ্ছাকে চাপিয়ে দেবেI

তারা হয়তো কারো দ্বারা ডমিনেট হওয়ার শিকার; হতে পারে পরিবারের হতে পারে বাইরে হতে পারে বন্ধু কিংবা অন্যান্য কাছের মানুষ দ্বারাI তবে তার ক্ষোভ গুলো আপনার ওপর ঝাড়ার দীর্ঘ বাসনা প্রকাশ করবে এবং সেটা অবশ্যম্ভাবী যদি আপনি সহনশীল হোন নমনীয় হন তবে আপনার বিপদ অতি সন্নিকটেI

কিন্তু আপনাকে সে দুর্বল ভেবে ডমিনেট করার প্রয়াস করবে এবং তাই করবেI যতটা পারে উগ্র স্বভাব নিয়ে আক্রমণ করবে আপনাকেI একটা সময় অনুভব করবেন এবং বুঝতে পারবেন যে সে ভীষণ অসুস্থ মানুষI

তাকে আপনার অসুস্থ মনে হবে, উন্মাদ মনে হবে, পাগল মনে হবে, ভয়ঙ্কর মনে হবে এবং খুবই নিশংস মনে হবেI তাকে আপনার ফেক মনে হবে আসলে সেও একজন এই অসুস্থ সমাজের অসুস্থ মস্তিষ্কের মানুষI

কিন্তু তারা নিজেকে সবসময় তার বিপরীত তাই ভেবে আসবেI তারা নিজেকে সবসময় অনেক কিছু জানে ভেবে আপনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে প্রশ্নে প্রশ্নে জর্জরিত করবেI কিন্তু নিজের বেলায় কোনভাবেই শুনতে রাজি নয়I

প্রত্যেকটা মুহূর্তে আপনাকে টাকা বানানোর মেশিন ভাববে প্রত্যেকটা মুহূর্তে আপনাকে জ্ঞান দিবে প্রত্যেকটা মুহূর্তে আপনার চিন্তার উপরে আক্রমণ করবে এবং আপনার স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করবে সে সব মানুষ থেকে প্রত্যেকটা মুহূর্তে সাবধান হবেন, সাবধান হোনI

তাকে বলে দিন আপনি কেমন; সে অবশ্যই জানে আপনি কেমন; আপনার বাহ্যিক, আপনার ভেতর, আপনার দুনিয়া… সে কোন কিছু অবগত না হয়ে আপনার পেছনে আসেনিI

ওরা ভেবেই নিয়েছে জীবন অনেক ছোট; কিন্তু জীবন অনেক বড় হতে পারে যদি চিন্তাভাবনার পরিবর্তন ঘটাতে পারেনI যদি উদার মানসিকতার মনোভাব পোষণ করতে পারেনI যদি পৃথিবীটাকে সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেনI

যদি সবকিছু কে আপন ভেবে থাকেন, যদি সবকিছু কে আপন করে নেন, যদি প্রত্যেকটা মানুষকে আপনার সুনজর দ্বারা আকর্ষণ করেন, তাহলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা প্রান্তে প্রত্যেকটা মানুষ আপনার প্রিয় মানুষ; আপনার ভালোবাসার মানুষ; আপনি তাদের সুপাত্রI

মনে রাখবেন জীবন সাজাতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয় না I জীবন চালাতে প্রয়োজন একটি ইচ্ছা, এবং তার সাথে চাই মনের দিক দিয়ে একদম সহজ হওয়া, চাই সৎপথ এবং সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গিI

সমাজের নানা শ্রেণীর মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে তুলনা করে নিজের জীবন চলবেনা মানুষের সাথে তুলনা করে যদি নিজের জীবনকে গোছাতে যান তাহলে জীবন হবে অন্ধকার; কে কত টাকা ইনকাম করছে, কে কত টাকা ব্যাংক ব্যালেন্স করছে, কে কতটা সম্পদ উপার্জন করেছে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন না, লক্ষ্য রাখুন নিজের লক্ষ্যের দিকে;

আপনি যদি আপনার লক্ষ্যে অটুট থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার লক্ষ্য অর্জন করা কঠিন কিছু নয়I

আপনি কি! আপনি কেমন! আপনি কি করতে পারবেন আপনাকে খুজে বের করতে হবে; আপনার সাফল্য কোথায়, আপনার বিফল কোথায়, আপনার বি ফল কোথায়, আপনি কিসে সুখী অনুভব করবেন, আপনি কিসে ভালো থাকবেন, কীভাবে নিজের জীবন সুগঠন করতে পারবেন সেটা আপনিই একমাত্র ভালো জানেনI

আমিও এই অসুস্থ সমাজে বেড়ে ওঠা একজন অসুস্থ মস্তিষ্ক বিহীন মানুষ যার বিন্দুমাত্র মূল্য নেই; এই বেকার গ্রস্থ উগ্র নৃশংস নিকৃষ্ট নিরাময় নির্বোধ সমাজের ভিতর আমিও নির্ভেজাল মানুষ নই, নিখাদ নই, পুরোপুরি সত্য নয়, আবার পুরোপুরি মিথ্যাও নয়I

তার পরেও আমি একজন মানুষ; আমার মন আছে আমার আশা আছে আকাঙ্ক্ষা আছে ইচ্ছা আছে অনিচ্ছা আছে আমার সুন্দর দৃষ্টি আছে আমার দুটি চোখ আছে যা দিয়ে আমি পৃথিবী দেখি আমার মন আছে যে মনের দ্বারা আমি পৃথিবী কে ভালবাসি

পৃথিবীর এই সৌন্দর্যকে উপভোগ করি, এই চোখ দ্বারা সকল বিশ্বকে ধারণ করে মনের ভিতর; সকল অচেনাকে চেনার প্রয়াস করি, যেগুলোকে ভাবতে পারিনা বুঝতে পারিনা আন্দাজ করতে পারিনা সেগুলো কে জানার চেষ্টা করি, বোঝার চেষ্টা করি, ভাবার চেষ্টা করি,

এটাই আমি; এটাই আমার জীবন;
এখানেই আমার সুন্দর ভবিষ্যত;
সেটা নিজের কর্মের মাধ্যমে উপার্জিত হবেI
সেটা নিজের বিবেচনার মাধ্যমে পরিচিত হবে, সেটা নিজের জানার মাধ্যমে পরিচিত হবে,
সেটা নিজের বিবেচনাবোধের মাধ্যমে পরিচিত হবে,
সেটা নিজের সততার মাধ্যমে উপার্জিত হবেI

কোন মানুষই লক্ষ্যহীনভাবে চলতে পারেনা মানুষ হলো কে পুঁজি করে লক্ষ্যহীন হয়ে যায় কিছু অলক্ষ্মীর মানুষ লক্ষ্য কে ট্র্যাক করে নিজের সমৃদ্ধির পাত্র হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করবে সেটা মানুষকে হতে দিবেন নাI

যাঁরা আপনার কষ্টে অনুতপ্ত নয় যারা আপনার ব্যাথায় বিকৃত নয় যারা আপনার সুখের জন্য সুখের সময় বন্ধুর সাথে যারা আপনার বিপদের সময় খোঁজ নেয় না যারা আপনার বিপদের সময় সটকে পড়ে তাদের কখনোই বন্ধু হিসেবে গণ্য করবেন নাI

ফেব্রুয়ারি 6, 2020
অসুস্থতার বন্ধ করিডরে আবদ্ধ জীবন; জানি সেখানে আপনাদের কিছুই করার নেই তবুও আপনাদের ভালোবাসা আমাকে সাহায্য করবে সুস্থ থাকার জন্যI 4দিন যাবৎ অসুস্থ দুআ করবেনI সুন্দর ও সুস্থ থাকুন এই কামনাI

এই চোখে এখন শুধুই স্বপ্ন

বিশাল সমুদ্র ছুঁতে ছুঁতে
এখন তীরবর্তী নদীর বুকে ফেলেছি নোঙ্গর।

সমুদ্রের ধূসর পাখিরা-
ধূসর পালংক ঝাপটাতে ঝাপটাতে
জীবনের আনন্দে উদ্বেলিত।

জলের বুক চিড়ে
ছুটে চলছে পালতোলা জাহাজের সারি।

সারি বদ্ধ ভাবে উড়ছে শঙ্খচিল,
পাহাড়ি উপত্যকা ছাড়িয়ে ওরা
গ্রহন করছে উড়ন্ত জীবনের স্বাদ-

আমরা শুধু অপলক দৃষ্টিতে দেখছি তাকিয়ে থাকছি
নিজে নিজে তখন অনেক কিছুই আবিস্কার করে ফেলি

মনের অজানায় মন বলে সব-চোখ যেন
বাষ্প-হয়ে ছুটে যাচ্ছে বহুদূর
কোনো এক পরিশুদ্ধ গন্তব্যের পথে।

যেখানে শুধুই বয়ে যায় স্বপ্নপীড়িত
শিহরণের প্রবাহমান জীবনধারা।

.
_________________________
#উনিশ_বছর_আগের_একটি_কবিতা
নভেম্বর প্রথম প্রকাশ। ২৬, ২০১১ | ১০:৩৪

সমাজ সচেতনতা

সমাজ সচেতনতা।
নভেম্বর ৭, ২০১৯ সকাল ৭ টা ৪০ মিনিট
দীর্ঘদিন হাসপাতালের কারাগারে থাকার পর ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে।

পারিবারিক জীবন হলো সবচেয়ে সুশৃংখল, এখানে যতই ভুল করেন যত অপরাধ করেন সাত খুন মাফ, পারিবারিক বন্ধন হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বন্ধন যেখানে স্নেহ-মমতা মায়া ভালোবাসার উৎপত্তিস্থল।

আপনি যতটাই হতাশাগ্রস্থ হন পরিবারের কাছে আসলে হতাশা দুঃখ কষ্ট দূর হয়ে যায়। এজন্যই পারিবারিক জীবনের প্রত্যেকটা মানুষের জন্য বন্ধন ধরে রাখা অত্যন্ত জরুরী।

পরিবার না থাকলে বেঁচে থাকাটাই দুঃস্বপ্নের হয়। আপনি যতই অর্থ সম্পদ উপার্জন করেন পরিবারের বৃত্ত বৃত্তের সুশৃংখল ভালবাসায় তার মোর ঘুরিয়ে দেয় সাহস যোগায় যা কখনো ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে না।

এখানেই আপনার সমস্ত সুখ নির্ণীত হয়। এখানে প্রত্যেককে কারো সুখে সুখী কারো দুখে দুখী। আপনার জীবন থেকে অনেকেই চলে যাবে অনেকেই আসবে কিন্তু পরিবারের একজন মানুষ ছুটে গেলে সারা জীবন আপনি বলতে পারবেন না।

এইজন্যই পারিবারিক বন্ধন অতি দ্রুত হয়। কাছের মানুষ যেভাবে চলে যায় সেভাবে পারিবারিক বন্ধনের একজন মানুষ চলে যাওয়াটা অত্যন্ত কষ্টের যন্ত্রণার বেদনার।

আপনার জীবন থেকে বন্ধুবান্ধব চলে যেতে পারে তাতে হয়তো কোনো যায় আসে না। জীবন চলার পথে মানুষ কত বিপদসঙ্কুল মুহূর্তের সম্মুখীন হয় কেউ উদ্ধারের জন্য এগিয়ে না আসলেও পরিবারের মানুষ সবার আগে এসে হাজির।

আমরা সমাজবদ্ধ জাতি হলেও আমরা অনেকেই পশুর চেয়েও অধম, বনের নেকড়ের চেয়েও নিকৃষ্ট। আমরা কখনও কখনও জানোয়ারের রূপ ধারণ করি যা আমাদের জীবনের জন্য হুমকি স্বরূপ আমাদের পরিবারের জন্য বিপদজনক আমাদের সমাজ ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

এই পরিস্থিতির জন্য পরিবার (… ) দায়ী না থাকলেও এ পরিস্থিতির জন্য পরিবার ও বিপদসঙ্কুল মুহূর্তের সম্মুখীন হয়। সেজন্যই আপনি যা করবেন সেটা পরিবার কখনো কখনো নির্ধারণ করে দেয়।

পরিবারের বাইরে কোন কিছু করাটা সত্যিই বোকামি আপনি যদি ভালো কিছু করতে চান পরিবারের লোক ই সাহস যোগায় যা আপনার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য একধাপ এগিয়ে নেয়। পরিবারের সে মানুষরা সুখী হয় ভালো ফিল করে আপনার গর্বে গর্বিত হয়।

তাই জীবন চলার পথে আপনি যা কিছুই করেন পরিবারের বন্ধন ভেঙ্গে দিয়েন না পরিবারের বন্ধন নষ্ট করবেন না একটা পরিবারের বন্ধন হাজার কোটি টাকার মূল্যের চেয়েও সম্পদশালী যা কোন অর্থে সাথে বিনিময়ে তৈরি করা যায় না।

যা কোন জীবনের সাথে বিনিময় করা যায় না যার কোন মূল্য নির্ধারণ করা যায় না। এটাই হল পরিবার; দুনিয়ার অন্য কোন কিছু না পেলেও এখানে এসব কিছুই পাবেন আপনি।

তাই আমি আপনাদের প্রতিনিয়ত বলবো পরিবারকে ভালবাসুন পরিবারের কাছাকাছি থাকুন পরিবারের মানুষকে সুখে রাখুন এটাই আপনার জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত তার পাশাপাশি আপনার চারপাশের মানুষ কেউ ভালোবাসার মধ্য দিয়ে জীবন প্রবাহিত করুন।

আমরা কতদিনই বা বেঁচে থাকব আমরা চারপাশের মানুষকে যদি ভালো না বাসতে পারি তাহলে সেই জীবন সাফল্যমণ্ডিত হয় না। লোভ ক্ষোভ হতাশা দিয়ে কোন কিছুর সাফল্য আসে না।

পরিবারের সাথে সাথে আপনার চারপাশে মানুষের মন জয় করা উচিত। মানুষের ভালোবাসা, মানুষের দোয়া মানুষের সুন্দর দৃষ্টি আপনার জীবনকে করে তুলবে আরো আনন্দদায়ক আরো সুন্দর আরো সাফল্যময় হোক প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের নতুন অধ্যয়ন।

নারী কারো মা কারো বোন কারো স্ত্রী সবচেয়ে বড় কথা হল নারী হচ্ছে মায়ের জাত

নারী, নারী কারো মা, কারো বোন, কারো স্ত্রী, সবচেয়ে বড় কথা হল নারী হচ্ছে মায়ের জাত একজন পুরুষের চেয়ে নারী কোন অংশে কম নয়, তার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমরা মানুষ হিসেবে যদি চিন্তা করি তাহলে আমরা সমানে সমান কেউ কারো কোন অংশেই কম না বেশি ও না।

শুধুমাত্র নারীর শারীরিক গঠনের জন্য যে একজন দুর্বল আর একজন শক্তিশালী এই বিষয়টি বর্তমান আধুনিক যুগে নেহায়েতই অন্যায় একটি প্রবচন আমরা দাসত্বের চিন্তাভাবনা ছাড়া কখনোই তার থেকে বেরিয়ে আসতে পারি না বলেই আমরা আজ এখনো নারীকে সঠিকভাবে বুঝতে শিখিনি।

আমাদের এই শিক্ষিত সমাজ ব্যবস্থা এতটাই শোচনীয় যে আমরা নারীর মূল্যায়ন সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা রাখিনা নারীকে ছোট করে দেখাও এক ধরনের অন্যায়।

নারীরা জেগে উঠেছে এটি যদি আপনি অস্বীকার করেন তাহলে আপনি এখনো পিছিয়ে আছেন সভ্য সমাজ ব্যবস্থা থেকে। আর এটা যদি আপনি ভুল ভাবেন ভুল বোঝেন তাহলে বলবো যে আপনি আজ থেকে চৌদ্দশ বছরের সেকেলে চিন্তার ভেতরে আবদ্ধ আছেন।

নারী ছাড়া কোন পুরুষ পৃথিবীতে আগমন করতে পারেনি। ধর্মীয় ব্যাখ্যায় যদি যাই ঈসা আলাইহিস সালাম জিব্রাইলের মাধ্যমে তার মায়ের গর্ভে আসে জাস্ট একটা ফুলের সুগন্ধ তার নাকে শ্রবণের মাধ্যমে।

একজন পুরুষ কখনোই নারীর মতো সমৃদ্ধ এবং সম্মানিত হতে পারবে না, একজন নারীর ভেতরে যে গুন আছে একজন পুরুষের ভেতরে সেই গুণগুলো নেই যা নারীকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে যায়, সেই বিষয়গুলোই নারীকে অনেক সম্মানিত করেছে। আমাদের সমাজে একজন নারীর অপরাধের জন্য আর সকল নারীকে খারাপ ভাবা ঠিক নয়, অপমান অপদস্থ করা করা ঠিক না।

নারীকে সম্মান করুন, শ্রদ্ধা করুন রেস্পেক্ট করুন, নারীর প্রতি আপনার যে ভালবাসা যে দায়িত্ববোধ যে সহনশীল আচরণ করা দরকার তার প্রতি যে ধ্যানধারণা পোষণ করা বাধ্যতামূলক সেটা আপনার নৈতিক আদর্শ থেকেই তৈরি করা উচিত।

এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা নারীকে ক্ষুদ্র কীট এর চেয়েও জঘন্য ভাবে, এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা নারীকে শুধু একটা যন্ত্র ভাবে উৎপাদনশীল মেশিন হিসেবে।

এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা শুধু নারীকে ঘরে বন্দী করে রাখতে চায় এক শ্রেণীর মানুষ ভেবেই থাকে যে নারীকে তৈরি করা হয়েছে পুরুষের জন্য, এক শ্রেণীর মানুষ ধরেই নিয়েছে নারীকে তৈরি করা হয়েছে পুরুষের সেবার জন্য। এক শ্রেণীর মানুষ ধরেই নিয়েছে যে নারী হচ্ছে পুরুষের দাসী! এই শ্রেণীর মানুষ গুলো ভেবে নেই যে পুরুষ ব্যতীত বাইরে কোন নারী যাবে না নারীর দায়িত্ব ঘর পর্যন্ত।

স্বামীকে সেবা করা, সন্তান উৎপাদন করা, স্বামীর চাহিদা মেটানো ইত্যাদি ইত্যাদি। ওই সব শ্রেণীর মানুষের এই যদি চিন্তা ধারা হয় তাহলে কিভাবে এমন ভেদাভেদ করে স্রষ্টা তার সৃষ্টিকে সৃষ্টি করতে পারলেন “নারীকে”। সেই পুরুষ সমাজ জানেনা কি তুমি যাদের বিরুদ্ধে আজ কথা বলছো সেই সমস্ত নারীরাই হচ্ছে তোমার মায়ের শ্রেণি, তোমার মায়ের গর্ভে তুমি যদি না আসতে তাহলে তুমি কখনোই পৃথিবীর এই আলো বাতাস দেখতে পেতে না উপভোগ করতে পেতে না আর আজকের এই চিন্তাধারা ও করতে পেতে না।

আমাদের এই ভঙ্গুর সমাজে ভঙ্গুর রাষ্ট্র ব্যবস্থায় নারী এবং পুরুষকে নিয়ে যে ভেদাভেদ তৈরি হয়েছে সেখানে যদি দুইটি শ্রেণীকে সামনে রাখা যায় তবে সেখানে নারীর চেয়ে পুরুষই অত্যাধিক জঘন্য চরিত্রহীন বলে অনুমেয় হয় বর্তমানে আমাদের এই আধুনিক যুগে কোথায় কি ঘটনা কিভাবে ঘটছে তা মিনিটের ভিতরে চলে আসে এবং জানা যায়।

এবং চলার পথে আমরা যা নিজের চোখ দিয়ে দেখি সেটাকেই বিশ্বাস করা যায়। আমাদের দৈনন্দিন জীবন ব্যবস্থায় যা চোখে পড়ে তার ওপর ভিত্তি করেই আমার বিশ্বাস জন্মেছে যে পুরুষরাই সবচাইতে বেশি অপরাধী সেটা চরিত্রগত হোক আর ক্ষমতার দিক দিয়ে হোক প্রভাবের দিক দিয়ে হোক।

আজকের আমাদের এই ধর্মীয় সমাজ প্রকৃত জীবন ব্যবস্থার ওপর শিক্ষা না নিতে পারলেও কিংবা পাশ্চাত্যের কালচার থেকে শিক্ষা না নিতে পারলেও ধর্মীয় দীক্ষা থেকে ভালো কিছু কখনোই শিখতে পারিনি যা আমাদেরকে ভুল পথে পরিচালিত করতে শেখায় আমরা অন্যের চরিত্র নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে পারি কিন্তু আমরা নিজেদের চরিত্র নিয়ে কিঞ্চিৎ পরিমাণ মুখ ফস্কে কাউকে কিছু বলি না।

এটাই যদি একজন মানুষের মানসিক অবস্থা হয় তাহলে একজন প্রকৃত মানুষের দায়িত্ব জ্ঞান কি সেটা আমরা কখনই বুঝতে পারব না এমনকি জানতেও পারব না।

বখতিয়ার শামীম।
4 অক্টোবর 2019

চিন্তার জগত

চিন্তার জগত

সোফিস্ট “বুদ্ধি বিক্রেতা’ আর সোফির ভিতরে পার্থক্য কি আপনি যদি তা না জানেন তাহলে আপনি প্রথমে ভুল করবেন, সোফিগণ বিনামূল্যে তাঁদের দর্শন জ্ঞান ছড়িয়ে দিতো আর সোফিস্টরা সেই জ্ঞান বিক্রির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতেন। আজকের দিনের বুদ্ধিজীবী যারা তারা তিন হাজার টাকায় বিক্রি হয়।

সেদিনের সেই সোফিস্টরা তাদের জাগতিক কল্যাণকর জ্ঞান বিতরণ করতেন টাকার বিনিময় এবং খুবই চিন্তাশীল বক্তব্যই দিতেন যা মানুষের বিবেককে নাড়া দিত যা মানুষকে চিন্তার বাস্তবতায় পৌঁছে দিত। এমনকি সোফিস্টরা খোলা মজলিসে কিংবা খোলাবাজারে দাঁড়িয়ে তাদের জ্ঞান প্রচার করতেন যার ভালো লাগতো সে কিছু উপহার দিতেনI। কিংবা আরও জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য লোকজন তার কাছে ছুটে আসতেন এবং টাকার বিনিময়ে সমস্যা সমাধান করে দিতেন।

আজকের দিনের “বুদ্ধিজীবী” তারা বিভিন্ন পত্রিকায় আর্টিকেল লিখে, বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে আলোচনা সমালোচনার মাধ্যমে তাদের জ্ঞান বিক্রি করে। তারপরও সেদিনের সোফিস্টদের চেতনাগত বিষয়াদি ছিল অত্যন্ত গতিশীল এবং গভীর জ্ঞানতত্ত্বের আধার নিয়েই তারা সেই বুদ্ধিগুলো বাজারের জনসমাবেশের সরাসরি বক্তব্যের মাধ্যমে জানিয়ে দিতেন।

কিন্তু আজকের দিনে যে সকল বুদ্ধিজীবীদের আলোচনার টেবিলে দেখা যায়, বুঝা যায় তারা কারও কাছে বিক্রি হয়ে গেছে, তাদের কোন চিন্তাগত আদর্শ নেই, তবে তারা কারো পক্ষে কাজ করে কারো বিনিময় হয়ে কাজ করে। সেই শ্রেনীর জন্য যে বুদ্ধিটা কাজে লাগানো যায় পক্ষে-বিপক্ষে বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা সমালোচনায় লিপ্ত থাকে কিন্তু তাদের সেই অনৈতিক জ্ঞানগুলোর জন্য তাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র নৈতিক জ্ঞান খুঁজে পাওয়া যায় না। এমনকি তারা চাইলেও ব্যক্ত করতে পারে না ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁরা তাঁদের বক্তব্যের ভেতরেই স্পষ্ট বুঝিয়ে দেয় তারা কারো কাছে তাঁরা বিক্রি হয়েছে।

তাই দার্শনিক Plato দার্শনিকদের থেকে sofhists সোফিস্টদের আলাদা করতে চেয়েছিলেন:

Plato sought to distinguish sophists from philosophers, arguing that a sophist was a person who made his living through deception, whereas a philosopher was a lover of wisdom who sought the truth.

প্লেটো সোফিস্টদের দার্শনিকদের থেকে পৃথক করতে চেয়েছিলেন এবং যুক্তি দিয়েছিলেন যে একজন সোফিস্ট এমন একজন ব্যক্তি যিনি প্রতারণার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেছেন, অন্যদিকে একজন দার্শনিক সত্যের সন্ধানকারী জ্ঞানের প্রেমিকা ছিলেন।

A sophist is someone who makes good points about an issue — until you realize those points aren’t entirely true, like a political candidate who twists an opponent’s words or gives misleading facts during a speech. … It comes from the Greek word sophizesthai, meaning “to become wise or learned, deceive.”

আমার বারবার একটি কথাই মনে পড়ে জাগতিক জ্ঞান যদি মানব জীবনের বিকশিত পথ না হয় তাহলে সেই জ্ঞানকে কোন জ্ঞানী বলা যায় না। মানুষ আজ সভ্যতার এক চরম উচ্চ শিখরে অবস্থান করছেন।

এখন দর্শন থেকে বিজ্ঞানের চর্চা অনেক গুণে বেড়ে গেছে, কিন্তু তার “দর্শন জ্ঞানের” গুরুত্ব মানুষ ধীরে ধীরে উপলব্ধি করতে পেরেছি। দার্শনিকদের চিন্তার জায়গা শুধু সমাজকে বদলে দেয়ার জন্য ছিল না তাদেরকে অনেকদূর পৌঁছে দিয়েছেন।

আমরা আজকের সভ্যতায় যা কিছু জানতে পারি, যা কিছু জেনেছি তা তাদেরই বিশেষ অবদান বলে উল্লেখ করা হয়। তবুও আমরা কারো মতাদর্শকে ধারন করি না। আমরা সেই চিন্তার গভীরে প্রবেশ না করার কারণেই এই পৃথিবীতে এত ভারসাম্যহীন অবস্থা বিরাজমান। আজ আমরা এমন একটি সময়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি যে সময়ে আমাদের এই দৈনন্দিন জীবন যাপন করছি। তা আমাদের আরো ভালো হতে পারতো।

আজ আমরা আমাদের চিন্তার মূল অবকাঠামো থেকে সরিয়ে আসছি। আজ আমরা আমাদের সেই নৈতিক আদর্শ নৈতিক গুণাবলী নৈতিক চেতনাবোধ গুলোকে গোপন করি এবং অনৈতিক যা কিছু আছে তার সকল অপব্যবহার গুলোকে ব্যবহার করে আমরা সামনের দিকে অগ্রসর হই যা মানব জীবনের জন্য অত্যন্ত হুমকি স্বরূপ।

The actual number of Sophists was clearly much larger than 30, and for about 70 years, until c. 380 bce, they were the sole source of higher education in the more advanced Greek cities.
তথ্যসূত্র গুগোল, উইকিপিডিয়া।

আজ আমরা নানা কারণে নানা অপ্রয়োজনে বিভক্ত। আজকের দিনে আমরা শিক্ষিত হতে পেরেছি কিন্তু জ্ঞানার্জন করতে পারিনি প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করতে পারিনি প্রকৃত সমাজব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারিনি প্রকৃত নৈতিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারিনি প্রকৃত রাষ্ট্রব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারিনি। প্রত্যেকটি নাগরিকের দৈনন্দিন জীবনের মূল উদ্দেশ্য গুলোকে সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারেনি যা একটি দেশকে একটি সমাজকে একটি রাষ্ট্রকে একটি পরিবারকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে আজ আমরা সততাই বিভক্ত অসততায় বিভক্ত আজ আমরা আমাদের নিজেদের থেকেই অনেক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি।

এই জায়গা থেকে বেড়িয়ে এসে মূলনীতিতে কি ফিরে আসতে পারবো সেটা জানি না তবে সময় বলে দিবে আমাদের ভবিষ্যৎ কি!

তবে আমরা প্রত্যেকে আমাদের মানব জীবনে নিজেদের জন্য পরিবারের জন্য সমাজের জন্য রাষ্ট্রের জন্য নৈতিক আদর্শের প্রচার ও প্রসার ঘটাতে না পারলে কোনদিনও মুক্তির সেই কাঙ্খিত পথটি বা পথের দরজাটি দেখতে পাবো না, সেটা প্রথমে নিজের থেকেই শুরু করতে হবে।


বখতিয়ার শামীম
৩রা অক্টোবর ২০১৯ রাত ২ টা ৪০।

আমি কারো নই

আমি একদিন কারো বৃষ্টি হবো
কারো চোখের জল হবো,
কারো সুখ হবো,
আবার কারো জন্য দুঃখ হয়ে যাব।

আমি একদিন একা হবো,
আমি হবো আমার চোখের জল,
আমি একদিন আমার কান্না হবো
আমি একাই হব আমার সুখ।

আমি একদিন হারিয়ে যাবো
ঘর থেকে, কোন এক মনের চিলেকোঠা থেকে…
আর স্মৃতি থেকে কারো।
কারো সুখের জীবন থেকে
কারো স্বপ্ন থেকে আশা ভরসা থেকে
আর কারো ভালোবাসা থেকে।

আমি একদিন কারো কিছুই হব না, রইবো না।
আমাকে ভুলে যাবে সবাই
কারো স্মৃতি বাহিত জীবন থেকে
সবাই ওয়াদা করে ভাঙ্গার জন্য।
সবাই বিশ্বাস করে অবিশ্বাসের জন্য।

আসলে সবাই আপন হওয়ার অভিনয়
করে পর হওয়ার জন্য।
পৃথিবীতে কেউ কারো আপন নয়,
কেউ কারো সুখ নয়,
কেউ কারো স্বপ্ন নয়,
কারো বিশ্বাস নয়,
কেউ কারো আশা নয়, ভরসা নয়,
ভালোবাসা নয়।
পৃথিবীতে মানুষ অভিনয়ের জন্যই এসেছে
সত্যের পরিপ্রেক্ষিতে অসত্যের জন্য এসেছে।

সত্যি বলছি,
আমি কারো অবিশ্বাস হতেই পারি
কিন্তু আমি আমার বিশ্বাসের জায়গা থেকে বলছি
আমি সত্যের বিপরীতে নই।
সত্য থেকেই আমার জীবন যাত্রা শুরু এবং শেষ।

আমি কারো সুখ হবো না বলেই এড়িয়ে চলি।
আমি কারো দুঃখ হবো বলেই এড়িয়ে চলি,
আমি কারো কথা ভাবতে চাই না
বলেই দুই একটা মিথ্যা কথা বলি,

তবে আমি বলি বিশ্বাস হারানোর জন্য নয়
আমাকে কেউ দূরে রাখুক
কেউ আমার থেকে দূরে সরে যাক
কারণ, কাছে আসার জন্য মনের
সাথে মেলবন্ধনটা অতীব জরুরি।

প্রয়োজনে আমি তার কিছুই হবোনা,
প্রয়োজনে আমি তার মিথ্যা হবো
প্রয়োজনে আমি তার কেউ হবো না।
আসলে মানুষের জীবনে যা জরুরী তা হচ্ছে একটি প্রকৃত মন।

আমার কেউ সব হতে পারেন, আমি কারো সব হতে পারিনি বলেই
এই অভিঘাত, এই সংশয় এই দুস্তরপারাবার।