সুমন আহমেদ এর সকল পোস্ট

পথের সন্ধানে বের হয়ে আমরা কতিপয় যুবক

পথের সন্ধানে বের হয়ে আমরা কতিপয় যুবক

বস্তুত আমরা একটি হারান পথের খোঁজে বেরিয়ে পড়েছিলাম! পথের সন্ধানে হাঁটতে শুরু করে অতঃপর কেউ কেউ ফিরে গেছি ঘরে, কেউ কেউ আবার অগাধ বাণিজ্যের লোভে পড়েছিলাম কিছুকাল! কেউ কেউ কুড়িয়ে নুড়ি বাড়ি ফিরবার উদ্দেশ্যে পা বাড়িয়ে রাতের শেষ ট্রেনটি ধরবো বলে সজোড়ে চালিয়েছিলাম পা! পথের সন্ধানে বের হওয়া আমাদের কেউ কেউ; যারা প্রিয়তমা বধূটির কাছে বলে এসেছিল, দেখো ঠিক পেড়ে আনবই; তাদের কেউ কেউ পথ ভুলে বেমালুম অন্য পথে চলে গিয়েছিল! আমাদের হাঁটতে দেখে মধ্য পথে কালো চশমা আঁটা ভদ্রলোক সাদৃশ্য কেউ এসে থামিয়ে গতি পকেটে গুঁজে দিয়ে কিছু কাগজের নোট, বলেছিল কী লাভ এসবে যুবক! তার চেয়ে চল ওদিকটায় ঘুরে আসি। আমাদের কেউ কেউ দ্বিধাগ্রস্ত পায়ে চশমা পরিহিত ভদ্রলোকটিকে অনুসরণ করতে করতে একটি অন্দরমহলে অপেক্ষারত কিছু শুভ্র তরুণীর আধখোলা পেলব বুকে ঢলে পড়েছিলাম নেশা ঢুলু ঢুলু চোখে!

আমাদের গতি ছিল ক্ষিপ্র! আমাদের বলিষ্ঠ বুকে ছিল ইস্পাত দৃঢ়তা! আমাদের কেউ কেউ হাসতে হাসতে মৃত্যুর কাছে সমর্পিত হয়েছিলাম! অথচ পথের সন্ধানে বের হওয়া আমরা কতিপয় যুবক অবশেষে কেউই আর পথের সন্ধান খুঁজে পাই নি!

অনিবার্য যাই ছুটে তোমার অভিমুখে

অনিবার্য যাই ছুটে তোমার অভিমুখে

অতঃপর-
চুম্বনগুলো ছুঁড়ে দিই তোমার দিকে।

টেনে নাও আর বুকের নরমে লিখে দাও
দাহ আর উষ্ণতা, বসন্তের শব্দসমূহে।
জলপাই পাতাটিও আর রাখে না আড়াল
নিরাভরণ দেহখানি দেহতে মেশে!

তোমার নিবিড় আলিঙ্গনে তপ্ত বুকে জন্ম নেয়-
যে কোমল সবুজ তুমি তাতে স্পর্শ রাখো;
তোমার ওষ্ঠ, চিবুক, নাভিমূল নেমে এলে
আমি শুদ্ধ হই; বেঁচে উঠি আহত পাখিটি যেন;
আর-
শুশ্রূষার চুম্বন তোমার!

যেন আমি সমস্ত পৃথিবী ভুলে
অনিবার্য ছুটে যাই তোমার অভিমুখে!

এ শহরে কবিতা পাবে না

এ শহরে কবিতা পাবে না

এখানে- এ শহরে বোধের উচ্ছিষ্ট পাবে
রক্তে প্লাবিত রাজপথ পাবে
এখানে কবিতা পাবে না।

মানুষ হত্যার ইতিহাস আছে এখানে
আছে গুম-গুপ্তহত্যা, ধর্ষণের সহস্র কাহিনী
এখানে বুলেটে বিদ্ধ সময় পাবে,
এখানে কবিতা পাবে না।

এ শহরে কবিতা নেই
সবুজ বৃক্ষের পাতা হতে মুছে গেছে কবে
জোড়া শালিকের প্রণয়ের দাগ।

এখানে ভন্ড প্রতারক নেতার হাতে
গোলাপ ফুলও বেশ সাবলীল!
এখানে রাজনীতির নোংরা কারবারী পাবে
মিথ্যে আশ্বাসের বেসাতি পাবে
এখানে কবিতা পাবে না।

এখানে ভালবাসার চিত্রকল্পে আঁকা হয়
যুবতীর খণ্ডিত লাশের চিত্রকলা
ঘাতকের ঘসে পড়া জ্বিভে, দানব নখরে।
এখানে সবুজ ঘাসের আড়ালে
লুকনো রক্তে গাঢ়তা পাবে,
ভ্রুণ হত্যার পুরাণ পাবে
এখানে কবিতা পাবে না।

মারণাস্ত্র যে ভাষাতেই কথা বলুন না কেন
জানি প্রতিটি হত্যার রঙ লাল!
একদিন যে গোলাপ নিদারুণ ভালবেসে
বুকের নরমে তার কোমলতা ছুঁয়ে,
লিখেছিলাম একান্ত উচ্চারণ
বস্তুত তাকেও হত্যা করা হয়েছিল।
কালের রক্তাক্ত ছুরিতে বিদ্ধ হতে হতে,
জীবন্মৃত গোলাপ হাতে আবারো দাঁড়িয়েছি
এ শহরে বিক্ষুব্ধ সময়ের বিপরীত স্রোতে!
এখানে বিষণ্ন রাত্রির ঝরে পড়া নক্ষত্রের মত
নিয়ত খসে পড়ে বুকের ভূগোল;
এখানে রাতের পৃষ্ঠা জুড়ে কুশীলব পাবে
পানশালার নাচনেওয়ালীর ঘুঙুরের শব্দে
মদিরা চোখে নেশাতুর চাহনি পাবে
এখানে কবিতা পাবে না।

প্রেমিকার চুম্বন ফেলে আমাদের ষোল কোটি পা আজ

প্রেমিকার চুম্বন ফেলে আমাদের ষোল কোটি পা আজ

স্নানাগারে আজ আর নেই আলিঙ্গনের চিহ্ন প্রেমিকের
পাতার নিজস্ব ঘ্রাণ আর বিপর্যস্ত বাতাসেও নেই স্পষ্টতর সংবাদ
ইথারে ভাসছে কেবল শব্দের ঘ্রাণ, উদ্ভ্রান্ত প্রেমিকার মতো!

আমি ছুটে যাচ্ছি ক্রমশ, শব্দের অধিক দ্রুত গতিতে
পৃথিবীর সবচাইতে দ্রুতগামী যান পেছনে রেখে!

পথে ধাবমান অস্থির পা’দুটো চলিষ্ণু মেঘেদের মতো
ক্ষুধার্ত মানুষের মতো কম্পমান আজ হৃদপিণ্ড!
শিরা উপশিরা আর অব্দ অলিন্দ!

আমি ছুটছি! ছুটে যাচ্ছি ক্রমশ-
পেছনে ফেলে প্রেমিকার অবশিষ্ট চুম্বন!
নারীর উষ্ণতা আর আলিঙ্গন
আকাঙ্খিত কোন কিছু নয় এখন আর!

আমি ছুটছি! ছুটে যাচ্ছি …।

কেননা;
আমাদের ষোল কোটি পা-
আজ প্রজন্ম চত্বর বুকে,
শাহবাগ অভিমুখী!

________________
কিছুটা পুরোনো কবিতা।

কবিতা লেইখা কাম নাই

কবিতা লেইখা কাম নাই

কবিতা লেইখা কাম নাই
তার চাইয়া ভাল বেশ্যার দালাল হইয়া যাই।
আরো ভাল হয় যদি হই, রাজনীতির ছেঁচড়া কারবারি
নিদানপক্ষে পান মুখে লুল ঠোঁটে ঘুষখোর পুলিশ,
ট্যাক্স অফিসের কেরানী হইলেও মন্দ হয় না!

কবিতা তুই কথা কইস না, চোখ তুইলা তাকাইস না
তার চাইয়া ভাল সুরার পাত্রে আকণ্ঠ ডুইবা,
মাতাল হইয়া যা!
পানশালায় নাচনেওয়ালীর ঘুঙুরের শব্দে বাড়লে নেশা;

বড় জোড় শিশ্নে গা ভাসা!

৩১/০১/১৩

আমাকে আঁকতে বলা হয়েছিল

আমাকে আঁকতে বলা হয়েছিল

তোমার নামে আমার সমুদয় শব্দমালা আঙ্গুলের কোমল স্পর্শে গেঁথে যাচ্ছে ল্যাপটপের পৃষ্ঠা জুড়ে। আমি ফুলের নাম লিখতে চেয়ে লিখে দিচ্ছি তোমার নাম, আমি ফলবতী একটি বৃক্ষের ছবি আঁকতে যেয়ে এঁকে ফেলছি তোমার মুখ! আমি খরস্রোতা নদীটি আঁকতে চেয়ে এঁকে ফেলছি তোমার দু’বুকের মধ্যদেশ, যেখানে মৃত্যুর মতো কিছু সুখ পলি হয়ে জমে আছে! আমি একটি গভীর পরিখা আঁকতে যেয়ে দেখি অবলীলায় এঁকে ফেলেছি তোমার দু উরুর প্রান্তদেশ! পাহাড়কে আঁকবো বলে কাটপেন্সিল তুলে নিতেই তুমি এসে সামনে দাঁড়ালে, আমি এঁকে ফেললাম তোমার পৃষ্ঠদেশ, এঁকে ফেললাম পাহাড়কে মুছে দিয়ে প্রান্তিক কিছু রেখা চিহ্ন! আমাকে আঁকতে বলা হয়েছিল একটি কাগজের নৌকা অথচ দেখো, আমি দ্বিধাহীন এঁকে ফেললাম তোমার ঠোঁট, এঁকে ফেললাম চিবুক! আমাকে একবার আঁকতে বলা হলো গভীর অরণ্যে প্রাচীণ বৃক্ষের ডালে ঝুলন্ত পাখির নীড়; আমি এঁকে ফেললাম তোমার চোখ!

শেষ বার যখন আমাকে আঁকতে বলা হলো হৃদয়ের উচ্চারণ; কী আশ্চর্য আমি এঁকে ফেললাম তোমার নাম!

একটি জোনাক অতর্কিতে ছুঁয়ে যাবো

একটি জোনাক অতর্কিতে ছুঁয়ে যাবো

ঘুমিয়ে পড়েছো যদিও! যদিও জোছনার রাত ঘুমহীন জেগে রও! একটি জোনাক অতর্কিতে ছুঁয়ে যাবো। জোছনায় মাখা হৃদয়ের কিছু আরতি ভরে, বোশেখের খামে ডাক পাঠাবো। একটি কবিতা হৃদয় কালিতে মেঘকে উপমা করে, তোমার নামে বাতাসে ভাসাবো! একটি দুয়ার আগল খুলে তোমাকে দেখাবো; ভেতরের ডাক, বিবিধ ফাগুন, চিত্রকল্পে চৈত্র বোশেখে, তোমার অঙ্গের উপমা সাজাবো! একটি পাঁজর খুলে নিয়ে হাতে তোমাকে দেখাবো! একটি পাঁজরের প্রত্নতত্ত্ব পুরান ঘেটে ইতিবৃত্ত দেখে নিও!

ঘুমিয়ে পড়েছো যদিও! যদিও একলা এ রাত ঘুমহীন জেগে রও! একটি জোনাক আচানক ছুঁয়ে যাবো। একটি জলের পাত্র হয়ে, আজন্ম জমানো, বুকের সকল তৃষ্ণা মেটাবো! একটি নদীতে উজাড় সাঁতারে, পরস্পরে তুমুল ভাসাবো! একটি জোনাক, একলা এ রাত; সুদে ও আসলে- সকল প্রাপ্য, কড়ায় গণ্ডায় তোমাকে দিয়ে, ঘাসের বিছানা, মাটির এঁটেলে নিখাদ ঘুমাবো!

প্রজন্ম চত্বর ডাকে তোমাকে আসতেই হবে

প্রজন্ম চত্বর ডাকে তোমাকে আসতেই হবে

তোমার জন্য যে যুবক অপেক্ষার দ্বীপ জ্বেলে জেগে আছে নিদ্রাহীন
যে তরুণ তোমার জন্য প্রিয়তমাকে বলেছে ভালবাসাগুলো তুলে রেখো
যে কিশোরী হৃদয়ের নরমে মিশিয়ে ইস্পাত দৃঢ়তা; বলেছে আসছি আমিও
যে নারী উনুনে আর জ্বালে নি আগুন; বুকে জ্বেলে হয়েছে উন্মুখ শুধু
যে বৃদ্ধ ক্রাচে ভর করে দূরন্ত উচ্ছাসে ছুটে এসেছে সবটুকু বেদনা ভুলে
যে পিতা বুকে হাত রেখে আবারও জ্বলতে চেয়ে জ্বলে উঠেছে ক্রমশ!
যে মা তার ছেলেকে সাজিয়ে যোদ্ধার বেশে পাঠিয়েছে তোমার খোঁজে
যে ছোট্ট শিশুটিও তোমাকে চাইতে চাইতে ছুটে এসেছে শাহবাগ!

যে রিক্সাওয়ালা নিদ্রাহীন কাটালো রাত তোমাকে ডেকে
যে নির্মাণ শ্রমিক আজ আর হাতে তুলে নেয় নি হাঁপড়
যে কৃষক আজ আর শোনে নি ফসলের ডাক তোমাকে শুনবে বলে
যে মজুর তুলে নি মাথায় মালের বোঝা তোমাকে তুলে রাখবে ভেবে
যে চাকুরিজীবি অফিস শেষে আজ আর ফেরে নি গৃহে!

তুমি আসবে না!

তোমাকে ডাকে এই নদী মাঠ; ডাকে ধুলোবালি, বসন্ত কোকিল।

শাহবাগ তোমাকে ডাকে! জনস্রোত তোমাকে ডাকে!
ডাকে কানা-বোবা-কালা আর নুলো ভিখেরিও!

তুমি আসবে না! তুমি আসবে না!

________
১৬/০২/১৩

প্রেক্ষিত বিবেচনায় পুনঃপ্রকাশ।

একদিন খুন হয়ে যাবো

একদিন খুন হয়ে যাবো

একদিন শুদ্ধ হয়ে যাবো নিবিড় স্পর্শ পেলে
একদিন ভুলে যাবো বেদনার ভুল ফুলগুলো।
প্রত্যাবর্তনের কিছু চিহ্ন যদি রাখো;
একদিন খুব বাধ্য হয়ে যাবো!

একদিন সোহাগের নিয়মে
তোর দু নদীর মাঝ বরাবর

অবলীলায় খুন হয়ে যাবো!

রেখো জমা

রেখো জমা

ভালোবাসা থাক জমা তোমার হাতে
একদিন চেয়ে নেবো, না হয় আসলে সময়,
এখন ধ্বংসের গান বড় ভাল লাগে
ধ্বংস নিয়ে তাই আছি মেতে।

প্রণয়ের কথাগুলো তোলা থাক তোমার বুকে
একদিন চেয়ে নেবো, না হয় আসলে সময়,
এখন হিংসুক হতে খুব ভাল লাগে
হিংসুক হয়ে তাই বাঁচি সুখে।

স্মৃতিগুলো পড়ে থাক তোমার ঠোঁটে
ফিরে নেবো একদিন, না হয় আসলে সময়,
এখন অস্ত্রেতে চুমু খেতে ভাল লাগে
অস্ত্র নিয়ে তাই আছি মেতে।

লেনদেনগুলো জমা থাক বাকির খাতায়
একদিন করে নেবো হিসেব নিকেশ
এখন সময় শুধু শুধরে নেবার
ততোদিন রাখবে কি চোখের পাতায়?

আয়না ও রাত

আয়না ও রাত

আয়নার সামনে দাঁড়ালে যে প্রতিবিম্ব তা কেবল প্রতিবিম্বই, গোপন কিছু সেখানে দৃশ্যমান থাকে না। অতঃপর রাতের অন্তরালে যে দৃশ্যেরা গ্রন্থিত হয় মানুষ তার সবটুকু দেখে না, তবু সন্ধ্যের হাতে ভোরের শুদ্ধতা খোয়া গেলে – গেল গেল রবে ভ্রুকুঞ্চিত দ্বিধায় রব তোলে পুরো শহরময়।

অথচ রাতের পৃষ্ঠাজুড়ে রচিত গল্পের সব কুশীলবই ঘুরেফিরে প্রকাশ্যে প্রতিদিন!

আঙ্গুল জানে ভাঁজের নিয়ম

আঙ্গুল জানে ভাঁজের নিয়ম

জানালার পর্দাতে অন্ধকার দুলে ওঠে
ল্যাম্পপোস্টের আলোয় জোনাকীর আনাগোনা;
বিছানারা ডাক দেয় আয় আয়
তারপর; শুধু লেনাদেনা।

রাত্রির গায়ে আরেকটু গাঢ়তা আঁকে মেঘ
আমার আঙ্গুল জানে ভাঁজের নিয়ম
তোমার লুলিত নদী দিলে ইশারা
ধ্যান ভাঙ্গে তার জলের রসম।

তুমিই প্রাণের কুটুম ভাঁজের কসম!

কবিতার অগ্রন্থিত শরীর এবং চাঁদ বিষয়ক

কবিতার অগ্রন্থিত শরীর এবং চাঁদ বিষয়ক

জানালার ফাঁক গলে কবিতার অগ্রন্থিত শরীর বেয়ে রোজ রাতে নেমে আসে যে চাঁদ, আমি তাকে কাগজের শুভ্র বিছানায় আলতো ঠুঁকে দেবার ছলে গা ছুঁয়ে দিতেই তার বড্ড অভিমান; যেনবা সীতার সতিত্ব হরণ সাদৃশ্য অপরাধে অভিযুক্ত শব্দযাজক আমি আর আমার ইতস্তত কবিতার কাঠপেন্সিল!

ইশ্বরের কাছে প্রশ্ন

ইশ্বরের কাছে প্রশ্ন

আমার হাত ইশ্বরের প্রলম্বিত হাত নয়, তাই মাটি ও জলের দূরত্ব অনতি নয় আমার কাছে। আমার কান ইশ্বরের প্রখর কোন শ্রবণ ইন্দ্রিয় নয়, তাই যতটুকু আড়াল হলে শোনা যায় আর্তনাদ; ততটুকু আড়াল আমার। আমার চোখ ইশ্বরের প্রসারিত দৃষ্টি নয়, তাই যেটুকু দূরুত্ব পেরুলে মানুষের সবকিছু গোচরে থাকে, ততটুকু দূরুত্বে স্থিতি আমার!

অতঃপর; হে ইশ্বর, তোমার হাত, তোমার চোখ এবং তারপর তোমার শ্রবণ, শোনে কি পীড়িতের অলিখিত কান্নার কোরাস?

পুড়ে যাচ্ছে বোধ পুড়ছে বিবেক

পুড়ে যাচ্ছে বোধ পুড়ছে বিবেক

ওদিকে পুড়ছে-
মানুষ, ঘর, গ্রাম ও লোকালয় …
পুড়ছে বিশ্বাস, ধর্ম ও উপাসনালয়!
এদিকে ইশ্বর হাসেন আড়ালে তবু,
আর; হাসে সুচতুর শয়তান!
মানুষে মানুষ পোড়ে!
পোড়ে ঘর, গ্রাম ও লোকালয়
সাথে পুড়ে যায় বোধের মন্দির।
হে নাপাক কুকুর তুই ঈষৎ ছুঁয়ে দিলে
এখন আর অপবিত্র লাগে না কসম
যতোটা এই অ-মানুষে ছুঁলে!