সুজন হোসাইন এর সকল পোস্ট

সুজন হোসাইন সম্পর্কে

জগতের সব কিছু নিয়ে ভাবি,আর ভেবে যা পাই তা লিখে রাখি মহা কালের পাতায়।

কথোপকথন -০৪

ক্রিং… ক্রিং… ক্রিং……….

–হ্যালো … কি বলবে বলো?

–কি বলবো মানে? সেই কখন থেকে কতবার ফোন
দিয়েছি হিসেব করছো? তুমি ফোন রিসিভ করোনি
কেন? কি হয়েছে তোমার? কিছু বলোনি কেন?

–কই না তো কিছু হয় নি। এমনই।

–তাহলে আমার সাথে কথা বলোনি কেন? কোনো এস এম এসও করোনি?

— এমনই। মন চায় নি তাই।

— ও…. মন চায়নি নাকি তুমিই কথা বলবা না। কোনটা?
কথা বলবা না সেটা তো বলে দিলেই পারো।

— কি বলার আছে?

— তাই না, কি বলার আছে।
তুমি কি আমার সাথে এই রিলেশনটা রাখতে চাও না?

–না চাই না! এই কথা বলার সাহস নেই বলেই তো এত
অভিনয়।

— চয়ন, তুমি কি সত্যি বলছো? কথা বলবা না, রিলেশন রাখ বা না?

— হুম সত্যি ই বলছি…..।

— চয়ন তুমি তো ঠিক আছো। এমন কেনো করছো।
কি হয়েছে তোমার, বলো আমাকে, প্লীজ বলো।

— কিছু হয়নি। আমি ঠিক আছি।

— না চয়ন, তুমি ঠিক নেই। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না, তুমি এমন করবা,আমাকে এভাবে ঠকাবে তুমি কখনো ভাবিনি।
আমি কখনো ভাবিনি চয়ন, কখনো না….।

— হ্যালো –হ্যালো–হ্যা—লো। নিশ্চুপ…..।

০৭/০৭/১৯

অপরাধী

আজকাল নিজেকে বড় অপরাধী মনে হয়, যূথিকা।
সদ্য বিচার হওয়া ফাঁসিতে ঝুলানো আসামীর মত অপরাধী মনে হয় নিজেকে।

আজকাল আয়নায় আর নিজেকে দেখতে পাই না
আমি। চোখের মাঝে বরফের স্তূপ জমে গেছে।
মুখটাও অন্য কারুর করুণ মুখ হয়, এক আকাশ
আকুতি নিয়ে চেয়ে আছে আমার দিকে।

আমি কি করে তোমার সাথে ভালো সময় কাটাবো?
আমি পারবে না যূথিকা, আমি পারবো না কখনো।

ছোট ভাইটা রোজ এক শার্ট আর এক প্যান্ট পরে
কলেজে যায়। পায়ে জুতাও নেই নতুন কোনো।
বাবার পুরনো একটা শার্ট শেলাই করেই চলে দিনের পর দিন। কেউ বললে, বুক ফুলিয়ে বলে সামনে মাসে বড় খোকা টাকা পাঠালে ই নতুন একটা নিবো। এটা তো আরও কয়েক মাস দিব্যি চলে যাবে, এখন লাগবে না।
বাবারা বুঝি এমনই হয়। তাই না যূথিকা।

আমি কি করে তোমাকে শপিং করে দেই যূথিকা?
আমি কি করে তোমাকে নিয়ে ঘুরতে যায়,
বলতে পারো কি তুমি।
আমি পারবো না যূথিকা,আমি পারবো না এসব।

পাশের বাড়ি চাচি যখন তার ছেলের দেওয়া নতুন
কাপড় দেখিয়ে দেখিয়ে বলে এটা আমার ছেলে পাঠিয়েছে ঢাকা থেকে। আমি ত চাই নি, তাও জোর করে দিয়ে পাঠিয়েছে। তখন আমার মা আঁচলের ছেঁড়া
টুকু সযতনে লুকিয়ে বলে আমার ছেলেটাও সামনে ঈদে আমার জন্যে শাড়ি কিনে আনবে।গোপনে চোখের পানি মুছে সবার কাছে আমাকে বড় করবে।

আমি কি করে তোমাকে কসমেটিকস আর প্রসাধনী কিনে দিই যূথিকা।
আমি কি করে তোমাকে সাজিয়ে মা”কে রাখি
পাগলিনীর বেশে বলতে পারো কি?
আমি পারবো না যূথিকা, আমি পারবো না কখনোই।

পাগল ভাইয়ের দুই ছেলে মেয়ে যখন খেলার সহপাঠীর
কাছে কাঁদে।নতুন জামা আর খেলার পুতুলে হাত দেওয়ার জন্যে অকথ্য গালিগালাজ আর মার খেয়ে দূর থেকে চেয়ে দেখা। মনে মনে বলা আমার চাচ্চুও আমাদের জন্যে এর চেয়ে সুন্দর পুতুল আনবে।
এর চেয়েও সুন্দর জামা আনবে। আর কাঁদবে।

আমি কি করে তোমাকে রেস্টুরেন্ট নিয়ে গিয়ে কোল্ড ড্রিঙ্ক আর রাস্তার পাশে ফুচকা খায় যূথিকা।
আমি কি করে ওদের স্বপ্নকে মেরে ফেলি নিজ হাতে
একবারও কি বলতে পারো যূথিকা?
আমি পারবো না যূথিকা,আমি পারবো না
কাউকে খুন করতে।

আমি পারবো না তোমাকে খুশি করতে সবার খুশি গুলো নিজ হাতে গলাটিপে মারতে।
আমি পারবো না কখনোই মা’র চোখের জল মাটিতে
ফেলতে তোমার সুখ বিলাসের জন্যে।
আমি পারবো না কখনোই বাবার গায়ে ছেঁড়া শার্ট দিয়ে
নিজেকে নামীদামি ভাবতে।
আমি পারবো না কখনোই নিজের সুখের কথা ভেবে
ছোট্ট ভাইয়ের ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে।

আমি পারবো না যূথিকা, আমি পারবো না।

আজকাল নিজেকে বড় অপরাধী মনে হয়, যূথিকা।
সদ্য বিচার হওয়া ফাঁসিতে ঝুলানো আসামীর মত অপরাধী মনে হয় নিজেকে।

২৬/০৬/১৯

তুমি চলে যাবার আগে

তুমি চলে যাবার আগে
রেখে যেও আমাদের প্রথম চুমো,প্রথম অভিসার।
ঠোঁট কাঁপানো চোখে শত যুগের
লজ্জাজড়িত অস্পষ্ট নিশ্বাস,রেখে যেও তুমি।

জানি তুমি পারবে না
কিছুই নেই তোমার কাছে আমাকে দেবার মত।
এই শহরটা ঘুমিয়ে গেলে লুকিয়ে
কাঁদো তুমি,তার সাক্ষী কেবলমাত্র ওই বালিশটা।

তুমি চলে যাবার আগে
রেখে যেও আমাদের প্রথম গোলাপ,নিঃসঙ্গ কুঁড়ি।
টেবিলে ছড়ানো লাল নীলের টিপ
আচমকা গোধূলির রঙিন সূর্যাস্ত,রেখে যেও তুমি।

জানি তুমি পারবে না
কারণ তুমি জানো,এই পথে ঘাসফুল জেগে থাকে।
যদি ওরা দেখে ফেলে তোমাকে
তুমি একা হেটে যাচ্ছো তবে মৃত্যুর মিছিল শুরু হবে।

তুমি চলে যাবার আগে
লিখে যেও আমার কবরের এপিটাপ,ভুলে গেছি আমি।
কফিনের গায়ে পেরেক পুঁতে
এঁকে দিও আমায়। পৃথিবী চেয়ে চেয়ে দেখবে আমাকে।

২৩/০৬/১৯

ছারপোকা

রাত গভীর হলে ওরা বেরিয়ে আসে।
শত যুগের ক্ষুধা নিয়ে বেরিয়ে আসে।
কফিনের পেরেক খুলে ঢুকে পড়ে নিঃশব্দে
আঁতুড়ে নগরের বিক্ষিপ্ত কবরের কোণায় কোণায়।

অস্থিমজ্জার সবটুকু রস চুষে খায় ওরা
সিডর,আইলা,ফণীর মতন দারালো দাঁত বসিয়ে।
নারীর অঙ্গ ছুঁয়ে যে দেহ কফিনে শয়–আর,
যে দেহ মরবার আগেই মরে যায় তারও রক্ত খায়।

২২/০৬/১৯

তিনটি গুচ্ছ কবিতা

বিরহ

সাজিয়ে রেখেছি পুষ্পডালা
গাঁথিব বলে প্রেম মালা,
ফুলগুলো হায় শুকিয়ে যায়
ওগো সখা তোমার আশায়।
_________________

ব্যাকুল মন

চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে
সেজেছে মনের কুঞ্জবন।
মহুয়া বনে ফুলের গন্ধে
ব্যাকুল হয় যে এই মন।
_________________

ছল্

আমার আছে লক্ষ্য তারা
জোছনা মেঘের ঢল,
পরিয়ে দিবো চাঁদের নোলক
তুই যদি করিস ছল্।
_________________

১৮/০৬/১৯

এদিন যেন হঠাৎ চাওয়া দিন

এদিন যেন নির্জন তটে বিষণ্ণ দিন,
এদিন যেন আর ফিরে না পাওয়ার দিন।
ভরদুপুর, মধ্য পুকুর,
জলের সুরে ব্যর্থ মনবীণ–দূর কোথা যেন লীন।

এদিন যেন হঠাৎ চাওয়া দিন,
এদিন যেন ধান শালিকের অশ্রু মলিন।
মেঘলা দুপুর, বিষণ্ণ মন,
ঝরা বকুল সুতো ই গাঁথা –অচিন কারুর মুখ।

এদিন যেন স্নিগ্ধ সজল বৃষ্টি ভেজা দিন,
এদিন চালতা শাদা, কেয়া যূঁথির নবপুষ্প দিন।
পদ্মপুকুর, জলের নূপুর,
মনের সীমান্ত ছুঁয়ে ব্যস্ত নগর– একটু তৃষ্ণার জল।

এদিন যেন তোমার নিবিড় ঘন বুক,
এদিন যেন অনন্ত পূর্ণিমা, স্বপ্ন চারণ ভূমি।
ম্লান ঠোঁটে অনন্ত মহড়া,
ছন্নছাড়া মনে নিত্যরঙে চঞ্চল –ব্যথিত চোখের জল।

১৭/০৬/১৯

বৃষ্টির দিনে

আজ আকাশের বুক ভেঙেছে
নামতে পারে বৃষ্টি-ঢল।
তোর উঠোন ছাদে দুলিয়ে পা
খুলে রাখিস রুপোর মল।

হাতের কাঁকন কানের ঝুমকো
মাথায় পরিস কদম ফুল।
আজ অথৈ আষাঢ় রিমঝিম
নিঝুম পদ্মদীঘির জল।

মহুয়ার ঘ্রাণে মাতাল প্রকৃতি
মন যে করে শুধু আকুল।
এই নব মেঘদল অনন্ত পুরের
নীরব সাকির চোখের জল।

আষাঢ় মানে শুধু মেঘলা দুপুর
চালতা ঝরা বকুল ও জুঁই।
পদ্মপুকুর,বিষণ্ণ ঝাউবন ডেকে
মন বেঁধে রাখে,কোথা যাই।

বৃষ্টির দিনে বুকের ফ্রেমে শুধুই
আনমনে কারুর ছবি আঁকা৷
তুখোড় বৃষ্টি বাদল ঝরঝর সুরে
উদাসীন পথে চেয়ে থাকা।

১৬/০৬/১৯

প্রত্যাবর্তন

বার বার চলে যায়,
বার বার ফিরে আসে।
প্রত্যাবর্তনের পথে সেঁদো মাটির গন্ধ
নিয়ে শালিকের ঠোঁটে ঝুলে থাকে সূর্যাস্ত।

দিন মাস বছর পিপুলের পাতায় হিসেব কষে
লাল রঙের ফড়িং হয়ে উড়ে যায় উনুনের পথে।

বার বার চলে যায়,
বার বার ফিরে আসে।
ধুলোমাখা পোশাক,উষ্কখুষ্ক চুল।চৌকাঠে ঝুলানো
মলিন চিঠি।অস্থির মন স্থির প্রকৃতি বিরহ গন্ধ শুকে।

ফেরা না ফেরার প্রত্যয়ে ঝিনুকের বুকে সমুদ্র লুকিয়ে
রাখে।মিলনের সুখে যদি চোখের জল শুকিয়ে যায়।

১৩/০৬/১৯

বিচ্ছেদ

প্রেমের আগুন জ্বলে জ্বলে
জীবন হোক,জ্বলন্ত জীবন।
ভালোবাসার জীবন।

চোখের জল শুকিয়ে
ইচ্ছে পুড়ে যাক।
স্বপ্ন গুলো কুয়াশার মত বেওয়ারিশ।

বুকের মাঠ ধূ-ধূ মরু প্রান্তর
আবেগী চিৎকার নির্ঝর মরিচিকা।
বিচ্ছেদে বিরহী মরণ।
০৫/০৫/১৯

ইসলামী হামদ্ || || মাফ করে দাও প্রভু

মাফ করে দাও প্রভু আমায়
মাফ করে দাও তুমি,
গুনাহগার এই বান্দা আমি
মাফ করে দাও তুমি।

দম ফুরালে যাইতে হবে
এই দুনিয়া ছাড়ি,
করছি তবুও দিনে রাতে
পাপের বোঝা ভারি।

শয়তানের’ই ধোঁকা থেকে
আমায় বাঁচাও তুমি,
চোখের জলে ডাকি তোমায়
পাপী বান্দা আমি।

মাফ করে দাও প্রভু আমায়
মাফ করে দাও তুমি।

সত্য পথের দাও গো দিশা
করি মোনাজাত,
সকল পাপের আজাব থেকে
দিও গো নাজাত।

একটু আলো দাও গো মনে
জ্বলুক নূরের মমি,
চোখের জলে ডাকি তোমায়
পাপী বান্দা আমি।

মাফ করে দাও প্রভু আমায়
মাফ করে দাও তুমি।

০৪/০৫/১৯

যোজন যোজন দূরে

আজ সারা দিন আমি এই ঘাসে
বাবলার ফুলে ফুলে,
শালিকের ঝাঁক হয়ে নেমে আসি
পুকুরের নীল জলে ॥

কলমির ঘ্রাণে বাদলের জলে
পাখির পালক ঝরে,
আষাঢ়ের দিনে মেঘের ছায়ায়
তারে খুব মনে পড়ে ॥

হিজলের ডালে মেঘবতী চুলে
দেখে কেশবতী কন্যা,
চাঁপাফুলে গাঁথা মুখখানি তার
রুপে গুনে সে অনন্যা ॥

যতদিন আছি এই পৃথিবীতে
কুয়াশার মত বেঁচে,
ততদিন চাইবো তোমাকে আমি
হলুদ পাতার নিচে ॥

তবু জানি কোনদিন একদিন
ছেড়ে চলে যাবে তুমি,
মানুষের ভিড়ে অজস্র খুঁজিবো
মিছে বার বার আমি ॥

আজকের মত সেইদিন যদি
ঝর ঝর ঝরে যায়,
বাদল বরষা,সেইদিন তারে
আমি যে দেখিতে চাই ॥

ছাইতন হরিতকী মেহগুনি
আর কদমের ডালে,
জোছনার রঙে মন ভিঁজে যায়
কাতর চোখে তাকালে ॥

রাতের শরীরে শিশিরের জল
নিশিদিন ঝরে পড়ে,
তবু যেন আমি তার কাছ থেকে
যোজন যোজন দূরে ॥

09-07-16

ইসলামী হামদ্ || || তুমি প্রভু

নদী চলে ঢেউয়ের তালে
ছলাৎছলাৎ সুরে,
পাহাড় কাঁদে জলের সুরে
কাকে মনে করে।

কেউ কি পারো দিতে বলে
কার ইশারায় সূর্য উঠে,
চন্দ্র ডুবে, রাত্রি নামায় ধরায়।

সে তো তুমি প্রভু, তুমি,সে তো তুমি।

পাখির ডাকে মধুর সুরে
গায় আল্লা মহান,
ফুলের বাগে সুভাষ ভরে
রহমতের ই ঘ্রাণ।

কেউ কি পারো দিতে বলে
কার ইশারায় ফুল ফুটে,
ফল হয় বৃক্ষ তরুলতায়।

সে তো তুমি প্রভু, তুমি,সে তো তুমি।

০২/০৫/১৯

আজব দেশ

এ এক আজব দেশ…!
এখানে রোজ হচ্ছে অগণন মৃত্যু। নিশীথের গাঢ় ধূমের কুণ্ডলীর ন্যায় নিয়ত হচ্ছে “এক একটি মৃত্যু”।
আরক্ত রক্তের রেখায় রচিত হচ্ছে “কবরের ‘পর কবর”!

খুনের রক্তে ঝিলমিল আকাশে উদভ্রান্ত যুবকের বুকফাটা দীর্ঘশ্বাস।
নগ্নশির ভিক্ষুকদল যেন ধরণীর বিশীর্ণ নির্মোক;
সর্প্রাগ্র রাজপথে ছিন্নবাস পলাতক ঝরা পালক।

বাস্তবের রক্ততটে নিয়ত মিথ্যের বাস।

রঙিন দেয়ালে তৈলচিত্রের আদলে
শোভা পায় মুমূর্ষুর রুধির লিপিকা।

এ্যাকুরিয়ামের নীল জলে ভেসে বেড়ায়
মৃতের অস্থি খুলি । মৃত-শিশুর বুকে স্পন্দনহীন
রক্তিম চন্দন মেখে রোজ চলে শান্তির রাজ্য শাসন।

উদায়স্ত আকাশের রত্নচূড়ে-বিচিত্র এ আজব দেশ,
সততা, মানবতা ভুলে বিকল শাসনের বেড়ে পড়েছে আটকা।

19/08/15

লেখাটা অনেক আগের।

এলো বৈশাখ

এলো আবার বৈশাখ ধরনীর বুকে
মনের যত দুঃখ, গ্লানি মুছে দিয়ে,
পুরাতনকে জানিয়ে বিদায়,
নতুন করে সাজাতে সুন্দর ভূমিতল।

বৈশাখীর মহাতাণ্ডব লীলার করুণ
সুরের বীণায় প্রকৃতির ‘পরে
কনকলতা কাঁপন তোলে সংগোপনে___!

মৃত্তিকার রিক্ত কাতরতার মুর্ছনায়
শুকনো পাতার আড়ালে পথের
ধুলো লুকাই___।
গোধুলী বেলায় গ্রাম্য বধুর অশান্ত
চোখের কোন তারায়___।

বৈশাখ আসে যেন উৎসব মুখরিত
পরিবেশে পুণ্যাহ আর সানাই রঞ্জিত সুরে।
কালের প্ররিক্রমায় চিরন্তন অস্তিত্বে______
স্বাধীন ব্যক্তি স্বত্তা নিয়ে বাঙালীর ঘরে-ঘরে ।

_______________________________
লেখাটি বেশ পুরনো ও পরিমার্জিত … ১৩/০৪/১৮