বিভাগের আর্কাইভঃ ছড়া ও পদ্য

স্মৃতি প্রীতি

কিছু স্মৃতি কিছু প্রীতি
যায় তো না ভোলা,
মনের কথা যথাযথা
যায় না যে বলা।

সুখের সাথে দিনে রাতে
চলতে হয় যে কভু,
হাসি মুখে সুখে দুখে
অবাক লাগে তবু।

সুখী জনে নিত্য ক্ষণে
খেলে নানা খেলা,
সুখের সময় পুরো মৃন্ময়
ভাসে খুশির ভেলা।

সুখের স্মৃতি দুখের প্রীতি
কষ্ট লাগে প্রাণে,
কত আশা কত ভাষা
প্রকাশ পায় না গানে।

রচনাকালঃ
১০/১০/২০২২

ধোঁকা

আমি বড়ো বোকা
খালি খাই ধোঁকা।
বৌয়ে দেয় ধোঁকা,
বোনে দেয় ধোঁকা;
আমি বড়ো বোকা
খালি খাই ধোঁকা।
ভাইয়ে দেয় ধোঁকা,
ভাবী দেয় ধোঁকা;
আমি বড়ো বোকা
খালি খাই ধোঁকা।
বন্ধু দেয় ধোঁকা,
বান্ধবী দেয় ধোঁকা;
আমি বড়ো বোকা
খালি খাই ধোঁকা।
ধোঁকা খেতে খেতে
জীবন শেষ মৃত্যতে।

মেঘমালা

ttt

নীল আকাশের মাঝে
নীহারিকার সাজে
নিত্য দেখি তোরে,
কত সুন্দর তুই
স্বপ্নে তোকে ছুঁই
দিবার রাঙা ভোরে।

নীলে নীলে ভেসে
কোথায় যাস তুই শেষে
জানতে আমি চাই,
কোথায় তোর ওই বাড়ি
পড়িস কি তুই শাড়ি
তোর উপমা নাই।

রচনাকালঃ
২৯/০৬/২০২২

ফুল নিয়ে যা পাখি তার জন্য

2924

ও পাখিরে যা না ওড়ে
ফুল নিয়ে তুই ঠোঁটে,
তারে দিবি পাখি, নইলে
মন যাবে আজ টুটে।

সাত সমুদ্দুর তেরো নদ
পার হয়ে তুই যাবি?
সেথায় গিয়ে পাখি জানিস?
তার দেখা তুই পাবি!

অদৃশ্য এক বন্ধু আমার
দেয় না দেখা এসে,
কোথায় জানি কোন সে সুখে
যাচ্ছে সে যে ভেসে।

কত কথা আছে জমে
বলতে ইচ্ছে তাকে,
তার জন্য তাই জমিয়েছি
কাব্য মনের তাকে।

ফুলের সাথে দেব চিঠি
পৌঁছিয়ে দিস তারে,
তুই ছাড়া আর এমন আবদার
রাখবো বলতো কারে?

পাখি তার জন্য ফুল রাখি
মনের জলে তাজা,
সেকী আমায় বলবে রাণী
হবে আমার রাজা।

কল্পপুরীর বাসিন্দা সে
মুখ চিনি না যে তার,
কেমনে বাজাই বল্ না পাখি
আমার প্রেমের সেতার।

বেকার বেকার

মুখ থাকতে হাতে কেন
চিটিশ পিটিশ
মন থাকতে তবু টুকে
পরীক্ষা দিস?

হেলমেটহীন বাইক — দিলাম
কেস ঠুকে
লাভ থাকতে লাইক কেন
ফেসবুকে!

ট্রেন থাকতে ট্রেকার চেপে
পাহাড়ে যাই
সিঁড়ি থাকলেও বেকার বেকার
খাদে ঝাঁপাই

তিল থাকতে তালের বিভেদ
ডেকে আনো
ভালোবাসা নাম পালটিয়ে হয়
ভোলক্যানো।

আজব দুনিয়া

med

এই দুনিয়ায় রাহাজানি
লেগেই আছে হানাহানি
চারিদিকে দেখি,
পরের ভালো দেখলে পরে
জ্বলে পুড়ে যায় যে মরে
কেনো এমন সেকি !

এই ভবেতে অনেক আছে
দিন এনে সে দিনে বাঁচে
কেবা রাখে সে খোঁজ,
এসব খবর কাগজে পাই
ধুঁকে মরে জানি সবাই
দেখি সে যে হর রোজ।

বন্ধু ভাবি যখন যারে
টানি মোরা বুকে তারে
দেয় যে শেষে ফাঁকি,
যতো সময় গড়িয়ে যায়
স্বার্থ খুঁজে শুধু যে হায়
ঝরে তখন আঁখি।

কথা বলে মধুর স্বরে
উনিশ বিশ সে হলেই পরে
চিনতে তারে পারি,
তখন আর যে রয় না মানুষ
হারিয়ে তার মানবিক হঁশ
হয় সে নির্দয় ভারি।

স্বরবৃত্ত: ৪+৪ / ৪+৪ / ৪+২

রবীন্দ্রনাথ

21114

মানুষ মনের ফুল বাগানে
ভাবের যা ফুল ফোটে
সব কিছু তার রবীন্দ্রনাথ
সাহিত্য সুখ লোটে।

কথার ভিড়ে মুক্ত আকাশ
সবুজ নবীন আলো
রবীন্দ্রনাথ ভাবনা ভাবায়
যা কিছু সব ভালো।

সবার হৃদয় সাদর বরণ
ডাক দিয়ে যায় প্রাণে
এই পঁচিশে বৈশাখ যেন
আবার জীবন আনে।

ঠাকুর ভজন মনের পূজন
রবীন্দ্রনাথ বুকে
ভাবের অসীম সোনার তরী
ফসল ফলায় সুখে।

রোজ ফোটে যে ফুলের শোভা
দাঁড়ায় মানুষ এসে
রবীন্দ্রনাথ বাগান হয়ে
থাকে ভালোবেসে।

বিবাহ বার্ষিকী

বিবাহ বার্ষিকী
বিজন বেপারী

বিশ্বাসের এই হাতটি ধরে
ভালোবাসার দামে,
সকল সংশয় পায়ে ঠেলে
এসেছিলে চলে।

দুটি মেরুর দুটি পথের
মিলন হয়েছিল,
অচেনা এক মসৃণ জীবন
কাব্য পেয়েছিল।

শুভ পরিণয়ের এই ক্ষণে
খুশিতে ভরে মন,
ফিরে আসুক বারে বারে
মধুর খুশির ক্ষণ।

রাগ অভিমান সঙ্গে নিয়ে
দাম্পত্য হোক সুখের,
তোমায় নিয়ে সাতটা জনম
প্রার্থণা এই দীনের।

কালবোশেখী

tanzi

আমরা খুশি বোশেখ মাস
বাংলায় নববর্ষ
ছেলে-বুড়ো, খোকাখুকি
সবার একই হর্ষ।

গ্রামে গ্রামে জমছে মেলা
বাউল গাইছে গান
একতারা আর দোতারাতে
প্রাণ যে পায় তান।

বোশেখ এলে কালবোশেখী
ক্ষিপ্র বেগে আসে
গাছের ডালে পাখির বাসা
জীবন বুঝি নাশে।

তাইতো ওরা কুঁকড়ে থাকে
মনে বড়ই ডর
ওদের মতোন ভয়ে তারাও
যাদের কাঁচাঘর।।

ঈদের চাঁদ

৪+৪/৪+১ স্বরবৃত্ত ছন্দ

আকাশ পানে তাকিয়ে খোকন
দেখছে ঈদের চাঁদ,
সেই খুশিতে দিশেহারা
চারিদিকে নাদ।

মেঘলা আকাশ ঈদের চাঁদে
আনন্দের ওই বান,
খুশি মনে খোকন চলে
হর্ষে করে গান।

বারে বারে খোকন বলে
কবে হবে ঈদ,
সেই খুশিতে খোকন সোনার
হয় না ভালো নিদ।

ঈদের চাঁদে মন খুশিতে
সবাই নাচে তাই,
এমন চাঁদটি খোকন সোনা
কভু দেখে নাই।

সবান্ধবে খোকন সোনা
গেয়ে বেড়ায় গান,
সেই গান খানি শুনে সবার
জুড়ায় মনও প্রাণ।

রচনাকালঃ
১৬/০৭/২০২১

কিসের টানে

2020

রাতের বেলা করছে খেলা
আকাশ তলে তারা,
দিনটা হলে যায় যে চলে
না মেলে আর সাড়া।

জোনাক দলে সন্ধ্যা হলে
আলো জ্বেলে জ্বেলে,
কেনো তারা পাগলপারা
ঘোরে ডানা মেলে ?

সুরুজ মামা তার নেই থামা
সাতসকালে জাগে,
তাও প্রতিদিন কী বিরামহীন
ভারি অবাক লাগে !

ধরার বাগে শশী জাগে
কী সুন্দর তার হাসি,
ওই আসমান মাটি তার প্রাণ
ছোঁয় তাই নিচে আসি।

ছুটছে নদী নিরবধি
অথৈ সাগর পানে,
আমরা মানুষ হারিয়ে হুঁশ
ছুটছি কই কি টানে ?

মাত্রাবিন্যাস : স্বরবৃত্ত – ৪+৪/৪+২

দিদি

সে আমাকে দিদি ডাকে;
কেন ডাকে!

বয়সে হয়তো কয়েক মাসের
বড় হতে পারি

দিদির বদলে অন্য ডাক;
কিংবা কিছু না ডাকলেও চলত।

সে সামনে এলে
বুক ধরফর করে

আড়াল হলে উৎসুক চোখ
এ দিক সে দিক খুঁজে।

তার জন্য বিপর্যস্ত
অন্য কিছু ভাবতে পারি না।

সে আমার পাশের বাসার ভাই
যখনতখন
ভীষণ আদর করতে ইচ্ছে করে।