২৪ এর ২য় স্বাধীনতাঃ প্রত্যাশা ও সম্ভবনা

৭১ আর ২৪ নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। জিগাইতে মন চায় তুলনা আসছে কেন? আইছা, তুলনাই হোক।

৭১ আর ২৪ দুইটা আলাদা সময়ের।

৭১ এর ঘটনা ঘটেছে ৪৭ এর স্বাধীন রাস্ট্র পাকিস্তানে। ভৌগোলিক , ভাষা, সংস্কৃতিতে একই রাস্ট্রের দুই প্রদেশের ভিতর বিস্তর ফারাক ছিল। কিন্তু এই ফারাকের কারণে নয় বরং শাসকদের বৈষম্যমূলক আচরনের কারণে প্রদেশ দুইটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আলাদা হয়ে যায়। জন্ম নেয় স্বাধীন রাস্ট্র বাংলাদেশ। ৭১এর ইতিহাস বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস। সেই সময় সারা পৃথিবীতে চলছিল কমিউনিস্ট মতাদর্শের বিজয় কাল। এই মতাদর্শে প্রভাবিত হয়ে ছিল সারা পৃথিবী। বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতারা তার ব্যতিক্রম ছিল না। মাওলানা ভাসানীর মহামানব সুলভ পোষাক, আচরণ, বাগ্মিতা, বাম ধারার চিন্তা চেতনা এই অঞ্চলের মানুষকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল। মাওলানা ভাসানী ও তার সুযোগ্য শিষ্য বঙ্গবন্ধু উপাধি পাওয়া শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক নেতৃত্বে প্রভাবিত হয়ে একটি গোটা জাতি জুলুমের প্রতিবাদে সংগ্রাম মুখর হয়ে পরে। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে জন্ম নেয় একটি স্বাধীন রাস্ট্র ভাগ হয়ে আর একটি স্বাধীন রাস্ট্র।

স্বাধীনতা যুদ্ধের অভিজ্ঞতা ও রক্তক্ষরণের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ অঞ্চলের মানুষের মননে তৈরি হয় শোষণ বঞ্চনাহীন এক বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের। কিন্তু হতাশার কথা তেমন সমাজতো পাওয়া যায়নি বরং রাজনৈতিক ও সামরিক বাহিনীর হানাহানির কারণে রাজনৈতিক খুনাখুনি অব্যাহত থাকে। মানুষের মাঝে জন্ম নেয় হতাশা আর ক্ষোভ। স্বাধীনতা এলো বটে, কিন্তু জনগন কিছুই অর্জন করতে না পাওয়ার বেদনায় মর্মাহত হয়।

একটা রক্তক্ষয়ী ও বিপুল নর নারীর ইজ্জত সম্ভ্রম আর জীবনের আত্মত্যাগের মাধ্যমে জন্ম নেয়া বাংলাদেশের তরুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধারা প্রবীণদের অস্বীকার করে। সামাজিক, রাস্ট্রীয়ভাবে, সামরিক বাহিনীর ভিতরে তরুন মুক্তিযুদ্ধারা পরস্পর খুনাখুনিতে লিপ্ত হয়। এই ধারা অব্যাহত থাকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত। এর পর হতে রাজনৈতিক নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হতে থাকে।

২৪ ঘটেছে ৭১ এর স্বাধীন রাস্ট্রের শাসকদের অর্ধশতকব্যাপী রাজনৈতিক নেতাদের ব্যর্থতা ও শোষণের কারণে।
মুক্তিযুদ্ধে তরুনেরা অংশগ্রহণ করে কিন্তু নেতৃত্বে ছিল প্রবীন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদরা, প্রকাশ্য ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ছিল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। ভারত সরকারের সামরিক সহযোগিতায় ডরুনেরা একটি রাস্ট্রের সূচনা করে। এবং জড়িয়ে পরে নানা রকমের অনৈতিক ক্ষমতার চর্চায়। দেশ গঠনের অনন্য সুযোগ পাওয়ার পরও একটি প্রতিবন্ধী রাস্ট্র হিসাবে থেকে যায় কেবল মাত্র সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতা ও অসাধুতার কারণে জনগন পরাধীন জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়।

২৪ এ প্রবীন রাজনৈতিক নেতৃত্বের শোষন, ফ্যাসিবাদী জুলুম এবং বিরোধী দলের চরম ব্যর্থতার কারণে তরুনদের নেতৃত্বে এক রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে আর একবার দেশের জনগন মুক্তির স্বাদ উপভোগ করে। এক অনন্য সুযোগ হাতে চলে আসে দেশকে পুনর্গঠনের। এমন এক নেতৃত্ব চলে আসে রাস্ট্রীয় পর্যায়ে যারা কখনওই কলুষিত রাজনৈতিক চর্চায় নিজেদের নিয়োজিত করে নাই। মানুষের কাছে এ আরেক স্বাধীনতা। একে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলা যায়। যারা একে স্বাধীনতা বলতে দ্বিধাবোধ বা বিরোধিতা করছে তারা স্বাধীনতার এই সুযোগকে জনগনের দরজায় পৌছে দিতে চায় না। তারা পূর্বের মত হানাহানি ও জুলুম পীড়ন ফ্যাসিবাদী আচরণ অব্যাহত রেখে শোষন অব্যাহত রাখতে চায়।

৭১ এর মুক্তিযুদ্ধাদের মত ২৪ এ নেতৃত্বদেয়া তরুণদের মাঝে দেখা যায় পারস্পরিক বিভিক্তি। শুধু তাই না ৭১ ও ২৪ সংগ্রামকারী তরুনেরা প্রবীণদের চোখে বেয়াদপ আখ্যা পাচ্ছে। যতটুকু বুঝা যাচ্ছে, এই তরুণরা করে যাচ্ছে সমাজ ও রাস্ট্রের নিয়ন্ত্রণ।

২৪ নিয়ে মুল্যায়ন করার সময় এখন হয় নাই। তবে ২৪ এর অর্জনকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা হিসাবে স্বীকৃতি না দেয়ার কোন কারণ নেই। এটা ২য় স্বাধীনতা। কিন্তু এই স্বাধীনতাকে কতটুকু কাজে লাগাতে পারবে তা নির্ভর করবে এই দূর্নীতিতে সয়লাব হয়ে যাওয়া দেশে, দূর্ণীতির ফাদ থেকে নিজেদের মুক্ত রেখে তরুনরা কতটুকু পজেটিভ ভূমিকা রাখতে পারবে তার উপর।

FB_IMG_1743038324132

আপাতত তাদেরকে সমর্থন ও পরামর্শ দিয়ে সঠিক পথে পরিচালনা করার চেষ্টা করা ছাড়া কোন বিকল্প দেখছি না। এখানকার প্রভাবশালী প্রবীণ নেতৃত্ব পচে গেছে। চোখের সামনে ঘটে যাওয়া লুটপাট দেখে তরুণদের উপহার দেয়া স্বাধীনতা পেয়ে নিজেরা সেই রেজিমের মত অবৈধ ভোগবিলাসের জন্য অস্থির হয়ে উঠেছে।

FB_IMG_1743038324132

৭১ এর স্বাধীনতার ফসল জনগনের ঘরে উঠেনি। ২৪ এর স্বাধীনতাকেও কি হারিয়ে ফেলছি কিনা তারজন্য সতর্ক সাবধান হতে হবে। যে সুযোগ সঠিক নেতৃত্বের হাতে দেশ পরিচালনার সুযোগ এনে দিয়েছে তাকে কাজে লাগিয়ে এবং পরবর্তীতে তরুন প্রজন্মের হাত ধরে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ হয়ে উঠুক এক মর্যাদাবান কল্যান রাস্ট্র এই প্রত্যাশা রইল।

স্বাধীনতা তুমি কি?

ইকরামুল শামীম
স্বাধীনতা, তুমি কি?
কখনো হবে এই অদম্য প্রেরণা বিলীন?
নাকি উত্তপ্ত, রক্তাক্ত পথ ধরে
হবে এক নতুন ইতিহাস রঙিন?

স্বাধীনতা, তুমি কি?
কখনো হবে নতজানু লজ্জাবতীর কাঁটা?
নাকি বদ্ধ ঘরে নির্যাতিত কিশোরীর আর্তনাদে
ফুরাবে নীলিমার নীল আলো ছাটা?

স্বাধীনতা, তুমি কি?
কখনো থাকবে কৃষকের হাসিতে?
নাকি উজান বয়ে যাওয়া স্রোতের মতো
মিশে যাবে কালো অন্ধকারের কণ্ঠরোধিত রীতিতে?

স্বাধীনতা, তুমি কি?
কখনো সইবে বেকারের হাহাকার?
নাকি এলিট শ্রেণির মুখোশী ভাষায়
হবে স্বপ্ন ভঙ্গের নিষ্ঠুর উপহার?

স্বাধীনতা, তুমি কি?
কখনো বইবে নিরপরাধের আর্তনাদ?
নাকি জনদরদী তারার মতো
ঝলমলিয়ে হারাবে অবিচারের বিষাদ?

স্বাধীনতা, তুমি কি?
পেয়েছো কি ত্রিশ লক্ষ প্রাণের প্রতিদান?
নাকি কালো মেঘের আড়ালে ঢাকা
একটি ধূমকেতুর মতো দিশাহীন উড়ান?

স্বাধীনতা, তুমি কি?
কখনো আসবে মিলনের স্বপ্ন নিয়ে?
নাকি বইয়ের পাতায় আঁকা ইতিহাস হয়ে
হারাবে জীবনের বাস্তব সৃষ্টিতে?

স্বাধীনতা, তুমি কি?
কখনো ফুটবে সুবাসিত রজনীগন্ধা ফুল?
নাকি বিষাক্ত সমাজের রুগ্ন হাতে
হয়ে যাবে বিষে ভেজা এক কুটিল ভুল?

যা দেখছি সব বলে দিবঃ চাচার কবর কই চাচী কান্দে কই-১

যা দেখছি সব বলে দিব
চাচার কবর কই চাচী কান্দে কই
French-Revolution
………..
সারাদেশে যারা দেখে, যারা বুঝে, তারা বলছেন আমাদের দেশের যেই রাজনৈতিক কালচার আছে তাতে পরিবর্ধন, পরিমার্জন করা দরকার। যাকে বলা হইতাছে সংস্কার। রাজনৈতিক সংস্কার হতে হলে রাজনৈতিক দলগুলির মাঝে এই একটা বিষয়ে একমত হতে হইবে যে, কিছু বিষয়ে আমরা সকলে একমত তারপর যার যার মতাদর্শে দল চলবে পরে যে দায়িত্ব পাবে সে রাস্ট্র পরিচালনা করবে।

একটা সাধারণ কথা বলি। আমরা যখন ছাত্র ছিলাম তখন সবাই একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। যেমন স্কুলে বিভিন্ন টেস্ট, মাসিক, ত্রৈমাসিক, বার্ষিক পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি ব্যবস্থায় বোর্ডের মাধ্যমে পরীক্ষার অংশগ্রহণ করে যে যার মেধা ও পরিশ্রমের ভিত্তিতে রেজাল্ট নিয়ে কর্মজীবনে ডুকতে হয়েছে। পরীক্ষা পদ্ধতি, প্রশ্নপত্র প্রনয়ন, উত্তর পত্র দেখা, ফলাফল প্রকাশ সব কিছু একটা নির্দিষ্ট নিয়মের ভিতর দিয়ে যেতে হয়। নিশ্চয়ই এই পদ্ধতি কি হবে তা নির্ণয় করা ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ নয়। অটোপাশ একটা আপৎকালিন সিস্টেম। এটাকে বিবেচনায় আনা যাবে না যদিও এর মাধ্যমে পাশ করা ছাত্র ছাত্রীদের পাশ হিসাবেই বিবেচনায় আনতে হবে।

এখন এই সাধারণ আলোচনার পর আমি কিছু প্রশ্ন উদ্ভব করতে চাই। এই পরীক্ষার সিস্টেম সেটা কি ছাত্ররা নিজেরা নির্ধারণ করবে? নিশ্চয়ই না। সিস্টেম ডেভেলপ করতে হয় এক্সপার্ট দিয়ে। যদি কখনও সিস্টেমের কিছু পরিবর্তন করতে হয় তবে দেশ বিদেশের বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে অভিজ্ঞতার ভিতর দিয়ে যেতে হয়।

এতক্ষণ আমি শুধু এইটা বলতে চাইছি ছাত্র-ছাত্রীরা কেবল একটা সিস্টেমের ভিতর দিয়ে নিজেকে প্রমানিত করে দেশ ও রাস্ট্রের সরকারি বেসরকারি নানামুখী কাজে নিজেদের নিয়োজিত করবে এবং নিজ যোগ্যতা অনুসারে পদ পদবী দায়িত্ব পাবে।

এখন সেদিকে যাওয়ার চেষ্টা করি যা বলতে চাইছি।

ইতিহাসের প্রায় সকল পর্যায়েই একথা প্রতিষ্ঠিত ছিল প্রজা চলবে রাজার অধীনে। রাজা নিজের ইচ্ছা মত কতগুলি নীতি নির্ধারণ করে দিবে সেইভাবেই প্রজাদের চলতে হবে। যারা যেভাবে ইচ্ছা চলবে তাকে কোন নিয়মে রাখা যাবে না। তার ভোগ বিলাসের জন্য প্রজাদের চাঁদা দিতে হবে যার রাষ্ট্রীয় সমার্থক শব্দ কর। এই কর আদায় করে রাজা তার বিলাসবহুল জীবন চালাইতে পারবে, ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে নিতে আশেপাশের অঞ্চলগুলি যুদ্ধ বিগ্রহ ও নানামুখী কৌশলে দখলে নিয়ে সাম্রাজ্য গড়তে ও বাড়াতে পারবেন। এই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য, কর আদায় করার জন্য সৈন্য সামন্ত বাহিনী, নানা ধরনের কেরানি কর্মচারী লালন পালন করছে। এই সব কর্মচারীরা রাজার কাছাকাছি গিয়ে নিজেরাও ভোগবিলাসী জীবন যাপন করেছে, প্রজারা এদের রসদ যোগাইয়াছি । কিন্তু এই শ্রেণীটি রাজা নন, রাজা সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। রাজা যা চাইবেন তাই সকলে মিলে বাস্তবায়ন করে যাবে। শুধু তাই না, অন্য কে রাজা হবার সুযোগ পাইবে এটা চলবে বংশানুক্রমিকভাবে। রাজার পোলা হবে রাজা। কখনও রাজার বড় ছেলে হবে রাজা, কোথাও বা অন্যকোন ব্যবস্থা। এই জন্য এই উত্তরাধিকারীদের মাঝে চলে নানা গোপন কারসাজি, পারিবারিক কুটনীতি, কূটকৌশল । এখানে অন্য কোন কথা নেই, সারাজীবন রাজা রাজাই থাকবে কেবল মৃত্যু হইলে বা নিহত বা বন্ধী হলে বা দেশ থেকে বিতাড়িত হইলে ক্ষমতার পালাবদল হয়। এটাই রাজতন্ত্র। সারা পৃথিবীতে ছিল সাম্রাজ্যবাদী শাসন ও রাজতন্ত্র। এমন কি এখনও কোথাও কোথাও রাজতন্ত্র রয়ে গেছে।

nap
মানব জাতির ইতিহাসের এই সবেমাত্র কয়েক শত বছর আগে এই ব্যবস্থা পরিবর্তনের এক ভয়াবহ দাবানল সৃষ্টি হয়। প্রজারা আর প্রজা হয়ে থাকতে চায়নি। ১৭২৯ সালে ফ্রান্সে ঘটে যায় এক ব্যাপক উলট পালট। এই উলট পালটের ব্যাপারটার রাজনৈতিক টার্ম হইতাছে বিপ্লব। ফ্রান্সের সেই উত্তাল সময়ের ইতিহাস উলট পালট করা বিপ্লবকে নাম দেয়া হয়েছে ফরাসী বিপ্লব। সারা পৃথিবীতে অনেক ধর্মীয় পরিবর্তন এসেছে, অনেক যুদ্ধ, অনেক রক্তপাত, খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন, জুমুল চলেছে পৃথিবীর মানুষের উপর, চলেছে নানা প্রতিবাদও। সব কিছুর মুল বিষয় এই ক্ষমতার স্বাদ গ্রহন ও অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ। আধিপত্য বিস্তার। ভোগবিলাসী জীবন। শৈল্পিক কারুকাজে প্রাসাদ, মিনার নির্মাণ, রাণীর সৌন্দর্য স্পৃহা, স্বর্ণ, হীরা মতির সুনিপুণ কারুকার্যময় অলংকারের পিছনে চলে গেছে বহু অর্থ যার জোগান দিতে হয়েছে প্রজাদের। কিন্তু ফরাসি বিপ্লব কেবল প্রজাদের এনে দিয়েছে নিজের শাসন নিজে করার অধিকার। প্রায় একই সময়ে ঘটে যাওয়া আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ, স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র ইত্যাদি পৃথিবীতে এনে দিয়াছে রাজতন্ত্রের বিপরীতে প্রজাতন্ত্রের ধারা। আর আস্তে আস্তে ডেভলব করেছে এক সুমহান ব্যবস্থা গণতন্ত্র।

সেই ইতিহাসের বিস্তারিত বর্ণনা৷ ও বিশ্লেষণ আমি এখানে দিতে চাইছি না কারণ আমি বাংলাদেশের গনতন্ত্র নিয়ে আলোচনা করতে চাইছিলাম। এছাড়া ফরাসি বিপ্লব, আমেরিকার গনতন্ত্র ইত্যাদি বিষয়গুলো আলোচনা করলে অবশই অথেনটিক সোর্স থেকে আলেচনা করতে হবে, নানা বইপত্র রেফারেন্স দিতে হবে। কেউ আগ্রহী হলে খোঁজে নিতে পারেন সেইসব ইতিহাসের আাদ্যপান্ত।

Abraham_Lincoln_O-77_matte_collodion_print

আমি কেবল ফরাসি বিপ্লব পরবর্তী সময়ের পরিবর্তন পৃথিবীর কিছু চিত্র উল্লেখ করতে চাই। ফরাসি বিপ্লবের পূর্ববর্তী সময়ে পৃথিবীর নেতৃত্ব দিয়াছে ইসলামি ভাবধারার রাজতন্ত, মুসলিম সাম্রজ্য। ইউরোপের অধিকাংশ অঞ্চল জুড়ে শাসন করত অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতানরা। সুলতানী রাজত্বের অবসান হয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মাধ্যমে। ফরাসি বিপ্লবের পর সেই সাম্রাজ্যের পতন হয় নানা যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার মাধ্যমে। সাম্রাজ্যগুলি ভেঙে দেশে দেশে বিভক্ত হয়। প্রজাদের শাসন প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে একেক দেশে। মানুষের রাজনৈতিক নিপীড়নে মুক্তির কারণে জ্ঞান বিজ্ঞানের ব্যাপক চর্চা শুরু হয়। এমন কি ধর্মীয় প্রভাব থেকেও তারা আলাদা হয়ে যেতে থাকে। তাদের মাঝে জন্ম নিতে থাকে ধর্মনিরপেক্ষ ধারণা। তারা রষ্ট্রকে ধর্ম থেকে আলাদা করে নেয়। ফলে মানুষের ধর্মীয় বিভেদগুলি ব্যক্তি পর্যায়ে নেমে আসে। রাষ্ট্রের শাসন ক্ষমতা চলে আসে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে। ফলে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি হয়। মানুষ এগিয়ে যায়। রাষ্ট্র অনেক ক্ষমতাবান হয়। কিন্ত গরীব প্রজাদের ভাগ্য থেকে জুলুম নির্যাতন মুক্ত হয়নি। মানবতার মুক্তিকামী মানুষের মাঝে আবার শুরু স্বাধীনতার স্পৃহা। আর একটি বিপ্লব সংগঠিত হয় কমুনিষ্ট বিপ্লব। ফরাসি বিপ্ববের পরবর্তীতে সংগঠিত এই বিপ্লবের মাধ্যমে ইউরোপজুড়ে আবার সাম্রাজ্যের সুচনা হয়। ইউরোপের অনেকগুলি রাষ্ট্র যুক্ত হয়ে গঠিত হয় সোভিয়েত ইউনিয়ন।

440px-Battle_of_Mill_Springs

অন্যদিকে আমেরিকায় কৃশাঙ্গ ও শেতাঙ্গ বিরোধের কারণে গৃহযুদ্ধের অভিজ্ঞতা থেকে আব্রাহাম লিংকনের গনতন্ত্রের ধারণা। নানা রাজতন্ত্রের মাধ্যমে পৃথিবীতে নেতৃত্বদানকারী শাসন ব্যবস্থার অভিজ্ঞতা অর্জনকারী বৃটিশ সাম্রাজ্যের অবসান হওয়া রাষ্ট্র ব্রিটেনের রাজাকে প্রতীক হিসাবে রেখে এক ধরণের সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন হয়।

ফরাসি বিপ্লবের পরবর্তী সময়ে এই বিপ্লবের মুল ধারনা সাম্য, স্বাধীকার, নারী স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা, মানবতাবাদ ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য নিয়া দুই ধারার চিন্তা চেতনায় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার প্রবর্তন হয়। একদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন অন্যদিকে আমেরিকা, বৃটেন প্রভৃতি ইউরোপীয় রাষ্ট।

পরবর্তী সময়গুলিতে এই দুইটি মতবাদের প্রভাবেই সারা পৃথিবী চলতে থাকে।

চলবে

যার বিয়া তার খবর নাই, পাড়া পড়শীর ঘুম নাই

যার বিয়া তার খবর নাই, পাড়া পড়শীর ঘুম নাই। আচ্ছা, এটা কি প্রবাদ? নাকি গ্রাম্য একটা কথার কথা?

সেই যাই হোক আমি আজকে এই বাক্যটাকে প্রসঙ্গিক করে তুলব। ঠিকাছে!!!

FB_IMG_1742738580694

হাসনাত আবদুল্লাহ একটা পোস্ট দিল। সারসিজ আলম কিছুটা ভিন্ন মত পোষণ করে আর একটা পোস্ট দিল। পাটোয়ারী বলে বসল, ফেসবুকে এভাবে পোস্ট দেয়া শিষ্টাচার বহির্ভূত। আর এক নেতা হান্নাম মাসুদ প্রকাশ্য নিজ দলের যে কোন একজনকে মিথ্যা বলছে রায় দিল। এদের কার্যকলাপকে অনেকে নাবালক সুলভ বলে আখ্যা দিল।

এনপিপির তথাকথিত নাবলক ছেলেরা এমন একটা অবস্থান তৈরি করেছে বারবার তারা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারছে। এমন কি নেত্র নিউজ, আমি আগে কখন এর নাম শুনিনি, তারা সেনাপ্রধানের বক্তব্য কোড করেছেন। এবি পার্টির ব্যরিস্টার ফুয়াদ শিস্টাচার বহির্ভূত ভাবে সেনাবাহিনীকে প্রজাতন্ত্রের চাকর বলে কড়া উগ্র বক্তব্য দিলেন। বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দল তাদের মত দিতে শুরু করলেন।

সকলের মতকে যদি একসাথে একত্রিত করা যায় তাহলে এটা বলা যায় যে, আওয়ামী লীগকে রিফাইন্ড করে তারা নির্বাচন করতে মাঠে নামতে দিবন কি দিবেন না, এ বিষয়ে নানা জন যার যার মত দিতাছেন, বক্তব্য দিতাছেন। বেশ জমে উঠেছে, এতটাই জমে উঠেছে যে, কেই কেউ গৃহযুদ্ধের পদধ্বনি শুনতে পাইছেন। আমরা শংকিত হয়ে উঠছি। কথা ঠিক।

কিন্তু আমার মনে একটা চিন্তা হইতাছে, যে আওয়ামী লীগকে নিয়ে এত আলোচনা তারা কি রিফাইন্ড হয়ে নির্বাচন করতে চাইছে? এই দলটি দেড় দশক ধরে নির্বাচনকে পেশিশক্তির সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ কথাতো বলাই যায় তারা কোন নির্বচন চায়নি। তারা জয়ী হতে চেয়েছে, ক্ষমতা চেয়েছে। এমন কি এখনও তারা পেশিশক্তির প্রয়োগকারী হিসাবে দেশে ঢুকে নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে আছে। বিদেশে বসে দেশের ভিতর হুমকি দিতাছে।

যখন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ছিলেন শাখাওয়াত সাহেব তখন তিনি আওয়ামী লীগকে সঠিক পরামর্শ দিয়েছিলেন। মনে পড়ে, তিনি বলছিলেন আপনারা নিজেদের দলকে গুছান, ঠিক ভাষাটা মনে নেই তবে সব্ভবত তিনি এখন যেই রিফর্মেশনের কথা বলা হইতাছে তেমন কিছুই বলতে চাইছিলেন। এবং বলেছিলেন, (আমি আমার ভাষায় বলচি) পেশিশক্তির যে ব্যবহার করতে চাইছেন, এই আন্দোলন, সেই আনসার বাহিনীকে মাঠে নাইতাছেন আরও এই চট করে ঢুকে যাইতাছেন, হরতাল ডাকতাছেন এসব বাদ দিন, এসব করে কোন লাভ হবে না।

শাখাওয়াত সাহেবকে বদলে ফেলা হল। এই পক্ষ ও পক্ষ কেউ তার কথার মূল্যায়ন করলো না। আমাদের শতভাগ ঠান্ডা মস্তিষ্কের প্রফেশনাল সেনাপ্রধানও বলে বসলেন, আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে নির্বাচন ইনক্লুসিভ হবে না। তাই তিনি তাদের রিফাইন্ড গ্রুপকে নেতৃত্ব এনে নির্বাচনে দেখতে চান।

আমার মনে প্রশ্ন, আওয়ামী লীগ নিয়ে এত কথা, সমালোচনা। ফেসবুক পোস্ট, তর্ক বিতর্ক। আওয়ামী লীগ কি কেথাও কোন পর্যায়ে নিজেদের শুদ্ধ হবার কোন প্রচেষ্টা প্রদর্শন করেছ?

আমি কোথাও দেখি নাই। আমি আমার মনে বেজে উঠছে!যার বিয়া তার খবর নাই, পাড়াপড়শির ঘুম নাই!!!

পোস্টমর্টেম : আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন

বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দুইটি পোস্ট আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। পোস্ট দুইটি পাশাপাশি রেখে আলোচনা চলতে পারে।
yunus-waker
পোস্ট -১

শনিবার নেত্র নিউজকে দেয়া সেনা সদরের এক বিবৃতিতে স্বীকার করে নেয়া হয়েছে যে সেনানিবাসে খোদ সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গেই ১১ মার্চ বৈঠকটি হয়েছিল। তবে হাসনাত আব্দুল্লাহকে “ডেকে নিয়ে যাওয়া এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের বিষয় নিয়ে তাদেরকে প্রস্তাব বা চাপ প্রয়োগে”র অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বরং হাসনাত আব্দুল্লাহ ও তার দলের আরেক মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলমের আগ্রহেই ওই বৈঠকটি হয়েছিল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে আলোচনা হওয়ার বিষয়টি সেনা সদরের বক্তব্যে অস্বীকার করা হয়নি। সেখানে বলা হয় আলোচনায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রসঙ্গ উঠে আসলে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান নিজের অভিমতের কথা ছাত্রনেতাদের জানান।

বিবৃতিতে সেনাপ্রধানের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, “আওয়ামী লীগের যেসব নেতারা ফৌজদারি মামলায় জড়িত নয় ও ক্লিন ইমেজের অধিকারী তাদের সমন্বয়ে নতুন আওয়ামী লীগ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক, ফলপ্রসু ও আন্তর্জাতিক মহলে অধিকতর গ্রহণযোগ্যতা পাবে। কিন্তু এ ব্যাপারে সরকার ও সব রাজনৈতিক দল মিলে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।”
post_img-1737023028546-633243425
হাসনাত আবদুল্লাহর ফেসবুক স্ট্যাটাসকে তার দলের লোকেরাই শিষ্টাচার বহির্ভূত বলেছে। আমরা তাকে বা তার পোস্টকে আমলে না নিয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে অর্থপূর্ণ মনে করি। তিনি তার বক্তব্যে জোর করে কোন কিছু চাপিয়ে না দিয়ে বরং বলেছেন সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলিকে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন। খুবই পজেটিভ ভাবে দেখছি তার বক্তব্য।

আজকেই নিচের পোস্টটি নজরে এলো। পোস্টের লিংকটি মন্তব্যের ঘরে দিয়ে দিলাম।
FB_IMG_1742709686112

https://www.facebook.com/share/p/16F2ySxoLm/

পোস্ট -২

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর দেশের বাইরে পাচার হয়ে যাওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা ফেরত আনার প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিচ্ছেন। সরকারি কাজে তিনি যুক্তরাজ্যে থাকাকালীন আমার সুযোগ হয় UK পার্লামেন্টের Anti-Corruption ব্রিফিংয়ে অংশ নেয়ার—যেখানে আলোচনা হলো, কীভাবে বাংলাদেশ থেকে সুসংগঠিতভাবে টাকা পাচার হয়েছে এবং Democratic Transition in Bangladesh—কিভাবে সাপোর্ট করা যায়।

গভর্নর বললেন, ২০১৭ সালের পর ৮-৯টি ব্যাংক Systemic Robbery-র শিকার হয়েছে। এমনকি DGFI—এর ক্ষমতা ছিল Fund Divert করার !

শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও, চুরি যাওয়া টাকার পরিমাণ নাকি ৭০ বিলিয়ন ডলার ছুঁতে পারে! যদি এটি ফেরত আনা যায়, তাহলে এটাই হবে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় Asset Recovery.

এ প্রসঙ্গে গভর্নর যুক্তরাজ্য সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন, তারা এই পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে and take a global lead in Anti-Corruption.

‼️আমার প্রশ্ন ছিল—এই দীর্ঘ ও জটিল Asset Recovery প্রক্রিয়ায় সাধারণ জনগণের উপর কতটা চাপ পড়বে? How much price the ordinary citizens have to pay❓যেহেতু একটা পরিসংখ্যান বলছে, আগামী ১০০ বছর যদি বাংলাদেশিরা নিয়মিত Tax দেয়, তবেই এই লুটপাট করা টাকার পরিমাণের সাথে সামঞ্জস্য আসবে!

গভর্নরের response ছিল unfiltered and painful—“Yes, citizens will have to pay the full price, and even future generations will suffer the consequences.”

দেখেন, money laundering is not a victimless crime. This is a direct violation of people’s economic and civic rights. এটা শুধু টাকার হিসাব না, it will have long-term consequences on future generations—impacting their overall quality of life.

Just pause and think—একটা স্বৈরশাসনের লুটপাট শুধু বর্তমানই না, দেশের ভবিষ্যৎকেও ধ্বংস করে দিয়ে গেছে!

……….

জুলাই আন্দোলন ২০২৪ চলাকালীন সমশ ও দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যে সকল ফৌজদারী অপরাধ করেছে, এইসকল অপকর্মের সাথে যারা জড়িত তাদের বিচার অবশ্যই করতে হবে। সেনাপ্রধানের বক্তব্যের আলোকে যদি সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলি আলোচনায় বসে তবে আমরা সাধারণরা উপরের দুই নম্বার পোস্ট বিবেচনায় নিয়ে আলোচনা করার আহ্বান জানাব।

আওয়ামী থ্রেট ও সেনাপ্রধানের প্রস্তাবনা: একটি ব্যতিক্রমি পর্যালোচনা

post_img-1737023028546-633243425

দেশ এখন এক ক্রান্তিকালীন সময় পার করছে, নানা রকমের পেনিক ছড়ানো হচ্ছে ফেসবুকের মাধ্যমে। বর্তমানে ফেসবুক হয়ে উঠেছে সবচেয়ে বড় গণমাধ্যম। খুব সহজেই যে কোন বক্তব্য প্রকাশ করা যায়। এটা বাস্তবতা, এটা মেনে নিয়ে কাজ করতে হবে। যখন কেউ একটা মাধ্যমে কাজ করে, প্রযুক্তির বদলের কারণে সেই মাধ্যমটি হয়ে পরে অনুপযোগী। অনেক ডিমান্ডেবল পেশাও একেবারে গুরুত্বহীন হয়ে পরে ট্যাকনোলজির বদলের কারণে।

এক সময় আমি ব্লগে লেখালেখি করেছি। কিন্তু লেখালেখি ব্লগগুলি এখন আর লোকেরা তেমন পড়ে বলে মনে হয় না। তবু ব্লগের সেই যে এক ধরণের লেখা অভ্যস্থ হয়ে গেছি তার থেকে বের হয়ে ফেসবুকে লিখতে বাধ্য হচ্ছি। কখনও গুরুত্বপূর্ণ লেখক ছিলাম না। ব্লগের ব্যাপারটা এমন যে, সেখানে লেখকই পাঠক, আবার পাঠকই লেখক। সেই ক্ষেত্রে আমি যেমন অনেকের পাঠক ছিলাম, আমার পাঠকও বেশ অনেক পরিমানেই ছিল। কিন্তু ফেসবুক ব্যাপারটা এমন নয়, সত্যি কথা এখনও ফেসবুকে অভস্ত্যতা হয়ে উঠে নাই। তবু ফেসবুকে নজর থাকে। আর গত কয়েকদিন যাবৎ ফেসবুকে ঢুকে শংকিত হয়ে পরি। কোনটা যে গুজব আর কোনটা বাস্তব তা বুঝে উঠাই দায় হয়ে উঠেছে।

কয়েকদিন যাবৎ এক শ্রেণির পোস্টে দেখছি বারবার টাইম বলে দেয়া হচ্ছে কেউ যেন দেশ ছাড়তে না পারে। এয়ারপোর্টে পাহারা বসাতে বলা হইতাছে। বলা হইতাছে আওয়ামীলীগ ভীষণ শক্তি নিয়ে বাংলাদেশে ঢুকবে, ফলে যারা এখনে এনসিপি, বিএনপি,জামায়াতের লোক আছে তারা যেন পলাইয়া যাইতে বাধ্য হয়। এই শ্রেণিটি কিন্তু নিজেরাই বিদেশে আছে, তবু হুমকি দিয়া যাইতাছে। নিঝুম মজুমদারের মত লোকেরা পর্যন্ত এমনভাবে কথা বলছে যেন এখানে একটা ক্যু হয়ে যাবে, কিম্বা ইন্ডিয়া এ্যাটাক করে বাংলাদেশকে তছনছ করে শেখ হাছিনাকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে যাবে। এই ঘটনাগুলি খেয়াল করছিলাম।

এদিকে হাসনাত আবদুল্লাহর পোস্টগুলি পড়ছিলাম। কয়েকদিন যাবৎ সে আওয়ামী রাজনৈতিক অবস্থা নিয়া পোস্ট দিতাছিল। অবশেষে এক বিস্ফোরণ পোস্ট দিল। সকল রাজনৈতিক আগ্রহের বিষয় পরিনত হলো সে স্ট্যাটাস। তার পোস্ট থেকে কোড করছি-

“আমাদেরকে আরো বলা হয়-রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ যাদের দিয়ে করা হবে, তারা এপ্রিল-মে থেকে শেখ পরিবারের অপরাধ স্বীকার করবে, হাসিনাকে অস্বীকার করবে এবং তারা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ করবে এমন প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনগণের সামনে হাজির হবে।

আমাদেরকে এই প্রস্তাব দেওয়া হলে আমরা তৎক্ষণাৎ এর বিরোধিতা করি এবং জানাই যে, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে কাজ করুন।

এর উত্তরে আমাদের বলা হয়, আওয়ামী লীগকে ফিরতে কোন ধরণের বাধা দিলে দেশে যে সংকট সৃষ্টি হবে, তার দায়ভার আমাদের নিতে হবে এবং ‘আওয়ামী লীগ মাস্ট কাম ব্যাক’। ”

এর মধ্যে অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুইঁয়া আর এক তথ্য ফাঁস করলেন যে, সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ্জামানের সম্মতি ছিল না প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুসের দায়িত্ব দেবার ব্যাপারে। আসিফ মাহমুদ এর ভাষ্য মতে- তিনি বলেছেন তিনি বুকে পাথর বেঁধে এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন।

অনেক বড় বড় অনলাইন এক্টিভিস্টদের মাঝে পিনাকীসহ কয়েকজন দেখলাম সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ্জামানের উপর বিল্লা হয়ে আছে বেশ আগে থেকে। তারা ক্রডিাাট নিতাছে তারা এই দেশে ইন্ডিয়া বিরোধী মনোভাব তৈরি করেছে। সেনাপ্রধান ইন্ডিয়াপন্থী।

এইসব ফেসবুকের পোস্ট চিন্তা চেতনা আক্রান্ত হই বারবার। বের করতে চেষ্টা করি প্রকৃত ঘটনা। আমি আমার মত করে কিছু ভাবনা চিন্তা করি। এটা আমার একান্ত নিজের চিন্তা, কারোর সাথে মিল না হলেও এটা করার এবং প্রকাশ করার অধিকার আমার আছে।

আওয়ামী লীগের ইন্টারন্যাশনাল লবি, ভারতীয় গোয়ান্দা বিভাগ র সহ অনেকেই আওয়ামী লীগকে এখানে প্রতিষ্ঠিত করার নানামুখী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা নিজে চট করে ঢুকে পারবেন বলে অডিও ভাইরাল হয়, এমনকি তারা হরতাল ডাকেন। ঐদিকে অপি পিয়াল গং ব্যাপক প্রচারণা চালাইতে আছে যে, এই ঢুলে গেল তারা। এগুলি একেবারে এমনি এমনি বলছেন তা নয়।

সেনাপ্রধান অনেক বছর এই প্রফেশনে জড়িত। শুধু আওয়ামী আমলে নয় এই পর্যায়ে যেতে হলে অনেককিছু মেনেজ করেই যেতে হয়। ডিনিও তাই করেছেন। তিনি শেখ হাসিনার আত্মীয়ও বটে। তাই সব ধরনের যোগাযোগ তাকে রাখতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। ধারণা করি, তাকে বলা হয়েছে একটা কিছু করতে, তিনি বলছেন আচ্ছা দেখি। কেন এমন ধারণা হলো? তাকে যেমন পেয়েছি আমরা তাতে মনে হয়েছে তিনি হান্ড্রেড পার্সেন্ট প্রফেসনাল একজন মানুষ। নিজের ডিপার্টমেন্টের উপর যখন জাতিসংঘের শান্তি রক্ষীবাহিনীতে কাজ হারাবারের প্রশ্ন উঠেছে তখন তিনি রাজনীতি, আত্মীয়তার সম্পর্কে চেয়ে নিজের প্রফেসনকে তিনি বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছেন। তিনি অনেক রক্তপাত এড়াতে সক্ষম হয়েছেন। শেখ হাসিনাকে নিরাপদ এক্সিট দিয়েছেন। নিজে সামরিক শাসন জারি করতে পারতেন। তা না করে জাতীয় উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেন – তিনি সকলের জান মালের হেফাজতের দায়িত্ব নিয়েছেন এবং তার পছন্দের বাইরে প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুসের দায়িত্ব দেবার বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। এখানে তিনি যেই কমিটমেন্টটি দেখিয়েছেন তা সম্পূর্ণ রূপে একজন প্রফেশনাল দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। আর নিজের অজান্তেই গণতন্ত্রের একটা প্রয়োগ উদাহরণ হিসাবে দেখাইয়া দিলেন। নিজের মতের বিরুদ্ধে যখন অন্য মত প্রবল হয় তখন বুকে পাথর বেঁধে তা মেনে নেওয়ার নামই গণতন্ত্র।

এখন আসি যে প্রসঙ্গে বলছিলাম সেদিকে। এই যে থ্রেটগুলি দেয়া হচ্ছিল, আওয়ামী প্রতিষ্ঠা, শেখ হাসিনার ফেরত আসা, অনেকের উগ্র চিন্তানা ইত্যাদি সবই সেনাবাহিনীর প্রধানের নলেজে ছিল। আমরা ধারণা তিনি তাদের বলেছেন- আচ্ছা দেখি। এবং বাস্তবতা মিলিয়ে আবারও রক্তপাতের সম্ভবনা দেখে তিনি একটা নেগোসিয়েশনের কথা ভেবেছেন। তাই তিনি হাসনাত আবদুল্লাহদের এমন একটা প্রস্তাব দিয়েছেন। হাসনাত আবদুল্লাহ তা প্রত্যাখান করেছে এবং দশ দিন পর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সকলের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন এবং এখনও প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এখানেও আমি গণতান্ত্রিক চর্চার সুমহান নিদর্শন দেখতে পাইছি। মত প্রকাশের স্বাধীনতার একটা উদাহরণ দেখতে পারছি। অনেকে অনেক কথা বলেন, আমি শুধু সেনাপ্রধানের ভাষনে ইউনুস বলে সম্বোধন করাকে একমাত্র নন-প্রফিজম হিসাবে পেয়েছি। এছাড়া এখন পর্যন্ত তার ভুমিকা এই দেশটিতে মানুষের রক্তপ্রবাহ কমাতে বিশাল ভুমিকা রেখে চলেছেন এবং কামনা করি তিনি নিজকে সংযত করে পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম হবেন।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রতিতে ড. ইউনুসের আন্তর্জাতিক সফলতা

গতকাল তারাবিতে হুজুর যখন ফিলিস্তিনের মানুষদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া ধরলেন হাউ মাউ কেঁদে উঠল সকলে। অনেককেই বলতে শুনছি, আমরা শুধু দোয়া করি, কিছুই করতে পারি না। কথা ঠিক । আমাদের কিছুই করার নেই। ঐ সব পিতারা যখন তাদের সন্তানদের রক্তমাখা শিশুদের হাতে নিয়ে আল্লাহ আল্লাহ করে তখন অন্তর ফেটে যায়। আমরা আর্তনাদ করে উঠি। আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি। আমাদের যুব সমাজের অনেকে প্রতিবাদ মিছিল করে। কিন্তু আমরা সকলেই জানি ফিলিস্তিনের মানুষদের জন্য কিছু মানবিক সাহায্য ও দোয়া করা ছাড়া আমরা বড়ই অসহায়।
FB_IMG_1742476482266

FB_IMG_1742476487578

আবার এদিকে আমরা দেখি ভারতে এই রমজানের মধ্যে মুসলমানদের উপর জুলুম হইতাছে। এখানে আমরা একটা টু শব্দও করি না। আমরা অসহায় ভাবে জুলুমগুলি অবলোকন করি। আমরা সকলেই জানি ভারতীয় মুসলমানদের জন্য দোয়া করা ছাড়া আমরা বড়ই অসহায়।

সাম্প্রদায়িকতা এমনই এক বিষয় যে, আমাদের এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার জুলুম করা হয়, রাজনৈতিক নানা সুবিধা আদায় করার জন্য। এখানে হিন্দুরা সব সময় কেমন জানি ছোট হয়ে থাকে। একবার আমার এক ভাড়াটিয়া বলে বসল, আপনারা আমাদের দেখবেন, আপনি আমাদের মা বাপ। তার কথায় আমি লজ্জিত হয়ে যাই। ওরা আমার উপর ভরসা করছে, আমি কখনও আল্লাহ ছাড়া এভাবে কারোর উপর ভরসা করি না, তাই বড়ই লজ্জিত হইয়া গেছি। আমি হিন্দু ভাড়াটিয়াকে বলি, শুনেন আপনি আমার ভাড়াটিয়া, অন্য মুসলমানর ভাড়াটিয়া যেমন, তেমনি। শুনেন এখানে আপনার উপর কেউ কিছু বলতে আইলে আমি আপনার পাশে আছি। কিন্তু লড়াইটা আপনাকেই করতে হবে। এদেশটা কারোর বাপের না, এখানে আপনি যেমন নাগরিক আমিও তেমনি নাগরিক।

ভদ্রলোক বলল, আপনারা এখানে স্থানীয়, বাড়ি করে আছেন অনেক বছর। ভাই, আমরা তাই আপনার কথা বললাম। আমি তাকে বললাম, কেউ কিছু কইছে? বলল, না কেউ কিছু কয় নাই তবু ভয়ে থাকি।

আমার মত আপনাদের মাঝে কারো কারো এমন ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়েছে নিশ্চয়ই।

আমি রাজনৈতিক নেতাদের মুখে সংখ্যালঘুদের উপর যাতে নির্যাতন না হয় তেমন আহ্বান শুনেছি। ধন্য হয়েছি, গুনগান গাইছি। কিন্তু এবারই প্রথম শুনেছি এই কথাটা যে, সংখ্যালঘু বলে কিছু নাই, আমরা সবাই বাংলাদেশি। শুধু যে মুখের কথা তাও নয়। দেখেছি, হিন্দুদের মন্দির পাহারা দিতে গেছেন কেউ কেউ, যাদেরকে মনে করা হয় মুসলিম সাম্প্রদায়িক সম্প্রদায়।

আমাদের এখানে হিন্দুদের কোন নিরাপত্তা ঝুকি দেখিনি। মহল্লাবাসী সকলে আগের মতই আছি। কিন্তু এখনও হিন্দুদের মাঝে কেমন জানি একটা হীনমন্যতা দেখি।

৫ আগস্টের পর রাজনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। শেখ হাসিনা পালাইছে। তার অনুসারীদের বেশিরভাগই পালাইছে। কিন্তু এখনও রয়ে গেছে তাকে নিঃশর্ত সমর্থন দেয়া অনেকে। এর মাঝে মুসলিম আছে, হিন্দুদের বেশিরভাগ তার সমর্থক। শেখ হাসিনার সমর্থক আছে ভারতের সরকারি ও বিরোধীদলসহ সেই দেশের মিডিয়া। ভারতীয় সাংবাদিকরা যেখানেই সুযোগ পাইতাছে, বলে বেড়াইতেছে যে, বাংলাদেশের ভিতর হিন্দুদের উপর ব্যাপক জুলুম হইতাছে। তারা আমেরিকার উচ্চ পর্যায়ে যেখানে সুযোগ পাইছে সেখানে বাংলাদেশের প্রসঙ্গে কথা বলছেই।
Untitled-5-67d91bd67bb4c
এর মধ্যে এলেন আমেরিকার গোয়েন্দা বিভাগের হাই প্রোফাইলের ক্ষমতাধর একজন ভারতীয় বংশদ্ভূত মহিলা। তিনি যখন বলছিলেন বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতির কথা। সত্যি ভয় পেয়ে গেছি। একদিকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের উপর নৃশংসভাবে জুলুম করে বিশেষ করে শিশু ও মহিলাদের মেরে ফেলছে, আমেরিকা এই অমানবিক জুলুমকে সমর্থন করছে। আবার প্রসিডেন্ট ট্রাম্প বলছে মুসলিমরা হেইটার, তাদের হেইট করে।

সার্বিক বিবেচনায় মনে হতে থাকে এই বুঝি আমেরিকার সহযোগিতায় ভারত বাংলাদেশে হামলা করছে। কিন্তু না। আমেরিকা বলছে ডা. ইউনুসের সরকার যেই ভুমিকা রাখছে তা আমেরিকা সমর্থন করে। আর একটি সফলতা দেখতে পাওয়া গেল ড. ইউনুস স্যারের।
FB_IMG_1742477081765

এই বাংলাদেশে আমরা সবাই বাংলাদেশি। এটা আমাদের দেশ। এই নীতিতে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ।

আহা! আরও কিছু বেশি সময় যদি ইউনুস স্যারকে দেয়া যেত!!!

৩ এপ্রিলও ছুটি, এবার ঈদে টানা ৯ দিন সরকারি ছুটি

পবিত্র ঈদুল ফিতরে এবার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ঘোষিত লম্বা ছুটি আরও লম্বা হলো। ঈদ উপলক্ষে আগেই পাঁচ দিন টানা ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। সেখানে এখন নির্বাহী আদেশে আরও এক দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৩ এপ্রিলও ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে এবার ২৮ মার্চ থেকে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক সূত্রে ৩ এপ্রিলও ছুটি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৩১ মার্চ পবিত্র ঈদুল ফিতর হতে পারে। সম্ভাব্য এই তারিখ ধরে আগেই পাঁচ দিনের ছুটির তারিখ নির্ধারণ করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই হিসাবে কাগজপত্রে ২৯ মার্চ শুরু হচ্ছে ঈদুল ফিতরের ছুটি। কিন্তু নির্ধারিত ছুটি শুরুর আগের দিন ২৮ মার্চ সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার। একই সঙ্গে একই দিন পবিত্র শবে কদরেরও ছুটি। ফলে বাস্তবে ছুটি শুরু হচ্ছে ২৮ মার্চ থেকে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ছুটি শেষে অফিস খোলার কথা ছিল ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার। তার পরের দুই দিন আবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার। এখন ৩ এপ্রিলও নির্বাহী আদেশে ছুটি হওয়ায় ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন ছুটি ভোগ করবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

অবশ্য এই ছুটি শুরুর দুই দিন আগে আছে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ছুটি। পরদিন বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ এক দিন অফিস খোলা থাকবে।

বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন প্রায় ১৫ লাখ। ছুটির বিধিমালা অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। নিলে তা টানা ছুটি হয়ে যাবে। অবশ্য অর্জিত ছুটি নেওয়ার সুযোগ আছে। এ ছাড়া ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ারও সুযোগ আছে। অবশ্য প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে। সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়ার সুযোগ আছে।

Two  summer natural banners with flowes and blue sky
Two summer natural banners with flowes and blue sky

0231_n

শব্দলিপিতে স্বাগতম

শব্দলিপিতে স্বাগতম, শব্দলিপিতে আপনার অনুভুতি আমাদের লিখে জানাতে পারেন। পোষ্ট আকারেও লিখতে পারেন । পোষ্ট লিখতে কোন সমস্যা হলেও জানাবেন। আপনাদের সকল পরামর্শ সাদরে গ্রহন করা হবে। সাথে থাকুন। আশাকরি সময়টা ভালো কাটবে।
আমরা আনন্দের সাথে ঘোষনা করছি এখন থেকে শব্দলিপি ডট কম এ প্রকাশিত লেখা একই সময়ে ফেসবুকের

শব্দনীড়

পেইজ এ লিঙ্ক আকারেও প্রকাশিত হবে।

দিন কাটুক আশায় আশায় ……

আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় ডক্টর ইউনুস

‘আমরা দুনিয়ার মাঠে খেলার খেলোয়াড়, আমরা ছোট মাঠে খেলার খেলোয়াড় না বাংলাদেশ, ওই যে বললাম, বাংলাদেশ অপূর্ব একটা দেশ। সে দেশে যারা আমরা দুনিয়ার মাঠে খেলি। আমাদের দেখে লোকে হাততালি দেয়, এরা এসেছে। বাংলাদেশ নেমেছে এবার। ওরকম চাই, ওরকম এবং করতে পারি।…আমরা বাস্তবে পারি। আমাদের সে সুযোগ আছে। সেই সুযোগের কথা বারে বারে বলার চেষ্টা করছি। এই সুযোগগুলো যেন আমরা গ্রহণ করি।’

– ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

images

দেশ বিদেশে খেলা শুরু হয়ে গেছে। খেলার কথা যখন এলোই তো ফুটবলের কথা দিয়ে হোক শুরু।

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল গতকাল সৌদি থেকে দেশে ফিরেছে। আজ সন্ধ্যায় বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় বাংলাদেশ দল অনুশীলন করবে। প্রথমবারের মতো দলের সঙ্গে অনুশীলন করবেন হামজা চৌধুরী।

বাংলাদেশের ফুটবলে জাতীয় দলের জন্য কখনো টিকিট ব্যবস্থা হয়নি। হামজার অনুশীলনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বাফুফে টিকিটের ব্যবস্থা করছে। বাফুফের অধিভুক্ত বিভিন্ন ক্লাব, ফেডারেশনকে টিকিট দিয়েছে ফেডারেশন। টিকিট ছাড়া আজকের এই অনুশীলন সেশনে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।

hamzaa-20250319153615

খেলা শুরু হয়ে গেছে দেশের ভিতর। খেলাটা শুরু করেছে বিএনপি।

‘ওদের হাতের, ওদের কলমের কোনো সংস্কার আমরা সহজে মেনে নেব না। সংস্কার যদি করেন, আমরা কারেকশন (সংশোধন) করব। বিএনপি সেই কারেকশন অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মিলেমিশে ঠিক করে তা জাতির কাছে তুলে ধরবে। ওই সমস্ত তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, যারা এ দেশের নাগরিক পর্যন্ত নয়, তাদের দিয়ে আপনারা সংস্কার করবেন, এটা আমরা মেনে নেব না।’

মির্জা আব্বাস

faa6e0c7beca86e117ea07bdb91a9b0e906b960bbde4331e

এদিকে খেলাটা শুরু একেবারে রেডজোন থেকে।

ভারত সফরে এসে বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্য করে এখন আলোচনায় মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা (ডিএনআই) বিভাগের প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড। দিল্লিতে অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, নিউজিল্যান্ড ও আরও কয়েকটি দেশের গোয়েন্দা প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করেছেন তিনি।

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কয়েকটি দেশে সফরের অংশ হিসেবে তুলসি গ্যাবার্ড ভারতে এসেছেন। সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ওয়ার্ল্ডকে সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ আনেন তিনি। তবে তার এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।

Untitled-5-67d91bd67bb4c

দেখা যাক আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়েরা কেমন সামাল দেন।

তুমি রিয়েলিটি মেনে নাও: প্রসঙ্গ সংস্কার

তুমি রিয়েলিটি মেনে নাও
ফকির আবদুল মালেক

আমি আমার কথা বলি, রাজনীতি থেকে কোন ফয়দা খোঁজার কোন অভিপ্রায় সারা জীবনে ছিল না।

সময় যাই যাই করতে করতে পঞ্চাশ উর্ধে এসে পৌঁছেছি। আলহামদুলিল্লাহ, ভালই হায়াত পেয়েছি এবং বাড়তি পাওনা হিসাবে সুস্থ সবল সুচিন্তিত সর্বাত্মক বিচার বিশ্লেষণের ক্ষমতা আছে এখনও। কখনও রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলতে যা বুঝায় তা ছিলাম না। কিন্তু রাজনীতি মুক্ত থাকা কোন নাগরিকদের পক্ষে সম্ভব নয়। অন্য সবার মত আড্ডায়, সামাজিক ওখান বৈঠকে নিজের মতামত দিয়েছি। এটা খুবই মামুলি ব্যাপার কিন্তু এতেও অনেকে ধরে নিয়েছে এই লোকটা এই পন্থী। এছাড়া নির্বাচনের সময় সবার মত কোন না দলের পক্ষে বিপক্ষে তর্ক বিতর্ক করেছি। এতেই অন্য অনেকের মত আমার একটা রাজনৈতিক পরিচয় গড়ে উঠে। আবার অনেক সময় এমন হয় রাজনীতির নেতৃস্থানীয় কেউ আমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, মহল্লাবাসী। সেই হিসাবে তাদের সাথে কখনও কোথাও গিয়াছি, হয়ত কোন বিয়ের দাওয়াত, কিম্বা কোন পারবারিক বা সামাজিক বা শালিসি বৈঠকে উপস্থিত থেকেছি। এতে কেউ কেউ ধরে নিয়েছে, আমি ঐ নেতার দলে আছি।

আমার বাবা ছিলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ের একজন ঘোর বিএনপি নেতা। অনেকে তখন আমাকে বিএনপির লোক হিসাবে জানত।

এখন ফেসবুকের যুগ। এমন কি একটি ফেসবুকের স্ট্যাটাস ঘিরে বিভিন্ন রকমের গোলযোগ হতেও দেখেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটা পোষ্টের কারনে পদস্ত দায়িত্বশীল লোক কতৃক ধমক খেয়েছি, আবার ফেসবুকে এক পোস্টের কারণে এলাকার চেয়ারম্যান ফোন করে বাবা মা তুলে গালাগালিও করেছে। ফেসবুককে এখনে আড্ডার অবস্থা বলা যায় না। বরং এটা এখন একটা মিডিয়ায় পরিনত হয়েছে। ইদানীং কয়েকটি স্ট্যাটাস দিয়েছি। আমি ভাবছিলাম মাত্র ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ / ১০০ টা লাইক পাই, আমি এই মাধ্যমেটিকে তেমন গুরুত্বপূর্ণ ভাবছিলাম না। কিন্ত কয়েকজন বন্ধু ও ঘনিষ্ঠ জন বলল, তোমার লেখাগুলি বিএনপির বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে। বাদ দাও কি দরকার। সারা দেশের বেশিরভাগ মানুষ বিএনপির পক্ষে, তো এখন এই অবস্থায় বিএনপির বিরুদ্ধে লেখালেখি করার দরকারটা কি?

৫ আগস্ট শুধু আওয়ামী লীগকে বিতারত করেনি, জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্ব স্থানীয় ছাত্র নেতৃত্ব একটি নতুন দল গঠন করেছে, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা বলছে। তারা মুটামুটি মিডিয়াতে বেশ আলোচিত। বেশ কভারেজ পাচ্ছে তারা। এদিকে ডক্টর ইউনুস সরকার এতদিন ব্যর্থ হতে হতে সফলাতার দিকে পা বাড়াইতাছে। তারা আন্তর্জাতিক বেশ কারিসমা দেখাইলেন, জিনিস পত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছেন এমনকি রমজানে। অবাক বিস্ময়ে দেখছি দাবী দাওয়ার হিরিক পড়েছে এই সরকারের দিকে, মথাচড়া দিয়ে উঠতে চাইছে গার্মেন্টস সেক্টর, ছাত্র, শ্রমজীবী, চাকুরীজীবি, ডাক্তার নার্স মোট কথা এমন কোন সেক্টর নাই যারা দাবী নিয়ে রাজপথ অবরোধ করে সরকারকে আলটিমেটাম দিতাছে দাবী নিতে। এখন পর্যন্ত ৭ মাসে প্রায় ২০০ রাজপথের আন্দোলনকে মোকাবিলা করেছে, একটাতেও তেমন কোন বিশৃঙ্খলা হতে পারে নাই, পুলিশ সেনাবাহিনী প্রতিরোধমূলক সামান্য বল প্রয়োগের মাধ্যমে এসব আন্দোলন থামানো গেছে। এইসব আন্দোলনের মাঝে কিছু ছিল মামা বাড়ির আবদার, অটোপ্রমোশন, বেতন বৃদ্ধি, প্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরন ইত্যাকার দাবি ছিল। এসবকিছু মোকাবিলা করে সরকার এগাইয়া যাইতাছে। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি সচিত্র ভিডিও ফুটেজ প্রচার করে এমনভাবে প্রচার করা হইতাছে যেন দেশে এখন গৃহযুদ্ধ অবস্থা। আলোচিত ধর্ষণের ঘটনায় সরকার পক্ষ থেকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া সত্ত্বেও, এমনকি আইন সংশোধন করে নিলেও প্রায় সকল মহল থেকে সরকারকে চাপ দেয়া হইতাছে। এমনকি বামপন্থীরা ব্যাপক গনজায়াতের পরিকল্পনা নিয়ে এগাইয়া যাইতাছে।

এসবের মাঝেই সরকারের সংস্কার কমিশন গুলো কাজ গুছিয়ে আনছে। কিন্তু তাদেরকে সহযোগিতা না করে বারবার বলা হইতাছে নির্বচিত সংসদে গিয়ে সংস্কার করবে। দীর্ঘ ৩৫ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে সবার কাছে এটা স্পষ্ট হইছে যে যদি রাজনীতিবিদদের কোন সিস্টেমের মাঝে আটকানো না যায় তবে তারা বারবার বেপরোয়া হয়ে উঠবে। রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ে একক ব্যক্তির শাসন ঘুরে ফির আসবে। অর্থাৎ ফ্যাসিবাদ ঘুরে ফিরে আসবে। এই সিস্টেম ডেভেলপ করার জন্য সংস্কার কমিশনগুলি কাজ করেছেন। এখন এই সংস্কারতো রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে একটা সিস্টেম ডেভেলপ করার জন্য।

আমাদের সংসদ আমাদেরকে তার কাজ সম্পর্কে কি ধারণা দেয়? আমরা দেখেছি গত ৩৫ বছরে সংসদ অকার্যকর ছিল। বিরোধীদল বেশিরভাগই সংসদ বর্জন করে রাজপথে থেকেছে। এমনকি সরকারি দলের কোন সদস্যও নিজের মতে ভোট দিতে পারেনি যখন তা দলের মতের বিরুদ্ধে যায়। এমনই অকার্যকর সংসদে ব্যর্থ লোভী পেশিশক্তির প্রয়োগকারী ব্যবসায়ী দ্বারা ভরপুর সংসদ সদস্যরা নিজেদের অবস্থার উন্নয়ন করা ছাড়া দেশের সামগ্রিক কল্যানের জন্য কোন ভুমিকাই রাখে না। এই ঐতিহাসিক সত্যের আলোকে একথা স্পষ্ট ভাবেই বলা যায় সংসদে সদস্য হয়ে যারা আসেন তারা স্থানীয় সরকারের মেম্বার চেয়ারম্যানের ভুমিকা ছাড়া কিছুই ভুমিকা রাখতে পারেন না। এটাই এখানকার সিস্টেম। এই সিস্টেম কে সংসদ সদস্যরা পাল্টাবে? না আছে তাদের ইচ্ছে আর না আছে তাদের যোগ্যতা। তাই রাজনৈতিক সংস্কারগুলি এই ইউনুস স্যারের নিয়োগকৃত সংস্কার কমিশনের মাধ্যমেই মিটাতে হবে।

যারা এই সংস্কারের বিরোধিতা করবে তদের বলে দেওয়ার সময় এসেছে- তোমার বারটা বেজে গেছে, তুমি রিয়েলিটি মেনে নাও। ব্যক্তিকেন্দ্রীক রাজনীতি পরিহার করে সিস্টেমের রাজনীতিতে আসো। টাকা কামাইতে চাইলে ব্যবসা কর, কিন্তু রাজনীতিকে নাও দায়িত্ব পালন হিসাবে, দেশ ও জাতিকে মেধা ভিত্তিক সেবা দান হিসাবে।

ড. ইউনুসকে হঠানোর প্লান

;নিচের তিনটি ঘটনা বহুল আলোচিত :

২০২০ সালে সিলেটের এমসি কলেজে স্বামী কে বেঁধে রেখে স্ত্রী কে গণধর্ষণ করে তখনকার রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন।

২০১৮ সালে বিএনপিকে ভোট দেওয়ায় নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ৪ সন্তানের মা’কে গণধর্ষণ করা হয় ।

২০১৬ সালে কুমিল্লা ক্যান্টমেন্টের মধ্যে তনুকে নির্মম ভাবে গণধর্ষণ করে হত্যা করা হয় ।

এই ৩ টা ঘটনা তে ই নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে এবং ধর্ষকদের গ্রেফতারের দাবিতে সারাদেশের মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করে ।

মোটামুটি সকল জায়গায় আন্দোলনকারীদের উপর ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের লোকেরা হামলা করে ।

তখন লাকি আক্তারেরা রাজপথে গদিতে আগুন জ্বালো স্লোগান দিয়ে রাজপথ কাঁপাতে দেখা যায়নি। গিয়াছে কি?
তখন কেন গণভবনে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে পুলিশের উপর হামলা করেনি?

উপরের আলোচিত ৩ টা ঘটনার একটায় ও ভিক্টিম বিচার পায়নি ।
আসামিরা আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে গেছে ।

এখনকার সময়ের আলোচিত ধর্ষণের ঘটনা আমরা দেখলাম সরকার ও সেনাবাহিনী সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে নিষ্ঠুর পাশবিকতার শিকার মেয়েটিকে বাচাতে এবং সরকার অপরাধীদের আটক করতে সক্ষম হয়েছে, আইনের সংশোধন এনেছে, দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা নিচ্ছে। এটাই গত ৭ মাসে ফিরে পাওয়া স্বাধীনতা । এই স্বাধীনতা আনতে দেশের মানুষের তাজা রক্ত ঝরাতে হয়েছে রাজপথে ।

এখন যাতে দৃষ্টান্তমূলক বিচার৷ হয় এবং রায় কার্যকর হয় আমরা সবাই এটা চাইছি। আর এইসব বামপন্থীরা ও কিছু উশৃংখল রাস্তায় বিড়ি খেতে চাওয়া অসভ্য মেয়েরা দেশের সকল মানুষের দাবীর সাথে একমত না হয়ে এরা যাইতাছে যমুনা ঘেরাও করতে। ওদের উদ্দেশ্য বিচার চাওয়া নয় এটা স্পষ্ট। এরা পুলিশের উপর হামলা করেছে।

উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে পুলিশের উপর হামলা করে নিজেরা ভিক্টিম সাজতে চাইছে। তারপর গ্রেফতারের দাবি উঠলে গ্রেফতার হবে। তারপর এদের সহযোগি বন্ধুরা বিশ্বকে দেখাবে যে,বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে এবং ইউনুস যৌক্তিক আন্দোলন দমাতে আন্দোলকারীদের উপর নিপীড়ন শুরু করেছে ।

আর তারপর দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে ড. ইউনুসকে হঠানোর প্লান নিয়ে আসবে সেটা অন্তত দেশের সচেতন কোন নাগরিক হতে দেবে না ।

এসব বাদ দিয়ে দেশে সুশাসন এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করেন ।

একটি গালি ও একটি উচ্চাভিলাষী চিন্তভাবনা

একটি গালি ও একটি উচ্চাভিলাষী চিন্তভাবনা

FB_IMG_1741931625398
ফকির আবদুল মালেক ১৪/০৩/২০২৫

জ. ই. মামুনের স্ট্যাটাস থেকে শুরু করি। তিনি লিখেন-

Off the Record বলে একটা কথা আছে ইংরেজিতে, যার মানে হলো রেকর্ডের বাইরে অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তা। আমরা যারা টেলিভিশনে ক‍্যামেরার সামনে কাজ করি, যে কোনা লাইভ টক শো বা সংবাদের বিজ্ঞাপন বিরতিতে কিংবা অনুষ্ঠানের আগে-পরে স্টুডিওতে বসে অতিথি বা কন্ট্রোল রুমের সহকর্মীদের সাথে নানারকম কথা বলি। তার মধ্যে কাজের কথার বাইরে অকাজের কথাও থাকে। আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, সংবাদ কর্মীরা অফ দ‍্যা রেকর্ডে মাঝে মধ্যে গালাগাল‍িও করে থাকে। বেশিরভাগ সময় গালাগালির প্রধান টার্গেট থাকে নিজের কপাল, নিউজরুমের বস, অথবা টিভির মালিক কিংবা কখনো কখনো নেতা- মন্ত্রী থেকে শুরুর করে রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব‍্যক্তি।

শুনলাম, সেরকম একটা অফ দ‍্য রেকর্ড বক্তব‍্যের জন‍্য আজ এখন টেলিভিশনের একজন সংবাদ কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

উনি হয়ত ঠিকই শুনেছেন। আমরা অনেকেই শুনেছি। তবে আমাদের শুনা আর জ. ই. মামুনের শোনার মধ্যে অবশ্যই পার্থক্য আছে। তার শোনাটা আমাদের থেকে বেশি অথেনটিক হবে এটা স্বাভাবিক।

এখন অনলাইনের যুগ। অডিওটি আমরাও শুনেছি। সেখানে সারসিজ ও হাসনাত আবদুল্লাহকে শুয়র বলে গালি দেয়া হয়েছে।

জ.ই. মামুন সবশেষে একটি কথা বলেছেন যা আমার খুবই নজর কেড়েছে। তিনি লিখেন-

সবচেয়ে বড় কথা, একজনের গালি টেলিভিশনের টেকনিক‍্যাল ভুলের কারণে আপনি শুনে ফেলেছেন বলে তাকে চাকরিচ‍্যুত করলেন, কিন্তু যাদের গুলো শুনছেন না- তাদের মুখ বন্ধ করবেন কি করে!

এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বেড়িয়ে আসছে গালিগালাজ অনেকেই করছেন। এখন আমি যে বিষয়টা আলোচনায় আনতে চাইছি সেখানে প্রসঙ্গিক ভলতেয়ার ও আমাদের দেশের সমসাময়িক আলোচিত সমালোচিত শুয়র গালি খাওয়া হাসনাত আবদুল্লাহ।

অনেকে হয়ত বলে বসবেন কিসের সাথে কি পান্তভাতে ঘি! অনেকে হয়ত হাসতে পারেন কিন্তু যে যাই বলুক, আমারও স্বাধীনতা থাকতে হবে নিজের মত প্রকাশের।

মত প্রকাশের প্রচলিত পথগুলো যখন সংকুচিত হয়ে আসে, তখন মনে পড়ে ফরাসি লেখক, প্রাবন্ধিক ও দার্শনিক ম্যারিক আরোয়েট ভলতেয়ারকে। যিনি বিশ্বব্যাপী ভলতেয়ার নামেই পরিচিত। যাঁকে বলা হয় অষ্টাদশ শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী ফরাসি সাহিত্যিক, ইতিহাসবিদ ও দার্শনিক।

ভলতেয়ারের যে উক্তি সমাজে সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক তা হলো, “তোমার মতের সঙ্গে আমি হয়তো একমত নাও হতে পারি; কিন্তু তোমার মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য আমি আমার জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করে যাব।”

এখন আসি খালি খাওয়া আমাদের সেই ছেলে কি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সে তার স্ট্যটাসে লিখেছে-

“এখন” টিভির সাংবাদিকদের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা এই দ্বিমত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্যই আন্দোলন করেছিলাম। আপনার এই গালির স্বাধীনতার জন্যই আন্দোলন করেছিলাম।

শুধু মত প্রকাশ নয়,দ্বিমত প্রকাশও অব্যাহত থাকুক।’

এখন যারা তাদের গালি দিচ্ছেন আরও উচ্চস্বরে দিন। কিন্তু এই গালি খাওয়া ছেলেমেয়ের চিন্তাভাবনাকে আমি সন্মান জানাই। কেউ হয়ত বলবেন এটা চমক। আমাদের চমকে দেয়ার আর ভালোবাসা পাওয়ার মত কাজ আর মতামত তারা অব্যাহতভাবে দিয়ে যাক এই কামনা রইল।

রৌদ্র ছায়া

=====রৌদ্র ছায়া

বাঁধিতে তারে
বেবস হৃদয়ে মোহ
নাহি চেতন ফিরে
ধরত্রী মোহ হয়ে করেছে হরণ;
যা ছিল সম্বল!

আঁধার ক্ষয়ে,
বিলাপে মিশে নিত্য নতুন সঙ্গ লয়ে।
বেবস তন্দ্রা তাই
সহসাই জেগে উঠে; হৃদয় যাপনে।

মন ছাপিয়ে
সহসা কতক বিদ্রোহ আঁকে?
হৃদয়ে মোহ;
ক্ষণতাপে, প্রতাপে
দ্রোহ সনে আঁতাতে
বিদ্রোহ কপাট খুরে রয়!

আজ ২৫ মাঘ ১৪৩১

দেশের মিডিয়াতে না থাকলেও

বাংলাদেশে অনলাইনে অফলাইন এ জুয়া,পর্নো নিষিদ্ধ।
মজার ব্যাপার হলো দেশের অনলাইনে জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে নিয়মিত, এমনকি পর্নোও। বাংলাদেশ থেকেও প্রতিদিন প্রচুর দেশী পর্নো আপলোড হচ্ছে।
হাতের মোবাইলে এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে বিশ্বের কোথায় কি ঘটেছে,কে কি বলেছেন বা করেছেন তা সবাই দেখতে পায়। বাংলাদেশের মিডিয়াতে কি দেখাল বা কি দেখাতে হলো তার জন্য কেউ বসে থাকে না।লেবুর বাম্পার ফলনের নিশ্চয়ই মনে আছে।
যদি দেশটি চীন বা উত্তর কোরিয়া হতো তবে অন্য ব্যাপার..। চীন, উত্তর কোরিয়া সোশ্যাল মিডিয়া সহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও ইন্টারনেট এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করে সরকার বা কমিউনিস্ট পার্টির বিপক্ষে যায় কোন কিছুই লেখা যায় না। বিদেশী মিডিয়াতেও যখন চীনের সরকারের মতের বিরুদ্ধে যায় তখন টিভির পর্দায় তুষার পাত শুরু হয়। এমনকি চীন নতুন যে AI সম্প্রতি আলোড়ন তুলেছে সেখানেও তিয়ানমেন স্কোয়ার মতো ঐতিহাসিক ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করলে কোনো তথ্য পাবেন না। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় যেমন ইন্টারনেট বন্ধ করে বা মিডিয়াতে সরকারের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণে থাকার পরও মানুষের কাছে সব তথ্য পৌঁছে গিয়েছে এটাও একটা উদাহরণ।