ট্যাগ আর্কাইভঃ প্রেমের কবিতা

দেবী মণিকা

Scr

দেবী মণিকা তোমায় ভাবি প্রতি ক্ষণে ক্ষণে
তুমি বাস করছো কেন আমার মনে?
দেবী মণিকা তোমার রূপের আলোয়
ঝলসে যাচ্ছে চোখ
মনে সৃষ্টি হয়েছে ভালবাসার রোগ?

দেবী মণিকা তোমার সঙ্গে হারিয়ে
যাওয়ার ইচ্ছে ছিল খুব!
ধর্ম আর কাঁটা তার মনে দিল দুঃখ।
তোমার লম্বা কেশের সুঘ্রাণ নিতাম
তোমার গোলাপী ঠোঁটে ভালবাসার ভোট দিতাম।
আরো মনে ছিল কত্ত কিছু
ভালবাসার পারমিশন নেই
পিছে যে আমার ধর্মের বিচ্ছু।

দেবী মণিকা তোমাকে নিয়ে
এখন ভাবতে লাগে ভয়,
যদি মন হয়ে যায় তুমিময়
তবে হবে আমার ক্ষয়
ধর্ম, কাঁটাতার সব কিছুর হবে লয়।

দেবী মণিকা তুমি হয়তো
অন্য কারো মনে করো বাস,
হয়তো অন্য কারো
দেশে ভালবাসা করো চাষ।
আর আমি পাগল তোমাকে
পাবার করি আশ…..?

স্পর্শ

6354

হে নারী তুমি কষ্টের প্যারোটিড গ্রন্থি থেকে কিছু বিষ এনে দাও!
আমি মরতে চাই
তবে কিছু ভালবাসা মাখিয়ে এনো?
তোমার বক্ষের সরোবর থেকে কিছু সফেদ জল দিও,
বিষ গুলিয়ে নাও
একটু ওষ্ঠের লালা মিশিয়ে বিষ গুলো কে মিষ্টি করে দাও?

বিষ খেতে যেন কষ্ট না হয় কিছু সময়ের জন্য
স্বর্গীয় সুখ পাবো,
যদিও আজীবন নরকে থাকবো।

তোমার বজ্র কণ্ঠের কিছু বচন শুনিও অতি সহজেই যেন মরতে পারি,
তোমার পাদপদ্ম দিয়ে বক্ষে চাপা দিও বক্ষে যেন ভূমিকম্প না হয়?

আমি তো চলেই যাচ্ছি তোমার প্রকীর্ণ জীবন থেকে, আর হ্যাঁ
তোমার দীঘল কিছু কেশ দিয়ে আমার হস্ত- পা বেধে রেখ
আমি যেন কুর্দন করতে না পারি?

আমি মরার পরেও সুখ অনুভব করবো আমার ভালবাসার মানুষের অঙ্গ
একবার হলেও আমায় স্পর্শ করেছে…

হাওয়া তোমার কাছে কিচ্ছু চাই না

receiv

হাওয়া তোমার কাছে কোন কিছু চাই না
শুধু একটু ভালবাসার অক্সিজেন চাই,
যে অক্সিজেন পেলে আমি সতেজ থাকবো
ঠিক ততটুকু অক্সিজেন চাই।

হাওয়া তোমার কাছে কোন কিচ্ছু চাই না
শুধু তোমার গালে চুমুর চুম্বক লাগাতে চাই।
যে চুমুতে আমি তোমার
বক্ষ মাজারে পাবো ঠাঁই।

হাওয়া তোমার কাছে কিচ্ছু চাই না
শুধু তোমার কেশদাম বিনুনি করে দিতে চাই।
তোমার চুলের গন্ধে একটু
মাতোয়ারা হতে চাই।

হাওয়া তোমার কাছে কিচ্ছু চাই না
শুধু তোমার উত্তাল যৌবন সমুদ্রে
একটু সাঁতার কাটতে চাই।
আমার দেহাঙ্গে তোমার যৌবনের শাসন চাই।

হাওয়া তোমার কাছে কিচ্ছু চাই না
শুধু তোমাতে মিশে যেতে চাই,
তোমাতে মিশে আমার ভালবাসা
করতে চাই ছাই।
তুমি ছাড়া আমার ভালবাসার ব্যামোর মৃত্যু নাই।

ভালবাসার সাতকাহন

686528

ভালবাসার সাতকাহনে হলো না ঘর বাঁধা
তরী আমার কূলে ডুবেছে তা জেনেও স্বপ্ন দেখি
আমি আসলেই আস্ত গাধা।

কি আশার স্বপ্ন দেখি
কিসে তারে ভাবি আপন,
মন তো মরে গেছে
মুড়ে আছে সাদা কাফন।

ভালবাসার সাতকাহনে
আমি যে নাই,
আমি তো ভস্ম- ছাই।
ভালবাসার সাতকাহনে
কে করবে রাজত্ব?
আমার তো কিছু নেই!
কোন লাইসেন্স নেই, নেই কোন স্বত্ত্ব।

তবুও প্রবল ইচ্ছে
ভালবাসার সাতকাহনে
নিবো ঠাঁই,
যে করে হোক, যেমনে হোক
ভালবাসার সাতকাহনের রাজ্য আমার চাই।

ভালবাসার সাতকাহন
আমার হবে কবে?
দূর ছাই!
কি ভাবছো, কি চাইছো
ভালবাসার সাতকাহন কস্মিনকালেও তোমার নাহ্ হবে।

ভালবাসার সাতকাহন
তার মনে, জর্জ, ব্যারিস্টার, সরকারি মনুষ্য পোষে….

উৎসর্গঃ সু্বর্ণা আহমেদ রিমি কে, যার মনে কস্মিনকালেও ঠাঁই হয়নি….

মনময়ূরী

গোধূলীবেলায়,
ঠিক সন্ধ্যা নামার আগে।
ঘরে ফেরার তাড়নায়,
পাখী সকলের জান কবুল করা সময়ে।
আবির রঙে হেসে ওঠে আকাশ।
হৃদয়ের দখিন কোন থেকে দোলা দেয় হাওয়া,
অতীব মনোরম ছন্দে।
সেই ক্ষনে আনমনে মনের বাতায়ন খুলে যায় সপাট।
কনে দেখা আলোয় হেসে ওঠে পদ্ম।
লুকোচুরি খেলা খেলে আকাশ আর পৃথিবী।
ঠিক তখনই,
তুমি এসে দাঁড়ালে তেতালার খোলা ছাদে,
আমি চেয়ে মুগ্ধ!
আকাশ মিতালীতে তোমায় দেখে।
অনুভব করি অপার্থিব ভালোবাসা হৃদয় কোনে।
তুমি কি আমায় ভালোবাসবে মনময়ূরী?

তোমার মনের নাম্বার দাও

তুমি কি শুনতে পাও মোর আর্তনাদ
হে দেবী, হে আমার প্রেমাস্পদা,
আর কতবার বলবো
তোমার মনের নাম্বার দাও?

ভালবাসার ফোনে কোন নাম্বার নেই
তাই চেয়েছিলাম তোমার মনের নাম্বার
সর্বদা সেভ করে রাখতাম
কখনো ডিলেট করতাম না?

হে আমার প্রেমাস্পদা,
হে আমার দেবী
দাও তোমার মনের নাম্বার
ভালবাসার কিছু কথা বলবো তোমায়?

এভাবে চুপটি করে থাকো না দেবী
ভালবাসার ব্যালেন্স এর মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে,
জলদি দাও তোমার মনের নাম্বার
আমি ভালবাসার ফোনে কথা বলবো?

যশোহর কন্যা

3527

আমি তোমায় ক্ষমা করে দিয়েছি হে তিলোত্তমা যশোহর কন্যা
তবে নিজেকে ক্ষমা করতে পারিনি
আমি তো তোমার ভালবাসায় অভিশপ্ত
নিজেকে ক্ষমা করি কেমনে?

তবে আমি আজও কিসে সারমেয়’র মতো করে তোমার পিছে
ছুঁটছি তা অবিদিত
ও ছুটবো না কেন সাড়ে চার বছরের সম্পর্ক
গভীর রাতে স্মৃতিগুলো মম মন কে তারা উদ্বেল করে তোলে।

হাজার হাজার ম্যাসেজ মস্তিষ্কে সাইরেন বাজায়
শত শত মিনিট কর্ণে প্রেমের মাইক বাজায়,
তোমার অদ্ভুদ হাসি
বক্ষে প্রেমের বোমা নিক্ষেপ করে।

তোমাকে নিয়ে লেখা সাড়ে তিনশতাধিক কবিতা
গুলো ভালবাসার আর্জি জানায়,
তোমার মন দরগায় যেতে
বারংবার ইচ্ছা পোষণ করে।

সাত বার ব্লক সাত বার ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট
মম ভালবাসা কে দৃঢ় করে,
তোমার অভদ্রতা তোমার অহংকার আমার প্রেম চোখের
রঙিন চশমা ছিল।

গাজীপুর ভাওয়াল রাজবাড়ি’র বিশ্রামাগার জানে
জয়দেবপুর রেলওয়ে ষ্টেশন জানে
ফুল কন্যা গোলাপ জানে
প্রেমিকদের খাদ্য পিজ্জা, বার্গার জানে
গাজীপুরের রাজপথ জানে
আমি তোমায় কত্ত ভালবাসি।

এখন শুধু আমি আর তুমি জানি না
কে কাকে ভালবাসি,
বড় আশ্চর্য তুমি আর আমি
হে ভালবাসা তুমি এখনো জীবন্ত আমার কবিতায়
তবে কে কাকে বেশি ভালবাসে তুমি নিজেই সাবুত করে নিও
আমি আজ থেকে সত্যি যশোহর কন্যা কে মুক্তি দিলাম
তুমি যশোহর কন্যার দেখভাল করিও…

কলিকাতার মেয়ে

62357

কলিকাতার মেয়ে
আমার দিকে দেখ
একবার চেয়ে,
সুখ- শান্তি, ভালবাসা
যাবে সব পেয়ে।

কলিকাতার মেয়ে
ওহে বর্ষা বেরা,
তোমার মন কি
ধর্মের বেড়ায় ঘেরা?

কি নেই আমার মাঝে
তোমার কাছে
ভালবাসার আবদার করে
মরছি আজ লাজে!

কলিকাতার মেয়ে
ভালবাসা
চেয়ে করেছি কি মহাভূল?
তুমি মানুষ
আমিও মানুষ
কিসে আমার মাঝে দেখ
ধর্ম, জাত- কূল?

কলিকতার মেয়ে
ওহে বর্ষা বেরা,
তোমার কাছে আর অনুনয়
করবো না
আমি যে ভাগ্য হারা….

উৎসর্গঃ কলিকাতার মেয়ে বর্ষা বেরা মেয়েটি কে তাকে খুব ভালো লেগেছিল, তার জন্য মনে প্রেম জন্মেছিল…. কিন্তু ভাগ্য সহায় নয়।

তারিখঃ ১৯.০৫.২০২১
সময়ঃ বুধবার ০৮ঃ৪৫ থেকে ০৮- ৫৩ পিএম
স্থানঃ সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা, বাংলাদেশ

অনন্ত যৌবনা

duck

হে অনন্ত যৌবনা
তুই তোর যৌবন নিয়ে থাক,
আমি আর
অলি হয়ে তোর মধু খাওয়ার আশে গুনগুন করছি না।

পাঁপড়ি জড়িয়ে যদি আ-জীবন থাকতে পারিস থাক
তোর মধু খাওয়ার আশে অনেক অলি গুনগুন করছে
আজাদ অলি, মামুন অলি, ওবায়ইদুল অলি
আরো নাম না জানা অনেক!

কিন্তু…সব অলি এক রকম না…
কারোও হুল বড় আবার কারোও ছোট
আবার কেউ স্বাস্থ্যবান।

হে অনন্ত যৌবনা
কোন অলি যদি আসে দ্বার উন্মোচন করিস মধু খেতে দেস,
পাঁপড়ি দিয়ে জড়িয়ে রাখিস না
নিজেকে লোভনীয় রাখতে
অলিদের কষ্ট দেস না
যারে ভাল লাগে তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়িস….

চুমুর ভোট

55981

তোমার ঠোঁটে
চুমুর ভোট দিতে চাই,
একটা, দুটো ভোট দিতে
পারবো না আমি
কমপক্ষে হাজার দশেক।

চুমুর ভোটে
তোমার ঠোঁটে
আ-জীবন
যেন দখলদারি করতে পাই।

তাই তোমার ঠোঁটে আজ
ভোট দিতে চাই,
লালার কালিতে
তোমার ঠোঁট সর্বদা উজ্জ্বল রাখতে চাই।

তাই আজ ভোট দিতে চাই
চুমুর ভোট
কমপক্ষে হাজার দশেক,
এই ভোট দিয়ে
তোমার শরীরের প্রত্যেক
অঙ্গ- প্রত্যঙ্গ জয় করতে চাই।
পায়ের কনিষ্ঠ আঙ্গুল থেকে
মস্তিষ্কের কেশদামের আগা পর্যন্ত।

তাই আজ ভোট দিতে চাই
একটা, দুটো চুমু নয়
কমপক্ষে হাজার দশেক
চুমুর ভোট,
তাই তোমাকে আজ ছাড়ছি না।
তোমার ঠোঁটে আজ ভোট দিবো
হাজার দশেক ভোট…..

যশোহর কন্যা

56012

আমি তোমায় ক্ষমা করে দিয়েছি হে তিলোত্তমা যশোহর কন্যা
তবে নিজেকে ক্ষমা করতে পারিনি
আমি তো তোমার ভালবাসায় অভিশপ্ত
নিজেকে ক্ষমা করি কেমনে?

তবে আমি আজও কিসে সারমেয়’র মতো করে তোমার পিছে
ছুঁটছি তা অবিদিত,
ও ছুটবো না কেন সাড়ে চার বছরের সম্পর্ক
গভীর রাতে স্মৃতিগুলো মম মন কে তারা উদ্বেল করে তোলে।

হাজার হাজার ম্যাসেজ মস্তিষ্কে সাইরেন বাজায়
শত শত মিনিট কর্ণে প্রেমের মাইক বাঁজায়,
তোমার অদ্ভুদ হাসি
বক্ষে প্রেমের বোমা নিক্ষেপ করে।

তোমাকে নিয়ে লেখা সাড়ে তিনশতাধিক কবিতা
গুলো ভালবাসার আর্জি জানায়,
তোমার মন দরগায় যেতে
বারংবার ইচ্ছা পোষণ করে।

সাত বার ব্লক সাত বার ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট
মম ভালবাসা কে দৃঢ় করে,
তোমার অভদ্রতা তোমার অহংকার
আমার প্রেম চোখের রঙিন চশমা ছিল।

গাজীপুর ভাওয়াল রাজবাড়ি’র বিশ্রামাগার জানে
জয়দেবপুর রেলওয়ে ষ্টেশন জানে
ফুল কন্যা গোলাপ জানে
প্রেমিকদের খাদ্য পিঁজ্জা, বার্গার জানে
গাজীপুরের রাজপথ জানে
আমি তোমায় কত্ত ভালবাসি।

এখন শুধু আমি আর তুমি জানি না
কে কাকে ভালবাসি,
বড় আশ্চর্য তুমি আর আমি
হে ভালবাসা তুমি এখনো জীবন্ত আমার কবিতায়,
তবে কে কাকে বেশি ভালবাসে তুমি নিজেই সাবুত করে নিও
আমি আজ থেকে সত্যি যশোহর কন্যা কে মুক্তি দিলাম
তুমি যশোহর কন্যার দেখভাল করিও…

তুমি যদি

329

তুমি যদি কখনো আমার পাশে না থাকো তবে আমার ভোরগুলো নীরস হয়ে যাবে,
আমার আঙিনায় আর কোন ফুলই ফুটবেনা, আমার দুয়ারে আসবেনা বসন্ত।
তুমি যদি আমাকে আর নাম ধরে না ডাকো তবে পৃথিবীর সব সুর বদলে যাবে বিশ্রী শব্দ দূষণে,
পাখিদের গানগুলো সব বজ্রধ্বনির মতো এলোপাথাড়ি ডেকে যাবে।
তুমি যদি আমাকে কাছে না ডাকো তবে সবগুলো মেঘ একে একে সরে যাবে সুদূর অন্তরালে,
এই সুন্দর আকাশের সবকটি নক্ষত্রের পতন হবে হঠাৎ অবলীলাক্রমে।
তুমি যদি আমার দিকে কখনো চোখ তুলে না তাকাও তবে এই সমস্ত আলোর বিচ্ছুরণ থেমে যাবে,
মুহূর্তেই অন্ধকারে বদলে যাবে পুরো পৃথিবীর আকাশ, অদৃশ্য হয়ে যাবে সব সৌন্দর্য।
আর তুমি যদি আমাকে নির্মল নিঃস্বার্থ ভালোবাসা দাও তবে মৃত্যুর পরোয়ানা ছিঁড়ে ফেলে আমি পাবো অমরত্বের স্বাদ,
এই নশ্বর পৃথিবীতেই হবে আমার অনন্ত স্বর্গলাভ।
.
০৪/০৪/২০২১

কল্পনায় একদিন

Continuous one line couple in love walk holding hands
একদিন কল্পনায় আমি হেঁটেছি কত দূর তার সাথে,
ছুঁয়েছি চুড়ির রেশ হয়ে তারই হাত সারাটি পথ ধরে।
হঠাৎ হাওয়ার মতো আমিও দুলে দিয়েছি এক গোছা চুল তার,
নীল আচলে আমি দিয়েছি তারে বসন্তে ঝরা কত ফুল।
অপলক আমিই দেখেছি তারে চোখের খুব কাছে,
একদিন কেবলই কল্পনায় আমি পেয়েছি তারে ভালোবেসে।।
.
০৫/০৩/২০২১
ছবিঃ গুগল থেকে

মেঘ

তোমাকে ভালোবেসে মেঘ বলে ডাকতাম আমি,
অনেকদিন হলো তোমাকে মেঘ বলে ডাকিনা।
তোমাকে এখন আর অন্যকেউ মেঘ নামে ডাকে কিনা তাও জানিনা,
জানিনা এখন অন্যকারো বুকের ঠিক কতটা জুড়ে মেঘ হয়ে আছো।।
.
তবে আজকাল আকাশ মেঘলা হলে খুব জোড়ে জোড়ে ঐ মেঘেদের মেঘ বলে ডাকি,
ঐ মেঘেরা আমার ডাকে সাড়া দিয়ে অঝোর বর্ষণে ভিজিয়ে দেয়।
মুছে দেয় আমার কান্না ঠিক যেন তোমার মতোই আদরের হাতে,
তখন মনে হয় এই মেঘ আর তুমি মেঘের মাঝে কোন ফাঁক নেই।
আজ এই ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘের দিনে তোমাকে খুব মনে পড়ছে,
এমন হাজারো মেঘের দিনে তোমাকে খুব বেশি মনে পড়বে মেঘ।।
.
০৬/০৭/২০১৯

তোমার প্রেমে পড়বার পর

তোমার প্রেমে পড়বার আগে,
সুন্দর চোখ, সুদর্শন মুখের রমণীদের খুটে খুটে দেখতাম।
আর ভিতরে ভিতরে খুব আফসোস করতাম,
ভিতরে ভিতরে কামনা জেগে উঠতো যেন সে আমার হয়।।
.
অথচ তোমার প্রেমে পড়বার পর,
সেই চিরাচরিত অভ্যেসটা কি আমূল বদলে গেলো।
কাউকে দেখে আফসোস করা, মনে মনে কামনা করা,
এসব কিছু বদলে গেছে তোমাকে পাবার আজন্ম প্রার্থনায়।।
.
এখন আমার কাছে তোমার চোখই পৃথিবীর সুন্দরতম চোখ,
সব ছাপিয়ে কেবল তোমার ছবিই ভেসে উঠে বুকের ভিতর।
প্রতিক্ষণ শুধু তোমাকেই দেখি পরম যত্নে হৃদয়ের দেয়াল জুড়ে,
আর তুমি দেখা দাও পৃথিবীর অপার আশ্চর্য সুন্দর হয়ে।।
.
তোমার প্রেমে পড়বার পর,
কেবলই মনে হয়ে পৃথিবীর পথে আর কোন রমণী নেই।
কোন সুন্দর চোখ নেই, সুদর্শন কোন মুখচ্ছবি নেই,
কেবল তুমি আছো; পৃথিবীর সমস্ত সৌন্দর্যের পসরা সাজিয়ে।।
.
২৫/০৭/২০১৯