ট্যাগ আর্কাইভঃ ইসিয়াকের কবিতা

মনময়ূরী

গোধূলীবেলায়,
ঠিক সন্ধ্যা নামার আগে।
ঘরে ফেরার তাড়নায়,
পাখী সকলের জান কবুল করা সময়ে।
আবির রঙে হেসে ওঠে আকাশ।
হৃদয়ের দখিন কোন থেকে দোলা দেয় হাওয়া,
অতীব মনোরম ছন্দে।
সেই ক্ষনে আনমনে মনের বাতায়ন খুলে যায় সপাট।
কনে দেখা আলোয় হেসে ওঠে পদ্ম।
লুকোচুরি খেলা খেলে আকাশ আর পৃথিবী।
ঠিক তখনই,
তুমি এসে দাঁড়ালে তেতালার খোলা ছাদে,
আমি চেয়ে মুগ্ধ!
আকাশ মিতালীতে তোমায় দেখে।
অনুভব করি অপার্থিব ভালোবাসা হৃদয় কোনে।
তুমি কি আমায় ভালোবাসবে মনময়ূরী?

All of my love about you

5605b15b

‘Is that you!
Why did you become so strange!
Is that me!
Why would I give you so much pain!
How did you become as unknown as this?
How did I become so change like this?
Let us remove all the heartaches;
Why don’t you realize that I am nothing without you?
All my love about you;
Forgive me, how much sin I have with you Many nights I had been crying with deep agony And I had been sunk in the hollow;
Please take me back to your heart;
Why don’t you understand that I am nothing without you?
All my love about you;
Forgive me, how much sin I have with you you always come to mind;
While I thought I would forget you I can’t forget those days I left behind;
Why don’t you understand that I am nothing without you?
All of my love about you; Forgive me, how much sin I have with you…

.
#Rafiqul_Islam

হোক প্রতিবাদ

অস্থির সময়ের পাজর ছুঁয়ে
নেমে এসেছে নিঃস্তব্ধ নিকষ কালো বিত্রস্ত অন্ধকার।
মশান গ্রাস করেছে সুশোভিত চন্দ্রকে।

অতল আঁধারের স্নেহাশিসে সুযোগ সন্ধানীরা জন্ম দিচ্ছে যত পাপাচার।
ক্রমাগত দিয়েই চলেছে এক একেকটি পাপের জন্ম।
নতুন মোড়কে নতুন নামে।

যেন এটাই চিরন্তন এবং কাঙ্ক্ষিত।

হায় বিধাতা!
আর কত পাপ হলে পাপের কলস হবে পূর্ণ।
না হোক পূর্ণ পাপের ঘড়া,
আর নয় নিয়তির উপর দায়ভার চাপাবার খেলা।
অনেক তো হলো
আর অন্যায় সইবার সময় বা সুযোগ কোথায়?
এবার তবে হোক প্রতিবাদ।

হে দলিত,
তোমায় আজ অনুরোধ নয় আদেশ করছি।
হও প্রতিবাদী,
হও রণরঙ্গিনী দূর্বার।
হও দুরন্ত,উত্তাল ।
অন্যায় গোপন করার অভ্যাস করো পরিত্যাগ।
আর নয় ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি।
আর নয় মায়ামমতা প্রদর্শন পূর্বক দয়া ভিক্ষা।

পচনশীল সমাজে রন্ধ্রে রন্ধ্রে হতে
তীব্র উচ্চারণে উচ্চারিত হোক তোমাদের সুতীব্র প্রতিবাদ।
প্রতিধ্বনিত হোক সেই আওয়াজ
টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া অবধি গগনবিদারী ধ্বনিতে।
অসাম্প্রদায়িক ঐক্যের পতাকাতলে।

এখন গ্রহণকাল।
ঠুনকো অজুহাতে তোমায় ছোবল মারতে পারে
নিষ্ঠুর হায়েনার দল।
ছলে বলে নানা কূট কৌশলে।
তাই বলে ভয় পেলে চলবেনা কিছুতেই।

জেনে রেখো,
যদি লক্ষ্য থাকে অটুট তবে দেখা হবে বিজয়ে।
দুষ্টের দুর্জনের ছলনার অভাব হয় না।
তারা বহুরূপী।

মনে রেখো,
তারা রৌদ্রজ্জ্বল পবিত্র আলোকিকত দিনেও
অস্থির রকমের নির্লজ্জ বেহায়া অসংযত ।
অপরিনামদর্শী।
তারা ধর্মান্ধ, তারা কুসংস্কারচ্ছন্ন।
তারা ক্ষমতার দম্ভে দাম্ভিক ,
তারা কু রিপুর তাড়নায় বিকারগ্রস্ত।
তারা নিষ্ঠুরতার, নির্মমতার একনিষ্ঠ পূজারী।
তারা একেকজন সাক্ষাৎ রাবনের প্রেতাত্মা।
মানুষরূপী এইসব অবাঞ্ছিত কীটের তান্ডব নৃত্য,
আজ চতুর্পাশে।

পথ ঘাট মাঠ প্রান্তর লোকালয় স্কুল, পার্ক খেলার মাঠ।
কোথায় নেই তাদের অশুভ বিচরণ?
সমাজে প্রতিটি কোন আজ বিষাক্ত নর্দমার কীটে পরিপূর্ণ।

তারা লালায়িত, তারা লোভাতুর, তারা কামার্ত
তারা নৃশংস এবং তারা নির্মম।
তাদের বিষ নিঃশ্বাসে আজ আকাশ বাতাস সর্বত্র পরিপূর্ণ।
এই সমাজ আজ অসহায় নিশ্চল ।

দায়িত্বের অবহেলা জনিত কারণে
আজ সর্বত্র নানা বেশে নানা রূপে বহুমুখী অসুরের উত্থান।
ওই অসুরদের।
ওই নরকের কীটদের।
ওই নরপিশাচদের।
কোন মা নেই _
কোন বোন নেই_
তাই বুঝি
নারী মাত্র তাদের দৃষ্টিতে শুধু দমন পীড়নের সামগ্রী।
কাম লালসার পান পাত্র।

ওরা জন্মায়নি কোন মায়ের জঠরে।
ওরা যে ইবলিশের হাতে গড়া জারজ আত্মা।
আর কত বার দেয়ালে ঠেকলে পিঠ
ঘুম ভাঙবে?
জাগো জাগো মাগো
জাগো বোনেরা।

এসো সামিল হও প্রতিবাদ মিছিলে।
তৈরি হও বিবেকবোধ,মূল্যবোধহীন সমাজের
সমস্ত অব্যবস্হাপনা গুলোকে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার যুদ্ধের জন্য।
এসো পুরানো নিয়ম জাল ছিড়ে, নতুনের প্রয়োজনে।
এই সব ইবলিশের প্রেতাত্মা নিধনে।

© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
ফুটনোট – বিত্রস্ত -অতিশয় ভীত।
মশান-অপরাধীদের বধ্যভূমি।

শেখ রাসেল প্রিয় ভাই আমার

কতোটা বিবেক বুদ্ধিহীন না হলে,
মানুষ নিজেকে এমন পৈশাচিক রুপে রুপান্তরিত করে।
ধিক তাদের !
আমি ধিক্কার জানাই
সেইসব নরপশুদের প্রতি!!
রাসেল,প্রিয় ভাই আমার।
নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির উদ্দেশ্যে
যারা তোর বুকের রক্ত দিয়ে হোলি খেলতে একটুও দ্বিধা করেনি।
ধিক! ধিক!!ধিক!!! সেই নরকের কীটদের।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারিনি আমরা তোর জীবনের।
তোর সুন্দর শৈশব,কৈশর,যৌবনের।
প্রিয় ভাই
না জানি কতটা কষ্ট দিয়ে তোকে ওরা আশার ছলনে ভুলিয়ে
অবশেষে তোর রক্ত শুষে,
পৈশাচিক নৃত্যে মেতেছিলো ওরা।
আমি দেখিনি,তোর কষ্টগুলো।
আমি দেখিনি তোর কান্না।
আমি দেখিনি,
থরে থরে পড়ে থাকা ছিন্ন ভিন্ন প্রিয় আপন লাশের মাঝে
বিভৎস বিকৃত অবয়বসমূহ।
তবুও অনুভব করি অন্তর থেকে,
প্রিয় বাবা, মা ,চাচা ,ভাই ভাবীসহ আরো অনেকের লাশ দেখে,
তোর সীমাহীন কষ্টের অনুভূতি কি হয়েছিলো।
আমি যেটুকু শুনেছি,
যা জেনেছি।
সেটুকুতেই আমার গায়ের লোম আজো দাড়িয়ে যায়,
নিদারুণ ভয়ে আর আতঙ্কে।
হে সাহসী ছোট্ট বালক
তোর ছোট্ট প্রাণে কি করে ধরেছিলি এতোগুলো কষ্ট?
আমি এখনও শুনতে পাই তোর চিৎকার,
সকরুণ আর্তনাদ
’আমি মায়ের কাছে যাবো!
’আমি মায়ের কাছে যাবো!
আমি চোখ বুঝলে বুঝি,
এখনো দেখতে পাই
তোর ঝলসে যাওয়া পা,
তোর মস্তকবিহীন দেহটা।
উফ! ওরা কি মানুষ!
ওরা তো পশুর চাইতে অধম।
ওরা তো জাতীয় বেইমান।
জাতির লজ্জা।
নয়তো এগারো বছরের ছেলের সাথে কি নিয়ে থাকতে পারে তাদের শত্রুতা?
আমি ক্ষমা চাই।
আমি করজোড়ে ক্ষমা চাই তোর কাছে ।
আমি বাঙালি জাতির হয়ে ক্ষমা চাই তোর কাছে প্রিয় ভাইটি।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারিনি আমরা তোর জীবনের।
তোর সুন্দর শৈশব,কৈশর,যৌবনের।
প্রার্থনায় রাখি তোকে সর্বদা,
ওপারে ভালো থাকিস ভাই আমার।
ভালো থাকিস সর্বদা।
© মোঃ রফিকুল ইসলাম

হিংসুটি প্রেমিকা

হৃদয়ে ব্যালকনিতে ফুটেছিলো এক গোলাপ।
সে আবদার করেছিলো, প্রেমিকার সাথে করবে আলাপ।
আমি বলেছিলাম, প্রিয়তমা যদি রাগ করে তখন কি উপায়?
বলল গোলাপ, ফুলকে বাসেনা ভালো এমন মানুষ কি হয়?
গোলাপের কথাতে তো আমি হেসেই মরি।
কতটা জ্ঞানী দেখো আমার গোলাপ সুন্দরী।
সব শুনে প্রিয়ার হলো ভীষণ মুখ ভার।
গাল ফুলে অভিমানে মারাত্মক আকার।
বললাম,
কি হলো কি বলেছি প্রিয়তমা তোমায়?
দোষ যদি করে থাকি প্রায়শ্চিত্তের উপায়?
প্রিয়া বলল,
গোলাপ হলো সুন্দরী, আমি বুঝি অসুন্দর?
থাকো তুমি গোলাপ নিয়ে কাঁটার ভিতর।
মনের কষ্ট মনে নিয়ে গোলাপ গেলো শুকিয়ে।
সীমাহীন দুঃখ নিয়ে আমি রইলাম তাকিয়ে।
এতো কেন হিংসুটে মেয়েগুলো হয়।
আমি বুঝি শুধুই তার আর কারো নয়?

সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।

যাপিত জীবনের কড়চা

কত হাসি, কত ব্যথা,স্মৃতি বিজড়িত ক্ষণ।
প্রতি পলের ভাঁজে ভাঁজে জীবনের সাতকাহন।
হঠাৎ উঠলো ঝড়, সাঙ্গ হলো খেলা।
চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি, শূন্য বালুকাবেলা।
এমন দিন আসবে কখনো দীর্ঘ চলার পথে,
স্বপ্নেও আমি কল্পনায় আঁকিনি, বাস্তবেও কোন মতে।
চারদিকে হাহাকার ভরা, হতাশার আঁধার।
জটিল সমীকরণে জীবন, গোলক ধাঁধাঁর।
জীবন যাপন মুখোমুখি এখন, কঠিন বাস্তবতায়,
যাপিত জীবনের দুঃখ ব্যাথা সযতনে লুকাতে হয়।

বৃষ্টি

১]
ঝরঝর বৃষ্টি এলো আষাঢ় গগনে,
দুলে ওঠে প্রাণ মন চঞ্চল পবনে।
কতদিন দেখিনি এমন বারি বরষণ,
চিত্ত আকুল হলো সিক্ত তনু মন।
মেঘের আঁধারে লুকায় যত পাপ পঙ্কিলতা,
কাব্য হয়ে উঠলো ফুটে মনের কথকতা।
তৃণলতা সাজলো ওই, নানা বর্ণিল সাজে,
বৃষ্টির আহ্বানে ফুলকলি ফোটে লাজে।

[২]
বৃষ্টি এলো ঝমঝমিয়ে
টিনের চালে, তালে তালে।
বৃষ্টি এলো নতুন সাজে,
সপ্ত সুরে বীনা বাজে।
বৃষ্টি এলো দূর পাহাড়ে,
স্বপ্ন ফোটে মন বাহারে।
বৃষ্টি এলো ভালোবেসে
প্রিয়ার মিঠে প্রেম পরশে।
বৃষ্টি এলো টগবগিয়ে
মাতাল প্রেমের স্বপ্ন নিয়ে।
বৃষ্টি এলো বৃষ্টি এলো
নবরাগের সৃষ্টি হলো।
বেশ তো হলো বৃষ্টি এলো
আবার শুভদৃষ্টি হলো।

ঈদ মানে খুশি খুশি

বেলা শেষে চাঁদ দেখে,
আলো ঝরে প্রতি মুখে।

খোকা হাসে খুকি হাসে,
চমকিত উল্লাসে।

বাজি ফোটে কাছে দূরে
আনন্দ ঘুরে ফিরে।

অকারণ কথকতা,
চলে প্রীতি বারতা।

জনে জনে বলে সবে,
কাল ঈদ, ঈদ হবে।

ঘরে ঘরে লাগে দোল,
প্রকাশিত কল্লোল।

সালামের সালামি,
যার নাম প্রনামি।

আদায়ে পেরেশান,
নয় তবু হয়রান।

এলো স্বর্গীয় সুখ
পলকে হারায় দুখ।

আসমানি খুশি যেন,
চারিপাশ বিছানো?

এসো ভাই বুকে এসো
বিষাদ ভুলে শুধু হাসো।

কেন থাকো দুরে সরে
ঠাই নাও অন্তরে।

ঈদ মানে খুশি খুশি,
আর নয় রেশারেশি।

এসো করি কোলাকুলি
মত বিভেদ ভুলি।

তুই

তুই আমার কবিতা হবি
স্বপ্ন দেখার মতো?
ইচ্ছে মতো সাজিয়ে নেবো
যত খুশি তত।
মাঝে মাঝে পড়বো তোকে
পাতা খুলে খুলে।
নানা স্মৃতি নানা কথায়
হৃদয় উঠবে দুলে।
হবি কি তুই বাঁশের বাঁশি
বুকের টানা দম?
তোকে আমি সুরে সাজাবো
নানান রকম।
হবি নাকি গল্প কোন
ভীষণ রকম প্রেমে ।
আলতো ছোঁয়ায় গাঁথবো
চমৎকার ফ্রেমে।

© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক

আমফান

মেঘেরা ভেসে ভেসে
ডানা মেলে পাখা।
ছুটোছুটির ব্যস্ততা
দূরে একা একা।
দানবীয় শক্তিতে
সমুদ্র উত্তাল।
নাগরিক জীবনের
অবস্থা বেহাল।
পত্র পল্লব সব
মাথা দুলে দুলে।
অসহায় সমর্পণ
প্রকৃতির কোলে।
আকস্মিক জোয়ারে
ভাসে বাড়ি ঘর।
স্বাভাবিক জীবন কি
ফিরবে এরপর?
নীড় হারা পাখিদের
ছোটাছুটি ভয়ে।
কোথা যাবে এরপর
শেষ আশ্রয়ে?
মাঠের ফসল যত
নিমেষেই শেষ।
গৃহস্থের চোখে জল
দুঃখ অনিঃশেষ।
অসহায় প্রাণীকুল
ভয়ে কেঁপে সারা।
আশ্রয়ের খোঁজে
ক্ষিপ্ত দিশেহারা।
হুড়মুড় বৃষ্টির
মহা তান্ডবে।
সকলের সুখ সাধ
এবার ফুরাবে।
কোন কোন দূর্যোগ
কারো কারো তরে।
সৌভাগ্য বয়ে আনে
ধরনীর উপরে।
দশেরে দিয়ে লাথি
কেউ ধনী হয়।
নিঃস্ব আরও ক্রমশ
হয় অসহায়।
আমফান তুমি
ছাড়ো রুদ্র মূর্তি।
অসহায়ের পক্ষ হতে
রইলো এ আর্তি।

ক্ষুধা

এক মুঠো ভাত দেবেগো মা ?পেটে বড্ড ক্ষুধা।
পয়সা হলেও অসুবিধা নেই, দাও না গো দাদা।

দুদিন ধরে খেয়েছি কেবল, পানি আর একমুঠো মুড়ি।
অনেক তো আছে কমবেনা দিলে,বাসি ভাত তরকারী।

রোদে পুড়ি, বৃষ্টিতে ভিজি, নেই তাতে কোন দুখ।
ক্ষুধা জ্বালা বড় জ্বালা, অসহ্য মারাত্মক অসুখ।

দালান চাই না ,চাইনা গো ভাই, তোমাদের দামি পোষাক।
দু”মুঠো দাও, তাতেই খুশি, সুখ তোমাদেরই থাক।

#সামনে ইদ আমরা কি ভাবছি এসব ছিন্নমুল মানুষের কথা।

হাটে যাবো

হাটে যাবো হাটে যাবো
বড্ড মজা হবে।
সন্দেশ আর রাবড়ি খাবো
দুটো টাকা দেবে?

দাওনা মাগো এক আধুলি
ছোলা সিঙ্গাড়া খাবো।
খানিক খেয়ে বাকিটুকু
তোমায় না হয় দেবো।

শহর ময়রার গজা খেয়েছো?
বেশ কুড়মুড়ে খেতে।
ঘোষ বাড়ির আমও খাবো
হাটের পথে যেতে।

দিনুর সাথে ভাব জমালে
লাভের উপর লাভ।
ছানার জিলিপি দেবে খেতে
দয়ালু স্বভাব।

কিষাণ আমার বন্ধু জানো
খাওয়ায় ঝালমুড়ি।
আমিও তাকে সাহায্য করি
বেচতে তরকারি।

হাট মানে তো দারুণ ব্যস্ততা
বেজায় কোলাহল।
আমারও নানান কাজে
বাড়ে চলাচল।

মল্লিকাদি চাইগো কিছু?
লাগলে বলতে পারো।
রেশমিচূড়ি,আলতা ও টিপ
কত কিছু আরো।

চুড়ি খাড়ু সাজ বাহারি
বসেছে লেইস ফিতা।
অত কি আর চিনি আমি?
ভাবলে ধরে মাথা।

যেতে যেতে হাটের পথে
ধরবো ফড়িং কয়েক।
লাগবে কি তোর ছোটকা বলনা?
তিন অথবা দুয়েক।

বাবার সাথে সাঁঝবেলাতে
ফিরবো যখন ঘরে।
ক্লান্ত হয়ে ঘুম নামবে
আমার দুচোখ জুড়ে।

সাধ

তোমার অনলে জ্বলতে জ্বলতে
আমি হয়েছি অঙ্গার।

তোমার ভালোবাসা পাবার আশা
নিত্য হাহাকার।

আমার অভিমান দুঃখ ব্যথা
সব তোমায় ঘিরে।

আমার স্বপ্নগুলো হোঁচট খেলেও
ফিরে তোমারই দ্বারে।

এবার কি তবে হবে একটু সময়
আমায় ফিরে দেখার?

আমার কিন্তু খুব সাধ ছিলো
একান্ত তোমার হবার।

মানুষের হোক জয়

টুকটুকে লাল শাড়ি পড়েছো কেন?
তুমি যেনো কনে বউ মুখ লুকানো।

আমায় দেখে কি তবে এত লাজ এলো?
এবার না হয় লাজ ভুলে মুখটা তোল।

পুরানো প্রেম এসো তবে নেই ঝালিয়ে।
প্রেম দিয়ে দুঃখ যত দাও ভুলিয়ে।

ফুটেছে ফুল দেখো কানন ভরে।
গাছে পাখি গাইছে গান মহাসরবে।

মানুষগুলো শুধু আজ ঘরবন্দী।
বাইরে যাবার ছুতোয় নানা ফন্দি।

চেয়ে দেখো পৃথিবী বড় মোহময়।
দুর হোক মহামারি মানুষের হোক জয়।

চিচিং ফাঁকের খেলা

ঘরবন্দী জীবন এখন
হলো যে শাঁখের করাত।
একে একে ভান্ড খালি
ফুরালো হাড়ির ভাত।

ক্ষুধার জ্বালায় শিশু কাঁদে
চিন্তায় শিশুর মা।
করোনা প্রকোপে জীবন জটিল
নানান হাঙ্গামা।

হাত পাতবে মধ্যবিত্ত
সে অভ্যাস তো নাই।
বাড় বাড়ন্ত ছুটির ফাঁদে
বেচে থাকাই দায়।

বিত্তশালীর উপদেশ
শুনতে ভারী মজা
বাস্তবতা বড়ই কঠিন
নয়তো সরল সোজা।

স্টে হোম স্টে হোম
চিচিং ফাঁকের খেলা।
বিত্তশালীর সমস্যা নেই
ভুক্তভোগীর জ্বালা।

রাজামশায় সবই জানেন
কি জানে কি বোঝে?
মধ্যবিত্তর নাভিশ্বাস
বাড়ছে সকাল সাঁঝে।