ট্যাগ আর্কাইভঃ ব্লগিং

আমার দেখা ব্লগ ব্লগার ও ফেসবুকে শব্দনীড় ব্লগ পেইজ!

ফেসবুকে স্বনামধন্য শব্দনীড় বাংলা ব্লগ পেইজ আছে, তা আপনি জানেন কি? আমি জানি এবং নিয়মিত ফলো করে আসছি। আজকে এ নিয়েই কিছু লিখতে চাই! আশা করি সাথে থাকবেন। তার আগে ব্লগ এবং ব্লগিং নিয়ে আমার কিছু নূন্যতম অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি, জেনে নিন!

বর্তমানে মোবাইল ফোন হাতে-হাতে ছড়াছড়ি। ঘরে ঘরে কম্পিউটার, ল্যাপটপ আর ওয়াই ফাই নামের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ। একসময় কারোর হাতে মোবাইল ফোন দেখলেই, সামনে গিয়ে উঁকি মেরে দেখতাম। আর ভাবতাম, কী দিয়া যে তৈরি করলো এই মোবাইল! ঈশ! যদি আমি একটা কিনতে পারতাম!

এভাবে ভাবতে ভাবতে ২০০৬ ইংরেজি সালে নোকিয়া ১১১০ মডেলের ৩৬০০ টাকা দিয়ে একটা মোবাইল সেট নিজেই কিনে ফেললাম। সাথে ৫৫০ টাকা দিয়ে একটা বাংলালিঙ্ক সিম কার্ডও কিনে শুরু করলাম, নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকা অপরের সাথে কথা বলা।

এরপর ২০০৭ ইংরেজি সালে নোকিয়া N-73 মডেলের পুরাতন একটা মোবাইল সেট কিনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে থাকি। তখনকার সময়ে নেটওয়ার্কভিত্তিক ইন্টারনেটের সুবিধা ছিল GPRS সার্ভিস। সেসময় নোকিয়া বাটন মোবাইলের সেটিং থেকে কনফিগারেশন সেটিং করে ইন্টারনেট ব্যবহার করতাম। আর অনলাইনে থাকা বিভিন্ন সাইটে প্রবেশ করতাম। এটাই ছিলো আমার নিয়মিত অভ্যাস।

কিন্তু দীর্ঘদিন ব্যবহার করার পর মোবাইলটি আর ভালো লাগছিল না। ভালো না লাগার করণ ছিলো শুধু একটাই। তাহলে নোকিয়া N-73 মডেল মোবাইলে বাংলা লেখা যেতো না, আর মোবাইল স্ক্রিনে বাংলা লেখা প্রদর্শিতও হতো না।

এরপর ২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে নোকিয়া C-3 দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করতাম। তাতেও বাংলা লেখা যেতো না। মনের আক্ষেপ আর আফসোস শুধু থেকেই যেতো। তারপরও বিশ্ববিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগলে সার্চ করা ছিল আমার প্রতিদিনের কাজ। সেসব কাজের মধ্যে ছিল বিভিন্ন ব্লগে উঁকি মারা সহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া সহ আরও অনেককিছু। তবে বেশকিছু অনলাইনভিত্তিক দিনলিপি বা ব্লগে সময়টা বেশি ব্যয় করতাম।

একসময় অনলাইনে থাকা একটা স্বনামধন্য ব্লগে লেখকদের লেখা পড়তে খুবই ভালো লাগতো। নিজেরও লিখতে ইচ্ছে করতো। একসময় নোকিয়া বাটন মোবাইল C-3 দিয়ে এক ব্লগে রেজিস্ট্রেশন করে ফেললাম। কিন্তু নোকিয়া C-3 মোবাইলে তো বাংলা লেখা যায় না। কোনরকমভাবে ইংরেজি বর্ণ দিয়ে স্বল্পসংখ্যক শব্দ দিয়ে একটা লেখা জমা দিলাম। ব্লগে লেখা জমা দিয়ে বেশকিছুদিন আর ব্লগে প্রবেশ করিনি।

এরপর প্রায় দুই তিনমাস পর অনেক কষ্ট করে মনের স্বাদ মেটানোর জন্য সিম্ফনি W-82 মডেল-এর একটা মোবাইল কিনলাম। মোবাইলটা কিনেই, সেইদিনই ব্লগে প্রবেশ করলাম। উদ্দেশ্য হলো, আমার জমা দেওয়া লেখাটার অবস্থা দেখা। দেখি সম্মানিত মডারেটর লেখার শিরোনাম বাংলায় দেওয়ার জন্য বলছে। সিম্ফনি এন্ড্রোয়েড মোবাইলে বাংলা লেখা যেত। লেখার শিরোনাম দিলাম, “আমিও মানুষ”। আবার জমা দিয়ে আর ব্লগে প্রবেশ করি না। প্রায় কয়েকমাস পর ব্লগে প্রবেশ করলাম। দেখি আমার লেখায় কয়েকজন সম্মানিত লেখকদের মূল্যবান মন্তব্য। সেসব মন্তব্যের উত্তর দিতে গেয়েই, আজ অবধি ব্লগ আর ব্লগিংয়ের মাঝেই আটকা পড়ে আছি। ব্লগে লিখছি, পড়ছি, দেখেও যাচ্ছি। অনেক সম্মানিত লেখক-লেখিকাদের সাথে ঘনিষ্ঠতাও গড়েছি। শুরু থেকে এপর্যন্ত ব্লগ, ব্লগিং এবং ব্লগের পোস্টের মন্তব্য বিষয়ে সামান্যতম ধ্যানধারণাও মোটামুটি অর্জন করতে পেরেছি বলেও মনে হয়।

ব্লগ:
আমার জানা মতে ”ব্লগ” শব্দটি ইংরেজী (Blog), এর বাংলা প্রতিশব্দ৷ যা এক ধরনের অনলাইন ব্যক্তিগত দিনলিপি বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক পত্রিকা। ইংরেজি (Blog) শব্দটি আবার (Weblog) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। যেটুকু জানা যায়, এই ব্লগের ইতিহাস এবং অনলাইন দিনপত্রী ১৯৯৭ ইংরেজি সাল থেকে শুরু হয়ে অদ্যাবধি চলছে। প্রায় ব্লগই মূলতঃ লেখায় আকিন, কিছু কিছু আছে শিল্প(আর্টব্লগ), ছবি(ফটোব্লগ)। ডিসেম্বর ২০০৭এর হিসাবে, ব্লগ খোঁজারু ইঞ্জিন “টেকনোরাটি” প্রায় এগারো কোটি বার লাখের ও বেশি ব্লগের হদিশ পেয়েছে।

ব্লগার:
যারা আমার আগে থেকে ব্লগে লিখেন, তাঁরা অবশ্যই ব্লগ বিষয়ে আমার চেয়ে ভালোই জানেন। তা আর নতুন করে নতুন কিছু উপস্থাপন করার কোনও দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। তবে আমরা যারা ব্লগে লেখালেখি করছি, সবাই জানি যিনি ব্লগে লিখেন; তাকে “ব্লগার” বলে। তবে সহ ব্লগারগণ একে অপরকে লেখক লেখিকা বলেই বেশি সম্বোধন করে থাকে। যেহেতু একই প্লাটফরমে একে অপরের সাথে লেখা শেয়ায় করছে, তাই। তারপর পছন্দ অপছন্দের মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে যার যার মনের ভাব জানান দিচ্ছে। এতে করে একে অপরের সাথে খুব অল্পদিনে মধ্যেই সুসম্পর্কও গড়ে উঠছে।

ব্লগিং:
যিনি ব্লগে পোষ্ট করেন তাকে ব্লগার বলে। পোস্ট করা বা ব্লগে লেখালেখি করা হচ্ছে “ব্লগিং”।

মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া:
ব্লগাররা প্রতিনিয়ত তাদের পছন্দের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট যুক্ত করেন। আর পাঠক সেখানে লেখার উপর ভিত্তি করে তাদের মন্তব্য করতে পারেন৷ মন্তব্য দানকারী পাঠককে অবশ্যই ব্লগের নিবন্ধিত পাঠক হতে হবে। মানে হচ্ছে, একজন ব্লগারের লেখনীয় পোস্টে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার আগে তাকে সেই ব্লগে লগইন করতে হবে। নিবন্ধিত সদস্য ছাড়া কিছুতেই মন্তব্য করতে পারবে না। ব্লগের পোস্টে আর ব্লগার অথবা লেখক-লেখিকার লেখায় মন্তব্য হলো একরকম চুম্বকের আকর্ষণের মতন। চুম্বক যেমন লোহাকে কাছে টানে, তেমনিভাবে মন্তব্যকারীকে পোস্টদাতা বা লেখক-লেখিকা ভালোবেসে ফেলে। তারপর একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠ ভাব গড়ে উঠে।

ব্লগ পোস্ট:
সাম্প্রতিক কালে অনলাইনে থাকা বেশিরভাগ ব্লগ সাংবাদিকতার একটা মাধ্যম হয়ে উঠেছে। একজন দায়িত্বশীল ব্লগার নিজের এলাকার সাম্প্রতিক ঘটনাসমূহ নিয়ে এক বা একাধিক লেখা ব্লগে আপডেট করেন বা করে থাকেন। অনেক সময় কোন খবরের শিরোনামের উপরও ব্লগার তার মতপোষন করে লিখে ব্লগে পোস্ট করে থাকেন। আবার কেউ কবিতা লিখেন। কেউ ইতিহাস লিখেন। কেউ সাহিত্য নিয়ে লিখেন। কেউ আবার ছোটগল্প ও রম্য লিখে ব্লগে পোস্ট করেন।

শব্দনীড় বাংলা ব্লগ:
তবে আমার মনে হয়, আমাদের এই স্বনামধন্য শব্দনীড় বাংলা ব্লগের জন্মকাল ২০১০ সালের নভেম্বর মাসের ১৭ তারিখ। ব্লগে প্রথম পোস্ট করেছিলেন, সম্মানিত লেখক মুরুব্বী। লেখার শিরোনাম ছিল, “পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল!” পোস্টে মন্তব্য দানকারী ছিলেন, সম্মানিত লেখক মামুন। এপর্যন্ত শব্দনীড় বাংলা ব্লগে পোস্টের সংখ্যা ৭৭৮১টি। সর্বশেষ পোস্টের শিরোনাম, “আমার দেখা ব্লগ ব্লগার ও ফেসবুকে শব্দনীড় ব্লগ পেইজ!”

ব্যক্তিগত:
আমি এই স্বনামধন্য শব্দনীড় ব্লগে নিবন্ধিত হয়েছি, ২০১৮ সালের আগস্ট মাসের ৬ তারিখ। পোস্ট করেছি আগস্ট মাসের ৭ তারিখ। লেখার শিরোনাম ছিল, “আমি রাত জাগা পাখি!” মন্তব্য পড়েছিল ৬+৬=১২টি। আমার নগণ্য লেখনীয় পোস্টে ৫জন সম্মানিত লেখক-লেখিকার করা মন্তব্যের উওর দিয়ে গিয়েই হয়তো এই স্বনামধন্য শব্দনীড় বাংলা ব্লগের মায়াজালে আটকা পড়েছি। মনে হয় আর কখনো শব্দনীড় থেকে আড়াল হতে পারবো না।

আমার চেয়ে আরও হৃদয়বান ব্লগার এই শব্দনীড়ে আরও অনেক আছে। তাঁরা প্রতিদিন নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে শব্দনীড় ব্লগে লিখে যাচ্ছেন, পোস্ট করে যাচ্ছেন। কিন্তু আমি অধম শুধু সময়ের অভাবে এই স্বনামধন্য শব্দনীড় বাংলা ব্লগে নিয়মিত হতে পারছি না। কারণ, আমি একজন খেটে খাওয়া মানুষ, তাই। তবে আমার হাতে থাকা ব্যবহারিক মোবাইল থেকে প্রতিদিন কয়েকবার ব্লগে উঁকি মারি। সবার পোস্ট ফলো করি। সময়ের অভাবে পোস্টে মন্তব্য করতে বা দিতে পারি না। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে দুঃখিত!

ফেসবুকে শব্দনীড় বাংলা ব্লগ:

শব্দনীড় বাংলা ব্লগে আমার লেখা প্রকাশ হওয়ার পর আমি ফেসবুকে নিজ টাইমলাইনে শেয়ার করি। একসময় ফেসবুকের সার্চ বক্সে শব্দনীড় লিখে সার্চ করে শব্দনীড় বাংলা ব্লগ দেখতে পাই! মনে মনে খুবই আনন্দিত হলাম। আনন্দিত হলাম এই কারণে যে, বর্তমানে অনলাইনভিত্তিক নিউজ, ব্লগ সহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটের নিজস্ব পেইজ থাকে। যার কারণ হলো সাইটগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ানো। ফেসবুকে শব্দনীড় বাংলা ব্লগের নিজস্ব পেইজ থাকা মানে ব্লগের পোস্ট বা ব্লগারদের লেখায় পাঠক সংখ্যা বাড়ানোই এর মূল লক্ষ্য।

দুঃখ:
শব্দনীড় ব্লগ টিম ব্লগের সমস্ত পোস্ট অটোমেটিক ফেসবুক পেইজে শেয়ার হচ্ছে। আমরাও শব্দনীড় বাংলা ব্লগে লেখালেখি করছি, পোস্ট করছি, পাঠক সংখ্যার দিজে নজর রাখছি, মন্তব্যের দিকে দৃষ্টি রাখছি আমরা কিন্তু সবাই বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহার করছি। কেউ কেউ নিজের প্রকাশিত পোস্ট ফেসবুক টাইমলাইনে শেয়ার করছে। পোস্টের পাঠক সংখ্যা দিকে তাকিয়ে থাকছে।

অথচ ফেসবুকে থাকা শব্দনীড় বাংলা ব্লগ পেইজের দিকে কেউ একটি নজরও দিচ্ছি না। শব্দনীড় বাংলা ব্লগ ফেসবুক পেইজে থাকা নিজের পোস্টের দিকেও কেউ নজর দিচ্ছে না, লাইক দিচ্ছে না, দুটি শব্দ বিশিষ্ট বাক্য লিখে মন্তব্যও করছে না।

এসব দেখে সবই ভালো লাগে, তবুও দুঃখ শুধু এখানেই থেকে যায়। দুঃখ থাকবে না সেদিন, যেদিন দেখবো ফেসবুকে শব্দনীড় বাংলা ব্লগ পেইজে ব্লগ থেকে শেয়ার হওয়া প্রতিটা পোস্টে সবার লাইক কমেন্ট দেখবো। তখন ব্লগে থাকা পোস্টগুলোর পাঠক সংখ্যাও অনেকাংশে বেড়ে যাবে। ব্লগের সুনামও বাড়বে।
পরিশেষে সবাইকে ধন্যবাদের সাথে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন!

দীলখুশ মিঞার সন্দেশঃ ব্লগিং পর্ব

সকলকে দীলখুশ মিঞার পক্ষ থেকে লাল গোলাপের শুভেচ্ছা।
আজ দীলখুশ মিঞার সন্দেশঃ ব্লগিং পর্ব।

হাই হ্যালো।

আজ আমি আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করতে এসেছি। এ কথাতে কোন ধরনের বিতর্ক নেই যে আমরা যারা ব্লগ লেখি বা পড়ি তারা সকলেই কোন না কোন ভাবে লেখালেখি ভালোবাসি। আমরা আমাদের ব্যাস্ত জীবন থেকে কিছু সময় বের করে এখানে কিছু সময় দেই।

আমি মনে করি একজন লেখকের সফলতা তার পাঠকপ্রিয়তা। এ বিষয়ে বিতর্ক আছে অবশ্যই কিন্তু যারা মনে করেন জনপ্রিয়তা কোন ব্যাপার নয়, আমার লেখা আমি লিখে যাব কেউ পড়ল কি পড়ল না তা দেখার বিষয় আমার নয়, তারা আমার পোষ্টের বাকি অংশটুকু না পড়লেও পারেন। কিন্তু যারা ভাবেন ব্লগ মাধ্যমটি ব্যবহার করে আমি আমার ভাবনার লিখিত রূপকে জনপ্রিয় করে তুলব তারা পড়ে দেখতে পারেন আমার এ লেখাটি। কাজে লাগতে পারে।

শিরোনামঃ

আপনার লেখাটির একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম দিন। মনে রাখতে হবে পাঠক সর্ব প্রথম আপনার লেখার শিরোনাম দেখে আকৃষ্ট হয়। শিরোনামের আকর্ষন হীনতার কারণে অনেক ভালো মানের লেখা পাঠকপ্রিয়তা হতে বঞ্চিত হয়।

শিরোনামের পর আপনার ব্লগে না ঢুকেও যে অংশটুকু দেখা যায় তাকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করুন। এ অংশটুকু শিরোনামের মতই গুরত্বপূর্ণ।

কনটেন্টঃ

সর্বক্ষেত্রেই কনটেন্ট হচ্ছে একটি ব্লগের প্রাণ। আপনি যে বিষয় নিয়েই ব্লগিং করেন না কেন, ব্লগে অবশ্যই সবার থেকে আলাদা এবং ভালমানের কনটেন্ট থাকতে হবে। ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে আমি সবসময় সবাইকে এই বিষয়টির প্রতি অধিক গুরুত্ব দিতে বলি। কোন একটি পোষ্ট লিখার সময় আপনি ঐ লিখাটি সাবার কাছে সুন্দর, সহজ এবং বোধগম্য করে উপস্থাপন করতে পারলে, তখন আপনার লিখাটির প্রতি সবাই আকৃষ্ট হবে। এ ক্ষেত্রে আপনি যে কোন বিষয়ে যুক্তি ও উদাহরণের মাধ্যমে পাঠককে পরিষ্কার ধারনা দিতে পারেন। কারণ পাঠকরা আপানার মত সব বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হবে না। সে ক্ষেত্রে সহজভাবে কোন বিষয় উপস্থাপন করতে পারলে আপনি একজন ভালমানের লেখক হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, লিখার মধ্যে অবশ্যই ভালমানের পরিপাটি করা সুন্দর ও স্মার্ট শব্দ থাকলে বিষয়টি আরো ভাল হয়।

কমেন্টের সঠিক প্রতি উত্তর দেয়াঃ

এ বিষয়টি আপনার ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। পাঠক যখন আপনার পোষ্ট পড়বে তখন পোষ্টের কিছু বিষয় হয়ত ঠিকমত বুঝবে না। এ ক্ষেত্রে তারা চাইবে কমেন্টের মাধ্যমে আপনার নিকট থেকে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জেনে নিতে। আপনি যদি কমেন্টের প্রতি-উত্তর প্রদানের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে কমেন্টকারীকে সহজ ও বোধগম্য করে সন্তুষজনক জবাব দিতে পারেন, তাহলে ঐ পাঠক নিঃসন্দেহে আপনার ব্লগটিকে তার প্রিয় ব্লগের তালিকা রেখে Bookmark করে নেবে।

অন্যের পোষ্টে মন্তব্য করাঃ

প্রথমত অন্যের পোষ্ট পড়ুন এবং অন্যের পোষ্টে চমৎকার উপস্থাপনায় মন্তব্য করুন। ভাল লেগেছে, ভাল হয়েছে এ জাতীয় মন্তব্য না করে সমালোচনামূক মন্তব্য করুন, গঠনমূলক প্রশংসা করুন। ভাববেন না অন্যেকে কঠিকভাষায় সমালোচনা করলে সে আপনার পোষ্টে আসবে না বরং আপনি যদি লেখাটি পড়ে তার কঠিন সমালোচনা করেন তবে মাঝে মাঝে রেগে গেলেও আপনাকে মনে রাখবে এবং আপনার পোস্টে ঢুকবেই।

Social Media Promote করাঃ

বর্তমান সময়ে ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রেও সোসিয়াল মিডিয়াকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। কারন বিভিন্ন সোসিয়াল মিডিয়া ব্যবহারকারীর সংখ্যা এত বেশী যে, আপনার লেখার প্রচার-প্রসার এবং জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে অনেক ভূমিকা পালন করে। বিশেষকরে Facebook এবং Twitter এ আপনার বিভিন্ন পোষ্টের লিংক শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার জনপ্রিয়তা এবং ট্রাফিক দুটিই বৃদ্ধি করতে পারবেন।

অনেক কথা হলো।
ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।

জমে উঠুক আমাদের শব্দনীড়

আমাদের অনেক আবেগ ও ভালবাসার নাম শব্দনীড়। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে শব্দনীড় আবার সচল হয়েছে। জেগে উঠছেন ব্লগাররা। দেখে আনন্দ হয়। আমাদের শব্দনীড়কে জাগিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদেরই। আমাদের পদচারনায় সচল থাকবে শব্দনীড়। পুরনো অনেক ব্লগারর ফিরে এসেছেন। নিয়মিত পোস্ট দিচ্ছেন। টুকটাক মন্তব্যও করছেন। সবার মাথায় ছাতা নিয়ে আগের মতই আছেন আমাদের প্রিয় আজাদ কাশ্মীর জামান ভাই – মুরুব্বী।

বাংলাভাষায় যে ক’টি ব্লগ আছে তাদের সর্বশীর্ষে শব্দনীড়ে অবস্থান না হলেও শীর্ষদের মাঝে অন্যতম। আমার হিসেবে ব্লগার, ভিজিটর ও পাঠকের সংখ্যা বিবেচনায় আমরা প্রথম না হলেও দ্বিতীয় অবস্থানে আছি। বর্তমানে বেশিরভাগ বাংলা ব্লগের অবস্থা নিভু নিভু।

ব্লগ মত প্রকাশের পরীশিলিত মাধ্যম, সহজ মাধ্যম। নিজের মতামত অতি দ্রুত ছড়িয়ে দেয়ায় অনন্য। এই মাধ্যম কাজে লাগানোর কিছু তরিকা আছে। এটা পারস্পরিক মাধ্যম। আমি বলব সবই, কিন্তু কিছুই শুনব না। এই নীতি এখানে অচল। এই জায়গাতেই আমরা পিছিয়ে আছি। আমরা লিখছি খুবই কিন্তু অন্যদের লেখায় যাচ্ছি না। মন্তব্য করছি না। কিন্তু মন্তব্য প্রতি মন্তব্য না আসলে ব্লগ জমে না। ব্লগারদের মাঝে বন্ধুত্ব তৈয়ার হয় না। আমি অনেকের খুব কাছাকাছি আসতে পেরেছি শুধু এই ব্লগের মাধ্যমেই।

দেখা যায় অনেক নতুন ব্লগার আছেন তাঁরাও মন্তব্য করছেন না। হয়ত বা তাঁরা ধরে নিয়েছেন মন্তব্য না করলেই চলে। কিন্তু মন্তব্য না করলে জনপ্রিয় ব্লগার হওয়া যায় না। মন্তব্য কম হওয়ার আরেকটি কারন বোধহয় এটা, শব্দনীড়ে কবিতা আসে বেশি। কবিতায় হয়ত ভাল লাগা মন্দলাগা ছাড়া মত প্রকাশের সুযোগ খুব একটা থাকে না। কিন্তু গদ্যেও দেখি তেমন মন্তব্য নাই।

তাই সকলে মিলে আসুন ব্লগটাকে জাগিয়ে তুলি, আলাপ আলোচনায় জমিয়ে রাখি।

আবার জমবে মেলা শব্দনীড়

শব্দনীড় ব্লগে সাথে জড়িয়ে আছে অনেক দিনের আবেগ। শুধু আমার একার নয় অনেকের। এক সময় অনেক ভাল ভাল ব্লগ লেখক ছিলেন এই ব্লগে সক্রিয়। তাদের নানাধর্মী লেখায় উত্সবমুখর পরিবেশ ছিল এখানে। অনেক সম্ভবনা তৈরি করেও শেষ হয়ে গেছে সেইসব আনন্দমূখর দিন।

ব্লগ চালিয়ে রাখতে যে টাকা পয়সা ব্যয় করতে হয় তার জোগার হচ্ছিল না, তাই ব্লগটি বন্ধ হয়ে পরে। সেই সমস্যা সমাধান হয়েছে। এখানে পুনরায় সক্রিয় হোন। আপনাদের কাছে টাকা পয়সার সাহায্য চেয়ে আর পোষ্ট আসবে না। এ কথা এ কারণে বললাম অনেক ভাল ভাল ব্লগ লেখক কথা প্রসংগে আমাকে জানিয়েছেন যে এখানে সক্রিয় হলেই টাকা পয়সার কথা বলা হয়।

পরিশেষে এই আবেদন করছি আসুন এখানে নিত্য নতুন নতুন কনসেপ্ট নিয়ে এখানে সক্রিয় হই। আর কিভাবে ব্লগটিকে বেগবান আর প্রাণবন্ত করে তোলা যায় সেই বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরি।

ব্লগিং এ আদবকায়দা শালীনতা

how-often-blog-why-blogging-writing-ideas

ব্লগিং এর আদবকায়দা কিংবা শালীনতা :

অনেকের অনেক রকম নেশা থাকে যেমন ছুটির দিনে বা অবসরে বড়শী ফেলে মাছ ধরে, কেউ ফুলের বাগান কিংবা শাকসবজির বাগান করে আবার কেউ খেলাধুলা করে। এই ধরনের নেশাগুলি কিন্তু সবই নেশার মাধ্যমে কিছু প্রাপ্তি বা সহজ কথায় বলা যায় সব কিছুই গঠন মূলক কাজকর্ম। ঠিক তেমনি ব্লগিং কারো কোন পেশা নয় এটা একটা নির্মল নেশা। অহেতুক গালগল্প না করে, অহেতুক আড্ডা না দিয়ে কিংবা অকাজের কোন চিন্তা ভাবনা বা দুশ্চিন্তা না করে যারা ব্লগিং করেন তাদের সালাম জানাচ্ছি এবং সার্বিক শুভকামনা করছি।

ব্লগিং যারা করেন তাদের প্রত্যেকেরই ছোট কিংবা বড় নানা ধরনের স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কোন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নানা ধরনের ডিগ্রি আছে আমরা এটা ধরেই নিতে পারি। কারণ এখানে কেবল হাজিরা দিলেই হয় না এখানে এলে যেকোনো বিষয়েই হোক কিছু না কিছু লিখতে হয় এবং সর্বোপরি একটু কম্পিউটার জ্ঞান থাকতে হয়। কম্পিউটারে শুধু word জানা থাকলেই হয় না সাথে ইন্টারনেট, গ্রাফিক্স বা এমনি অনেক কিছুই জানতে হয়। সেই হিসেবে আমরা ধরেই নিতে পারি তারা প্রত্যেকেই শিক্ষিত ব্যক্তি।

এখানে নিয়মিত বা অনিয়মিত যেভাবেই নিজ উপস্থিতি দিয়ে থাকুন না কেন আপনি কম বা বেশী কোনো পোস্ট দিচ্ছেন। কয়েকদিন ধরে চিন্তা ভাবনা করে অনেক পরিশ্রম করে কিছু লিখছেন আর তা ব্লগে প্রকাশ করছেন এবং সংগত কারণেই আপনার মনে একটা সুপ্ত ইচ্ছা জাগ্রত হয় আমি কেমন লিখলাম সে সম্পর্কে সবাই কি বলছে! অনেকেই এমনি তার মতামত দেন কিংবা অভিনন্দন জানান কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যার পোস্টে মন্তব্য করলেন তিনি সাধারণ ধন্যবাদটুক পর্যন্ত জানাতে কৃপণতা করেন এমনকি তিনি অন্য কারো পোস্ট দেখেনও না বা কোন মন্তব্যও করেন না। এটা আমরা কোন শিক্ষিত ভদ্রজনের কাছে কি এমনটা আশা করি? মোটেই না। তাহলে কেন আপনি শুধু আত্মকেন্দ্রিক হয়ে থাকবেন? অন্যের পোস্টে আপনার মতামত ব্যক্ত করুন নিদেন পক্ষে আপনার পোস্টে করা মন্তব্যের প্রতি উত্তর দিন। এটুক ভদ্রতা কিন্তু আমরা সবাই আশা করতে পারি।

কেউ নিজেকে সবার চেয়ে উত্তম ভাবলে কি একসাথে ব্লগিং করা যায়? যায় না। তবে আমি নিজেও কিন্তু কবিতার পোস্ট দেখি না কারণ কবিতার জটিল কথা বোঝার মত জ্ঞান আমার নেই বা আমি এই ব্লগকে কবিতা সর্বস্ব ব্লগ হিসেবে দেখতেও চাই না। তবে মাঝে মাঝে যে কোথাও যাই না তাও আবার হলফ করে বলা যাবে না। কোথাও কোথাও যাই আবার সাধারণ ভাবে কিছু একটা বলতে হয় তাই বলে আসি কিন্তু পরে যখন দেখি আমার সেই সামান্য মতামতের কোন প্রতি উত্তর নেই তখন মনটা ভেঙ্গে যায়। এমনটা কি আপনার হয় না? নিশ্চয়ই হয়।

কাজেই আসুন না আমরা সবাই সবাইকে নিয়ে শব্দনীড়কে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলি। সবাই সবার কৃত কর্মের প্রতি সম্মান জানাই এবং নিজেও সম্মানিত হই। আমরা কে কি করছি তাই এক জন আর একজনের কাজ দেখব দরকার হলে তাকে পরামর্শ দেব নতুনেরা শিখবে, বন্ধুরা আলোচনা করবে তবেই না জমবে নির্মল নিষ্কলুষ আড্ডা। আমরা সবাই সবার নিকট আত্মীয়ের মত ঘনিষ্ট বন্ধু হই!

শব্দনীড় তুমি ভাল থাক, দিনে দিনে তোমার বৈভব সরা বিশ্বে ছড়িয়ে পরুক এই কামনা করছি আর সেই সাথে আমরা সবাই এই শব্দনীড়ের ছায়াতলে বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত করি এই প্রত্যাশা নিয়ে আজ এখানেই শেষ করছি।

আবার দেখা হবে বন্ধু, হয়ত আগের মত শব্দনীড় আয়োজিত কোন পিকনিক কিংবা কোন জমকালো আড্ডায়। সবাইকে ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।

blogging