এই মেঘ এই রোদ্দুর এর সকল পোস্ট

শীতে ওম বাটে সকালের সূর্য

32

উষ্ণতা বাট‌তে পূর্বাশায় ‌জে‌গে ও‌ঠে সূর্য,
চা‌রি‌দি‌‌কে তখন বে‌জে ও‌‌ঠে মানু‌ষের ব‌্যস্ততার তূর্য;
বারান্দায় রোদ্দুর হুম‌ড়ি খে‌য়ে প‌ড়ে,
উষ্ণতা বিলায় সূর্য আমার ঘ‌রে।

আকাশ জু‌ড়ে কেবল সূর্যটাই একা হে‌ঁটে বেড়ায়,
মেঘ’রা দূর‌দে‌শে হয়‌তো, অন‌্য কোথাও নিরালায়;
বাংলার আকা‌শে শুভ্র মেঘ’রা আর নেই,
অ‌তি উষ্ণতা পালা‌লো আহা দিন কা‌টে আন‌ন্দেই।

এখা‌নে দি‌নের বু‌কে কুয়াশার আবরণ
‌শি‌শি‌রের র্স্পশে ‌দেহম‌নে জা‌গে সুখ শিহরণ;
আকাশ বিবর্ণ তা‌তে কী, হিম হাওয়ার তার বু‌কে উ‌ড়ে
‌দি‌নের গা ঢে‌কে যায় স্বচ্ছ আ‌লোর রোদ্দু‌রে।

আল্লাহর নিয়ামত ভরা এই দু‌নিয়ার বুক
কখ‌নো দুঃখও আ‌সে কখ‌নো বুক ভরা সুখ;
সূ‌র্যের আ‌লোর মতই ঝলম‌লে আ‌লোয় ভরা আজ মন বাগান
এখা‌নে বু‌কের কিনা‌রে সুখ‌ পোকা গায় শা‌ন্তির গান।

কান পে‌তে শু‌নি মানু‌ষের সুর সুরাসুর
যতটুকু সুখ পাই, আলহামদু‌লিল্লাহ ব‌লে কাটাই মোহ ঘোর;
তবুও র‌য়ে যায় বু‌কে অস্ফুট কিছু দুঃখ‌বোধ
দূর্ভাবনা মন উড়‌লেই নি‌ভে যায় সুখ ‌রোদ।

ব‌্যথা উ‌ড়ি‌য়ে নীল আকা‌শের বিবর্ণ মে‌ঘে
‌কোথায় রাখা আ‌ছে সুখ আ‌মি খুজি ‌আ‌গে
‌পে‌য়ে যাই সু‌খে বে‌চে থাকার উপকরণ
‌যেটুকু পাই স্ব‌স্তি দু’হা‌তে ক‌রিয়া লই বরণ।

.
(স‌্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

তু‌মি আকা‌শের মত মন ক‌রো এবার

321

অল্প‌তেই অতু‌ষ্টি ম‌নে, অল্প স্বার্থ দেখ‌লেই দূ‌রে চ‌লে যাও
‌তোমার কারণ শা‌ন্তি আমার উধাও
‌তোমার ম‌নের পথ কাঁটায় ঘেরা
তু‌মি আকা‌শের মত মন ক‌রে নাও।

তু‌মি আকাশ দে‌খো এক‌দিন, এমনই চাই
‌তোমার কারণ মন এ‌লো‌মে‌লো, এক বিন্দু শা‌ন্তি নাই
‌তোমার ম‌নের পথ এব‌ড়ো থেব‌ড়ো,
হাঁট‌তে গে‌লেই হোচট খাই।

তু‌মি আকা‌শের মেঘ দে‌খে এক‌দিন মুগ্ধ হও
আমায় ব‌্যথা দি‌য়ে কী ক‌রে এত শান্ত রও
‌তোমার ম‌নের বাড়ী পাথ‌রে পূর্ণ
এমন তু‌মি কখ‌নো যে আমার নও।

তু‌মি আকা‌‌শে তা‌কি‌য়ে দে‌খো এক‌দিন পা‌খির ওড়াউ‌ড়ি
‌তোমার ঠো‌ঁটের বু‌লি আগুন, নিত‌্যই ‌নির‌বে পু‌ড়ি
‌তোমার মন যেন আ‌গ্নেয়‌গি‌রি
ভা‌লো‌বে‌সেও মন কর‌তে পা‌রি‌নি চু‌রি।

তু‌মি এক‌দিন র‌‌ঙিন ঘু‌ড়ি উড়াও
‌কেন অযথাই বিষা‌দে পুড়াও
‌তোমার ম‌নের অ‌লিগ‌লি‌তে ‌ঝোপঝাড়
এক‌দিন এক‌বেলা না হয় ভা‌লো‌বে‌সে মন আমার সু‌খে জুড়াও।

তু‌মি মে‌ঘের হল্লা দে‌খে, মুগ্ধ হও, হও সুখী
‌তোমার সা‌থে কথা বল‌তে হরপল নি‌তে হয় ঝু‌ঁকি
‌তোমার ম‌নের প‌থ প‌রিচ্ছন্ন ক‌রো, শান্ত হও
ম‌নে কত প্রেম এক‌দিন আমার ম‌নে দি‌য়ে যাও উ‌ঁকি।

(স‌্যামসাং এস নাইন প্লাস, চুনারুঘাট)

একদিন পাখি হয়ে যাই ইচ্ছে

32

পাখির চোখে মর্ত্য দেখি ইচ্ছে, ইচ্ছে ডানা মেলি,
উপর হতে দেখি কেমন করে ফুটে জুঁই বেলি,
ইচ্ছে হয় পাখির ডানায় আকাশ ছুঁয়ে আসি,
মেঘের ভেলায় ইচ্ছে শুয়ে শুয়ে ভাসি।

কী সুন্দর মেঘ, সাদা ডানায় উড়ে বেড়ায় দিনভর,
আহা আকাশ জমি আল্লাহর নিয়ামতে উর্বর,
যদি পাখি হতাম, নিয়ামত ছুঁয়ে আসতাম,
ইচ্ছে করে আল্লাহর দয়ার ভেলায় যদি ভাসতাম।

নীল যেন সাদা শাড়ি পরে ঘুরে বেড়ায় আকাশে,
আর আকাশ যেন ব্যস্ত বুকে তার স্বপ্ন চাষে,
ভালো লাগা আমায় যায় ছুঁয়ে,
কত মুগ্ধতা এসে এবেলা চোখে পড়ে নুয়ে।

আমি পাখি ভেবে উড়ি মেলে ডানা,
কল্প লোকে আজ হারাতে নেই মানা,
পাখির সাথে আজ আড্ডায় দেব যোগ,
আমি আকাশ ভালোবাসি, এ যে মনোরোগ।

ইচ্ছে পাখি হয়ে ঘুরি গাঁয়ের উপর
মাথায় পরে মেঘের টোপর,
গাঁও হতে শহর, শহর পেরিয়ে গাঁয়ে
ইচ্ছে ভেসে বেড়াই হাওয়ার নায়ে।

মেঘ’রা যেমন বেড়ায় উড়ে
পাখিরাও ঘুরে দূর বহুদূরে
আমারও ইচ্ছে পিঠে লাগাই ডানা
ইশ উড়তে যদি আমার না থাকতো মানা।

(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, চুনারুঘাট)

আকাশ ছুঁয়ে আছে বিজয়ের পতাকা

320

আকাশ ছুঁয়ে বিজয়ের পতাকা উড়ে, হাসে বিজয় কন্যা দেশ
চারিদিকে সুর কলরোল বইছে সুখের আবেশ
আকাশে কুয়াশায় বিজয়ের সবুজ লাল আছে ছড়িয়ে,
টুপটাপ শিশিরের শব্দে বিজয়ের হাসি পড়ছে ঐ গড়িয়ে।

আকাশ জানে বিজয়ের জন্য লড়ে যাওয়া মানুষের গল্প
এই প্রজন্ম ভেবো না রক্তের বিনিময়ে কেনা দেশ নয় কথা কল্প;
রক্তে ভিজেছিলো ঘাস লতা পাতা,
তবেই না খুলতে পেরেছি আমরা বিজয়ের খাতা।

লাল সবুজ পতাকা এমনি এমনি যাই নি পেয়ে,
লক্ষ শহীদের রক্তে কেনা দেশে তাই পারছি যেতে আনন্দের গান গেয়ে
এখানে পরাধীনতা ছিল, এই আকাশ ছিল পাকদের দখলে,
আমরা লড়েছি আবাল বৃদ্ধ বনিতা একসাথে সকলে।

আজ বিজয়ের সুরে মিলাতে পারছি সুর
যদি মিলিত সুর বিজয়ে না উঠতো ঠোঁটে, বিজয় থাকতো বহুদূর
বেয়োনেটের খোঁচায় কত বাঙালী মিশেছিলো ধুলায়
তাদের প্রাণের বিনিময়েই বিজয় এলো আপন কুলায়।

কত শত মা বোনের ইজ্জত হারিয়েছে সে শুধু আকাশ জানে
একটাই লক্ষ্য ছিল বিজয় আর বিজয়, ভয় উধাও বীরেদের প্রাণে,
কত কষ্ট উপেক্ষায় ওরা বীরেরা লড়েছিল পাকিদের সাথে
তাদের কারণ বিজয় আজ আমাদের হাতে।

বিজয়ের গান গাই, হেরে গলা ছেড়ে,
আমরা বীর বাঙালী বিজয় এনেছি আকাশ হতে পেড়ে,
স্বাধীনতার স্বাদ ঠোঁটে, প্রাণে আছে দেশের মাটির ঘ্রাণ মিশে
আমরা বাঙালী চাই না হারাতে আর দিশে।

(স্যামসাং এস নাইন প্লাস,ঢাকা)

এই শুনছো?

31160

আহা কী যে সুন্দর আকাশটা আজ
নীলের তাকে তাকে কেবল মেঘেদের ভাঁজ,
চলো দেখে আসি আকাশ, দূরে যাই কোথাও,
এবেলা যন্ত্র শহর হতে হয়ে যাই উধাও।

কী ঝলমলে রোদ্দুর, হেমন্ত দুয়ারে নাড়ছে কড়া
রোদ্দুর আলোও নয় এত কড়া
চলো না আকাশ ছুঁয়ে আসি, হেঁটে যাই বহুদূর,
চলো গায়ে লাগাই হেমন্ত রোদ্দুর।

রোদ্দুর ছলনাময়ী জ্বলে ঐ নিভে যায়,
আমার পরানে কে যেন মিহি সুরের বাজনা বাজায়
ছাদের বাড়ীতে কই আকাশ, দেখি না যে মেঘ,
অনুভব করো প্লিজ মনের আবেগ।

মনের সুতো ছিঁড়ে গেলো
মন টিকে না ঘরে, মন যে এলোমেলো,
বন্দিত্ব আর কত বল, একঘেঁয়েমিতে ধরেছে আজ
চলো বেরোই চুলোয় যাক সাংসারিক কাজ।

কিছু মুগ্ধতা জমাবো চোখে
রেখো না আর ইচ্ছেদের রুখে,
আকাশের মেঘগুলো ওড়ছে চোখের সম্মুখে,
উচ্ছাসের ঢেউ বন্ধু বইছে বুকে।

আকাশের নীলে চলো ছড়িয়ে রাখি সুখ,
নিঃশ্বাসে শুদ্ধ অক্সিজেনে ভরি বুক
তুমি না যাও যদি, একেলা যাবো বাইরে পা বাড়িয়ে
আমি না হয় আজ যাই সুখেই হারিয়ে।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, পীঁরেরগাঁও মিয়াবাড়ী চুনারুঘাট)

আকাশে আজ তুলা মেঘ

312

শরত এসেছে মনের দুয়ারে, মন উঁকি মারে আকাশে,
আহা সাদা সাদা মেঘ দেখি ওড়ে নীলের পাশে,
কী সুন্দর মেঘেদের ডানা, তাদের সাদা পালক,
এই তুমি অবসর আছো? আমার সঙ্গে আকাশ দেখবে বালক?

বালক তোমার ছেঁড়া পালক, মেঘের ডানায় ওড়ো,
বলছি তোমায় এসো, মেঘ দেখি…আমার সঙ্গে ঘুরো;
কাশফুল ছুঁয়ে আসি অথবা খোলা মাঠে বসি
মনের খাতায় চলো বসে ভালোবাসার অঙ্ক কষি।

আজ আকাশটা স্বচ্ছ আলো নিয়ে আমাদের অপেক্ষায় আছে,
তুমি বালক ওড়ে এসো আমার কাছে,
ডানা মেলা দিনগুলো ওড়িয়ে দেই হাওয়ায়,
কত সুখ এসে বসেছে আজ মনের দাওয়ায়।

ও উদাসী, কী করছো এখন, বসে আছো একাকি?
এই যে আলসেমীতে সময় দিচ্ছে ফাঁকি
এসো খোলা আকাশের নিচে, বেড়াই হেঁটে,
কী লাভ বিগত দুঃখগুলো বসে বসে ঘেঁটে।

আমার মন উতলা আজ, রোদ্দুর আলো চোখের কোণে
তুমি ছাড়া কী করে যাই মনে স্বপ্ন বোনে,
মেঘ মন আমার, আবেগে ভরপুর,
সঙ্গী হও আজ, চলো আপন করি শরতের দুপুর।

আকাশে পাখিদের ডানা মেলা দিন
কেটে গেছে অনায়াসে মনের দুর্দিন
তুমি থাকলে পাশে লাগতো ভালো আরও
এসো মনের রঙ করে নেই প্রেমের রঙে গাঢ়।

(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, পীঁরেরগাঁও মিয়াবাড়ী চুনারুঘাট)

আকাশে আর মেঘ নেই

318

তাতে কী মেঘ নেই, সীমাহীন নীলে ছাওয়া আকাশ
এমনিতেই আকাশ সুন্দর নাই বা হলো মেঘেদের বসবাস;
মেঘগুলো ওড়ে আসুক সে’ও চাই,
বন্ধ চোখে আমি শরতকেই খুঁজে পাই।

শরত যদি থাকতো জড়িয়ে আকাশ বারোমাস
বিবর্ণ রঙের হতো বুঝি সর্বনাশ;
না থাকুক হেমন্তের আকাশে মেঘেদের আস্ফালন
আমি বারোমাস শরতই করি মনে লালন।

মুঠোফোনে সাজিয়ে রেখেছি অজস্র শরত
আমি তালা খুলে চোখ রাখি দেখি মেঘেদের পরত
কী মুগ্ধতা এনে দেয় মেঘগুলো,
মেঘগুলো দৌঁড়ায় উড়িয়ে হেমন্তের ধুলো।

সোনা রঙ রোদ হেমন্তের দোরে নাড়ে কড়া,
হিম খামে শীতের চিঠি নিয়ে আসলো ঐ ঋতু হরকরা;
মিহি আমেজে ভরা দিনগুলো ভালো কাটে,
শিশিরের বিন্দু ঝলমলায় সবুজ ঘাসের মাঠে।

আকাশজুড়ে ভোরের রক্তিম আলো
ঠান্ডা হাওয়ায় সকালটা কাটে ভালো;
রোদ্দুর গায়ে মেখে বারান্দায় দাঁড়ালেই কী সুখ
আকাশজুড়ে মুগ্ধতার রঙ আহা চোখের সম্মুখ।

হেমন্ত শুভ্র মেঘ দূরে ঠেলে দিয়ে আকাশ করে দেয় ফিকে;
এই বিবর্ণতার মূল্যে যেন মানুষের আরাম বিকে
আরাম গায়ে নিয়ে কেটে যাবে হেমন্ত
গায়ে যেতে মন চায়, এবেলা মানে না এ মনতো।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, পীঁরেরগাঁও, চুনারুঘাট )

চোখে যদি ঘুম থাকে এসো

311

তোমার চোখে ঘুম, রাত বাজে আট মাত্র,
তুমি কী এখনি হয়ে যাবে স্বপ্নপুরির ছাত্র?
নাকি টিভি চ্যানেলে রাখবে চোখ,
ঘুম যাক টুটে, তাকিয়ে দেখো চা তোমার সম্মুখ।

চায়ের জলে ঘুম ডুবিয়ে মারো;
জীবনের রঙ করে বন্ধু গাঢ়,
অযথাই সমগুলো ঘুমিয়ে করো না নষ্ট
দেশের খবরে রাখো চোখ চা হাতে নিয়ে….
ঘুম ভাগাও, মুছে যাক কষ্ট।

এই যে আমি একাকি কাজ করে যাচ্ছি একে একে
মায়া হয় না তোমার? এসব দেখে?
চা’টাও তো করে দিতে পারো তৈরী;
মনের আবহাওয়া করে দাও বৈরী।

এই নাও কড়া লিকারের চা
চোখে যে তোমার ঘুমে খোঁচা;
দুঃসহ সময়টুকু হয়ে যাক পার
ঘুম ভাঙাতে চায়ের মহিমা অপার।

আমাকে এবার সাহায্য করো কাজে
আমার সময় যাচ্ছে বাজে
চা খেয়ে দুজন লেগে পড়ি কাজে দুজন
বন্ধু আমি সখি তুমি হয়ে যাও সুজন।

এত হম্বিতম্বি দেখিয়ো না আমায়
কিছু নেকি তুলো আমলনামায়
চায়ে চুমুক দাও, ঘুমটারে করো গুঁড়ো
বয়স তো কুড়ি নয় আমরা দুজনই বুড়ো।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

গোধূলির আলোয় মন হারিয়ে যায়

31437

গোলগাল পৃথিবীর আকাশটাও গোল,
নীল সাদা লাল মেঘ সেথা বাঁধায় গণ্ডগোল,
সাদা মেঘ সন্ধ্যায় লাল হয়ে যায়,
আকাশটাও তার বুক রঙে সাজায়।

সবুজের বুকে জ্বলে ওঠে লাল,
পশ্চিমের সূর্য কী গোলগাল,
গোধূলির রঙ এসে হেসে ওঠে ফিক,
জলের উপর লাল রোদ করে ঝিকমিক।

মিহি হাওয়া বয়ে যায় ক্ষেতের বুকে,
ধানের পাতার ঢেউ দোলে যে সুখে,
বিকেলের বুকে বসে সুখ কুড়াই,
কার্তিকের হাওয়ায় মনটা জুড়াই।

নীড়ে ফেরা পাখি’রা নীলে ওড়ে ঘুরে,
সূর্য ঐ যায় চলে মাঠ ছেড়ে দূরে,
ভালো লাগার আবেশে ভরে যায় মন,
গোধূলি লগনে করে আহা সুখ আহরণ।

সময়ের চাকাটা খুব দ্রুত ঘুরে,
দিনের আলোর বিদায়ী বাঁশিটা বাজে করুণ সুরে,
চলে যাবে দিন রাতের বাড়ী,
আলোর পিছনে রাত টেনে দেয় দাঁড়ি।

লাল রঙ হবে কালো রাতের টানে,
আমিও যাব ফিরে নীড়ে মমতার টানে,
সুখগুলো জমা রাখি বুকের কোণে,
রোমন্থন করবো একদিন স্মৃতির রিংটোনে!

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, পীঁরেরগাঁও মিয়াবাড়ি চুনারুঘাট)

এই দেখো আলো ফোটা ভোর

317

দেখ তাকিয়ে সূর্য কুয়াশার আড়ালে, হেমন্ত কী দ্বারে?
শীতের সুর বাজছে প্রকৃতির তারে,
আমায় নিয়ে যাবে গ্রাম আকাশের নিচে?
এই শহরে হেমন্তের সুখ, ষোল আনা মিছে।

আকাশে শুভ্র মেঘ নেই, মনে নেই আনন্দ,
শরত চলে যায়, বাজে না বুকে সুর ছন্দ,
বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছি, দাঁড়াবে পাসে এসে?
দেখে যাও আকাশ যাচ্ছে কেমন বিবর্ণতায় ভেসে।

হিম হাওয়া বইছে, থিরথির কাঁপছে পাতা,
আজ ছন্দ শূন্য আমার কবিতার খাতা,
মনের সুর হারাচ্ছি, জানি না কী জন্য,
এই সবুজ এই স্নিগ্ধতা, ক’দিন বাদের ধুঁধু অরণ্য।

কান পেতে শুনো, আমার বুকের দীর্ঘশ্বাস,
চাই না বিবর্ণতায় ছেয়ে যাক মনের আকাশ,
হেমন্তও চাই, চাই না আকাশে বিবর্ণ রঙ মেঘ,
চাই তুমি স্পর্শ করো আমার আবেগ।

কত শত দুর্ভাবনার বেড়াজারে আটকে আছি,
রোদ ঐ খেলছে দেখো ছায়ার সাথে কানামাছি,
আকাশের মেঘগুলো নিমেষেই হলো কোথায় উধাও,
তুমি যেন মন আকাশ ছেড়ে চলে যাও অন্য কোথাও।

সীমাহীন আকাশজুড়ে কুয়াশার ধুয়াশা,
চোখ মেলে নতুন ভোর দেখে মনে রাখি সুখাশা;
এসো কাছে আকাশে তাকাও এবেলা,
দেখে যাও আকাশে বসেছে কুয়াশাদের মেলা।

(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

চুমুকেই প্রশান্তি

3172

হেমন্তের রোদ এসে বারান্দা নিয়েছে দখল,
শীত নেই অল্প, উষ্ণতায় সময় আমার ভরপুর
ছুটির ফুরফুরে অবসর, নেই কাজের তাড়া,
উষ্ণতা ঠোঁট ছুঁয়ে, প্রশান্তি নেমে আসে মনে এক সমুদ্দুর।

অবসরের বুকে বসে ভাবনার বুকে নেই ঠাঁই
কি চেয়েছিলাম, পেলাম কী!
যা পেলাম সেতো অবহেলার বোয়ামেই তুলে রাখি
খুলে দেখার সাধ্যি নেই আমার,
ফুরফুরে বেলায়ও মন হলো বিমর্ষ।

চোখের জল শুকিয়ে যায়, চোখের জ্বালা রয়ে যায়
মনে কষ্টের ঘা থেকে যায় অনন্তকাল,
আমি এবেলা চুপ কথাদের ভিড়ে হারিয়েছি,
উষ্ণ জল ঢেলে দেই ইচ্ছে মনের গহীনে।

পুড়েছি যখন আরও না হয় পুড়ে হব ছাই,
আমার কোন অভিযোগ নেই
অথচ সময়কেই করি হরপল দোষী সাব্যস্ত,
সময় কেন আমার ফেললো এনে তুচ্ছতার ডাস্টবিনে।

রোদ পোহাই দেহে পাই আরাম
আর মন যে পুড়লো, কেউ করলো শীতল হিম কথায়,
অভিমানের দুয়ারে তালা দিয়ে বসে থাকি একেলা,
চায়ের কাপটাই ভাবনার সাথী আমার দিবারাতি।

মনের নাজুক পরিস্থিতি, সামলে নেই মহুর্মুহু,
এখানে সব দিয়েও তুষ্টি এনে দিতে পারি না কাউকে
সব দিয়েও নিজেকে শেষে খুঁজে পাই
অবহেলা সমুদ্দুরে কাটছি সাঁতার।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস৷ ঢাকা)

কী এক অন্ধকার মন পাড়াতে

সময় ফুরিয়ে গেলেও কী মনের ইচ্ছেগুলো যায় ফুরিয়ে,
দেহের রঙ বিবর্ণ হতে পারে মনে রঙ যায় না বুড়িয়ে;
মনের আকূতি কেউ শুনতে পায় না, বুড়ো বয়সে মন যার
কেউ আর বাসে না ভালো তখন, মন করে উজার।

অবহেলা পেতে পেতে কেউ অনন্ত যাত্রায় বাড়াতে চায় পা;
মনের ঘরে কত বড় বিষাদের ঢেউ তা যায় না মাপা,
একাকিত্বের বুকে সঁপে দিয়ে বুড়োদের, অন্যান্য’রা সুখ কুঁড়ায়,
সময়ের বুক হতে কিছু মোহ নির্যাস কুঁড়িয়ে মন জুড়ায়।

একদা সময় তাদেরও আসবে, সে কথা বেমালুম ভুলে
কেউ কেউ নিজের আমলনামায় একাকিত্ব রাখে তুলে;
বয়স বাড়লেই পরিবারের খাতায় সে পুরোনো জরাজীর্ণ পাতা,
কেউ খুলে না আলগোছে, দয়া মায়ায় আহ্লাদে তার জীবন পাতা।

দুঃসহ জীবন যেন যার যার, বিতৃষ্ণার ঢেউ অন্যান্যদের চোখে মুখে;
ওরাও ভাবে না একদিন অশীতিপর দাঁড়াতে এসে সম্মুখে,
বুড়োদের মনের ইচ্ছের খবরগুলো অজান্তেই রুমের ছাদে যায় মিশে,
একটা জরাজীর্ণ সময়ের বুকে কেউ কেউ হারান দিশে।

নিজের মত করে আর যায় না ধরা সময়, কী এক অন্ধকারে থাকে ছাওয়া;
তুমি যা করেছো বিগত জীবনে, তাইতো ভবিষ্যতে হবে তোমার পাওয়া;
খোঁজ নাওনি বুড়ো বাবার, অথবা মা’য়ের, নিয়েছিলে খোঁজ?
অবহেলা অবজ্ঞায় পার করেছো সময় রোজ রোজ।

বয়স তো ফুরাবেই এবং মৃত্যু অমোঘ সত্য
তুমিও হতে পারো বুড়োদের আনন্দ সুখে থাকার পথ্য,
কেউ সেবায় মন রাখো, কেউ রাখো অবহেলা,
যে যার মত ভবিতব্যে ভাসাবে স্বয়ংক্রিয়তার সুখ অথবা বিষাদের ভেলা।

ঠোঁটে তালা মেরে আর কতদিন

316

তালো খুলো, চায়ের কাপ ছোঁয়াও এবার ঠোঁটে
এমন চুপচাপ নিরবতা ভালো নয় মোটে,
কথা বলো অনর্গল
ছেটে ফেলো মন বাগানের দ্বিধার ঝোপঝাড় জঙ্গল!

ভোরের আকাশে কুয়াশা ওড়ছে
দেখো কিচিরমিচির পাখিরা গাইছে ঘুরছে,
লালাভার ছায়াতলে বসে চা খাবে?
আশাকরি চুপ থাকার স্বভাব বদলাবে!

সময় গুলো হলো না তোমার আমার,
দু’জনার মনে যেন হিংসের খামার,
কেন যে এত তিক্ত মেজাজ তোমার, তুমি বিষণ্ণ হরদম
স্বার্থ ছাড়া বুঝি ফেলো না এক কদম।

মনের অর্গল খুলো এসো পাশে, চা খেতে পারো,
জীবনের রঙ করে নিতে পারো সুখে গাঢ়,
কী এক অহম পুষো,
ভাগ্যকে না দোষে আমাকেই দোষো!

কবে যে মেঘের মত মন তোমার হবে,
কবে যে খই ফোটা কথা ক’বে
কবে বলবে, চলো চা নিয়ে বসি কোথাও,
কবে হবে আমায় নিয়ে দূরে উধাও?

কত গল্প মনে জমা, পারছি না সমাপ্তি টানতে,
মনের খবর চাওনি কখনো জানতে!
এবার ধরো, চায়ে চুমুক দিয়ে মনের তৃপ্তি ফিরিয়ে আনো,
এবার ভালোবেসে আমায় কাছে টানো।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

আমাদেরও দেখা হবে

আমাদের দেখা হওয়ার কথা ছিল, আসোনি শেষ পর্যন্ত,
আহা আমাদের সময়গুলো ছিল কতই না প্রাণোবন্ত
তুমিই দিয়েছিলে ফিরিয়ে, ভুলে যাওয়া দিগন্তে প্রেম গিয়েছে ফিরে,
আমাদের আর দেখা হবে না ভাবছো তাই, দুঃস্বপ্ন আছে ঘিরে।

আমাদের সময়গুলো থেমে আছে সেই অতীত প্রেম কাব্যে,
এই তুমি কী সেই জীবন নিয়ে আরেকবার ভাববে?
সেই বৃষ্টি ভেজা ক্ষণ, সেই উচ্ছাস ভরা চিরকুট,
ভাবো ফের, ভালোবাসার সেই সম্পর্ক ছিল কতই না অটুট।

একদিন মন ফিরিয়ে নিলে, ঘুরলে বাস্তবতার ঘূর্ণিপাকে,
আমরা শুধু কিছু অতীত সুখ জমিয়েছি মনের তাকে,
আজ এখানে দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বসে আছি দুজন,
প্রেম পাখি ডাকে না আর কুহু কুজন।

আমাদের সুখগুলো ওড়ে গিয়ে বসলো যেন অচেনাপুরী,
এই দেহ অশীতিপুর মন যে এখনো কুড়ি,
চলো বৃষ্টিতে ভেজার পরিকল্পনা মনে আঁটি,
চলো বসি মুখোমুখি, পাশাপাশি হাঁটি,
আমাদের পা ছুঁয়ে দিক এবেলার বৃষ্টি ভেজা মাটি।

আঙ্গুলের ফাঁক গলে সু সময় হারিয়েছে, দুর্ভাবনায় টানো ইতি
যতটুকু শ্বাস ততটুকু আশ, চলো সময়ের সাথে বাড়াই সম্প্রীতি,
সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব দূরে ঠেলে সম্মুখে আগাই, ভিজি বৃষ্টির জলে,
কিছু উত্তপ্ত প্রেমালাপ মন হতে পড়ুক গলে গলে।

দেখা হোক আমাদের আবার, সেই বয়সী বটবৃক্ষের ছায়ায়,
মন বেঁধে নেই ভালোবাসার মায়ায়,
সময় নেই সময় নেই এ ধারণা ভুল, সময় এখনো আছে আমাদের হাতে,
আমরা ফাগুন দিনে ফিরে যাই আবার…..মন রাঙাই বসন্তের আভাতে।

দুঃখ তো আস‌বেই

পাহাড় সম কষ্ট এ‌সে ও‌ড়ে বস‌তে পা‌রে ম‌নের দাওয়ায়,
কিছু বিষাদ আস‌তে পা‌রে বৈরী হাওয়ায়
কষ্টগু‌লো সাম‌য়িক ভে‌বে উ‌ড়ি‌য়ে দি‌তে হয়
মন‌কে শান্ত না রাখ‌লে সময় হ‌য়ে যা‌বে লৌহময়।

কখ‌নো কা‌রো অব‌হেলা,
বস‌তে পা‌রে ম‌নের মা‌ঠে বিরহ মেলা,
হেলার ভেলা হ‌তে পা স‌রি‌য়ে নি‌তে হয় ত্বরা
নই‌লে মন জ‌মি‌নে দে‌বে দেখা বা‌রোমা‌সি খরা।

কথা দি‌য়ে কেউ হয়‌তো রাখ‌বে না কথা,
কেউ না জে‌নে দি‌য়ে দি‌তে পা‌রে ম‌নে অযা‌চিত ব‌্যথা,
নাই বা রাখ‌লো কথা, নি‌জে‌কে রাখ‌তে হয় স্বচ্ছ,
মন প‌রিচ্ছন্ন রাখ‌লেই ত‌বে সম্মু‌খে দেখা যা‌বে সুখা‌লোর গুচ্ছ।

কখ‌নো কা‌জের ভার এ‌সে নু‌য়ে পড়‌তে পা‌রে কা‌ঁধে,
অথবা কেউ ফে‌লে দি‌তে পা‌রে দুর্নামের ফা‌ঁদে,
‌নি‌জে‌কে রে‌খে ভা‌লো ধৈর্য ধ‌রে স‌য়ে নি‌তে হয় সব
নই‌লে বু‌কের গহী‌নে বাড়‌বে বিষা‌দের কলরব।

কখ‌নো অপ্রা‌প্তির খরা বু‌কে, প্রত‌্যাশার মু‌খে প‌ড়ে যে‌তে পা‌রে ছাই,
কেউ দি‌তে পা‌রে অবলীলায় ঘৃণা‌তেই ঠাঁই,
মন‌কে বু‌ঝা‌তে হয়, এ ‌তোমার জন‌্য নয়, যা হয় প্রভু তার মা‌ঝে রা‌খেন মঙ্গল;
তোমা‌র নিজ প্রচেষ্টায় পার হ‌তে হ‌বে ঘৃণার জঙ্গল।

কখ‌নো অসুস্থতায় হ‌তে পা‌রো কাতর
কখ‌নো অ‌ধি‌ক শো‌কে পাথর,
সাম‌য়িক দুঃখ দুর্দশা হ‌তে পা‌রে সু‌খের সাংঘ‌র্ষিক,
সময় হ‌তে পা‌রে তোমার জন‌্য ‌‌বের‌সিক,
জো‌রে নিঃশ্বাস টে‌নে সব কষ্ট বিরহ বিষণ্ণতা পিছ‌নে ঠে‌লে
‌তোমা‌কে উড়‌তে হ‌বে ধৈ‌র্যের আকা‌শে ডানা মে‌লে।