বিভাগের আর্কাইভঃ অন্যান্য

অর্ঘ উৎসর্গীত তোমার নামে

15621757_143808_n

তুমি বা তোমার স্বত্তা সে দিনেই মারা গেছে
যে দিন ভাদ্রমাসি কুকুরের মত কুঁই কুঁই করে
নির্লজ্জ প্রথায় ধর্না দিয়েছ প্রাক্তন প্রেমিকের কাছে।
বিধ্বস্ত চিত্তে যেখান থেকে তোমাকে প্রথম উদ্ধার করি-
পোড়া বাড়ীর পিছে
জং ধরা পরিত্যক্ত গাড়ীতে
আজো পড়ে আছে তোমার ছেঁড়া শাড়ী, ভাঙ্গা চুড়ি!

আলো আঁধারির ছায়া জুড়ে আজো লেপ্টে আছে
তোমার কুজো শরীর! যেমন টি তোমাকে আবিস্কার করেছিলাম
বেদনা লুব্ধ হামগুড়ি থেকে শিরদাড় সোজা করে দাঁড়ানোর জন্য-
ভাবিনি-
ভাবিনি তুমি পূনর্বার পেতে চাইবে ডমুর ফুলের স্বাদ!
বারংবার হোঁচট খাওয়া অলীক অহংকারে ডুবে যাবে,
হতে চাইবে ফের বিনগ্ন সহবতের জৈববাদী উন্মাদ !

শঙ্খধ্বনির পবিত্র আহ্বানে
সমুদ্র তটের নিস্পাপ বাতাসে বুক ভরা নিশ্বাস নিতে নিতে
আত্মিক পদাবলীর যে কবিতা নির্মিত হয়েছিলো-
তুমি জানতে সেই অর্ঘ উৎসর্গীত তোমার নামে;
অথচ একবার ও কাঁপলোনা সেই হাত, যে হাতে
শিশির প্রাতে
ভেজা ঘাস ফুলের আমূল বিশ্বাস ভেঙ্গে চূর্ণ করতে!

আমি বরাবরই নিভৃতচারী মানুষ!
কর্তৃত্ব কিংবা বাহাবা পাবার তাড়না আমাকে কোনদিন স্পর্শ করেনি।
ক্ষুধামত্ত শকুনের মত তোমাকে খামচে ধরে রাখার চিন্তা ছিলোনা কভু!
বড় জোর হতে চেয়েছি- মদিরাক্ষী বিচরনে জোছনা রাতের সহচর
পূর্ণীমা মোহনে প্রভু ভক্তি কবিতা অথবা গানে
চাইলে সৃষ্টি হতো অবিশ্রান্তির যুগলনৃত্য!
তোমাকে পাবার বা হারাবার মাঝে অমর হতে পারতো এই টুকু সত্য।।

বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা – ৪

বাংলাদেশে ৫৪ প্রজাতির উদ্ভিদ আছে যাদের ইচ্ছাকৃতভাবে উঠানো, উপড়ানো, ধ্বংস বা সংগ্রহ করা নিষিদ্ধ। আপনি যদি তাদে ইচ্ছাকৃতভাবে উঠান, উপড়ান, ধ্বংস বা সংগ্রহ করেন তাহলে আপনার ১ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারেন। এই একই অপরাধ যদি আপনি দ্বিতীয়বার করে তাহলে আপনার এই দণ্ড দ্বিগুণ হবে। এই ৫৪ প্রজাতির গাছগুলিকে বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদ বলা হয়

৫টি পর্বে এই ৫৪টি গাছ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। এবার দেখেন চতুর্থ পর্বের ১০টি গাছের কতটিকে আপনি চিনেন।

৩১ : পুদিনা

ছবি – নেট

৩২ : প্রশান্ত আমুর

ছবি – নেট

৩৩ : পশুর
eeroAE0h
ছবি – নেট

৩৪ : বইলাম

ছবি – নেট

৩৫ : বালবোফাইলাম

ছবি – নেট

৩৬ : বাঁশপাতা

ছবি – নিজ

৩৭ : বাসন্তীরঙা ডেনড্রোবিয়াম

ছবি – নেট

৩৮ : বিশালপত্রী ডেনড্রোবিয়াম

ছবি – নেট

৩৯ : বেসক ডেনড্রোবিয়াম

ছবি – নেট

৪০ : বড় ভেন্ডপসিস

ছবি – নেট

সম্পূর্ণ তালিকা
১ : অনন্তমূল
২ : উদাল
৩ : উদয়পদ্ম
৪ : উরি আম
৫ : উর্বশী
৬ : কাঁটালাল বাটনা
৭ : কামদেব
৮ : কির্পা
৯ : কুঁচ
১০ : কোথ
১১ : কুম্ভি
১২ : কুর্চি
১৩ : কর্পূর
১৪ : কুসুম বা জায়না
১৫ : খাসি পিচার প্লান্ট
১৬ : খলশী
১৭ : গয়া অশ্বথ
১৮ : গলগল
১৯ : চুন্দুল
২০ : জইন
২১ : জহুরী চাঁপা
২২ : টালি
২৩ : ডুথি
২৪ : তালিপাম
২৫ : তেজবহুল
২৬ : তমাল
২৭ : ত্রিকোণী বট
২৮ : ধুপ
২৯ : নীল রাস্না
৩০ : পাদাউক
৩১ : পুদিনা
৩২ : প্রশান্ত আমুর
৩৩ : পশুর
৩৪ : বইলাম
৩৫ : বালবোফাইলাম
৩৬ : বাঁশপাতা
৩৭ : বাসন্তীরঙা ডেনড্রোবিয়াম
৩৮ : বিশালপত্রী ডেনড্রোবিয়াম
৩৯ : বেসক ডেনড্রোবিয়াম
৪০ : বড় ভেন্ডপসিস
৪১ : বুদ্ধনারকেল
৪২ : বর্মি মইলাম
৪৩ : মনিরাজ
৪৪ : মহা ডেনড্রোবিয়াম
৪৫ : রিটা
৪৬ : রেড ভান্ডা
৪৭ : লেডিস স্লিপার
৪৮ : লতা বট
৪৯ : সিংড়া
৫০ : সিভিট
৫১ : সিম্বিডিয়াম অ্যালোয়ফোলিয়াম
৫২ : সমুন্দরফল
৫৩ : হাড়জোড়া
৫৪ : হরিনা

সূত্র : বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২

বিজয়ের জন্য

ওহে বাঙালি
তোমরা বুঝি বোঝো না
পাওয়ার মূলমন্ত্র
কিছু পেতে হলে কিছু দিতে।

শুধু বিজয় আসবে বলে
সারা বাংলা পাকরা করেছে তোলপাড়
তার জন্য বাঙালিকে সহ্য করতে হয়েছে
শাসন নামক পৈশাচিক নির্যাতন
দিতে হয়েছে এক সাগর রক্ত
কোল খালি হয়েছে মায়ের শত শত
হরণ করছে ওরা অসহায় মা ও বোনের ইজ্জত
শুধু বিজয় আসবে বলে
সন্তানের লাশ কাঁধে তুলে দাঁড়িয়ে আছে শোকাহত বাবা
ধ্বংস লীলায় মেতে ছিলেন পাকরা
বুক পেতে দিয়েছে বাঙলার সাহসী নির্ভীক ছেলেরা
শুধু মাতৃভূমি রক্ষার জন্য
শুধু বিজয় আসবে বলে
লুণ্ঠিত ছকিনা বিবি প্রহর গুনছে তোমার জন্য
দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বাঙালি
পেয়েছে স্বাধীনতা
বিজয় উল্লাসে আজকে সমবেত বাঙালি
হাসি গাইছে প্রাণ খুলে
আজ বাঙালির সকল আশা ভরসা ফিরে পেয়েছে।

রচনাকালঃ
১৩/১২/২০২০

বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা – ৩

বাংলাদেশে ৫৪ প্রজাতির উদ্ভিদ আছে যাদের ইচ্ছাকৃতভাবে উঠানো, উপড়ানো, ধ্বংস বা সংগ্রহ করা নিষিদ্ধ। আপনি যদি তাদে ইচ্ছাকৃতভাবে উঠান, উপড়ান, ধ্বংস বা সংগ্রহ করেন তাহলে আপনার ১ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারেন। এই একই অপরাধ যদি আপনি দ্বিতীয়বার করে তাহলে আপনার এই দণ্ড দ্বিগুণ হবে। এই ৫৪ প্রজাতির গাছগুলিকে বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদ বলা হয়

৫টি পর্বে এই ৫৪টি গাছ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। এবার দেখেন তৃতীয় পর্বের ১০টি গাছের কতটিকে আপনি চিনেন।

২১ : জহুরী চাঁপা
1nzSJRLh
ছবি – নেট

২২ : টালি

ছবি – নেট

২৩ : ডুথি

ছবি – নেট

২৪ : তালিপাম

ছবি – নিজ

২৫ : তেজবহুল

ছবি – নেট

২৬ : তমাল

ছবি – নিজ

২৭ : ত্রিকোণী বট

ছবি – নেট

২৮ : ধুপ

ছবি – নিজ

২৯ : নীল রাস্না

ছবি – নেট

৩০ : পাদাউক

ছবি – নেট

সম্পূর্ণ তালিকা
১ : অনন্তমূল
২ : উদাল
৩ : উদয়পদ্ম
৪ : উরি আম
৫ : উর্বশী
৬ : কাঁটালাল বাটনা
৭ : কামদেব
৮ : কির্পা
৯ : কুঁচ
১০ : কোথ
১১ : কুম্ভি
১২ : কুর্চি
১৩ : কর্পূর
১৪ : কুসুম বা জায়না
১৫ : খাসি পিচার প্লান্ট
১৬ : খলশী
১৭ : গয়া অশ্বথ
১৮ : গলগল
১৯ : চুন্দুল
২০ : জইন
২১ : জহুরী চাঁপা
২২ : টালি
২৩ : ডুথি
২৪ : তালিপাম
২৫ : তেজবহুল
২৬ : তমাল
২৭ : ত্রিকোণী বট
২৮ : ধুপ
২৯ : নীল রাস্না
৩০ : পাদাউক
৩১ : পুদিনা
৩২ : প্রশান্ত আমুর
৩৩ : পশুর
৩৪ : বইলাম
৩৫ : বালবোফাইলাম
৩৬ : বাঁশপাতা
৩৭ : বাসন্তীরঙা ডেনড্রোবিয়াম
৩৮ : বিশালপত্রী ডেনড্রোবিয়াম
৩৯ : বেসক ডেনড্রোবিয়াম
৪০ : বড় ভেন্ডপসিস
৪১ : বুদ্ধনারকেল
৪২ : বর্মি মইলাম
৪৩ : মনিরাজ
৪৪ : মহা ডেনড্রোবিয়াম
৪৫ : রিটা
৪৬ : রেড ভান্ডা
৪৭ : লেডিস স্লিপার
৪৮ : লতা বট
৪৯ : সিংড়া
৫০ : সিভিট
৫১ : সিম্বিডিয়াম অ্যালোয়ফোলিয়াম
৫২ : সমুন্দরফল
৫৩ : হাড়জোড়া
৫৪ : হরিনা

সূত্র : বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২

বিজয়

বিজয়

ইস্পাতের চিল উড়ে গেল ছুঁই-ছুঁই, তালগাছটার ঠিক উপর দিয়ে
দু’টা চক্কর দিয়ে দক্ষিণ থেকে উত্তরে ছুটে গেল দানব আওয়াজ ছড়িয়ে
এবং বদলে গেল দৃশ্যপট-
উঠানে বিছানো ধান-খাওয়া মগ্ন কাক কা কা রবে উড়ে গেল এলোপাথাড়ি
লড়াইরত বিড়াল দু’টি ছুটে গেল পাশাপাশি একই নিরুদ্দেশে
এবং গরু, বাছুর, ছাগল আর মানুষের পাল দিকভ্রান্ত ছোটাছুটি
শুরু করল অত্যাসন্ন রক্তপ্লাবন আশঙ্কায়-

এবং রেল লাইন, কালভার্ট, সেনাক্যাম্প পরিণত হলো ধ্বংসস্তুপে
এবং দুই দশকব্যাপী ক্ষমতার স্বাদে অভ্যস্ত, গত নয় মাসে দুর্দান্ত ক্ষমতাধর
ফাইজুদ্দি হাজি মুখ থুবরে পড়ে রইল বড় রাস্তার পাশের বটগাছের তলায়
এবং অনিয়মিত বাহিনীর ভালোবাসা-ঘৃণা-উল্লাস-উত্তাপে
পিছু হঁটা পিশাচ আত্মসমার্পণের জন্য খুঁজে ফিরল নিয়মিত বাহিনী
এবং তখনো আমি দৃশ্যপটে আসিনি
আমার আগমনের পূর্ণ প্রস্তুতি তখনো সম্পন্ন হয়নি
আমি তখনো মায়ের দেহের সাথে একীভূত।

ভাষাগত সংঘাতে জমাটবাঁধা রক্ত থেকে আমার সূচনা
আত্মস্বীকৃতির অভিপ্রায়ে মাংসপিন্ডে রূপান্তর
‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতা সংগ্রাম’
‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’
এবং অসমাপ্ত প্রস্তুতিপর্ব
এবং প্রসববেদনা

আমি রক্তাক্ত বেরিয়ে আসি মায়ের জড়ায়ু ছেড়ে।

বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা – ২

বাংলাদেশে ৫৪ প্রজাতির উদ্ভিদ আছে যাদের ইচ্ছাকৃতভাবে উঠানো, উপড়ানো, ধ্বংস বা সংগ্রহ করা নিষিদ্ধ। আপনি যদি তাদে ইচ্ছাকৃতভাবে উঠান, উপড়ান, ধ্বংস বা সংগ্রহ করেন তাহলে আপনার ১ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারেন। এই একই অপরাধ যদি আপনি দ্বিতীয়বার করে তাহলে আপনার এই দণ্ড দ্বিগুণ হবে। এই ৫৪ প্রজাতির গাছগুলিকে বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদ বলা হয়

৫টি পর্বে এই ৫৪টি গাছ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। এবার দেখেন দ্বিতীয় পর্বের ১০টি গাছের কতটিকে আপনি চিনেন।

১১ : কুম্ভি

ছবি – নিজ

১২ : কুর্চি

ছবি – নেট

১৩ : কর্পূর

ছবি – নিজ

১৪ : কুসুম বা জায়না

ছবি – নিজ

১৫ : খাসি পিচার প্লান্ট

ছবি – নেট

১৬ : খলশী

ছবি – নেট

১৭ : গয়া অশ্বথ

ছবি – নেট

১৮ : গলগল

ছবি – নেট

১৯ : চুন্দুল

ছবি – নেট

২০ : জইন

ছবি – নেট

সম্পূর্ণ তালিকা
১ : অনন্তমূল
২ : উদাল
৩ : উদয়পদ্ম
৪ : উরি আম
৫ : উর্বশী
৬ : কাঁটালাল বাটনা
৭ : কামদেব
৮ : কির্পা
৯ : কুঁচ
১০ : কোথ
১১ : কুম্ভি
১২ : কুর্চি
১৩ : কর্পূর
১৪ : কুসুম বা জায়না
১৫ : খাসি পিচার প্লান্ট
১৬ : খলশী
১৭ : গয়া অশ্বথ
১৮ : গলগল
১৯ : চুন্দুল
২০ : জইন
২১ : জহুরী চাঁপা
২২ : টালি
২৩ : ডুথি
২৪ : তালিপাম
২৫ : তেজবহুল
২৬ : তমাল
২৭ : ত্রিকোণী বট
২৮ : ধুপ
২৯ : নীল রাস্না
৩০ : পাদাউক
৩১ : পুদিনা
৩২ : প্রশান্ত আমুর
৩৩ : পশুর
৩৪ : বইলাম
৩৫ : বালবোফাইলাম
৩৬ : বাঁশপাতা
৩৭ : বাসন্তীরঙা ডেনড্রোবিয়াম
৩৮ : বিশালপত্রী ডেনড্রোবিয়াম
৩৯ : বেসক ডেনড্রোবিয়াম
৪০ : বড় ভেন্ডপসিস
৪১ : বুদ্ধনারকেল
৪২ : বর্মি মইলাম
৪৩ : মনিরাজ
৪৪ : মহা ডেনড্রোবিয়াম
৪৫ : রিটা
৪৬ : রেড ভান্ডা
৪৭ : লেডিস স্লিপার
৪৮ : লতা বট
৪৯ : সিংড়া
৫০ : সিভিট
৫১ : সিম্বিডিয়াম অ্যালোয়ফোলিয়াম
৫২ : সমুন্দরফল
৫৩ : হাড়জোড়া
৫৪ : হরিনা

সূত্র : বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২

KB-01- 00 - Copy

কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া ও কনকচূড়া বিতর্ক

আমাদের অনেকেই কৃষ্ণচূড়া ও রাধাচূড়া ফুল দুটিকে গুলিয়ে ফেলেন। আবার কেউ কেউ মনে করেন –
যে কৃষ্ণচূড়া ফুলের রং লাল সেটির নাম কৃষ্ণচূড়া“, আর
যে কৃষ্ণচূড়া ফুলের রং হলুদ সেটির নাম রাধাচূড়া“।
আবার অনেকে কনকচূড়াকে মনে করেন রাধাচূড়া
যদিও কনকচূড়া দেখতে রাধাচূড়া বা কৃষ্ণচূড়া কোনটার মতই নয়। আসলে তিনটি ফুলই আলাদা আলাদা ফুল।

কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নামDelonix regia
রাধাচূড়ার বৈজ্ঞানিক নামCaesalpinia pulcherrima
কনকচূড়ার বৈজ্ঞানিক নামPeltophorum pterocarpum
কৃষ্ণচূড়া চেনার উপায় :

কৃষ্ণচূড়া গাছ সবাই চেনে, নতুন করে চেনানোর কিছু নেই। শুধু যেখানে ভুল হয় সেটা হচ্ছে ফুলের রং দেখে তাকে কৃষ্ণচূড়া থেকে রাধাচূড়ায় ঠেলে দিয়ে। এখানে মনে রাখতে হবে ফুলের রং লাল, কমলা, হলুদ যাই হোকনা কেন সেটি কৃষ্ণচূড়াই এবং কৃষ্ণচূড়া একটি বৃক্ষ জাতীয় বড় উদ্ভিদ। কৃষ্ণচূড়ার ফুলের মঞ্জুরি অনেকটা থোকার মত হয় এবং ফুলের আকার বেশ বড়।

রাধাচূড়া চেনার উপায় :

রাধাচূড়াকে ছোট কৃষ্ণচূড়াও বলা হয়। কৃষ্ণচূড়া গাছের ছোট সংস্করণ বলা চলে রাধাচূড়া গাছকে। কৃষ্ণচূড়ার মতো রাধাচূড়ার ফুলের রং লাল, কমলা, হলুদ হয়, তবে রাধাচূড়া একটি ছোট উদ্ভিদ। ঢাকার সড়ক ডিভাইডারে একে প্রচুর দেখা যায়। রাধাচূড়ার ফুলের মঞ্জুরি অনেকটা পেগোডার মত উপরের দিকে উঠে যায়। ফুলের আকার কৃষ্ণচূড়ার চেয়ে ছোট।

কনকচূড়া চেনার উপায় :

কনকচূড়ার গাছ কৃষ্ণচূড়ার মতোই একটি বৃক্ষ জাতীয় বড় উদ্ভিদ। কনকচূড়া ফুলের রং হলুদ। ডালের আগায় কয়েকটি আলাদা আলাদা ফুলের মঞ্জুরি ঊর্ধ্বমুখী হয়ে বের হয়। ফুলের কলি গুলি থাকে গোলগোল। মঞ্জুরি নিচ থেকে ফুলফোটা শুরু হয়। এই ফুল দেখতে কৃষ্ণচূড়া বা রাধাচূড়ার মতো হয় না।

এক সাথে ৩টি ফুলেরই ছবি দেয়া হল। চেনার জন্য।

উপরের দুটি ছবি কৃষ্ণচূড়ার, মাঝে দুটি ছবি রাধাচূড়ার। নিচের দুটি ছবি কনকচূড়ার। প্রতিটি ফুলের ছবি আমার নিজের তোলা।

সুন্দরীর নারীবেলা

শীত কাল।
ঘন কুয়শায় চলমান দৃশ্যাবলী দূরে অদৃশ্য
চরাচরে নেমে আসে মৃত্যুর আগমনী সংকেত
আমার মন বড় আনচান করে ওঠে
কবিতারা দূরে চলে যায় হৃদয় থেকে-
অনেক গল্প এসে কিলবিল করতে থাকে
মাথার ভিতরে।

সে অনেক দিন আগের কথা।

গ্রীক পুরানের মৃত্যু আর অন্ধকারের দেবতা হেডস
প্রেমে পরল!
কি না করল সে!
এই পৃথিবীর অনুরূপ আর একটি
পৃথিবী সৃষ্টি করল, সবকিছু একই রকম,
শুধু তৃণভূমি তলদেশে
একটা বিছানা রেখে দিল।

অন্ধকার রাজ্যে এনে জুড়ে দিল সূর্যের আলো
এই অপরূপ সুন্দরী আলোর জগত থেকে
গহীন অন্ধকারে তীব্রতা সহ্য করতে পারবে না
সে ভাবল-

অতঃপর নড়ে ওঠা পাতাদের ছায়া দিয়ে
ঢেকে দিল সারা পৃথিবী। শুধু চাঁদ তারা।
এরপর না চাঁদ- না তারা। যেন সুন্দরী আস্তে আস্তে
অন্ধকার সহ্য করে নিতে পারে।

পৃথিবীর অনুরূপ হলো ঠিকই
কিন্তু ভালোবাসা ফুটে উঠলো না।
অথচ সবাইতো ভালোবাসা চায়!
বহু বছর অপেক্ষা করলো সে
একটি পৃথিবী গড়তে, জল জঙ্গলে
সুন্দরীকে পর্যবেক্ষনে রাখলো।
সুন্দরী, গন্ধ খুজে, খাবার চায়
সে ভাবল তবে গন্ধ দূরে থাক, ক্ষুধা দূরে যাক।

রাতে প্রেমময় শরীর চায় প্রত্যেকে
শুনতে চায় গাঢ় নিশ্বাস আর গোঙ্গানি
একজন অন্যজনের গহীন গভীরে চলে যেতে চায়-
মৃত্যু আর অন্ধকারের দেবতা
তার পৃথিবীর অনুরূপে এসব গড়তে থাকল।
স্বাদ আর খাবারের কথা বেমালুম ভুলে গেল!
অপরাধবোধ? দ্বন্ধ? পাশবিকতা ?
এসব বিষয় সে কল্পনা করতে পারল না;
কোন গভীর প্রেমিক এসব নিয়ে ভাববার অবসর পায় না।

পৃথবীর অনুরূপ সৃষ্টির পর
একে কি নামে ডাকা যায়?
প্রথমে সে ভাবল, এটার নাম হোক নতুন নরক,
তারপর: বাগান
অবশেষে সে এর নাম দিল: সুন্দরীর নারীবেলা।

একটা মৃদুমন্দ আলো তৃণভূমিতে রাখা
বিছানার উপর এসে পড়ল।
সুন্দরীকে বাহুবন্ধী করে রাখল সে।
বলতে চাইল, আমি ভালোবাসি তোমায়,
কেউ তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না

কিন্তু মৃত্যু আর অন্ধকারের দেবতা বুঝে গেল-
মিথ্যা। এখানে প্রত্যেকে ক্ষতিতে ডুবন্ত,
ভালোবাসা কাউকে ভাসিয়ে রাখতে পারে না।
সে বলল,
বরং লড়তে লড়তে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়
তখন কোন কিছুই তোমার ক্ষতি করতে পারবে না।
এই বরং অধিক প্রশংসনীয়-
মৃত্যু জগতের শুরু, অধিকতর সত্য।

শীত কাল।
ঘন কুয়শায় চলমান দৃশ্যাবলী দূরে অদৃশ্য
চরাচরে নেমে আসে মৃত্যুর আগমনী সংকেত
আমার মন বড় আনচান করে ওঠে
কবিতারা দূরে চলে যায় হৃদয় থেকে-
অনেক গল্প এসে কিলবিল করতে থাকে
মাথার ভিতরে।

ফড়িং সিনেমা এবং আমার ছবি দেখার অভিজ্ঞতা

এই কোরবানির ঈদে ছুটি একেবারেই নেই। নেই বললে ভুল হবে ছিলই না। যারা সরকারি চাকরি করেন তারা ভালো বুঝেছেন নিশ্চয়। প্রথমত, ঈদ পড়েছে সরকারি ছুটির দিন শনিবার। মাঝে রবিবার ছুটি, সোম থেকে আবার শুরু অফিস, আদালতের দাপ্তরিক সকল ব্যস্ততা। এই যে, আমি দু-এক লাইন লেখতে বসেছি এটার মূল কারণ কিন্তু ঈদের ছুটি নিয়ে নয়। আসল কারণ হল এই ঈদে আমি কি করেছি বা কি দেখেছি মূলত সেটা। ভাবছিলাম আমাদের বাংলা সিনেমায় যার একছত্র আধিপত্য। সেই নায়ক রাজ রাজ্জাকের অভিনীত সেরা কিছু সিনেমা দেখে এইবারকার ঈদ কাটাবো। যেই ভাবা সেই কাজ।

শুরু হল রংবাজ দিয়ে আর শেষ হল ছুটির ঘণ্টা দিয়ে। কিন্তু শেষ হয়েও যে হল না শেষ। এই শেষ না হওয়ার কারণ কিন্তু নায়ক রাজ রাজ্জাক নয়। ইউটুবে কোন সিনেমা সার্চ দিলে প্রাসঙ্গিক আরও কিছু সিনেমার লিস্ট দেখা যায়। চোখ ঘুরতে ঘুরতে আটকে গেল ভারতীয় একটি সিনেমার দিকে। ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরীর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ফড়িঙের পোষ্টার। অভিনয় করেছেন ছবিটির মূল চরিত্রে চৌদ্দ বছরের এক বালক যার নাম আকাশ অধিকারী। অভিনেত্রী সহনী সরকার, অভিনেতা শঙ্কর দেবনাথ। ছবির শুরুতে দেখা যায় এক স্বল্পবসনা শিক্ষিকা ক্লাসরুমে। ফড়িং একা তার সামনে। শিক্ষিকা জানায় ফড়িং পরীক্ষায় সব বিষয়ে ফেল করেছে। শিক্ষিকা ফড়িংকে ডাকে কাছে আয়। ফড়িঙের দৃষ্টিতে শিক্ষিকার উন্মুক্ত শরীর। ঘুম ভেঙ্গে যায় ফড়িঙের। প্যান্টের ভিতরে হাত দিয়ে টের পায় যে তার স্বপ্নদোষ হয়েছে। ছুটে যায় বাথরুমে। এক চৌদ্দ বছরের কিশোরের বয়ঃসন্ধিকালের নানা ঘটনা এবং কিশোরের স্কুল শিক্ষিকার সাথে সম্পর্ককে ঘিরে আবদ্ধ হয়েছে এই কাহিনীচিত্রের। যদিও কেউ কেউ এটিকে যৌনতা বলে চালিয়ে দেবার চেষ্টা চালিয়েছেন। আমি এখানে অবশ্য যৌনতার কোন বালাই দেখিনি। যদিও কিশোর মনে ছেলেটি শিক্ষিকাকে ঘিরে যৌনতার কিছু দৃশ্য দেখা যায় যার একটিতে দেখা যায় সে তার শিক্ষিকার বাথরুমে গিয়ে শিক্ষিকার প্যানটি এবং সে ঘ্রাণ নেওয়ার চেষ্টা করে। আবার একটিতে দেখা যায় সে শিক্ষিকাকে কল্পনার কামুক চোখে দেখে হস্ত মৈথুন করে।

কিশোর মনের কৌতূহল, শিক্ষিকার উদার মানসিকতার মধ্যে দিয়ে ছাত্রকে গড়ে তোলার এক অনুপম চিত্র হিসেবেই দেখতে চাই আমি। কিশোর আকাশ অধিকারী ক্লাস পরীক্ষায় দুটো বিষয়ে ফেল করেছে। এতে খেপেছে তার বাবা। তার সহপাঠী, শিক্ষকরা নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখেছেন এই ফেল করাকে। আর সেই শিক্ষিকা দেখেছেন যে পাশের মধ্যে বাহাদুরি নেই ফেল করা ছাত্রের মাঝেও লুকিয়ে থাকে অন্য এক ছাত্র। যে ন্যাশনাল জিওগ্রাফী, ডিসকভারি, এনিমেল প্ল্যানেট দেখে জীবজগৎ থেকে বা এই বিচিত্র পৃথিবীর অনেক কিছু জানা যায়। যা অন্য অনেক ছাত্র জানে না। কারণ তারা শুধু পাঠ্য বইয়ে নিজেদের সীমাবদ্ধ করে রাখে। ধীরে ধীরে শিক্ষিকার সাথে গড়ে ওঠে মধুর এক সম্পর্ক। যা কিশোর মনকে সঙ্গত কারণেই নাড়া দিয়ে যায়। শত কৌতূহল। শত প্রশ্ন, হাজারো চিন্তা ঘুরপাক খায় কিশোরের মনে। কিশোরের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষিকা একটি মোবাইল গিফট করে ছেলেটাকে। ঘটনার সূত্রপাত মূলত এখান থেকেই । মোবাইল হাতে পেয়ে সে একের পর এক ছবি তুলতে থাকে শিক্ষিকার। সেই সাথে শিক্ষিকার অগোচরে করে ভিডিও।যেখানে দেখা যায় কোকাকোলা খেয়ে শিক্ষিকা ঘরের মাঝে আপন মনে নেচে চলছে। এই ভিডিও কিশোরের অগোচরে লুকিয়ে দেখে ফেলে তার এক সহপাঠী যার নাম লাড্ডু। সেখান থেকে সে মোবাইল কৌশলে নিজের মোবাইল নিয়ে নেয়। এভাবেই এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে অতঃপর স্কুল, পারা প্রতিবেশী অবিভাবক, থেকে এক কান দুকান অতঃপর ছড়িয়ে পড়ে অপবাদ। চাকরি যায় শিক্ষিকার। ছাত্রকে স্কুল ছাড়তে দেওয়া হয় কতিপয় শর্ত। এরই মাঝে সেই শিক্ষিকার বন্ধুর লুকিয়ে রাখা কিছু অবৈধ অস্ত্র, সরঞ্জাম দেখে ফেলে সেই লাড্ডু আর কিশোর অভিনেতা আকাশ অধিকারী। এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় সেই শিক্ষিকা আর তার বন্ধু অভিনেতা শঙ্কর দেবনাথ। পুলিশ এসে উদ্ধার করে অবৈধ অস্ত্র। ছাত্রটি খোঁজতে থাকে তার শিক্ষিকাকে। যার কাছে সে পেয়েছে মায়াময় স্নেহ আর অগাধ ভালোবাসা। সেই অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা আবার প্রচারিত হয় সংবাদ চ্যানেল। যেখানে শিক্ষিকাকেও বলা হয় যে স্মাগ্লার। অথচ সেই শিক্ষিকা এর কিছুই জানত না। ছেলেটি শিক্ষিকার সন্ধানে একলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরে। ছুটে যায় কোলকাতায়। এখানে সেখানে ঘুরে ফেরে। কাজ নেয় এক হোটেলে। চলতে থাকে অমানসিক সংগ্রাম। কাজের ফাঁকে ফাঁকে খোঁজতে থাকে তার প্রিয় শিক্ষিকাকে।

একদিন সেই হোটেলের মালিক খবরের কাগজ পড়তে থাকে পত্রিকার পাতায় চোখ আটকে যায় কিশোরের। জানতে পারে সেই শিক্ষিকা আর তার বন্ধু আটক হয়েছে কোলকাতার পুলিশ তাদের আদালতে তুলবে। কিশোরটি ছুটে যায় আদালত প্রাঙ্গণে। দেখে প্রিয় শিক্ষিকার সেই চিরচেনা মুখ। যাকে সে হন্য হয়ে খোঁজে চলছে অবিরাম। চলছে বেঁচে থাকার জীবন সংগ্রাম। ছুটে যায় পুলিশের কাছে আবদার করে তার সাথে সাক্ষাৎ করিয়ে দিতে। অনেক চেষ্টার পরে সে সফলকাম হয়। সাক্ষাৎ হয় দুজনের, কথা হয়। অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে শিক্ষিকা। একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকে। কিভাবে সে এখানে, কেন, বাবা-মাকে ছেড়ে এসেছে কেন। সুবোধ বালক সব প্রশ্নের উত্তর দেয় তার স্বাভাবিক ভঙ্গীতে। শিক্ষিকার জন্য নিয়ে আসে টিস্যু। যা সে দিতে চায় শিক্ষিকাকে কিন্তু জেলে তা নেওয়া যাবে না বলে প্রথমে সে ফেরত দিতে চায় কিন্তু ছেলেটি একটি টিস্যু মুড়িয়ে জেলের রডের ছিদ্র দিয়ে দিয়ে দেয়। শিক্ষিকা প্রশান্ত মনে মুছে চলে চোখ মুখ। এবং কিশোরকে বলে গ্রামে ফেরত যেতে অঙ্গিকার করে যে প্রতিনিয়ত সে চিঠি লিখে সে জানাবে তার অবস্থা এবং সে নিজেও চিঠি পাবে বলে আশা করে ছেলেটির কাছে। ছেলে যথারীতি ফিরে যায় গ্রামে। সেই স্কুল বন্ধু লাড্ডু। বাবা মা, বাজারের দোকানদার পাড়া প্রতিবেশী সবাই খুশি হয় ছেলেটি ফেরত আসায়।

শেষ হয় সিনেমা। থেকে যায় পরিচালকের এক অনুপম হাতের কাহিনীচিত্র। দুটি প্রাণের সরল সম্পর্কের মাঝে সামাজিকতার সকল দেয়াল হয়ে উঠে অবান্তর। বাস্তবতার দারুণ চিত্র এঁকেছেন অভিনেতা,অভিনেত্রীসহ সকল কলাকুশলী। যা আমার দেখা এই পর্যন্ত সেরা ছবি।

(চলবে)

বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা – ১

বাংলাদেশে ৫৪ প্রজাতির উদ্ভিদ আছে যাদের ইচ্ছাকৃতভাবে উঠানো, উপড়ানো, ধ্বংস বা সংগ্রহ করা নিষিদ্ধ। আপনি যদি তাদে ইচ্ছাকৃতভাবে উঠান, উপড়ান, ধ্বংস বা সংগ্রহ করেন তাহলে আপনার ১ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারেন। এই একই অপরাধ যদি আপনি দ্বিতীয়বার করে তাহলে আপনার এই দণ্ড দ্বিগুণ হবে। এই ৫৪ প্রজাতির গাছগুলিকে বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদ বলা হয়

৫টি পর্বে এই ৫৪টি গাছ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। এবার দেখেন প্রথম পর্বের ১০টি গাছের কতটিকে আপনি চিনেন।

১ : অনন্তমূল

ছবি – নেট

২ : উদাল
R8tb6slh
ছবি – নিজ

৩ : উদয়পদ্ম

ছবি – নেট

৪ : উরি আম

ছবি – নেট

৫ : উর্বশী

ছবি – নিজ

৬ : কাঁটালাল বাটনা

ছবি – নেট

৭ : কামদেব

ছবি – নিজ

৮ : কির্পা

ছবি – নেট

৯ : কুঁচ

ছবি – নেট

১০ : কোথ

ছবি – নেট

সম্পূর্ণ তালিকা
১ : অনন্তমূল
২ : উদাল
৩ : উদয়পদ্ম
৪ : উরি আম
৫ : উর্বশী
৬ : কাঁটালাল বাটনা
৭ : কামদেব
৮ : কির্পা
৯ : কুঁচ
১০ : কোথ
১১ : কুম্ভি
১২ : কুর্চি
১৩ : কর্পূর
১৪ : কুসুম বা জায়না
১৫ : খাসি পিচার প্লান্ট
১৬ : খলশী
১৭ : গয়া অশ্বথ
১৮ : গলগল
১৯ : চুন্দুল
২০ : জইন
২১ : জহুরী চাঁপা
২২ : টালি
২৩ : ডুথি
২৪ : তালিপাম
২৫ : তেজবহুল
২৬ : তমাল
২৭ : ত্রিকোণী বট
২৮ : ধুপ
২৯ : নীল রাস্না
৩০ : পাদাউক
৩১ : পুদিনা
৩২ : প্রশান্ত আমুর
৩৩ : পশুর
৩৪ : বইলাম
৩৫ : বালবোফাইলাম
৩৬ : বাঁশপাতা
৩৭ : বাসন্তীরঙা ডেনড্রোবিয়াম
৩৮ : বিশালপত্রী ডেনড্রোবিয়াম
৩৯ : বেসক ডেনড্রোবিয়াম
৪০ : বড় ভেন্ডপসিস
৪১ : বুদ্ধনারকেল
৪২ : বর্মি মইলাম
৪৩ : মনিরাজ
৪৪ : মহা ডেনড্রোবিয়াম
৪৫ : রিটা
৪৬ : রেড ভান্ডা
৪৭ : লেডিস স্লিপার
৪৮ : লতা বট
৪৯ : সিংড়া
৫০ : সিভিট
৫১ : সিম্বিডিয়াম অ্যালোয়ফোলিয়াম
৫২ : সমুন্দরফল
৫৩ : হাড়জোড়া
৫৪ : হরিনা

সূত্র : বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২

কালী কালী মহাকালী…… কালরাত্রি দেবী চণ্ডিকা দেবী মহাকালী আগমনী স্তুতি (দ্বিতীয় পর্ব )

কালী কালী মহাকালী…… কালরাত্রি দেবী চণ্ডিকা
দেবী মহাকালী আগমনী স্তুতি (দ্বিতীয় পর্ব )

স্তুতিপাঠ ও কলমে লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

images

(শংখধ্বনি ও ঢাকের বাদ্য সহ কাঁসর-ঘন্টাধ্বনি)

(গীত)

ঔঁ জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রকালী কপালিনী
দুর্গা শিবা ক্ষমা ধাত্রী স্বাহা স্বধা নমোহস্তুতে।
ঔঁ কালী কালী মহা কালী কালিকে পাপনাশিনী
সুধা তমক্ষরে দেবী কালিকায়ৈ নমোহস্তুতে।

স্তুতিপাঠ

দেবী আসছেন! বেজে ওঠে মহাশঙ্খ।
ঢাকের শব্দে, কাঁসরের ঝংকারে
আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হয়।
চতুর্ভূজা মা কালী দেবীচণ্ডিকার আবির্ভাবে
তাঁর আগমনী বন্দনা গীতিতে
বিশ্ববাসীর কণ্ঠে ধ্বনিত হয়।

“কোথা তুমি শঙ্খ চক্র খড়্গ মহাস্ত্রধারিণী
কালী কপালিনী মা ছিন্নমস্তা!
তুমি ওঠো তুমি জাগো।
তুমি নেমে এসো ধরার বুকে পুনর্বার।
বাজাও তোমার প্রণববিষাণ মহাহুঙ্কারে,
মিলে যাক, মিশে যাক!
অধর্মের আছে যত ব্যভিচার।
সৃষ্টি হোক নতুন এক ধর্ম, নতুন এক যুগ।
জাগো জাগো মা!
তুমি না জাগলে সন্তানকূল ঘুমিয়ে পড়বে।
সন্তানকে অভয় দাও মা আদ্যাশক্তি মহামায়া”।

তুমি শক্তি, তুমি ভক্তি!
তুমি কলাকাষ্ঠা, কালরূপে অবস্থিতা,
তোমার পূণ্য স্তবগাথায় দিকে দিকে
ধ্বনিত হোক মঙ্গলশঙ্খ, জ্বলে উঠুক
মঙ্গল দীপ, প্রজ্বলিত হুতাশনের
দেদীপ্যমান কিরণে ধরণীর কোণে কোণে
ঘনঘোর তমসা বিদুরিত হোক।
ধরণী হোক প্রাণময়ী। হে মা কল্যাণময়ী!
তোমার আগমনে সারা বিশ্বচরাচরে
বিশ্ববাসীর স্বীয় কল্যাণে বিশ্ববাসী
গেয়ে উঠুক–

তারা তুমি, তুমি মা কালী,
তুমি দুর্গা মহামায়া।
তুমি শক্তি, তুমি মা ভক্তি
তুমি কালরূপী ছায়া।

প্রণাম মন্ত্র:
কালী কালী মহাকালী কালিকে কালরাত্রিকে।
ধর্ম কাম প্রদে দেবী নারায়ণী নমোহস্তুতে।।

মুখোমুখি- দীর্ঘ ছড়া

মুখেমুখে রটে কথা, খই ফোটে মুখে,
মুখ খুলে জীবনটা কাটে কারো দুখে।
কথা ঝেড়ে মুখ মেরে মুখ টিপে হাসে,
মুখ দেখে সুখ, কেউ মুখে ভালবাসে।

মুখে মেখে চুনকালি মুখ বুজে থাকে ,
মুখ উজ্জ্বল করে কেউ মুখ রাখে।
মুখ পুড়ে যায় কারো, মুখে পড়ে আলো,
মুখ ঝামটাতে কারো মুখ হয় কালো।

মুখটা খারাপ ভারি হয়ে থাকে কারো,
ভয়েতে শুকায় মুখ, হয় মুখ ভারও।
মুখ সামলিয়ে কথা বলা ভাল নাকি,
মুখেতে আগুন দিতে কেউ আছে বাকি!

বড় মুখ করে কথা বলে কেউ শেষে,
লজ্জায় মুখ ঢেকে মরে কেশেটেশে।
মুখের মতন দিয়ে জবাবটা পরে,
মুখ চুন করে কারো যেতে হয় ঘরে।

মুখটা ফসকে কথা বের হয়ে গেলে,
মুখ তুলে চাওয়া দায় হয় অবহেলে।
মুখ থুবড়িয়ে পড়ে, মুখ কারো চলে ,
মুখে ফুল চন্দন পড়ে- লোকে বলে।

বুক ফাটে তবু কারো মুখ তো না ফোটে,
মুখে মধু ঝরে কারো মুখে ছাই জোটে।
কত মুখ চেয়ে থাকে এক মুখপানে,
দশমুখ ভরা সোজা নয়- লোকে মানে।

থোঁতামুখ ভোঁতা হলে মুখে রা না করে,
বিপদের মুখে পড়ে কেউ কেঁদে মরে।
অভিমানে মুখ ফোলে, রাগে মুখ লাল ও-
মুখে দেয় থুথু, কারো চাঁদমুখ ভালো।

মারমুখো হয়, কেউ ক্লুপ আঁটে মুখে,
পোড়ামুখী বাসিমুখে হাসি দেয় সুখে।
সম্মুখে কম মুখই- মুখোশ তো বেশি,
মুখটা ঘুরিয়ে নেয় কেউ শেষমেশই।

মুখে ভাত দিতে কেউ মুখোমুখি বসে,
মুখ চাওয়াচায়ি করে, কেউ মুখ ঘষে।
মুখ চুরি করে ছড়া লিখে থোড়াথোড়া,
এই ছড়াকার শেষে হলো মুখচোরা।

রাধা কৃষ্ণের বিলাস………………..

9ACB1BF6-1803-45EC-937C-A837CDF1BC57

রাধা কৃষ্ণের বিলাস…………….

এক বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলাম,
তুমি এসে পথরোধ করে দাঁড়ালে,
দু’হাত বাড়িয়ে দিয়ে উন্মুক্ত করে দিলে তোমার প্রশস্ত বুকের জমিন,
আমি সকল অভিমান ভুলে গিয়ে তোমার বুকে প্রবেশ করলাম,
তখন বৃষ্টিতে ভিজে গেছে তোমার শার্ট, তোমার বুক
এবং তুমি আমি দুজনেই,
গভীর আলিঙ্গনে তুমি জড়িয়ে আছো আমাকে,
প্রেমের ক্যানভাসে ভালোবাসা সব উথলে উঠেছে,
উত্তেজিত নদী বেপরোয়া ঢেউয়ে,
আমিও ডুবে যাই নদীর বিশালতার মাঝে,
তৃষ্ণার সুবিশাল রাত্রির গহন জলে
ভেসে ভেসে হারাই দুজন জেগে জেগে পোড়াই দুটি মন,
ভালোবাসার শ্রাবণ ধারায় অশান্ত মনের ব্যাকুলতা,
তোমার ঠোঁটে ঠোঁট রেখে এক শান্তিচুক্তির স্বাক্ষরতা,
মেঘের সংঘাতে বিদ্যুতের মতাে প্রাণ দু’জনার উঠেছিল জ্বলে,
তােমারই নৌকোয় আমি যমুনার গ্রামে পৌছে যেতে চাই,
সেই যে যমুনা তীরে রাধা আর কৃষ্ণের বিলাস
হৃদয়ের অব্যক্ত কথা বলে দেবার জেগেছে প্রয়াস,
আজ না হয় দু’জনে ডুবে থাকি কেবলই ডুবে থাকি ভালোবাসায়,
এলোমেলো বিজন রাতের গভীরে সঙ্গোপনে.
শুধু এ হৃদয় জানে —
বুকের ভিতর শূন্যতাকে পূর্ণতা দিতে
কীভাবে শীৎকারের শব্দে স্বপ্ন ছোঁয়া আলিঙ্গনে বিশুদ্ধ প্রেমে…………

— ফারজানা শারমিন ( ছবি সংগৃহীত )
০২ – ১১ – ২০২০ইং

শব্দ

পাখির কলতান শুনি,
বাতাসে নড়ে উঠা ধানগাছের মর্মস্পর্শী আওয়াজ,
আগুনের দাউ দাউ আস্ফালন,
পাহালে পাটখড়ির পট পট ধ্বনি,
ভালবাসা প্রকাশের শরীর সঞ্চালন শব্দ শুনি,
নবজাতকের ক্রন্দন শুনি-

সকল শব্দ একত্রে চলমান, কিছু বিস্ফোরিত,
কখনও স্থবির, কখনও প্রবহমান,
শহরের শব্দ শুনি- গ্রাম্য আবহের শব্দ, দিন রাত্রির,
অল্পবয়সী বাচালের প্রিয় অযথা সংলাপ,
খাওয়ার সময়ের কর্মজীবি লোকের অট্টহাসি,
শত্রুতার কোলাহল, রোগীর বিলাপ,
জজের টেবিলে হাতুড়ী পিটানোর শব্দ,
তার মলিন পাণ্ডুবর্ণ ঠোঁটে উচ্চারিত
মৃত্যুদন্ডের ঘোষনা শুনি-

ঘাটে জাহাজ ভিড়ানোর, নোঙর ফেলার শব্দ শুনি
ঢং ঢং বেজে উঠা ঘন্টা, আগুনের ক্রন্দন শুনি
ট্রেনের হুইশালের শব্দ, বাস ট্রাকের হর্ণের শব্দ
যন্ত্র ঘর্ষণের ঝিক ঝিক, যাত্রীর হাকডাক,
ট্রাফিকের হুইশাল শুনি-

বেহালার সূর শুনি
গিটার, তবলার ঐক্যতান
গণমানুষের কোরাস শুনি,
অসংখ্য মানুষের হৃদয়ের প্রতিধ্বনি শুনি।

মাঝে মাঝে ক্লাসিক সংগীত শুনি
প্রশিক্ষিত কণ্ঠ নিয়ে অপরূপ রমনী
শৈল্পিক উচ্চারণে মাতিয়ে তুলে
বাদকদল উড়িয়ে নিয়ে যায়,
যেন ঘুরপাক খেতে থাকি শনির বলয়ে,
পাল তোলা নৌকার মত দুলতে থাকি,
নগ্ন পায়ে তাদের বাদ্যতরঙ্গে নেচে উঠি-
নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে! উড়নচন্ডী হয়ে যাই!

শুধু তোমর মুখ থেকে
‘ভালোবাসি তোমায়’ শব্দ দুটি
কতদিন শুনি না
কতদিন শুনি না!