বিভাগের আর্কাইভঃ অন্যান্য

গরু(র গোশত) কেনার সহজ উপায়

6c8ec6e24

আমি যখন এফ রহমান হলে থাকতাম রাতের বেলা পালে পালে মহিষ নীলক্ষেত দিয়ে যেতে দেখতাম। একপাল মহিষের সাথে দু একটা গরুও থাকত। রাতের বেলা পালে পালে মহিষ দেখলেও সকাল বেলা সারা ঢাকা শহরের কোথাও মহিষের মাংস বিক্রি হয় শোনা যেত না। সব জায়গায় গরুর গোশ্ত বিক্রি হয়। এই মহিষগুলোর জন্য আমার দুঃখও হত। বেচারারা নিজ পরিচয়ে মরতেও পারে না। আজীবন মহিষ থেকে মরার পরে হয়ে যাচ্ছে গরু। বেওয়ারিশ লাশের মত অবস্থা। হবে না কেন? স্বাদের বিচারে গরুর গোশতের উপর কোন গোস্ত নাই। বিক্রেতারা মহিষের গোস্তকে গরুর গোস্ত বলে চালিয়ে দেয়। এছাড়াও আরো নানা ধরনের ঠকবাজী তারা করে। সেইসব ঠগবাজী থেকে বাঁচার জন্য ইন্টারনেট ঘেঁটে-টেঁটে আপনাদের জন্য নানা টিপস হাজির করলাম। আমার ধারনা এই টিপস গুলো মেনে চললে মাংস কেনার পর বাসায় এসে ঝাড়ি খাওয়া থেকে বাঁচবেন।

– গোশত কসাইকে দিয়ে টুকরো করাবেন না। আস্ত টুকরা কিনবেন এবং বাসায় এসে নিজেরাই টুকরো করে নেবেন। কারন গোশত বিক্রির মূল ঘোটঝালাইটা হয় টুকরো করার সময়ই। উল্লেখ্য যে, গরুর গোশত টুকরো করা তেমন জটিল কিছু নয়। কোরবানীর ঈদের সময় আমরা অনেকেই তা করে থাকি। আস্ত গোশত কিনে ঘরে ফেরার পর যদি মা কিংবা বৌ আপনাকেই কোপাতে চায় তবে দেরী না করে ইয়া আলী বলে নিজেই বটি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে পারেন – অবশ্যই গরুর গোশের উপর।

– যে স্থানের গোশত পছন্দ বলবেন সে স্থানের এক তাল গোশত কেটে দিতে। পরে বাসায় এনে নিজে টুকরো করবেন। (শুধুমাত্র হাড় আলাদা করে কুপিয়ে দিতে বলবেন)

– হাড় কুপিয়ে দিলে তারপর বলবেন ওজন করতে, তার আগে নয়। ভুলেও আগে বলবেন না যে গোশ বাসায় টুকরো করবেন। তাহলে তারা ঘটনা বুঝে ফেলে অন্য পন্থায় দুই নম্বরী শুরু করবে।

– যদি আপনার দরকার হয় ৫ কেজি, আপনি বলবেন ৩ কেজি। বেশী বিক্রি করার জন্য তারা ইচ্ছে করে বেশী করে কাটে। ৩ কেজি কাটতে বললে তারা ঠিক ৫ কেজিই কাটবে – যা আপনার প্রকৃত প্রয়োজন।

– গরুর গোশত বলে মহিষের গোশত দেয়া কসাইদের জন্মগত অভ্যাস। মনে রাখবেন, গরুর গোশের রোয়াগুলো চিকন হয় আর মহিষের গোশের রোয়া হয় মোটা মোটা।

– গরুর গোশত একটু লালচে ধরণের আর মহিষের গোশত কালচে।

– গরু আর মহিষের গোশত চেনার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো চর্বি। গরুর চর্বির রং হয় ঘোলাটে হলুদ আর মহিষের চর্বির রং হয় সাদা।
– নিয়মিত নির্দিষ্ট কসাইয়ের কাছ থেকে গোশত নিলে বাধা কাষ্টমার হারাবার ভয়ে তারা পারোতপক্ষে ঠকবাজী করার চেষ্টা কম করে।

– ভালভাবে চিনে কিনতে পারলে সুপার সপে বিক্রি হওয়া গোশতের চেয়ে কশাইয়ের গোশত অপেক্ষাকৃত ফ্রেশ ও ভাল মানের হয় (ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা)

– সকাল ৭-৮ টার মধ্যে গোশত কেনাটাই সবচেয়ে ভাল। তাতে গোশত ফ্রেশ থাকে আর ভাল অংশগুলোও সহজপ্রাপ্য হয়।

সবচেয়ে বড় টিপস হলো – নিজের সবোর্চ্চ বুদ্ধি খাটিয়ে ও পূর্ব পরিকল্পনা নিয়ে যে কোন শপিং করলে তার মান অবশ্যই উন্নততর হবে।

[অ.ট. প্রিয় ব্লগার, এবারে বইমেলা উপলক্ষ্যে আসছে আমার গল্পগ্রন্থ ‘প্রত্যুষের আলো’। প্রকাশ করছে পেন্সিল পাবলিকেশন্স। উল্লেখ্য, এবারে বইমেলা শুরু হবে ১৮ মার্চ থেকে। শরীরের প্রোটিনের জন্য যেমন দরকার মাংস, তেমনি মন ও মগজে বাড়ার জন্য দরকার বই। সবার জন্য শুভকামনা।]

গোধূলির নিমগ্নতা

97020

লেনা দেনার এই যাদুর শহরে
বড্ড বেশি ক্লান্ত লাগে আজকাল ;
কেবল ছুটে চলেছি বাড়তি ভালো থাকবার প্রশ্রয়ে।
কর্মের ভারে ন্যুব্জতা নয়,
এ যেন যন্ত্রের যাঁতাকলে
নিষ্পেষিত প্রত্যেকটি মুহূর্ত।
তারপরও তুমি পাশে থাকলে
মাঘী বৃষ্টি ঘূর্ণিঝড় হতো বারুদ আকাশে ;
তুমি হাত ছুঁয়ে দিলে ;
ভূমিকম্প ঘটে যেত ১০৫ মাত্রায়।

জানি, নির্ভয়ে আঙ্গুল ভাঁজে আঙ্গুল
রাখা হবে ব্যপ্তি হীন চাওয়া।
অর্থহীন সময়ের হিসাব কষে বুঝে নিতে থাকি –
এখানেও অপচয়ের মহা উৎসব।
তবু সীমান্ত তার উপেক্ষা করবার প্রচেষ্টা
অব্যাহত রাখতে চাই।
এখানে ধর্মান্ধদের অযাচিত পাঁয়তারা জেনেও
আলিঙ্গনে রাখি আশ্চর্য ভাবনা।

সাদা শাখা নয়, সিঁথির সিঁদুর নয় ;
বারো হাত ঘোমটায় আবদ্ধ থেকেও নয়,
নাম বর্ণহীন অসাম্প্রদায়িক সম্পর্কের জেদ ধরে
প্রণয় সূত্রে গেঁথে রেখেছি গোধূলির নিমগ্নতা।।

আমি সেই

আমি তো উপন্যাসিকের সেই উপন্যাসটা
যেথায় উপন্যাসিক সযত্নে লেখে
সুখী মানুষের সুখের কথা
আর দুঃখী মানুষের দুঃখের কথা।

আমি তো প্রেমিকার অপ্রয়োজনীয়
ডায়েরির সেই কষ্টের পাতাটা
যে ডায়েরির পাতার নেই কোনো প্রয়োজন
শুধু অবহেলা আর অবহেলা।

আমি তো নিঝুম দুপুরে তৃষার্ত পথিকের
জল পানের সেই দৃশ্যটা
যা তৃষার্ত পথিকের জন্য আনন্দদায়ক।

আমি তো বর্ষাকালে প্রকৃতির
কদম আর কেয়া ফুলের মনোরম
সেই পরিবেশটা যা অনন্য ঋতু।

আমি তো সেই উদ্বাস্তু মানুষ গুলোর
নির্মম নিষ্ঠুরতম প্রহর গুলো
যা তাদের সতত কাঁদায় ।

আমি তো সেই শ্রমিক আন্দোলনের
নির্যাতিত নিপীড়িত মানবটা
যে শুধু মালিক শ্রেণির দ্বারা
শোষিত শোষিত শোষিত।

রচনাকালঃ
০১/০১/২০২০

বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা – ৫

বাংলাদেশে ৫৪ প্রজাতির উদ্ভিদ আছে যাদের ইচ্ছাকৃতভাবে উঠানো, উপড়ানো, ধ্বংস বা সংগ্রহ করা নিষিদ্ধ। আপনি যদি তাদে ইচ্ছাকৃতভাবে উঠান, উপড়ান, ধ্বংস বা সংগ্রহ করেন তাহলে আপনার ১ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারেন। এই একই অপরাধ যদি আপনি দ্বিতীয়বার করে তাহলে আপনার এই দণ্ড দ্বিগুণ হবে। এই ৫৪ প্রজাতির গাছগুলিকে বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদ বলা হয়

৫টি পর্বে এই ৫৪টি গাছ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। এবার দেখেন পঞ্চম পর্বের ১৪টি গাছের কতটিকে আপনি চিনেন।

৪১ : বুদ্ধনারকেল

ছবি – নিজ

৪২ : বর্মি মইলাম
bRW0ozKh
ছবি – নেট

৪৩ : মনিরাজ

ছবি – নিজ

৪৪ : মহা ডেনড্রোবিয়াম

ছবি – নেট

৪৫ : রিটা

ছবি – নেট

৪৬ : রেড ভান্ডা

ছবি – নেট

৪৭ : লেডিস স্লিপার

ছবি – নেট

৪৮ : লতা বট

ছবি – নেট

৪৯ : সিংড়া

ছবি – নেট

৫০ : সিভিট

ছবি – নেট

৫১ : সিম্বিডিয়াম অ্যালোয়ফোলিয়াম

ছবি – নেট

৫২ : সমুন্দরফল

ছবি – নেট

৫৩ : হাড়জোড়া

ছবি – নিজ

৫৪ : হরিনা

ছবি – নেট

সম্পূর্ণ তালিকা
১ : অনন্তমূল
২ : উদাল
৩ : উদয়পদ্ম
৪ : উরি আম
৫ : উর্বশী
৬ : কাঁটালাল বাটনা
৭ : কামদেব
৮ : কির্পা
৯ : কুঁচ
১০ : কোথ
১১ : কুম্ভি
১২ : কুর্চি
১৩ : কর্পূর
১৪ : কুসুম বা জায়না
১৫ : খাসি পিচার প্লান্ট
১৬ : খলশী
১৭ : গয়া অশ্বথ
১৮ : গলগল
১৯ : চুন্দুল
২০ : জইন
২১ : জহুরী চাঁপা
২২ : টালি
২৩ : ডুথি
২৪ : তালিপাম
২৫ : তেজবহুল
২৬ : তমাল
২৭ : ত্রিকোণী বট
২৮ : ধুপ
২৯ : নীল রাস্না
৩০ : পাদাউক
৩১ : পুদিনা
৩২ : প্রশান্ত আমুর
৩৩ : পশুর
৩৪ : বইলাম
৩৫ : বালবোফাইলাম
৩৬ : বাঁশপাতা
৩৭ : বাসন্তীরঙা ডেনড্রোবিয়াম
৩৮ : বিশালপত্রী ডেনড্রোবিয়াম
৩৯ : বেসক ডেনড্রোবিয়াম
৪০ : বড় ভেন্ডপসিস
৪১ : বুদ্ধনারকেল
৪২ : বর্মি মইলাম
৪৩ : মনিরাজ
৪৪ : মহা ডেনড্রোবিয়াম
৪৫ : রিটা
৪৬ : রেড ভান্ডা
৪৭ : লেডিস স্লিপার
৪৮ : লতা বট
৪৯ : সিংড়া
৫০ : সিভিট
৫১ : সিম্বিডিয়াম অ্যালোয়ফোলিয়াম
৫২ : সমুন্দরফল
৫৩ : হাড়জোড়া
৫৪ : হরিনা

সূত্র : বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২

অর্ঘ উৎসর্গীত তোমার নামে

15621757_143808_n

তুমি বা তোমার স্বত্তা সে দিনেই মারা গেছে
যে দিন ভাদ্রমাসি কুকুরের মত কুঁই কুঁই করে
নির্লজ্জ প্রথায় ধর্না দিয়েছ প্রাক্তন প্রেমিকের কাছে।
বিধ্বস্ত চিত্তে যেখান থেকে তোমাকে প্রথম উদ্ধার করি-
পোড়া বাড়ীর পিছে
জং ধরা পরিত্যক্ত গাড়ীতে
আজো পড়ে আছে তোমার ছেঁড়া শাড়ী, ভাঙ্গা চুড়ি!

আলো আঁধারির ছায়া জুড়ে আজো লেপ্টে আছে
তোমার কুজো শরীর! যেমন টি তোমাকে আবিস্কার করেছিলাম
বেদনা লুব্ধ হামগুড়ি থেকে শিরদাড় সোজা করে দাঁড়ানোর জন্য-
ভাবিনি-
ভাবিনি তুমি পূনর্বার পেতে চাইবে ডমুর ফুলের স্বাদ!
বারংবার হোঁচট খাওয়া অলীক অহংকারে ডুবে যাবে,
হতে চাইবে ফের বিনগ্ন সহবতের জৈববাদী উন্মাদ !

শঙ্খধ্বনির পবিত্র আহ্বানে
সমুদ্র তটের নিস্পাপ বাতাসে বুক ভরা নিশ্বাস নিতে নিতে
আত্মিক পদাবলীর যে কবিতা নির্মিত হয়েছিলো-
তুমি জানতে সেই অর্ঘ উৎসর্গীত তোমার নামে;
অথচ একবার ও কাঁপলোনা সেই হাত, যে হাতে
শিশির প্রাতে
ভেজা ঘাস ফুলের আমূল বিশ্বাস ভেঙ্গে চূর্ণ করতে!

আমি বরাবরই নিভৃতচারী মানুষ!
কর্তৃত্ব কিংবা বাহাবা পাবার তাড়না আমাকে কোনদিন স্পর্শ করেনি।
ক্ষুধামত্ত শকুনের মত তোমাকে খামচে ধরে রাখার চিন্তা ছিলোনা কভু!
বড় জোর হতে চেয়েছি- মদিরাক্ষী বিচরনে জোছনা রাতের সহচর
পূর্ণীমা মোহনে প্রভু ভক্তি কবিতা অথবা গানে
চাইলে সৃষ্টি হতো অবিশ্রান্তির যুগলনৃত্য!
তোমাকে পাবার বা হারাবার মাঝে অমর হতে পারতো এই টুকু সত্য।।

বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা – ৪

বাংলাদেশে ৫৪ প্রজাতির উদ্ভিদ আছে যাদের ইচ্ছাকৃতভাবে উঠানো, উপড়ানো, ধ্বংস বা সংগ্রহ করা নিষিদ্ধ। আপনি যদি তাদে ইচ্ছাকৃতভাবে উঠান, উপড়ান, ধ্বংস বা সংগ্রহ করেন তাহলে আপনার ১ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারেন। এই একই অপরাধ যদি আপনি দ্বিতীয়বার করে তাহলে আপনার এই দণ্ড দ্বিগুণ হবে। এই ৫৪ প্রজাতির গাছগুলিকে বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদ বলা হয়

৫টি পর্বে এই ৫৪টি গাছ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। এবার দেখেন চতুর্থ পর্বের ১০টি গাছের কতটিকে আপনি চিনেন।

৩১ : পুদিনা

ছবি – নেট

৩২ : প্রশান্ত আমুর

ছবি – নেট

৩৩ : পশুর
eeroAE0h
ছবি – নেট

৩৪ : বইলাম

ছবি – নেট

৩৫ : বালবোফাইলাম

ছবি – নেট

৩৬ : বাঁশপাতা

ছবি – নিজ

৩৭ : বাসন্তীরঙা ডেনড্রোবিয়াম

ছবি – নেট

৩৮ : বিশালপত্রী ডেনড্রোবিয়াম

ছবি – নেট

৩৯ : বেসক ডেনড্রোবিয়াম

ছবি – নেট

৪০ : বড় ভেন্ডপসিস

ছবি – নেট

সম্পূর্ণ তালিকা
১ : অনন্তমূল
২ : উদাল
৩ : উদয়পদ্ম
৪ : উরি আম
৫ : উর্বশী
৬ : কাঁটালাল বাটনা
৭ : কামদেব
৮ : কির্পা
৯ : কুঁচ
১০ : কোথ
১১ : কুম্ভি
১২ : কুর্চি
১৩ : কর্পূর
১৪ : কুসুম বা জায়না
১৫ : খাসি পিচার প্লান্ট
১৬ : খলশী
১৭ : গয়া অশ্বথ
১৮ : গলগল
১৯ : চুন্দুল
২০ : জইন
২১ : জহুরী চাঁপা
২২ : টালি
২৩ : ডুথি
২৪ : তালিপাম
২৫ : তেজবহুল
২৬ : তমাল
২৭ : ত্রিকোণী বট
২৮ : ধুপ
২৯ : নীল রাস্না
৩০ : পাদাউক
৩১ : পুদিনা
৩২ : প্রশান্ত আমুর
৩৩ : পশুর
৩৪ : বইলাম
৩৫ : বালবোফাইলাম
৩৬ : বাঁশপাতা
৩৭ : বাসন্তীরঙা ডেনড্রোবিয়াম
৩৮ : বিশালপত্রী ডেনড্রোবিয়াম
৩৯ : বেসক ডেনড্রোবিয়াম
৪০ : বড় ভেন্ডপসিস
৪১ : বুদ্ধনারকেল
৪২ : বর্মি মইলাম
৪৩ : মনিরাজ
৪৪ : মহা ডেনড্রোবিয়াম
৪৫ : রিটা
৪৬ : রেড ভান্ডা
৪৭ : লেডিস স্লিপার
৪৮ : লতা বট
৪৯ : সিংড়া
৫০ : সিভিট
৫১ : সিম্বিডিয়াম অ্যালোয়ফোলিয়াম
৫২ : সমুন্দরফল
৫৩ : হাড়জোড়া
৫৪ : হরিনা

সূত্র : বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২

বিজয়ের জন্য

ওহে বাঙালি
তোমরা বুঝি বোঝো না
পাওয়ার মূলমন্ত্র
কিছু পেতে হলে কিছু দিতে।

শুধু বিজয় আসবে বলে
সারা বাংলা পাকরা করেছে তোলপাড়
তার জন্য বাঙালিকে সহ্য করতে হয়েছে
শাসন নামক পৈশাচিক নির্যাতন
দিতে হয়েছে এক সাগর রক্ত
কোল খালি হয়েছে মায়ের শত শত
হরণ করছে ওরা অসহায় মা ও বোনের ইজ্জত
শুধু বিজয় আসবে বলে
সন্তানের লাশ কাঁধে তুলে দাঁড়িয়ে আছে শোকাহত বাবা
ধ্বংস লীলায় মেতে ছিলেন পাকরা
বুক পেতে দিয়েছে বাঙলার সাহসী নির্ভীক ছেলেরা
শুধু মাতৃভূমি রক্ষার জন্য
শুধু বিজয় আসবে বলে
লুণ্ঠিত ছকিনা বিবি প্রহর গুনছে তোমার জন্য
দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বাঙালি
পেয়েছে স্বাধীনতা
বিজয় উল্লাসে আজকে সমবেত বাঙালি
হাসি গাইছে প্রাণ খুলে
আজ বাঙালির সকল আশা ভরসা ফিরে পেয়েছে।

রচনাকালঃ
১৩/১২/২০২০

বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা – ৩

বাংলাদেশে ৫৪ প্রজাতির উদ্ভিদ আছে যাদের ইচ্ছাকৃতভাবে উঠানো, উপড়ানো, ধ্বংস বা সংগ্রহ করা নিষিদ্ধ। আপনি যদি তাদে ইচ্ছাকৃতভাবে উঠান, উপড়ান, ধ্বংস বা সংগ্রহ করেন তাহলে আপনার ১ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারেন। এই একই অপরাধ যদি আপনি দ্বিতীয়বার করে তাহলে আপনার এই দণ্ড দ্বিগুণ হবে। এই ৫৪ প্রজাতির গাছগুলিকে বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদ বলা হয়

৫টি পর্বে এই ৫৪টি গাছ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। এবার দেখেন তৃতীয় পর্বের ১০টি গাছের কতটিকে আপনি চিনেন।

২১ : জহুরী চাঁপা
1nzSJRLh
ছবি – নেট

২২ : টালি

ছবি – নেট

২৩ : ডুথি

ছবি – নেট

২৪ : তালিপাম

ছবি – নিজ

২৫ : তেজবহুল

ছবি – নেট

২৬ : তমাল

ছবি – নিজ

২৭ : ত্রিকোণী বট

ছবি – নেট

২৮ : ধুপ

ছবি – নিজ

২৯ : নীল রাস্না

ছবি – নেট

৩০ : পাদাউক

ছবি – নেট

সম্পূর্ণ তালিকা
১ : অনন্তমূল
২ : উদাল
৩ : উদয়পদ্ম
৪ : উরি আম
৫ : উর্বশী
৬ : কাঁটালাল বাটনা
৭ : কামদেব
৮ : কির্পা
৯ : কুঁচ
১০ : কোথ
১১ : কুম্ভি
১২ : কুর্চি
১৩ : কর্পূর
১৪ : কুসুম বা জায়না
১৫ : খাসি পিচার প্লান্ট
১৬ : খলশী
১৭ : গয়া অশ্বথ
১৮ : গলগল
১৯ : চুন্দুল
২০ : জইন
২১ : জহুরী চাঁপা
২২ : টালি
২৩ : ডুথি
২৪ : তালিপাম
২৫ : তেজবহুল
২৬ : তমাল
২৭ : ত্রিকোণী বট
২৮ : ধুপ
২৯ : নীল রাস্না
৩০ : পাদাউক
৩১ : পুদিনা
৩২ : প্রশান্ত আমুর
৩৩ : পশুর
৩৪ : বইলাম
৩৫ : বালবোফাইলাম
৩৬ : বাঁশপাতা
৩৭ : বাসন্তীরঙা ডেনড্রোবিয়াম
৩৮ : বিশালপত্রী ডেনড্রোবিয়াম
৩৯ : বেসক ডেনড্রোবিয়াম
৪০ : বড় ভেন্ডপসিস
৪১ : বুদ্ধনারকেল
৪২ : বর্মি মইলাম
৪৩ : মনিরাজ
৪৪ : মহা ডেনড্রোবিয়াম
৪৫ : রিটা
৪৬ : রেড ভান্ডা
৪৭ : লেডিস স্লিপার
৪৮ : লতা বট
৪৯ : সিংড়া
৫০ : সিভিট
৫১ : সিম্বিডিয়াম অ্যালোয়ফোলিয়াম
৫২ : সমুন্দরফল
৫৩ : হাড়জোড়া
৫৪ : হরিনা

সূত্র : বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২

বিজয়

বিজয়

ইস্পাতের চিল উড়ে গেল ছুঁই-ছুঁই, তালগাছটার ঠিক উপর দিয়ে
দু’টা চক্কর দিয়ে দক্ষিণ থেকে উত্তরে ছুটে গেল দানব আওয়াজ ছড়িয়ে
এবং বদলে গেল দৃশ্যপট-
উঠানে বিছানো ধান-খাওয়া মগ্ন কাক কা কা রবে উড়ে গেল এলোপাথাড়ি
লড়াইরত বিড়াল দু’টি ছুটে গেল পাশাপাশি একই নিরুদ্দেশে
এবং গরু, বাছুর, ছাগল আর মানুষের পাল দিকভ্রান্ত ছোটাছুটি
শুরু করল অত্যাসন্ন রক্তপ্লাবন আশঙ্কায়-

এবং রেল লাইন, কালভার্ট, সেনাক্যাম্প পরিণত হলো ধ্বংসস্তুপে
এবং দুই দশকব্যাপী ক্ষমতার স্বাদে অভ্যস্ত, গত নয় মাসে দুর্দান্ত ক্ষমতাধর
ফাইজুদ্দি হাজি মুখ থুবরে পড়ে রইল বড় রাস্তার পাশের বটগাছের তলায়
এবং অনিয়মিত বাহিনীর ভালোবাসা-ঘৃণা-উল্লাস-উত্তাপে
পিছু হঁটা পিশাচ আত্মসমার্পণের জন্য খুঁজে ফিরল নিয়মিত বাহিনী
এবং তখনো আমি দৃশ্যপটে আসিনি
আমার আগমনের পূর্ণ প্রস্তুতি তখনো সম্পন্ন হয়নি
আমি তখনো মায়ের দেহের সাথে একীভূত।

ভাষাগত সংঘাতে জমাটবাঁধা রক্ত থেকে আমার সূচনা
আত্মস্বীকৃতির অভিপ্রায়ে মাংসপিন্ডে রূপান্তর
‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতা সংগ্রাম’
‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’
এবং অসমাপ্ত প্রস্তুতিপর্ব
এবং প্রসববেদনা

আমি রক্তাক্ত বেরিয়ে আসি মায়ের জড়ায়ু ছেড়ে।

বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা – ২

বাংলাদেশে ৫৪ প্রজাতির উদ্ভিদ আছে যাদের ইচ্ছাকৃতভাবে উঠানো, উপড়ানো, ধ্বংস বা সংগ্রহ করা নিষিদ্ধ। আপনি যদি তাদে ইচ্ছাকৃতভাবে উঠান, উপড়ান, ধ্বংস বা সংগ্রহ করেন তাহলে আপনার ১ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারেন। এই একই অপরাধ যদি আপনি দ্বিতীয়বার করে তাহলে আপনার এই দণ্ড দ্বিগুণ হবে। এই ৫৪ প্রজাতির গাছগুলিকে বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদ বলা হয়

৫টি পর্বে এই ৫৪টি গাছ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। এবার দেখেন দ্বিতীয় পর্বের ১০টি গাছের কতটিকে আপনি চিনেন।

১১ : কুম্ভি

ছবি – নিজ

১২ : কুর্চি

ছবি – নেট

১৩ : কর্পূর

ছবি – নিজ

১৪ : কুসুম বা জায়না

ছবি – নিজ

১৫ : খাসি পিচার প্লান্ট

ছবি – নেট

১৬ : খলশী

ছবি – নেট

১৭ : গয়া অশ্বথ

ছবি – নেট

১৮ : গলগল

ছবি – নেট

১৯ : চুন্দুল

ছবি – নেট

২০ : জইন

ছবি – নেট

সম্পূর্ণ তালিকা
১ : অনন্তমূল
২ : উদাল
৩ : উদয়পদ্ম
৪ : উরি আম
৫ : উর্বশী
৬ : কাঁটালাল বাটনা
৭ : কামদেব
৮ : কির্পা
৯ : কুঁচ
১০ : কোথ
১১ : কুম্ভি
১২ : কুর্চি
১৩ : কর্পূর
১৪ : কুসুম বা জায়না
১৫ : খাসি পিচার প্লান্ট
১৬ : খলশী
১৭ : গয়া অশ্বথ
১৮ : গলগল
১৯ : চুন্দুল
২০ : জইন
২১ : জহুরী চাঁপা
২২ : টালি
২৩ : ডুথি
২৪ : তালিপাম
২৫ : তেজবহুল
২৬ : তমাল
২৭ : ত্রিকোণী বট
২৮ : ধুপ
২৯ : নীল রাস্না
৩০ : পাদাউক
৩১ : পুদিনা
৩২ : প্রশান্ত আমুর
৩৩ : পশুর
৩৪ : বইলাম
৩৫ : বালবোফাইলাম
৩৬ : বাঁশপাতা
৩৭ : বাসন্তীরঙা ডেনড্রোবিয়াম
৩৮ : বিশালপত্রী ডেনড্রোবিয়াম
৩৯ : বেসক ডেনড্রোবিয়াম
৪০ : বড় ভেন্ডপসিস
৪১ : বুদ্ধনারকেল
৪২ : বর্মি মইলাম
৪৩ : মনিরাজ
৪৪ : মহা ডেনড্রোবিয়াম
৪৫ : রিটা
৪৬ : রেড ভান্ডা
৪৭ : লেডিস স্লিপার
৪৮ : লতা বট
৪৯ : সিংড়া
৫০ : সিভিট
৫১ : সিম্বিডিয়াম অ্যালোয়ফোলিয়াম
৫২ : সমুন্দরফল
৫৩ : হাড়জোড়া
৫৪ : হরিনা

সূত্র : বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২

KB-01- 00 - Copy

কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া ও কনকচূড়া বিতর্ক

আমাদের অনেকেই কৃষ্ণচূড়া ও রাধাচূড়া ফুল দুটিকে গুলিয়ে ফেলেন। আবার কেউ কেউ মনে করেন –
যে কৃষ্ণচূড়া ফুলের রং লাল সেটির নাম কৃষ্ণচূড়া“, আর
যে কৃষ্ণচূড়া ফুলের রং হলুদ সেটির নাম রাধাচূড়া“।
আবার অনেকে কনকচূড়াকে মনে করেন রাধাচূড়া
যদিও কনকচূড়া দেখতে রাধাচূড়া বা কৃষ্ণচূড়া কোনটার মতই নয়। আসলে তিনটি ফুলই আলাদা আলাদা ফুল।

কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নামDelonix regia
রাধাচূড়ার বৈজ্ঞানিক নামCaesalpinia pulcherrima
কনকচূড়ার বৈজ্ঞানিক নামPeltophorum pterocarpum
কৃষ্ণচূড়া চেনার উপায় :

কৃষ্ণচূড়া গাছ সবাই চেনে, নতুন করে চেনানোর কিছু নেই। শুধু যেখানে ভুল হয় সেটা হচ্ছে ফুলের রং দেখে তাকে কৃষ্ণচূড়া থেকে রাধাচূড়ায় ঠেলে দিয়ে। এখানে মনে রাখতে হবে ফুলের রং লাল, কমলা, হলুদ যাই হোকনা কেন সেটি কৃষ্ণচূড়াই এবং কৃষ্ণচূড়া একটি বৃক্ষ জাতীয় বড় উদ্ভিদ। কৃষ্ণচূড়ার ফুলের মঞ্জুরি অনেকটা থোকার মত হয় এবং ফুলের আকার বেশ বড়।

রাধাচূড়া চেনার উপায় :

রাধাচূড়াকে ছোট কৃষ্ণচূড়াও বলা হয়। কৃষ্ণচূড়া গাছের ছোট সংস্করণ বলা চলে রাধাচূড়া গাছকে। কৃষ্ণচূড়ার মতো রাধাচূড়ার ফুলের রং লাল, কমলা, হলুদ হয়, তবে রাধাচূড়া একটি ছোট উদ্ভিদ। ঢাকার সড়ক ডিভাইডারে একে প্রচুর দেখা যায়। রাধাচূড়ার ফুলের মঞ্জুরি অনেকটা পেগোডার মত উপরের দিকে উঠে যায়। ফুলের আকার কৃষ্ণচূড়ার চেয়ে ছোট।

কনকচূড়া চেনার উপায় :

কনকচূড়ার গাছ কৃষ্ণচূড়ার মতোই একটি বৃক্ষ জাতীয় বড় উদ্ভিদ। কনকচূড়া ফুলের রং হলুদ। ডালের আগায় কয়েকটি আলাদা আলাদা ফুলের মঞ্জুরি ঊর্ধ্বমুখী হয়ে বের হয়। ফুলের কলি গুলি থাকে গোলগোল। মঞ্জুরি নিচ থেকে ফুলফোটা শুরু হয়। এই ফুল দেখতে কৃষ্ণচূড়া বা রাধাচূড়ার মতো হয় না।

এক সাথে ৩টি ফুলেরই ছবি দেয়া হল। চেনার জন্য।

উপরের দুটি ছবি কৃষ্ণচূড়ার, মাঝে দুটি ছবি রাধাচূড়ার। নিচের দুটি ছবি কনকচূড়ার। প্রতিটি ফুলের ছবি আমার নিজের তোলা।

সুন্দরীর নারীবেলা

শীত কাল।
ঘন কুয়শায় চলমান দৃশ্যাবলী দূরে অদৃশ্য
চরাচরে নেমে আসে মৃত্যুর আগমনী সংকেত
আমার মন বড় আনচান করে ওঠে
কবিতারা দূরে চলে যায় হৃদয় থেকে-
অনেক গল্প এসে কিলবিল করতে থাকে
মাথার ভিতরে।

সে অনেক দিন আগের কথা।

গ্রীক পুরানের মৃত্যু আর অন্ধকারের দেবতা হেডস
প্রেমে পরল!
কি না করল সে!
এই পৃথিবীর অনুরূপ আর একটি
পৃথিবী সৃষ্টি করল, সবকিছু একই রকম,
শুধু তৃণভূমি তলদেশে
একটা বিছানা রেখে দিল।

অন্ধকার রাজ্যে এনে জুড়ে দিল সূর্যের আলো
এই অপরূপ সুন্দরী আলোর জগত থেকে
গহীন অন্ধকারে তীব্রতা সহ্য করতে পারবে না
সে ভাবল-

অতঃপর নড়ে ওঠা পাতাদের ছায়া দিয়ে
ঢেকে দিল সারা পৃথিবী। শুধু চাঁদ তারা।
এরপর না চাঁদ- না তারা। যেন সুন্দরী আস্তে আস্তে
অন্ধকার সহ্য করে নিতে পারে।

পৃথিবীর অনুরূপ হলো ঠিকই
কিন্তু ভালোবাসা ফুটে উঠলো না।
অথচ সবাইতো ভালোবাসা চায়!
বহু বছর অপেক্ষা করলো সে
একটি পৃথিবী গড়তে, জল জঙ্গলে
সুন্দরীকে পর্যবেক্ষনে রাখলো।
সুন্দরী, গন্ধ খুজে, খাবার চায়
সে ভাবল তবে গন্ধ দূরে থাক, ক্ষুধা দূরে যাক।

রাতে প্রেমময় শরীর চায় প্রত্যেকে
শুনতে চায় গাঢ় নিশ্বাস আর গোঙ্গানি
একজন অন্যজনের গহীন গভীরে চলে যেতে চায়-
মৃত্যু আর অন্ধকারের দেবতা
তার পৃথিবীর অনুরূপে এসব গড়তে থাকল।
স্বাদ আর খাবারের কথা বেমালুম ভুলে গেল!
অপরাধবোধ? দ্বন্ধ? পাশবিকতা ?
এসব বিষয় সে কল্পনা করতে পারল না;
কোন গভীর প্রেমিক এসব নিয়ে ভাববার অবসর পায় না।

পৃথবীর অনুরূপ সৃষ্টির পর
একে কি নামে ডাকা যায়?
প্রথমে সে ভাবল, এটার নাম হোক নতুন নরক,
তারপর: বাগান
অবশেষে সে এর নাম দিল: সুন্দরীর নারীবেলা।

একটা মৃদুমন্দ আলো তৃণভূমিতে রাখা
বিছানার উপর এসে পড়ল।
সুন্দরীকে বাহুবন্ধী করে রাখল সে।
বলতে চাইল, আমি ভালোবাসি তোমায়,
কেউ তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না

কিন্তু মৃত্যু আর অন্ধকারের দেবতা বুঝে গেল-
মিথ্যা। এখানে প্রত্যেকে ক্ষতিতে ডুবন্ত,
ভালোবাসা কাউকে ভাসিয়ে রাখতে পারে না।
সে বলল,
বরং লড়তে লড়তে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়
তখন কোন কিছুই তোমার ক্ষতি করতে পারবে না।
এই বরং অধিক প্রশংসনীয়-
মৃত্যু জগতের শুরু, অধিকতর সত্য।

শীত কাল।
ঘন কুয়শায় চলমান দৃশ্যাবলী দূরে অদৃশ্য
চরাচরে নেমে আসে মৃত্যুর আগমনী সংকেত
আমার মন বড় আনচান করে ওঠে
কবিতারা দূরে চলে যায় হৃদয় থেকে-
অনেক গল্প এসে কিলবিল করতে থাকে
মাথার ভিতরে।

ফড়িং সিনেমা এবং আমার ছবি দেখার অভিজ্ঞতা

এই কোরবানির ঈদে ছুটি একেবারেই নেই। নেই বললে ভুল হবে ছিলই না। যারা সরকারি চাকরি করেন তারা ভালো বুঝেছেন নিশ্চয়। প্রথমত, ঈদ পড়েছে সরকারি ছুটির দিন শনিবার। মাঝে রবিবার ছুটি, সোম থেকে আবার শুরু অফিস, আদালতের দাপ্তরিক সকল ব্যস্ততা। এই যে, আমি দু-এক লাইন লেখতে বসেছি এটার মূল কারণ কিন্তু ঈদের ছুটি নিয়ে নয়। আসল কারণ হল এই ঈদে আমি কি করেছি বা কি দেখেছি মূলত সেটা। ভাবছিলাম আমাদের বাংলা সিনেমায় যার একছত্র আধিপত্য। সেই নায়ক রাজ রাজ্জাকের অভিনীত সেরা কিছু সিনেমা দেখে এইবারকার ঈদ কাটাবো। যেই ভাবা সেই কাজ।

শুরু হল রংবাজ দিয়ে আর শেষ হল ছুটির ঘণ্টা দিয়ে। কিন্তু শেষ হয়েও যে হল না শেষ। এই শেষ না হওয়ার কারণ কিন্তু নায়ক রাজ রাজ্জাক নয়। ইউটুবে কোন সিনেমা সার্চ দিলে প্রাসঙ্গিক আরও কিছু সিনেমার লিস্ট দেখা যায়। চোখ ঘুরতে ঘুরতে আটকে গেল ভারতীয় একটি সিনেমার দিকে। ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরীর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ফড়িঙের পোষ্টার। অভিনয় করেছেন ছবিটির মূল চরিত্রে চৌদ্দ বছরের এক বালক যার নাম আকাশ অধিকারী। অভিনেত্রী সহনী সরকার, অভিনেতা শঙ্কর দেবনাথ। ছবির শুরুতে দেখা যায় এক স্বল্পবসনা শিক্ষিকা ক্লাসরুমে। ফড়িং একা তার সামনে। শিক্ষিকা জানায় ফড়িং পরীক্ষায় সব বিষয়ে ফেল করেছে। শিক্ষিকা ফড়িংকে ডাকে কাছে আয়। ফড়িঙের দৃষ্টিতে শিক্ষিকার উন্মুক্ত শরীর। ঘুম ভেঙ্গে যায় ফড়িঙের। প্যান্টের ভিতরে হাত দিয়ে টের পায় যে তার স্বপ্নদোষ হয়েছে। ছুটে যায় বাথরুমে। এক চৌদ্দ বছরের কিশোরের বয়ঃসন্ধিকালের নানা ঘটনা এবং কিশোরের স্কুল শিক্ষিকার সাথে সম্পর্ককে ঘিরে আবদ্ধ হয়েছে এই কাহিনীচিত্রের। যদিও কেউ কেউ এটিকে যৌনতা বলে চালিয়ে দেবার চেষ্টা চালিয়েছেন। আমি এখানে অবশ্য যৌনতার কোন বালাই দেখিনি। যদিও কিশোর মনে ছেলেটি শিক্ষিকাকে ঘিরে যৌনতার কিছু দৃশ্য দেখা যায় যার একটিতে দেখা যায় সে তার শিক্ষিকার বাথরুমে গিয়ে শিক্ষিকার প্যানটি এবং সে ঘ্রাণ নেওয়ার চেষ্টা করে। আবার একটিতে দেখা যায় সে শিক্ষিকাকে কল্পনার কামুক চোখে দেখে হস্ত মৈথুন করে।

কিশোর মনের কৌতূহল, শিক্ষিকার উদার মানসিকতার মধ্যে দিয়ে ছাত্রকে গড়ে তোলার এক অনুপম চিত্র হিসেবেই দেখতে চাই আমি। কিশোর আকাশ অধিকারী ক্লাস পরীক্ষায় দুটো বিষয়ে ফেল করেছে। এতে খেপেছে তার বাবা। তার সহপাঠী, শিক্ষকরা নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখেছেন এই ফেল করাকে। আর সেই শিক্ষিকা দেখেছেন যে পাশের মধ্যে বাহাদুরি নেই ফেল করা ছাত্রের মাঝেও লুকিয়ে থাকে অন্য এক ছাত্র। যে ন্যাশনাল জিওগ্রাফী, ডিসকভারি, এনিমেল প্ল্যানেট দেখে জীবজগৎ থেকে বা এই বিচিত্র পৃথিবীর অনেক কিছু জানা যায়। যা অন্য অনেক ছাত্র জানে না। কারণ তারা শুধু পাঠ্য বইয়ে নিজেদের সীমাবদ্ধ করে রাখে। ধীরে ধীরে শিক্ষিকার সাথে গড়ে ওঠে মধুর এক সম্পর্ক। যা কিশোর মনকে সঙ্গত কারণেই নাড়া দিয়ে যায়। শত কৌতূহল। শত প্রশ্ন, হাজারো চিন্তা ঘুরপাক খায় কিশোরের মনে। কিশোরের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষিকা একটি মোবাইল গিফট করে ছেলেটাকে। ঘটনার সূত্রপাত মূলত এখান থেকেই । মোবাইল হাতে পেয়ে সে একের পর এক ছবি তুলতে থাকে শিক্ষিকার। সেই সাথে শিক্ষিকার অগোচরে করে ভিডিও।যেখানে দেখা যায় কোকাকোলা খেয়ে শিক্ষিকা ঘরের মাঝে আপন মনে নেচে চলছে। এই ভিডিও কিশোরের অগোচরে লুকিয়ে দেখে ফেলে তার এক সহপাঠী যার নাম লাড্ডু। সেখান থেকে সে মোবাইল কৌশলে নিজের মোবাইল নিয়ে নেয়। এভাবেই এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে অতঃপর স্কুল, পারা প্রতিবেশী অবিভাবক, থেকে এক কান দুকান অতঃপর ছড়িয়ে পড়ে অপবাদ। চাকরি যায় শিক্ষিকার। ছাত্রকে স্কুল ছাড়তে দেওয়া হয় কতিপয় শর্ত। এরই মাঝে সেই শিক্ষিকার বন্ধুর লুকিয়ে রাখা কিছু অবৈধ অস্ত্র, সরঞ্জাম দেখে ফেলে সেই লাড্ডু আর কিশোর অভিনেতা আকাশ অধিকারী। এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় সেই শিক্ষিকা আর তার বন্ধু অভিনেতা শঙ্কর দেবনাথ। পুলিশ এসে উদ্ধার করে অবৈধ অস্ত্র। ছাত্রটি খোঁজতে থাকে তার শিক্ষিকাকে। যার কাছে সে পেয়েছে মায়াময় স্নেহ আর অগাধ ভালোবাসা। সেই অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা আবার প্রচারিত হয় সংবাদ চ্যানেল। যেখানে শিক্ষিকাকেও বলা হয় যে স্মাগ্লার। অথচ সেই শিক্ষিকা এর কিছুই জানত না। ছেলেটি শিক্ষিকার সন্ধানে একলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরে। ছুটে যায় কোলকাতায়। এখানে সেখানে ঘুরে ফেরে। কাজ নেয় এক হোটেলে। চলতে থাকে অমানসিক সংগ্রাম। কাজের ফাঁকে ফাঁকে খোঁজতে থাকে তার প্রিয় শিক্ষিকাকে।

একদিন সেই হোটেলের মালিক খবরের কাগজ পড়তে থাকে পত্রিকার পাতায় চোখ আটকে যায় কিশোরের। জানতে পারে সেই শিক্ষিকা আর তার বন্ধু আটক হয়েছে কোলকাতার পুলিশ তাদের আদালতে তুলবে। কিশোরটি ছুটে যায় আদালত প্রাঙ্গণে। দেখে প্রিয় শিক্ষিকার সেই চিরচেনা মুখ। যাকে সে হন্য হয়ে খোঁজে চলছে অবিরাম। চলছে বেঁচে থাকার জীবন সংগ্রাম। ছুটে যায় পুলিশের কাছে আবদার করে তার সাথে সাক্ষাৎ করিয়ে দিতে। অনেক চেষ্টার পরে সে সফলকাম হয়। সাক্ষাৎ হয় দুজনের, কথা হয়। অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে শিক্ষিকা। একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকে। কিভাবে সে এখানে, কেন, বাবা-মাকে ছেড়ে এসেছে কেন। সুবোধ বালক সব প্রশ্নের উত্তর দেয় তার স্বাভাবিক ভঙ্গীতে। শিক্ষিকার জন্য নিয়ে আসে টিস্যু। যা সে দিতে চায় শিক্ষিকাকে কিন্তু জেলে তা নেওয়া যাবে না বলে প্রথমে সে ফেরত দিতে চায় কিন্তু ছেলেটি একটি টিস্যু মুড়িয়ে জেলের রডের ছিদ্র দিয়ে দিয়ে দেয়। শিক্ষিকা প্রশান্ত মনে মুছে চলে চোখ মুখ। এবং কিশোরকে বলে গ্রামে ফেরত যেতে অঙ্গিকার করে যে প্রতিনিয়ত সে চিঠি লিখে সে জানাবে তার অবস্থা এবং সে নিজেও চিঠি পাবে বলে আশা করে ছেলেটির কাছে। ছেলে যথারীতি ফিরে যায় গ্রামে। সেই স্কুল বন্ধু লাড্ডু। বাবা মা, বাজারের দোকানদার পাড়া প্রতিবেশী সবাই খুশি হয় ছেলেটি ফেরত আসায়।

শেষ হয় সিনেমা। থেকে যায় পরিচালকের এক অনুপম হাতের কাহিনীচিত্র। দুটি প্রাণের সরল সম্পর্কের মাঝে সামাজিকতার সকল দেয়াল হয়ে উঠে অবান্তর। বাস্তবতার দারুণ চিত্র এঁকেছেন অভিনেতা,অভিনেত্রীসহ সকল কলাকুশলী। যা আমার দেখা এই পর্যন্ত সেরা ছবি।

(চলবে)

বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা – ১

বাংলাদেশে ৫৪ প্রজাতির উদ্ভিদ আছে যাদের ইচ্ছাকৃতভাবে উঠানো, উপড়ানো, ধ্বংস বা সংগ্রহ করা নিষিদ্ধ। আপনি যদি তাদে ইচ্ছাকৃতভাবে উঠান, উপড়ান, ধ্বংস বা সংগ্রহ করেন তাহলে আপনার ১ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারেন। এই একই অপরাধ যদি আপনি দ্বিতীয়বার করে তাহলে আপনার এই দণ্ড দ্বিগুণ হবে। এই ৫৪ প্রজাতির গাছগুলিকে বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদ বলা হয়

৫টি পর্বে এই ৫৪টি গাছ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। এবার দেখেন প্রথম পর্বের ১০টি গাছের কতটিকে আপনি চিনেন।

১ : অনন্তমূল

ছবি – নেট

২ : উদাল
R8tb6slh
ছবি – নিজ

৩ : উদয়পদ্ম

ছবি – নেট

৪ : উরি আম

ছবি – নেট

৫ : উর্বশী

ছবি – নিজ

৬ : কাঁটালাল বাটনা

ছবি – নেট

৭ : কামদেব

ছবি – নিজ

৮ : কির্পা

ছবি – নেট

৯ : কুঁচ

ছবি – নেট

১০ : কোথ

ছবি – নেট

সম্পূর্ণ তালিকা
১ : অনন্তমূল
২ : উদাল
৩ : উদয়পদ্ম
৪ : উরি আম
৫ : উর্বশী
৬ : কাঁটালাল বাটনা
৭ : কামদেব
৮ : কির্পা
৯ : কুঁচ
১০ : কোথ
১১ : কুম্ভি
১২ : কুর্চি
১৩ : কর্পূর
১৪ : কুসুম বা জায়না
১৫ : খাসি পিচার প্লান্ট
১৬ : খলশী
১৭ : গয়া অশ্বথ
১৮ : গলগল
১৯ : চুন্দুল
২০ : জইন
২১ : জহুরী চাঁপা
২২ : টালি
২৩ : ডুথি
২৪ : তালিপাম
২৫ : তেজবহুল
২৬ : তমাল
২৭ : ত্রিকোণী বট
২৮ : ধুপ
২৯ : নীল রাস্না
৩০ : পাদাউক
৩১ : পুদিনা
৩২ : প্রশান্ত আমুর
৩৩ : পশুর
৩৪ : বইলাম
৩৫ : বালবোফাইলাম
৩৬ : বাঁশপাতা
৩৭ : বাসন্তীরঙা ডেনড্রোবিয়াম
৩৮ : বিশালপত্রী ডেনড্রোবিয়াম
৩৯ : বেসক ডেনড্রোবিয়াম
৪০ : বড় ভেন্ডপসিস
৪১ : বুদ্ধনারকেল
৪২ : বর্মি মইলাম
৪৩ : মনিরাজ
৪৪ : মহা ডেনড্রোবিয়াম
৪৫ : রিটা
৪৬ : রেড ভান্ডা
৪৭ : লেডিস স্লিপার
৪৮ : লতা বট
৪৯ : সিংড়া
৫০ : সিভিট
৫১ : সিম্বিডিয়াম অ্যালোয়ফোলিয়াম
৫২ : সমুন্দরফল
৫৩ : হাড়জোড়া
৫৪ : হরিনা

সূত্র : বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২