বিভাগের আর্কাইভঃ অন্যান্য

কালী কালী মহাকালী…… কালরাত্রি দেবী চণ্ডিকা দেবী মহাকালী আগমনী স্তুতি (দ্বিতীয় পর্ব )

কালী কালী মহাকালী…… কালরাত্রি দেবী চণ্ডিকা
দেবী মহাকালী আগমনী স্তুতি (দ্বিতীয় পর্ব )

স্তুতিপাঠ ও কলমে লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

images

(শংখধ্বনি ও ঢাকের বাদ্য সহ কাঁসর-ঘন্টাধ্বনি)

(গীত)

ঔঁ জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রকালী কপালিনী
দুর্গা শিবা ক্ষমা ধাত্রী স্বাহা স্বধা নমোহস্তুতে।
ঔঁ কালী কালী মহা কালী কালিকে পাপনাশিনী
সুধা তমক্ষরে দেবী কালিকায়ৈ নমোহস্তুতে।

স্তুতিপাঠ

দেবী আসছেন! বেজে ওঠে মহাশঙ্খ।
ঢাকের শব্দে, কাঁসরের ঝংকারে
আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হয়।
চতুর্ভূজা মা কালী দেবীচণ্ডিকার আবির্ভাবে
তাঁর আগমনী বন্দনা গীতিতে
বিশ্ববাসীর কণ্ঠে ধ্বনিত হয়।

“কোথা তুমি শঙ্খ চক্র খড়্গ মহাস্ত্রধারিণী
কালী কপালিনী মা ছিন্নমস্তা!
তুমি ওঠো তুমি জাগো।
তুমি নেমে এসো ধরার বুকে পুনর্বার।
বাজাও তোমার প্রণববিষাণ মহাহুঙ্কারে,
মিলে যাক, মিশে যাক!
অধর্মের আছে যত ব্যভিচার।
সৃষ্টি হোক নতুন এক ধর্ম, নতুন এক যুগ।
জাগো জাগো মা!
তুমি না জাগলে সন্তানকূল ঘুমিয়ে পড়বে।
সন্তানকে অভয় দাও মা আদ্যাশক্তি মহামায়া”।

তুমি শক্তি, তুমি ভক্তি!
তুমি কলাকাষ্ঠা, কালরূপে অবস্থিতা,
তোমার পূণ্য স্তবগাথায় দিকে দিকে
ধ্বনিত হোক মঙ্গলশঙ্খ, জ্বলে উঠুক
মঙ্গল দীপ, প্রজ্বলিত হুতাশনের
দেদীপ্যমান কিরণে ধরণীর কোণে কোণে
ঘনঘোর তমসা বিদুরিত হোক।
ধরণী হোক প্রাণময়ী। হে মা কল্যাণময়ী!
তোমার আগমনে সারা বিশ্বচরাচরে
বিশ্ববাসীর স্বীয় কল্যাণে বিশ্ববাসী
গেয়ে উঠুক–

তারা তুমি, তুমি মা কালী,
তুমি দুর্গা মহামায়া।
তুমি শক্তি, তুমি মা ভক্তি
তুমি কালরূপী ছায়া।

প্রণাম মন্ত্র:
কালী কালী মহাকালী কালিকে কালরাত্রিকে।
ধর্ম কাম প্রদে দেবী নারায়ণী নমোহস্তুতে।।

মুখোমুখি- দীর্ঘ ছড়া

মুখেমুখে রটে কথা, খই ফোটে মুখে,
মুখ খুলে জীবনটা কাটে কারো দুখে।
কথা ঝেড়ে মুখ মেরে মুখ টিপে হাসে,
মুখ দেখে সুখ, কেউ মুখে ভালবাসে।

মুখে মেখে চুনকালি মুখ বুজে থাকে ,
মুখ উজ্জ্বল করে কেউ মুখ রাখে।
মুখ পুড়ে যায় কারো, মুখে পড়ে আলো,
মুখ ঝামটাতে কারো মুখ হয় কালো।

মুখটা খারাপ ভারি হয়ে থাকে কারো,
ভয়েতে শুকায় মুখ, হয় মুখ ভারও।
মুখ সামলিয়ে কথা বলা ভাল নাকি,
মুখেতে আগুন দিতে কেউ আছে বাকি!

বড় মুখ করে কথা বলে কেউ শেষে,
লজ্জায় মুখ ঢেকে মরে কেশেটেশে।
মুখের মতন দিয়ে জবাবটা পরে,
মুখ চুন করে কারো যেতে হয় ঘরে।

মুখটা ফসকে কথা বের হয়ে গেলে,
মুখ তুলে চাওয়া দায় হয় অবহেলে।
মুখ থুবড়িয়ে পড়ে, মুখ কারো চলে ,
মুখে ফুল চন্দন পড়ে- লোকে বলে।

বুক ফাটে তবু কারো মুখ তো না ফোটে,
মুখে মধু ঝরে কারো মুখে ছাই জোটে।
কত মুখ চেয়ে থাকে এক মুখপানে,
দশমুখ ভরা সোজা নয়- লোকে মানে।

থোঁতামুখ ভোঁতা হলে মুখে রা না করে,
বিপদের মুখে পড়ে কেউ কেঁদে মরে।
অভিমানে মুখ ফোলে, রাগে মুখ লাল ও-
মুখে দেয় থুথু, কারো চাঁদমুখ ভালো।

মারমুখো হয়, কেউ ক্লুপ আঁটে মুখে,
পোড়ামুখী বাসিমুখে হাসি দেয় সুখে।
সম্মুখে কম মুখই- মুখোশ তো বেশি,
মুখটা ঘুরিয়ে নেয় কেউ শেষমেশই।

মুখে ভাত দিতে কেউ মুখোমুখি বসে,
মুখ চাওয়াচায়ি করে, কেউ মুখ ঘষে।
মুখ চুরি করে ছড়া লিখে থোড়াথোড়া,
এই ছড়াকার শেষে হলো মুখচোরা।

রাধা কৃষ্ণের বিলাস………………..

9ACB1BF6-1803-45EC-937C-A837CDF1BC57

রাধা কৃষ্ণের বিলাস…………….

এক বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলাম,
তুমি এসে পথরোধ করে দাঁড়ালে,
দু’হাত বাড়িয়ে দিয়ে উন্মুক্ত করে দিলে তোমার প্রশস্ত বুকের জমিন,
আমি সকল অভিমান ভুলে গিয়ে তোমার বুকে প্রবেশ করলাম,
তখন বৃষ্টিতে ভিজে গেছে তোমার শার্ট, তোমার বুক
এবং তুমি আমি দুজনেই,
গভীর আলিঙ্গনে তুমি জড়িয়ে আছো আমাকে,
প্রেমের ক্যানভাসে ভালোবাসা সব উথলে উঠেছে,
উত্তেজিত নদী বেপরোয়া ঢেউয়ে,
আমিও ডুবে যাই নদীর বিশালতার মাঝে,
তৃষ্ণার সুবিশাল রাত্রির গহন জলে
ভেসে ভেসে হারাই দুজন জেগে জেগে পোড়াই দুটি মন,
ভালোবাসার শ্রাবণ ধারায় অশান্ত মনের ব্যাকুলতা,
তোমার ঠোঁটে ঠোঁট রেখে এক শান্তিচুক্তির স্বাক্ষরতা,
মেঘের সংঘাতে বিদ্যুতের মতাে প্রাণ দু’জনার উঠেছিল জ্বলে,
তােমারই নৌকোয় আমি যমুনার গ্রামে পৌছে যেতে চাই,
সেই যে যমুনা তীরে রাধা আর কৃষ্ণের বিলাস
হৃদয়ের অব্যক্ত কথা বলে দেবার জেগেছে প্রয়াস,
আজ না হয় দু’জনে ডুবে থাকি কেবলই ডুবে থাকি ভালোবাসায়,
এলোমেলো বিজন রাতের গভীরে সঙ্গোপনে.
শুধু এ হৃদয় জানে —
বুকের ভিতর শূন্যতাকে পূর্ণতা দিতে
কীভাবে শীৎকারের শব্দে স্বপ্ন ছোঁয়া আলিঙ্গনে বিশুদ্ধ প্রেমে…………

— ফারজানা শারমিন ( ছবি সংগৃহীত )
০২ – ১১ – ২০২০ইং

শব্দ

পাখির কলতান শুনি,
বাতাসে নড়ে উঠা ধানগাছের মর্মস্পর্শী আওয়াজ,
আগুনের দাউ দাউ আস্ফালন,
পাহালে পাটখড়ির পট পট ধ্বনি,
ভালবাসা প্রকাশের শরীর সঞ্চালন শব্দ শুনি,
নবজাতকের ক্রন্দন শুনি-

সকল শব্দ একত্রে চলমান, কিছু বিস্ফোরিত,
কখনও স্থবির, কখনও প্রবহমান,
শহরের শব্দ শুনি- গ্রাম্য আবহের শব্দ, দিন রাত্রির,
অল্পবয়সী বাচালের প্রিয় অযথা সংলাপ,
খাওয়ার সময়ের কর্মজীবি লোকের অট্টহাসি,
শত্রুতার কোলাহল, রোগীর বিলাপ,
জজের টেবিলে হাতুড়ী পিটানোর শব্দ,
তার মলিন পাণ্ডুবর্ণ ঠোঁটে উচ্চারিত
মৃত্যুদন্ডের ঘোষনা শুনি-

ঘাটে জাহাজ ভিড়ানোর, নোঙর ফেলার শব্দ শুনি
ঢং ঢং বেজে উঠা ঘন্টা, আগুনের ক্রন্দন শুনি
ট্রেনের হুইশালের শব্দ, বাস ট্রাকের হর্ণের শব্দ
যন্ত্র ঘর্ষণের ঝিক ঝিক, যাত্রীর হাকডাক,
ট্রাফিকের হুইশাল শুনি-

বেহালার সূর শুনি
গিটার, তবলার ঐক্যতান
গণমানুষের কোরাস শুনি,
অসংখ্য মানুষের হৃদয়ের প্রতিধ্বনি শুনি।

মাঝে মাঝে ক্লাসিক সংগীত শুনি
প্রশিক্ষিত কণ্ঠ নিয়ে অপরূপ রমনী
শৈল্পিক উচ্চারণে মাতিয়ে তুলে
বাদকদল উড়িয়ে নিয়ে যায়,
যেন ঘুরপাক খেতে থাকি শনির বলয়ে,
পাল তোলা নৌকার মত দুলতে থাকি,
নগ্ন পায়ে তাদের বাদ্যতরঙ্গে নেচে উঠি-
নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে! উড়নচন্ডী হয়ে যাই!

শুধু তোমর মুখ থেকে
‘ভালোবাসি তোমায়’ শব্দ দুটি
কতদিন শুনি না
কতদিন শুনি না!

পৌরাণিক পালার পটভূমিকায় সামাজিক নাটক করোনা-ঘাতিনী দেবী দুর্গা

পৌরাণিক পালার পটভূমিকায় সামাজিক নাটক করোনা-ঘাতিনী দেবী দুর্গা
করোনা আবহে সাড়া জাগানো এবছরের প্রথম
পৌরাণিক পালার পটভূমিকায় সামাজিক নাটক
করোনা-ঘাতিনী দেবী দুর্গা

0

চরিত্রলিপি:

দেবী দুর্গা- ডাক্তার (চিকিত্সক)
লক্ষ্মী- নার্স (সেবিকা)
গণেশ- পুলিশ অফিসার
সরস্বতী- অধ্যাপিকা
কার্তিক- সাফাইকর্মী

মহিষাসুর- করোনাসুর

প্রস্তাবনা

নেপথ্যে ঘোষিত হবে

মহিষাসুর ভগবান ব্রহ্মের একনিষ্ঠ উপাসক ছিলেন। বহু বছর তপস্যার পর ব্রহ্মা তাঁকে একটি বর প্রদান করেছিলেন। মহিষাসুর নিজের শক্তি নিয়ে গর্বিত ছিলেন। তিনি ভগবান ব্রহ্মার কাছ থেকে অমরত্বের বর চেয়েছিলেন, এবং তাঁর ইচ্ছা ছিল পৃথিবীর কোনও মানুষ বা প্রাণী তাঁকে যেন হত্যা করতে না পারে। ব্রহ্মা তাঁকে এই বর প্রদান করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে তিনি একজন মহিলার কাছে পরাস্ত এবং নিহত হবেন।

মহিষাসুর তাঁর শক্তির ওপর এতটাই আস্থা করতেন যে তিনি বিশ্বাস করেছিলেন, এই পৃথিবীতে কোনও মহিলাই তাঁকে হত্যা করতে পারবে না। মহিষাসুর তাঁর সেনাবাহিনী নিয়ে ত্রিলোক (স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল) আক্রমণ করেন এবং ইন্দ্রলোকও (ভগবান ইন্দ্রের রাজ্য) জয় করার চেষ্টা করেন। তাঁর অত্যাচারে সারা জগৎ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল।

দেবতারা মহিষাসুরের সাথে যুদ্ধ করলেও ভগবান ব্রহ্মার আশির্বাদের ফলে কেউ তাঁকে পরাস্ত করতে পারেনি। এরপর, দেবতারা ভগবান বিষ্ণুর কাছে সাহায্য প্রার্থী হন। মহিষাসুরকে বধ করার জন্য সমস্ত দেবতা ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং শিব তাঁদের সমস্ত শক্তি একত্রিত হয়ে সৃষ্টি করেন দেবী দুর্গার।

যা দেবী! সর্বভূতেষু শক্তিরূপেন সংস্থিতা।
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।।
যা দেবী! সর্বভূতেষু মাতৃরূপেন সংস্থিতা।
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।।
যা দেবী! সর্বভূতেষু শান্তিরূপেন সংস্থিতা।
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।।

সুত্রধর মাইকে ঘোষনা করবেন:

বিশ্বত্রাস করোনা পৃথিবী জেলখানা। দিকে দিকে লক ডাউন। সারা পৃথিবী জুড়ে হানা দিল বিশ্বত্রাস করোনা। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে চলা লকডাউনে পুলিশের ভূমিকা একজন প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা হিসেবে।

1

চিকিৎসক রূপে দেবী দুর্গা করোনারূপী অসুরকে ইঞ্জেকশন দিয়ে বধ করছেন। মা লক্ষীকে নার্সের রূপে ও দেবতা গণেশ পুলিশের ভূমিকায়। দেবী সরস্বতীকে দেখানো হয়েছে অধ্যাপিকার ভূমিকায় আর দেব কার্তিক সাফাইকর্মী রূপে অবতীর্ণ হয়েছেন।

2

রোগীর সেবায় নিয়োজিত দেবী লক্ষ্মী সেবিকা রূপে বিরাজমানা। সাফাইকর্মী হিসেবে যাঁরা নিরলস পরিষেবা দিয়ে চলেছেন কার্তিকেয় সাফাইকর্মীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।

প্রায় সাত মাস ধরে করোনাসুরের সাথে দেবী দুর্গার লড়াই চলে। করোনাসুর একের পর এক আলাদা আলাদা রূপে সকলকে গ্রাস করতে থাকে। অবশেষে, চিকিৎসক রূপে দেবী দুর্গা করোনারূপী অসুরকে ইঞ্জেকশন দিয়ে বধ করছেন। করোনাসুরমর্দিনী অর্থাৎ করোনা-ঘাতিনী দেবী দুর্গা।

যাত্রার মঞ্চ হসপিটালের মতোই চিত্রিত করা হবে। একাংশে আলোর বিচছুরণে আইসোলেশন রুমের মতই মনে হবে। আলোর বিচ্ছুরণে দেখা যাবে এক একটি কক্ষ। অপারেশন থিয়েটার নার্স ডাক্তার স্টেথোস্কোপ, মেডিসিন সবকিছুই মঞ্চের একাংশে দৃশ্যমান হবে। আলো নিভে যায়।

প্রথম অঙ্ক- প্রথম দৃশ্য
(মঞ্চের আলো জ্বলে উঠে। মিউজিক বাজতে থাকবে)

[চিকিত্সকের বেশে দেবী দুর্গার প্রবেশ]

দেবী দুর্গা:

স্বর্গ হতে আগমন মম মর্ত্যধামে।
করোনা অসুরে করিব সংহার।

[মিউজিকের তালে তালে করোনা অসুর প্রবেশ করে]

করোনা অসুর:

হাঃ হাঃ হাঃ (বিকট অট্টহাসি)

দেবী দুর্গা:

চিকিত্সক আমি। হাতে মম ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ
তাই দিয়ে করিব অসুর সংহার।

করোনা অসুর:

হাঃ হাঃ হাঃ (বিকট অট্টহাসি)
অসম্ভব! করোনা অসুর অজর অমর।
কার সাধ্য রোধে মোর গতি।
সকলেরে করিব আমি গ্রাস। (পুনরায় অট্টহাসি) প্রস্থান

দেবী দুর্গা:

সকলের অবধ্য হলেও আমার হস্তে
হবে তোর বিনাশ।
শোন ওরে মদ-দর্পী করোনা অসুর,
যেমতি তুই একে একে সর্ব ভুখণ্ডে
করিলি অবাধ গতি। সেই হেতু তোরে
আজি অকালে তোরে করিব নিধন।
আজি হতে হব আমি…. করোনা-ঘাতিনী দেবী দুর্গা
নাশিতে করোনা অসুরে সিরিঞ্জ লয়ে হাতে
বধিব অবোধ তেমতি তোরে।
সংহার- সংহার- সংহার।

দৃশ্যন্তর

এলেবেলে-৩৪

মনে হয় এই রকম কথা আগেও লিখেছি।
আমি যখন এসএনএস শুরু করেছি তখন জাকারবাগ স্কুলে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় জাকারবাগ প্রেমিকার সাথে বিচ্ছেদ হবার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার হ্যাক করে যাত্রা শুরু তার…. বিস্তারিত জানতে হলে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক নামে একটা মুভি আছে দেখে নিতে পারেন।

আমাদের প্রথম যুগের এসএনএস এর সাথে যারা পরিচিত তারা এসএনএস এর বেসিক বিষয় মেনে চলেন। এই গুলো আপনার প্রাইভেসির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফেসবুকে আপনার বন্ধুর ষ্ট্যাটাস গুলো গভীর ভাবে লক্ষ্য করুন। এদের মধ্যে কেউ কেউ কখনো তার ব্যক্তিগত কোন তথ্য শেয়ার করে না। ধরা যাক আপনি আপনার প্রোফাইল এ আপনার মোবাইল নম্বর যোগ করছেন। কিন্তু আমি করিনি ফেবু আমাকে বারবার বলবে তোমার অমুক অমুক বন্ধু ফেবু প্রোফাইল এ মোবাইল নম্বর যোগ করছে।

জন্মদিনও সেরকম।
আপনি যেমন নিজের কথা পরিবারের কথা রাখডাক না রেখে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারেন অন্যের ব্যাপারে আপনার আপত্তির কারণ দেখি না। আপনি যেমন নিজের স্ত্রী, স্বামী, সন্তান, মা বাবার কথা ফেসবুক এ শেয়ার করতে পারেন অন্যেরও সেই অধিকার আছে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো তিনি আপনার ডাটা বা সার্ভার ব্যবহার করছে না। সুতরাং অহেতুক বিব্রতবোধ করে নিজেকে হাস্যকর করার মানে নেই।
আমাদের সেই যুগের এসএনএস এ ভয়েস চ্যাট ই বেশি আনন্দের ছিল। ভয়েস চ্যাট করার সময় আমি একটা কথা সব সময় বলতাম “অন্যের মুখ বন্ধ করার ক্ষমতা আমার নেই, কিন্তু নিজের কানে আঙ্গুল দিতে পারি শুনতে না চাইলে!”

ফেসবুক এ যাদের লেখা ভালো লাগে না, সম্ভব হলে আনফলো করি।
ফেসবুক একটা বিনোদন মাধ্যম। এখানে কেউ নীতি শিখতে আসে না। মজা করতে আসে। আমি নিজেও এখানে মজা করতে আসি, হয়তো আপনিও। অন্যের ষ্ট্যাটাস কে উপহাস করার আগে নিজের টাইম লাইনে গিয়ে অন্যের চোখে আপনার ষ্ট্যাটাস গুলো দেখুন। দেখলে বুঝবেন আপনি যাকে নিয়ে উপহাস করছেন আপনার ষ্ট্যাটাস এও সেরকম অনেক কিছু আছে যা অন্যের চোখেও হাস্যকর!

facebook-540

আবেদন

IMG_2

কোনো এক পড়ন্ত বিকেলে
দেখা হবে দুজনে
হাতে হাতে রেখে
না হয় বললাম কিছু কথা,

মনের গহীনে জমে থাকা কিছু ব্যাথা
বিলিয়ে দিবো তোমার উষ্ণতায়
হারিয়ে লাজ হবো বেসামাল
মাতিয়ে কামুক ঝংকার
না হয় হলাম উন্মাদ,
তবে কোনো পড়ন্ত বিকেলে।

কোনো এক পড়ন্ত বিকেলে
বলে দিবো সব
ছুঁয়ে দিবো তোমার উড়ন্ত কেশ
আলতো করে চুমো নিবে
বলি দিবো এতোদিনের ক্লেশ।

তবে কোনো এক রাতদুপুরে
ঝিঁঝিঁ পোকার সুর তালে
জ্যোৎস্নার গন্ধে চুষে নিবো ব্যাথাদের জল
নামিয়ে দিবো তোমার লাজুকতা
নরম স্পর্শে হবে তোমার কষ্টের কামুক জাগ্রতা।

চলো তবে
অধর আলিঙ্গনে হয়ে যাই কিছু সময়ের জন্য বেসামাল,
এসো তবে মিলিয়ে নেই না পাওয়ার হিসেব
কিছুটা সময়ের জন্য চাই
নিজেকে নুঁয়ে দিলাম
যত পারো খুঁজে নাও তোমার ইচ্ছে সাহেব।

—ডেডিকেট টু নিম পাতার চা—

শরীর

এক.

নাফ নদীডা বঙ্গ সাগরে মিইশা গ্যাছে।
বার্মা রাজ্যের অনেকগুলান
মরা মানুষ ভাইসা আইছে।
মাইয়াডা সাগর দিয়া ভাসতে ভাসতে চইলা আইছে
কেউ জানে না কেমনে আইছে!
সবায় জানে ভাইসা আইছে।
পরথম তারে দ্যাখা গেছে উবুত হইয়া হুইয়া আছে।
জটল্লা বাইন্দা হগলতে দেখতে লাগচে।
একডা মাইয়া উবুত হইয়া হুইয়া আছে।
মাইয়াডা ভাইসা আইছে।
হগলতে কয় মাইয়াডা বাইচা আছে!
কিছুপর মাইয়াডা চোখ মেইল্লা চাইয়া রইছে।

দুই.

ভাষাডা বাংলামতো কিছু বুঝা যাইছে।
অল্প পরে অবাক হইছে ,
মাইয়াডা সুইন্দর কইরা
কোরানডা তোলোয়াত করতে লাগছে।
এতিম খানায় তার ঠাই হইছে।
সকাল বিকাল খাইবার পাইছে।
ছোড ছোড পোলাপান তার কাছে কায়দা
পড়া করতে লাগছে।
মাঝে মাঝে সাগর পারে ঘুরতে গেছে,
ঝিনুক শামুক কুড়াইয়াছে।
বেশতো দিন কাটিছে,
মাইয়াডার একটা ঠাই হইছে।

তিন.

সইন্ধাবেলায় অনেকগুলা জোয়ান পোলা
সাগর পারে ঘুরতে লাগছেে
একটা পোলা আন্ধাইরে
মাইয়াডারে কাছে ডাইকা লইছে
ঝিনুক শামুক দামাদামি করতে লাগছে,
এক ফাকে তার বুকের মাঝে হাত দিয়াছে।
কতবেল সাইজের ফুইলা উঠা
ছোড ছোড মাংসগুলায় আদর দিছে, আদর দিছে।
মাইয়াডা কাইপা উঠছে, মাইয়াডা কাইপা উঠছে।
ছেলেডা জিগাইছে, কেমন লাগছে? কেমন লাগছে?
মজা লাগচে, মজা লাগছে।
মজা লাগচে, মজা লাগছে।
ঝিনুকের মালা না নিয়া কই যাইতে লাগছে?
বিশ টাহা তার দাম আছে।
ছেলেডা একশ টাকা গুইজা দিছে।
বুকের মাঝে আদর দিলে তার দাম আছে,
মাইয়াডা বুইজা গেছে।

চার.

সকাল বেলা কুরানডা পইড়া মাইয়াডা
যেই বাইরে আইতে লাগছে।
পিছন থেইকা হুজুর মিঞা যাইতা ধরছে।
বুকের মাঝে হাত পড়েছে।
মাইডা বুঝতে পারছে। অবাক হইয়া চাইয়া রইছে।
হুজুর মিঞা হাসতে হাসতে
আরও জোরে চাইপা ধরছে।
জিগায়তাছে, কেমন লাগছে? কেমন লাগছে?
মজা লাগচে, মজা লাগছে।
মজা লাগচে, মজা লাগছে।
বুকের মাঝে আদর দিলে তার দাম আছে,
মাইয়াডা চাইয়া রইছে।
গরিব মানুষ, আমার একটু শখ জাগছে-
বইলা হুজুর চইলা যাইতে গালছে।
বুকের মাঝে আদর দিলে তার দাম আছে,
মাইয়াডা পিছন পিছন চইলা আইছে।

পাঁচ.

পরের দিন বিয়ানে মাইয়াডা হুজুররে খুঁজতে লাগছে
পরের দিন দুপুরে হগলতে হুজুররে খুঁজতে লাগছে
পরের দিন রাইতে হুজুর কোথাও নাই
হগলে জাইনা গেছে।
আদর দিয়া হুজুর মিঞা কোথায় যেন চইলা গ্যাছে,
সাগর দিয়া ভাইসা গেছে।

মাথাপিছু আয় ও বিড়াল সম্প্রদায়ের বিভ্রাট!

1603275421634

আমার বাসার পাশে ধবধবে সাদা গাত্রবর্ণের একটি বিড়ালছানা এসে হাজির হয়েছিলো। দু’দিন ধরে একই জায়গায় রয়েছে। কে বা কারা হয়তো অন্ধকারের আড়ালে এখানে এসে রেখে গিয়েছে। হয়তো হতে পারে বিড়াল সম্প্রদায়ের কোন অনুপ্রবেশকারী এ ঘটনা ঘটিয়েছে।সে যায় হোক এখন সব থেকে বড় সমস্যা হলো এ সম্প্রদায়ের বিড়ালের মাথাপিছু আয় কত সেটা এখনো হিসেব করে ওঠা হয়নি!

যে বিড়াল কারো বাসায় শখের গৃহপালিত প্রাণী বলে ম্যালা যত্ন-আত্তি পায় তার মাথাপিছু আয় কি সারাদিন না খেতে পেয়ে এদিক ওদিক দাপিয়ে বেড়ানো বিড়ালের চেয়ে বেশী হবে নিশ্চয়!কিন্তু সব থেকে সমস্যা হলো বিড়াল সম্প্রদায়ের ভাই বেরাদর জ্ঞাতিগোষ্ঠীর মধ্যে অধিকাংশই দুর্নীতিগ্রস্ত। এক টুকরো তেলাপিয়া মাছ দিলেই সব হিসেব উল্টোপাল্টা করে দেয়… ইলিশ, কাতল হলে তো কথাই নেই।

তো বেশ ক’দিন ধরে চলছে বিড়াল সম্প্রদায়ের মাথাপিছু আয় গণনার কাজ। তো প্রাথমিকভাবে এ নিয়ে একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। গৃহপালিত মোটাসোটা বিড়ালদের একাংশ পদাধিকার বলে দায়িত্ব পেলেন এই বিড়াল শুমারীর। কিন্তু আরেকটা বিপত্তি দেখা গেলো..বিড়ালদের মধ্যে কেউ একজন হঠাৎ বলে উঠলো:

মেউ, শুনেছি বড় কাজ করার আগে বিদেশে ট্রেনিং নিতে যেত হয়…তো সেটা ব্যবস্থা করলে ভালো হতো না? মেউ…

এ বড় চিন্তার বিষয়…এত বড় একটা কাজ হবে অথচ কোন বিড়ালের বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হবে না এটা কি করে সম্ভব! তো সেই মোতাবেক বিড়ালদের অভিজাত শ্রেণির একাংশ ৫০০ কোটি টাকা ব্যায়ে উগান্ডায় প্রশিক্ষণে গেলো। এদিকে বিড়ালদের মাথাপিছু আয় গণনার কাজ এখনো একটুও আগায়নি…

অভিজাত বিড়ালদের একটি শ্রেণি বিড়ালদের খবরের কাগজ ‘বিড়ালের আলো’ পত্রিকায় নিয়মিত বড়বড় কলাম লিখে চলছে… বিড়ালদের দ্রুত মাথাপিছু আয় গণনা করো। অন্যথায় আন্দোলন হবে ঈদের পরে। কিন্তু কি করে বিড়ালদের মাথাপিছু আয় গণনার করা হবে…?সেটা তো অত্যন্ত দূরূহ একটি কাজ…প্রথম সমস্যা হলো বিড়ালের মাথাপিছু আয় গণনায় কেন মূদ্রার হিসেবে করা হবে? দ্বিতীয় সমস্যা বিড়াল সমাজের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা নেই…আর কিছু বিড়াল একদল থেকে আরেকদলে অনুপ্রবেশকারী। সুতরাং সেই বিড়ালটির মাথা পিছুআয় হিসেব করা বড্ড গোলমেলে হয়ে যাবে। কিন্তু মাথাপিছু আয় হিসেবে না করলে অন্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে তুলনায় কোথায় হবে?

বিড়ালদের মধ্যে একাংশ দাবি জানিয়েছেন, সকল বিড়ালের খাবার নিশ্চিত করো…ওসব মাথাপিছু আয় দিয়ে আমাগো লাভ নাই…কিন্তু সেসব পাত্তাই পায়নি…আগে মাথাপিছু আয় তারপর অন্যকিছু…যাহোক এসব করতে করতে আমার বাসার পাশের বিড়াল ছানাটি আবারো নিখোঁজ হয়ে গেলো…যাক নিখোঁজ হয়েও বাঁচা গেল.. নইলে মরলে মাটি দিতে হবে না পুড়িয়ে ফেলতে হবে সে নিয়েও বিড়ালপতিদের মাঝে বিরাট গ্যাঞ্জামের সৃষ্টি হতো। 😴

মুখোমুখি

আমার একজন বন্ধু আছে,
দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে উপরে কেউ আছে।
যদিও নয় বোকার হদ্দ
যা কিছু জানে শুষ্কতা আর আদ্র
সবকিছু শেষ পর্যন্ত আকাশে মিলায়।
ভাবে, সবকিছু কেউ একজন সমন্বয় করে যায়।

চিতার মুখে হরিণ শাবক রক্তাক্ত করে অবলীলায়
ঘুরতে গিয়ে দেখি, টানতে টানতে জঙ্গলে চলে যায়।
আমি সৌন্দর্য খুঁজি, মিশিয়ে সৃষ্টিশীল কল্পনা
শব্দতুলিতে আকি সুন্দরের চিত্রকল্প আলপনা,
আর একটা ভীতুর ডিম- যখন সামনে আসে বিপর্যয়
এরূপ বীভৎস দৃশ্য, দ্রুত আমার চোখ বন্ধ হয়!
আমার বন্ধুটির সেই ক্ষমতা আছে প্রকৃতির এইসব
ক্রুদ্ধতা রুক্ষতার ঘটনা শান্তচিত্তে করে অনুভব।

বন্ধু বলে, এই যে চোখ বন্ধ করা, বাস্তবতা পরিহার
বলে, আমি সেই রুগীর মতো যে চোখ অন্ধকার
করতে মাথা ঢেকে রাখে বালিশে, ভাবে মাথা ব্যাথা
উপশম। বলে, আলোকিত জীবন কথোকথা-
বলে, নিমগ্ন কাটিও না কাল, হও মুখোমুখি
দেখো কিভাবে মৃত্যু মাঝে জীবন দেয় উঁকি!

বন্ধু আমাকে তিরস্কার করে।
আমরা হাঁটছি একই পথ ধরে।
সে বলছিল যখন তুমি পৃথিবীকে ভালোবাসবে
একটা স্বর্গীয় সঙ্গীত শুনতে পাবে।
বলে, খুঁজে দেখ। খুঁজি, পাই না তো কিছুই
কেবল মেঘ দেখি, বৃষ্টি, দেখি বাণিজ্যের ছড়াছড়ি।

রাস্তার ধারে বসে আমরা সূর্যাস্ত দেখি
সময় যায়, নিরবতা ভেঙ্গে দেয় নানা সুুুরের পাখি
এইখানে আমরা বাস্তবতাকে ব্যাখ্যা করতে চাই
মৃত্যু নির্জনতা সাথে স্বাচ্ছন্দ্যে সময় কাটাই-
আমার বন্ধু মৃত হরিণের বেদনার সাথে চিতার
উল্লাসকে জুড়ে দেয়, প্রচেষ্টা পরিপূর্ণ চিত্র আকার
শেষ যেখানে শুরুর আহার।
আমরা শান্ত এখানে, নিরব, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান
হঠাৎ রাস্তা অন্ধকার, শীতল হাওয়া দ্রুত বেগবান
এখানে সেখানে শিলাগুলি চকচকে উজ্জ্বল
আমরা ছুঁয়েছিলাম কিছুকাল ভালোবাসা কোলাহল।

প্রতিটি ভালোবাসা দিন শেষে ভালোবাসা হয়ে জন্ম নেয়।

(লেখাটি কিছুদিন আগে পোষ্ট করেছিলাম, কিন্তু কি কারণে জানি না লেখাটি ওপেন হয় না। আবার দিলাম, নিজের সংরক্ষণের জন্য)

সাময়িক পোষ্ট

SharedScreenshot20

শব্দনীড় ডট কম এর ডিজাইনে পোষ্টে Html বা php কোড লিখার অপশন বন্ধ করা আছে। লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন নতুন পোষ্ট যোগ করুন পেজ এ Html বা কোড লেখার অপশন নেই।দৃশ্যমান বাটন এ ক্লিক করে সাইটে অনুমোদিত অপশন সমুহ ব্যবহার করুন। বাংলা ব্লগ সাইটের মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন ব্লগ সমুহের  মধ্যে একটি হচ্ছে শব্দনীড়।পোষ্টে  html যোগ করার কারনে সাইটের এক জটিল সমস্যার সৃষ্টি হয়  সেকারনে এই সাইটে সরাসরি html লেখার সুযোগ নেই । 

সেই কারনে অন্য সাইট থেকে সরাসরি কপি করা পোষ্ট শব্দনীড়ে ত্রুটি হিসাবে দেখা যাবে।

আপনার লেখা সঠিক ভাবে পোষ্ট হচ্ছে কিনা দেখার জন্য নতুন প্রকাশনা যোগ করুন পেইজের ডান দিকে প্রাকদর্শন বাটন ব্যবহার করতে পারেন। ড্যাশবোর্ডে পূর্ব্বর্তী  পোষ্ট সম্পাদনা করতে গিয়ে যদি কিছু দেখা না যায় তো দৃশ্যমান বাটন ক্লিক করুন । 

 

আমার হৃদয় আজ উথাল-পাথাল

তুমি দিনের আলো, তুমি রাতের আধার
তুমি আমার সুস্থতা, তুমি কারণ অসুস্থতার
তুমি আমার রক্তের লোহিত কণিকা
তুমি আমার না ছুঁয়া আজন্ম ব্যাথা
তুমি কখনো ভেবে দেখোনি
তুমি কখনো খুঁজে দেখোনি

তুমি আমার ভয়, কখনো ভাবিনি
নিজেকে কখনো অপরূপ জানিনি
এই আঁধারে আমায় খুঁজে দেখো
হাতটি ধরে একটু সামনে হাটো
যেন পুরো পৃথিবী তোমার, পুরো পৃথিবী তোমার
যেন পুরো পৃথিবী আমার, পুরো পৃথিবী আমার

তবে তুমি আছো কিসের অপেক্ষায়?

আজ ভালোবাস তোমার যেভাবে মন চায়
ভালোবাস আমায় যেভাবে মন চায়
ছুঁয়ে দেখো তোমার যেভাবে মন চায়
ছুঁয়ে দেখো আমায় যেভাবে মন চায়

বিবর্ণ হৃদয়, বিবর্ণ শরীর
স্বর্গের চুড়ায় আমরা করছি ভীড়
তোমার শরীরের প্রতি ইঞ্চি আমার কাছে পবিত্র
যা আমি চেয়েছি খুঁজে সর্বত্র
তুমিই কেবল হৃদয় খানি প্রশান্ত করতে পারো
তুমিই কেবল শরীর খানি প্রশান্ত করতে পারো

তবে তুমি আছো কিসের অপেক্ষায়?

আজ ভালোবাস তোমার যেভাবে মন চায়
ভালোবাস আমায় যেভাবে মন চায়
ছুঁয়ে দেখো তোমার যেভাবে মন চায়
ছুঁয়ে দেখো আমায় যেভাবে মন চায়

হা হা, আমি এনেছি স্থবিরতায় গতি
আমার আজ ঠিক নাই মতিগতি
আমার হৃদয় আজ উথাল পাথাল
মাথার আজ হলো একি হাল!

তবে তুমি আছো কিসের অপেক্ষায়?

আজ ভালোবাস তোমার যেভাবে মন চায়
ভালোবাস আমায় যেভাবে মন চায়
ছুঁয়ে দেখো তোমার যেভাবে মন চায়
ছুঁয়ে দেখো আমায় যেভাবে মন চায়

শিউলি ঝরানো সকালে শরতের কবিতা শারদ সংকলন-১৪২৭ পঞ্চম পর্ব

শিউলি ঝরানো সকালে শরতের কবিতা
শারদ সংকলন-১৪২৭ পঞ্চম পর্ব

কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

শরতে সবুজ খেতে মেঠো পথে যেতে যেতে
মৃদু মন্দ সমীরণ বয়।
শরতের রং লাগে গাছে গাছে পাখি জাগে
পুলকিত সবার হৃদয়।

আমলকী বনে বনে যেন কাঁপে ঘনে ঘনে
জলাশয়ে ফুটেছে শালুক,
শিউলিরা পড়ে ঝরে সূর্যোদয় হলে পরে
হতাশায় ফেটে যায় বুক।

মাধবী মালতী লতা সুনীলা অপরাজিতা
একসাথে হাসে আঙিনায়,
বেলি ফুল জুঁই ফুল ফুটে টগর বকুল
চারিভিতে সুগন্ধ ছড়ায়।

অজয়ের নদীধারে কাশফুল সারে সারে
অপরূপ শোভা মনোহর,
জেলে ডিঙি বেয়ে চলে মাছ ধরে নদীজলে
বেলা হলে ফেরে নিজঘর।

শুনি আমি আনমনে শাল পিয়ালের বনে,
বাজে মাদল বাঁশির সুরে,
দিন যায় সন্ধ্যা আসে তারা ফুটে নীলাকাশে
শরতের চাঁদ উঠে দূরে।

কামনাবিলাসী প্রেম………………

কামনাবিলাসী প্রেম……………..

এ কেমন অনুভবের চাওয়া তোমার,
যে উপলব্ধিতে ক্ষণেক্ষণে শিহরিত হয় মন আমার
আমি সারাদিন শব্দের পর শব্দ দিয়ে বুনি কবিতার খাতা
তুমি এলে হারিয়ে যায় সব কথারা,
দু’চোখে তােমার আকুল প্রতীক্ষা শান্তিহীন, ক্লান্তিহীন, বিরাম বিহীন
তুমি কাছে এলে আমি আর কিছু লিখতে পারিনা ,
আলাে আঁধারের পর্যটন শেষে পৃথিবীতে ফিরে আসে পরিযায়ী তারা,
রক্তের মধ্যে জলতরঙ্গ বাজায় নৈঃশব্দ্যের বর্ণমালা,
রাতের আঁধারে নগ্নিকা দেহ থেকে যেন ঝড়ে পড়ছে আবেদনের সহস্ৰ জোনাকী,
তুমি অপলক তাকিয়ে আছো আমার কেবলই মনে হচ্ছে,
এখনই আকাশের বুকে একটুকরাে মেঘের আবির্ভাব হবে চাঁদমুখ ঢেকে যাবে লজ্জায়,
আধো ছায়া আধো অন্ধকারে তুমি আর আমি ছিলেম নৈঃশব্দের মধ্যে একা,
তুমি যেন স্বপ্নপুরুষ, মগ্ন মৈনাক, নীল নির্জনে একক পাহাড়,
তােমার উন্নত শির, প্রশস্ত বুক, উদ্ধত কাঁধ
তােমার পৌরুষ অহঙ্কারে পরিপূর্ণ,
বাসনার প্রদীপ জ্বেলে আমি এক শরীর আগুন নিয়ে
তোমার সব কিছুকে আমি ভীষণভাবে নিজের করে পেতে চাই,
ঘন অন্ধকার রাত এগিয়ে আসছে,
আমি সেজে উঠি কামবিলাসিনীর ছদ্মবেশে,
আমার সর্বাঙ্গে যেন বাসনার নির্যাস,
তোমার চোখের তারায় আগুনের উন্মাদনা
তুমি এসে আমার কানে কানে বলে যাও মহামিলনের এক মন্ত্রকথা,
আমি নির্দ্ধিধায় আমার সবকিছু উজাড় করে দেব তোমার চরণে,
হে সুপ্রিয়,
তুমি কোন রূপটিকে ভালােবাসো সকালের শিশির ভেজা শরীর ?
নাকি মধ্য রাতের কামনাবিলাসী প্রেম ?
হিম অরণ্যের অন্ধকারে প্রতিদিন নিঃসঙ্গ নির্জনতায়
আমরা মিশে যাই নিবিড় আলিঙ্গনে…………..

— ফারজানা শারমিন
২৪ – ০৯ – ২০২০ইং

এই নির্জনে

এই নির্জনে

বাইরে ঝিমঝিম পড়ন্ত দুপুর।
ভারী নির্জন, নিরিবিলি কোমল রোদে ঝলমলে।
বারান্দায় ওপরের কড়ি বর্গায়
নানান জাতের পায়রারা ডেকে ওঠে।
পড়ন্ত দুপুরে পায়রার গদগদ স্বরের ডাক এক অদ্ভুত মায়া জন্ম লয়।

শব্দের কি কোন আকার আছে?
শব্দরা সম্ভবত নিরাকার।
তবু পায়রার বুকুম বুকুম
শব্দের আকার গোল মনে হয়,
তুলোর বলের মত গোল।

স্টিমারের হুইছালের শব্দ কি সরু ও দীর্ঘ মনে হয়!
সেতারের ঝনৎকার যেন বহুবর্ণ আগুনের ফুলঝুরি।
এজরাসের ছড় টানলেই মনে ভেসে ওঠে
তন্তুজালের মত আকৃতি,
অদৃশ্য এক মাকড়সা অদ্ভুত দ্রুতলয়ে বুনে চলছে।

পায়রারা গদগদ শব্দে এ কী কথা কয়?
ধ্বনিগুলোকে পরস্পর আলিঙ্গনে জড়িয়ে নিয়ে
ক্রমাগত বুনন চলায় মাকড়শার মতো,
তাতীবাড়ির একটানা ঠকঠককের মতো,
কাঠঠোকরার একটানা ঠোকরের মতো,
সেতারের ঝনৎকারের ফুলঝুরির মতো
এজরাসে ছড় টানার ঐক্যতান মতো
বুকুম বুকুম স্বরে আপ্লুত হতে থাকা পায়রারা
ভালোবাসার কথা কয়?

যারে পায়রা যারে দূরে উড়ে উড়ে
এই নির্জনে তোদের দেখে সুন্দরীরে বড় মনে পড়ে!